নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিপদজনক ব্লগ

কৌশিক

নিদারুণ প্রহসনের দিনগুলি

কৌশিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাল নীল ছবি দেইক্খা পরান জুড়াইলো -১

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০১

বাংলা সিনেমা মানে এফডিসির সিনেমা আমার বরাবরই ভালো লাগে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো টিভি ছাড়া সিনেমা হলে গিয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে খুবই কম। সিনেমা হলে যেকটা ছবি দেখেছি তার সবই হুমায়ুন আহমেদের। স্টারসিনেমপ্লেক্সে আরো কিছু বাংলা ছবি দেখেছি কিন্তু প্রচলিত অর্থে সেগুলোকে ঢাকাইয়া ছবি বলা যায় না। সবগুলোই ছিল ঢাকাইয়া ছবির তুলনায় ভিন্ন, কেউ কেউ বলে সুনির্মিত - একদমই এফিডিসি মার্কার সাথে যায় না।



কিন্তু টিভিতে একসময় সিনেমার এ্যাড দেখাতো। বিটিভিতে। রেডিওতে সিনেমার চুম্বক ডায়লগ শোনাতো। ইত্তেফাকে তো দুটো পাতা সিনেমার বিজ্ঞাপনে ভরপুর থাকতো। এছাড়া সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ও পরবর্তীতে নানা স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুবাদে এফডিসির ছবির বিষয়ে আমার প্রচন্ড একটা অনুরাগ তৈরী হয়েছে। অদ্ভুত এর নির্মাণ শৈলী - চমৎকার এর গল্পের বর্ণনা যা একদৃষ্টিতে যেকেউ এফডিসির বলে চিন্থিত করতে পারে।



এফডিসি মানে ঢাকাইয়া ছবি সম্বন্ধে এই অভিজ্ঞতার আলোকে আমি কিছু আকর্ষণীয় বিষয় লক্ষ্য করেছি। প্রথমত, ঢাকাইয়া ছবির নায়কেরা চিরজীবনই নায়ক থাকেন। মানুষের বয়সের সাথে চেহারা-সুরতের পরিবর্তন হয়, ক্রমশ বুড়িয়ে যায়, আগের মত সৌন্দর্য্য আর থাকে না। কিন্তু একসময়ের সুদর্শন নায়ক তার সব সৌণ্দর্য্য হারানোর পরেও বহাল তবিয়তে নায়কই থেকে যান। এমন ঘটনা আমি বলিউডেও দেখেছি। যেমন শত্রুঘ্ন সিনহা, বিনোদ খান্না, ঋষি কাপুর - এদের তরুন বয়সে আকর্ষণীয় লাগতো হয়তো কিন্তু পরিনত বা প্রায় বৃদ্ধ বয়সে এদের নায়কের ভূমিকায় অসম্ভবরকমের বেখাপ্পা লাগতো। এদেশে এটি দেখেছি রাজ্জাকের বেলায়। একসময় যাকে পূর্ববাংলার উত্তম কুমার বলা হতো সে পঞ্চাশ বছর বয়সে ঝুলন্ত চামড়া আর উদ্ভট উইগের সাথে বিশাল ভুড়ি নিয়ে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সম্ভবত দর্শকেরাও একসময়ের সুদর্শন নায়ককে সারাজীবনই নায়ক দেখতে চান। তবে বয়স বেড়ে গেলেও অনেকের চেহারা-সুরত আর দেহের সৌন্দর্য্য অটুট রাখার একটা কৌশল জানা থাকে বোধহয়। যেমন অনীল কাপুর - এখনও নায়ক হিসাবে মানানসই, যদিও তার মেয়ে ইতোমধ্যে নায়িকা হয়ে গেছেন। রাজ্জাকের পরে এই বৃদ্ধ নায়কদের সাড়িতে আমার উদ্ভট লেগেছে মান্নাকে। একসময়ে তাকে নায়কোচিত লাগতো বটে, কিন্তু মৃত্যুর কয়েক বৎসর আগে পর্যন্ত তার দশাসই ভয়াল দর্শন চিবুক আর ঝুলে পড়া গলার চর্বি সহযোগে নৃত্যগীত রীতিমত চোখের জন্য অত্যাচার ছিল। যেমন লাগতো অমিতাভকে নায়ক হিসাবে শেষ দিকের ছবিতে। এমনকি কুলিতেও অমিতাভকে আন্ডার এজ দেখানোটা ধরা পড়ে গেছিলো সবার চোখেই। ইদানিং যেটা হয়েছে সঞ্জয় দত্তর ক্ষেত্রে - প্রেমের গানে চলচিত্রের পর্দায় তার যে বয়স ধরা পড়ছে তা কখনই তার পর্দার অভিনীত চরিত্রের সাথে মানানসই নয়।



তবে এখন ঢাকাইয়া ছবিতে সব তরুন নায়ক। এই নায়কদের মধ্যে ফেরদৌস ক্রমশ আনফিটের স্তরে পৌছে গেছেন। তারপরেও চলে। রিয়াজ, শাকিব খান ছাড়া অবশ্য আর কাউকে হিসাব করাও যাচ্ছে না। এ দু'জন পর্দায় তরুন হিসাবে গ্রহণযোগ্য - তবে সাকিব একটু বেশীই তরুন। বাকী দুইনম্বর-তিনম্বর সাড়িতে যারা আছেন তাদের মধ্যে সবার নাম জানি না কিন্তু বেশীরভাগই কুৎসিত দর্শনের, কেউ বয়সের কারণে, কারো চেহারাই অনায়কোচিত।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১১

ফারা তন্বী বলেছেন: আমার ম্যাম এসাইনমেন্ট দিয়েছে বাংলা মূলধারার ছবিতে জেন্ডার অসংবেদনশীলতা। কেমনে যে বাংলা সিনেমা দেখবো এই চিন্তায় আমি অস্থির। ভাইয়া আপনার কাছে আছে নাকি এমন কিছু ম্যাটেরিয়াল?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কৌশিক বলেছেন: আমি আসলে ঢাকাইয়া সিনেমা বিষয়ক আমার যাবতীয় পর্যবেক্ষণ, অনুভূতি লিখতে চেষ্টা করছি। আমি যা দেখছি বা ভাবছি সেইসব। একাডেমিক কোন ম্যাটারিয়ালই আমার কাছে নেই। তবে আমিও স্ট্রংগলী ভাবছি প্রতিমাসে অন্ততপক্ষে একটা ঢাকাইয়া ছবি হলে গিয়ে দেখবো। একদম ঢাকাইয়া ছবির খাটি দর্শকেরা যেখানে দেখে সেখানে। এক একটা ছবি এক একটা হলে।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৫

রাজিন বলেছেন: আগে ভালো মুভি বানানো হোক। বাংলা সিনেমাতে এক সালমান শাহ্ ধুন্ধুমার অভিনেতা ছিল। এরপরই ডুবসে বাংলা মুভি।

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৭

অপ্‌সরা বলেছেন: ফারাতন্বীর কমেন্ট পড়ে হাসছি ভাইয়া। কি করে ও বাংলা সিনেমা দেখবে সে চিন্তায় নাকি শেষ!!

হাহাহাহাহা

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২২

ম্যাক্স পেইন বলেছেন: সন্জয়রে বড়ই ভালা পাই, ওরে সবতেই ভালা লাগে, অমিতাভও তো এখনো নায়কবাজী করে ;)

এই থিয়োরীই মনে হয় কাজী আনোয়ার হোসেনরা রাজ্জাকের বেলায় খাটাইতে গেসিল, ফেইল মারসে হেহে

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২২

ফারা তন্বী বলেছেন: অপসরা আপুনি হাইসেন না, আমি মরি আমার জ্বালায়। অধিকাংশ ছবি গুলাতে যে কান্ড কারখানা না পারছি বাসায় এনে দেখতে না হলে গিয়ে। বাংলা ছবি দেখতে বন্ধুরা কেউ হলে যেতে চায়না।একা একা কি হলে যাওয়া যায়? ১০ টা ছবির উপর কাজ করতে হবে। মাত্র ৩ টা দেখছি।যেগুলা সূস্ত ছবি বলা চলে।কিন্তু এমন ছবির সংখ্যা তো খুব কম।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪০

লীনা দিলরূবা বলেছেন: রিয়াজও বুড়া হয়ে যাচ্ছে, কাজী হায়াতের ছেলে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে, Trailer দেখেছি। বাংলাদেশের সবচে' অথর্ব, কুৎশিত দর্শন নায়কের তালিকায় প্রথমেই নাম থাকবে তার।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কৌশিক বলেছেন: ঐ ছেলেটার নাম মারুফ। তার একটা ছবি আমি টিভিতে দেখেছি। অভিনয় দেখে মনে হয় মান্নার ছোটভাই। গালাগালি আর চিল্লাচিল্লিতে ভরপুর। যে ট্রেলারটা দেখেছেন সেটা আমিও দেখেছি আজ। বাপকা চামচিকা - এইজন্যই নায়ক হইছে মনে হয়।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯

আকাশ_পাগলা বলেছেন: বালা ছবির নায়কের অদ্ভুত ভাবে গীটার বাজায়। শুধু ডান হাত দিয়ে তারে বাড়ি দেয়, বাম হাত যে আদৌ কোন কাজে লাগে এ ব্যাপারে তাদের ধারণা নেই, এদের ধারণা বাম হাতে গীটার শুধু ধরে রাখে।

সেই অবস্থায় গীটার এইভাবে ধরে পুরা ডেথ মেটালের গীটারিস্টদের মত ভাব নেয়, রেললাইনের উপর বাজায়।

ওরে গেলি !!

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৩

পথে-প্রান্তরে বলেছেন: নায়কের পার্ট টা আপাতত আমারে দেয়া যায়না ? :) চামে চামে নায়িকা গো লগে মৌজ মাস্তিটাও হইলা ;) খোদার কসম.. ময়ূরীরে চাইনা ।... পূর্ণিমার নায়িকা ফিগার এখনো মানানসই :)

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০১

আমি রোদের ছেলে বলেছেন:
যৌবনজ্বালা ফোরামে ভিডিও বিভাগে আশ্রম মামার ছায়াছন্দ পোস্টে বাংলা ছবির হিট হিট গান পাওয়া যায়। :P বড়োই সৌন্দর্য

১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৮

অনাহূত বলেছেন: বাংলা ছি:নেমা এখন ইকটু জাতে উঠছে। তয় নাম হুনলে মাঝে মইধ্যে পেটের ভিতর কেমুন জানি করে। আর তারপর-






টয়লেট। ;)

১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২১

ম্যাক্স পেইন বলেছেন: @ফারা তন্বী: জেন্ডার অসংবেদনশীলতা জিনিসটা কি? আমি বড়ই মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, নলেজ বড়ই কম :(

১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪

পুরাতন বলেছেন: বাংলা ছবি /:)

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩২

ফারা তন্বী বলেছেন: @ম্যাক্স: আমি টিউটোরিয়াল মোড এ নাই এখন।

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৯

মাহবুব সুমন বলেছেন: শহুড়ে মধ্যবিত্তের সাথে সংখাগুরু নিম্মবিত্তের ফারাকের মাঝে এটা একটি। গ্রাম বা শহরের নিম্নবিত্ত ঠিকই এফডিসির বাংলা সিনেমা দেখে।

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৪

লীনা দিলরূবা বলেছেন: বাংলা সিনেমার ইংরেজি টাইটেল দেবার মজার রীতি এখন আর আগের মত খেয়াল করিনা। এইটা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম:

Click This Link

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৬

ফারা তন্বী বলেছেন: একাডেমিক ম্যাটেরিয়াল না ভাইয়া, সিনেমা নিয়ে এমন বিশ্লেষনধর্মী লেখা আছে কিনা তাই বলেছি। কপি পেষ্ট মারার ইচ্ছা আছে:P:P

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২০

কৌশিক বলেছেন: অতি সম্প্রতি দুটো আর্টিকেল পড়েছিলাম, বেশ ভালো লেগেছে। ধীবরের লেখা আর্টিকেল দুটো ছিল সিনেমার সহ-অভিনেতা মানে খলচরিত্রের অভিনেতাদের নিয়ে। আমার ফেভারিটে সেভ করা আছে। দেখে না থাকলে পড়ে দেখতে পারেন - একটা টাইমলাইনে খলচরিত্রের ইতিহিসা পাবেন।

এছাড়া উপরে লীনা দিলরুবার পোস্টটাও গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া যতদূর মনে পড়ে সিনেমা নিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু পোস্ট এসেছিল যার একটা ছিল অঞ্জুকে নিয়ে, সেখানেও বর্তমান সময়ে সিনেমা নিয়ে সাম্প্রতিক ভাবনার কিছু চিত্র পাবেন।

এছাড়া শওকত হোসেন মাসুম ভাইয়ের বোধহয় বাংলাদেশের কিছু সিনেমা নিয়ে পছন্দের লেখা ছিল - মনে করতে পারছি না।

১৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮

ফারা তন্বী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.