![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথের খোঁজে নেমেছি পথে আকাশ ছুতে ছড়েছি রথে আমি এক কল্পনাবিলাসী
বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা আর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক কিনা সে বিতর্ক সোয়া তিন যুগের। বর্তমানের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে গোড়ামী বা মৌলবাদ( যিনি মূলকে আকড়িয়ে ধরে থাকেন, আধুনিকতা বা সময়ের দাবী যার কাছে পরাজিত) এত বেশি স্পষ্ট যে তারা যার যার দলের নেতা ছাড়া আর কিছু বুঝেন না। আমার আলোচনাটা সেখানে নয়। অন্যখানে; একটু অন্যভাবে।
যদিও স্বাধীনতার অনেক পরে আমার জম্ম; মুজিবকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি, হয়নি জিয়াকে দেখার সৌভাগ্য। তবু তাদের সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, বড়দের কাছ থেকে যতটুকু শুনেছি, বই পুস্তক ঘেটে যতটুকু আয়ত্ব করতে পেরেছি তাতে এ দুজনকে অনেক বড় মনের মানুষ বলে মনে হয় এবং সেটাই চিরন্তন সত্য।
স্বাধীনতার পর এদেশের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি কিংবা তারও একটু বেশি। কেউ কেউ বলেন সাড়ে সাত কোটি। সাহায্য হিসেবে দেশের বাহির থেকে সাড়ে সাত কোটি কম্বল পেয়েছিলেন বঙ্গব্ন্ধু। সেগুলো বিলি বন্টনের দ্বায়িত্ব দিয়েছিলেন আওয়ামী নেতা কর্মীদের। বিলি বন্টন শেষে দেখা গেল বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজের কম্বলটিই পাননি। রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে বলেছিলেন -"দেশ স্বাধীন করে সবাই পায় সোনার খনি; আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।" তাছাড়া দেশ স্বাধীন হবার পর দুণীতিবাজ, স্বার্থবাদী এবং দেশ বিরোধীদের উৎপাত এতই বেড়ে গিয়েছিল যে বঙ্গবন্ধু নিজেও তাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন। অতিষ্ট হয়ে তিনি তা রোধ করতে গিয়ে নিজের আত্মীয়, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, কাছের মানুষ কাউকেই ছাড় দেননি। যার ফলে দুণীতিবাজ, স্বার্থবাদী এবং দেশ বিরোধীদের একটি গোপন জোট তৈরী হয়ে যায় এবং সে জোটেরই চক্রান্তে বঙ্গবন্ধু ১৫ই আগস্ট শহীদ হন। বাঙ্গালী জাতি এক বিশাল মানুষকে হারায় যার ফল আজো আমরা ভোগ করে যাচ্ছি।
এবার আসি জিয়া প্রসঙ্গে। একজন আওয়ামী নেতার কাছ থেকে একটি ঘটনা শুনেছিলাম। যদিও তিনি ছিলেন আওয়ামী ঘরানার তারপরও তিনি জিয়াকে সম্মান করেই কথা বলতেন। তিনি বলেন, জিয়া রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে একদিন রাতে বাসায় ফিরে দেখেন বাসার পুরাতন বেসিনটা বদলে একটি নতুন বেসিন লাগানো হয়েছে। একটি চলমান পুরাতন বেসিন বদলে নতুন বেসিন লাগানোর ব্যপারটি জিয়ার পছন্দ হয়নি। তৎক্ষনাৎ বাসার কেয়ারটেকারকে ডেকে নতুন বেসিনটি বদলে আবারো সেই পুরাতন বেসিনটি লাগালেন। তারপর তাতে হাত মুখ ধুলেন। রাতের আহার করলেন। জিয়ার মতে-"প্রজাতন্ত্রের টাকা জনগনের পিছনে ব্যয় করার জন্য, রাষ্ট্রপতির বাসায় নতুন বেসিন লাগানোর জন্য নয়।"
এই হলো বঙ্গবন্ধু আর জিয়ার নেতৃত্ব কিংবা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আজ যারা তাদের অনুসারী হিসাবে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনীতি করছেন তারা কি চারিত্রিক দিক থেকে ততটা না হোক অল্প কিছু বৈশিষ্ট্য পেয়েছেন? পাননি। খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনা কি পেরেছেন বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়ার অর্ধেক মানেরও রাজনীতিবিদ হতে? পারেননি। খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনা পারেননি তাদের চারপাশে থাকা চাটুকারদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে, পারেননি তাদের বিরোদ্ধে কোন একশান নিতে। বরং সবসময় এসব চাটুকারদেরই দাবী দাওয়া পুরণ করে আসছেন। অথচ এ দুজনই গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সমঅধিকার বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। একে অপরের গাল মন্দ করেন। নিজের দলের স্বার্থ, নেতা কর্মীদের স্বার্থ, পাচ বছর বিরোধী দলে থাকার পর ক্ষমতায় গিয়ে অভুক্ত নেতা কর্মীদের লুটপাট করে সব চেটে পুটে খাওয়ার পক্ষেই দু দলের দু নেত্রী। আর তাই হয়তো তারা কেউই পারেননি বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়ার মত বড় মাপের নেতা হতে। পারেননি এদেশের আপামর জনসাধারনের ভালবাসায় সিক্ত হতে।
দুনেত্রীর প্রতি আবেদন, আপনারা বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়ার মত বড় মাপের রাজনীতিবিদ হতে না পারেন; দুঃখ নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়ার আদর্শকে দয়া করে কলুষিত করবেন না। কেননা আমরা যারা নতুন প্রজম্ম, আমরা যারা এ দু মহান নেতাকে দেখিনি দয়া করে আমাদের মনে এ বিশ্বাসটুকু স্থাপন করবেন না যে, আপনার দলের নেতাও সম্ভবত আপনাদের মতই ছিলেন। কেননা আপনারাতো এ দু 'নেতার অনুসারী হয়ে তাদেরই নাম ভাঙ্গিয়েই রাজনীতি করছেন। এক্ষেত্রে একটা ব্যপার লক্ষনীয়-গাছের ফল খারাপ হলে গাছের বীজের কিংবা গাছের জাতের দোষটাই ধরা হয়। আপনারা খারাপ হয়ে দয়া করে আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতাদের অবদানকে কলুষিত করবেন না।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:০৮
রিজু বলেছেন: সবাই যদি আপনার মতো করে ভাবতে পারত..!!!!!!!!??
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২৪
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: রাজনীতি এত সরল নয় রে ভাই।
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০৮
সায়েম মুন বলেছেন: দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: রাজনীতি এত সরল নয় রে ভাই।
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৬
ত্রিশোনকু বলেছেন: একটু মনে করে দিতে চাই, বংগবন্ধুর সৃস্ট রক্ষী বাহিনীর হাতে ১২,০০০ থেকে ৪৮,০০০ জাসদ কর্মী খুন হয়। সিরাজ সিকদারকে হত্যা করা হ্য় বন্দী অবস্থায়। সাংসদ হাসানুল হক ইনু নিশ্চয়ই সে সব এখনও বিস্মৃত হননি, যদিও এখন তিনি আ লীর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। শামীম সিকদাররকেও দেখলাম স্তুতি গাইতে সেদিন, মৃত অগ্রজের আত্মার অপমান সাধনে অনুজার এই প্রকাশ্য কর্মকান্ড আমি এখনও মেনে নিতে পারিনি।
__________________________________________
আর জিয়া ১২০০ সৈন্যের ফাঁসী একরাতের মধ্যে কার্যকর করেন। তার হাতে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে আরও হাজার খানেক সৈনিক অকালে খুন হয়। সূত্র: সশস্ত্র বাহিনীতে গনহত্যা বাংলাদেশ (১৯৭৫-১৯৮১),পরিচালক: আনোয়ার কবির, চারটি ডিভিডিতে ১০.৫ ঘন্টার সাক্ষাতকার নিহতদের আত্মিয়দের, ও ঘটনাতে সম্পৃক্তদের।
পাবেন: ফিল্মফেয়ার-ইস্টার্ন প্লাজা, আজিজ সুপার মার্কেট, রাইফেল স্কয়্যার।
উপরের ডিভিডিটির পর্যালোচনা দেখতে পারেন:
http://www.amarblog.com/omipial/68387
Click This Link
_________________________________________
এগুলোঐতিহাসিক সত্য। ভাবাবেগে এগুলোকে বদলানোর কোন উপায় নেই।
___________________________________________
আমার আত্মজ-আত্মজাদেরকে আমি এদুজনের আদর্শে মানুষ করিনি।
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৮
ত্রিশোনকু বলেছেন:
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৫
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: শত দোষ ত্রুটির পরও মুজিব ও জিয়া বা;লেদেশের ইতিহাসের দুই প্রবাদ পুরুষ| দুজনকেই প্রাপ্য সন্মান দিয়ে সুন্দর ভাবে বক্তব্য প্রকাশের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ|
(++++++++)
৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৭
তুষারপাত বলেছেন: ⓘⓣⓢ ⓐ ⓐⓦⓢⓞⓜⓔ ⓟⓞⓢⓣ
৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩০
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: ত্রিশোনকু বলেছেন:
আমার আত্মজ-আত্মজাদেরকে আমি এদুজনের আদর্শে মানুষ করিনি।
=========
আপনার ব্যাক্তিগত পছন্দের প্রতি শ্রদ্বা রেখেই একটি প্রশ্ন করি, আমাদের দেশে কার আদর্শে আপনার আত্মজ-আত্মজাদেরকে মানুষ করছেন, জানতে পারলে খুশি হবো|
(শুধু মুজিব-জিয়ার আদর্শ নয়, ফলো করার মত আদর্শ কোনটা বা;লাদেশে.....??)
১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪২
জাতি জানতে চায় বলেছেন: দুই মহানায়কের অবশ্যই দোষ ত্রুটি আছে!! একজন স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত ছিলেন উপমহাদেশের সাফল্যের চমক জাগানো রাজনৈতিক নেতা যিনি কিনা স্বাধীনতা উত্তর রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে চমক জাগানো ব্যর্থ, আরেকজন সামরিক সরকারের প্রধান হলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় অপ্রত্যাশিতভাবে সফল। দুইজনই একটা সময়ে অসাধারন সফল ছিলেন যেটা এখনকার রাজনীতিতেও দেখা যায় না!! বরং প্রতিনিয়ত উনাদের বিক্রি হতে দেখি!!!
লেখক কে ++++++++
১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:২৭
সাধারণমানুষ বলেছেন: তারা দুই জন দুই দিক দিয়ে সফল ব্যক্তিত্ত একজন স্বাধীনতার দিক দিয়ে আর অন্যজন রাষ্ট্র পরিচালনার দিক দিয়ে। আর ভাল খারাপ মিলিয়েই তো মানুষ। তাদেরকে তাদের প্রাপ্য সন্মান দেয়া উচিত।
১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:৫০
ত্রিশোনকু বলেছেন: বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত,
তাজুদ্দিন আহমদের আদর্শে চেষ্টা করেছি।
১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:০৩
ত্রিশোনকু বলেছেন: তাদের প্রাপ্য সম্মান তাদেরকে অবশ্যই দেয়া উচিৎ। তবে তাদের নিষ্ঠুরতাও সবার সামনে বেড়িয়ে আসার প্রয়োজন আছে, নিরপেক্ষ ইতিহাসের জন্যে।
আমি তাঁদের যা প্রাপ্য বলে বিশ্বাস করি তা তাদের দেবার চেষ্টা করি।
Click This Link
Click This Link
১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:০৫
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: ত্রিশোনকু বলেছেন:
তাজুদ্দিন আহমদের আদর্শে চেষ্টা করেছি।
==============
শুনে ভাল লাগলো| তার সমন্ধে মোটামুটি জানি, তার পরিবারকেও বলা চলে অনেকটাই নির্লোভ পরিবার| মন্ত্রী পদ থেকে তাজউদ্দিনের, তার ভাইয়ের, সর্বশেষে তার ছেলের পদত্যাগ প্রমান করে এই পরিবারটা ক্ষমতার হালুয়া-রুটি নিয়ে মাথায় ঘামায় না|
অবাক হই এই লোকাটার জন্ম দিবস, মৃত্যু দিবসে আলীগ সহ অন্য সবাই উদাসীন........!!!
ভাল লাগলো অন্ততপক্ষে আপনার পরিবার তাজউদ্দীনের আদর্শ ফলো করে| তার জীবনীকে সবার কাছে তুলে ধরলে সম্ভবত: আরো অনেকেই তাকে ফলো করতো|
ধন্যবাদ আপনাকে|
১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪১
রাসেল ( ........) বলেছেন: তালুকদারের আগমণ শুভেচ্ছা স্বাগতম।
১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৬
ত্রিশোনকু বলেছেন: বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত,
আপনাকেও ধন্যবাদ, আমাকে বুঝতে পারার জন্য।
১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৫
জাকিরুল হক তালুকদার বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ
১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৬
ইশতিয়াক অাহমেদ বলেছেন: জাকির ভাই লেখা এবং লেখার পর এই আলোচনা সবটাই উপভোগ্য...
আপনি ভালো আছেন?
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:০৭
সাজ্জাদ নীল বলেছেন: আমি সম্মান দেখায় তাদের দুজনের প্রতি