![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এর আগে কখনো লেখার চেষ্টা করি নি, আজ কেন এই দু:সাহস?একটু আগে খবর পেলাম আমার প্রিয় বন্ধু দুর্ঘটনার শিকার, কাল হইতো শুনবো অন্য কেউ | গত কিছুদিন ধরে এ নিয়ে প্রচুর লেখা দেকছি পত্রিকার পাতায় | সবাই দোষ চাপিয়ে যাচ্ছে অন্যের ঘাড়ে, কখনো সরকার কখনো ড্রাইভার | কোনটাই মিথ্যা নই | কেউ কি একবারও ভাবছি আমরা কি করছি ? আমাদের কি কোনই দোষ নেই? আমরা নিজেরা কতটুকু সচেতন ? আসলে এত সময় কোথায় সচেতন হওয়ার | আমি Transport Safety নিয়ে Masters করছি, তাই নিজের পিঠ বাচাতে কিছু বলবো | বিরক্ত করার জন্য আগেই ক্ষমা চাচ্ছি|
প্রথমে আসি Highway Safety যেটা নিয়ে এত তোলপাড় | আমার একটা ছোট অভিজ্ঞতা বলি | জুলাই ২০১১ বাড়ি যাচ্ছি, সঙ্গে বউ আছে, ড্রাইভার এর ঠিক পিছনের সিটে বসেছি | চমত্কার গাড়ি চালাচ্ছেন ড্রাইভার সাহেব | ওভারটেক করার আগে যথেষ্ঠ হর্ন দিচ্ছেন, দেখে শুনে দক্ষতার সাথে গাড়ি চালাচ্ছেন| এটা ছিলো একটা CNG চালিত বাস | খুব জোরে যাচ্ছে না তাই, কিন্তু কোনো বাস ওভারটেক করে নি আমাদের বাসটিকে | রাস্তার যে অবস্তা খুব জোরে চালানো ও যায় না | কিন্তু অদ্ভুত বাপার, আমাদের বাসের বেশিরভাগ লোকের এটা পচ্ছন্দ হলো না | তারা ড্রাইভার এবং বাস মালিক কে গালাগালি দিতে শুরু করলেন, কেন বাস জোরে চলছে না | এত টাকা ভাড়া নিয়ে কেন এত আসতে চালাচ্ছে বাস | অসাধারণ তাদের যুক্তি | আমার ভাগ্য ভালো যে ড্রাইভার খুবই ভালো এবং অভিজ্ঞ লোক (না হলে আজকে আমি কোথায় থাকতাম আল্লাহ জানেন)| তিনি কারো কথা শুনেন নি বরং বলেছেন টিকিটের পিছনে ফোন নাম্বার আছে, গাড়ির মালিক কে ফোনে অথবা লিখিত কমপ্লেন করেন | আমার পক্ষে এর চেয়ে জোরে চালানো সম্ভব নই | ড্রাইভার সাহেবকে ঐদিনও ধন্যবাদ দিয়েছি আজো বলছি তার মতন ড্রাইভার হলে আজ এত দুর্ঘটনা হত না |
আমরা কি আমাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন ? ড্রাইভার বেপরওয়া গাড়ি চালালে আমাদের কি কিছুই করার নেই? আমরা কি বলতে পারি না আস্তে চালান, না শুনলে এতটুকু সাহস কি আমাদের নাই যে বলি "আস্তে চালাও নাইলে আমরা নেমে যাবো" | নিজের জীবনের প্রতি কি আমাদের কোনো মায়া নেই, নাকি সব দায় এক ড্রাইভার সাহেবের যে কিনা গরু ছাগলের ছবি দেখে লাইসেন্স পেয়েছে |
এবার আসি প্রতিদিনের ঘটনাই | রোজ সকালে একই ছবি, বাসে বাদরের মতন ঝুলে অফিস যাচ্ছে মানুষ| দোষ সরকারের; কেনো বাস কম, কেনো রাস্তায় এত জাম | তাই বলে কি রোজ জীবনের ঝুকি নিতে হবে? একটু কম ঘুমিয়ে আরেকটু সকালে বের হওয়া কি খুব কষ্টের ? সবাই হাসছেন আমার কথা শুনে, একদিন আমার বন্ধুর মতন গাড়ি থেকে পরবেন তারপর বুঝবেন | আমাদের ক্রিকেট দলনেতা সাকিব ঠিক ই বলেন ”আমরা সবকিছু একটু দেরিতে বুঝি” | আরেকটি উপায় কিন্তু আছে, সকাল বেলা এক পাসের রাস্তায় জাম থাকে অন্য পাস মুটামুটি খালি থাকে| বাস যে স্টপ থেকে রওনা দেয় তার পরে ৫/৭ স্টপ এর মাঝেই সিট ভরে যায়, একটু কষ্ট করে উল্টা দিকের খালি রাস্তা দিয়ে যদি সেই সকল স্টপ এর কোনটাই চলে যায় তবে তো আর ঝুলতে হয় না | না হয় ১০ টাকা বেশি লাগবে, জীবনের দাম কি এতই কম আমাদের?
দুনিয়ার সব জায়গায় সকালে এবং বিকালে লোক দাড়িয়ে যায়| এই সময়ের চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা এখনো কোনো দেশের হই নি | অথচ আমরা বের করেছি, সিটিং সার্ভিস | বাঙালি সব পারে, একবার এই বাস এ উঠতে পারলে আমি রাজা | সিট নাই, ভুলে কেউ উঠে পড়লে তাকে ঠেলে ফেলে দিতে হবে রাস্তায় কারণ তার কোনো অধিকার নেই এই বাসে করে যাবার, কে যে বানিয়েছে এই নিয়ম !! কোথায় থাকে আমাদের বিবেক এসব গাড়িতে উঠলে ? একবারও কি মনে আসে না একটু আগে আমিও ওই লোকটার মতন পাগলের মতন গাড়ি খুজছিলাম ? অথচ ভুলেও যদি কেউ উঠে পরে আমরা বলি “ওই কন্ট্রাক্টর ওকে নামা নাইলে কোনো ভাড়া পাবি না” | কাল একজন এমন ভুল করে উঠে পড়ছিলো বলে চলন্ত বাস থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো কন্ট্রাক্টর | হায়রে স্বার্থপর মানুষ |
রাস্তায় এত জাম কেনো ? সরকার রাস্তা বানাই নি, সত্যি কথা, আমাদের রাস্তা নাই| একটা শহরের জন্য দরকার ২০ ভাগ রাস্তা আমাদের আসে ৯ ভাগ, জাম তো হবেই | সবাই একই কথা বলবে, আমিও বলি, কিন্তু যেটুকু আছে তা তো বেবহার করি আগে | কেনো আমার গাড়ি মাইন রোডে পার্ক করবো তাও আবার কখনো ২ লেন জুড়ে, রিক্সা চালক যখন না বুঝে একদম ডানের লেনে (বড় গাড়ির জন্য বরাদ্দ) চলে যায় কখনো কি বকা দিছি তাকে? সে কি বোঝে সে সুধু রাস্তা ব্লক কোরছে না নিজের এবং আপনার বিপদ ডেকে অনছে | এক রিক্সার সাথে অন্যটা ওভারটেকিং এর পাল্লা দিচ্ছে, নিষেধ করেছেন কি কখনো? আপনি কি জানেন রিক্সা দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে আপনার, কারণ বেশির ভাগ সময় দেখা যায় এসব দুর্ঘটনায় আরোহী সিটকে রাস্তার মাঝে পরেন আর দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অন্য কোনো বাস এসে ...... | রিক্সা থেকে পড়লে আপনি তেমন বেথা পাবেন না সত্য কিন্তু মেইন রোডে এটি খুবই বিপদজনক |
আমরা বুঝি সবই কিন্তু সময়ের অভাবে করি না কিছু | আপনি সময়ের অভাবে ওভার ব্রীজ এ উঠেন না, কিন্তু সাথে বাচ্চা থকলে অনুগ্রহ করে ওভার ব্রীজ বেবোহার করুন | বাচ্চ্কে অন্তত সেখান কোনটা ঠিক | ওভার ব্রীজ বিরক্তিকর কিন্তু নিরাপদ | গাড়ি একটা যন্ত্র মাত্র, আপনি গাড়ির সামনে দিয়ে দৌড়িয়ে পার হচ্ছেন ভাবসেন ড্রাইভের তো দেকছে, ব্রে়ক করবে | গাড়ির যে অবস্তা ব্রে়ক কাজ না করলে আপনি কোথায় যাবেন ভাবুন তো |
আমাদের দেশে অনেক সমস্যা | আসুন না একটু সচেতন হই, আমি নিজে যেনো কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করি সেদিকে যত্নবান হই | নিরাপদ সড়ক সবার আশা | ধরে নিচ্ছি সরাকর ভালো গাড়ি দেবে, ভালো ড্রাইভার দেবে তখনো আমরা যদি চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নামি, অথবা লাফিয়ে উঠতে যায়, অথবা চলন্ত বাসের সামনে দিয়ে দৌড়িয়ে পার হতে যেয়ে পড়ে যায় কে দায়ী থাকবে বলুন? দুর্ঘটনার পর কিন্তু আমরা ড্রাইভার কে খুঁজে রাম ধলাই দেবো অথবা গাড়ি পুড়িয়ে দেবো, কিন্তু আপনার জীবন কি ফিরিয়ে দিতে পারবো ? আজ আমার বন্ধু বোকামি করে বুঝতেসে কাল আপনার বন্ধু বুঝবে, এভাবে আর কত? আমরা যদি সচেতন না হই সরকার কি পারবে নিরাপদ সড়ক দিতে ??
২২ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭
সাইফ পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই| সরকারের দোষ দিয়া তো সহজ তাই দেয় | ড্রাইভিং সিট এ বসলে হুট করে কারো রাস্তা পার হওয়া দেকলে এত রাগ হয় ...। নিজেকে বদলানো অনেক কঠিন
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৫৬
সিলেটি জামান বলেছেন: চমৎকার লেখা, ভাই আমি নিজেও ড্রাইভ করি, রাস্তাটাকে পাবলিক নিজের বাপের সম্পদ মনে করে, একটা গাড়ি ৪০/৫০ মাইল স্পিডে আসতেছে দেখেও সামন দিয়ে দৌড় দিবে অথবা এমনভাবে হাটবে মনে হয় তার বাপ দাদা রাস্তা কিনে রেখেছে। আর জোরে চালানোর কথা বলছেন, আরে ভাই গাড়ি আস্তে চালালে গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার হুমকি-ধমকি দেয়া হয় জোরে চালালে তো খাসা
জনসচেতনতা সড়ক দূর্ঘটনা রোধে অনেক কার্যকর। তবে ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ খায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে চালকরা কোন আইন কানুন মানে না, ট্রাফিক পুলিশ কিছু বলেন, কারন তার রুটি-রুজির ব্যবস্থা তো ঐ চালক গোষ্টি করে থাকে। আমাদের দেশে অবৈধ পথে লাইসেন্স পেতে সময় লাগে তিনদিন, কোন কোন ক্ষেত্রে একদিনেও হয়, কিন্তু বৈধ পথে লাইসেন্স আপনি তিন বছরেও পাবেন কি না সন্দেহ আছে। যত্তসব হারামি আর ঘুষ খোরের দল
২২ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪২
সাইফ পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই | সাবধানে গাড়ি চালাবেন
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:০১
শিক কাবাব বলেছেন: আমি একদিন জেদ্দা থেকে মক্কা যাচ্ছিলাম ওমরা করতে। ছোট গাড়ি। প্রায় ৮-৯ জন যাত্রী। মধ্যপথে হটাৎ তুফানের মত বৃষ্টি। পুরাতন গাড়ি। তাই Windshield Wiper ও নাই। তারপরও সৌদী ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে। জেদ্দা-মক্কা পথটায় সব সময় মারাত্ম এক্সিডেন্ট হয়। ড্রাইভার কিছুই দেখছে না। রাস্তায় সাদা রং করা ডিভাইডার দেখে দেখে চালাচ্ছে। একবার ভাবল গাড়ি থামাবে। স্লো করলো। আমি খুশি হলাম। ওমা ! পিছন থেকে এক দম্পতি (মিশরী), বয়স ৫০ উর্ধ্ব হবে, চিৎকার শুরু করে দিছে, গাড়ি জোরে চালাও !
এমন পরিস্থিতিতে কাউকে কিছু বলা যায় না, বুঝানো যায় না, মারা যায় না, পিটানো যায় না, একমাত্র নিজের মাথার চুল ছিড়া একমাত্র উপায়। সেই দিন থেকে গাড়ি এক্সিডেন্টে কেউ মরলে আমার খুব খুশি লাগে।
তবে আমি নিজে খুব সাবধান। আমি আধা ঘন্টা দাড়িয়ে থাকি রাস্তা পারাপারের সময়। যখন গাড়িগুলি আমার থেকে অনেক দূরে তখন আরামে রাস্তা পার হই। ঘাড় টেরামী করে অনেকের মত রাস্তা পার হই না।
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:০৭
শিক কাবাব বলেছেন: অনেক দিন পর আপনের মত এক লোক ভিন্ন স্টাইলের লেখা লিখল। এখন দেখবেন ৫০ টা কমেন্ট আসবে আপনের লেখার পক্ষে। সবাই বাহবা বাহবা করবে। যদি আপনি লিখতেন সরকারের বিপক্ষে, ট্রাফিক পুলিশের বিপক্ষে, অনভিজ্ঞদের লাইসেন্স প্রদান - তখনও পাবলিক আপনার পক্ষ নিত।
সামহ্যোয়ারে দেখলাম, আপনি যা লিখবেন, আমাকে হ্যাঁ হ্যাঁ করে যেতে হবে। তাইলে আপনি ভাল। ৯৫% ই যে কোনো লেখার পক্ষেই কথা বলে। একমাত্র আমি ন্যায় হলে পক্ষে, অন্যায় হলে বিপক্ষে বলি।
২২ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
সাইফ পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য | আরেকটু সচেতন হবেন এটাই কাম্য |
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৪৮
ভয়েস অব বিডি বলেছেন: লেখক ভাইকে কিছু কথা না বলে পারলাম না, আপনার এই যুক্তিটি কনভাবেই মেনে নিতে পারলাম না সড়ক দুর্ঘটনায় জনগন দায়ি।
আপনি যত গুলু যুক্তি দিলেন এখানে সব গুলুতে প্রমান হল জনগনের অসচেতনতা। হ্যাঁ আমি এটা মানলাম কিন্তু জনগণকে সচেতন করার দাইত্ত কার? শোনেন ভাই আজকে উন্নত দেশগুলুতে সড়ক দুর্ঘটনা কম হয় কেন জানেন কারন এদের দেশের আইন, আজকে ইউরুপের কোন দেশে যদি আপনি প্রাইভেটকারে ড্রাইভার এর পাশের সীটে বসে তাহলে তাকে বাধহতামুলক সিট বেল্ট বাধতে হবে, যদি সে না বাধে তাহলে তার জরিমানা করবে রাস্তায়, যদি ড্রাইভার সিট এর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে তাহলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হএ যাবে এবং পরে সে চাইলেই যখন খুশি তখন লাইসেন্স করতে পারবে না।
এবার আসেন গাড়ী পারকিং এর কথায়, যেখানে সেখানে গাড়ী পারকিং করলে জরিমানাত আছেই এবং গাড়ী পর্যন্ত নিএ চলে যায় পুলিশ, সেই ভয়ে মানুষ গাড়ী পার্ক করলে হিসাব করে করে।
আজকে হাসিনা এসেই যদি আইন করে এয়ারপোর্ট এর নাম পাল্টাতে পারে,আইন করে যদি তত্তাবধাওয়ক সরকার বাতিল করতে পারে, আইন করে যদি সংবিধান পালতাতে পারে, আবার খালেদা আইন করে যদি জিয়া কে দেশের সাধিনতার ঘসক বানাতে পারে,আইন করে যদি ইটিভি বন্ধ করে রাখতে পারে, তাহলে তারা কি পারে না আইন করে দেশের সরক দুর্ঘটনা কমাতে? যদি হাসিনা কোটি কোটি তাকা খরচ করে এয়ারপোর্ট এর নাম পাল্টাতে পারে এবং হাজার কোটি তাকা খরচ করে নতুন এয়ারপোর্ট করার উদ্যোগ নিতে পারেন, তাহলে তিনি কি পারেন না দেশের মহাসড়ক এর লেন ব্রিদ্দি করতে? ভাই যেই ড্রাইভার গরু ছাগল ছিনার কারনে লাইসেন্স প্যেয়ে যায় এবং ৩ দিনে লাইসেন্স প্যেয়ে যায়, তাহলেত সে ভয় পাবে না তার লাইসেন্স হারাতে, ।
আপনি বললেন আপনি Transport Safety নিয়ে Masters করছেন, অথচ আপনি এইরকম একটি খুঁড়া যুক্তি নির্ভর লিখা কিভাবে লিখলেন?
২২ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩১
সাইফ পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য । আমি এটা ব্লগ এ লিখলাম তার একটা কারণ আসে | ব্লগ করা পড়ে ? যারা লেখাপড়া জানে | সরকারের দোষ তো সবাই দিচ্ছে এবং সবই সত্য | আমি যে প্রশ্ন গুলো করেছি তা লেখাপড়া জানা মধ্যবিত্তদের জন্য | আপনি দয়া করে আবার পড়ুন আমার লেখাটা | আমাদের দেশটা গরিব এবং দুর্নীতিগ্রস্ত | সরকারের আসায় বসে থাকলে এমনই চলতে থাকবে | লেখাপড়া জানা লোকদের সচেতনতা বাড়ানোর দায়্ত্বি ও যদি সরকারের হাতে তুলে দেন তবে তো মহা বিপদ |
আসুন আমার লেখার পিছনের কিছু যুক্তি দিই |
বাস এ ঝোলার পিছনে যা বলেছি, আমি নিজে প্রতিদিন যে কোনো একটি মানতাম, দাড়িয়ে যেতাম মাঝে মাঝে কিন্তু কখনো ঝুলতে হই নি, (এটাকে peak spreading বলে | রেফ্রেন্স লাগলে ইমেল আড্ড্রেস দিয়েন পাঠিয়ে দেবো) |
সিটিং সার্ভিস : দেশে থাকতেও বিপক্ষে ছিলাম আজো আছি, ইউরোপের উদাহরণ টানলেন .. আমি ইউরোপে থাকি, দুনিয়ার কোথায় peak hour এ সিটিং সার্ভিস আছে আমায় জানালে খুসি হবো | প্রতিটা সিটিং বাস এ যদি ১০ জন করে দাড়িয়ে লোক নেয় সুধু সকালে আর সন্ধায়, হিসাব করে দেখুন কত লোক নিরাপদে যেতে পারে | তা না করেন কেউ ভুল করে উঠলে তাকে জোর করে নামিয়ে দিয়া কি সচেতন লোকের কাজ ? এটাও সরকার শেখাবে আমাদের ?
ওভার ব্রীজ থাকা সত্তেও যেখানে সেখানে রাস্তা পার হওয়া : এটা যে অন্নায় সবাই জানে তাও করছি | জেব্রা ক্রসিং ছাড়া রাস্তা পার হচ্ছেন, সরকার আইল্যান্ড এ বেড়া দিচ্ছে তা ভেঙ্গে পার হচ্ছেন, একবারও ভাবছেন না নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন |
রাস্তা বড় করতে বলছেন, একটু নেট ঘাটেন :Capacity imrovement is not a sustainable solution | অনেক আর্টিকেল পাবেন পড়ে দেখেন |
যুক্তি অনেক দেখানো যায়, যুক্তি দিয়ে সচেতনতা বাড়ে না | আপনার পছন্দ হয় নি কোনো সমস্যা নেই | একজনও যদি আমার লেখা পড়ে ১০ মিন আগে ঘুম থেকে উঠে ২ স্টপ আগে যেয়ে নিরাপদে অফিসে যেতে পারে আমার লেখা সার্থক | সুধু একবার ভেবে দেখুন একটু পরিবর্তন করলে কি নিরাপদ হয় না আপনার যাত্রা ?
ধন্যবাদ |
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১
সড়কযোদ্ধ২ বলেছেন: শিক্ষার্থী আদনান তাসিনকে হত্যা করা হয় , জেব্রা ক্রসিঙ্গের উপর , শিক্ষার্থী আব্রার কে হত্যা করা হয় , জেব্রা ক্রসিঙ্গের উপর , রমিজুদ্দিন শিক্ষার্থী দীয়া করিমকে হত্যা করা হয় ফুটপাতের উপর, সিলেটের অয়াসিম, সাভারের শিল্পিকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে হত্যা করে, গত ২/৩ দিন আগে উত্তরায় ভাড়া নিয়ে তর্কের কারনে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাকায় পিষে হত্যা করে, বাসে শতাধিক যাত্রী ছিল সকলেই নীরব - হয় তারা ফার্মের মুরগি আর না হয় নপুংসক হিজরা !!
সবচেয়ে বেশী মানুষ সড়কে হত্যা কাণ্ডের শিকার গাড়ি তে গাড়িতে মুখোমুখি সংঘর্ষ - আর না হয় গাড়ি উল্টে পড়ে - গাড়ি ফুটপাতে ও আইল্যান্ডে উঠে - অনেকেই ঘরে শুয়ে ঘুমাচ্ছে আর ঘাতক ঘরে ঢুকে তাদেরকে চাপা দিয়ে হত্যা করে
অনেক দালাল আঁতেলদের কারনে সড়কে হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের সাজা হয়না - দালালরা সড়কে হত্যাকাণ্ড দেখলেই ব্যাঙ্গ করে তামাশা করে বলে পাবলিক সচেতন হলে সড়ক হত্যাকাণ্ড কমবে !! এমন এক দালালা একদিন সড়ক হত্যাকাণ্ডের খবরে তামাশা ব্যাঙ্গ করেছিল - তার কয়েকদিন পর পোস্ট দিল - গাড়িতে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাবার সময়ে গাড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষে পরিবারের সদস্যরে নির্মমভাবে নিহত হয় !! কোন সচেতনতাই কাজে দিল না - কোন দালালিই কাজে দিলনা -
সড়কে চালক ৮০ লাখ আর লাইসেন্স ১৬ লাখ, বাকি গাড়ি কে চালায় ? আর বেশির ভাগ ঘাতক মদ গাঁজা খেয়ে গাড়ি চালায় - অনেক ঘাতক সড়কে উঠে প্রতিযোগিতা করে - অনেক ঘাতক বেপরোয়া গাড়ি চালায়
বছরে সড়কে হত্যাকাণ্ডের শিকার ২৫০০০ এর অধিক, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর ! তার মানে এই যাবত সড়ক হত্যাকাণ্ডের শিকার ১২, ৫০,০০০ ( সাড়ে বার লাখের বেশি মানুষ) আর আন্দোলন হয় ২টি, ১ বিপিএউ এর আব্রার - তাই আব্রার ব্রিজ হয়েছে, ২ নটরডেম নাইম এর নামে ব্রিজ হবে, ব্রিজের নামকরন আর ঘাতক ধরা হয় শুধু মাত্র আন্দোলন এর ভয়ে আর না হয়, কেউ সড়কের হত্যা নিয়ে ভাবে না - ভাবার সময় কৈ- সড়কে এত হত্যাকাণ্ড কিন্তু একজন ঘাতকের সাজার নজিরও নেই - কারন কোন প্রতিবাদ হয়না
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৪৩
তারিক১১ বলেছেন: চরম লিখসেন।সবাই যেভাবে একতরফা ভাবে সরকার এর দোষ দিয়ে আসছিল,মেজাজ টাই খারাপ হইয়া যায় অইশব লেখা পইরা।