![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর মাটিতে প্রথম যেদিন জুতাসমেত পা পড়লো সেই তবে থেকেই মোজা নিত্যসঙ্গী। মোজা ছাড়া জুতো পরা যায় না - এটা সংক্রমিত জ্ঞান, লব্ধ না। কোনদিন মোজা ছাড়া জুতা পরে হাতেনাতে শিক্ষাটা নেয়া হয়নি, গুরুজনেরা কেন শিখিয়েছেন তার কারণও ফলতঃ অজানা। ধারণা করি আমার বাবা, তার বাবা এবং তার বাবা - যে অব্ধি মোজার প্রচলন শুরু হয়েছে তারা সবাই মোজা পরার ব্যবহারিক কারণ সন্বন্ধে অজ্ঞাত ছিলেন।
মোজা কি জুতার সাথে সাথেই আবিষ্কার হয়েছিলো নাকি মোজার পরে জুতো অথবা জুতার পরে মোজা এসব ভেবে ভেবে হয়রান। সৌন্দর্য্যের জন্য মোজার ব্যবহার নাকি পায়ের আরামের জন্য - এসব নির্ণয়ও আমার জন্য অসাধ্য হয়ে উঠছিলো ক্রমশঃ।
একটা মোজা অনেকদিন পরলে তলানীটা স্ফীত হতে থাকে, দুর্গন্ধ চৌদ্দকুলকে অস্বস্তিতে ভোগায় - তজ্জন্য মোজা পরিবর্তন প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, কিন্তু ইহাতে মোজা ব্যবহারের আদি কারণ সম্বন্ধে কোন ধারণা পাই না।
তবে এভাবে যখন সকল মোজা ফুরিয়ে গেল এবং মোজার স্তুপে আমার ময়লার ঝুড়িটা ফুলে ফেঁপে উঠলো এবং একই সাথে সুগন্ধে পাশ্ববর্তী বাড়ীর বাচ্চাটা মাঝরাতে কেঁদে উঠলো তখন একদিন আমার সাধ হলো পরীক্ষাটা করে ফেলতে। সঙ্গত কারণ হিসাবে আর কোনো নতুন মোজা না থাকা আসলে বলতে চাই না।
অতপর অদ্য মোজা ছাড়া আমার প্রথম জুতাপদখানি পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করলো। মোজা মুক্ত স্বাধীন জুতার বিচরণ আপাতত কোনো অস্বস্তি বা ক্ষতির আলামত প্রদর্শন করিলো না।
দুপুর হইতে ক্রমশ আমি অনুধাবন করতে সক্ষম হইলাম, উহারা মোজা শুধু শুধু আবিষ্কার করে নাই। পায়ের তালু ঘেমে, গরম হয়ে মস্তক পর্যন্ত ফোটাতে শুরু করলো। প্রথমে আমল না দিলেও ক্রমশ আমার পায়ের তালু যেন লোহার কাঁটার মধ্যে বিদ্ধ হতে থাকলো। অসহ্য পা-রিরীক কষ্টে যখন আমার পাবন অতীষ্ট তখন ছুড়ে ফেললাম জুতা - সরবে ছুটোছুটি শুরু করলো আমার সকল কলিগবৃন্দ। অবর্ণনীয় সুগন্ধে দেয়ালে টাঙানো জাতির পিতার নাকটাও কুচকে গেলো। কিন্তু সব কিছু অবজ্ঞা করে আমার ভার্চুয়াল মস্তক অবনত করলাম সেই মহান পিতার মোজাতলে যিনি এই অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করিয়া মোজা সৃষ্টিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
শেষটা না শুনে উঠবেন না। আজকে আমাকে একটু আর্লিই ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছে বস। কারণ হিসাবে তিনি আমার বিরুদ্ধে মুজাৎকারের অভিযোগ তুলেছেন।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: মুজাৎকারের অভিযোগ
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩২
সততার আলো বলেছেন: ও আইচ্ছা, এইটাই তাইলে কাহিনী? এই জন্যেই তো কই, গত দুচাইর বছর ধরে আমার ঠ্যাং যেখানেই পড়েছে সেখান হইতে অন্য ঠ্যাং গুলা সইরা গেছে ক্যান। ইদানিং আর মোজাছাড়া কেডস পরি না, এইজন্যেই লোকজন এখন আর আমারে দেখলে পলায় না। আমনে দারুন পুস্ট দিছেন, দাদা। আমার চুখ খুইলা গেছে।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৮
চোরকাঁটা বলেছেন: মুজাৎকার!!!!
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৪০
সাব্বির হোসেন শুভ বলেছেন: মুজাৎকারের অভিযোগ
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫১
ম্যাভেরিক বলেছেন: মুজাৎকারকে অভিধানে পোক্ত স্থান করে দেবার জন্য তা চালিয়ে যান।
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৪
ক্যামেরাম্যান বলেছেন: এরপর একদিন আন্ডারওয়্যার ছাড়া প্যান্ট পারিধান করিয়া অফিস গমন করিয়া পোষ্ট দিবেন আশা করি্
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫১
কৌশিক বলেছেন: অবশ্যই অবশ্যই! ভাল কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। আগামীকল্যই এই এক্সপেরিমেন্টটা করবো। আন্ডারওয়ারও একমাস যাবত নির্ধোয়া।
৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩০
আকাশ_পাগলা বলেছেন: চোখ খুলল আমার।
মহান বস আপনার। আমি আপনার বস হইলে আমি নিজে এসে পড়তাম কিন্তু আপনারে ছুটি দিতামনা ।
খবর কী তা?
৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মুজৎকার !!!!!!!!!!
আমার ই-মেইল এড্রেস
[email protected]
১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
কৌশিক বলেছেন: থ্যাকু থ্যাংকু
১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩২
জেরী বলেছেন:
১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫
আহমেদ রাকিব বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা
১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৬
যীশূ বলেছেন: ছাত্র জীবনে বেশ কিছুদিন মুজা ছাড়াই জুতা পড়তাম আমি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৮
ফারা তন্বী বলেছেন: হি হি হি হি হি