![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছে! একেক
জনের লাশ এনে এক জায়গায়
রাখা হচ্ছে। নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮
টা লাশ। ২ টা নাই ... একজন তার
চাচা হামজা (রাঃ) আরেকজন
হানজালা (রাঃ) অস্থির হয়ে পড়েছেন
নবীজি। সব সাহাবাদের পাঠাইলেন
লাশ খুজার জন্য। ...হটাত বোরকা পরা এক
মহিলা এসে দাঁড়ালেন নবীজির
কাছে। নবী তাকে চিনলেন না। -
মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ
আজকে আপনি একটা বিয়ে পড়িয়েছিলেন
মনে আছে? নবীজি বলেন;
হা আমি তো হানজালা বিয়ে পড়িয়েছি।
যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর
ছিটিয়ে ছিলাম। -মহিলা বললেন;
ইয়া রাসুল্লাহ! আমার হাতটা দেখেন।
হাতের মেহেদী এখনও শুখায় নাই। কাল
বিকেলে বিয়ে হয়েছিল আর রাত ২
টা বাজে উহুদের যুদ্ধের জন্য বের
হয়ে গেছে হাঞ্জেলা। বাসর
রাতে তার সাথে আমার
ভালোভাবে পরিচয়ই হয়নাই। যাওয়ার
আগে শুধু বলে গেছেন "যদি দেখা হয়
তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর
যদি শহীদ হয়ে যাই
তাহলে দেখা হবে জান্নাতে" -
মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ যাওয়ার
আগে আমার কপালে একটা চুম্মন
করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই
আপনার জন্য গোসল ফরজ। -
নবীজি কাদতেসেন। মহিলা বললেন
ইয়া রাসুল্লাহ, শহীদদের
তো আপনি গোসল দেন না আমার
স্বামীকে আপনি একটু গোসল দিয়েন?
নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন
সাহাবি দৌড়ে এসে বলল
ইয়া রাসুল্লাহ
হানজালা কে পাওয়া গেছে। --- সবাই
গেলেন। গিয়ে দেখলেন
সাদা কাফনের ভিতর লাশের মাথায়
পানি। নবীজি মাথা হাতায়ে দিলেন।
জিবরাঈল আসলো! ...এসে বলল;
ইয়া রাসুল্লাহ
হানজালা করবানিতে আল্লাহ্ পাক
এতটাই
খুশি হয়েছে যে আমি জিব্রাইলের
বাহিনিকে আদেশ করলেন
তাকে নিয়ে আসতে। ...ইয়া রাসুল্লাহ
আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয়
আসমানে এনে জমজমের
পানি দিয়ে গোসল
করিয়েছি এবং তার শরীরে যে সুগন্ধ
দেখছেন এটা আল্লাহ্ পাকের বিশেষ
খুসবু মিশক আম্বর আতর ধারা কাফনের
কাপড়ে ঢুকিয়েছি।......
এই কাহিনী বলার কোন ইস্যু ছিল না। কিন্তু
ফিলিস্তিনির কথা স্মরণ হলে আমার এই
যুদ্ধের কথা মনে পড়ে যায়। আল্লাহ্ অবশ্যই
তাদেরকে সেই পরিমাণ সওয়াব দিবে।
ফিলিস্তিনিরা আমার ভাই!
আজ যাদেরকে এই ফিলিস্তিনিদের পাশ্বে দেখতে পেলাম না, তারা কি জবাব আল্লাহুর কাছে দেবে এটাই আমি ভাবছি। তাদের কি জাহান্নামের আগুন ও মৃতুর কথা একবারও মনে পড়ে না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রি জন কেরি যে ভাষায় কথা বলেন, তাতে তাদেরকে পাগল না বলে যদি কেউ তাদেরকে মানুষ ভাবে তাতে কি মানবতার হাসি পায়না?
আমার ভাবতে অভাক লাগে আমাদের দেশের মিজান সাহেবরা কি মারা গিয়াছেন? কিন্তু কোন পত্রিকায় তো তার মৃতুর কোন খবর প্রকাশিত হলো না। তাকে সবাই কানা মিজান বলে ডাকে, আসলে কি তিনি কানা না অন্ধ ? আমি কিছুই বুঝলাম না। ভাই ওনার সাথে যদি দেখা হয় তবে তাকে একবার অসহায় ফিলিস্তিনিদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েন তো।
আমাদের বর্তমান প্রধান মন্ত্রি কে আমি ধন্যবাদ জানাই, শুধু মাত্র একটা কথা বলার জন্য যে, "বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা গুলো চোখে আংগুল দিয়ে দেখাবার জন্য"।
আর জাতিসংজ্ঞ নামটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি, কারন এটা সুধু মুসলমান ছাড়া অন্য জাতির লোকের জন্য। তাই এই নামটা পরিবর্তন করে, নাম টা বিজাতিসংজ্ঞ রাখলেই হতো ভালো হয়। তবে এটার প্রতি আমার কোন রাগ বা দুঃখ নাই। কারন আমার জাতীয় ভাইরাই তো মুনাফিক মুসলমান, ওনারা যদি একটু মুমিন হতো তা হলে হয়তো একটু ভাল হতো।
আমার এ লেখাটা একান্তই আমার মানবিক বোধদয় ছাড়া আর কিছুই না। আসুল আমরা মুমিন হই।
আমিন।।।।।।
আমিন।।।।।।।।।।।।
©somewhere in net ltd.