নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিপদজনক ব্লগ

কৌশিক

নিদারুণ প্রহসনের দিনগুলি

কৌশিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগুণের পরশমনিতে ফাহমিদুল হক ও তার সাহিত্যের সুবাস

১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭

বাংলাপিডিয়ায় সমসাময়িক একুশজন ছোটগল্পাকারের লেখার বিষয়, বৈচিত্র ও ভাষা-তে বিপ্লবাত্মক ব্যঞ্জনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে; ফাহমিদুল হক যাদের মধ্যে অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংবাদের নাড়ীনক্ষত্রের জ্ঞান বিতরণ করার পেশায় সম্পৃক্ত বলে লিখতে হয় অবিরত - কিন্তু তার সাহিত্যের আচ্‌কান প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া থেকে গণউন্মুক্ত ব্লগভূমেও জায়গা করে নিয়েছে বিপুল জেল্লায়।



ওয়েবের দিকে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকদের ঝোক্‌ নতুন কিছু নয়। ২০ শে আগস্টের ছাত্র বিক্ষোভের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপরে নেমে আসা সরকারী নির্যাতনের বিরোধিতা করে ফাহমিদুল হকের মানুষনেটওয়ার্কে প্রকাশিত চমৎকার নিবন্ধগুলো চিন্তাশীলদের ভাবনাকে পরিশীলিত করেছে।



সামহোয়ারইনে কফিলেফটের প্রবক্তা ফাহমিদুল হকের ব্লগীয় অংশগ্রহণ অনেক বেশী তাত্ত্বিক বিশ্লেষণধর্মী। ব্লগ মাধ্যমটি তার অধ্যয়ণের পাঠশালা বলে হয়তো লেখনীর শক্তিমত্তায় স্পষ্ট হতে থাকে ব্লগীয় সমসাময়িক উত্তেজনাময় ঘটনার নাতিদীর্ঘ পর্যালোচনা। আগুণের পরশমনিতে ফাহমিদুল হক আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন; সঙ্গে সাহিত্যের সুবাস তো থাকছেই ষোলোআনা!

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +১১/-১

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮

কৌশিক বলেছেন: প্রথমে ধন্যবাদ এবং একটু ভারিক্কী "আনসারটেন" অজুহাত না দেখিয়ে বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ব্লগে প্রকাশিত মতামতের জন্য বিশ্বের নানা দেশে ব্লগারদের উপরে বিভিন্ন ধরণের খড়গ চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্লগগুলিতে প্রকাশিত মতামতের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ব্যাকড একটা সরকার এখনও তেমন অসহিষ্ণু আচরণ করেনি (যদিও তাসনিম খলিলকে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ধরা যায়, যেহেতু তার আর্টিকেল সিএনএনের কল্যাণে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছিল বলে সরকারের ক্ষোভ) যদিও ব্লগে প্রকাশিত স্পর্শকাতর লেখা দিনদিন বেড়েই চলছে। এই লক্ষণ বিচারে এই সরকার আমলে মতপ্রকাশের স্বাধীণতাকে আসলে কিভাবে দেখছেন?

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৭

মামু বলেছেন: দাদা কি নিয়া পুষ্ট দিল বজলাম না, আবার মন দিয়া পড়তাচি...

তার পর মন্তব্য করুম....

একন মাইনাচ দিয়া যাই,

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮

মামু বলেছেন: ভূলে পিলাচ ছিটাইয়া দিচি.....

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:০৪

প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: শুভেচ্ছা প্রশ্ন....

১. ক্যামন আছেন?
২. ব্লগ কি সাহিত্য চর্চার অন্তরায়? (মূলত সাহিত্য চর্চাকে আমরা যেই ছকে দেখে অভ্যস্ত ব্লগ এ তো সেই রিয়েল ফ্লেভার নেই... আর তাছারা আমরা যা মনে আসে আবলতাবল লিখার কারনে লেখার ভিড়ে ভাল লেখা হারিয়ে যায়)
৩. আপনার কি মনে হয় নেট জেনারেশনের হাত ধরে বই এর কাগজের বিলুপ্তি প্রায় অবস্যম্ভাবী? উত্তর হ্যা/না হৈলে ক্যান?

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:১৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কৌশিক আহমেদকে ধন্যবাদ।
আমার ওপরে আপনার লিখিত ভূমিকা আমাকে লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে।
কয়েকটি তথ্য সংশোধন করা দরকার।
১. রিফাত ফাতিমার ফিচারটি লিখিত হয়েছিল সম্ভবত ২০০৩ সালের দিকে। তখন আমি সাইবার ক্যাফে ব্যবহার করতাম। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যান চালু হলে আমি অফিসে নেট ব্যবহারের সুযোগ পাই।
এখন দেশের বাইরে আছি, বাসাতেই ইন্টারনেট ব্যবহার করি।
সামহোয়ারে রেজিস্ট্রেশন করি বিদেশে আসার অবকাশে/পরে।
২. মানুষনেটওয়ার্ক-এর মডারেটর সেলিম রেজা নিউটন। ওটার একজন নিয়মিত সদস্য আমি, তবে উদ্যোক্তা নই।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬

ফাহমিদুল হক বলেছেন: প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব-র উত্তরে:
১. ভালো আছি।
২. ব্লগ সাহিত্যচর্চার অন্তরায় নয়, সম্পূরক/সহযোগী। এখনও মুদ্রণমাধ্যমের লেখকেরা ব্লগকে পুনঃপ্রকাশ-এর স্থল হিসেবে দেখছেন বলে মনে করছি। আর নতুন লেখক/কবিদের জন্য এটা একটা বড়ো সুযোগ। তবে উভয়ের জন্যই তার চাইতে বড়ো কথা এখানে সম্পাদকীয় কাঁচির অনুপস্থিতি ও মিথস্ক্রিয়ামূলক প্রকৃতি। মুদ্রিত মাধ্যমে কেউ লেখাটি পড়েছেন কিনা, কেমন লেগেছে তা জানার উপায় থাকেনা। কিন্তু এখানে সরাসরি পাঠকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। এর চেয়ে আনন্দের কিছু আর হতে পারেনা। মঞ্চছাড়া টিভিতে খ্যাত/ব্যস্ত অনেক অভিনেতার মুখে যে আফসোস শোনা যায়, মঞ্চের মজা টিভিতে নেই। দর্শকের সরাসরি প্রতিক্রিয়া মঞ্চে পাওয়া যায়।
৩. বইয়ের বিলুপ্তি হবার কোনো সম্ভাবনা নেই, আগামী ৫০ বছরে অন্তঃত। টিভি-কেবল-ডিভিডি আসার পরেও যেমন প্রেক্ষাগৃহের চলচ্চিত্রের বিলুপ্তি হয়নি। এক মিডিয়া-বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, যতদিন না কম্পিউটারকে ভাঁজ করা যাচ্ছে ততদিন সংবাদপত্রের বিলুপ্তির সম্ভাবনা নেই। অবশ্য তিনি যখন একথা বলেন তখন ল্যাপটপ এত সহজলভ্য হয়নি। তাই কথা প্রতীকী অর্থে আমি বলছি। ল্যাপটপকেও তো ডেস্কটপের মতো ওপেন করতে হয়, সাইট এড্রেসে যেতে হয়, আরও কত কী! আর ভাঁজ করা সংবাদপত্রের কথা ভাবুন তো!

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২০

কৌশিক বলেছেন: সামহোয়ারইন বাংলাদেশের প্রথম কমিউনিটি বেইজড ব্লগিং প্লাটফর্ম। লিখিত মাধ্যমে ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা ভাষার প্রচারে এর ভূমিকা অতুলনীয়। নতুন নতুন লেখক তৈরী, সামাজিক বৈসম্য ও নানাবিধ ইস্যুজে এর সদস্যরা সরাসরি সম্পৃক্ত হন। ওয়েবমিডিয়াতে সামহোয়ারের প্রভাবের ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয়গুলো বলবেন?

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কৌশিকের প্রশ্ন: "এই সরকার আমলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আসলে কিভাবে দেখছেন?"

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু তাসনীম খলিলের ক্ষেত্রে নয় আরও অনেক ক্ষেত্রে খর্বিত হচ্ছে/হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো স্বসেন্সরে এতটাই দক্ষ হয়ে উঠেছে যে খড়্গ নামাতে হয়না। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ-গ্রেফতারের সময় দেখেছি যে অনেক কথাই লেখা যায়নি। আমার নিজের প্রথম বিক্ষুব্ধ লেখাটি পত্রিকা ছাপায়নি। পরে অবশ্য অনেক কায়দাকানুন করে এই ইস্যুতে লেখার বিষয়টি রপ্ত করেছিলাম। আলপিনের ঘটনাটাও একটা উদাহরণ। টকশোর কথকরাও নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেননা।

তবে মালয়েশিয়ায় এসে বুঝতে পারছি আমাদের মিডিয়া অপেক্ষাকৃত স্বাধীন এবং প্লুরাল। এখানে মিডিয়া-মালিকপক্ষ-সরকার একইসুরে কথা বলে। এখানে ব্লগ ছাড়া অনত্র ভিন্নমত পাওয়া যায়না।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কৌশিকের প্রশ্ন: "ওয়েবমিডিয়াতে সামহোয়ারের প্রভাবের ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয়গুলো বলবেন?"

ওয়েবমিডিয়াতে সামহোয়ার পথিকৃৎ, এই কৃতিত্ব তার পাওনা। সামহোয়ারের গ্রাফিকাল উপস্থাপনা ও ফিচারগুলো চমৎকার। তবে সামহোয়ারের মডারেশন-পদ্ধতি প্রায়ই নানা অঘটনের জন্ম দেয়। আর এখানকার লেখকদের আরও বেশ খানিকটা সংহত, যুক্তিবান হওয়া দরকার। মানসমৃদ্ধ অনেক লেখা/পোস্ট এখানে আছে, তবে গোটা আয়তনের তুলনায় তা বেশ কমই হবে বলে আমার মনে হয়।

নিক এবং অন্যান্য কারণে সামাজিক কমি্উনিটির তুলনায় সামহোয়ার কমিউনিটি বেশ খানিকটা বিশৃঙ্খল, লাগামছাড়া। মানবমনের অবচেতনের স্খলন এখানে বাধাহীনভাবে প্রকাশিত।

অনেকে বলেন সামাহোয়ার হলো সমাজেরই প্রতিফলন, আমি বলি সমাজের চাইতে আরও খানিকটা উৎকটিত।

তবে ব্লগ হলো প্রতিরোধের জন্য, বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ তোলার শ্রেষ্ঠ জায়গা। মানে আপনি এখানেই কোনো সম্পাদকীয় কাটাকুটি ছাড়া স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করা যায়।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯

কৌশিক বলেছেন: আমি অবশ্য ব্লগ বা ওয়েব মিডিয়াতে প্রকাশিত নিবন্ধের সূত্রে নির্যাতনের একটা মাত্র দৃষ্টান্তের কথাই জানি; তাসনীম খলিল। এ ছাড়া আর কারো নাম ও স্বাধীনতা খর্বের বিষয়টা কি একটু বিস্তারিত বলবেন?

সংবাদমাধ্যমগুলোর এই স্বস্পন্সর কি সরকারী চাপে আরোপিত? প্রিন্স হ্যারি আফগানিস্থানে বৃটিশ আর্মীর হয়ে নিযুক্ত হলে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিশ্বব্যাপী সে খবর গোপন করেছিল। এটাও স্বসেন্সরের একটা দৃষ্টান্ত। এখানে বৃটিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো দেশের স্বার্থের জন্য স্পর্শকাতর বিষয়টি প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের এই স্বস্পন্সরের বিষয়টাকে কি দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য নাকি মিডিয়ার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য? মোদ্দাকথা এই স্বস্পন্সরের পেছনে সংবাদমাধ্যমগুলোর কি কারণ আছে বলে মনে করেন?

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কৌশিকের সঙ্গে আলোচনা:

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তো কেবল শারীরীক নির্যাতনের মাধ্যমে খর্বিত হয়না। এই সংক্রান্ত আমার একটা লেখা পড়ার অনুরোধ রইলো (দুটো পোস্ট আকারে রয়েছে লেখাটা):
Click This Link
Click This Link
স্বসেন্সরটা টিকে থাকার জন্যই, দেশপ্রেমের কোনো বিষয় এখানে নেই। আরোপিত সেন্সরশিপের চাইতে স্বসেন্সর মারাত্মক। মার্কিন বা ব্রিটিশ মিডিয়ার জন্য বিষয়টা খানিকটা ভিন্ন: ওখানে সরকার=মিডিয়া মালিক=বহুজাতিক কোম্পানি=পররাষ্ট্রনীতি। তাই ইরাকে আক্রমণ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত পালন করে মিডিয়া। ওখানে সেন্সরের কথা তেমন শোনা যায়না, কিন্তু সেন্সর আছে 'ফ্রি মিডিয়া'র বাতাবরণে। বাজারসংষ্কৃতি ও পররাষ্ট্রনীতির সমর্থনের জন্য মার্কিন মিডিয়া জনগণের সম্মতি উৎপাদনের দায়িত্ব পালন করে। এজন্য চমস্কি ও হারম্যানের বিখ্যাত বইয়ের নাম 'ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট'।

তবে নব্বইয়ের পরে বাংলাদেশেও মিডিয়া মালিক=ব্যবসায়ী=সরকার (পুরোপুরি নয়)। সরকারের লোকজন কিছু মিডিয়ার মালিকানায় থাকলেও কিছু মিডিয়ার মালিক সরকারের বাইরের লোক থাকে। তাই নব্বইপূর্ব 'সরকারবিরোধী' মিডিয়ার উত্তেজনা এখনও মিডিয়া ও সরকারের মাঝে টেনশন তৈরি করে। সেন্সর আরোপ ও স্বসেন্সর উভয়ই এই টেনশনের কারণেই হয়ে থাকে।

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:০১

কৌশিক বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ-গ্রেফতারের সময় আপনার নিজের প্রথম বিক্ষুব্ধ লেখাটি পত্রিকা ছাপায়নি। পরে অনেক কায়দাকানুন করে এই ইস্যুতে লেখার বিষয়টি রপ্ত করেছিলাম। সেই কায়দাকানুনগুলো যদি একটু বিস্তারিত বলেন?


দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আহত হতে পারে এমন মতপ্রকাশকে উন্মুক্ত রাখা ঠিক নয়, অনেকে বলে। আলপিনের ঘটনাটার উদাহরণ দিয়ে আবার অনেকে বলে এই কার্টুন সংখ্যাগরিষ্ঠকে আদৌ আহত করেনি। ধর্মবাজদের উদ্দেশ্যমূলক প্রচারে সংখ্যাগরিষ্টের মধ্যে প‌্যানিক তৈরী হয়েছে। মত প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্টের পছন্দ/অপছন্দ কি বিবেচনাযোগ্য হওয়া উচিত? মানে ঠিক কি নীতিমালা এক্ষেত্রে গ্রহণীয় হতে পারে?

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:১১

কৌশিক বলেছেন: টকশোর কথকদের নির্ধারিত সীমা বিষয়ে আমি একটু আলাদা পর্যবেক্ষণের কথা বলবো। একুশে টিভি, এনটিভি, আইসহ বিভিন্ন চ্যানেলে মিডনাটট টকশোগুলোতে বেশ কঠোর সমালোচনাই দেখলাম কয়েকদিন। তবে সময়টা কিন্তু রাত বারোটা/একটা এমন। তবে আপনি কি টকশোতে বক্তব্যের জের ধরে কোন হয়রানীর অভিযোগের কথা বলতে পারবেন?

মালয়েশিয়ার তুলনায় আমাদের মিডিয়া অপেক্ষাকৃত স্বাধীন এবং প্লুরাল। উন্নয়নের জন্য মিডিয়া-মালিকপক্ষ-সরকারের একইসুরে কথা বলা জরুরী বলে কি মনে হয়? পত্রিকার সম্পাদকদের যখন এই সরকার পজেটিভ নিউজ করার জন্য বলে, যেন চালের দাম নিয়ে প‌্যানিক তৈরী না হয় - সেক্ষেত্রে এই বক্তব্যতো আপাতদৃষ্টিতে জনকল্যাণমূলকই মনে হয়! আশঙ্কার সম্ভাবনা একদম উচ্চারণ না করা কি আসলে জনগনের জন্য মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসতে পারে?

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২১

রুদ্র আনোয়ার বলেছেন: সালাম জানবেন আমার ।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ওপরের মন্তব্যে 'ডেনিশ' না হয়ে 'ডাচ' হবে।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: সালাম জানলাম রুদ্র আনোয়ার।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কৌশিককে: আমি গত ৯/১০ মাস টকশোগুলো দেখছি না।
তবে আমার মনে হয়, মধ্যরাতের এই উত্তেজনা শিথিল হয়ে আসা জরুরি অবস্থা ও সরকারের 'জাতির গ্রহণকালের বিবেক' ইমেজ পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।

একজন উচ্চকণ্ঠ কথক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপরে আরোপিত মৌখিক নিষেধাজ্ঞার কথা রেহনুমা আহমেদের ওয়েবভিত্তিক লেখার সুবাদে শুনেছিলাম। তিনি সম্ভবত আরও একটি কেসের কথা লিখেছিলেন।

নির্বিবাদী উন্নয়নের জন্য মিডিয়া-মালিকপক্ষ-সরকারের একইসুরে কথা বলা অনেক সময় কাজে দেয়। কিন্তু ঐ সরকার বা মিডিয়ার সততার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে। তবে এই 'উন্নয়ন' প্রক্রিয়ায় পরিবেশ বিপর্যস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে, সরকারপক্ষের লোকজনের দুর্নীতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে, প্রান্তিক জনগণের বিপর্যেয়র খবর আদৌ কারও কাছে না পৌঁছার সম্ভাবনা থাকে। মালয়েশিয়ায় একারণেই রেসিয়াল ডিসক্রিমিনেশন আছে। প্রতিবাদ হয়না কারণ, প্রতিবাদ করার ভাষাই কারও জানা নেই। ইদানীং প্রতিবাদ হয়, বিগত নির্বাচনে তার প্রতিফলনও দেখা গেছে।

চালের দাম পত্রিকায় বেশিমাত্রায় ফোকাস হবার কারণে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে ঠিকই, তবে সরকারকে তা কার্যকর পদক্ষেপ নেবার ক্ষেত্রে চাপের মুখেও রাখছে। সরকারের আন্তরিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের খবর পত্রিকা নিজ দায়িত্বেই করবে কেন যখন সরকার অন্য অনেক জায়গায় নানা অনিয়ম অন্যায় করে থাকে। সরকারের প্রেস রিলেশন বিভাগগুলোর দায়িত্ব সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোকে সামনে নিয়ে আসা। প্রপাগান্ডামূলক প্রেসরিলিজ দিয়ে সেই কাজ হয়না।

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩

মাইনুল বলেছেন: do you support teacher's politics at the university? The way teachers are doing politics in our country , is very dirty and shameful. They are divided in different political ideology and involved in politics like tred-union. I saw in the newspaper that teachers were swearing at each other with abusive language. They are accused of ignoring their duty because they are more involved in politics. They are not sincere to solve the session jam or other problems of the students.

Some teachers act like the advisor of the student leaders and these student leaders are terrorist, extortionist and rapist. There were some accusations where teachers gave more marks to the students who supports their ideology and sometimes even make them teacher. These teachers do not take any actions against those students who are involved in different destructive activities because these students are supporter of their ideology. When teachers behaves like that do you think students who do not believe in those teachers ideology will respect those teachers ?

All over the world, university teachers are not involved in politics. why in Bangladesh ? what do you think about that?
Moreover , other govt or autonomous body (like city corporation) staff can not do politics. why teachers ?

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৫

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: কৌশিক তো দেখি কঠিন কঠিন প্রশ্ন করে। বুদ্ধিজীবী হিসাবে কৌশিকের ভবিষ্যত উজ্জ্বল বুঝা যাইতেছে।

২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদের মন্তব্যে হাসি।

২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৮

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
অলটারনেটিভ মিডিয়া হিসেবে সামহয়ার নিয়ে আমি আগাগোড়া আশাবাদী। আপনি একজন মিডিয়া পর্যবেক্ষক। আবার সামহয়ারে একজন ইনসাইডার। বিকল্প মিডিয়া হিসেবে সামহয়ার কীভাবে অ্যাক্ট করছে। করছে কী?

২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাইনুলকে বলছি:

একুশে ফেব্রুয়ারি, পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবস ইত্যাদি যাবতীয় জাতীয় অনুষ্ঠান উদযাপিত হয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে। ২৫ মার্চ রাতের ক্র্যাকডাউন হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে। পৃথিবীর কোথাও জাতীয় রাজনৈতিক সবগুলো ঘটনাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেনি।

তাই সারা বিশ্বের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা করলে চলেনা, সম্ভবত। কিংবা এই সরকারের বিরুদ্ধে যে একমাত্র বিক্ষোভ, যা জনমতেরই প্রতিফলন বলে বিবেচিত, তাতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই ঘটে।

সরকারে যদি স্বচ্ছতা না থাকে, সমাজে যদি ন্যায়বিচার না থাকে, প্রশাসনে যদি দুর্নীতি থাকে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো কাউকে কাউকে করতেই হবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, তাই ছাত্রদের পড়াশুনা বাদ দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। মৌলিক জায়গায় পরিবর্তন আনেন, সরকারে ট্রান্সপারেন্সি আনেন, ছাত্ররাও চুপচাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে হয় পড়বে বা আড্ড দিবে। শিক্ষকরাও একই কারণে মাঠে নামেন।

আপনি যে-ট্রেড ইউনিয়নমার্কা শিক্ষক রাজনীতির কথা বললেন, তার বিপক্ষে আমিও। কিন্তু ভিসি নিয়োগটা থেকেই ধরেন, সরকার নিজের লোক বসায়। সেই লোক সরকারী দলের লোক ঢুকায়, সেই লোক শিক্ষক হয়ে আগে বাসা পায়, স্কলারশিপ পায়। শিক্ষকদের বেতন বেশিরভাগ দেশে আলাদা স্কেলে দেয়া হয়। আর ১০ হাজার টাকা বেতনে যে শিক্ষক চাকরি শুরু করবেন তিনি কোথায় থাকবেন, খাবেন কী? তার যদি একটা পারিবারিক দায়বধ্যতা থাকে, তাহলে কী করবেন তিনি? তাই বাসাটার জন্য, এটা ওটার জন্য তিনি রাজনীতি করেন।

ওপর থেকে শুরু করতে হবে, ভিসি নিয়োগ, শিক্ষকদের আবাসন-বেতন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ল্যাবে জিনিস নাই, কী গবেষণা হবে? বই কেনার টাকা নাই, কী পড়ানো হবে?

স্বায়ত্তশাসন সঙ্কুচিত করাটার উদ্দেশ্য ভিন্ন -- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেসরকারীকরণের দিকে ঠেলে দেয়া। তাতে গরিবরে সন্তান আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেনা। স্বায়ত্তশাসন আছে বলেই শিক্ষকতা করি, টাকাপয়সা নাই, আছে স্বাধীনতা। দলবাজি করিনা, স্বাধীনভাবে বলতে লিখতে চাই। চাকর মনে হয়না নিজেকে। দলবাজি না করলেও যে শিক্ষক নীল-সাদা করার পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন, তাদের কাউকে কাউকে আমি শ্রদ্ধাও করি। কিন্তু যিনি কেবলই দলবাজি করেন, তাকে আমি ঘৃণা করি।

শিক্ষক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ মানে দলীয় লেজুড়বৃত্তি বন্ধ, সেটা হোক। কিন্তু শামসুন্নাহার হলে পুলিশী নির্যাতনে সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে প্রতিরোধ করেছিল, সেটাও রাজনীতিই। সেই অধিকার কেড়ে নেয়া হলে এই বন্ধে আমি নেই।

২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ, সামহোয়ারের শক্তি অপচয় হচ্ছে। সেটা কর্তৃপক্ষ ও ব্লগার উভয় পক্ষ মিলেই করছে।

২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮

ইয়র্কার বলেছেন: ক) বুদ্ধিজীবী জিনিসটা আসলে কি? আপনি কি নিজেকে বুদ্ধিজীবী মনে করেন? কেন, বা কেন নয়?

খ) আপনি সাহিত্যিক, এটা জানতাম না। কৌশিকের এই পোস্টে জানলাম। একজন ভালো সাহিত্যিকের সমাজ সচেতনতা কোন পর্যায়ে থাকা উচিত? সমাজের জন্য কতোটুকু স্যাক্রিফাইস করা সম্ভব? এ বিষয়ে আপনার চিন্তা এবং তার বাস্তবায়ন কতোটা হয়েছে? ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

গ) তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের মাঝে অন্যদের বুদ্ধিকে খাটো ভাবার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। এর কারণ কি বলে মনে করেন?

ঘ) আপনার চশমার পাওয়ার কতো? সবসময় ব্যাকআপ চশমা কাছে রাখেন?

ঙ) বস্তির যেসব লোক লোকাল বাসে পকেট মেরে তাই দিয়ে তাড়ি খায় আর পার্লামেন্টের যেসব লোক বিদেশী কোম্পানির সাথে দেশকে বাঁশ দেয়ার চুক্তি করে সেই টাকায় থাইল্যান্ডে যায় ছুটি কাটাতে - এদের কার সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি?

চ) বস্তির গালিবাজ, ব্লগের গালিবাজ এবং পার্লামেন্টের গালিবাজ - এদের সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কি? এর পাশাপাশি আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছে বা ভাতের বদলে আলু খান ফতোয়া দেয়াদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি? ব্লগের ৫ জন সেরা গালিবাজের নাম বলার মত সৎসাহস কি আপনার আছে? থাকলে, বলুন।

ছ) গালিবাজ এবং ভন্ডদের মধ্যে বেসিক পার্থক্য কি? ব্লগের ৫ জন ভন্ডের নাম বলতে পারবেন?

জ) বাংলাদেশের রাজনীতির নিকট ভবিষ্যত কি? জামাত আর কত বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতায় যাবে বলে আপনি মনে করেন?

ঝ) যতদূর মনে পড়ে, আপনি আমার সাথে একমত হয়েছিলেন যে, আপনিও জামাতের রাজনীতি ব্যানের পক্ষে। জিয়াউর রহমান জামাতকে রাজনীতি করার অধিকার কোন উদ্দেশ্যে দেন বলে আপনি মনে করেন? বিষয়টা কি স্বাধীনতার চেতনার সাথে কনফ্লিক্টিং নয়?

ঞ) এবার আরেকটি সাধারণ সুশীল নিয়ে প্রশ্ন। সুশীলরা সাধারণত বলে থাকেন, ৩৭ বছর আগেকার স্বাধীনতা নিয়ে মাতামাতি না করে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে - এই 'দল' এর মধ্যে জামাতও আছে, এই 'সবাই' এর মধ্যে রাজাকারও আছে - দেশ গড়তে হবে। বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? রাজাকার ও জামাতের পুনর্বাসনই কি বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে না? যারা একাত্তরের মত সময়ে যখন সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ, তখন জাতির সাথে বেঈমানী করতে পারে, তাদেরকে বিশ্বাস করে কাঁধে কাঁধ মিলানোর ফতোয়ায় আপনি কতোটা আশাবাদী?

অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুবকে, তবে সামহোয়ারকে নিয়ে আমিও আশাবাদী। বিশেষত মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার ব্যর্থতার বিপরীতে ব্লগ বা ওয়েবভিত্তিক মিডিয়াই শেষ ভরসাস্থল, মানবমুক্তির।

যেজন্য এখানে আসা।

২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৩১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ইয়র্কারের বিশাল প্রশ্নতালিকার প্রতি সাড়া দিয়েই লগ আউট করবো। রাতে আবার দেখা হতে পারে।

ক. বুদ্ধিজীবী শব্দটার শাব্দিক অর্থ তো যিনি বুদ্ধি/জ্ঞান বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এই নির্দেশক অর্থের বাইরে গূঢ়ার্থও আছে। বুদ্ধিজীবীরা তার বুদ্ধি দিয়ে সমাজ, সংষ্কৃতি, রাজনীতির দিকনির্দেশনা দেবেন, এটা কাম্য। আর বাংলাদেশে শব্দটি কখনও কখনও গালি অর্থেও ব্যবহৃত হয়। সুবিধাবাদী, জনবিচ্ছিন্ন বুদ্ধিজীবীদের কারণে এই সুযোগটা সৃষ্টি হয়েছে। আমি শাব্দিক অর্থে বুদ্ধিজীবী। যে-বইতে জ্ঞানের কথা লেখা থাকে সেইরকম কিছু জ্ঞানের কথাসমৃদ্ধ বই পড়ে আমি ছাত্র পড়াই।

খ. সমাজসচেতনতা সাহিত্যিক হবার একটি অন্যতম পূর্বশর্ত। এটি যত বেশি থাকবে ততই সুসাহিত্যিক হবার সম্ভাবনা। সমাজের জন্য সাহিত্যিকের স্যাক্রিফাইস খুব বেশি থাকার সম্ভাবনা নাই। তবে তার ব্যক্তিজীবনে অনেক ত্যাগস্বীকার করতে হতে পারে: এক, আর্থিকভাবে অনুৎপাদনশীল পেশা (অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে) দুই. পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নিন্দা/অসহযোগিতা তিন. ভালো লিখতে/আদৌ লিখতে না পারার কষ্ট চার. একটি লেখা না প্রসব হওয়া পর্যন্ত বয়ে বেড়ানো যাতনা। তবে তৃপ্তিও আছে: ১. লিখে ফেলতে পারার আনন্দ ২. পাঠকের প্রতিক্রিয়া ৩. পুরস্কার ইত্যাদি।

গ. এটা হতে পারে। কারণ তার বিবেচনায় অন্যের বুদ্ধিকে খাটো মনে হয়। তবে সেটার প্রকাশ প্রকটিত না হলেই ভালো।

ঘ. চশমার পাওয়ার সর্বনিম্ন। ঋণাত্মক, দশমিক দুই পাঁচ। ব্যারাম হলো চোখে ব্যথা করে, চশমা ব্যবহার করলে তা চলে যায়। ব্যাকআপ চশমার প্রশ্নই আসেনা। ব্যাকআপ চশমা সম্ভবত আর্থিক সঙ্গতির সঙ্গেও জড়িত, আমার জানা নেই।

ঙ. মানসিকভাবে আমি ঐ বস্তিবাসীর সঙ্গে থাকি। শারীরিক ভাবে দুই পক্ষের কারও সঙ্গে থাকা হয়না।

চ. বস্তির গালিবাজ ও ব্লগের গালিবাজের গালির কোয়ালিটি একই মনে হয়, তবে একটি ওরাল আরেকটি রিটেন। তবে ব্লগের গালিবাজের তুলনায় বস্তির গালিবাজেরা সৎ। কারণ তার দ্বিতীয় ভদ্ররূপ নাই। সেতুলনায় পার্লামেন্টের গালিবাজরা মেকি। গালিবাজ অনেকের নামই বলা যায়, কিন্তু সেরা ৫ নির্বাচন সম্ভব হচ্ছেনা।

ছ. গালিবাজরা প্রকাশিত, ভণ্ডরা অপ্রকাশিত। সেরা ভণ্ড নির্বাচনও সম্ভব হচ্ছেনা।

জ. আমার মনে হয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ কিছুটা ভালোই। দুই দলের শিক্ষা হয়েছে ওয়ান ইলেভেনে। জামাত প্রধান দল হতে পারবেনা কখনোই। সে যদি কেবল ইসলাম নিয়ে আসতো তাতেও কাজ হবেনা, বাড়তি আছে স্বাধীনতাবিরোধিতা। জাতীয় নির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির সংখ্যা তাদের ধারাবাহিকভাবে খুব একটা বাড়েনি।

ঝ. জিয়াউর রহমান যখন ভাবলেন নতুন দল করবেন, সচেতনভাবেই তিনি স্বাধীনতাবিরোধী ও ইসলামপন্থীদের কাছে টেনেছেন, এটা তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের উল্টোরূপ।

ঞ. জামাত দেশের একমাত্র কিংবা প্রধান সমস্যা নয়। তবে জামাতের রাজনীতি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্য একটা বাধা। পরিবর্তিত জটিল বিশ্বপরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অনেক ইস্যু সামনে চলে এসেছে (যেমন জি এইটের স্বার্থানুকূল বিশ্বায়ন)। এগুলোকে মোকাবেলা করা আশু কর্তব্য। ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে মোকাবেলা করা চলমান কর্তব্য।

২৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১২

মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
শক্তির অপচয় রোধ করা যায় কীভাবে?

২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২৭

মাইনুল বলেছেন: Thanks very much for your thoughtful answer although I am not 100% satisfied. Now I am going to talk to you with another issue.
Why are our universities depending on the govt fully for the funding ? They have got lots of assets. Why don't they utilise those assets and raise some funds. That way the govt can save some money from the budget and spend that money on primary education or on research. For example, I think at Dhaka university the commerce faculty started a evening program and raised a lot of fund.
I think if Dhaka university does a agreement with any leading real estate company and share the land , the problems of lack of residence for the teachers and students could be solved.
What do you think about all this ? Some people think that way the education will be commercialised but what is wrong if university raise fund for themselves without affecting the general students fees ?

২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুবের প্রশ্নের উত্তর অল্প কথায় দেয়া যাবে, মাইনুলের পরের কমেন্ট নিয়ে অনেক কথা বলতে হবে। তাই মাহবুবকে কিছু বলেই লগ আউট করছি।

মাহবুবকে: একটা হতে পারে ব্লগের মাহাত্ম্য নিয়ে যদি ব্লগাররা একটু ভাবেন। কেন আমরা এখানে এসেছি। বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ তুলতে? বন্ধুর সংখ্যা বাড়াতে? আত্মপ্রচার করতে? ফান করতে? কর্তৃপক্ষই বা ব্লগারদের কাছ থেকে কী চান? এটা চালূ তারা কী উদ্দেশে করেছিলেন? সেই উদ্দেশ্য কি অর্জিত হয়েছে/হচ্ছে?

এই প্রশ্নগুলোর মধ্যেই এর শক্তিমত্তার দিকটি আবিষ্কার করা সম্ভব।

৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

হট্টগোল বলেছেন:

কর্তৃপক্ষবিহীন ব্লগ কতোটুকু সুবিধা দেবে ব্লগারদের? আপনি এর পক্ষে না বিপক্ষে?

৩১| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৬:১৪

নেমেসিস বলেছেন:
আপনার এমন ধীর স্থির থাকার রহস্যটা কি ?
রহস্যটা শেখাবেন কি সবাইকে ??

রাগ বা ক্রোধ জাতিয় কিছু কি ব্যক্তিগত জীবনে বোধ করেন না ?

৩২| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:১৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: হা হা নেমেসিস, সাধনা রে ভাই।

ক্রোধ আমারও আছে, তবে মাথার মধ্যে প্রোগ্রাম সেট করা আছে অটো প্রশমনের।

ক্রোধ বিনাশী। লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্ষতিকর।

এই সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করার পরপরই ক্রোধাক্রান্ত হয়ে একটা লেখা লিখি, সেটা ছাপতেই পারিনি। (ওপরে কৌশিকের সঙ্গে আলাপচারিতা পঠ্যব্য)

৩৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৩৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাইনুলের দ্বিতীয় প্রসঙ্গের উত্তরে:

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী বরাদ্দকে আমি যেভাবে দেখি:

একটি রাষ্ট্রযন্ত্র চালাতে কিছু মানবসম্পদ দরকার (প্রশাসক, বিজ্ঞানী, সেবক ইত্যাদি)। রাষ্ট্র এই মানবসম্পদ তৈরি করতে নিজের প্রয়োজনেই বিনিয়োগ করবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা এভাবেই এসেছে। ছাত্ররা একারণেই নামমাত্র বেতনে পড়াশুনা করবে। রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রজেক্ট দেবে, আমার এই এই গবেষণা করে দাও, আমি উন্নয়নে গবেষণার ফলাফল কাজে লাগাবো। বিশ্ববিদ্যালয় সেই প্রজেক্টগুলো শিক্ষকদের মধ্যে বরাদ্দ করবে। শিক্ষকরা কিছু গবেষণা-সহযোগী নিয়োগের মাধ্যমে এমফিল/পিএইচডি গবেষণার ছাত্র পাবে।

আপনি এই লাইনে একসময় ছিলেন। কিন্তু পরে রাজনীতিকরণ ও শিক্ষকদের জব স্যাটিসফেকশনের অভাবে শিক্ষা-গবেষণার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আর বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বরাদ্দ সঙ্কুচিত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল বাড়ানো যেতে পারে এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়েরই অবকাঠামো বা শিক্ষা-গবেষণার কাজে ব্যয়িত হতে পারে। কিন্তু সেই উদ্বৃত্ত ফান্ড প্রাথমিক শিক্ষা বা অন্য কাজে ব্যয় করার আব্দারটা অন্যায়। আর ফান্ড উদ্বৃত্ত হয় কীভাবে? বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো বৃদ্ধি আর গবেষণার সুযোগ বাড়ানোর কি কোনো সীমা-পরিসীমা আছে?

ঢাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টির ইভিনিং এমবিএর ফলে কিছু ছাত্র পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু ঐ প্রোগ্রামের সিংহভাগ টাকা শিক্ষকদের পকেটে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে অর্জিত আয়ের সামান্য শতকরা হারই যাচ্ছে। বিজনেসের শিক্ষকেরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ানোও বাদ দেননি (ইভিনিং প্রোগ্রামের আগে থেকেই তারা এটা করে আসছিলেন)। ফলে মূল প্রভাবটা পড়েছে নিয়মিত ছাত্রদের ওপরে।

যেজন্য দেখা যায় গবেষণার ক্ষেত্রে বিজনেস ফ্যাকাল্টির অবদান সামান্য। বিজ্ঞান, কলা বা সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষকদের অবদান সে তুলনায় অনেক বেশি।

মূল বেতনকাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আপনি যে জায়গা থেকে বেশি/সম্মানজনক বেতন পাবেন, মনোযোগ সেই জায়গাতেই বেশি পড়বে, স্বাভাবিক।


৩৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৩৩

এস্কিমো বলেছেন: হুমম..

প্রশ্নতো অনেক ছিলো। কিন্তু কোনটা আগে করি।

যাই হোক - আপনি সামহোয়ারে শক্তি অপচয়ের জন্যে ব্লগারদের দায়ী করেছেন। এটা কি ঢালাও মন্তব্য হয়ে গেল না?

আরেকটা প্রশ্ন - ২০২০ সালের বাংলাদেশকে আপনি কিভাবে দেখেন? একটা যুদ্ধাপরাধী মুক্ত, মৌলবাদ মুক্ত মধ্য আয়ের দেশ - যেখানে মত প্রকাশের জন্যে মানুষকে হত্যার হুমকী দেওয়া হবে না - যেখানে যাকে তাকে নাস্তিক-মুর্তাদ ঘোষনা করে মৃত্যুর পরোয়ানা দেওয়া হবে না। একটা সহনশীল সমাজ ব্যবস্থা আর অর্থনৈতিকবৈষম্য থাকবে না। এই রকমের একটা বাংলাদেশ কি আপনি দেখতে পান - ২০২০ সালের মধ্যে?



আপাতত শেষ প্রশ্ন - ব্লগে রাজাকারিতা আর ভন্ডামী বন্ধে আপনার পরামর্শ কি?

৩৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৩৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: হট্টগোলের প্রশ্ন: "কর্তৃপক্ষবিহীন ব্লগ কতোটুকু সুবিধা দেবে ব্লগারদের? আপনি এর পক্ষে না বিপক্ষে?"

ব্লগ এমনিতেই যথেষ্ট স্বাধীন। কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি বিশেষ পার্থক্য সৃষ্টি করবে না, ব্যান-উদ্ভূত পরিস্থিতি ছাড়া। এত মানুষ এখানে ব্লগিং করেন, একটা গাইডলাইন তো দরকার আছে। সেই গাইডলাইনের প্রণেতার প্রয়োজন সেকারণে।

৩৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৪৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: এস্কিমোর প্রশ্নে উত্তরে:

শক্তির অপচয় প্রসঙ্গ: আমি আসলে ব্লগারদের শক্তিমত্তাকেই নির্দেশ করেছি। আমরা আমাদের শক্তিমত্তাকে ঠিকঠাকমতো ব্যবহার করছি কিনা। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল একবার ভাই হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে বলেছিলেন, আমার একটি শক্তিমান স্টিল ক্যামেরা আছে, আমি সেটা দিয়ে চমৎকার সব আলোকচিত্র তুলতে পারতাম। তা না করে আমি বাচ্চাদের জন্মদিনের ছবি তুলে বেড়ালাম।

২০২০ সালের বাংলাদেশ: আমরা যদি এই মুহূর্তে একটা ভালো রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা করি, তবে তার ফল ২০২০ সালেও পাবোনা। সেই পরিকল্পনা এখনও হয়নি, আমার পর্যবেক্ষণে, তাই ২০২০ সালে খুব বেশি পরিবর্তন হবেনা। তবে হ্যাঁ, ২০২০ সালে বাংলাদেশ এখনকার চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে ভালো অবস্থানে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে সামাজিক অগ্রগতি নিয়ে আমি সন্দিহান (মৌলবাদমুক্ত, মতপ্রকাশে স্বাধীন)। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার পরোক্ষ প্রভাবে যদি তার অগ্রগতি হয় ...।

৩৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৪৪

আলম ভাই বলেছেন: ১। যা লিখেন সব কি শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে বলেন?
২। শিক্ষক পরিচয়ে না থেকে ছদ্মনামে থাক্লে কি আরো স্বাধিনবাভে লিক্তেন?
৩। ছাত্রদের কেউ ব্লগে আপ্নাকে তুইতোকারি করেছে?

৩৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৫০

ফাহমিদুল হক বলেছেন: এস্কিমোর উত্তরে:

রাজাকারিতা ও ভণ্ডামি: ব্লগে রাজাকারিতা বন্ধে আন্দোলন করা যেতে পারে যে, সামহোয়ার রাজাকারমুক্ত হউক। তবে ভণ্ডামিমুক্তি কীভাবে আসবে জানা নেই। রাজাকারিতার বৈশিষ্ট্য সুনির্দিষ্ট, ভণ্ডামির অনির্দিষ্ট।

৩৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৫৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: আলম ভাই, আপনাকে বলছি:
১। যা লিখেন সব কি শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে বলেন?

: ব্লগে অন্যত্র যখন লিখি, তখন আমার শিক্ষক পরিচয় তেমন মাথায় থাকেনা, ব্যক্তিগত ভাবনা বা লেখক পরিচয়টাই মাথায় ক্রিয়াশীল থাকে।

২। শিক্ষক পরিচয়ে না থেকে ছদ্মনামে থাক্লে কি আরো স্বাধিনবাভে লিক্তেন?

না।

৩। ছাত্রদের কেউ ব্লগে আপ্নাকে তুইতোকারি করেছে?

না। ছাত্র কেন, কেউই তুইতোকারি করেনন।

৪০| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৪৫

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ফ্যান্টাসী প্রশ্ন:
১. এখনই একদিনের জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভিসি হলে কি করবেন?
২. বোতলের ভেতর থেকে জ্বিন বের হয়ে এসে যদি বিএমডব্লু লেটেস্ট মডেলের গাড়ী আর বনানীর বিশাল ফ্ল্যাটের মধ্যে যে কোন একটি বেছে নিতে বলে, কোনটা নেবেন? কেন?


সিরিয়াস প্রশ্ন:
১. আপনি বললেন যে ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি বাড়াতে, তাহলে কেউ আর রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি (যারা যারা করেন আরকি) করবেননা। একই কথা কি পুলিশের একজন সদস্য অথবা অন্য যেকোন ডিসিপ্লিনের একজন সরকারী কর্মচারী/কর্মকর্তা বলতে পারেননা?

আপনার মতে এই বেতনবৃদ্ধি হয়ে কমপক্ষে কত হওয়া উচিত?

২. মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ কিভাবে হয়, আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি। মতবাদে, নাকি মতবাদের অনুসারীদের সংখ্যা যখন বেড়ে যায় তখন? যেমন, একই আমেরিকায় বসে বারাক ওবামা সুদান-দারফুর ইস্যুতে চীনা সরকারের নিন্দা করছে, বুশকে অলিম্পিকবয়কটের আহবান জানাচ্ছে, অথচ ইসরাইল-প্যালেস্টাইন ইস্যুতে আমেরিকার নিন্দা করতে পারছেনা -- এটাকে কি জনমতের চাপ মনে করেন?

মানবসভ্যতায় কোনদিন "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" কি আসলেই স্থাপিত হবে?


আপনি আমার খুব প্রিয় লেখক ... ইদানিং কম লিখছেন ... আরো বেশী বেশী লিখবেন আশা করি

৪১| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:১৭

কেএসআমীন বলেছেন: উপরের আলোচনা পড়লাম। ভাল্লাগলো।

একটি প্রশ্ন, ঢাবির টিউশন ফী যদি দুই হাজার টাকা হয় তবে কী অসুবিধা? গরীব মেধাবীরা তো একটা প্রাইভেট টিউশনী করলেই ২/৩ হাজার টাকা এমনিতেই আয় করতে পারে....

উচ্চ শিক্ষা প্রায় সব দেশেই ব্যয়বহুল। আমাদের দেশে নয় কেন?

৪২| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪৯

পথিক!!!!!!! বলেছেন:
জনাব বিশিষ্ট সাহিত্যক,
আপনে যে এত উপরের মানুষ, সাহিত্যিক ....আমরা ব্লগের অনেকেই তো আর আগে জানতাম না........
এখন জানলাম...এরপর
আপনার মাঝে কি কোন চরম আনন্দ এমন ভােব কাজ করিতেছে না যেমন সমুদ্র পাড়ে হঠাৎ করে অতি উঁচু হয়ে আসে দুএকটা ঢেউ?

৪৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০২

মাইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহমিদুল হক , আপনার সুচিন্তিত ও সুন্দর উত্তরের জন্য।

৪৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: জ্বিনের বাদশাকে

ফ্যান্টাসি উত্তর:
১. এখনই ঢাবির ভিসি হলে কী করবো তা কীভাবে বলি? বিরাট দায়িত্ব। প্ল্যান করা শুরু করবো কীভাবে এর একাডেমিক পরিবেশটি ফিরিয়ে আনা যায়।
২. ফ্ল্যাটটাই নিতে হবে। কারণ আমি ঢাকায় প্রথম জেনারেশন, আর ঢাকায় প্রথম জেনারেশনের যেকেউ এটাই নিতে চাইবে।

সিরিয়াস প্রশ্নের উত্তরে:

১. বাংলাদেশের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন পার্শবর্তী ভারত ও পাকিস্তান থেকে অনেক কম, প্রায় অর্ধেক। আমি মনে করি শিক্ষকদের পাশাপাশি সবার বেতনই বাড়া উচিত এবং সোজা দ্বিগুণ হওয়া দরকার। বেতন কম হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য রূপে, কিন্তু সরকারী প্রতিষ্ঠানে সরাসরি দুর্নীতি/ঘুষ উৎসাহিত হয়। নীতি নির্ধারকরা বেতন কম রেখে যা সাশ্রয় করেন, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সেটা যে বেরিয়ে যায়, তা বোঝেন না। বুঝবেন কেন, বাংলাদেশের বেতনকড়িও তো বিশ্বব্যাংকের করে দেয়া, নিজে নিজে কিছুই করার মনোবল অর্জন করতে পারলাম না আমরা।

২. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পুরোপুরি অর্জন তো কখনোই সম্ভব নয়, লড়াইটা হলো মতপ্রকাশের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থেকে। আমেরিকা প্রসঙ্গে আপনি যে উদাহরণ দিলেন তাতো আপনার কথায় স্পষ্ট আমি আর কী বলবো।

আমি আপনার প্রিয় লেখক জেনে খুশি হলাম। আসলে আমি বেশি বেশি লিখতে পারিনা। দু'পাঁচলাইনের ব্লগ প্রতিদিনই লেখা যায়, কিন্তু মনে সায় দেয়না।

৪৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কে এস আমীন বলেছেন: ঢাবির টিউশন ফী যদি দুই হাজার টাকা হয় তবে কী অসুবিধা? গরীব মেধাবীরা তো একটা প্রাইভেট টিউশনী করলেই ২/৩ হাজার টাকা এমনিতেই আয় করতে পারে....

উচ্চ শিক্ষা প্রায় সব দেশেই ব্যয়বহুল। আমাদের দেশে নয় কেন?

আমি বলছি: উচ্চশিক্ষা সব দেশে সবাই করেনা। আমাদের দেশে সুযোগ পেলে/মেধার জোরে সবাই করে। কারণ ডিপ্লোমা করে ভালো চাকরি জোটেনা। চার বছর অনার্স করাই যথেষ্ট চাকরির জন্য, এই বোধটাও পুরোপুরি চালু হয়নি। যত বড় ডিগ্রি, তত চাকরি পবার সুবিধা (বড়ো চাকরি দূরে থাক)।

ফলে আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষা ব্যয়বহুল করলে চলেনা।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে 'টিউশন ফি' বা বেতন ১২ টাকা একটা মিথে দাঁড়িয়েছে এখন। ঐ একটাই কর্তৃপক্ষ অনড় রেখেছে বুদ্ধি করে এবং বাধ্য হয়েও, অন্যান্য ফি (ভর্তি ফি, ছাত্রকল্যাণ ফি ইত্যাদি) ১০ বছর আগের তুলনায় এখন অনেক বেড়েছে। ঢাকায় একজন ছাত্র নব্বইয়ের দশকে এক হাজার টাকায় চলতো, এখন প্রায় দুই হাজার টাকা লাগে। টিউশনি পাওয়া সবার ভাগ্য জোটে না, টিউশন ফি ২ হাজার কীভাবে দেবে একজন জানিনা। জমি বেচতে হবে।

৪৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৩৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: পথিক বলেছেন, জনাব বিশিষ্ট সাহিত্যক,
আপনে যে এত উপরের মানুষ, সাহিত্যিক ....আমরা ব্লগের অনেকেই তো আর আগে জানতাম না........
এখন জানলাম...এরপর
আপনার মাঝে কি কোন চরম আনন্দ এমন ভােব কাজ করিতেছে না যেমন সমুদ্র পাড়ে হঠাৎ করে অতি উঁচু হয়ে আসে দুএকটা ঢেউ?
................

আমি বলছি: লেখার একটা আনন্দ আছে, তার স্বীকৃতিরও আনন্দ আছে। তবে অল্পেই 'চরম আনন্দ' পেয়ে গেলে লেখা আর না বেরোনোর সম্ভাবনা আছে।

৪৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪০

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহমিদুল হক , আপনার সুচিন্তিত ও সুন্দর উত্তরের জন্য।

...........

আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৪

জামাল ভাস্কর বলেছেন: আপনের লেখালেখিতে মাঝে মাঝেই চলচ্চিত্র বিষয়ক ভাবনা টের পাওন যায়...তো এই মুহুর্তে যদি আপনেরে একটা চলচ্চিত্র বানানের অফার দেওয়া হয় তাইলে আপনে কোন মাধ্যমে ছবি বানানের কথা ভাববেন ডিজিটাল না সেলুলয়েড?

৪৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:০৪

ফাহমিদুল হক বলেছেন: জামাল ভাস্কর বলেছেন: এই মুহুর্তে যদি আপনেরে একটা চলচ্চিত্র বানানের অফার দেওয়া হয় তাইলে আপনে কোন মাধ্যমে ছবি বানানের কথা ভাববেন ডিজিটাল না সেলুলয়েড?

আমি: যদি ফান্ড বেশি থাকে তবে সেলুলয়েডে, আর কম থাকলে ডিজিটালে।

৫০| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২২

নেমেসিস বলেছেন: জ্বিনের বাদশার দেখাদেখি আমিও একটা ফ্যান্টাসী প্রশ্ন করিঃ

মনে করেন কোনও দৈবদুর্বিপাকে পইরা আগামী ৫ বৎসর আপনার ঘাড়ে দেশ চালানোর মহা দ্বায়ীত্ব চাপসে । স্টেপ বাই স্টেপ বলেন ৫ বৎসরে আমরা কি কি আপনার কাছ থেকে পাবো ।

মাথার মধ্যেকার ক্রোধ অটো প্রশমনের প্রোগ্রাম এ কি তখন কাজ দিবে ??না নিদ্রাকুসুম তৈল ইউজ করবেন তখন ??

৫১| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৫

কাঙাল বলেছেন: বড় লুকের পুতেরা বা মাইয়ারা বিদেশ থেইকা মাসে ৫০,০০০ টাকা খরচ কইরা ডিগ্রি আনে।

আমাদের পুলাপাইনেরা মাগনা পড়ব, তাই না ?

সেলুলয়েড একসময় জাদুঘরে যাইব সন্দেহ নাই। বড়জোড় ৫/৬ বছর। দেইখেন

৫২| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৪

ফাহমিদুল হক বলেছেন: নেমেসিস, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ঠিক ছিল। দেশ চালানোর দায়িত্ব দিয়েন না, এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা নাই। হি হি

আমার কোনো ধরনের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নাই। তা থাকলেও কিছু একটা বলা যেত। টেকনোক্রাটদের দিয়ে দেশ চালানোর হাল দেখছেন তো।

যদি ঘাড়ে দায়িত্ব এসেই পড়ে ক্রোধ অটোপ্রশমনের প্রোগ্রামের আপগ্রেড প্রয়োজন পড়বে তখন, নির্ঘাৎ। নিদ্রাকুসুম তৈলের কাজ নয় ইহা।

৫৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কাঙাল বলেছেন: বড় লুকের পুতেরা বা মাইয়ারা বিদেশ থেইকা মাসে ৫০,০০০ টাকা খরচ কইরা ডিগ্রি আনে।

আমাদের পুলাপাইনেরা মাগনা পড়ব, তাই না ?

...........

তাইতো।

সেলুলয়েড যদি জাদুঘরে যায়, যাকনা। মিছে ঐতিহ্য আঁকড়ে থাকার দরকার নাই।

৫৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৫

নেমেসিস বলেছেন: ফ্যান্টাসী প্রশ্নর একটা ফ্যান্টাসী উত্তরই না হয় দেন । ভয় কি ?? মইন গং রা মনে হয় না সামহোয়ার টাইপ ব্লগ থেকে লোক বাছই করে :) বি কুল !!!

৫৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: নেমেসিস দেখি ছাড়বেন না:
১. বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এডিবিকে দেশ থেকে বের করে দেব, এবং নিজেদের অর্থনৈতিক নীতি নিজেরাই ঠিক করবো।
২. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করবো।
৩. সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নানা কর্মসূচি হাতে নেব।
৪. কৃষিতে অধিক বিনিয়োগ করে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে জোরদার করবো।
৫. আমদানির সওদাগরিকে নিরুৎসাহিত করে শিল্পায়নে জোর দেব।
৬. শিক্ষায় বিপুল বিনিয়োগ করা হবে।
৭. স্পোর্টসের উন্নয়ন ঘটানো হবে।

৫৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৫০

নেমেসিস বলেছেন: এবার আপনার লাইনের প্রশ্নঃ

১ঃ গনমাধ্যম হিসাবে কোনটিকে আপনি সবচেয়ে শক্তিশালী মনে করেন?
কঃ রেডিও খঃ যাত্রা গঃ টেলিভিশন ঘঃ চলচিত্র ঙঃ মন্চ নাটক

২/বালাদেশে বর্তমানের চলচিত্র শিল্পের মানউন্নয়নের লক্ষ্যে কমিটিতে আপনাকে রাখা হলে কি কি কাজ করবেন আপনি ।

৫৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:০০

ফাহমিদুল হক বলেছেন: নেমেসিসকে

১. টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র, কারণ অধিক লোকের কাছে যাবার সুযোগ আছে এবং অডিভিস্যুয়াল মাধ্যম হবার কারণে অধিক আকর্ষণীয়। তবে টেলিভিশনের সম্ভাবনা ফালতু কাজে বেশি ব্যয়িত হয়ে থাকে। চলচ্চিত্রে সেতুলনায় অনেক সিরিয়াস।

২. ক. ফিল্ম ইন্সটিউট স্থাপন
খ. প্রতিটি জেলাশহরে সিনেপ্লেক্স স্থাপন
গ. সেন্সর তুলে দিয়ে গ্রেডিংপ্রথা চালু
ঘ. প্রতিবছর ৫টি ছবির জন্য অনুদান প্রদান
ঙ. এফডিসির আধুনিকায়ন
চ. এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সেরা একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন
ছ. ছবির গ্লোবাল মার্কেট খুঁজে বের করা

৫৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:১৯

নেমেসিস বলেছেন: এবার আরেকটা ফ্যান্টাসী প্রশ্নঃ

তিন মাসের জন্য সামহোয়ারের অল ইন অল এ্যাডমিন বানানো হৈলে আপনিকি কি যুগান্তকারী স্টেপ নিবেন । মনে রাখবেন শর্ত একটাই ট্রাফিক যাতে না কমে ।

( এইটাই আমার শেষ প্রশ্ন । আর বিরক্ত করবো না :) )

৫৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৪২

কোবরেজ বলেছেন:
আপনি কি মনে করেন না যে ব্লগার ফাহমিদুল হক নামের ভারে আপনি বিরক্ত?

কারন ফাহমিদুল হক নাম দিয়ে কোন এডাল্ট কৌতুক, বকা ঝকা, ঠাট্টা, টিপ্পনি দেয়া যাচ্ছে না। কোন মেয়ে নিকের আশে পাশে ছোক ছোক করা যাচ্ছে না।

নাকি আপনার এসব ফালতু কাজ ভালো লাগে না? নাকি আপনিও অন্য সেলিব্রেটি শুশীল ব্লগারদের মত ছদ্দ নামে গালিগালাজ বা নিম্নষ্তরের লেখা গুলো লেখেন?

৬০| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৪৪

ফাহমিদুল হক বলেছেন: নেমেসিসকে,
সামহোয়ারের এডমিন বানানো হলে কোনো স্টেপ নেবো না। যেমন চলছে তেমনই চলতে দেবো।

৬১| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৫০

নেমেসিস বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক বিরক্ত করলাম । ভালো থাকবেন ।

৬২| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:০৯

পুতুল বলেছেন: বাংলাদেশের মানে অন্য ভাষা থেকে বাংলায় অনুদিত সাহিত্য সম্পর্কে আপনার ধারণা বা অভিজ্ঞতা জানাবেন?

৬৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কোবরেজ বলেছেন: আপনি কি মনে করেন না যে ব্লগার ফাহমিদুল হক নামের ভারে আপনি বিরক্ত?

কারন ফাহমিদুল হক নাম দিয়ে কোন এডাল্ট কৌতুক, বকা ঝকা, ঠাট্টা, টিপ্পনি দেয়া যাচ্ছে না। কোন মেয়ে নিকের আশে পাশে ছোক ছোক করা যাচ্ছে না।

নাকি আপনার এসব ফালতু কাজ ভালো লাগে না? নাকি আপনিও অন্য সেলিব্রেটি শুশীল ব্লগারদের মত ছদ্দ নামে গালিগালাজ বা নিম্নষ্তরের লেখা গুলো লেখেন?

...........

ফাহমিদুল হক নাম নিয়ে আমি মোটেও বিরক্ত নই। এটা আমার কাছে স্বাভাববিক একটি বিষয়যে আমি কোথাও ছদ্মনাম নিচ্ছি না। আমার পূর্বকার লেখক পরিচয়েও সামহোয়ারের ফাহমিদুল হক কিছু না কিছু যোগ করে।


ঠিকই বলেছেন, ওসব আমার কাছে প্রায় ফালতু বিষয়ই।

মানুষ ভিন্ন নিকে কেন লেখে তা আমার কাছে খুব বোধগম্য হয়না। এমনতো নয় যে সবাই বিপ্লবী কিছু লিখছে, এবং রাষ্ট্রের রোষানলে পড়তে হবে।

৬৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: পুতুল বলেছেন: বাংলাদেশের মানে অন্য ভাষা থেকে বাংলায় অনুদিত সাহিত্য সম্পর্কে আপনার ধারণা বা অভিজ্ঞতা জানাবেন
..........

আমাদের অনুবাদ সাহিত্য খুব উন্নত নয় বলে মনে করি। কারও কারও অনুবাদ বেশ ভালো, কিন্তু কিছু অনুবাদক আছেন যারা বাজারের প্রথম টম্যাটোর মতো করে অনুবাদকে বিবেচনা করে থাকেন -- সদ্যনোবেলপ্রাপ্ত লেখকের সেরা বইটার অনুবাদ সবার আগে মেলায় আনতে হবে -- এরকম ধারণা থেকে অনেক আবর্জনা উৎপাদিত হয়। তবে কারও কারও নিষ্ঠা মুগ্ধ হবার মতো।

৬৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

ফাহমিদুল হক বলেছেন: বাঁচালেন, নেমেসিস।

৬৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৪৮

কৌশিক বলেছেন: মিথস্ক্রিয়ামূলক প্রকৃতি সন্বন্ধে অনেক লেখকের অভিমত লেখকদের উচিত হবে পাঠকদের সাথে একটা শ্রদ্ধামূলক দূরত্ব বজায় রাখা। এতে লেখকদের বিষয়ে পাঠকের আগ্রহ অবিকৃত থাকে। যদি একজন লেখক ব্লগারদের মত জনস্রোতে মিশে যান তবে তার বিষয়ে অনাগ্রহ তৈরীসহ লেখকসুলভ গাম্ভীর্য নষ্ট হতে পারে। (বাংলাদেশের এক প্রখ্যাত কবি একবার আমার সাথে আলাপচারিতায় উপরোক্ত মন্তব্য ব্যক্ত করেছিলেন)। প্রায়শই দেখা যায় সরাসরি পাঠকের প্রতিক্রিয়া সবসময় আনন্দময় হয় না, ফলে লেখক এমনতরো প্রতিক্রিয়া এড়াতে চাইতে পারেন। এক্ষেত্রে লেখকদের জন্য (নতুন, পুরাতন নির্বিশেষে) এই দূরত্ব বজায় রাখার উপরোক্ত মতামতের বিষয়ে আপনার অভিমত জানাবেন কি?

৬৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:১৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কৌশিককে, যে লেখক মনে করেন ঐ দূরত্বটা দরকার আছে আমি তার সঙ্গে একমত নই। এটা হলো লেখালেখিকে রহস্যময়, সাধারণ্যের দুসাধ্য, এলিট একটা স্থানে আটকে রাখার মনোভাব। একজন লেখকের সঙ্গে (ব্লগীয়) মিথস্ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়ে আরেকজন লেখকের জন্ম হতে পারে। যেমন অনেক কবি পরে গল্পকার হয়ে যান (সুমন রহমান), অনেক প্রবন্ধকারকেও গল্পকার হতে দেখছি (মানস চৌধুরী)। এভাবে ঘেরাটোপে আটকে রাখার মানে হলো আরও সম্ভাবনাকে রুদ্ধ করে রাখা।

পাঠকের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে একজন লেখক নিজের লেখার দিকে ফিরে তাকাতে পারেন। এর প্রতিফলন তার পরবর্তী লেখায় পাওয়া যেতে পারে। পাঠকের সঙ্গে বিমুখতা লেখকে নিজ ভূবনে নির্বাসিত করে ফেলতে পারে।

৬৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩

মাহবুব সুমন বলেছেন: ১)একজন শিক্ষক হিসেবে ভবিষ্যত সাংবাদিকদের এথিক্স শেখানোকে কতটুকু গুরুত্বপুর্ন বলে মনে করেন ?
২)বাংলাদেশে রাজনীতিতে ধর্মের গুরুত্ব কতটুকু বলে মনে করেন ?
৩)ঠিক ১৫ বছর পর প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থান কোথায় যাবে বলে মনে করছেন ?
৪) দেশের সাহিত্যে যারা প্রান্তিক জনমানুষ নিয়ে যারা লেখালেখি করেন তাদের সাথে প্রান্তিক জনমানুষের সংপৃক্তহীনতাকি লেখার মানকে ক্ষুন্ন করে বলে করেন ?
৫)প্রথম বিশ্বের একজন প্রবাসীর সাথে তৃতীয় বিশ্বের প্রবাসীর ফারাকটি চোখে পরে ?
৬)মানুষের কোন গুনটি বেশী আকৃস্ট করে ?
৯)ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রতারক হিসেবে কোন একজন আবিস্কার করলে সে ক্ষেত্রে কি করবেন ?
৯)রস গোল্লা না চমচম ; কোনটা বেশী প্রিয়?
১০) হাডূডু খেলতে পারেন ?

৬৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯

নেমেসিস বলেছেন:
ফাহমিদুল হক বলেছেন:

মানুষ ভিন্ন নিকে কেন লেখে তা আমার কাছে খুব বোধগম্য হয়না।
>>>> অন্যদের কথা জানা নেই , তবে আমি ভিন্ন ভিন্ন নিকএ লিখি কজ এটা আমার একটা ওয়েব জীবনের আগাগোড়া ট্রেন্ড । বহুদিনের অভ্যেস । চাইলেও ছাড়তে পারছি না ।


ফাহমিদুল হক বলেছেন: বাঁচালেন, নেমেসিস।
>>>> বলা যায় না অন্য নিকএ আবারও জ্বালাতে আসতে পারি । হাহাহা

৭০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব সুমন বলেছেন: ১)একজন শিক্ষক হিসেবে ভবিষ্যত সাংবাদিকদের এথিক্স শেখানোকে কতটুকু গুরুত্বপুর্ন বলে মনে করেন ?
২)বাংলাদেশে রাজনীতিতে ধর্মের গুরুত্ব কতটুকু বলে মনে করেন ?
৩)ঠিক ১৫ বছর পর প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থান কোথায় যাবে বলে মনে করছেন ?
৪) দেশের সাহিত্যে যারা প্রান্তিক জনমানুষ নিয়ে যারা লেখালেখি করেন তাদের সাথে প্রান্তিক জনমানুষের সংপৃক্তহীনতাকি লেখার মানকে ক্ষুন্ন করে বলে করেন ?
৫)প্রথম বিশ্বের একজন প্রবাসীর সাথে তৃতীয় বিশ্বের প্রবাসীর ফারাকটি চোখে পরে ?
৬)মানুষের কোন গুনটি বেশী আকৃস্ট করে ?
৯)ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রতারক হিসেবে কোন একজন আবিস্কার করলে সে ক্ষেত্রে কি করবেন ?
৯)রস গোল্লা না চমচম ; কোনটা বেশী প্রিয়?
১০) হাডূডু খেলতে পারেন ?

উত্তরমালা:

১. এথিক্স প্রতিটি মানুষেরই থাকা উচিত, পেশাগত প্রকৃতির কারণে সাংবাদিকদের হয়তো একটু বেশিই থাকা উচিত। তাই এথিক্স শেখাই/শেখাবো, তবে সারমন আকারে নয়, ব্যাখ্যা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে।
২. বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্ম বরাবরই ব্যবহৃত (গুরুত্ব নয়) হয়ে এসেছে, ধর্মনিরপেক্ষতার ভান বহন করা বড়ো দলও তা হামেশাই করে। তবে একান্ত ধর্মনির্ভর রাজনীতি সংখ্যাগরিষষ্ঠ মানুষের অপছন্দ।
৩. প্রিন্ট মিডিয়ার অস্তিত্ব নিয়ে কোনো হুমকি নেই। অঙ্গসৌষ্ঠব ও আঙ্গিক আরও বৃদ্ধি পাবে। অনলাইন সাংবাদিকতা ও মুদ্রণ সাংবাদিকতা আরও পরিপূরক হয়ে উঠবে (প্রথম আলো ব্লগ স্মর্তব্য)। তবে জনমানুষের জন্য সাংবাদিকতা থেকে আরও দূরে সরে বাজারসংস্কৃতির প্রতি আরও ঝুঁকবে।
৪. অবশ্যই করে।
৫. প্রথম বিশ্বে যাবার সুযোগ ঘটলে তুলনা করা যেত। ভেবে বলতে হবে।
৬. মানুষের সব ধরনের উদারতাই আমার জন্য প্রাথমিক আকর্ষণ/বিকর্ষণের নির্ণায়ক।
৭. আঘাত পাবো এবং মাফ করে দেব।
৮. রসগোল্লা এবং চমচম দুটাই সমান প্রিয়। অনেক দিন খাইনা।
৯. হাডুডু খেলেছি ছোটবেলায় গ্রামে। পারি বলতে হবে, তবে অনেকদিন খেলিনি।

৭১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৫৯

মুকুল বলেছেন: বেশ কয়েকদিন ব্লগে না থাকাতে অনেক কিছুই মিস হলো দেখছি!!!

ফাহমিদ ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন:
১. সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখেন কি করে?
২. আপনার প্রিয় লেখক এবং কবি কে?
৩. আপনার প্রিয় কিছু বইয়ের নাম বলুন।

৭২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মুকুল বলেছেন: ফাহমিদ ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন:
১. সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখেন কি করে?
২. আপনার প্রিয় লেখক এবং কবি কে?
৩. আপনার প্রিয় কিছু বইয়ের নাম বলুন।


উত্তর:

১. সাধনা রে ভাই।

ক্রোধ আমারও আছে, তবে মাথার মধ্যে প্রোগ্রাম সেট করা আছে অটো প্রশমনের।

ক্রোধ বিনাশী। লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্ষতিকর।

এই সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করার পরপরই ক্রোধাক্রান্ত হয়ে একটা লেখা লিখি, সেটা ছাপতেই পারিনি। (ওপরে কৌশিকের সঙ্গে আলাপচারিতা পঠ্যব্য)

২. প্রিয় লেখক তো অনেক।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও সৈয়দ শামসুল হকের কাছে আমি ঋণী, আমার লেখালেখিতে এই দুই লেখকের প্রভাব আছে। হাসান আজিজুল হক ও শহীদুল জহিরও আমার পছন্দ। কবিদের মধ্যে আলাদা করে পছন্দ নেই। আগে একসময় প্রচুর কবিতা পড়া হতো, এখন তেমন হয়না।
কবিতা জিনিসটা আমি ভালো বুঝিও না।

৩. প্রিয় বইয়ের নাম অসংখ্য। আলাদা করে বলা মুশকিল। ক্রিটিকাল ও কালচারাল থিয়রির বই ইদানীং আগ্রহ করে পড়ি।

৭৩| ১৩ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সাইমন জাকারিয়া বলেছেন: আপনার ই-েমল িঠকানাটা দরকার। েপাস্ট করুন-

[email protected]

৭৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১৮

র হাসান বলেছেন: ভালো পোষ্ট! প্লাস+++++

Free Bangladesh travel guide

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.