নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবুতরের সুখ দুঃখ

সবই মায়া

কবুতর মিয়া

নিজেকে খুজিয়া বেড়াই..........

কবুতর মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলোচিত ক্রসফায়ার সিরাজ সিকদার হত্যা : এই হত্যা ইতিহাসের বর্বরতম ঘটনা : মাহমুদুর রহমান মান্না

০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:০৫





সেদিন ছিল বুধবার—১৯৭৫ সালের ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন। চট্টগ্রামে গ্রেফতার হন ‘পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি’র প্রধান নেতা সিরাজুল হক সিকদার ওরফে সিরাজ সিকদার। এদিনই তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন অর্থাত্ ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার (১৯৭৫) রাতে একটি পুলিশ ভ্যানে সিরাজ সিকদারকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর অদূরে সাভার এলাকায়। তখন রাত প্রায় সাড়ে ১১টা। হঠাত্ গর্জে ওঠে পুলিশের রাইফেল। কয়েক রাউন্ড গুলির আওয়াজে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সাভারের তালবাগ এলাকা। পুলিশ হেফাজতে থাকা এবং হাতে হ্যান্ডকাফ লাগানো অবস্থায় সিরাজ সিকাদারের প্রাণ কেড়ে নেয়ার জন্য ধেয়ে আসে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য পুলিশেরই ছোড়া ঘাতক বুলেট। ৪টি বুলেট সিরাজ সিকদারের শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়। আর একটি বুলেট তার বুক ভেদ করে বের হয়ে যেতে না পারায় অবস্থান নেয় ফুসফুসে। নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন সিরাজ সিকদার।

স্বাধীন বাংলাদেশে তত্কালীন মুজিব সরকারের আমলে পুলিশের প্রথম আলোচিত ক্রসফায়ারের এই ঘটনার বিবরণ পুলিশের প্রেসনোটের উদ্ধৃতি দিয়ে ছাপা হয়েছিল সেই সময়ের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (৩ জানুয়ারি) প্রায় তিনটায় সিরাজ সিকদারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ওই সময় বিভিন্ন সংবাদপত্রে পাঠানো হয় পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি। ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকাল প্রায় সোয়া ১১টায় ময়নাতদন্ত হয়। এদিন দুপুর ২টার সময় সিরাজ সিকদারের পিতা আবদুর রাজ্জাক সিকদার, মরহুমের কয়েক ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন হাসপাতাল মর্গে উপস্থিত হন। বেলা সোয়া ২টার সময় রাজ্জাক শিকদার তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। লাশ সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কড়া পুলিশ পাহারায় লালবাগ থানায় রাখা হয়। সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর গোরস্তানে নিহত সিরাজ সিকদারের লাশ পুলিশ পাহারায় দাফন করেন তার বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন। অকালে অবসান ঘটে সিরাজ সিকদারের বিপ্লবী রাজনৈতিক জীবনের। আর সিরাজ সিকদারের এই মৃত্যু প্রসঙ্গে তত্কালীন সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দম্ভের সঙ্গে বলেন, ‘কোথায় সেই আজ সিরাজ সিকদার’। কথামালার রাজনীতিসহ বিভিন্ন বই ও পত্রপত্রিকায় রয়েছে এর তরতাজা বিবরণ।

মুজিব সরকারের আমলে ক্রসফায়ারে সিরাজ সিকদারকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা এবং তাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওই উক্তি দেশের রাজনীতিতে নানা সমালোচনা ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকরা তাদের লেখায় সিরাজ সিকদার হত্যাকাণ্ডকে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেন। প্রয়াত বুদ্ধিজীবী ড. আহমদ শরীফ ‘বিপ্লবী বীর সিরাজ সিকদার প্রসঙ্গে’ শিরোনামে লেখায় বলেন, ‘সিরাজ সিকদার আজ আর কোনো ব্যক্তির নাম নয়। সিরাজ সিকদার একটি সংকল্পের, একটি সংগ্রামের, একটি আদর্শের, একটি লক্ষ্যের ও একটি ইতিহাসের অধ্যায়ের নাম। এ মানবতাবাদী সাম্যবাদী নেতাকে হাতে পেয়ে যেদিন প্রচণ্ড প্রতাপ শঙ্কিত সরকার বিনা বিচারে খুন করলো, সেদিন ভীতসন্ত্রস্ত আমরা তার জন্য প্রকাশ্যে আহা শব্দটি উচ্চারণ করতেও সাহস পাইনি। সে গ্লানিবোধ এখনো কাঁটার মতো বুকেবেঁধে।’

সাপ্তাহিক স্বাধীনতা পত্রিকায় প্রকাশিত লেখায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখেন, ‘সিরাজ সিকদার একজন মহান দেশপ্রেমিক। একজন রাজনৈতিক সরকারপ্রধান হিসাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতার জীবনের নিরাপত্তা বিধান করতে না পারা শেখ মুজিবের একটি অমার্জনীয় অপরাধ।’

বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ‘খবরের কাগজ’-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেন, ‘সিরাজ সিকদার একজন অসাধারণ যোগ্যতাসম্পন্ন সংগঠক ছিলেন। আমি যদ্দুর জানি, একথা তার ঘোর সমালোচকরাও স্বীকার করেছেন। সিরাজ সিকদারের মৃত্যুর ঘটনাটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে—ইতিহাসের একটি বর্বরতম ঘটনা। আমরা মধ্যযুগ কিংবা হিটলার মুসোলিনির আমলে এ ধরনের বর্বরতম ঘটনার নিদর্শন পাই। বুর্জোয়া যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা বলে থাকে আজকাল, এমনকি আমাদের দেশেও, তাতে সিরাজ সিকদার অপরাধ করে থাকলেও তার বিচার পাবার দাবিতো উপেক্ষিত হতে পারে না। সিরাজ সিকদার যে বিচারবঞ্চিত হয়েছিলেন, সরকারী প্রেসনোটে তখন যা উল্লেখ করা হয়েছিল (জীপ থেকে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গুলীতে তিনি নিহত হন) তা যে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। একথা যারা এ প্রেসনোট নিয়েছিলেন তারাও স্বীকার করবেন। আর সব চাইতে ন্যক্কারজনক হলো তত্কালীন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উল্লসিত আস্ফাালন—কোথায় আজ সিরাজ সিকদার?’

সিরাজ সিকদারের মৃত্যুর পর পুলিশের প্রেসনোটের উদ্ধৃতি দিয়ে ১৯৭৫ সালের ৩ ও ৪ জানুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাক যথাক্রমে “গ্রেফতারের পর পলায়নকালে পুলিশের গুলীতে সিরাজ সিকদার নিহত” এবং “সিরাজ সিকদারের লাশ দাফন” শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন দুটি তুলে ধরা হলো :

গ্রেফতারের পর পলায়নকালে পুলিশের গুলীতে

সিরাজ সিকদার নিহত

গতকাল (বৃহস্পতিবার) শেষ রাত্রিতে প্রাপ্ত পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয় যে, ‘পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি’ নামে পরিচিত একটি গুপ্ত চরমপন্থী দলের প্রধান সিরাজুল হক সিকদার ওরফে সিরাজ সিকদারকে পুলিশ ১লা জানুয়ারি চট্টগ্রামে গ্রেফতার করেন। একই দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁহাকে ঢাকা পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক এক বিবৃতি দেন এবং তাহার পার্টি কর্মীদের কয়েকটি গোপন আস্তানা এবং তাহাদের বেআইনী অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার স্থানে পুলিশকে লইয়া যাইতে রাজী হন।

সেইভাবে ২রা জানুয়ারি রাত্রে একটি পুলিশ ভ্যানে করিয়া তাহাকে ওইসব আস্তানার দিকে পুলিশ দল কর্তৃক লইয়া যাইবার সময় তিনি সাভারের কাছে ভ্যান হইতে লাফাইয়া পড়িয়া পলায়ন করিতে চেষ্টা করেন। তাহার পলায়ন রোধ করার জন্য পুলিশ দল গুলীবর্ষণ করিলে তত্ক্ষণাত্ ঘটনাস্থলেই তাহার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে সাভারে একটি মামলা দায়ের করা হইয়াছে।

“এখানে উল্লেখ করা যায় যে, সিরাজ সিকদার তাহার গুপ্ত দলে একদল দুর্বৃত্ত সংগ্রহ করিয়া তাহাদের সাহায্যে হিংস্র কার্যকলাপ, গুপ্তহত্যা, থানার উপর হামলা, বন অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ইত্যাদির উপর হামলা, ব্যাংক, হাটবাজার লুট, লঞ্চ ট্রেন ডাকাতি, রেললাইন তুলিয়া ফেলার দরুন গুরুতর ট্রেন দুর্ঘটনা, লোকজনের কাছ হইতে জোর করিয়া অর্থ আদায়ের মত কার্যকলাপের মাধ্যমে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করিয়া আসিতেছিলেন। (দৈনিক ইত্তেফাক, ৩ জানুয়ারি ১৯৭৫)

সিরাজ সিকদারের লাশ দাফন

(ইত্তেফাক রিপোর্ট)

নিহত সিরাজ সিকদারের লাশ গতকাল (শুক্রবার) তাঁহার পিতা জনাব আবদুর রাজ্জাক সিকদার কর্তৃক শনাক্তকরণের পরে সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর গোরস্তানে দাফন করা হইয়াছে। গতকাল সকাল সোয়া ১১টার দিকে তাহার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়।

পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় : “সিরাজুল হক সিকদার ওরফে সিরাজ সিকদারকে গত ১লা জানুয়ারি চট্টগ্রাম হইতে গ্রেফতার করিয়া ঐদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় আনা হয় এবং তাহার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত ২রা জানুয়ারী রাত্রে একটি পুলিশের ভ্যানে তাঁহাকে তাহার দলের লোকদের একটি গোপন আস্তানার দিকে লইয়া যাওয়ার সময় তিনি পলায়নের চেষ্টা চালাইলে পুলিশ গুলি চালায় এবং জনাব সিকদার ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।” এই ঘটনা রাত সারে ১১টার দিকে সাভারের তালবাগ এলাকায় ঘটে বলিয়া জানা গিয়াছে।

রাত ৩টায় দিকে জনাব সিকদারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত হয়। তাহার শরীরে ৫টি বুলেটের চিহ্ন পাওয়া গিয়াছে। ৪টা বুলেট দেহ ভেদ করিয়াছে। একটি বুলেট ফুসফুসের ভিতরে পাওয়া গিয়াছে। তাঁহার পরনে ক্রীম রংয়ের টেট্রনের প্যান্ট ও গায়ে সাদা টেট্রনের শার্ট ছিল এবং বাম হাতে হাতকড়া দেখা যায়।

অপরাহপ্ত ২টার সময় সিরাজ সিকদারের পিতা জনাব আবদুর রাজ্জাক সিকদার, মরহুমের কয়েক ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন হাসপাতাল মর্গে উপস্থিত হন। বেলা সোয়া ২টার সময় জনাব রাজ্জাক শিকদার তাঁহার পুত্রের লাশ শনাক্ত করেন। লাশ সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কড়া পুলিশ প্রহরায় লালবাগ থানায় ছিল। সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর গোরস্তানে নিহত সিরাজ সিকদারের লাশ পুলিশ প্রহরায় তার পিতা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন দাফন করেন বলিয়া পুলিশের পক্ষ হইতে বলা হইয়াছে। জনাব আবদুর রাজ্জাক সিকদার ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের বক্তব্য অনুযায়ী সিরাজ সিকদারের বয়স ছিল প্রায় তিরিশ বছর। তিনি পিতার ৬ পুত্র ও ২ কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে ১৯৬৬ সনে তিনি তত্কালনী শেরেবাংলা হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সনের দিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি পাস করার পর ১৯৬৮ সনের প্রথমদিকে মাস দেড়েক সিএন্ডবিতে প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করেন। ইহার পর তিনি তেজগাঁওয়ের পলিটেকনিক টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে লেকচারার হিসেবে প্রায় এক বছর চাকরি করেন। ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসের পর হইতে পরিবারের সহিত তাহার সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে।

তিনি ১৯৬৬ সালে রওশান আরা বেগমের সহিত পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তাহার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে আছে। মেয়েটির নাম শিখা (৭), আর একটি ছেলের নাম শুভ্র।

সিরাজ সিকদারের বড়ভাইও একজন প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি পাক সেনাদের হাতে নিহত হন। তাঁহার ছোট অপর এক ভাইও প্রকৌশলী। অপর ভাইয়েরা লেখাপড়া করিতেছেন। এক বোন চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ভাস্কর্য নিয়ে অধ্যয়ন করিতেছেন। বৃদ্ধ পিতা জনাব আবদুর রাজ্জাক সিকদার বর্তমানে অবসর গ্রহণের পূর্বে ছুটিতে রহিয়াছেন। তাহার মাতাও জীবিত আছেন। (দৈনিক ইত্তেফাক, ৪ জানুয়ারি ১৯৭৫)।



সূত্র : দৈনিক আমার দেশ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৪০

নষ্ট কবি বলেছেন: haire siraj sikhdar.........

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৩০

নামহীনা বলেছেন: শুনেছিলাম [সত্য নাকি মিথ্যা জানিনা] আওয়ামী লীগ নেতা এসপি মাহবুব এর গুলিতেই ঐ ঘটনা হয়। উনি তখন ঢাকার এসপি ছিলেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

কবুতর মিয়া বলেছেন: হতেও পারে। অবাস্তব কিছু না।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৬

যাদুকর... বলেছেন: হুমমম....জানলাম, যা জানতাম না।
ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:২২

অন্তীম বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.