নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঁধ ভাংগার আওয়াজ পাবেন অবশ্যই তবে সেটি আমার।\nআমার উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ,\nআনন্দানুভুতি আর \nঅবসাদের বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ।

কৌশিক পুনশিক

কৌশিক পুনশিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিগ ব্যাং এর আলিফ লায়লা,নবাবপুত্তুর ফোটন আর শ্রীমান নিউট্রিনো

১৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

বিগব্যাং ত ডিম ফাটায়ে দায়িত্ব শেষ। ডিম কখন ফাটাইলো-কে ফাটাইলো - হুদা কামেই ফাটাইলো কিনা-কোন সাক্ষী নাই! কারন?
বিগব্যাং এর ৪ লক্ষ বছর পর্যন্ত প্রোটনগুলো আলিফ লায়লা মুডে মারামারি করতেছিলো। আমরা যে ১৩ বিলিয়ন বছর পর তাদের অপেক্ষা করতে পারি-এইদিকে তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ ই ছিলো না। যাই হোক, ৪ লক্ষ বছর পর তাদের হুশ ফিরলো। নবাবজাদারা ট্রাভেল শুরু করলো। বিজ্ঞানের ভাষায় ফোটনের অন্তযুগ শেষ হলো। আসলে ফোটন দের দোষ দিয়ে লাভ নেই। শাখারিবাজারে যদি BMW চালাইতে দেন-তো কি এক্সপেক্ট করেন?
...............................................................
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
তো এইটা ক্লিয়ার যে যত হাতি ঘোড়া উল্টায়ে ফেলেন নয়া কেনো-৪ লক্ষ বছর আগের ছবি আর দেখতে পাবেন না। কিন্তু আসলেই কি তাই? বিগ ব্যাং এর পরপর ই কিন্তু ব্রহ্মান্ডের সম্পত্তির ভাগাভাগি শুরু হয়ে গেছিলো। ফোটন ত অনেক পরে এন্ট্রি নিছে। কিন্তু অন্যান্য অতিপারমানবিক কণাদের কথা ভুলে গেলে ত চলবে না। তো ডিম ফাটার সাক্ষী আরো পাওয়া গেলো দুই পক্ষ। বোসন পার্টি আর ফার্মিওন পার্টি।
খুব ই আশা জাগানিয়া কথা। তো বোসন চৌধুরি সাহেবের ৬ ছেলে। বড় ছেলে অবশ্য আজকাল বেশ বিখ্যাত। লোকে আদর করে নাম দিছে গডস পার্টিকেল।সার্টিফিকেটের নাম হিগস বোসন কণা। ছোট ছেলের অবশ্য ছোটবেলাতেই মেলায় হারায়ে গেছে। গ্রাভিটন কণা। সে কোথাও আছে -শুধু এইটাই জানি আমরা। কই আছে-কেম্নে আছে-নো আইডিয়া। মেঝ ছেলে ফোটনও এই ফ্যামিলির পোলা। ওদিকে ফার্মিওন শিকদারের ২৪ টা মেয়ে। মেঝ আর সেঝ মেয়ে প্রোটন আর নিউট্রন এই ফ্যামিলির মেয়ে.
................................................................
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
তো আমরা আবার টপিকে ফিরে আসি। আমাদের দরকার ডিম ফাটার ঘটনার সাক্ষী। তো দুই ফ্যামিলিতে আমাদের হাতে ২৪+৬=৩০ টা সাক্ষী আছে। যদিও স্ট্যান্ডার্ড মডেলে ২০ জনের ঠাই হইছে। বাকিরা পাত্তা পায় নাই। সে ভিন্ন আলোচনা। তো ফোটনের উপর এত অত্যাচার কেনো করতেছি আমরা? কোয়ার্ক, লেপ্টোন, গ্লুয়ন, নিউট্রিনো এরা কি দোষ করছে? আমরা কি জেমস ওয়েবের মত চৌধুরী আর শিকদার বাড়ীর বাকি ছেলেমেয়েগুলোকে ধরার জন্য আলাদা আলাদা ডিভাইস বানাতে পারি না?? আচ্ছা-ধরা যাক-বানাইতে পারলাম।
কোন লাভ আছে?
ফোটনকে ত রিমান্ডে নিয়ে রেড শিফট, হাবলের সুত্র এইসব অস্ত্রের ভয় দেখায়া বিলিয়ন বছরের হিসাব বের করতেছি। কিন্তু আগেই বলছি এই ফোটন মুরুক্ষগুলা ৪ লাখ বছর ধরে মারামারিই করে গেছে। । কিন্তু বিগব্যাঙ্গের পর পর ই কিন্তু তৈরি হইছিল লেপ্টোন, এক্স বোসন, ওয়াই বোসন, আপ কোয়ার্ক, ডাউন কোয়ার্ক ইত্যাদি। কিন্তু সমস্যা হইলো এরা হয় মৃত্যু বরন করছে নয়ত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটীক ফিল্ড , হেন তেন ভুগিচুগি ফিল্ডে ঢুইকা ভার্জিনিটী হারাইছে, নয়ত প্রোটন, নিউট্রন, ইলেক্ট্রনে রুপ দান করছে।
কিন্তু !সিনেমার ক্লাইম্যাক্স এখনো বাকি। এই বিশৃংখলার মধ্যেও একজন কিন্তু বলছে- ম্যায় ঝুকেগা নেহি সালা! আমাদের এই রকি ভাই হচ্ছে শ্রীমান " নিউট্রিনো " ।
.....................................................................
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
তো আমাদের এই হিরো আসলে বাহুবলীকেও হার মানায়। ডিম ফাটার পরপরই ফোটনরা বেরিয়ে আসতে না পারলেও, নিউট্রিনো বেরিয়ে আসতে পেরেছিল বিগ ব্যাং-এর পরেই। এই ব্রহ্মাণ্ডে চলার পথে কোনও কণা, কোনও মহাজাগতিক বস্তুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
সবল নিউক্লীয়, মহাকর্ষ, তাড়িতচুম্বক-কোন বলকেই নিউট্রিনো পরোয়া করে না। আমার থেকেও বেশি ইন্ট্রোভার্ট এরা। খুব দুর্বল মহাকর্ষীয় ব বল আর দুর্বল নিউক্লীয় বল ই যা একটু হাতে পায়ে ধরে তাদের সাথে মিল মহব্বত করতে পারে আর কি।
/
বাজারে অনেক গুজবের একটা নিউট্রিনো নাকি আলোর থেকে বেশি বেগে ছুটে।এন্টার্টিকায় তাই ডিটেক্টর বসাইছে বিজ্ঞানীরা। লাভ কি! সুর্য, তারা, ব্ল্যাক হোল, গ্রাভিটি যারে থামাইতে পারে না তারা আটকাবে দুই টাকার বিজ্ঞানীর তৈরি এক টাকার ডিটেক্টর/ রিসিভার! ফলাফল কয়েকখান নিউট্রিনো ধরতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের অবস্থা এখন
অনন্ত জলিলের ডায়লগ ডেলিভারির মত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.