নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে আপাতত কিছুই বলতে চাইছি না।

ককচক

ককচক নিকটা মূলত বকবক করার জন্য ওপেন করা হয়েছে

ককচক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্বালানির মূল্য না-বাড়িয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার কি কি পদক্ষেপ নিতে পারতো?!

১১ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২




পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে রাজধানীতে পণ্যের দাম অনেক বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনও তদারকি আছে কিনা(?)
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ আগষ্ট) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তো করবে না। কতটুকু বাড়ার কথা সেটা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ঠিক করছে। আরও আলোচনা চলছে, এক্সাক্টলি কত হওয়া উচিত।’
‘আশপাশের দেশের সঙ্গে সমন্বয় করেই জ্বালানি তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে। এখনও যদি ধরা হয় ডিজেলের দাম আজকের বাজারে প্রতি লিটারে ৮ টাকা করে লোকসান হচ্ছে।’
[সূত্র বাংলাট্রিবিউন]
সরকারের মন্ত্রী এম্পিদের সাম্প্রতিক বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তারা বাংলাদেশকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলানোর চেষ্টা করছেন। সাংবাদিকেরা মন্ত্রী এম্পিদের এইসব ব্যক্তব্য সাংবাদিকেরা চুপচাপ শুনছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ানো সাথে সাথে যে মানুষের আয় ইনকাম বাড়ানো দরকার সেসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকেরা মন্ত্রীদের কোনপ্রকার প্রশ্ন করছেন না। কিংবা সেসব প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এম্পিরা কি বলবেন, তারা সেটা জানেন। আমি নিশ্চিত সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে (দেশকে ইউরোপ আমেরিকার সাথে কম্পেয়ার করা) গলাবাজ মন্ত্রী এম্পিরা এখন দেশকে পাকিস্তান, ভারতের সাথে নিজেদের কম্পেয়ার করবেন।
এনিওয়ে,
শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্য নির্ধারণে আশেপাশের দেশের সাথে বা বিশ্বের সাথে তাল মিলালে তো হবেনা। দেশের মানুষের দৈনিক বা মাসিক ইনকামের সাথে আশেপাশের দেশ বা বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ইনকামের সমন্বয় করার ভাবনাচিন্তা করতে হবে। গতমাসে ১৫৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করে জনশুমারি করা হয়েছে। সুতরাং বলা যায়- "একজন কৃষকের জীবন দুর্ভোগ, একজন শ্রমিক বা ভ্যানচালকের দৈনিক ইনকাম সম্পর্কে সরকার নিশ্চয়ই টাটকা ধারণা পেয়েছে। একজন গার্মেন্টস কর্মীর বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সর্বনিম্ন স্যালারিতে চাকুরী করা কর্মী জীবনযাপন সম্পর্কেও সরকারের নিশ্চয়ই ধারণা আছে। অতএব, সরকারের উচিত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে হিসেবে নিকেশ করে যতটা সম্ভব নাগরিকদের দৈনিক ইনকাম বা স্যালারি ঠিক করে দেওয়া। কিন্তু দেশের যে অবস্থা, সরকার চাইলেও এখন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না।


সমসাময়িক সমস্যা মোকাবেলায় জ্বালানি মূল্য না-বাড়িয়েও জ্বালানি সাশ্রয়ে যেসব পদক্ষেপ নিতে পারতো বলে আমি মনে করিঃ

ক। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে একটা ওয়েবসাইট করে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সাইকেলসহ জ্বালানীনির্ভর যাবতীয় প্রাইভেট যানবাহন ব্যবহারকারীদের যানবাহন ব্যবহারের অনুমতিপত্র নিতে বাধ্য করতে পারতো। এতে অকারণ ঘুরাঘুরি লং ড্রাইভ, ঢং ড্রাইভ জাতীয় বিলাসিতা কিছুটা কমতো।

খ। একটা বৈধ প্রাইভেট কারে বা সাইকেলে সপ্তাহে কতটুকু জ্বালানি নেওয়া যাবে, সে বিষয়ে একটা আইন তৈরি করতে পারতো। এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দাম না কমা পর্যন্ত শক্তভাবে সেই আইন প্রয়োগ করতে পারতো।

গ। অবৈধগাড়ি ও লাইসেন্সহীন চালক যাতে রাস্তায় গাড়ি বের করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রশাসন শক্ত অবস্থান নিতে পারতো। অবৈধ গাড়ি ও লাইসেন্সহীন চালকদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিলে মেক্সিমাম জনগণ খুশি হতো; এবং জ্বালানিও সাশ্রয় হইতো।

ঘ। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য কাউন্সিলিং করতে পারতো। চাইলে কার্যকর কিছু নিয়ম জারি করতে পারতো।

ঙ। পয়সাওয়ালাদের বাংলো বা এক্সট্রা বাড়িতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যাবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারতো। যেমন বিদ্যুতে কর, ভ্যাট ইত্যাদি কয়েকগুণ বৃদ্ধি।

ইত্যাদি...
ইত্যাদি...

জ্বালানি তেল ব্যবহার কমাতে বা রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে সরকার এমন আরো অনেক পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু সেটা করে সরকার হুটকরে জ্বালানির মূল্য বাড়িয়ে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের জীবন দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং প্রমাণ করেছে এই সরকার 'এলিট চোর-ডাকাতদের সরকার'। এলিট চোর-ডাকাতদের সরকার দেশের দরিদ্র জনগণের কথা ভাববে না; ভাববার কথাও নয়।


ছবি সুত্রঃ গোগল মামার সাহায্যে যুগান্তর অনলাইন সংস্করণ থেকে নেওয়া

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: সরকার যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার হতো, জনগণের সরকার জনগণের কাছে দ্বায়বদ্ধ থাকতো। তাহলে জনগণের দুঃখের কথা ভেবে গ্যাস-বিদ্যুৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতো না। শুধুমাত্র শুল্কহার কমিয়েই আমজনতার দুঃখ কষ্ট থেকে রক্ষা করতে পারতো।

১১ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

ককচক বলেছেন: 'জনগণের ভোটে নির্বাচন সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে'; ভোট পাওয়ার তাড়না থেকে হলেও জনকল্যাণমুখী কিছু কাজ করে, দ্রব্যমূল্য আমজনতার নিয়ন্ত্রণে রাখবার চেষ্টা করে। স্বৈরাচার স্বেচ্ছাচার সরকারের কোনো দায় দায়িত্ব থাকেনা।

আমি মনে করি, ঘাটতি দিয়ে হলেও জ্বালানির দাম আমজনতার হাতের নাগালে রাখা উচিত ছিলো।

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

অক্পটে বলেছেন: কথা সত্যিই এই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নন।

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০

ককচক বলেছেন: 'অগণতান্ত্রিক সরকারের দায়দায়িত্ব থাকার কথা নয় এই। সরকার সেটা প্রমাণ করেছে।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দাম বাড়ানোর আগে প্রতি লিটারে ৩২ টাকা করে vat tax নিত সেটা না নিলেই হতো।

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৪

ককচক বলেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে ডলারের দাম বাড়ায়, দাম কমাতে পারছেন না। তেল ব্যবসায়ীরা লিটারপ্রতি ২০ টাকা করে বাড়ানোর দাবী করেছেন। তারা আলোচনা করে দাম বাড়বে কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন।

সরকার কোনোকিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেনা। গতমাসে ভোজ্য তেলের দাম ১৪ টাকা কমলেও সাধারণ মানুষ পূর্বের দামে কিনছেন; এখন ২০ টাকা বাড়ানো হলে দাম আরো বাড়বে। বিশেষকরে মফস্বলে!

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বিশ্ব বাজারের সাথে তেল ছাড়া বাকি জিনিসগুলির মূল্য কবে সমন্বয় করা হবে?

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৫৫

ককচক বলেছেন: সরকার কি করবে সেটা সম্ভবত বুঝতে পারছেনা।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার সুপারিশের সাথে আমিও একমত পোষণ করি। দাম বাড়ানোর সাথে সাথেই আমার মনে হয়েছিল, গাড়ি প্রতি বা পরিবার/অফিস প্রতি তেলের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া জরুরি ছিল। তেলের মূল্য বেড়েছে, ঢাকা শহরে কি জ্যাম কমেছে? দেখে মনে হচ্ছে জ্যাম আরো বেড়েছে। সব যানবাহন যদি দেধারছে চলতেই থাকে, তাহলে তাহলে লাভ কী হলো, তেল তো আগের মতোই পুড়ছে।

তবে, আমি মনে করি, এখনো সময় আছে। অতি সত্বর এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:০০

ককচক বলেছেন: যাদের প্রাইভেট গাড়ি আছে, তাদের টাকাপয়সাও আছে। তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে তাদের বিলাসিতা বন্ধ করা যাবে না।

তেলের মূল্যবৃদ্ধির পড়ছে আমার মতো গরীব মানুষদের জীবনে। যারা কোনরকম বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি।
সরকার চাইলে এখনো কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সরকারের থিংক ট্যাংক বা বুদ্ধিজীবী মহল কি করছেন কে জানে?!

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোন মেকানিজমই সুফল
বয়ে নিয়ে আসতে পারবেনা
যদিনা দুর্নীতির মূল উৎপাটন
করা যায়। যে সমাজের রন্ধ্রে
রন্ধ্রে দুর্নীতির হোতাদের বিষাক্ত
থাবা সেখানে সব কৌশল পরাভূত
হবেই।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:০৩

ককচক বলেছেন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা সরকার শুধু শুনিয়েছেন। বাস্তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কোনো নীতিই ছিলো না। অতীতে যেমন ছিলো, এখনও তেমনই আছে। কিংবা আরো বেড়েছে।
এটা সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা!

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: সমসাময়িক সমস্যা মোকাবেলায় জ্বালানি মূল্য না-বাড়িয়েও জ্বালানি সাশ্রয়ে যেসব পদক্ষেপ নিতে পারতো বলে আমি মনে করিঃ
~ এখানে যে কয়টা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন, এর ফলে পেট্রোল ও অকটেন ব্যাবহার কমবে- আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; গ্যাসের উপজাত থেকেই আমরা পেট্রোল ও অকটেন পাই, এবং এত পরিমান পাই যে, মাঝে মধ্যে বাইরে বিক্রি করতে হয়।
মুলত আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে ডিজেল ব্যাবহারে।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৪

ককচক বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর কথা সত্য হলে, আমাদের পেট্রোল ও অকটেন সাশ্রয় হইতো। এবং পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করে ডিজেলে ভুর্তকি দিতে পারতাম।

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জ্যাকেল বলেছেন: শেইখ হাসিনা কি মিথ্যা বলেছিলেন যে আমাদের আমদানি করতে হয় না। নাকি মন্ত্রী মিথ্যা বলেছিলেন যে আমদানি করতে হই? :-/

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৬

ককচক বলেছেন: শেখ হাসিনা পুরোপুরি সঠিক বলেছেন, মনে হচ্ছে না। আমাদের কিছুটা কিনতে হয়।

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩২

বিটপি বলেছেন: সরকার কোন ঝামেলা করতে রাজী নয়। গ্যাস অনুসন্ধান ঝামেলার কাজ - তাই এলএনজি আমদানি করে কাজ সারো।
রাস্তা বানানো ঝামেলার কাজ - তাই এক রাস্তায় খুঁটি বসায়া ফ্লাইওভার কর।
আপনার প্রস্তাবিত পদ্ধতি বেশ ঝামেলার কাজ - তাই দাম বাড়ানো ছাড়া কিছু করার নাই।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

ককচক বলেছেন: শর্টকাটে সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে সরকার নিজের বিপদ বাড়াচ্ছে। শর্টকাট সমাধান মোটেও ভালো ফলাফল নিয়ে আসে না। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.