নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা

আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

ছোট কাগজ কথিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনও খোঁজে ফিরি তোমাকে, তুমি থাকবে সিলেটবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায়

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬


মো. ফয়ছল আলম:
এখনো খোঁজে ফিরি তোমাকে। সুরমা নদীর তীরে কিংবা সার্কিট হাউজে। খোঁজে ফিরি রেজিস্ট্রারী মাঠে কিংবা আলিয়া মাদরাসা ময়দানে। হয়তো বা দেখা মিলতে পারে শ্যামলী কমিউনিটি সেন্টারে। সেটিওতো এখন নেই। শাহজালাল দ্বিতীয় সেতু, কুমারগাঁও সেতু কিংবা কাজির বাজার সুরমা সেতুতে যাই,যদি দেখা মিলে তোমার সঙ্গে। শাহজালালের ঘাট কিংবা ভিআইপি সড়ক দিয়ে যখন যাই শুধুই মনে পড়ে তোমাকে। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কিংবা তামাবিল রোড দিয়ে গেলেও মনে পড়ে তোমাকে। আর সিলেট নগরীর দুর্ভোগের চিত্র দেখলে আরো বেশি মনে পড়ে তোমাকে। এখন আর কেউ বলে না সিলেটের মানুষ যা চাওয়ার চেয়ে নাও। আর নাও পেতে পার। আগামী ৫০ বছরে হয়তো সিলেটকে বঞ্চিত থাকতে হবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষায় সিলেটকে এগিয়ে নিতে হবে। নারীরা এগিয়ে গেলে সিলেট এমনিতেই এগুবে। এ রকম হৃদয়স্পর্শী কথাবার্তা এখন আর কোনো নেতার মুখে শুনা যায় না। এখন অনেকেই বলেন, আমি সারা দেশের মন্ত্রী। আমাকে দেশ দেখতে হয়। সিলেট দেখলে চলবে না। কাউন্সিলাররা জড়ো হয়ে উন্নয়নের জন্য গেলে তাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এভাবে এক চরম বঞ্চনার সময় অতিক্রম করছি আমরা হে সাইফুর রহমান। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান যাকে মৃত্যুর পূর্বে মানুষ কিংবা মিডিয়া উন্নয়ন রহমান নামে খ্যাতি দিয়েছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে সিলেটের উন্নয়নের স্বার্থে রাজনীতিতে যোগদানকারী এই মহান ব্যক্তিত্বকে বছর ঘুরে স্মরণের দিন এসেছে।
২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সিলেট সফর শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান উন্নয়নের রূপকার খ্যাত জননেতা এম সাইফুর রহমান। সিলেটবাসীর আপনজন, সিলেটবন্ধু, উন্নয়ন রহমান, উন্নয়নের রূপকার, এ রকম অনেক উপাধিই পেয়েছিলেন ব্যক্তিগত জীবনে। আর এ সব কিছুই সম্ভব হয়েছিল গভীর দেশপ্রেম আর সিলেটবাসীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে।
রাজনৈতিক জীবনে উন্নয়ন দিয়ে এমন ভালবাসা অর্জনের ইতিহাস খুব কমই দেখা যায়। সিলেট একসময় ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত এক বিস্তীর্ণ জনপদ। বলা যায়, এই একটি মাত্র মানুষের কারণে সেই বঞ্চনা অনেকটা দূর হয়ে যায়। অবশ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে স্মরণ করতে হয় এম সাইফুর রহমানের এই মৃত্যুদিবসের প্রাক্কালে। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীও সিলেটের উন্নয়নের জন্য অতি আন্তরিক এবং নিবেদিত প্রাণ এক ব্যক্তিত্ব। হয়তো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে অনেক সময় তাকে উন্নয়নে বেগ পেতে হয়েছে। তবুও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা, সিলেট রেলস্টেশন নির্মাণ, সদর এবং কোম্পানীগঞ্জের উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন তিনি। আর যার সফল পরিসমাপ্তি টেনেছেন এম সাইফুর রহমান।
অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে চারদলীয় জোট সরকারের সময় তিনিও সিলেটকে এগিয়ে নেয়া এক নিরন্তর মিশন শুরু করেছিলেন। বলা যায়, অনেকটাই সফল হয়েছিলেন তিনি। আর তার সঙ্গী ছিলেন উন্নয়ন পিয়াসী আরেক বিশ্বস্ত সহকর্মী আরিফুল হক চৌধুরী। বলতে দ্বিধা নেই বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকারী এম সাইফুর রহমানের সামনে সিলেটের উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরতেন আরিফুল হক চৌধুরী। আর সেটি বাস্তবায়নে আর্থিকসহ সবদিক দিয়ে সহযোগিতা করতেন এম সাইফুর রহমান। সাংবাদিকতার সুবাদে সে সময় তাদের সঙ্গে চলাফেরা করতে গিয়ে এমনটিই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের জমি ক্রয়, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠা (এসএমপি), সুরমা নদীর দুই তীরের ষোল কিলোমিটার সংরক্ষণে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ, ভিভিআইপি সার্কিট হাউজ নির্মাণ, ভিআইপি সড়ক নির্মাণ, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, ক্বীনব্রীজ এবং এর আশপাশ এলাকার সৌন্দর্য বর্ধন, শিল্পকলা একাডেমী নির্মাণ, সিলেট মডেল স্কুল নির্মাণ, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে অন্তত ১০টি সেতু নির্মাণ, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে সেতু নির্মাণ, গোলাপগঞ্জে কুশিয়ারা ও কুড়া নদীতে দুটি সেতু নির্মাণ, সিলেট নগরীর দুই পাশে তিনটি সেতু নির্মাণ সবই ছিল সাইফুর রহমানের দান। যদিও এর কোনটির কাজ বিলম্বে শেষ হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু সকলেই স্বীকার করেন এসবই এম সাইফুর রহমানের দান। দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সিলেটে একমাত্র সাইফুর রহমানের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে বলে সিলেটের সুধীজনরা বলে থাকেন।

এম সাইফুর রহমানের মৃত্যুর পর সিলেট প্রেসক্লাবে সর্বদলীয় সভায় তাকে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় তখনকার জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ইফতেখার হোসেন শামীম এনটিভির কাছে বলেছিলেন, কি করে তাকে ভুলবো। যেদিকে তাকাই সেদিকেই সাইফুর রহমানের স্মৃতিচিহ্ন আমাদের তাড়িয়ে বেড়াবে। তার উন্নয়ন আমাদেরকে অব্যাহত রাখতে হবে। এভাবে বিরোধীদের মুখেও প্রশংসা ছিল এম সাইফুর রহমানের। সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের ভবন উদ্বোধনের দিনে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এবং এম সাইফুর রহমান দুজনেই ছিলেন অতিথি। সেদিন অনুষ্ঠানে সিলেটের উন্নয়নের জন্য নাছোরবান্দা হয়ে কাজ করায় সাইফুর রহমানকে প্রকাশ্যেই অভিনন্দন জানান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।

এসব বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। দেশের বরেণ্য লেখকরা তাদের কলামে সাইফুর রহমানের উন্নয়ন, দেশপ্রেম এবং বিশ্বনন্দিত হওয়ার বিষয়ে প্রশংসা করেছেন। কোন কোন সময় তিনি এমন সব অকাট্য সত্য কথা বলতেন যা তার দলের নীতির বিরুদ্ধেও যেত। কিন্তু কখনই সততা, দেশপ্রেম এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপোষ করেননি এম সাইফুর রহমান। তাঁর রেখে যাওয়া অনেক উন্নয়ন প্রকল্প এখনো আটকে আছে। সেগুলো চালু হলে সিলেট আরো এগিয়ে যাবে। কীর্তিমান সাইফুর রহমানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীর এই সময়ে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি তাঁকে। আবার বলি এখনও খোঁজে ফিরি তোমাকে, তুমি থাকবে সিলেটবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায়। দোয়া করি জান্নাতবাসী হউন সাইফুর রহমান।
লেখক: সাংবাদিক।মো. ফয়ছল আলম: এখনো খোঁজে ফিরি তোমাকে। সুরমা নদীর তীরে কিংবা সার্কিট হাউজে। খোঁজে ফিরি রেজিস্ট্রারী মাঠে কিংবা আলিয়া মাদরাসা ময়দানে। হয়তো বা দেখা মিলতে পারে শ্যামলী কমিউনিটি সেন্টারে। সেটিওতো এখন নেই। শাহজালাল দ্বিতীয় সেতু, কুমারগাঁও সেতু কিংবা কাজির বাজার সুরমা সেতুতে যাই,যদি দেখা মিলে তোমার সঙ্গে। শাহজালালের ঘাট কিংবা ভিআইপি সড়ক দিয়ে যখন যাই শুধুই মনে পড়ে তোমাকে। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কিংবা তামাবিল রোড দিয়ে গেলেও মনে পড়ে তোমাকে। আর সিলেট নগরীর দুর্ভোগের চিত্র দেখলে আরো বেশি মনে পড়ে তোমাকে। এখন আর কেউ বলে না সিলেটের মানুষ যা চাওয়ার চেয়ে নাও। আর নাও পেতে পার। আগামী ৫০ বছরে হয়তো সিলেটকে বঞ্চিত থাকতে হবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষায় সিলেটকে এগিয়ে নিতে হবে। নারীরা এগিয়ে গেলে সিলেট এমনিতেই এগুবে। এ রকম হৃদয়স্পর্শী কথাবার্তা এখন আর কোনো নেতার মুখে শুনা যায় না। এখন অনেকেই বলেন, আমি সারা দেশের মন্ত্রী। আমাকে দেশ দেখতে হয়। সিলেট দেখলে চলবে না। কাউন্সিলাররা জড়ো হয়ে উন্নয়নের জন্য গেলে তাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এভাবে এক চরম বঞ্চনার সময় অতিক্রম করছি আমরা হে সাইফুর রহমান। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান যাকে মৃত্যুর পূর্বে মানুষ কিংবা মিডিয়া উন্নয়ন রহমান নামে খ্যাতি দিয়েছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে সিলেটের উন্নয়নের স্বার্থে রাজনীতিতে যোগদানকারী এই মহান ব্যক্তিত্বকে বছর ঘুরে স্মরণের দিন এসেছে।
২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সিলেট সফর শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান উন্নয়নের রূপকার খ্যাত জননেতা এম সাইফুর রহমান। সিলেটবাসীর আপনজন, সিলেটবন্ধু, উন্নয়ন রহমান, উন্নয়নের রূপকার, এ রকম অনেক উপাধিই পেয়েছিলেন ব্যক্তিগত জীবনে। আর এ সব কিছুই সম্ভব হয়েছিল গভীর দেশপ্রেম আর সিলেটবাসীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে।
রাজনৈতিক জীবনে উন্নয়ন দিয়ে এমন ভালবাসা অর্জনের ইতিহাস খুব কমই দেখা যায়। সিলেট একসময় ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত এক বিস্তীর্ণ জনপদ। বলা যায়, এই একটি মাত্র মানুষের কারণে সেই বঞ্চনা অনেকটা দূর হয়ে যায়। অবশ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে স্মরণ করতে হয় এম সাইফুর রহমানের এই মৃত্যুদিবসের প্রাক্কালে। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীও সিলেটের উন্নয়নের জন্য অতি আন্তরিক এবং নিবেদিত প্রাণ এক ব্যক্তিত্ব। হয়তো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে অনেক সময় তাকে উন্নয়নে বেগ পেতে হয়েছে। তবুও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা, সিলেট রেলস্টেশন নির্মাণ, সদর এবং কোম্পানীগঞ্জের উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন তিনি। আর যার সফল পরিসমাপ্তি টেনেছেন এম সাইফুর রহমান।
অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে চারদলীয় জোট সরকারের সময় তিনিও সিলেটকে এগিয়ে নেয়া এক নিরন্তর মিশন শুরু করেছিলেন। বলা যায়, অনেকটাই সফল হয়েছিলেন তিনি। আর তার সঙ্গী ছিলেন উন্নয়ন পিয়াসী আরেক বিশ্বস্ত সহকর্মী আরিফুল হক চৌধুরী। বলতে দ্বিধা নেই বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকারী এম সাইফুর রহমানের সামনে সিলেটের উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরতেন আরিফুল হক চৌধুরী। আর সেটি বাস্তবায়নে আর্থিকসহ সবদিক দিয়ে সহযোগিতা করতেন এম সাইফুর রহমান। সাংবাদিকতার সুবাদে সে সময় তাদের সঙ্গে চলাফেরা করতে গিয়ে এমনটিই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের জমি ক্রয়, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠা (এসএমপি), সুরমা নদীর দুই তীরের ষোল কিলোমিটার সংরক্ষণে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ, ভিভিআইপি সার্কিট হাউজ নির্মাণ, ভিআইপি সড়ক নির্মাণ, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, ক্বীনব্রীজ এবং এর আশপাশ এলাকার সৌন্দর্য বর্ধন, শিল্পকলা একাডেমী নির্মাণ, সিলেট মডেল স্কুল নির্মাণ, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে অন্তত ১০টি সেতু নির্মাণ, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে সেতু নির্মাণ, গোলাপগঞ্জে কুশিয়ারা ও কুড়া নদীতে দুটি সেতু নির্মাণ, সিলেট নগরীর দুই পাশে তিনটি সেতু নির্মাণ সবই ছিল সাইফুর রহমানের দান। যদিও এর কোনটির কাজ বিলম্বে শেষ হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু সকলেই স্বীকার করেন এসবই এম সাইফুর রহমানের দান। দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সিলেটে একমাত্র সাইফুর রহমানের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে বলে সিলেটের সুধীজনরা বলে থাকেন।

এম সাইফুর রহমানের মৃত্যুর পর সিলেট প্রেসক্লাবে সর্বদলীয় সভায় তাকে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় তখনকার জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ইফতেখার হোসেন শামীম এনটিভির কাছে বলেছিলেন, কি করে তাকে ভুলবো। যেদিকে তাকাই সেদিকেই সাইফুর রহমানের স্মৃতিচিহ্ন আমাদের তাড়িয়ে বেড়াবে। তার উন্নয়ন আমাদেরকে অব্যাহত রাখতে হবে। এভাবে বিরোধীদের মুখেও প্রশংসা ছিল এম সাইফুর রহমানের। সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের ভবন উদ্বোধনের দিনে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এবং এম সাইফুর রহমান দুজনেই ছিলেন অতিথি। সেদিন অনুষ্ঠানে সিলেটের উন্নয়নের জন্য নাছোরবান্দা হয়ে কাজ করায় সাইফুর রহমানকে প্রকাশ্যেই অভিনন্দন জানান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।

এসব বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। দেশের বরেণ্য লেখকরা তাদের কলামে সাইফুর রহমানের উন্নয়ন, দেশপ্রেম এবং বিশ্বনন্দিত হওয়ার বিষয়ে প্রশংসা করেছেন। কোন কোন সময় তিনি এমন সব অকাট্য সত্য কথা বলতেন যা তার দলের নীতির বিরুদ্ধেও যেত। কিন্তু কখনই সততা, দেশপ্রেম এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপোষ করেননি এম সাইফুর রহমান। তাঁর রেখে যাওয়া অনেক উন্নয়ন প্রকল্প এখনো আটকে আছে। সেগুলো চালু হলে সিলেট আরো এগিয়ে যাবে। কীর্তিমান সাইফুর রহমানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীর এই সময়ে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি তাঁকে। আবার বলি এখনও খোঁজে ফিরি তোমাকে, তুমি থাকবে সিলেটবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায়। দোয়া করি জান্নাতবাসী হউন সাইফুর রহমান।
লেখক: সাংবাদিক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.