নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কল্পনায় মেশানো কাব্য

কল্পকাব্য

কল্পকাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুনসুটি ও ভালোবাসা

১০ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:০৭

সজীব এআইইউবিতে বি.এস.সি করছে ইলেক্ট্রিকালে । আজ সজীবের এইট সেমিষ্টার এর প্রথম দিন । মেজাজ খারাপ সজীবের । কারন আজ প্রথম দিনেই তার ল্যাব দিয়ে শুরু । ক্লাস থাকলে সে মিস দিত । প্রথম দিনে পরিচয় পর্ব শেষ হতে হতে ক্লাস এর টাইম ই শেষ হয়ে যায় । কিন্তু ল্যাব এ তো এক্সপেরিমেন্ট হবেই । তাই সজীব ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও মিস দিতে পারলোনা । ঘুম টা নষ্ট করে ঝিমাতে ঝিমাতে ক্যাম্পাস এ আসলো । ৮ টা থেকে ক্লাস । এখন ৮ .১৫ বাজে । ইচ্ছে করে সে দেরী করছে । তার একদম ই ইচ্ছা নাই ল্যাব করার । অনেক চিন্তা করে সে ৮.৩০ এ ল্যাব এ গেল । ম্যাম এখনো বোঝানো শুরু করেন নি । ল্যাব এ যেয়ে তার আর ও এক প্রকার মাথা খারাপ হলো । কাউকেই চেনে না সে । তার উপর ৫ জন করে গ্রুপ ফর্ম হয়ে গেছে । ম্যাম কে যেয়ে বলে কোন গ্রুপে যাবে জিজ্ঞেস করে । ম্যাম ৫ নাম্বার গ্রুপে যেতে বলেন । গ্রুপ মেট দের সাথে পরিচয় হতে লাগে । সজীব সাধারনত গ্রুপে কোন মেয়ে কে রাখেনা । কিন্তু সে দেখলো গ্রুপে দুইটা মেয়ে আছে । কারন সে দেখে এসেছে , মেয়েরা মুখস্ত বিদ্যা ভয়ংকর আকারে পারে কিন্তু ল্যাব এ কোন কাজ পারেনা । তার উপর পেপার সাবমিসনের আগের দিন রাতে মেয়েরা ব্যাপক প্যারা দেয় । সজীবের ইচ্ছা হয় সে ল্যাব টা শেষ করার পর , ড্রপ দিয়ে দিবে । সবার পরিচয় জানলো সে । গ্রুপে ছেলে ৩ জন , মেয়ে দুইজন । ছেলেদের মধ্যে একজন সিনিওর , মাহিন ভাই । সাজিদ তার ব্যাচ মেট কিন্তু চেনেনা কেউ কাউকে । মেয়েদের মধ্যে রোমানা তার ব্যাচ মেট । এজ ইউজাল চেনেনা কেউ কাউকে । সুমাইয়া ইমিডিয়েট জুনিওর । বুঝতে পারে সে , তার কপালে দুঃখ আছে এই ল্যাব এ ।
সজীব পড়াশুনা তে খুব ভালোনা । ক্লাশে নাম্বার ও পায় না ভালো কিন্তু সে ল্যাব খুব সিরিয়াস ভাবে করে ।
অ্যানালগ ল্যাব । ল্যাব করতে থাকে সবাই । সজীব যা ভেবেছিল ঠিক তাই হলো । রোমানা কাজ করা বাদ দিয়ে গল্প করছে । এটা দেখে তার মাথা খারাপ হয় না । এটা তো নরমাল ব্যাপার । কিন্তু তার মেজাজ খারাপ হয় সাজিদ পোলাটা গল্প করতেছে রোমানার সাথে । পরে সে জানতে পারে তারা বিএফ , জি এফ । ব্যাপক দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলল সে । কিছু করার নাই , কবি নিরব । ল্যাব করতে করতে সে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করে সুমাইয়া খুব ভালো কাজ পারে । সার্কিট টা দুজনে মিলে ইমপ্লিমেন্ট করল । মাহিন ভাই ইন্সট্রাক্সান দিয়ে গেল ,তারা কাজ করল । পুরো ল্যাব এর কাজ বলা যায় তারা তিন জনে শেষ করল । ল্যাব শেষে বড় ভাই , রোমানা , সাজিদ তাদের নাম্বার , ফেবু আইডি দিল । কিন্তু সুমাইয়া কাউকে কিছু না বলেই চলে গেল । সাজিদ বলল “ ল্যাব এর একটু কাজ পারে তাতেই এতো ফাপড় ??” সজীবের মনে হলো সাজিদের কান বরাবর একটা দিয়ে দিতে । কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করে শুধু বলল “ এটলিশট হেল্প করেছে , অনেকে তো তাও করেনা ” । সজীব দেখল সাজিদ মুখ টা কাল করে ফেলেছে । সাজিদ কিছু বলতে যাবে , এই সময় সজীব বলল বিদায় ! ক্লাশ আছে । সজীব মাহিন ভাইএর কাছে বিদায় নিয়ে বাইরে চলে আসলো । হাসেম মামার টং এর দোকানে দাড়ালো । ৩০ মিনিট পড় থিওরী ক্লাস অ্যানালগ এর ।
-মামা , চা দাও ।
হাসেম মামা চা এর সাথে গোল্ডলিফ ও দিল । হাসেম মামা খুব ভালো করে জানে , সজীবের চা চাওয়া মানে চা এবং গোল্ডলিফ চাওয়া । চায়ে চুমুক দিয়ে লিফ এ একটা বিশাল টান দিল সজীব ।
- সরি । আসলে আমি ফেবু আইডি , নাম্বার আননোন কাউকে দেই না । আমি আসলে একটু কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম । তাই কিছু না ভেবে পেয়ে চলে এসেছি । কাজ টা আমার ঠিক হয়নাই ।
এক নিশ্বাসে সব বলে দিল সুমাইয়া । এদিকে সজীব হঠাত ডাক পেয়ে ঘুরে তাকায় এবং ধোয়া গুলো সব সুমাইয়ার মুখমন্ডল বরাবর ছেড়ে দেয় । সুমাইয়া কাশি দিতে দিতে হয়রান হয়ে যায় ।
- এক্সট্রেম্লি সরি । আমি লক্ষ্য করিনাই । বিলিভ মি । সরি :(
- ইটস ওকে ।
সজীবের খুব খারাপ লাগতে লাগে । বেচারী এখনো কাশি দিয়ে যাচ্ছে । সজীব সিগারেট টা ফেলে দেয় । কিছুক্ষন পর সুমাইয়া স্বাভাবিক হয় ।
- এখন ঠিক আছেন ?
- হ্যা । ভালো লাগছে এখন ।
- পানি খাবেন ?
-হ্যা ।
- মামা পানি দাও তাড়াতারি । নেন ।
(সজীব গ্লাস এগিয়ে দেয় সুমাইয়ার দিকে )
-থ্যাঙ্কস ।
- সরি । আমি আসলেই দেখিনাই ।
- না । ঠিক আছে । আমি বুঝতে পারছি ।
- আচ্ছা । কি যেন বলছিলেন ??
- ও হ্যা । না আসলে হঠাত করে চলে এলাম তো ......
- ব্যাপার না । সমস্যা নাই । কিন্তু ব্যাপার টা হচ্ছে যদি কানেকটেড না থাকেন তাহলে তো ল্যাব পেপারের কি অবস্থা ? না অবস্থা এগুলো আপনি জানতে পারবেন না । আমরা ও জানতে পারব না ।
-বুঝলাম । আসলে। আগে কখনো প্রয়োজন পড়েনি তো । তাই আসলে ।
- আচ্ছা এটা তেমন প্রব্লেম করবে না । বাই দ্যা অয়ে , চা চলবে ?
- বিল আপনি দিবেন ? ? :D
- যান দিলাম । :D
- আচ্ছা ।।
- মামা , চা দাও ।
মামা চা বানায়ে সাথে লিফ ও দেয় । সজীব বলে
- আর এ মামা করছো কি ? মাইর খাওয়াবা নাকি ??
হাসেম মামা - মামা দেখিনাই । ভাবছি আপনার জন্য ই । :D আর অভ্যাশ হয়ে গেছে বোঝেন না ?? :D
- হাহাহাহ । যা বললা ,মামা তুমি ।
- হেহহে ।
সজীব চায়ের কাপ এগিয়ে দেয় সুমাইয়ার দিকে ।
সুমাইয়া - থ্যাঙ্কস । একটা কথা বলবেন ?
- হ্যা । বলেন ?
- এতো বাজে একটা গন্ধ । কিভাবে নেন আপনারা ভিতরে ?
- হাহাহাহ
-হাসছেন ?
-অভ্যাশ হয়ে গেছে ।
- ভালোই ।
- হেহে । যাক বাদ দেন । থিউরী তে কে পড়েছেন ?
-বনিক স্যার ।
-আহা :D guess what ? আমার ও ।
-জোস তো । চলেন । সময় তো হয়ে গেছে ।
- হ্যা চলেন ।
চা শেষ করে ক্লাসে গেল তারা । তারা পাশাপাশি বসলো ।ক্লাশ শেষে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে গেল সজীব । সুমাইয়া ক্যাম্পাসে থেকে গেল । তার ক্লাস আছে আরো ।
রাত ১০টা
সজীব ফেবু তে অনলাইন । হঠাত একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসলো ।সজীব চেক করে দেখলো সুমাইয়ার আইডি । এক্সেপ্ট করলো । একটা নক দিল ।
-কি অবস্থা ?
- এইতো ।আপনার ?
- চলছে ।
- আইডি তো রিভিল করে দিলেন । এখন তো জ্বালাবো । :p
- আপনাকে দেখে তো তা মনে হয়েছিলনা । :D
- হাহাহাহ
- দেখে কাউকে জাজ করবেন না । সব সময় এক হয় না ।
- আচ্ছা । জানলাম । খেয়েছেন ?
- না ।আপনি ?
-খাইনাই । যাবো এখন ।
-ওকে যান । পড়ে কথা হবে ।
- ওকে । বাই ।
-বাই ।
পরের দিন , সজীব ক্লাশে যায় । ক্লাশ শেষ করে আবার ও হাসেম মামার দোকানে । চায়ের কথা বলতে যাবে এমন সময় সুমাইয়া পাশে থেকে এসে বলে ,
-মামা , চা দেন দুই কাপ
সজীব - কি অবস্থা ?
- এইতো । আপনার ?
-চলে । আপনি তো দেখা যায় হাসেম মামার সিগারেট এর ব্যাবসা তে লস খাওয়াই দিবেন ।
- কেনো ? কেনো ? আপনি মনে হয় স্মোক না করলে হাসেম মামা না খেয়ে থাকবেন বাসায় ?
- হাহাহা । থাক । কিছু বলার নাই । কবি নিরব ।
- হাহাহহা ।
-ক্লাস শেষ আপনার ?
-হ্যা ।
- ওকে । চলেন তাহলে ।
-চলেন ।
বিল দিতে লাগে সজীব ।
সুমাইয়া - অয়েট । অয়েট । আজ আমি দেই । না করবেন না প্লিজ ।
সজীব - আচ্ছা । দেন ।
কাপ দিয়ে কাকলির মোড়ে যেতে লাগল ।
সজীব - আপনি কোথায় থাকেন ?
সুমাইয়া - উত্তরা , ১০ নাম্বার সেক্টর । আপনি ?
- আমি , মোহাম্মাদ পুর ।
- ও । ওই দিকে আমার খালামনির বাসা । সলিমুল্লাহ রোড।
- ও । ভালোই ।
-ওকে , রাস্তা পার হই ।
-ওকে । বাই ।
-বাই ।
বাসায় চলে আসে । সজীবের সাথে রাতে চ্যাট হয় সুমাইয়ার হালকা ।
পরের দিন, অ্যানালগ থিউরী ক্লাস এ যেতে একটু দেরী করে ফেলে সজীব । ক্লাসে যেয়ে দেখে সুমাইয়া তার পাশে সিট রেখে দিয়েছে ।
-থ্যাঙ্কস ।
- ব্যাপার না :D
- :D
- আজ আছেন কতক্ষন ? ক্যাম্পাসে ?
- এই ২ টা পর্যন্ত । কেনো বলেন তো ?
- আজ মোহাম্মাদ পুর যাবো । বিশাল রাস্তা তো । হেড ফোন নিয়ে আসিনি । ভাবলাম আপনার সাথে কথা বলতে বলতে না হয় বরিং টাইম টা পাস করবো :D :D :D
- আহা ? :/
- জোকিং :D :D
- আচ্ছা । আমি সিরিয়াস্লি নিয়েছিলাম :3
- হিহিহি । আপনার ফোন টা দেন ।
-কেনো ? :O
- গান নাই আমার ফোনে , পার করবো :/ গাধা
- লাগলো । :/
-কোথায় ?
-গায়ে ।
- হাহাহহা ।
-আপনি অনেক মজার মানুষ
-তাই ?
-হুম :)
সুমাইয়া , সজীবের নাম্বার থেকে তার নাম্বার এ কল দেয় । তারপর সেভ করে নেয় ।সজীব ও নাম্বার সেভ করে নেয় । ক্লাস শেষে , একসাথে মোহাম্মাদ পুর এ যায় । শ্যামলি নেমে রিক্সা নেয় সজীব । সুমাইয়া কে সলিমুল্লাহ রোডে নামাইয়ে দিয়ে বাসায় চলে আসে ।
রাত ১১ টা ,
সজীবের আজ মন ভালো নেই অজানা কারনে ।ভাল লাগছেনা তার কিছুই। সাড়ে ১১ টার দিকে সুমাইয়া কল দেয় সজীব কে ।
-হ্যালো ?
- ডিস্টার্ব করলাম ?
-কি যে বলেন ?
- কি করেন ?
-এইতো বসে আছি । সার্ফিং করছিলাম নেট । আপনি ?
- পড়লাম । ভাল লাগছেনা আর । তাই শেষ করে কল দিলাম আপনাকে ।
-আচ্ছা :D
দুজনের ভালো বন্ধুত্ত্ব হয় । আপনি থেকে তুমি চলে আসে । সব কিছু শেয়ার করা হয় । দুজন দুজনার অনেক কেয়ার করে । সজীব এখন সুমাইয়াকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিয়ে বাসে উঠায়ে দেয় । ক্যাম্পাসে একসাথে থাকে সব সময় ।ক্যাম্পাসে কিছু কথা রটে । সুমাইয়া , সজীব ভালই উপভোগ করে কথা গুলো।
৪ মাস চলে যায় । রেজাল্ট দেয় । সজীব ও সুমাইয়া ল্যাবে A পায় কিন্তু থিউরী তে সুমাইয়া A প্লাস পায় আর সজীব পায় B প্লাস । সজীব মন খারাপ করেনা কারন সে জানে , সে এরকম ই পাবে । কিন্তু সুমাইয়া এ প্লাস পেয়েও তার মন খারাপ হয় । সজীব জিজ্ঞেস করে মন খারাপ করার কারন । সুমাইয়া বলে এমনি । সজীব বুঝতে পারেনা ঘটনা । একসাথে সময় মিলিয়ে তারা সাব্জেক্ট নেয় রিজেস্ট্রেসান এ যেন এক সাথে ক্লাস করতে পারে ।
ক্যাম্পাসে ,
সুমাইয়া -কাল তো পহেলা বৈশাখ । প্লান কি ?
সজীব - নো প্লান । ঘুমাবো । তোমার ?
-নাই ।
-গ্রেট ।
- হুম ( রাগ করে)
রাতে কল দেয় সুমাইয়া , সজীব কে ।
- কাল, ভালো মানুষের মত ১১ টায় টিএসসি তে চলে আসবা ।
-মানে কি ? আমার ঘুমানোর কি হবে ? :’(
- ঘুমাতে হবেনা কাল ।
- আম্মু !!!
-আন্টি কে ডেকে লাভ নাই ।
-অকা :/
- হিহিহি
সকালে আবার সুমাইয়া কল দেয় । জানে ঘুম থেকে উঠতে পারবেনা সজীব ।
- হ্যালো ( ঘুম ভাব নিয়ে )
-ওঠোনাই এখনো ?
-উঠছি তো । :(
-হুম । আসো । আমি বের হচ্ছি ।
-ওকে ।
সজীবের ভালোই লাগে সুমাইয়ার কান্ড কারখানা । তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয় । রেডি হয়ে সুমাইয়ার আগেই পৌছে যায় । কালো একটা পাঞ্জাবি পরে সজীব । সুমাইয়া আসে । সাদা শাড়ির সাথে লাল শ্যাডো । সজীব তাকায়ে থাকে ।
- কি দেখো ?
- না । তোমার পেছনের মেয়েটাকে অপূর্ব লাগছে ।
-কি ?
- গাধী , অনেক সুন্দর লাগছে ।
- থ্যাঙ্কস । ওয়েট ! গাধী বললা আমাকে ?
- না । তোমার পেছনের মেয়ে টাকে বললাম :D
- এই মাইর খাবা । বুঝছো ?
-বুঝলাম ।
দুজনে টিএসসি হেটে ঘুরতে লাগে । দুপুরে পুরান ঢাকা যেয়ে লাঞ্চ করে ।
সজীব - চলো ।
সুমাইয়া-কোথায় ?
-দিয়া বাড়ী
- এখন ??
-হুম ।
-আচ্ছা । চলো ।
একসাথে দিয়া বাড়ি তে যেয়ে কাশবনের সাথে সন্ধ্যার অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করতে থাকে তারা।
দেখতে দেখতে সজীব লাষ্ট সেমিষ্টারে চলে আসে । সুমাইয়া কে সময় একটু কম দেয়া হয় । থিসিস করতে করতে তার অবস্থা যায় যায় অবস্থা । রাতে দেরী করে ফিরে সজীব । এসেই ঘুমায়ে যায়। ক্যাম্পাসে দেখা হয় না । রাতে আর কথাও হয় না সুমাইয়ার সাথে প্রত্যেকদিন । সুমাইয়া চাপা একটা আর্ত্নাদ বুঝতে পারে । কয়েকদিন সজীবের অনুপস্থিতি তাকে ভাবায় । সে জানে সজীব তার থিসিস নিয়ে ব্যস্ত । কিন্তু মন কে সে বুঝাতে পারেনা । সে বুঝতে পারে , সজীব কে ভালবেসে ফেলেছে সে । সজীব কে কিছু বলেনা । ভাবে , এটা বলে শেষ পর্যন্ত না সজীব বন্ধুত্ত্ব টাকেই নষ্ট করে দেয় ।
সজীব নিজে কিছু চেঞ্জ অনুভব করছে । তার কেমন যেন ভালোলাগছেনা । সুমাইয়ার কথা মনে পড়ে তার । তার মনে পড়ে , সে লাষ্ট ৩ দিন সুমাইয়ার সাথে কথা বলেনি । দেখাও করেনি । কল দেয় ।সুমাইয়া ধরেনা । আরো দুইবার দেয় । তারপর ও ধরেনা । সজীবের মাথা খারাপ এর মত হয়ে যায় । কিন্তু কেনো হচ্ছে বুঝতেছেনা সে ।
দুইদিন পার হয়ে যায় । সুমাইয়া কল ব্যাক করেনি । সজীব ও দেয় নি। কাল সুমাইয়ার জন্ম দিন । সজীব ইচ্ছা করে উইস করেনা । কাল সার্প্রাইজ দিবে । সকাল এ ঊঠে উত্তরা যায় । বাসার সামনে দাড়ায়ে কল দেয় সুমাইয়া কে । সুমাইয়া কল ধরে
-হ্যালো ?
- এতো রাগ নিয়ে ঘুমাও কিভাবে ?
-মজা রাখ । কি বলবা । বলো ?
-নিচে নাম।
- কই নামবো ?
- বাসার সামনে আছি ।
- আচ্ছা । আসতেছি ।
১০ মিনিট পর সুমাইয়া আসে ।
- বলো । কি বলবা ?
- i love you .
- কি ?
- oh ! sorry . happy birth day and i love you .
- it’s not funny সজীব ( চোখ লাল হয়ে গেছে )
- i’m not joking . am serious .
- ( কেদে দেয় সুমাইয়া )
- কান্নার কি আছে ?
- এতো দিনে বুঝলে গাধা ?
- বুঝলাম তো নাকি ?? :D তুমিও তো বলতে পারতে :/
-মেয়েরা কখনো বলেনা ।
-হাহ !!
-আমার গিফট কই ?
- আজব তো । এতো বড় একটা সার্প্রাইজ দিলাম । তার পর ও গিফট চায় ।
- নাহ ! গাধাই থেকে গেলা ।
- এই জন্যই তো তুমি আমার গাধী

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪১

অগোছালো কাব্য বলেছেন: Filling loved :-)

১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

কল্পকাব্য বলেছেন: হা হা হা :প

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০০

ওমেরা বলেছেন: ভাল ।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

কল্পকাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়লাম, কতক্ষণ মনে থাকবে বলা মুশকিল!

১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

কল্পকাব্য বলেছেন: কি দরকার আছে মনে রাখার :p পড়ে আনন্দ নিইয়ে ভূলে যান :P

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কল্পনায় মেশানো কাব্য[/si- হলেও পড়তে ভালই লাগলো।
যদিও কল্পনা আর বাস্তবের ব্যবধান দুস্তর ...

১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

কল্পকাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

দীপ্ত দেব অপু বলেছেন: great love story....

১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

কল্পকাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ভালোবাসি আমি তাহারে........................

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৯

কল্পকাব্য বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.