![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতের টিভি চ্যানেলগুলোতে হিন্দি আর বাংলা ভাষায় একটা বিজ্ঞাপন দেখায় যার বক্তব্য এরকম - সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ এক তরুণ পছন্দ মত কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ না পাওয়াতে বিরক্ত বাবা ছেলেকে তার দোকানে কাজ করার হুকুম দিল।
ছেলে বাবার দোকানে কাজের ফাকে এক কোম্পানির ইন্টারনেট যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলে টকিং ড্রোণ।
বিস্মিত বাবা জানতে চায় সে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে। ছেলে গর্বের সাথে সেই কোম্পানির নাম বলে।
এ হলো বিজ্ঞাপন আর বাস্তবতা হলো জিহাদ উদ্ধার।
দীর্ঘ ২৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে শিশু উদ্ধারে ব্যর্থ হলো সরকারী প্রতিষ্ঠান। অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণার পর ১০-১৫ জন তরুণ টেনে তুলে আনলো জিহাদের দেহ।
কি অবাক করা ব্যাপার।
প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতায় অবাক হবার কিছু নেই। তবে এর জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠান না, দায়ী প্রতিষ্ঠানের মাথারা।
অবাক হয়েছি তরুনদের কান্ডে। ব্যবসা,রোজগার ফেলে একজন নিজের ক্যামেরা পাইপে ঢুকাচ্ছে,কয়েকজন লোহার খাঁচা তৈরী করে পাইপে ঢুকাচ্ছে,কাজ হচ্ছেনা আবার বানাচ্ছে, নিজের পকেট থেকে টাকা দিচ্ছে।
এখন ১০-২০ টাকা কেউ খরচ করতে চায়না, পেলে মেরে দেয়। এই টাকা দিয়ে রিচার্জ করে কথা বলা যায়,ফেসবুকে সময় কাটানো যায়।
এই তরুনরা কি এই দেশের মানুষ।
এই দেশের মানুষের একটা বিরাট সময় পার হয় আওয়ামিলীগ আর বিনপি করে। এক দল আরেক দলের নেতাদের অবমাননা করে, পক্ষের লোকরা উত্তেজিত হয়ে গলা ফাটাচ্ছে। এতে তাদের জীবন যাত্রার মানের কোনো উন্নতি হচ্ছেনা। সেই উন্নতি যা হয় চুরি আর ধান্দাবাজি করে।
উদ্ধারের অভিযান যখন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে দর্শক তখন উত্তেজিত। এটাযে বিরোধী পক্ষের ষড়যন্ত্র সেটা প্রমান করতে উচ্চস্বরে বাক্য ব্যয় করছে।
বুয়েট থেকে পাশ করা প্রকৌশলীদের এক বিরাট অংশ জ্ঞান প্রয়োগ সেই সাথে উন্নত মানের জীবন উপভোগের আনন্দ পাওয়ার জন্য এদেশ ছেড়ে চলে যায়।যারা থাকে তারা জ্ঞান প্রয়োগের ক্ষেত্র পায় না। উন্নত মানের জীবন উপভোগের জন্য চুরি,ধান্দাবাজি,দলাদলি করে থাকতে হয়।
এমন দেশে এই তরুনরা কোথা থেকে এলো। এদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কতটুকু জানি না তবে মানবিক শিক্ষা যে অনেক সে তো মিডিয়ার কল্যানে দেশের মানুষ জানলো।
©somewhere in net ltd.