নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগই আমার পরিচয় । । ।

কথার ফুলঝুরি!

ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে ধরা দিয়েছ যে আমার পাতায় পাতায় ডালে ডালে॥

কথার ফুলঝুরি! › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ভাবনাহীন, রঙিন আর দুরন্ত শৈশব !:#P

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮



নিঃসন্দেহে আমাদের সবার জীবনের অন্যতম সময় হচ্ছে শৈশব । জীবনের এই একমাত্র সময় যখন থাকেনা কোন চিন্তা ভাবনা দুঃখ কষ্ট । জীবন মানেই তখন শুধু খেলাধুলা আর বাবা মার কাছে করা ছোট্ট ছোট্ট আবদার । আমরা সবাইই আমাদের বাবা মার ও অন্য বড়দের কাছে থেকে নিজেদের শৈশবের অনেক গল্প শুনি । আমার শৈশবেরও আছে এমন কিছু মজার গল্প যেগুলো আমার নিজের মনে নেই কিন্তু আমার বাবা মা এর মুখে শুনেছি অনেকবার, এখনও শুনি ।

১। প্রবাদ আছে "মর্নিং শোস দা ডে" । যদিও আমি আহামরি তেমন ভালো কোন ছাত্রী ছিলাম না তবে পড়াশোনা আমার বরাবরই ভালো লাগে । আমার বাবা মাও মনে হয় বিষয়টি আমার ছোটবেলাতেই বুঝতে পেরেছিল । তখন আমি সবেমাত্র বর্ণমালা শিখতে শুরু করেছি । একদিন নাকি আমাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না । আমাদের পাশের বাসার এক চাচ্চু আমাকে ধরে নিয়ে এসেছিলো বাসা থেকে একটু সামনে এক জায়গা থেকে । আমি নাকি আমার লেখার বই আর খাতা নিয়ে হাঁটা দিয়েছিলাম স্কুলের উদ্দেশে অথচ স্কুল কোথায় আমার জানা ছিলনা । ওই চাচ্চু আমাকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে ধরে নিয়ে এসেছিল বাসায় ।

২। আমি ছোটবেলাতে খুব খাবো খাবো করতাম মানে এটা খাবো ওটা খাবো ওইরকম :P তখন লঞ্চে করে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আসা যাওয়া করতে হত। আর লঞ্চে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় । ঝালমুড়ি, চকোলেট, ছোলা ভুনা, ডিম, বাদাম আরও কত কি । আমাকে বাবা একটা কিছু কিনে দিয়েছে আমি সেটা খাচ্ছি এরই মধ্যে আরেকটা খাবার বিক্রির লোক এসে হাজির আমি ওমনি হাতেরটা রেখে বলতাম ওইটা খাবো আবার ওইটা কিনে দিলে ওটার মাঝখানে আরেকটা আসলে তখন সেটা রেখে আবার ওইটা খাবো । তার মানে যেটা দেখতাম সেটাই দিতে হবে আমাকে :((

৩। নানুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম । গ্রামের বাড়িতে তখন বিয়ে হলে অন্য বাড়ীর মেয়ে বউরা যেতো নতুন বউ দেখতে । তো এমনই একদিন আমার মা ও খালা ও আরও আন্টিরা গিয়েছিল এক বাড়িতে বউ দেখতে। বিয়ে বাড়িতে ঢুকবার আগে আমাকে লক্ষ্মী মেয়ের মত মা বোঝাচ্ছিল "আম্মু এই বাসায় কিন্তু পোলাও রান্না হয়েছে তুমি কিন্তু খেতে চাইবেনা" । ওমা মেয়ে বুঝবে কি, উল্টো পোলাও এর নাম শুনেই আমি পোলাও খাবো খাবো বলে কান্না । আমার বেচারি মা পাঁজি মেয়েটাকে নিয়ে আর কি করে, বাসায় চলে আসে =p~

৪। আমাকে যারা ব্যক্তিগত ভাবে চিনে তারা জানে আমি একটু টিউব লাইট টাইপের :P তবে কেউ কেউ আমাকে একটু বেশীই বোকা ভাবে ততটা আবার আমি না ;) ছোটবেলা থেকেই আমি এমন বোকা । তখন আমার ৩ বছরের মত বয়স হবে । নানুর বাসায় গিয়েছিলাম তখন মামা একদিন আমাকে মক্তবে নিয়ে গিয়েছিল । তখন মসজিদের হুজুর আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল আমরা কি ? মুসলিম, হিন্দু না খ্রিষ্টান । আমি নাকি জবাব দিয়েছিলাম যে আমরা খ্রিষ্টান :|| হাহা ! হুজুর কেনইবা আমাকে সে কথা জিজ্ঞেস করেছিলো আর কেনইবা আমি বলেছিনাল আমরা খ্রিষ্টান আমার জানা নেই তবে বাবা মা এখনও আমি কোন বোকামির কাজ করলে এই ঘটনা বলে আর হাসে =p~

৫. গ্রামের সব বাচ্চারাই মাটি দিয়ে খেলে কম বেশী তবে আমি একটু বেশী খেলতাম মাটিতে । আমার এক নানা ভাই একবার আমাদের বাসায় বেড়াতে এসে আমাকে কোলে নিয়ে বলেছিল "নানু ভাই তুমি এত মাটি মেখে আছ যে তোমাকে চুমু দিয়ে আদর করার মতও একটু জায়গা নেই" :|

৬. আমি নাকি ছোটবেলায় খেলতে খেলতে গাছের নিচে ঘুমিয়ে পড়তাম :P

৭. আমার দাদা ভাই যখন নামাজে সিজদা দিত আমি তখন তার মাথার টুপি নিয়ে দৌড় দিতাম ।

৮. আমার দাদা বাড়িতে অনেক বড় একটা সবেদা ফল গাছ ছিল । যখন ফলগুলো বড় হত তখন দাদু সেগুলো গাছ থেকে পেড়ে ছালায় ভরে খাটের নিচে রেখে দিতো। ওগুলো একটু পাকলেই আমি নাকি খাটের নিচে ঢুকে ইদুরের মত চুপি চুপি বসে সেগুলো খেতাম ।


উপরের যে ঘটনাগুলোর কথা বললাম সেগুলোর একটাও আমার মনে নেই সব আমার বাবা মার মুখ থেকে শোনা ।




এ ছাড়াও আমার শৈশবের মধুর কিছু স্মৃতি আছে যেগুলো বাবা মার মুখে শোনা না আমার নিজেরই মনে গেথে আছে

১। তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি, ধানমন্ডির কামরুন নেসা স্কুলে । বাসা ছিল ধানমন্ডির, মধুবাজারে। সকালে বাবা অফিস যাওয়ার সময় স্কুলে দিয়ে যেতো আর দুপুরে খালা আফটারনুন শিফটে খালাতো বোনকে স্কুলে দিয়ে আমাকে বাসায় নিয়ে আসতো । একদিন কোন কারনে খালার আসতে দেরী হয়েছিল । আমি তখন একা একাই স্কুল থেকে মধুবাজার বাসায় চলে গিয়েছিলাম হেটে হেটে । এখনও আমি রাস্তা পার হতে ভয় পাই অথচ ওই বয়সে আমি কিভাবে একা হেটে হেটে রাস্তা পার হয়ে রাস্তা চিনে বাসায় ফিরেছিলাম আসলেই আমার কোন ধারনা নেই সে সম্পর্কে :||

২। বিকেলবেলা খেলছিলাম তখন এক মামা বললো বাইকে ঘুরাবে , আমি আর আমার সমবয়সী ছোট যে মামা দুইজনকে । ছোট মামা বসলো বাইকের সামনে আর আমি পেছনে বসে বড় মামাকে দু হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলাম । আমার হাত ছিল মাটি মাখা আর মামার ছিল সাদা পাঞ্জাবী । যখন বাইক থেকে নামলাম তখন দেখি মামার সাদা পাঞ্জাবীতে আমার ময়লা মাখা দুই হাতের ছাপ স্পষ্ট :|| মামা কখন বিষয়টি খেয়াল করেছিল জানিনা তবে আমি দেখতে পেয়ে চুপচাপ চোরের মত বাসায় দৌড় :P

৩। আমার খুব গাছে চড়তে মজা লাগতো ছোটবেলায় । প্রায়ই আমি বাড়ীর এ গাছ ও গাছে উঠার চেষ্টা করতাম । একদিন কিভাবে কিভাবে যেন একটা বড় পিসফল গাছের খুব উপরে উঠে গিয়েছিলাম কিন্তু তারপর আর নামতে পারছিলাম না :|| আমি যে চিৎকার করে কাউকে ডাকবো তখন তেমনও কেউ ছিলনা আসে পাশে । ভয়ে আমি শেষ এখন কি করি । পরে মাথা ঠাণ্ডা করে একটু একটু করে চেষ্টা করে অবশেষে নামতে পেরেছিলাম নিচে আর কানে ধরেছিলাম আর জীবনেও এমন করবো না :P

৪। আমাকে গোসল করিয়ে মেঝেতে দাড় করিয়ে রেখে মা গিয়েছিল তোয়ালে আনতে । মেঝে ছিল ভেজা তাই মা বলেছিল সেই জায়গায়ই যেন দাড়িয়ে থাকি । কিন্তু আমি কি শুনি মা এর কথা । একটু দেরী দেখে দিলাম একটা দৌড় । আর ওমনি গেলাম পিছলে পরে । ফলাফল, আইব্রোর ওখানে গেল কেটে । ডাক্তার বলেছিল সেলাই করতে কিন্তু বাবা রাজী হয়নি শুধু ব্যান্ডেজ করে দিয়েছিলো । কিন্তু এখনও সেই কাটা জায়গায় আমার কোন আইব্রো নেই :( ঢেকে থাকে বলে বোঝা যায়না ।

৫। আমার আপন নানা ভাই এর ভাই আমার আরেক নানা ভাই । কেন যেন তিনি আমাকে অন্যদের চেয়ে একটু বেশী আদর করতেন । যখনই তিনি আমার সাথে থাকতেন দুইটা গান গাইতেন সবসময় "তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সে কি মোর অপরাধ" "বসে আছি পথ চেয়ে ফাগুনেরও গান গেয়ে, যত ভাবি ভুলে যাবো মন মানেনা" । আমার বয়সী আমার এক মামাও ছিল যে কিনা ওই নানা ভাই এর খুব বাধুক ছিল । নানা ভাই কোথাও বেড়াতে গেলেই আমাকে নিয়ে যেতো আর মামা যেতে চাইলে তাকে ভাগিয়ে দিত । একবার সেই নানার মেয়ের বাসায় গেলাম। খালামনি চিপস আর আঙ্গুর খেতে দিয়েছিলো । খালামনির ছোট ছেলেটি টপাটপ আঙ্গুর গুলো খেয়ে ফেলছিল । আমি খাচ্ছি না দেখে নানা ভাই চিপস গুলো একটার উপর একটা গুছিয়ে আমার মুখে গুজে দিচ্ছিল আর দেখলাম এক ফাকে সবগুলো আঙ্গুর তার পকেটে ভরলো । যখন বাসায় ফিরছিলাম তখন নানা ভাই আঙ্গুরগুলো বের করে আমার হাতে দিয়ে খেতে বললো । এখনও ভাবলে অবাক লাগে নানা ভাই আমাকে এত আদর করতো যে তার নিজের নাতীকে খেতে না দিয়ে সে আমার জন্য পকেটে করে আঙ্গুর গুলো নিয়ে এসেছিল । উল্লেখ্য ইনিই আমার সেই নানা ভাই যে আমাকে চুমু দেওয়ার জন্য মুখে কোন পরিষ্কার জায়গা খুজে পায়নি :P


বিঃ দ্রঃ আমার প্রিয় সহব্লগারদেরও নিশ্চয় তাদের শৈশবের এমন কিছু মজার মজার ঘটনা ও স্মৃতি আছে। আমার এখন তাদের শৈশবের স্মৃতি ও জানতে খুব মন চাইছে ।

(ছবির মেয়েটিকে নিশ্চয় আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই ;) )

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ছোটবেলায় অনেক সুন্দর ছিলেন B-)
শৈশবের অনেক কথাই আমার মনে আছে ,সেগুলো লিখলে অনেক বড় লেখা হবে । তবে।আমিও কিছুটা টিউব লাইট ছিলাম :D

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ছোটবেলায় অনেক সুন্দর ছিলেন B-)-- হাহা ! ছোটবেলায় আমার মা আমার দু চোখ ভর্তি করে কাজল দিয়ে রাখতো । আর এখন বড় হওয়ার পর আমারও খুব প্রিয় কাজল । ঠিক ওইরকম চোখ ভর্তি করে :P

@শৈশবের অনেক কথাই আমার মনে আছে ,সেগুলো লিখলে অনেক বড় লেখা হবে । তবে।আমিও কিছুটা টিউব লাইট ছিলাম :D-- হাহা ! আমার টিউব লাইট ইমন ভাই দু একটা ঘটনা বললেতো আমরাও জানতাম আপনি কেমন টিউব লাইট ছিলেন =p~

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দারুন লিখেছেন কথাপু। শৈশব নিঃসন্দেহে আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়। আপনার লেখাটি পড়ে নিজের হারিয়ে যাওয়া শৈশবে ফিরে গেলাম। ছোট বেলার সেই দিন গুলি যেন একটা জীবন্ত চিত্র গুলি জীবনের স্মৃতির পাতায় এ্যালবাম হয়ে আমার পেছনে হেঁটে বেড়ায় সর্বক্ষণ। আমাকে মাঝে মাঝে স্মৃতির কাতর করে, টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় সেই মাটির আঁকা বাঁকা মেঠো পথে, মটরশুঁটির লতায়, হলুদ সরিষা ফুলের ক্ষেতে মাঠ, গ্রামের ছোট ছোট নালা - দীঘির জলে, শাপলা ফোঁটা ঝিলের ধারে; আম গাছের তলায়, জাম গাছের মগ ঢালে, শীতের সকালে কুয়াশা চাঁদরে মোড়া খেজুর গাছের তলে, মাটির কলসে ভরা সেই টাটকা স্বাদের রসের কাছে।

সুনিবিড় শান্তির নীড়, দক্ষিণের খোলা জানালা, সারি সারি সুপারি গাছের সাথে মায়ের নষ্ট হয়ে যাওয়া আঁচলের টুকরো দিয়ে বাধানো দোলনায়, টলমল পুকুরের পানি, আমাকে আজও হাতছানি দিয়ে জাগ্রত করে। ছোট বেলায় গ্রামের মাটির ঘর বাঁশের বেড়া নেড় দিয়ে বাঁধা চাল, ঘন সেই সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য শ্বাস-নিশ্বাস নিয়ে বড় হয়েছি। এখনকার গ্রামের ইট পাথরের জীবনে যখন হাঁপিয়ে উঠি, বুকের গভীর ভিতরের জমানো হতাশাটা যখন বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক খাটে শরীরটা হেলিয়ে নিদ্রায় দেই, তখন আমার চোখের সামনে খেলা করে দিগন্ত বিস্তৃত শস্য-শ্যামল সবুজ খোলা মাঠ, নীল আকাশের মুক্ত তারা, সোনালী ধানের শীষ।

আমি যেন শৈশবের আগের মত শুনতে পাই রাখালের সেই মধুমাখা বাঁশের বাঁশির সুর, মাঝির দরদি কণ্ঠের ভাটিয়ালি গান। আমি শৈশবের জীবনকে যতই পথের বাঁকে পিছনে ফেলে আসছি, বর্তমানে গ্রামের জীবনের সাথে খাপ মিলাতে চাই, ততই ফিরে যাই আমার শৈশবের শিকরে। আমার ফেলে আসা শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো আমাকে তাড়িত করে মৌলিক জীবনের পথে। আমি ভুলে যাই মেঠো পথ, সতেজ বাতাস, পাখির গান, ফুলে ফুলে প্রজাপতির নাচ।

'মিস ইউ' শৈশব :(

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @শৈশব নিঃসন্দেহে আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়। আপনার লেখাটি পড়ে নিজের হারিয়ে যাওয়া শৈশবে ফিরে গেলাম-- হ্যাঁ ভাইয়া । মাঝে মধ্যে সেই দিনগুলোর কথা ভাবতে খুব ভালো লাগে । ভাবনাগুলো মুহূর্তেই যেন নিয়ে যায় সেই দিনগুলোতে ।

@আমাকে মাঝে মাঝে স্মৃতির কাতর করে, টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় সেই মাটির আঁকা বাঁকা মেঠো পথে, মটরশুঁটির লতায়, হলুদ সরিষা ফুলের ক্ষেতে মাঠ, গ্রামের ছোট ছোট নালা - দীঘির জলে, শাপলা ফোঁটা ঝিলের ধারে; আম গাছের তলায়, জাম গাছের মগ ঢালে, শীতের সকালে কুয়াশা চাঁদরে মোড়া খেজুর গাছের তলে, মাটির কলসে ভরা সেই টাটকা স্বাদের রসের কাছে।---- সরিষা ফুলের ক্ষেত কতদিন দেখিনা ভাইয়া, সাথে নদীও । খেজুরের রসের কথা আর বইলেন না ভাইয়া । আমার অনেক পছন্দের । এখনও মনে পরে শীতের দিনে সকালে মা এনে দিত আর আমি লেপের নিচে বসে বসে খেজুরের রস খেতাম ।


@সুনিবিড় শান্তির নীড়, দক্ষিণের খোলা জানালা, সারি সারি সুপারি গাছের সাথে মায়ের নষ্ট হয়ে যাওয়া আঁচলের টুকরো দিয়ে বাধানো দোলনায়, টলমল পুকুরের পানি, আমাকে আজও হাতছানি দিয়ে জাগ্রত করে। ছোট বেলায় গ্রামের মাটির ঘর বাঁশের বেড়া নেড় দিয়ে বাঁধা চাল, ঘন সেই সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য শ্বাস-নিশ্বাস নিয়ে বড় হয়েছি। এখনকার গ্রামের ইট পাথরের জীবনে যখন হাঁপিয়ে উঠি, বুকের গভীর ভিতরের জমানো হতাশাটা যখন বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক খাটে শরীরটা হেলিয়ে নিদ্রায় দেই, তখন আমার চোখের সামনে খেলা করে দিগন্ত বিস্তৃত শস্য-শ্যামল সবুজ খোলা মাঠ, নীল আকাশের মুক্ত তারা, সোনালী ধানের শীষ।
-- বাহ বাহ ভাইয়া কি চমৎকার ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন আপনার শৈশবের । আপনার মত আমার সুযোগ হয়নি মাটির এতটা কাছাকাছি যাওয়ার :( ইচ্ছে করছে এখনই ছুটে যেতে সেই গ্রামে । এখনকার এই ইট পাথরের জীবনের চাইতে গ্রাম অনেক সুন্দর আর শান্তির ।


@মিস ইউ' শৈশব :(
-- আমিও :(

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

রাকু হাসান বলেছেন:

ছোট বেলা থেকেই পাাকনা B:-)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ছোট বেলা থেকেই পাাকনা B:-) । --- কাকু এসব কি বলে :|| আমি নাকি পাকনা :(( এত ভালো আর লক্ষ্মী মেয়েটাকে কেউ পাকনা বলে :P ওই একটু দুষ্টু আর কি =p~ হাহা

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো প্রিয় বোনের দুরন্ত শৈশব জেনে । তবে আমারও একটু মনে আছে, প্রাথমিকের একদম শুরুতে নানার সঙ্গে হাটে যেতাম। দশ পয়সা দিয়ে খাবার কিনে দিতেন। ওটাই ছিল আনার প্রধান আকর্ষণ। কিন্তু হাটে গেলে আমি ঘুমিয়ে পরতাম। ফলে নানা আমাকে মহাদেব মুঁচির চটে শুইয়ে দিত। মহাদেব দাদু হাটে য়ুতো মেরামতের সঙ্গে আমাকে পিট চাপড়ে রাখতেন, নানার হাট করা এখনও শেষ হয়নি বলে। আমিও আবার ঘুমিয়ে যেতাম.....

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @প্রাথমিকের একদম শুরুতে নানার সঙ্গে হাটে যেতাম। দশ পয়সা দিয়ে খাবার কিনে দিতেন। ওটাই ছিল আনার প্রধান আকর্ষণ। কিন্তু হাটে গেলে আমি ঘুমিয়ে পরতাম। ফলে নানা আমাকে মহাদেব মুঁচির চটে শুইয়ে দিত। মহাদেব দাদু হাটে য়ুতো মেরামতের সঙ্গে আমাকে পিট চাপড়ে রাখতেন, নানার হাট করা এখনও শেষ হয়নি বলে। আমিও আবার ঘুমিয়ে যেতাম..-- হা হা হা ! আমার ভাই এর ও দেখি আমার মত ঘুমিয়ে পরার অভ্যাস ছিল =p~ হাটে গিয়ে নানার সঙ্গে ঘুরে বেরানোর বদলে ঘুমিয়ে পরা :P হুম ভাইয়া, সেই দিনগুলোই যেন সবচেয়ে বেস্ট ।

@ভীষণ ভালো লাগলো প্রিয় বোনের দুরন্ত শৈশব জেনে -- হা ভাইয়া, বাবা মা এখনও মাঝে মাঝে ওইসব ঘটনা বলে আর দুষ্টুমি করে । আমারও ভালো লাগে ওগুলো শুনতে ও শৈশবের গল্প করতে :#)

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আচ্ছা বলতেছি ।
১) ক্লাস টু অথবা থ্রি হবে , একদিন ক্লাসে বসে কাগজ চিবিয়ে চিবিয়ে অল্প একটু গিলিয়েই ফেলছিলাম B-) । ব্যাপারটা করছিলাম বনধুদের সাথে বাহাদুরি দেখানোর জন্য । B-)

২) আমাদের ঘরে টিনের দোচালা । সাথে আম গাছ । তখন থ্রি বা টুতেই পড়ি । বৃষটি হয়েছিল । টিনের চালা তখন পিছলা ছিল ।সেই চালা বেয়ে তখন আম পাড়তে গেছিলাম ।একটা আম পেড়েওছিলাম ।ভাগ্য ভাল যে, পিছলা খেয়ে নিচে পড়ে যায়নি । ;)

৩) একবার আমাদের ঘরের মাচায় আধাপাকা সবরি কলা রেখেছিল। কি মনে করে ,সেই আধা পাকা কলা একেবারে ৫-৬ টা খেয়ে ফেলেছিলাম । ফলাফল ,ডিসেন্টেরি :)

৪)একবার একটা পঁচা শামুক দেখে পা দিয়ে লাথি মেরে ভেঙে ফেলি । কিন্তু দুঃখের বিষয় সাথে সাথে পায়ের পাতাও কেটে যায় ।সেই কাটা দাগ এখনো আছে পায়ের পাতায় । /:)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @১) ক্লাস টু অথবা থ্রি হবে , একদিন ক্লাসে বসে কাগজ চিবিয়ে চিবিয়ে অল্প একটু গিলিয়েই ফেলছিলাম B-) । ব্যাপারটা করছিলাম বনধুদের সাথে বাহাদুরি দেখানোর জন্য । B-)--- হাহা ! আর কিছু পাননি খাওয়ার :|| কাগজ । বেশী বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে কাগজটা আপনার পেটের ভেতরে চলে গেলে ভালো হত =p~

@২) আমাদের ঘরে টিনের দোচালা । সাথে আম গাছ । তখন থ্রি বা টুতেই পড়ি । বৃষটি হয়েছিল । টিনের চালা তখন পিছলা ছিল ।সেই চালা বেয়ে তখন আম পাড়তে গেছিলাম ।একটা আম পেড়েওছিলাম ।ভাগ্য ভাল যে, পিছলা খেয়ে নিচে পড়ে যায়নি । ;)--- নিচে পরে গেলে ধপাস :P গাছ থেকে আম পেড়ে খেতে দারুন মজা লাগতো ।

@৩) একবার আমাদের ঘরের মাচায় আধাপাকা সবরি কলা রেখেছিল। কি মনে করে ,সেই আধা পাকা কলা একেবারে ৫-৬ টা খেয়ে ফেলেছিলাম । ফলাফল ,ডিসেন্টেরি :)
-- আপনিও দেখি আমার মত খাদক ছিলেন ভাইয়া =p~ কলাগুলো পুরোপুরি পাকা পর্যন্ত কি অপেক্ষা করা গিয়েছিলো না ? :P

@৪)একবার একটা পঁচা শামুক দেখে পা দিয়ে লাথি মেরে ভেঙে ফেলি । কিন্তু দুঃখের বিষয় সাথে সাথে পায়ের পাতাও কেটে যায় ।সেই কাটা দাগ এখনো আছে পায়ের পাতায় । /:)
-- ওরে বাবা ভীষণ মারাত্মক কাজ করেছেন :||


আপনার শৈশবের কথাগুলো পড়ে খুব মজা পেলাম ইমন ভাইয়া :P অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

শায়মা বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা আপুনি!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @অনেক সুন্দর লেখা আপুনি! -- তাই বুঝি শায়মা আপু :-B শৈশব মানেই আনন্দ আর খুশী । অনেক মিস করি সেই দিনগুলো :(

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শৈশবোগ্রাফি! ;)

হা হাহা
সেইরাম দুষ্টু আর বান্দর ছিলেন বটে ;)
দিলেনতো মৌচাকে ঢিল মেরে নষ্টালজিক করে! আহা সেই সোনালী দিন!!!!
এক মাহকাব্য হবার সব উপাদানে পূর্ণ!

থাকতে সময় যায়নারে চেনা
অচিন হলে হায় আফসোস
জীবনের এইতো প্রহসন
গত হলে যায় চেনাসে আপন!!!!

++++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @শৈশবোগ্রাফি! ;)-- জি হুম শৈশবোগ্রাফি B-)


@হা হাহা
সেইরাম দুষ্টু আর বান্দর ছিলেন বটে ;)
-- হাহা ! এখনও কম নই :P তবে সব জায়গায় না এবং সবার সাথে না, তাই সবাই বোঝেনা ;) আমার এক বান্ধবী আমাকে নাম দিয়েছিলো ভেজা বেড়াল :P

@দিলেনতো মৌচাকে ঢিল মেরে নষ্টালজিক করে! আহা সেই সোনালী দিন!!!!
এক মাহকাব্য হবার সব উপাদানে পূর্ণ!
-- দু একটি ঘটনা বা স্মৃতি বললেতো আমিও একটু জানতাম আপনি কি বান্দর ছিলেন নাকি লক্ষ্মী ছেলে ছিলেন শৈশবে :P


@থাকতে সময় যায়নারে চেনা
অচিন হলে হায় আফসোস
জীবনের এইতো প্রহসন
গত হলে যায় চেনাসে আপন!!!!
--- আসলেই সময়গুলো চলে গেলেই মনে হয় সেগুলো কি ছিল :(

@++++
-- পেলাস :#) খুশীতে ৩২ টা দাত বের হয়ে যায় প্লাস পেলে :#)

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ম প্যারাটি বোরিং; আপনার শিশুকাল ছিল আনন্দের! এখন কোন কাল চলছে?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @১ম প্যারাটি বোরিং-- হাহা ! বোরিং লাগলেও ওগুলো আমার জীবনের সব বাস্তব ঘটনা চাঁদগাজী সাহেব । প্রথম গুলো আমার বাবা মা এর কাছে থেকে শোনা আর পরেরগুলো আমার নিজেরই মনে আছে । আমার ভাবনাহীন শৈশব !:#P


@আপনার শিশুকাল ছিল আনন্দের! এখন কোন কাল চলছে?
-- হুম শিশুকাল আসলেই অনেক আনন্দের ছিল । এখন চলছে আমার বৃদ্ধকাল :P হাহা ! দুষ্টুমি করলাম চাঁদগাজী সাহেব । এখন আমার কোন কাল নেই, চলছে তো চলছে, চলছেই :(

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় বোনকে আগের কমেন্ট করার সময় যেটা উল্লেখ করতে ভুলে গেছিলাম, ছবি দুটি ভীষণ - ই কিউট। বোঝা যাচ্ছে বোনটি আমার একেবারে গোবেচারি প্রকৃতির ছিল। আর জুতা বানানে টাইপো আছে। আসলে ১০/১২ মিনিটের সময়ে যতটা সংক্ষেপে কমেন্ট সারা আরকি।

অফুরান শুভকামনা রইল।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ বোনকে আগের কমেন্ট করার সময় যেটা উল্লেখ করতে ভুলে গেছিলাম, ছবি দুটি ভীষণ - ই কিউট। বোঝা যাচ্ছে বোনটি আমার একেবারে গোবেচারি প্রকৃতির ছিল---- ধন্যবাদ ভাইয়া :D ছোট বে্লার আমার দুইটা ছবি ছিল ভাইয়া, লাল শাড়ি পরে বৌ এর মত ঘোমটা দেওয়া । কি যে প্রিয় ছিল ছবি দুইটা। কিন্তু কিভাবে যেন নষ্ট হয়ে গিয়েছে :( মনে পড়লেই কি যে কষ্ট লাগে। আপনার বোনটিযে এখনও ওইরকম গোবেচারি প্রকৃতির =p~

@আর জুতা বানানে টাইপো আছে। আসলে ১০/১২ মিনিটের সময়ে যতটা সংক্ষেপে কমেন্ট সারা আরকি-- বুঝতে পেরেছি ভাইয়া । এত বিজি থাকার পরেওতো বোনের লেখা পরে মন্তব্য করে জানান মতামত । আপনারা এত ভালোবাসেন বলেই ব্লগ এত ভালো লাগে ।

ভাইয়ার জন্যও শুভকামনা ।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাল লাগল স্মৃতিচারণ ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ভাল লাগল স্মৃতিচারণ ।-- শৈশবের স্মৃতি সবার সেরা, ভাইয়া B-) আরও কিছু অবশ্য আছে :P

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: এসব আমাদের বাচ্চা আপুকা কাহানি নাকি???

কিয়া বাত হে কথাজ্বীইই.....;)


আজকে ভাগিনাকে পড়ানোর দায়িত্ব পড়েছে।(ক্লাস ওয়ানে পড়ে) quilt মানে যে লেপ জানতামই না। ওকে আমি আমি শেখাব কি, ওই আমাকে শেখাচ্ছে। :P


পুনশ্চঃ
ইংরেজি বই শেষ করে দিয়েছি। এখন বাংলা চলছে,
এক আর দুই
জবা আর জুঁই,
তিন আর চার
মায়ের গলার হার।
....
আইলা..

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @এসব আমাদের বাচ্চা আপুকা কাহানি নাকি???-- তাইতো মনে হচ্ছে :P


@কিয়া বাত হে কথাজ্বীইই.....--- কোয়ি বাত নেহি :P


@আজকে ভাগিনাকে পড়ানোর দায়িত্ব পড়েছে।(ক্লাস ওয়ানে পড়ে) quilt মানে যে লেপ জানতামই না। ওকে আমি আমি শেখাব কি, ওই আমাকে শেখাচ্ছে। :P-- পড়ানো কন্টিনিউ করে যান । আজকে লেপের মানে জেনেছেন কাল আরও জানবেন তারপর আমাদের শেখাবেন :P

@পুনশ্চঃ
ইংরেজি বই শেষ করে দিয়েছি। এখন বাংলা চলছে,
এক আর দুই
জবা আর জুঁই,
তিন আর চার
মায়ের গলার হার।
-- তারপর কি গণিতের পালা ? গনিত আমার একদম ভালো লাগেনা :((

১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর শৈশব আপনার।
সারাটা জীবন আপনার আনন্দময় কাটুক এই প্রার্থনা করি।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @সুন্দর শৈশব আপনার।-- আসলেই ভাইয়া অনেক সুন্দর ছিল দিনগুলো । ভাবনাহীন আর আনন্দের ।

@সারাটা জীবন আপনার আনন্দময় কাটুক এই প্রার্থনা করি।-- শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া । আপনিও ভালো থাকবেন পরিবারের সাথে ।

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

সুমন কর বলেছেন: আজ শুধু আপনার শৈশব কথামালা পড়ে গেলাম। সব বাচ্চাদেরই এমন সব মধুমাখা শৈশব থাকে।
+।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আজ শুধু আপনার শৈশব কথামালা পড়ে গেলাম-- ধন্যবাদ সুমন ভাইয়া, সময় করে লেখা পড়া ও মন্তব্য করে আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য।


@সব বাচ্চাদেরই এমন সব মধুমাখা শৈশব থাকে। -- হা ভাইয়া থাকে, আমার থাকে আপনার থাকে । তবে তারপরেও কিছু মানুষ আছে যাদের কিছুই থাকেনা :(

@+-- প্লাস :#)

১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৪

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: মধুর স্মৃতিচারণ ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @মধুর স্মৃতিচারণ । --- শৈশব মানেই মধুময় দিন !:#P

১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো আপনার দুরন্ত শৈশবের টুকরো টুকরো গল্পগুলো পড়ে। কমবেশি আমাদের সবার ছোটবেলা এইরকম। খুব মিস করি সেই দিনগুলো। যদি আবার ফিরে যাওয়া যেত ! +++

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ভীষণ ভালো লাগলো আপনার দুরন্ত শৈশবের টুকরো টুকরো গল্পগুলো পড়ে-- হ্যাঁ ঋতো ভাইয়া, জীবনের সবচেয়ে মধুর দিনের সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতি । আরও কিছু অবশ্য আছে :P তবে শৈশবের দিনগুলো সবচেয়ে ভাবনাহীন ।

@কমবেশি আমাদের সবার ছোটবেলা এইরকম। খুব মিস করি সেই দিনগুলো। যদি আবার ফিরে যাওয়া যেত-- আমিও মিস করি । মাঝে মাঝে একা একাও শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে ভালো লাগে । হুম অনেক ভালো হত যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই দিনগুলোতে । দিনগুলো যে এমনই চলে যায় :(

@+++ -- :#)

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

বাকপ্রবাস বলেছেন: শৈশব পড়তে ভাল লেগেছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @ শৈশব পড়তে ভাল লেগেছে।-- জীবনের সব চাইতে সুন্দর আর ভাবনাহীন সময়ের সব ঘটনা আর স্মৃতি !:#P

ধন্যবাদ ও শুভকামনা বাকপ্রবাস ভাইয়া ।

ভাইয়া, আপনার কবিতাগুলো আমার কাছে ভালো লাগে খুব। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেন আপনি বিষয়টা ভালো লাগে ।

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমার স্মৃতি শক্তিও ভাল অনেক কিছু মনে আছে ? মা শুনলে বলে এটাতো তোর মনে থাকার কথা না।

দারুণ ছিল আপনার , আমার , আমাদের শৈশব, কৌশোরের দিনগুলো।

+++++++++++++

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আমার স্মৃতি শক্তিও ভাল অনেক কিছু মনে আছে ? মা শুনলে বলে এটাতো তোর মনে থাকার কথা না।-- আমার লেখার উপরের গুলো আমার কিছুই মনে নেই সব বাবা মার কাছে থেকে শোনা । নিচের গুলো আমার মনে আছে সব । আপনি আপনার শৈশবের দু একটা ঘটনা বা স্মৃতি বললেতো আমরাও জানতে পারতাম আপনি কেমন দুষ্টু ছিলেন ছোটবেলায় :P


@দারুণ ছিল আপনার , আমার , আমাদের শৈশব, কৌশোরের দিনগুলো।-- হা মাইদুল ভাইয়া, ভাবনাহীন, দুঃখ কষ্টহীন আনন্দের দিন মানেই শৈশব ।

@+++++++++++++ -- ধন্যবাদ ভাইয়া :#)

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:



আপনার শৈশবের ইতিহাস পড়ে ভালো লাগলো। :P

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আপনার শৈশবের ইতিহাস পড়ে ভালো লাগলো। :P--- শৈশব বলে কথা । সবচেয়ে আনন্দের আর সুখের দিন । আহারে কি দিনগুলি ছিল :(

১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ শৈশব !
সুন্দর করে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @দারুণ শৈশব !-- ভাবনাহীন আর আনন্দের দিন মানেই শৈশব । শুধু খেলাধুলা আর খেলাধুলা আর দুষ্টুমি ।

@সুন্দর করে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন-- ভালো লাগলো জেনে, মনিরা আপু । খুশী হলাম । আপনাদের দেখে দেখেইতো শিখছি সব !:#P

২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

রক বেনন বলেছেন: যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ!! সুন্দর স্মৃতিচারণ পোস্ট!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ!!-- আসলে ভাইয়া, দিন ও সময় চলে গেলে তখন তার মর্ম বেশী বোঝা যায় তাই হয়তো আমরা এভাবে বলি :( আশা করি আমার আপনার সবার আসে দিনগুলোও সুন্দর হবে ।

@সুন্দর স্মৃতিচারণ পোস্ট!!-- হা ভাইয়া, সেই দিনগুলোর গল্প করতে, স্মৃতিচারন করতে খুব ভালো লাগে ।

২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: শৈশব সর্বদাই আনন্দের, মজার।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @শৈশব সর্বদাই আনন্দের, মজার। -- হা ঠিক ঠিক :D শৈশব মানেই খেলাধুলা, আনন্দ, বাবা মা এর কাছে করা বিভিন্ন আবদার আর দুষ্টুমি =p~

২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম, অনেক ভালো লাগলো আর মজা পেলাম

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম,-- আপনার শৈশবের দু একটি ঘটনা বা স্মৃতি বললেতো আমরা ও একটু জানতে পারতাম ।

@অনেক ভালো লাগলো আর মজা পেলাম --- হুম, আমিও অনেক মজা পাই সেগুলো মনে করে =p~

২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

হাসান রাজু বলেছেন: আচ্ছা ছবি দুটো কার ?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আচ্ছা ছবি দুটো কার ? --- ইনি আপনাদের কথার ফুলঝুরি আপু :P

২৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

হাসান রাজু বলেছেন: প্রথম ছবিটায় সেটা স্পষ্ট ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @প্রথম ছবিটায় সেটা স্পষ্ট । -- হা হা ! তবে বাস্তবের কথার ফুলঝুরি দ্বিতীয় ছবিতে স্পষ্ট :P প্রথম ছবিটা আমার দাদা বাড়ীর ছাদে । কিন্তু দুইটার একটারও কিছু মনে নেই আমার ।

২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণা ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণা -- তাই বুঝি নীলপরি আপু !:#P খুশী হলাম জেনে । হ্যাঁ আপু শৈশব ছিল সবচেয়ে আনন্দের আর ভাবনাহীন ।

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার পুরানো স্মৃতি এসে পড়ে গেলাম.........
ভালো লিখেছে।
ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @আপনার পুরানো স্মৃতি এসে পড়ে গেলাম.........-- শৈশবের স্মৃতিগুলো বরাবরই আনন্দের :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.