![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
,,,কুয়াশার আড়ালে লুকানো ঘটনা কুয়াশার চাদরে জড়ানো সকালের মোহনীয় রূপের মত নিস্পাপ, নিস্কলঙ্ক, নির্মোহ নয়,,,
এখন আমি মৃত
কি? চমকে গেলেন? ভাবছেন, মৃত এই আমি কিভাবে লিখছি? ভাবছেন সামু আবার আত্মাদের এ্যাকাউন্ট খোলার অপশন চালু করল কবে থেকে?
না, না, সবকিছু ঠিকই আছে। আপনার চারপাশের পৃথিবী ঠিক দাঁড়িয়ে আছে আগের জায়গাতেই। শুধু বদলে গেছে আমার জগত। আমি এখন অন্ধকার এক জগতের বাসিন্দা। কবরের করুণ এক নিঃস্তব্ধতার মাঝে আমি অপেক্ষা করছি কখন আসবে মুনকার-নাকীর। যখন পৃথিবীতে ছিলাম- ওই তিনটা প্রশ্নোত্তর টোঠস্থ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু কি কপাল আমার! এখন যে কিছুই মনে আসছে না।
ভাবছেন, হয়তো ফেল্টু মারকা স্টুডেন্ট ছিলাম। তাই মুখস্থ করে রাখা জিনিসটা ভুলে গেছি। কিন্তু এমনটা তো হবার কথা না। আমিতো নামকরা এক ভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র।
এখন লিশ্চয়ই মনে মনে বলা শুরু করেছেন- “ব্যাটা, বকবক বন্ধ করে আগে বল যে, মরণের পর তুই লিখছিস কেমন করে? গুল মারার আর জায়গা পাস না!!”
আসলে আমি একদিন খুব খুব খুবই একটা ভাল কাজ করে ফেলেছিলাম, আর তারই পুরষ্কার স্বরুপ আমার মনের একটা ইচ্ছা পূরণের বর দেয়া হয়। হঠাৎ কি মনে করে বলে বসলাম যে, আমার মৃত্যুর পর আমায় যেন কিছু সময় দেয়া হয় যাতে আমার চারপাশের আপনজন কে কি করছে তা আমি উপলব্ধি করতে পারি, সবার সাথে শেয়ার করতে পারি।
হয়তো আরো ভাল কিছু চাইতে পারতাম। হয়তো সামনে হতে যাওয়া টার্ম পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জি.পি.এ. চাইতে পারতাম। বা আমার ছোটো ভাইটা যাতে এ বছর ঢাকা মেডিকেলে চান্স পায় সেটা নিশ্চিত করে ফেলতে পারতাম। কিন্তু কি মনে করে যেন এই উদ্ভট বরটা চেয়ে বসলাম।
আমার মৃত্যু হয় আজ সকাল দশটায়। আজিমপুর বাসস্ট্যান্ডে জাস্ট রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দিচ্ছি আর ওমনি কোত্থেকে যেন একটা মটর বাইক আসে। ওটাকে সাইড দিতে গিয়ে আমি সরে যাই বা’দিকে আর ঠিক তখনি দ্রুত গতিতে আসা মিরপুর রোডের লোকাল বাসটা আমার উপর দিয়ে নির্দয়ভাবে চালিয়ে চলে যায়। হয়তোবা ড্রাইভার খেয়াল করেনি। ‘কিন্তু তোরা কি আরেকটু সাবধানে চালাতে পারিস না? কিসের এতো তাড়া তোদের? কেনো মেরে ফেললি আমায়? কেনো ভেঙ্গে দিলি আমার ২২ বছর ধরে দেখা স্বপ্ন?’
এরপর আমার রক্তমাখা নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হয়। আজিমপুর মোড় থেকে ঢাকা মেডিকেল বেশি দূরে না। আমায় নিতে যেতে বেশী দেরী হয় না। নেয়ার সাথেই আমি চলে যাই ইমারজেন্সি ইউনিটে। আমার ট্রলি নিয়ে ছুটে চলে একঝাক অচেনা মানুষ। আমি তাদের আত্নীয় না, বন্ধুও না, চেনা-পরিচিত কেও না। কিন্তু হায়! বুকভরা ভালোবাসায় নিথর একটা দেহ নিয়ে দৌড়াতে থাকে মহৎপ্রাণ আলোকিতো কিছু মানুষ।
সাথে সাথেই ছুটে আসেন ডিউটিরত ডাক্তার। পালস দেখে, বুকে চাপ দেয়, অক্সিজেন মাস্ক লাগায়। সাধ্যমত চেষ্টা চলে। কিন্তু মৃতদেহে প্রাণ ফিরিয়ে দেবার ক্ষমতা তো বিধাতা আর তাদের দেননি। অবশেষে আধাঘন্টা পরে নার্স আমাকে সাদা কাপড়ে জড়িয়ে দেয়। ডাক্তার আমায় অফিসিয়াল্যি ঘোষনা করে-“হি ইজ অলরেডি ডেড” হঠাত কে যেন কোনার দিক থেকে মুখচেপে কেদে ওঠে- মেয়েলী কান্না।
‘আরে উনি কাঁদে ক্যান!!’
‘উনারেতো আমি চিনি না।’
পরে মনে মনে ভাবি হয়তো আমার থেতলে যাওয়া দেহের বীভতসতা উনি সহ্য করতে পারছেন না।
হঠাত একজন এগিয়ে এসে আমার মানিব্যাগটা বের করে।
‘আরে, আশ্চর্য তো, মানিব্যাগ নেয় ক্যান! ওখানে তো এক্সট্রা তিনশ টাকা রাখা। আগামী সপ্তাহেই আমাদের ডিপাটমেন্টাল পিকনিক। ওখানে চাঁদা দিতে হবে যে।’
লোকটা ব্যাগের ভেতর কি যেন খুঁজে বেড়ায়। পরে বুঝি, উনি হয়তো আমার ঠিকানা খুঁজছে।
‘হমম, ঠিকই তো। আমার বাবা-মাকে খবর দিতে হবে না! তা’নাহলে আমার লাশ কে বুঝে নেবে।’
লোকটা আমার আই.ডি. কার্ডটা বের করে। ওখানে আমার বাসার টি.এন্ড.টি. নাম্বার দেয়া আছে। এরপর তার মোবাইলে দ্রুত হাতে নাম্বার টিপতে থাকে। এরই মাঝে আমার লাশ রাখা ট্রলি ঘিরে শত শত লোক ভীড় জমিয়ে ফেলসে। হঠাত এক পুলিশ অফিসারকেও চোখে পড়ল।–ওয়াকিটকি দিয়ে এক বেওয়ারিশ লাশ সম্পর্কে কি যেন বলছে। এদিকে শুনি লোকটা ফোনে কথা বলা শুরু করেছে। হয়তো ওপাশে মা ফোন ধরেছে, সাগর ও ধরতে পারে। ওরতো আজ কলেজ বন্ধ।
লোকটা বলছে-“আপনাদের একজন রাস্তায় একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে, এখন ঢাকা মেডিকেলে আছে। আপানারা চলে আসুন।”
হায়রে!! কি মিছা কথা!! আমি নাকি একটু অসুস্থ! একঘন্টা আগের মৃত শরীরে আবার কিসের অসুস্থতা! আমি তো এখন রোগ-শোক, আবেগ-ভালোবাসা সব কিছু থেকে অনেক অনেক উপরে….
প্রায় দেড়ঘন্টা হতে চলল। আমাকে লাশ কাটা ঘড়ে ট্রান্সফার করা হয়েছে। আগে মর্গের নাম শুনলেই গায়ে কাটা দিয়ে উঠতো। অথচ সেই আমিই দিব্যি শুয়ে আছি মগের টাইলস বাধানো একটা বেদীর উপর। শুরু হল আমাকে ছিন্ন ভিন্ন করার পালা। কত যে সিস্টেমে কাটা হলো আমায়,,,,নেয়া হলো বিভিন্ন নমুনা। কিন্তু আশ্চর্য! একটুও ব্যাথা লাগলো না। আর লাগবেই বা কেনো??
আমি তো এখন মৃত।
আধাঘন্টা পর আমি বের হয়ে আসি সেখান থেকে। বেরিয়েই চমকে যাই। দেখি, আমার ছোট চাচা আর তার এলাকার বন্ধুরা কাদের সাথে যেন কথা বলছে। আমি বের হয়ে আসতেই দৌড়ে আসে আমার দিকে। প্রথমে আসে আরিফ ভাইয়া। চাচার বন্ধু হলেও আমি তাকে আরিফ ভাইয়া বলেই ডাকি। সে এসেই আমায় ঢাকা সাদা কাপড় উচু করে, একপলক দেখেই মুখ সরিয়ে নেয়। সাথে সাথেই আসে ছোটো চাচা। চাচার রিএ্যাকশনটা ঠিক বোঝা গেলো না। হঠাত যেন সে বোবা হয়ে গেলো। সব আড্ডার মধ্যমণি কৌতুক প্রিয় চাচার এ মূতিরূপ আমি কখনোই দেখিনি।
একটু পরেই দেখি সেজচাচার সাদা টয়োটা। চাচাই ড্রাইভ করছে। পাশে বসা আমার বাবা। পেছনের সীটে চাচার বন্ধু জামাল আর ফারুক আঙ্কেল। কিন্তু কী আশ্চর্য!
‘আব্বুর চোখের চশমাটা কই?’
‘আব্বুতো কখনোই চশমা ছাড়া বাইরে বের হয় না।’
গাড়ীর স্টার্ট বন্ধ না করেই চাচা দৌড়ে নেমে যায়। আব্বু দৌড়ে এসে দাঁড়ায় ছোটো চাচার পাশে।
‘আরে, আমিতো এখানে।’
‘তোমরা আমার কাছে আসো।’
কিন্তু কে শোনে আমার কথা। হঠাত আমার হাতে সেজ চাচার ছোঁয়া পাই। এই আমার সেই সেজ চাচা-যাকে আমরা সবাই মানে চাচাতো ভাই বোনেরা বাঘের চেয়েও বেশী ভয় করি। যেই মানুষটার ছায়া দেখার সাথে সাথেই আমরা ক,খ পর্যন্ত ভুলে যাই, আর সেইচাচাই আজ আমার হাত ধরে আছে।
‘আজিব তো!’
হঠাত দেখি চাচা তাকিয়ে আছে আমার হাতে পড়ে থাকা সাদা ডায়াস আর কালো বেল্টের ‘গুচি’ ঘড়িটার দিকে। এত দামী ঘড়ি পড়বার সাধ্য আমার নাই। চাচাই গতবার হজ্জ থেকে এনে দিসিলো এটা। আমি ইলেক্ট্রিক্যালে চান্স পাওয়াতে চাচা ছিলো যারপরনাই খুশি। আর এই ঘড়িটা ছিলো তার পুরস্কার। সারাজীবন কঠিনরূপে দেখে আসা চাচার আজ এ কী রূপ! ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে আমার রক্তভেজা শরীরের দিকে।
আব্বু আসছে আমার দিকে। পাশে আরিফ ভাইয়া। আব্বু এসে আমার ডানে দাড়ায়। আরিফ ভাইয়া ধীরে ধীরে মাথার কাপড় ওঠানো শুরু করে।
‘ধূর, আরিফ ভাইয়া এটা কী করতেসে!’
‘আমাকে এইভাবে দেখানোর মানে কী!’
‘আব্বুর তো হার্টের অসুখ, সকালে প্রেসারের ওসুধটা খেয়েছে কিনা কে জানে।’
আস্তে আস্তে আমার মাথার অংশ পুরোপুরি অনাবৃত করে ফেলা হয়। আমি চোখ বন্ধ করে থাকি।
‘আল্লাহই জানে এখন আব্বুর কী হবে!’
কিন্তু আব্বুর অভিব্যক্তি দেখার প্রচন্ড ইচ্ছা জাগে। সাথে সাথে চোখ মেলে তাকাই এবং সম্পূর্ণ নতুন একটা জিনিস আবিষ্কার করি।
জীবনে এই প্রথম আমার বাবার চোখে পানি দেখতে পাই। কী আশ্চর্য! কী আশ্চর্য!!
সব সময়ই আপন জগতে থাকা বাবার আদর থেকে আমি কখনো এতটুকুও বঞ্ছিত হইনি। এখনো মনে পড়ে প্রতিদিন অফিসে যাবার সময় আব্বুর কাছে করা সেই চকলেটের আবদার। এখনো মনে পড়ে প্রতি রাতেই আমার জন্য খেলনা নিয়ে বাবার ঘড়ে ফেরা। আব্বু আমার জীবনে কোন ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখেনি। সবই পেয়েছি। শুধু এই একটা জিনিসই হয়তোবা দেখা বাকি ছিলো- আব্বুর চোখের পানি। কিন্তু হায়! আজকে আমি তো মহা ফ্যাসাদে। আজ তো আমার উঠে দাড়াবার শক্তি নেই। আমি তো আব্বুর চোখের জল মুছে দেবার জন্য ট্রলি থেকে উঠতে পারছি না।
১২টা প্রায় বাজে। সূ্য এখন ঠিক মাথার উপরে। ছোট চাচার বন্ধুরা কী সব কাগজ নিয়ে যেন দৌড়াদৌড়ি করছে। হয়তোবা অফিসিয়াল ডেডবডি ভেরিফিকেশনের কাগজপত্র। হায়রে! কক্ত কক্ত নিয়মকানুন। এদিকে আমার শরীরের রক্ত শুকিয়ে চটচট করছে। আমার মাথায় তখন শুধু একটাই চিন্তা- কখন বাসায় যাব।
দুপুর ঠিক পৌনে একটা। সাইরেন বাজাতে বাজাতে এ্যাম্বুলেন্সটা থামে ঠিক আমাদের বাড়ির সামনে। কিন্তু এখানে এত ভীড় ক্যান! ব্যাপারটা কি! এলাকায় কি কোন মিটিং হবার কথা নাকি! কই, সকালে বাসা থেকে বের হবার সময় তো কিছু শুনিনি, কোথাও তো মিটিংয়ের আয়োজন দেখিনি। নাহ, কোন কিছুই তো আজ মিলছে না। সব কিছুই উল্টাপাল্টা লেগে যাচ্ছে।
ধীরে ধীরে আমি ঢুকি আমার বাসার ভেতর। ড্রয়িংরুমের ভেতর ঠিক মাঝখানটায় নেয়া হয় আমাকে। সিলিং ফ্যানটার ঠিক নিচে। চারপাশে সব পরিচিত মুখ। কয়েকজনকে তো প্রায় আট-দশ বছর পর দেখছি। সবাই আমাকে ঘিরে রয়েছে। আমারতো ‘নিজভূমে পরবাসী’র মত অবস্থা।
‘আরে, আপনারা সবাই এমন করতেসেন ক্যান? আজব তো!’
সবাই দেখি রোল উঠিয়ে কাঁদতেসে। মনে মনে ভাবি, যার যা ইচ্ছা হয় করুক। আমার দৃষ্টি শুধু একটি মুখ খুজে বেড়ায়- আমার মা।
প্রতিদিনতো ভার্সিটি থেকে আসলে আম্মুই দরজা খুলে দেয়। টেবিলে ভাত বেড়ে না খেয়ে বসে থাকে সেই বিকাল পর্যন্ত। কিন্তু আজকে এত দেরি করছে কেনো! আমার তো আর দেরি সহ্য হচ্ছে না। আম্মুর কথা ভান্তে ভাবতেই দরজার পাশে দেখি আম্মুর মুখ। একেই হয়তো বলে নাড়ীর টান। আর আম্মুতো শুধু আমার মা’ই না। আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধুও। পরীক্ষার আগে যখন রাত জেগে পড়তাম তখন মা এসে আমার পাশে বসে থাকত। আমি যে কত বলতাম-‘মামণি তুমি যাও, ঘুমাও।’ কিন্তু আম্মুতো নাছোড়বান্দা। ছেলের কখন কি লাগে- এই ভেবে আমার সাথে যে কতো নিঘুম রাত কাটিয়ে দিসে তার কোন হিসেব নাই।
আম্মু এসে দৌড়ে আমার পাশে বসে। সাথে ছুটে আসে আমার সেজচাচী, ছোটচাচী আরো অনেকে। আম্মু এসেই আমার কপালে হাত বুলাতে শুরু করলো। আমার জর হলে যেভাবে মাথায় পানি মুছে দিত ঠিক সেভাবে। সে যে কী স্বর্গীয় অনুভূতি তা বলে বোঝানো যাবে না। সগে যাব কি না তার কোন ঠিক নেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত মায়ের আদরলাগা ছোয়ার স্থান নরকের যন্ত্রনা কোনদিন স্পর্শ করবে না। হঠাত আম্মু বলতে শুরু করল, “এ্যাই, তুমি কোথায় গেলা? দেখো না, ছেলেটা ক্যামনে ফ্লোরে ঘুমায়ে পড়সে। ওকে ধরে তোলো। ওর রুমে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেই। আরাম করে ঘুমাতে পারবে। তাড়াতাড়ি আসো।” আমি তাকাই আব্বুর দিকে। আবার দেখি চশমাহীন সেই হতবিহবল চেহারা। আবার দেখি আমার হঠাত আবিষ্কার করা আব্বুর চোখের পানি। আব্বু অঝোরে কাঁদছে। কিন্তু কোন শব্দ নেই। একটা মানুষের চোখে এত পানি থাকতে পারে তা আমার জানা ছিলো না। তবে কি বাবার শরীরের রক্ত পানি হয়ে চোখ দিয়ে ঝরছে! ওফফফ!!! হঠাত যন্ত্রনায় দেহের মধ্যে কেমন এক অজানা অনুভূতি জাগে।
আমি আবার চারপাশে তাকাই। সাগর ’কে খুজি। ও আমার ছোট ভাই। ফিজিক্স আর ম্যাথ পড়াতে যেয়ে যে ওরে কক্ত বকাঝকা করসি তার কি কোন হিসেব আছে! ওকি তবে রাগ করে সামনে আসছে না।
‘আরে গাধা তোরে কি আমি কোনদিন মন থেকে বকা দিসি?’
তুই যাতে ইন্টারে গোল্ডেন প্লাস পাস সে জন্যই তো আমি একটু রাগ দেখাতাম। কিন্তু তুই যে ছিলি আমার পৃথিবীর সেরা ভাই।– একথাটা মুখ ফুটে বলিনি কখনো, তোকে সামনের বছর মোবাইল কিনে দেব বলে স্কলারশিপের টাকাটা আমি রেখে দিসি আমার ড্রয়ারে- খয়েরী খামটার ভেতর। কিন্তু এ কথাটা তো তোকে আমার বলা হলো না, আমি তো তোকে মোবাইলটা কিনে দিতে পারলাম না। এখন আফসোস হচ্ছে- কেনো আগেই বললাম না! কেনো আগেই কিনে দিলাম না! ওফফ!! কষ্টটা আরেকটু বাড়ে।
বেলা বাজে প্রায় দুইটা। আত্তীয় সজন, পাড়া-প্রতিবেশী, চেনা-অচেনা সবাইরে দেখি। কিন্তু আমার প্রতিদিনের আড্ডাবাজী গ্রুপের পোলাপানগুলিরে চোখে পড়ে না। কে জানে। ওরা খবর পেলো কিনা। আর ওদের যা সময়জ্জান তাতে টাইমলি আসবে কিনা তাই বা কে জানে!
‘আরে ব্যাটারা, আজকের দিনেও তোদের লেট করা লাগে?’
‘দেখিস না আমার আর বেশী সময় নাই।’
চারপাশে গোল করে বসে মাদ্রাসার ছেলেমেয়েগুলি সুর করে কোরান পড়ছে। বাকিদের হাতে তসবি।
‘আর কিছুক্ষণ পরেই তো আমার জানাজা। তোরা আসবি কখন?’
হঠাত সিঁড়িতে জুতা পরে খুব দ্রুত কারো উঠার শব্দ শুনতে পাই। ‘টক,,টক,,টক,,,’
শুনেই বুঝতে পারি শিশির ভাইয়া আসছে। আমার সব কাজের সাপোর্টার কাম পেট্রনাইজার মাল্টিন্যশনাল কোম্পানিতে চাকরীরত এক্সিকিউটিব শিশির। আমার কম্পিউটার জ্ঞানের হাতেখড়ি তো শিশির ভাইয়ার কাছেই। কি সুন্দর ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতো সবকিছু। একটা প্রশ্ন দশবার করলেও কিছুই মনে করতো না। কিন্তু ফ্যাশনেবল হাসিখুশি শিশির ভাইয়ার চেহারার আজকের এই গাম্ভী্র্য তো আমার পুরোপুরি অচেনা। শিশির ভাইয়ার সাথে সাথেই ঢোকে হিমেল। শিশির ভাইয়ার ভাই- আমার কাজিন। আমার চেয়ে বয়সে দুই বছরের সিনিয়র। কিন্তু সম্পর্ক ঠিক বন্ধুর মতো। আমার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন তো তার কাছ থেকেই পাওয়া। দেখা হলেই হাসিমুখে বলতো- “কিরে, কোন সমস্যা নাই তো? এবারের সাবজেক্টগুলি কেমন রে?”
শিশির ভাইয়াকে পাশ কাটিয়ে হিমেল দৌড়ে এসে আমার পাশে বসে। ক্ষাণিক পরেই মাথা টলে অজ্জান হয়ে পড়ে যায় আমার খাটিয়ার পাশে। হায়রে! ধীরে ধীরে কষ্ট তো বাড়ছেই। চিন্তা করি, কখন দ্যাখা শ্যাষ হইব এইসব।
বাজে প্রায় তিনটা। হঠাত করেই আসা শুরু করলো আমার সব জিগরি দোস্তোরা।
‘কিরে ভাই, তোগোর সবার মুখ এমন ক্যান? কি হইসে তোগোর? আমারে ক’
চমকে ভাবি- না না, কারো প্রবলেম সলভ করার ক্ষমতা আমার আর নেই।
কাওসারকে আমার আর কোনোদিন টাকা ধার দিতে হবে না। মেহেদীর পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট আর চুরি করা হবে না। জাহীদের সাথে তর্ক হবে না আর কোনোদিন। সামী আমার উপর হঠাত হঠাত রেগে যাবে না আর কখনোও। সুমনকে বাটপার বলে দৌড় দিব না আর কোনদিন। বিকেল হলেই নাজমুলের সাথে চুপি চুপি সিগারেট খেতে যাব না আর ব্রিজের ধারে। সামনের মাসের ছুটিতে সিলেটে তোরা হয়তো অনেক মজা করবি, অনেক ছবে তুলবি, ফেসবুকে দিবি মজার মজার সব স্ট্যাটাস। কিন্তু আমি আর তোদের কোন কিছুরই অংশ হতে পারব নারে।
হয়তো ওপর থেকে দেখব সবকিছু। মেঘ হয়ে ভেসে বেড়াব, বাতাস হয়ে ছুঁয়ে যাব। কিন্তু তোরা আমায় পাবি না আর কোনদিন।
হঠাত চিৎকার শুনি। বারান্দার দিকে ঘুরে তাকাতেই দেখতে পাই একটা জটলা। গলার স্বর শুনে আমার বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এবার গলা ফাটিয়ে কাঁদছে মেহেদী। আরে কী আশ্চর্য! বারান্দার ওই কোনার দিকের চেয়ারে ওটা কে! অপুর মত লাগছে দেখতে। হ্যাঁ হ্যাঁ, অপুই তো। ও মুখে রুমাল চেপে বসে আসে ক্যান? বিশালদেহী এই অপুর মাঝে কোনদিনও আবেগ ছিলো বলে তো মনে পড়ে না। ওতো সবকিছুই ঠাট্টা মনে করে উড়িয়ে দেয়। অথচ সেই অপুর চোখেও পানি। অন্তরের সব কঠিন আবেগ যেন চোখ বেয়ে গলে গলে পড়ছে। এত ভালোবাসতি তোরা আমাকে! এত!! এত!!! কই, কোনদিন তো কিছু বলস নি! কোনোদিন তো দেখাস নি। আমিও তোদের অনেক ভালোবাসতাম রে। অনেক, অনেক। কিন্তু কোনদিন তোদের বলিনি। তোরা সবসমই আমার চারপাশ আলোকিত করে থাকতি। আমার এই ক্ষুদ্র জীবন তোদের মত বন্ধু পেয়ে ধন্য।
হায়রে! এত ভালোবাসার কোন প্রতিদান না দিয়েই কী সাথপরের মত চলে এলাম পৃথিবী থেকে। কষ্টটা আরো বাড়ে।
বিকেল সাড়ে চারটা। আমায় গোসল করানো শেষ। আসরের নামাযের পর জানাযা। মা এখনো আমার মুখে শীতল পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে।
‘দাও মা, দাও। আর একটু পরই তো আমি চলে যাব। তোমার এই পরশ তো আর পাব না।’
‘মা, কাল না আমাদের সবাই মিলে ছোট খালার জন্য বনানীতে পাত্র দেখতে যাবার কথা? তুমি কি ভুলে গেছো? তোমার তো ভুললে চলবে না। তুমিতো তোমার ফ্যামিলির সবচেয়ে বড় মেয়ে। তোমার এই খামখেয়ালী তো আগে আমি কখনো দেখিনি মা।’
“দেখসো বৃষ্টি, ছেলেটা যত বড় হচ্ছে ততই মনভোলা হয়ে যাচ্ছে। কাল যে ওর ক্লাসটেস্ট আছে। ও মনে হয় ভুলেই গেসে। সেই কখন থেকে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে”-আম্মুর এই কথা শুনে ছোট চাচী আর শম্পা খালা আবার চিৎকার করে কান্না শুরু করে। মা এখনো কিছু বুঝতে পারে না। আমার সারা শরীরে নিরন্তর হাত বুলিয়ে চলে।
বিকেল পাঁচটা। ছোটো চাচার বন্ধুরা এগিয়ে আসে আমার খাটিয়ার দিকে। আমি বুঝতে পারি আমার এ বাসায় আর আমি আসতে পারব না। প্রতি মাসের এক তারিখে ক্যালেন্ডারের পাতা আর চেঞ্জ করে দেয়া হবে না। আগামী মাসে আব্বু-আম্মুর ম্যারেজডেতে সারপ্রাইজ গিফটা আর দেয়া হলো না। আমার ছোট্ট বারান্দায় বসে গভীর রাতে আর জোৎস্নাগোসল করা হবে না। নাস্তার টেবিলে বসে দেয়ালে টানানো ওয়ালম্যাটটার দিকে আর আমি চেয়ে থাকব না। হঠাত করেই যেন চেঞ্জ হয়ে গেলো সবকিছু।
ধীরে ধীরে আমায় নিয়ে আসা হয় গেটের বাইরে। বের হতে হতে দেখি পাশের বাসার রুনা আন্টি, শিলা আন্টি, কবিতা আপু, পিচ্চি আরিয়ান আরো কতো কতো মানুষ তার ইয়ত্তা নেই। সবাই আজ এসেছে আমাদের এই ছোট্ট বাড়িটায়।
‘তোমারা আজ সবাই একসাথে এসেছো কেনো!’
‘আম্মুতো তোমাদের কাউকেই না খাইয়ে ছাড়বে না। আম্মুটা যে পাগলের পাগল। মেহমান দেখলেই দৌড়ে যায় রান্নাঘরের দিকে। বুঝেছি, আজ আম্মুর উপর আনেক ধকল যাবে’
আমায় নিয়ে আসা হয় বাসার পাশের তেলীপাড়া জামে মসজিদে। কি সুন্দর চকচকে টাইলস লাগানো চারপাশের দেয়ালে। মনে পড়ে যায় এই মসজিদেই আমার দাদার জানাযা হয়েছিলো। আমি তখন এক্কেবারে ছোট। নামাজ পড়তে পারতাম না। কিন্তু তবুও আব্বুর হাত ধরে এসেছিলাম। অথচ আজ আমারি জানাযায় সবাই এসেছে। এলাকার সবচেয়ে পুরনো মসজিদে আজ হাজারো মানুষের ঢল।
নামাজ শেষ হয়। জানাজা শেষ হয়। শিশির ভাইয়া আমার পক্ষ থেকে সবার কাছে কান্নাজড়ানো কন্ঠে ক্ষমা প্রাথনা করে। ইমাম সাহেবও মোনাজাতের সময় হু হু করে কেঁদে ওঠেন। মসজিদে সবার মাঝে নীরব কান্নার রোল ওঠে। নামাজ শেষে সোনালি সবুজ কারুকাজ করা চাদরে ঢেকে দেয়া হয় আমার খাটিয়া।
মসজিদ থেকে ধীরে ধীরে বের হতে থাকি আমি। গেটের সামনে এসে দেখি বৃষ্টি পড়ছে।
‘আরে আজব তো! এতগুলি মানুষ কি আমার জন্য বৃষ্টিতে ভিজবে নাকি? কারো কাছেই তো ছাতা নেই, রেইনকোট নেই।‘
কিন্তু না, কেউই আর বাকি থাকে না। সবাই আমার খাটিয়া নিয়ে বের হয়ে আসে বৃষ্টির মাঝেই। হয়তো এটাই নিয়ম। মৃতের প্রতি অন্তিম শ্রদ্ধা হয়তো এভাবেই জানাতে হয়।
আমি আবার আসি বাসার সামনে। আজিমপুরে যেতে হলে এ রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। গেটের সামনে সব মহিলাদের ভীড়। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বারান্দা থেকে নেমে এসেছে সামনের খালি মত জায়গাটাতে। আমার দৃষ্টি খুজে বেড়ায় আম্মুকে দেখার জন্য।
‘আম্মু তুমি কই? তুমিকি এখনো বুঝছো না যে তোমার ছেলে চলে যাচ্ছে অন্য এক জগতে। তুমি কি এখনো ভাবছো আমি সন্ধ্যার পরই ফিরে আসবো বাড়িতে। আবার গিয়ে বসব আমার পড়ার টেবিলে।’
হায়রে! এই পাগল মা’টারে কে যে বুঝাবে এই সত্যি কথাটা কে জানে!
‘আল্লাহ তুমি আমার মায়ের মনটা একটু শক্ত করে দাও। প্লিজ আল্লাহ, প্লিজ’
আঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। ধীরে ধীরে আমি ছাড়িয়ে যাচ্ছি আমার বাড়ির সীমানা। হঠাত চোখ যায় বাসার ছাদের দিকে।
‘আরে ছাদে ওটা কে!’
অবণির মত লাগছে দেখতে।
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, ওই তো। বৃষ্টির মধ্যে একা ছাদে দাঁড়িয়ে এদিকে তাকিয়ে আছে কেনো?’
ফিজিক্সের ফাস্ট ইয়ারে পড়া ব্রিলিয়ান্ট অবণির তো এভাবে বৃষ্টিতে ভেজার কথা না।
‘আজ ওর চোখের গোল গোল চশমাটা কই’
কী অপূব সুন্দর একটা মেয়ে, অথচ নিষ্পাপ চোখ দুটি সব সময় কালো ফ্রেমে বন্দী করে রাখতো। বিকেলে ছাদে উঠলে মাঝে মাঝে কথা হত। কিন্তু কখনোই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে নয়। আর সেই অবণিই আজ এলোমেলো বৃষ্টিতে একা দাঁড়িয়ে আছে ছাদে। কী অপূর্ব লাগছে দেখতে ওকে। ওর এই স্বর্গীয় অবয়ব তো আজকেই আমার প্রথম দেখা।
‘ও কি কাঁদছে?’
‘না, না ও কাঁদবে কেনো। ও তো আমার রক্তের সম্পর্কের কেও না। তবে কি রক্তের বাধনের চেয়ে আত্তার বাঁধন বড়?’ তাই হবে হয়তো।
অঝোর বৃষ্টি ওর গাল বেয়ে নিচে নেমে আসছে। চোখের জল মিশে বৃষ্টির অঝোর ধারার সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে। আশ্চর্য! একটা অপরিচিত মানুষের জন্য কারো মায়া থাকতে পারে! আমার জানা ছিলো না। নিথর দেহে যেন একটা শিহরণ খেলে যায়। মনে হতে থাকে ভালই তো ছিলাম এই পৃথিবীতে অজানা সব মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে। কেনো যে চলে যাচ্ছি। পরক্ষনেই মনে হয়, আমি চলে না গেলে তো জানতাম না আমার প্রতি সবার এই ভালোবাসার কথা। বুঝতাম না অদৃশ্য এই মায়ার টান কতটা প্রবল, কতটা স্বর্গীয়।
আজিমপুর গোরস্তানে আমি পৌছাই সন্ধ্যা ৬’টায়। আগে থেকেই খোদাই করে রাখা কবরটায় বৃষ্টির কারণে সামান্য পানি জমেছে। ওটাই এখন সেচে ফেলা হচ্ছে।
আমার খাটিয়া সামনে ধরে আছে আব্বু আর সাগর , পেছনে শিশির ভাইয়া আর তার বন্ধুরা। আমি আব্বুকে চিতকার করে বলি- ‘আব্বু আমায় নিচে নামিয়ে রাখো। সন্তানের লাশের ভার তো পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী। কেমন করে বইছ এই বোঝা!’
কিন্তু আমি তো আজ বোবা। যতই চেচাই না কেন, এই জাগতিক পৃথিবীতে কেউ আজ আমার কথা শুনবে না, কেউ আমার কথার জবাব দেবে না।
ধীরে ধীরে আমার দেহ নামিয়ে দেয়া হয় সাড়ে তিন হাতের অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে গতটাতে। চাটাই দিয়ে ঢেকে দেয়ার পর সবাই মাটির ঢেলা তুলে নেয়। আমি ঢাকা পড়ি মাটির স্তুপের আড়ালে। লাগানো হয় ঘাস, দেয়া হয় ফুল। এই ঝুম বৃষ্টির মাঝে কারো যেন কোন তাড়া নেই। সবাই মোনাজাত ধরে। কী সুন্দর করে কোরান পাঠ করেন ইমাম সাহেব। আত্তার মাগফিরাতের জন্য পরওয়ারদিগারের দরবারে জানানো হয় অন্তিম ফরিয়াদ।
দূর মসজিদ থেকে আযানের ধনি ভেসে আসে। চারিদিকে ধীরে ধীরে নেমে আসতে থাকে অন্ধকার। কেমন যেন কাঁপনলাগা শীতল অনূভুতি। আস্তে আস্তে জটলা কাটতে থাকে। একজন দুজন করে পা বাড়ায় বাড়ির পথে, কেউবা মসজিদ পানে। হঠাত কারো কান্নার আওয়াজ পাই।
‘আরে, সবকিছু তো করা শেষ। এখন আবার কাঁদে কে!’
কান পেতে থাকি ওই কান্নাশব্দ পানে। বুঝতে পারি, এ যে আমার বাবার কন্ঠ। এবার আর বাবা নিঃশব্দে কাঁদছে না। হাউমাউ করে একেবারে শিশুর মতো কাঁদছে। এলোমেলো ভাবে কতো কিছুই না বলে যাচ্ছে। হয়তো পুত্রের অকাল প্রস্থানে পিতৃহদয় সৃষ্টিকর্তার আরশে আবারো ফিরে পাবার আকূল আবেদন জানাচ্ছে।
‘কিন্তু বাবা, এতো আর হবার নয়। এ যে বিধাতার বিধানে নেই। তুমি কেঁদো না বাবা, আমার কষ্ট লাগছে’
চাচার কাঁধে ভর দিয়ে বাবাও বাড়ির পথে পা বাড়ায়।
‘যাক, বাঁচা গেলো। সারাদিন সবার চোখের পানি দেখতে দেখতে আমি এখন বড্ড ক্লান্ত। কেমন যেন ঝিমুনি আসছে। আমি এখন ঘুমাবো। অনন্তকালের সেই ঘুম যে কবে ভাংবে কেউ জানে না।’
আশেপাশে দেখে নেই, কেউ নেই তো আবার।
আরে!!!
আমার দুটা কবর পরে কিনারায় দাঁড়ানো আবছা ছায়াটা কার?
ভালো করে খেয়াল করতেই দেখি ওখানে দাঁড়িয়ে আছে সাগর । অঝোর বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আমার আদরের ছোট্ট ভাইটা।
‘ভাইরে, তুই বাড়ি যা। এভাবে ভিজিস না। তোর যে ঠান্ডা লেগে যাবে রে। আব্বু আম্মুর কতো সপ্ন ছিলো- বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার আর ছোটো ছেলে হবে ডাক্তার। আমি তো সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম নারে। কিন্তু তোকে যে পারতেই হবে। তুই এভাবে ভেংগে পড়লে আব্বু আম্মুকে দেখবে কে! তুই বাড়ি যা, প্লিজ।’
আমার কথা বুঝি ওর কানে পৌছে। মাথা নিচু করে বেরিয়ে যেতে থাকে মেইনগেট ধরে।
আহ, কি শান্তি। আজ থেকে আমার আর কোন কাজ নেই। সন্ধ্যার পর পড়তে বসার তাড়া নেই। আড্ডা দেবার আকূলতা নেই। আমার প্রতি কারো আর কোন দাবি নেই। কারো প্রতি আমার আর কোন অধিকার নেই। কিন্তু এই মুক্তি নিতে যে আমি হারিয়ে ফেললাম আমার চারপাশের জগতটাকে। নিদয়ভাবে ছিন্ন করলাম সব মায়ার বাঁধন। বঞ্চিত হলাম বাবার স্নেহ আর মায়ের মমতার পরশ থেকে। হারিয়ে ফেললাম ভাইয়ের হাসিমাখা মুখটা দেখার সুযোগ। এই মুক্তি যে জোয়ারের টানে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো আমার আড্ডার আসর, আমার আপন খেলাঘর। তবে কি আমি ঠকে গেলাম!!
‘না, আর কিছুই চিন্তা করতে পারছি না। আমার এখন একটু ঘুমের দরকার। আমি এখন ঘুমোবো।’
উৎসর্গঃ খন্দকার খান জাহান সম্রাট। বুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপাটমেন্টের টগবগে এই তরুণের মৃত্যু হয় ২০১০ সালের ২৭ শে মে। আজিমপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘাতক বাসের চাকায় সম্রাট পিষ্ট হয় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিতসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এভাবেই বড় অসময়ে চলে যায় স্বপ্নের জাল বুনতে থাকা এক তরুণ শিল্পী।
পরিশিষ্টঃ বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২০০০০ প্রাণ সড়ক দূঘটনার নির্মম বলিদানের শিকার। অধিকাংশ দূর্ঘটনাই ঘটছে চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে অনীহা আর সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে।
আমরা রাস্তা পারাপারের সময় ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করি না। গাড়ী ড্রাইভ করার সময় লালবাতি যেন আমাদের চোখেই পড়ে না। বাস ড্রাইভার স্পীড লিমিট ক্রস করলে মনে মনে খুশি হয়ে বলি- “বাহ, ড্রাইভারটাতো বেশ ভালো।” আর আমাদের এই মনোভাবই কেড়ে নিচ্ছে ২০০০০ প্রাণ। আমরাই এই ২০০০০ সত্তার হত্যাকারী। এ হত্যার দায় আমাদেরই।
আসুন, একটু বদলাই। আর তা’নাহলে প্রস্তুত হই সড়ক দূ্র্ঘটনায় মৃত স্নেহময়ী মা, আদর্শবান বাবা বা ফুটফুটে ছোট বোনটাকে কাঁধে করে অনন্তকালের ঘুমের রাজ্যে পৌছে দেবার জন্য।
স্বপ্নহত্যার কোন ক্ষমা নেই। তবুও সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত আর তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বোধহয় আমাদের আর কিছুই করার নেই।
২০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৪২
টয় বলেছেন: আমরা যেন একটু সচেতন হই
২| ২০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৪২
১১স্টার বলেছেন: সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছ।
৩| ২০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯
স্বাধীন বাংলা বলেছেন: সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
৪| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১
মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: বর্নমালাতে কমেন্ট দিয়েছি।
তবে এই পোস্ট স্টিকি করার ব্যাপারে সামু কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে কিনা জানি না।
২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬
টয় বলেছেন: ভাইয়া, স্টিকি না হলেও অসুবিধা নেই। শুধু সচেতনতা আর এক ধরণের দায়বদ্ধতা থেকেই এই পোস্টটি করেছি।
আপনাকে ধন্যবাদ
৫| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১
কমরেড কামরুল বলেছেন: শুধু শোকই জানাতে পারি।
৬| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩
কমরেড কামরুল বলেছেন: শুধু শোকই জানাতে পারি। হয়ত একটু সচেতনতা সম্রাট ভাইয়ার জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারত। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩
টয় বলেছেন: হুমম
৭| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:২৭
অনিরুদ্ধ অনু বলেছেন: কোন লেখা পড়ে সাধারনত কাদিঁ না... এটা পড়ে মনের অজান্তেই দু'ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল......তার আত্মার শান্তি কামনা করছি......
৮| ২১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:২৬
নিভৃত নয়ন বলেছেন: এমন একটি লেখার পাঠক নাই!!!!!!!!হায়রে সামু,কারে মুল্লায়ন কর তুমি।
ভাইরে একবারে পড়তে পারি নি,কারন চখের জল ফেলতে চাই নি।তবু অস্রু গরিয়ে পরেছে।
৯| ২২ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:০২
আমি শুভ্র বলেছেন: আমি সম্পূর্ন লেখাটা পড়িনি, কারন আমি চাইনা আমার চোখটা ভিজে যাক।
১০| ২২ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:৫০
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই চোখে পানি এসে পড়লো ,অথচ কি অবাক একটা জিনিস এরকম একটা লেখার কোন পাঠক নেই
১১| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৪০
নষ্ট কবি বলেছেন: ভালু হইসে...++++++
১২| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:০৩
নিরক্ষর পোলা বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন
আসলেই, আসুননা সবাই একটু বদলানোর চেস্টা করি.
১৩| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:০৩
শায়েরী বলেছেন: +++
১৪| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:১৭
কায়েস বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছিনা।
পড়তে গিয়ে বার বার চোখ ভিজে উঠছিলো; চোখের সামনে যেন সব দেখতে পাচ্ছিলাম, বোধ করছিলাম সবগুলো অনুভূতি সাথে কতগুলো অজানা আশঙ্কা।
আমরা রাস্তা পারাপারের সময় ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করি না। গাড়ী ড্রাইভ করার সময় লালবাতি যেন আমাদের চোখেই পড়ে না। বাস ড্রাইভার স্পীড লিমিট ক্রস করলে মনে মনে খুশি হয়ে বলি- “বাহ, ড্রাইভারটাতো বেশ ভালো।” আর আমাদের এই মনোভাবই কেড়ে নিচ্ছে ৪০০০ প্রাণ। আমরাই এই ৪০০০ সত্তার হত্যাকারী। এ হত্যার দায় আমাদেরই।
সময়ের স্রোতে ভাসমান এই আমরা কবে পারব এই দায় হতে মুক্ত হতে ! দুর্ঘটনা ঘটার আগ পর্যন্ত আমাদের মাথায়ই থাকেনা সময়ের মুল্য কখনোই জীবনের চেয়ে বেশী নয়। শুধু কি তাই, অনেক ৩/৪ রাস্তার মোড় আছে যেগুলোতে অন্য পাশের ২/৩ রাস্তার কিছুই দেখা যায়না ঘরবাড়ি, মার্কেটের কারণে। আমার মনে আছে ছোটবেলায় ফেনীতে একবার এই রকম প্রেক্ষাপটে ট্রাকের নিচে পড়েই যাচ্ছিলাম, সেই যাত্রায় বড় ভাই টান দিয়ে সরিয়ে নিয়ে আসায় আল্লাহর রহমতে বেঁচে যাই। কিছুদিন আগে উত্তরায় এক বন্ধুর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে একই কারণ।
ধনী-গরিব, মেধাবী-দুর্বল, রিকশা ড্রাইভার-পাজেরো ড্রাইভার আর কারোই এমন পরিণতি না হোক।
ভালো থাকবেন
১৫| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৪৯
অনিক বলেছেন: আমার পড়া এই ব্লগের অন্যতম সেরা লেখা। এতো আবেগ আর অনুভূতি দিয়ে লেখা এর আগে কখনো পড়েছি বলে মনে হয়না। এই লেখাটা যদি এক কোন মৃত আত্মার "আত্মকথন" বা "বিদায় বেলার অনুভূতি" হিসেবে ধরি তবে আমার পড়া বাংলা সাহিত্যের যে কোন লেখকের লেখার চাইতেও অনেক বেশী আবেগপ্রবণ অনেক বেশী দরদী- তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। আপনার অসাধারণ অনুভূতি ও অগাধ কল্পনার বিশাল ভান্ডার থেকে যে সামান্য ছোঁয়াটুক দিলেন তা সহ্য করতে বেশ কষ্ট হয়েছে- অনেকবেশী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছি। আপনাকে অভিবাদন।
সম্রাটের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। ওর আত্মা শান্তি পাক।
১৬| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:১৪
কাশিফ বলেছেন: চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না..................
১৭| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:২৪
একজন হতভাগা বলেছেন: পারলাম না চোখের পানি ধরে রাখতে....
১৮| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৪৩
মানবী বলেছেন: সম্রাটের ছোট ভাই সাগর কখন সম্রাটেরর মৃত দেহ দেখে এটা খুঁজছিলাম তবে পুরো লেখাটি পড়ার মতো মানসিক শক্তি পেলাম না।
সম্রাটের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
সম্রাটের মা, বাবা ও পরিবারের জন্য আন্তরিক সমবেদনা।
আমাদের দেশে প্রশাসন ও সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতির কালো ছোবলের অন্যতম করুন শিকার প্রতি বছর নিয়ম করে সড়ক দূর্ঘটনায় হত্যাকান্ড। এসব হত্যাকারী বাস ড্রাইভার বা ট্রাক ড্রাইভার কখনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেয়েছে বলে শোনা যায়না।
পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ টয়।
১৯| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
মাইক পাগলা বলেছেন: অনেক কষ্ট করে চোখের পানি সামলে, অনেক সময় নিয়ে পড়লাম...
আমি বাকরুদ্ধ... ফেসবুকে শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম কিন্তু জানিনা কিভাবে করতে হয়..
ভাবছি রিপোষ্ট দিবো....
২০| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:০৭
পেইড ব্লগার বলেছেন: ভয়ানক বেদনা পেলাম। লেখাটি স্টিকি করে দেয়া হোক।
২১| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:২২
েপচাইললা বলেছেন: অফিসে বেইজ্জতি হলাম লেখাটা পড়তে গিয়ে, চোখের জলের কি ব্যাখ্যা দেব সহকর্মীদের কাছে..?
আসুন, সবাই সচেতন হই। সম্রাটের স্বপ্নমৃত্যু যেন আমাদের বোধোদয় ঘটায়।
২২| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:২৫
মদন বলেছেন:
২৩| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:২৫
মাইক পাগলা বলেছেন: আপনার অনুমতি ছাড়াই লেখাটা রিপোষ্ট দিলাম...
Click This Link
আর দেখেন ১৮ + এর গন্ধ পেয়ে কতোজন আসছে....
হায়রে সামু......... তোমার এ কি অবস্থা......।
২৪| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৩৭
আরিফ রুবেল বলেছেন: চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। লেখাটি স্টিকি করার দাবী জানাচ্ছি।
২৫| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
রিয়াদ-তাওহিদ বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন
আসলেই, আসুননা সবাই একটু বদলানোর চেস্টা করি.
২৬| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৫০
শিপু ভাই বলেছেন: পড়ার সময় বারবার বুকের ভিতর মোচর দয়ে উঠেছে। কান্না থামাতে পারি নি। মনে হচ্ছিল সম্রাট আমারই আপন কেউ।
তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
পোস্টটি স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
২৭| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৫০
শারিম টুমপা বলেছেন: এত আবেগময় লেখা পড়তে গিয়ে মনের অজান্তে চোখের পানি যে কখন চলে আসল বুঝতে পারিনি।
সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
কিছু দিন আগে এই সড়ক দূঘটনার নির্মম বলিদানের শিকার হয়ে আমার এক চাচী সারা জীবনের জন্য পঙ্গূ হয়ে হুইল চেয়ার এর উপর ভর করে বেচে আছে।
রাস্তায় বের হয়ে মনে হয় আর বুঝি সুস্থ অবস্থায় বাসায় ফেরত যেতে পারব না। এর কি কোন প্রতিকার নাই।
২৮| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৫৪
শিপু ভাই বলেছেন: অনিক বলেছেন: আমার পড়া এই ব্লগের অন্যতম সেরা লেখা। এতো আবেগ আর অনুভূতি দিয়ে লেখা এর আগে কখনো পড়েছি বলে মনে হয়না। এই লেখাটা যদি এক কোন মৃত আত্মার "আত্মকথন" বা "বিদায় বেলার অনুভূতি" হিসেবে ধরি তবে আমার পড়া বাংলা সাহিত্যের যে কোন লেখকের লেখার চাইতেও অনেক বেশী আবেগপ্রবণ অনেক বেশী দরদী- তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। আপনার অসাধারণ অনুভূতি ও অগাধ কল্পনার বিশাল ভান্ডার থেকে যে সামান্য ছোঁয়াটুক দিলেন তা সহ্য করতে বেশ কষ্ট হয়েছে- অনেকবেশী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছি। আপনাকে অভিবাদন।
সম্রাটের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। ওর আত্মা শান্তি পাক
সম্পূর্ণ সহমত।
ফেবুতে শেয়ার করলাম।
২৯| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৪
তূর্য হাসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে শেষ করতে পারলাম না। হয়তো কখনো পড়তেও পারবো না। যতবারই পড়তে গেছি চোখ ভিজে গেছে।
৩০| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:১১
আগামি বলেছেন: লেখাটি হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন
৩১| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:২২
খন্ডকাব্য বলেছেন: লেখাটি পড়ে অনেকক্ষন জিম মেরে বসে আছি বুঝতে পারছিলাম না কি মন্তব্য দিব......অসম্ভব আবেগ দিয়ে লিখা.....চোখের পানি আটকানো দায়।
সম্রাটের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
পোষ্টটি ষ্টিকি করা হোক।
৩২| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:২২
নতুন রাজ ২০১০ বলেছেন: চোখে পানি এসে গেলো ।
৩৩| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩১
জাহাংগীর বলেছেন: gy‡Li fvlv ¯—ã n‡q †M‡Q,†Pv‡Li cvwb a‡i ivL‡Z cviwQbv|Avcbv‡K ab¨ev`, mgªv‡Ui AvZ¥vi gvM‡divZ Kvgbv Kwi|
Avgiv cÖ‡Z¨‡KB hw` wbR wbR `vwqZ¡ wVKgZ cvjb Ki‡Z cÖwZÁve× nB Ges cÖwZÁv †g‡b KvR Kwi Avwg g‡b Kwi Avgv‡`i Ae¯’vi Dbœqb Kiv m¤¢e|
AveviI ab¨ev`|
৩৪| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৫
সৈয়দ ফয়সল রেজা বলেছেন: আমি আবেগপ্রবন মানুষ না, কিন্তু কখন যে চোখে পানি এসে গেল টেরই পেলাম না।
পোষ্টটি ষ্টিকি করা হোক।
৩৫| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:১৭
একাকি রাতে বলেছেন: আমি কাদি না, চোখে মনে হয় কিছু পরেছে যার কারনে জল এসেছে
৩৬| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:১৯
নীরব দর্শক বলেছেন: নিশ্চুপ চারিধার.........
৩৭| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৯
ওয়াসওয়াসিফ বলেছেন: আমি সম্পূর্ন লেখাটা পড়িনি, কারন আমি চাইনা আমার চোখটা ভিজে যাক।
৩৮| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:০২
দুরন্ত মানুষ বলেছেন: চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না!!!!
৩৯| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:১২
টয় বলেছেন: আমার এই লেখাটির এমন রেসপন্স পাব তা আমি কল্পনাও করিনি। আপনাদের সবাইকে পোস্টটি উপলব্ধি করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি সব সময়ই প্রতিটি মন্তব্যের আলাদাভাবে উত্তর দেই, কিন্তু এই পোস্টের প্রতিটি মন্তব্যের আবেগকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে প্রতি মন্তব্য করার সামর্থ্য বিধাতা আমাকে দেননি।
এদেশে আমাদের মত সাধারণ মানুষগুলো যে কতটা মানবিক, কতটা আবেগী তা আমি আজকে নতুন ভাবে উপলদ্ধি করছি।
আমরা সম্রাটের পরিবারের হারানোর বেদনায় কাদি, ফেলানী হত্যার প্রতিবাদে জাগ্রত হই, লিমনের প্রতি করা অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। কিন্তু আমাদের নীতি-নির্ধারকেরা সব সময়ের জন্য থাকেন নির্বিকার। কারণ ওনারা যে আমাদের শাসক। ওনাদের কি আর এসব সামান্য ঘটনায় কাদলে চলে!!!!
গনতন্ত্রের মুখোশে নির্দিষ্ট সময় অন্তর আমরা সরকার পরিবর্তন করি না, আমরা পরিবর্তন করি প্রভু। সেই পরিবর্তনশীল প্রভুরা আমাদের স্বপ্নগুলো হত্যা করা ছাড়া কার্যত আর কল্যাঙ্কর কিছুই করেন ন।
৪০| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৪
হাসনাত জামিল দিপু বলেছেন: ভাই কান্না আটকায়ে রাখতে পারি নাই। এত সুন্দর বর্ণনা খুব কমই পড়েছি । সম্রাট আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
বদলে যাবার সঙ্কল্প নিলাম। ধন্যবাদ ।
৪১| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
এ হেলাল খান বলেছেন: এই পোষ্টটা অনেকবার আমার চোখে পড়েছে। সবার কমেন্টস পড়ার পর পড়ার সাহস করিনি। কারন কাঁদতে চাইছিনা। কিন্তু তার পরও পড়তে হলো।
৪২| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৯
ইনকগনিটো বলেছেন: এক বছর পরেও ব্যাকুল হয়ে কিছু মানুষ সম্রাটের জন্য কাঁদল আবার। স্রষ্টা কি জানেন ,চোখের পানি আটকানো কতটা কঠিন কাজ?
৪৩| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:২০
লেখোয়াড় বলেছেন: আমি কাঁদলাম আর মনে মনে বললাম, মানুষ হওয়াটা আমার জন্য অপরাধ কিনা? জীবন যদিও সুখ-দুঃখের আবেগে ভেসে যায়, তবে কখনো অন্য সব আবেগকে হারিয়ে দেয়।
ধন্যবাদ টয়কে এমন হৃদশ্পর্শী লেখার জন্য।
৪৪| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫০
সুহাসলেলিন বলেছেন: শিপু ভাই বলেছেন: অনিক বলেছেন: আমার পড়া এই ব্লগের অন্যতম সেরা লেখা। এতো আবেগ আর অনুভূতি দিয়ে লেখা এর আগে কখনো পড়েছি বলে মনে হয়না। এই লেখাটা যদি এক কোন মৃত আত্মার "আত্মকথন" বা "বিদায় বেলার অনুভূতি" হিসেবে ধরি তবে আমার পড়া বাংলা সাহিত্যের যে কোন লেখকের লেখার চাইতেও অনেক বেশী আবেগপ্রবণ অনেক বেশী দরদী- তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। আপনার অসাধারণ অনুভূতি ও অগাধ কল্পনার বিশাল ভান্ডার থেকে যে সামান্য ছোঁয়াটুক দিলেন তা সহ্য করতে বেশ কষ্ট হয়েছে- অনেকবেশী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছি। আপনাকে অভিবাদন।
সম্রাটের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। ওর আত্মা শান্তি পাক।
(সম্পূর্ণ সহমত।)
## আমি সাধারণত বড় লেখা কম পড়ি। শিপু ভাই ফেসবুকে শেয়ার করার পর পুরুটাই পড়লাম।
অনেকক্ষন কাঁদলাম।
আমার পড়া শ্রেষ্ঠ একটা লেখা।
প্রিয়তে!
আমরা কেনো আইন মেনে চলতে পারিনা?
আমি দেশে এসে কিছুদিন আইনমতো সব করার চেষ্টা করলে সবাই আমাকে বলে, এটা বাংলাদেশ। এখানে ইউরোপের মত চললে কোনো কাজই সময়মত শেষ হবেনা।
কেন?
৪৫| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৫
মাইক পাগলা বলেছেন: অবশেষে ফেসবুকে শেয়ার করতে পারলাম...
৪৬| ২২ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭
মুসফিক বলেছেন: কি বলবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা।
৪৭| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪
নিবিড় এখন বলেছেন: আমি এই লেখাটা পুরা পড়তে পারি না। কারন আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে।
তাই আমরা যখন রাস্তা পার হবো তখন একটু দেখেশুনে চলবে।
আর যেন মা র বুক খালি না হয়।
৪৮| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫
আরিফইসলাম বলেছেন: বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন
আসলেই, আসুননা সবাই একটু বদলানোর চেস্টা করি.
৪৯| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২
rabbykhan9 বলেছেন: চোখের কোন দিয়ে অশ্রুও গড়িয়ে পড়ছে. এই পোষ্ট টা স্টিকি না করলে সামু তে আর আসবো না.।.।
৫০| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: Amon abegpurno lakha Samu ta goto 1 year er modha ei prothom porlam. Ai kothi gulo kokhonoi opron hobar na, ata sudhu akjoner chole jaoya na, asapaer sob manus ke bidhosto kore daya. . . . . .
৫১| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭
আজব কবি বলেছেন: অশ্রু ধরে রাখতে পারলাম না, পাশে মা ছিলও, মায়ের কাছে অশ্রু লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করালাম, শিউরে উঠলাম আমি আমার বাবা মার একমাত্র সন্তান, ওনাদের কি অবস্থা হবে যদি আমার ও এমন হয় ।
৫২| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮
জাহাঙ্গীর সিএসইবিডি বলেছেন: অনেকদিন পরে আবারো মনে হলো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করা বা বলার দরকার!
সম্রাটের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
পোস্টাট স্টিকি করা হোক।
৫৩| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১
অ্যাশ বলেছেন: শেষ প্যারাটা পড়ার সাথে সাথে আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না .. , একা কিছুক্ষন কাঁদতে পারলে আরও হালকা লাগত ... ।
৫৪| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২
অাবু জাফর বলেছেন: পোস্টাট স্টিকি করা হোক।
৫৫| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩
গুপী গায়েন বলেছেন: কাল ফেসবুকে এই লেখাটা দেখেছি। এখন অনেকদুর পড়লাম, বুঝতে পারছি কি হতে যাচ্ছে এরপর, আর পড়বার সাহস নাই।
সম্রাটের জন্য দোআ।
"নিরাপদ সড়ক চাই। প্রতিদিন বাসায় অপেক্ষায় থাকা প্রিয়জনদের কাছে নিরাপদে ফিরে যেতে চাই।"
৫৬| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬
আকাশগঙ্গা বলেছেন: সম্রাট বেচে আছে আমাদের হৃদয়ে।
৫৭| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১
ব্লুম্যাজিক বলেছেন: পুরা লেখাটা পড়তে পারলাম না আর... বার বার চোখে পানি চলে আসতেছে তাই। সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন.
আমীন।
৫৮| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জারনো বলেছেন:
সত্যি বড়ই মর্মান্তিক বর্ণনা। কেন আপনি আমাদের চোঁখকে পূণরায় অশ্রুশিক্ত করলেন? সম্রাটের জন্য আমাদের দেবার কিই বা আছে দু'ফোটা অশ্রু ছাড়া ? সম্রাটের পরিবার সম্রাটকে হারানোর বেদনা যেন সহ্যকরার শক্তি দেন মহান সৃষ্টিকর্তা এই প্রার্থনা।
৫৯| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
ইমন কুমার দে বলেছেন: সম্রাট.... ক্ষমা করো আমাদের। কান্না ধরে রাখতে পারছি না। হায় ঈশ্বর !!
৬০| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০
দূর্বাঘাস বলেছেন: অনেক কষ্ট পেলাম। পড়তে পড়তে চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে। বারবার শিউরে উঠি। সত্যিই আমাদের পরিবর্তন দরকার। সেই সাথে দরকার ভালো কাজ করে যাওয়া।
পোস্টটা স্টিকি করা হোক।
৬১| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শ।মসীর বলেছেন: শেষ করতে পারিনি লেখাটা, আমার চোখটা দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে বলে...........
৬২| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
অচেনা পাথর বলেছেন:
পোস্টটা স্টিকি করা হোক।
৬৩| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১০
শামুক বলেছেন: পোস্টটা স্টিকি করা হোক, bolte ki bojhay bujhtesina. tobe khub valo lagse
৬৪| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পোস্টটা স্টিকি করা হোক। সবাই জানুক।
৬৫| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৬
জলপতনের নিরবতা বলেছেন: স্বপ্নহত্যার কোন ক্ষমা নেই। তবুও সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত আর তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বোধহয় আমাদের আর কিছুই করার নেই।
৬৬| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
পুরো লেখা পড়া হয়নি।
চোখের কোণে জল এসে পড়ছে।
আবার কোন সময় পড়বো।
সম্রাটের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
৬৭| ২২ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২
নিশম বলেছেন: ব্লগের কোনো লিখা পড়ে প্রথমবারের মতো আর ঠেকাতে পারলাম না নিজেকে, একদম কেঁদে ফেললাম। আপনি সফল।
কিছুই লিখলাম না। সম্রাট ভাইয়ার জন্য অনেক দোয়া, উনার ছোটো ভাইটা যাতে উনার অবর্তমানে উনার দায়ীত্ব কাধে নিতে পারে, দোয়া করি।
৬৮| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৮:০৬
কার্ড খেলি বলেছেন: সম্রাটের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
৬৯| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৮:১২
ইয়ািসর অাহেমদ বলেছেন: খুব খারাপ লাগছে সমরাটের জন্ন। আর কেউ যেন এমন অবস্থার শিকার না হন।
৭০| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৮:২৭
ইঞ্জিনীয়ার নাহিদ বলেছেন: স্বপ্নহত্যার কোন ক্ষমা নেই। তবুও সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত আর তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বোধহয় আমাদের আর কিছুই করার নেই।
পোস্টটা স্টিকি করা হোক।
৭১| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৩
নষ্টছেলে বলেছেন: সুন্দর প্রাণের অপচয়।স্বপ্নহত্যার কোনো ক্ষমা নেই।
৭২| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৯:০৯
তন্দ্রাহারা বলেছেন: এটাই কি সেই কঠিন বাস্তবতা? চোখটা ভিজে গেলো।
পোষ্টটি ষ্টিকি করা হোক
৭৩| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৯:১০
বিবেক সত্যি বলেছেন: ভিজেছে চোখ...
৭৪| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৯:১৭
অনিক আহসান বলেছেন: স্টিকি করার মত পোস্ট...স্টিকি করা হোক....
৭৫| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩০
শরমিন বলেছেন: খুব কষ্ট লাগছে, আমি পুরোটা পড়তে পারলাম না। আল্লাহ যেন আর কারো ভাগ্য এমন ঘটনা না ঘটান।
৭৬| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৫
বাণীবাহক বলেছেন: শান্তনা পেতাম যদি ঘটনাটি সত্যি না হত। অসম্ভব আবেগপূর্ণ মর্মস্পর্শী একটি লেখা। সম্রাটের আত্মার জন্য জন্য দোয়া রইল।
৭৭| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪৯
শোভন এক্স বলেছেন: কি আর বলবো, আর কিই বা বলার আছে... খুব কস্ট লাগলো পড়ে। এতোসব ঘটনার পরও মানুষ যদি একটু সচেতন হতো...
৭৮| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ১০:০০
জামিনদার বলেছেন: ব্যস্ততার কারণে ব্লগে এখন কম আসা হয়। শিপু ভাই ফোন করে বলল- সামুতে এযাবৎ তার পড়া শ্রেষ্ঠটা পোস্টটা একটু দেখার জন্য।
কষ্ট পেলাম। চোখে পানি চলে আসল।
আসলে সত্যিই আমার দেখা শ্রেষ্ট পোস্ট-।
৭৯| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১৮
রাখালীয়া বলেছেন: যতবারই পড়তে গেছি চোখ ভিজে গেছে। সম্রাট ভাইয়ার জন্য অনেক দোয়া।ওনার আত্মা শান্তি পাক
৮০| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৫১
উণ্মাদ তন্ময় বলেছেন: অফলাইনে বসে পড়ছিলাম। মন্তব্য না করে থাকতে পারলাম না। আবেগকে এতটা বাস্তবে রূপ দেওয়া যায় জানতাম না। আমি সবসময় হাসিখুশুতে থাকা মানুষ। সহজে মন খারাপ হয় না। কিন্তু এক অজানা বেদনা যেন আমাকে গ্রাস করছে এ মুহূর্তে। মৃত্যু নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।
লেখাটা যে পড়েনি, সে হতভাগা
সত্যিই, আজ আমার সামুর জীবন স্বার্থক।
৮১| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ১২:১৪
মিকন মোদক বলেছেন: লেখাটা পড়ছিলাম নাকি নিজেই ঐ জায়গাতে ছিলাম নাকি আমার চোখের সামনে কেউ কোন ছবি ছেড়েছিল নাকি অদৃশ্য এক জায়গা থেকে সম্পূর্ণ দৃশ্যটাকে অবলোকন করেছিলাম,কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি!!!শুধু এতটুকু বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি কাদছি । আমার চোখ দিয়ে অবিরত জল গড়িয়ে পড়ছিল।সম্রাটের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।।।।।
আমরা যারা এই লেখাটা পড়েছি তারা কি পারিনা আমাদের আশেপাশের সবাইকে সতর্ক করতে।রাস্তায় চলার পথে ড্রাইভারকে সতর্ক করতে!!হয়তো বা একটু লজ্জা লাগবে সবাই বলবে ভীতু তবুও যদি এই ভীতুর নাম দিয়ে যদি একটা সম্রাটকে বাচানো যায় তাতে ক্ষতি তো নাই।আসুন আমরা সবাই এখন থেকে চলার পথে ড্রাইভারকে সতর্ক করি, যদি একটি সম্রাট বাচে............সেই প্রত্যাশায়.........................................
৮২| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ১২:২৬
শুকনা মরিচ বলেছেন: আমি হতভম্ব, বাকরুদ্ধ । নিজেকে মনে হচ্ছিলো সাদা চাদরে ঢাকা আমিই সেই । কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা ।
মডারেটর দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি - এই লেখাটি স্টিকি করুন ।
লেখককে অনেক ধন্যবাদ । আপনার আবেগকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ।
৮৩| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ১:৫৩
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। আর কিছু বলার নাই। মানুষের আত্মাকে ছোঁইয়ার মত ক্ষমতা আছে আপনার। লেখা চালিয়ে আমাদের বিবেক কে আপনি জাগাবেন এই আশা করি। আপনার মত লেখক দরকার আমাদের দেশের । মন থেকে ধন্য বাদ। মৃতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমার মামাতো ভাই রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে ২ বছর হল।
৮৪| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ২:০৭
জালটাকা বলেছেন: লিখতে চাইছিলাম অনেক কিছু কিন্তু আবেগি হতে চাই না,তাই বেশী কিছু লিখলাম না।
৮৫| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ২:১৭
চশমখোর বলেছেন: অনেক দিন হল সামুতে ঢুকা হয়না। একটা ফ্যান পেজে লেখাটা শেয়ার দেয়ায় কি মনে করে যেন ঢুকে পড়লাম।
পড়তে পড়তে নিজেকে আর কনট্রোল করতে পারিনি। আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেঁদেছি।
সম্রাটের ভাইয়ের জন্য দোয়া রইলো। উনার আত্নার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন উনাকে বেহেশত নসিব করে।
আমাদের সকলকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে রাস্তা পারাপারের জন্য। ৫ মিনিট দেরি হলেও দেরি হোক কারন ঐ ৫ মিনিটের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
আপনার অবেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদায় নিলাম।
৮৬| ২৩ শে মে, ২০১১ সকাল ৭:৫২
নামবিহীনপরী বলেছেন: ai kanna jotodin ai jinis gulo bondho na hobe totodin thambe na.karo na koro jonno amader evabe kadte hobe..
৮৭| ২৩ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:০০
প্লাবন সাহা বলেছেন: পোষ্টটি ষ্টিকি করা হোক ...........
৮৮| ২৩ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৩৯
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছি না।
৮৯| ২৩ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:০৮
তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেছেন: এইভাবে আসলে কখনই চিন্তা করা হয় নাই। আপনি একেবারে মনের ভিতর ঢুকে এই চরম কষ্টদায়ক অনুভূতি আর আমাদের খামখেয়ালীপনার দরুণ এরকম করুন পরিণতি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।
সম্রাটের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
৯০| ২৩ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:১১
তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেছেন: এইভাবে আসলে কখনই চিন্তা করা হয় নাই। আপনি একেবারে মনের ভিতর ঢুকে এই চরম কষ্টদায়ক অনুভূতি আর আমাদের খামখেয়ালীপনার দরুণ এরকম করুন পরিণতি বুঝিয়ে দিলেন।
সম্রাটের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
৯১| ২৩ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩২
রায়হানিক বলেছেন: ছেলেটার জন্য ... তার আত্মার জন্য ... কিছুই করতে পারিনি।
কিছুই করতে পারিনি অকাল মৃতদের জন্য।
সব ছেড়েছুড়ে কোমর বেঁধে নামতে চেয়েছিলাম।
পারিনি।
৯২| ২৩ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
দরজার ওপাশে বলেছেন: ...
৯৩| ২৩ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:১১
স্বপ্ন ও সমুদ্র বলেছেন: সত্যিই এমনটা হওয়ার কথা ছিলনা।
বড় অসময়ে চলে গেল ছেলেটা।
৯৪| ২৩ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৫
সুপ্রকাশ সরকার বলেছেন:
৯৫| ২৩ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২
অন্ধকারের রাজপুএ বলেছেন: কিছুই বলতে পারছিনা।চোখের পানি ধরে রাখা গেলনা। কি-ই বা বলার থাকতে পারে। এমন কত ঘটনা তারুন্নে উচ্ছল আর অপার সম্ভবনাময় জীবন কেড়ে নে।
উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ বেহেস্ত নসিব করুন।
৯৬| ২৩ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮
মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেছেন: কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না... আমার কিছু হলে হয়ত ঠিক এইটাই হবে .........এই রকমই হবে।
৯৭| ২৩ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: ভিজেছে চোখ.............
৯৮| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ৮:০৬
অসামাজিক প্রাণী বলেছেন: চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে বারবার .....।
৯৯| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৮
হাসিব আনোয়ার বলেছেন: ++++++++++
স্টিকি করা হোক
১০০| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৫০
শাহীন bOOs বলেছেন: সত্যি চোখে জল চলে এসেছে.......হৃদয় বিদারক একটা ঘটনা.........!!!
১০১| ২৪ শে মে, ২০১১ রাত ৩:০৫
কিং খান বলেছেন: শিউরে উঠলাম।এত আবেগ দিয়ে লিখেছেন যে দু ফোটা অশ্রুও গড়িয়ে পড়ল চোখ দিয়ে।লিখতে চাইছিলাম অনেক কিছু কিন্তু আবেগি হতে চাই না,তাই বেশী কিছু লিখলাম না।
১০২| ২৪ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:২১
বিভ্রান্ত পথিক ২০১০ বলেছেন: "সাগর ও ধরতে পারে".............এর পর বাকিটুকু পড়তে অনেক কষ্ট হয়েছে...........................
১০৩| ২৪ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
মোহাঃ তাওহীদুল হাসান বলেছেন: অসাধারণ লেখা... +
১০৪| ২৫ শে মে, ২০১১ রাত ৩:১৯
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: কাঁদছি!! কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল।বুয়েটে তখন কেমন থমথমে অবস্হা।কয়েকদিন মাত্র ক্লাস করল।ভার্সিটি জীবন টা উপভোগ করার আগেই শেষ হয়ে গেল জীবনটাই।
স্টিকি হোক লেখা।
সম্রাট ক্ষমা করো!!
১০৫| ২৫ শে মে, ২০১১ রাত ৩:২৫
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: ওর মৃত্যুতে তখন কত তোলপাড় হল,আর মাত্র একবছরের মাথায়ই সব নিস্তেজ যেন!! এভাবেই কি মানুষ অদৃশ্য হয়ে গেলে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়?
কিছুই বদলায় নাই।আপন মানুষেরা বাদে আর কারও হয়ত মনেও নাই-সম্রাট আর নাই!!
আমরা আসলেই কত স্বার্থপর!!!
ক্ষমা করো ভাই।
এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলার নাই!!
১০৬| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৩৬
নিশাচর২৮ বলেছেন: মনের অজান্তে ই আমার চোখ থেকে পানি চলে এসেছে । এক কথায় অসাধারন । ঘটনাটা এত আবেগ আর এত অনুভূতি দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে যা কোন শব্দ দিয়ে প্রশংসা করা যাবে না ... আর সম্রাট ভাই , যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন ।
১০৭| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৫৩
ডায়মন্ড বলেছেন: টয়,
প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিলাম আমি লেখাটি পুরোটা পরিনি বলে।আসলে পড়তে পারিনি।
চাচার মৃত্যূর সংবাদ পেয়ে কাদতে ভুলে গিয়েছিলাম।বুক ছুয়ে বলতে পারি ,একবিন্দু চোখের জল সেদিন ঝরেনি। সেই জমে থাকা জল আজ ঝরালাম।
আসলে আমার আপন কোন চাচা নেই।চাচা ছিল আমার বাবার মামাতো ভাই।
চাচাকে আমি সর্বশেষ দেখি ২০০২ এ ওনার ফুপু মানে রূনা আপুর বিয়েতে,অনেক মজা করেছিলাম একসাথে।কলিীবাড়ী মন্দিরের সামনে গেলে ঐ কমউনিটি সেন্টারের দিকে তাকালেই আমার মনে হয় সেই দিনটির কথা। তার পর থেকে আর কোনদিন দেখিনি চাচাকে,আর কোনদিন দেখতেও পারব না।আমি তাকে শেষবার এর মত দেখতে পাইনি, দেখতে যাওয়ার সাহস পাইনি বলে।
আল্লাহ যেন চাচাকে বেহেশত নসীব করে।
তার রেখে যাওয়া স্বপ্নকে যেন আমরা বাস্তব রূপ দিতে পারি।
টয়
আমি জানি না সম্রাট এর কতটা কাছের এবং আত্মার মানুষ হলে এভাবে লেখা সম্ভব।
১০৮| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ২:৩৫
পিচ্চি কবি বলেছেন: পুরাটা পড়তে পারিনি, পারবোওনা
১০৯| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ২:৫৫
আহসান জামান বলেছেন:
খুব কান্নাময় একটা লেখা। এভাবে অসংখ্য অকাল মৃত্যু আমাদের কাঁদায়, আমরা তবুও সাবধানী হইনা, চালকদের অসাবধানতা কমে না। আমরা কী নিয়ম করি নিয়ম ভাঙার জন্য!
সড়কদুর্ঘনায় আমিও এক আত্মীয় হারিয়েছি কিছুদিন আগে!
১১০| ২৭ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৩১
বুড়া শাহরীয়ার বলেছেন: চলে গেছে সে অসময়ে , দিয়ে গেছে একবুক ভরা কস্ট, এক জীবন ভরা স্মৃতি।
এই কস্টের আদ্রতায় জন্মাক সামাজিক আন্দলন। স্মৃতি গুলা পথ দেখাক নিরাপদ ভবিষ্যতের।
১১১| ২৭ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৪১
স্বপ্নকথন বলেছেন: প্রচন্ড মায়াময় লেখাটা মনের অজান্তেই চোখের পানি ঝরিয়ে দিল।
যে আবেগ তুলে ধরা হয়েছে তার চেয়েও হয়তো বহু আবেগময় ছিল সম্রাটের জীবন টা। বার বার তার সেই হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নময় জীবনের জন্য কষ্ট হচ্ছে আর মন্টা বিষিয়ে উঠছে এই ভেবে,তবুও আমাদের শিক্ষা হয়না,তবুও আমরা সতর্ক হইনা,তবুও এই হত্যাকারীদের বিচারে কেউ সোচ্চার হয়না!!! এভাবেই কত পরিবার যেন নিঃস হয়ে যাচ্ছ........
আল্লাহ সম্রাট কে বেহেস্ত নসিব করুক।
১১২| ২৭ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
রেহমান জিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: শিউরে উঠলাম।এত আবেগ দিয়ে লিখেছেন যে দু ফোটা অশ্রুও গড়িয়ে পড়ল চোখ দিয়ে।
১১৩| ২৭ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৫
বোকা ছেলে বলেছেন: লেখাটা পড়ে কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা ।
এই দেশে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। এখানে বাস চাপায় দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছেলেটি মারা যায়, এখানে আগুনে পুড়ে মরে যায় শতশত মানুষ, এখানে কাদামাটির ওপরে পাঁচতালা বিল্ডিং বানানো হয় আর তা ধসে পড়লেও আমরা চুপ করে বসে থাকি।
আপনার অবেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আর সম্রাটের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিদায় নিচ্ছি।
১১৪| ২৭ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫
রিশাদ রিজওয়ান বলেছেন: পুরোটা পড়বার সাধ্য নেই আমার…… আমার পাশের সিটে আজো যখন অন্য কেউ বসে এক রকম অসহায়ত্ব বোধ করি …।। কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগে । লেখক কে বলছি, আপনি কি আমাদের ই একজন ??? অনেক অনেক ধন্যবাদ ……আর শোক আমাদের সম্রাট এর জন্য ।
১১৫| ২৭ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯
অযুত বলেছেন: টয়কে বলছি,
পুরোটা পড়লাম না।
কেন বলেন তো?
জানি বলতে পারবেন..... কারণ কম্পুর স্ক্রীণটা বারবার ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, তাই আর পড়া হলো না।
সম্রাটকে বলছি,
একজন বড় ভাইয়া হিসেবে তোমার জন্য দোয়া করি ভাই, আল্লাহ তোমাকে বেহেশত দান করুক।
সম্রাটের হত্যাকারীদের বলছি,
আজীবন আমার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলে... আমি কোনোদিন তোদের একটা কুত্তাকেও ক্ষমা করবো না।
১১৬| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫৩
সেলিনা11 বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা.....।খুব ভালো লাগলো.....।
১১৭| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:২৩
ইমরান নিলয় বলেছেন: কাঁদতেই হল। :'(
১১৮| ০৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০০
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: হৃদয় স্পর্শ করা। মন ভারী হয়ে গেলো।
১১৯| ১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩৯
সাইমনরকস বলেছেন: এত আবেগ দিয়ে লেখা। সম্রাটের আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি। আমীন।
১২০| ২০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৬
এম. আই. খলিল বলেছেন: টিস্যু দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে পুরো লেখাটি পড়লাম ।
শিপু ভাই বলেছেন: আমার পড়া এই ব্লগের অন্যতম সেরা লেখা। এতো আবেগ আর অনুভূতি দিয়ে লেখা এর আগে কখনো পড়েছি বলে মনে হয়না। এই লেখাটা যদি এক কোন মৃত আত্মার "আত্মকথন" বা "বিদায় বেলার অনুভূতি" হিসেবে ধরি তবে আমার পড়া বাংলা সাহিত্যের যে কোন লেখকের লেখার চাইতেও অনেক বেশী আবেগপ্রবণ অনেক বেশী দরদী- তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। আপনার অসাধারণ অনুভূতি ও অগাধ কল্পনার বিশাল ভান্ডার থেকে যে সামান্য ছোঁয়াটুক দিলেন তা সহ্য করতে বেশ কষ্ট হয়েছে- অনেকবেশী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছি। আপনাকে অভিবাদন।
সম্রাটের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। ওর আত্মা শান্তি পাক ।
সহমত ।
১২১| ২০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪
মেলবোর্ন বলেছেন: একবারে পুরোটা পরলাম। কস্টের মাঝেই পরতে হলো থামতে পারিনি কেনো জানি মনে হচ্ছিল সম্রাটের জন্য এতটুকু পরতে পারি ও জদি এভাবে সবাই কে ছেরে যেতে পারে আমিও ওর কথা পরতে পারি ওর জন্য কাঁদতেই পারি। আমাদের সবাই কেউ না কেউ মারা গেসে আমরা সবাই গোরোস্থানে গেছি তাই এই অনুভূতির সাথে পরিচিত সেই অনুভূতির অসাধারন প্রকাশ এই লেখা।
১২২| ২০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫
মেলবোর্ন বলেছেন: একবারে পুরোটা পরলাম। কস্টের মাঝেই পরতে হলো থামতে পারিনি কেনো জানি মনে হচ্ছিল সম্রাটের জন্য এতটুকু পরতে পারি ও জদি এভাবে সবাই কে ছেরে যেতে পারে আমিও ওর কথা পরতে পারি ওর জন্য কাঁদতেই পারি। আমাদের সবাই কেউ না কেউ মারা গেসে আমরা সবাই গোরোস্থানে গেছি তাই এই অনুভূতির সাথে পরিচিত সেই অনুভূতির অসাধারন প্রকাশ এই লেখা।
১২৩| ২০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
অহন_৮০ বলেছেন: eto emotion diye je lekha jai seta ajkei deklam & porlam. kono lekha pore eai prothom chokher pani fellam ++++++
১২৪| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৬
স্পর্শহীন কিছুদিন বলেছেন: চোখের পানি গড়িয়ে পড়ল ................
১২৫| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১:০২
মূল্যহীন বালক ...বেস্ট বলেছেন: ভাই টয় , আপনি অনেক ভাল লেখেন । কিন্তু আসলে কথা হল একজন মৃত মানুষের নামে না জেনে উলটা পালটা কিছু লেখা টা ঠিক নাহ মনে হয় । আপনার কাছে সম্রাট হয়ত একটি লেখার বিষয়বস্তু হিসেবে গণ্য হতে পারে কিন্তু আমার সে বন্ধু । আপনি যদি কিছু লিখতে চান তাহলে তার সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনা ও সব কিছু জেনে তারপর লেখা উচিত ছিল ।
কেউ দুঃখ প্রকাশ করতে পারে , কিন্তু যে দুঃখ পায় সে তার মর্ম বোঝে । সেইদিনটির কথা মনে পরলে আজও চোখ ভিজে আসে আমার ।
যাই হোক , লেখাটা আসলে কষ্টের চেয়ে মেজাজ খারাপ এর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওর বন্ধুদের কাছে ।
কিছু মনে করবেন নাহ। কথা গুলো না বললেই নয় আসলে ।
২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৩৪
টয় বলেছেন: পাঠক হিসেবে আপনি এই লেখাটিতে মৃত মানুষের প্রতি অসম্মান-মূলক কোন লাইন খুজে বের করতে পারলে তা এখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা উচিত ছিল। কিন্তু লেখক হিসেবে এই লেখাটিতে সেরকম কিছুর লেশ মাত্র আছে বলে আমার মনে হয় না।
সম্রাট আপনার বন্ধু আর আমার সহযাত্রী। এই লেখাটি একজন সহযাত্রীর প্রতি উৎসর্গ্রীকৃত মাত্র। কোন লেখার উৎসর্গ পত্র কিভাবে কারো বিরক্তির কারণ হতে পারে তাও আমার জানা নেই।
লেখাটি পড়ে আপনার মেজাজ খারাপ হতেই পারে। কারণ আমি কারো মনোরঞ্জনের জন্য লেখা লিখি না।
১২৬| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ২:০০
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: এই লেখার মন্তব্য করার সাধ্য আমার নাই। কেন জানি না পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো আমিই সম্রাট, আর চোখের পানির কথা নাইবা বললাম।
আমার মনে পরে না কোন লেখা পড়ে ঠিক কবে কেঁদেছিলাম,,,,,,,,,,
সম্রাটের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সম্রাট তুমি যেখানেই থাক ভাল থেকো শান্তিতে থেকো--------------------------
১২৭| ২৮ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:১৫
আনিসুর রহমান রাসেল বলেছেন: চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেল
১২৮| ২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৮
মূল্যহীন বালক ...বেস্ট বলেছেন: লেখক কে আমি শুধু এইটুকুই বলতে চেয়েছিলাম যে আপনার কারো নাম এবং ছবি প্রকাশ করে তার সম্পর্কে কিছু লেখার আগে তার ব্যাপারে ভাল করে জানা উচিত । আপনি ব্যাপারটা রুপক অর্থে লিখতে পারতেন কিন্তু আপনি যেহেতু সরাসরি সম্রাট কেই উদ্দেশ্য করে লিখেছেন সেহেতু তার সম্পর্কে কোন ভুল মন্তব্য দেওয়াটা উচিত হইনি বলে আমি মনে করি । আপনার কোন দোষ আসলে আমি দিচ্ছি নাহ । তবে লেখাটি শুধু আমারই বিরক্তির কারণ হয়েছে তা নয় আমাদের অনেকের ও মতামত এরকম ছিল ।
২৮ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২০
টয় বলেছেন: আপনি কি বোধহয় লেখাটি শুর থেকে পরে শেষ করেননি, শেষ থেকে পড়ে রূপকার্থের রূপ নিয়ে অমূলক মন্তব্য করছেন। লেখাটি বুঝতে চাইলে শুরু থেকে পড়ুন, পড়ে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন।
লেখাটিতে আপনার আবিষ্কৃত বিকৃত, উল্টা-পাল্টা বা ভুল মন্তব্য কোথায় আছে সেটির উল্লেখ কোথাও করলেন না। আর এখন সম্রাটের ছবির কথা বলছেন। এখানে সম্রাটের দেয়া ছবিটির উৎস সম্রাটের পরিবার।
লেখাটি সম্রাটের বন্ধুরা প্রায় সবাই পড়েছে, এই লেখাটিতেই তাদের কিছু আবেগঘন মন্ত্যবও আছে, আপনি বোধহয় তাদের চিনতে পারেন নি।
মৃত্যুঞ্জয়ী সম্রাটের বন্ধু এখন সবাই। সবাইকে সবকিছু নাড়া দিবে না, সবাই সবকিছু সহজভাবে বুঝবেও না- এটাই স্বাভাবিক, এখানে আমার কিছুই করার নেই।
(লেখাটির আসঙ্গতিগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ ব্যতীত আপনার কোন মন্ত্যব আশা করছি না। গাজাখুরী বিষয়ের অবতারণা করে মন্তব্য চালাচালিতে আমার রুচি নেই)
১২৯| ৩০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩২
জাহাংগীর ৮৭ বলেছেন: সম্রাটের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। ওর আত্মা শান্তি পাক ।
১৩০| ৩০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪১
নীল বেদনা বলেছেন:
েপচাইললা বলেছেন: অফিসে বেইজ্জতি হলাম লেখাটা পড়তে গিয়ে, চোখের জলের কি ব্যাখ্যা দেব সহকর্মীদের কাছে..?
আসুন, সবাই সচেতন হই। সম্রাটের স্বপ্নমৃত্যু যেন আমাদের বোধোদয় ঘটায়।
১৩১| ৩০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩
স্বপ্নডানায় বলেছেন: চোখের পানি আটকাতে পারলাম না। সম্রাটের মাগফেরাত কামনা করছি।
১৩২| ১০ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:২২
শরিফ নজমুল বলেছেন: সম্রাটের মাগফেরাত কামনা করছি।
অসম্ভব দরদ দিয়ে লিখেছেন, পুরোটা পড়লাম, হৃদয় ছুয়ে গেল।
আমাদের অসতর্কতা আর আইন প্রয়োগকারীদের উদাসীনতায় দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা আর মৃত্যর সংখ্যা....
সচেতনতা মুলক এই পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসুন আমরা সচেতন হই....।
১৩৩| ১০ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭
মিঠাপুর বলেছেন: আমি ও ওর মাগফেরাত কামনা করছি........।
আল্লাহ নিশ্চয় ওকে শহীদের মর্যাদা দিবেন.......আর জান্নাত বাসী করবেন
১৩৪| ১০ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:২৩
নিবেদীতা বলেছেন: চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা আর করলামনা, ঝাপসা চোখে সবটা পড়ে নিলাম।বুকের ভেতরটা...
আল্লাহ সম্রাটকে বেহেস্ত নসিব করুন(আমিন)।
১৩৫| ১০ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬
স্কোয়ার ওয়েভ বলেছেন: আল্লাহ ওর বেহেশত নসীব করুন। পরিবারকে ধৈর্য্য ধরার শক্তি দিন।
ফুট ওভারব্রিজ অত্যন্ত অমানবিক একটা কনসেপ্ট। বয়ষ্ক মানুষ বিশেষত মহিলা এবং অসুস্হ মানুষদের জন্য এটা ব্যবহার করা খুব কঠিন। আর প্রতিবন্ধি যারা হুইল চেয়ারে করে চলেন, তারা কি রাস্তায় চলবেন না?? ফুট ওভারব্রিজ না, রাস্তার ওপরেই যথাযথ ক্রসিং এবং সিগন্যাল থাকা উচিত।
১৩৬| ১০ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: আপনার সেই বিখ্যাত পোষ্ট! যেটার অর্ধেক পর্যন্ত পড়তে গিয়ে চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। আমার জীবনে পড়া সেরা আবেগীয় ব্লগ পোষ্ট এটি।
১৩৭| ১১ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩৪
টুকিঝা বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর একটা পোস্ট। আপনার এই পোস্ট এর জন্যেই আমার ব্লগে আসা, তারপর এরকম সুন্দর আরও কিছু পোস্ট পাওয়া , তারপর লিখতে চাওয়া !!! কিভাবে কিভাবে যেন আমি সামুর একজন হয়ে গেলাম!!! কিন্তু সেটা শুধু আপনারই জন্য, তাই আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। এরপর অনেক সুন্দর পোস্ট পড়েছি, কিন্তু আপনার পোস্ট টা আমার কাছে সবসময় সবচেয়ে প্রিয় এবং অবশ্যই অনেক special হয়ে থাকবে। আপনার এত্ত সুন্দর একটা লেখার জন্য আপনাকে অন্নেক অন্নেক ধন্যবাদ আর সম্রাট এর জন্যে অনেক ভালবাসা। ভাল থাকবেন।
১৩৮| ১১ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩৭
টুকিঝা বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর একটা পোস্ট। আপনার এই পোস্ট এর জন্যেই আমার ব্লগে আসা, তারপর এরকম সুন্দর আরও কিছু পোস্ট পাওয়া , তারপর লিখতে চাওয়া !!! কিভাবে কিভাবে যেন আমি সামুর একজন হয়ে গেলাম!!! কিন্তু সেটা শুধু আপনারই জন্য, তাই আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। এরপর অনেক সুন্দর পোস্ট পড়েছি, কিন্তু আপনার পোস্ট টা আমার কাছে সবসময় সবচেয়ে প্রিয় এবং অবশ্যই অনেক special হয়ে থাকবে। আপনার এত্ত সুন্দর একটা লেখার জন্য আপনাকে অন্নেক অন্নেক ধন্যবাদ আর সম্রাট এর জন্যে অনেক ভালবাসা। ভাল থাকবেন।
১৩৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:১১
আরিয়ানা বলেছেন: আত্বার শান্তি প্রার্থনা করি!
১৪০| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:১৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: সম্ভবত আমার বর্নমালা ব্লগে আগে একবার পড়েছিলাম। প্যাথেটিক
১৪১| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:১১
িকম্ভূত িকমাকার বলেছেন: আত্বার শান্তি হোক।
[লেখাটি পড়ে প্রচন্ড মন খারাপ হলো, ]
১৪২| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৩৬
শামুক বলেছেন: মারাত্নক পোস্ট
১৪৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৩৮
শামুক বলেছেন:
১৪৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: এতো বড় পোস্ট একবারে কখনো পড়িনি। পড়া শুরু করে শেষ না করে পারলাম না। অনেক আবেগ, অনেক রিয়েলিস্টিক। অনেক কেঁদেছি। সম্রাট আপনার কি হয়?
কিন্তু কে শোনে আমার কথা। হঠাত আমার হাতে সেজ চাচার ছোঁয়া পাই। এই আমার সেই সেজ চাচা-যাকে আমরা সবাই মানে চাচাতো ভাই বোনেরা বাঘের চেয়েও বেশী ভয় করি। যেই মানুষটার ছায়া দেখার সাথে সাথেই আমরা ক,খ পর্যন্ত ভুলে যাই, আর সেইচাচাই আজ আমার হাত ধরে আছে। .................... এখান থেকে কান্না শুরু।
আমি ইলেক্ট্রিক্যালে চান্স পাওয়াতে চাচা ছিলো যারপরনাই খুশি। ইলেক্ট্রিক্যাল ? মেকানিকাল?
১৪৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৫৮
এইতোআমি০০৭ বলেছেন: ভাই, facebook -এ একটা Page -এ কৃতজ্ঞতা উল্লেখপূর্বক লেখাটি প্রকাশ করার অনুমতি চাই
০৮ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:১২
টয় বলেছেন: ভাই, ব্যাপার না। আপনি প্রকাশ করতে পারেন।
ভাল থাকবেন।
১৪৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৫৮
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এটাই পুরো অভাগা বাংলাদেশের প্রতিবিম্ব। এদেশের কয়জন ৫ম শ্রেণীর বেশী পড়ে? আর সবাইকে নিরাপদ সড়ক সমন্ধে সচেতন করলেও আগামী ২০-৩০ বছর পর যদি এটা আর্জিত হয়। তারপরেও এই লেখা যারা পড়বেন তারা নিজরা সহ অন্যদের সতর্ক করবেন বলে আশা করি। সম্রাটের আত্নার মাগফিরাত কামনা করি।
১৪৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৪৩
সজিব মিডিয়া বলেছেন: অনেক দিন যাবত আমার চোখ থেকে পানি আসেনা।
কবে যে একবার কেঁদেছিলাম তা প্রায় ভুলেই গেছি , সেই অনেক দিন আগে ছোট্ট কাকা র মৃত্যুর পর।
আর আজ কাঁদতে হল আপনার অনুভুতিটার কাছে।
সম্রাটের আত্নার মাগফিরাত কামনা করি।
১৪৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:১২
অর্কমানিক বলেছেন: জীবন তো ক্ষণস্থায়ী এক দিন চলে যেতেই হবে বতুও এই অস্বাভাবিক মৃত্যু কখনো মেনে নেওয়ার না ?
সম্রাটের আত্নার মাগফিরাত কামনা করি সে যেন স্বর্গের বাসিন্দা হয়।
১৪৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:২৫
এইতোআমি০০৭ বলেছেন: ভাই ,এইটা আমার একজন বন্ধুর Page "তুমি অধম , তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন ?" http://www.facebook.com/odhom.aro.odhom
এ post করা হয়েছে , আপনাকে আমার বন্ধু ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং আপনার মঙ্গল কামনা করেছেন. এবং আপনাকে ওর Page থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । ভাল থাকবেন।
১৫০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
আমজাদ আজাদ বলেছেন: ভাইয়া,এত আবেগ দিয়ে লিখেছেন যে,মনে হচ্ছে আমার চোখের সামনে সব ঘটছে...অসাধারন...
১৫১| ১০ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৮
দিদুমিয়া বলেছেন: এই যায়গায় এসে সামুকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারলামনা। প্রিয় বন্ধু আল্রাহ তোমাকে জান্নাত দান করুন। আমিন।
১৫২| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৫৬
ফারিয়া বলেছেন: অসাধারণ, অতুলনীয়, কষ্টদায়ক
১৫৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩৬
ভয়েস অব বিডি বলেছেন: ভাই দেশের সরকার যদি এতো বছরের পুরনো মুজিব হত্তার বিছার করতে পারে, এতো বছর পর রাজাকারদের বিছার করতে পারে, তাহলে কি সরকার চাইলে পারেনা এই ঘাতক ড্রাইভার দের বিচার করতে? আজ পর্যন্ত জতগুলু ড্রাইভার এইভাবে মানুষ হত্তা করেছে এর ১ টা ও বিচার হয় নাই। যদি এদের ১জনের ও কথিন কোন বিছার হত তাহলে ড্রাইভার রা নেক্সট টাইম এ সাবধানে গারি চালাত। কিছুদিন আগে খামার বারিতে ২ বাস সংঘর্ষ হলও কই দুষী ড্রাইভার এর কোন বিচার কি হএছে? হয় নাই, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে শধু জিয়া কে নিয়া বেস্ত র হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে মুযিব কে নিয়া বেস্ত, এরা কোনদিন এই দেশের ত্রাফিচ আইন বাস্তবায়ন এর জন্য কাজ করে নাই। আজকের এই লেখাতি পরে বলতে এছহে করছে হাসিনা খালেদা কে আর কতো মানুষ এক্সিডেন্ট করে মরলে তোরা দেশে একটা মুরাল ট্র্যাফিক আইন বাস্তবায়ন করবি ?
ভাই আমি আমার ছখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই লেখাতি পড়ে।
১৫৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:০৪
মেহদী১০ বলেছেন: কত ফোটা যে চোখ থেকে পানি গরিয়ে পড়ল তার ঠিক নেই তাও পুরোটাই পরলাম ।
১৫৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৫
সপ্নভূক বলেছেন: aj onek din por akta lakha monke chhue galo..........
১৫৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৫
সপ্নভূক বলেছেন: aj onek din por akta lakha monke chhue galo..........
১৫৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৮
আল মীযান বলেছেন: শেষের দিকে পড়তে আর ইনার্জি পেলাম না। সময় করে পড়ে নেব-ইনশাআল্লাহ।
মানুষের জীবন, মৃত্যু, কঠিন বাস্তবতা এবং শিক্ষনীয় অনেক বিষয়ই আপনার লেখার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের সচেতন হওয়ার সময় এখনই। আপনাকে সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। সাথে সম্রাটের আত্মার শান্তি কামনা করছি। প্রিয়তে রেখে দিলাম।
১৫৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:২৪
আসফার বলেছেন: জীবনে প্রথম কোন লেখা শেষ করতে পারলাম না.।
এই লেখার শেষ পড়ার মত সাহস পাচ্ছিনা । মন ছুয়ে যাওয়ার মত একটা লেখা.। প্রিওতে নিলাম।
১৫৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৪৫
বোরহান উদদীন বলেছেন:
ভাই অসাধারণ আবেগের লিখা লিখছেন ধন্যবাদ এমন আবেগময় লিখার জন্য। ...........সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
১৬০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৪৯
কামরান মানছুর বলেছেন: কি করতে পেরেছি সম্রাটের জন্য? বিচার? ড্রাইভার এর শাস্তি? উইনার বাস কে পরত্যাগ? কোনটাই পারিনি। কয়েকদিন শুধু ফেসবুক এ প্রোফাইল পিকচার এ ছিলো "সম্রাট ইউ রেস্ট ইন পিস, বুয়েটিয়ান উইল নট ফরগিভ এন্ড উইল নট ফরগেট।" তার নমুনা কোথায়? আর কিছু বলতে চাই না, পলাশির মোড়ে ব্যারিকেডটা কয়েকদিন আগে একটা পিকাপ এর ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে যা আর ঠিক করার লক্ষ্যণ দেখা যাচ্ছে না। এভাবেই চলবে।
১৬১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৪৪
মানব সন্তান বলেছেন: লেখা টা পুরোটা পড়তে পারলাম না, অসাধারন লিখেছেন আর যাকে উৎসর্গ করে লিখেছেন আল্লাহ্ তাকে শান্তিতে রাখুন।
১৬২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:২২
আশরাফুর রহমান বলেছেন: আসলেই চোখের পানি আটকিয়ে রাখতে পারলাম না। আমাদের দেশের পরিবহন ব্যবস্থার যে হাল তাতে মনে হয় না এরকম দুর্ঘটনা বন্ধ হবে। আসলে এটা তো দুর্ঘটনা না। একে গণহত্যা বলতে হবে। যাই হোক, সম্রাট ভাই এর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
এই লেখাটি ফেসবুক এ পোস্ট করার অনুমতি চাচ্ছি লেখকের কাছে।
১৬৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১৪
জয় রাজ খান বলেছেন: ভাষা নেই প্রকাশের!! আর কিছু বলার ইচ্ছেটুকু হারিয়ে ফেলছি...
সত্যি কি আমাদের কিছুই করার নেই??
১৬৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৫১
বাচ্চা ভুত বলেছেন: অনেক টাচি একটা লেখা।
১৬৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১৪
মুজাহিদহ্যাপী বলেছেন: আমাদের এত চোখের জলেও কি রাজনীতিবিদের পাষান মন গলবে না!!!!!!!!!
..........সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
১৬৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১৮
মুজাহিদহ্যাপী বলেছেন: Let us be united and ensure নিরাপদ সড়ক ...View this link
১৬৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৫০
শিঞ্জন বলেছেন: জানিনা, পড়তে পড়তে কখন চোখ ভিজে গেছে। শুধু বারবার মনে হচ্ছে আমার বড় বোনকে কবরে রেখে আসার কথা
১৬৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৫
এহেছান লেনিন বলেছেন: রাত ২টা ৪০। লেখাটা পড়তে পড়তে কখন যে বুকের মধ্যে দলাপাকা কষ্ট ব্যাথায় পরিণত হয়েছে বুঝতে পারিনি। কান্না যেন আমাকে পরাজিত করে গড়িয়ে পড়ছে।
প্রচণ্ড কষ্ট নিয়ে হয়তো আজ রাত আর ঘুমানো হবো না। আমি জেগে থাকবো। সম্রাট, ছোট ভাই তুই ঘুমা। অল্প বয়সেই তোর ক্লান্তি তোকে পরাজিত করেনি, পরাজিত করেছে আমাদের অসহায়ত্ব।
১৬৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৩
ওয়ায়েস কামাল শিবলী বলেছেন: জানিনা এমন ঘুম আমার চোখেও ভর করবে কিনা! কিন্তু যারা জেগে থেকেও ঘুমিয়ে থাকার ভান করে আছে, তাদের এমন ঘুম হয় না কেন? চির ঘুমের দেশে ভালো থেকো সম্রাট....
১৭০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৪
হৃদয়হীনা বলেছেন: আমার পক্ষে সবটা পড়া সম্ভব হলো না, ক্ষমা করো আমাকে সম্রাট
১৭১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৯
শারমীন মাহমুদ রীমা বলেছেন: এই কষ্ট আমারও আছে । আমার ছোট বোনের স্বপ্ন হত্যাও একইভাবে হয়েছে । সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০০
টয় বলেছেন: এই দেশে আমরা সবাই হয়তো এভাবেই মরবো
১৭২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৫
বাবুরাম সাপুড়ে বলেছেন: শেখ হাসিনা আফা তার দলবলসহ আরও দীর্ঘজীবি হোক শুধু সম্রটরাই মারা যেতে খাক....
১৭৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
হাম্বা বলেছেন: আবার পড়লাম
কি আর বলবো
১৭৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:২০
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: সবার পড়া উচিৎ এমন একটা লেখা.......
সামুতে আমার পড়া অন্যতম সেরা লেখা..... ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৭৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪১
মিশনারী বলেছেন: শিপু ভাই বলেছেন: আমার পড়া এই ব্লগের অন্যতম সেরা লেখা। এতো আবেগ আর অনুভূতি দিয়ে লেখা এর আগে কখনো পড়েছি বলে মনে হয়না। এই লেখাটা যদি এক কোন মৃত আত্মার "আত্মকথন" বা "বিদায় বেলার অনুভূতি" হিসেবে ধরি তবে আমার পড়া বাংলা সাহিত্যের যে কোন লেখকের লেখার চাইতেও অনেক বেশী আবেগপ্রবণ অনেক বেশী দরদী- তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। আপনার অসাধারণ অনুভূতি ও অগাধ কল্পনার বিশাল ভান্ডার থেকে যে সামান্য ছোঁয়াটুক দিলেন তা সহ্য করতে বেশ কষ্ট হয়েছে- অনেকবেশী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছি। আপনাকে অভিবাদন।
সম্রাটের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। ওর আত্মা শান্তি পাক ।
সহমত ।
১৭৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:৩৬
মুফতি খার উদ্দিন বলেছেন: কিভাবে লেখলেন এই লেখা টা?
পড়তেই তো অনেক কষ্ট হলো।
১৭৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:২৩
আহসান২০২০ বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো। চোখে পানি এসে গেল। পুরোটাই পড়েছি। এতো বড় পোষ্ট আমি কখনোও পড়ি না। লেখাটা মাঝে কেমন যেন দূর্নিবার আকর্ষন আমাকে ধরে রেখেছিলো। ভালো লেখা। ঘটনাটা বড়ই নির্মম। কেন আমরা একটু সচেতন হই না??
১৭৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭
আরিফ আরাফাত রুশো বলেছেন: আপনি পারেন ও!
১৭৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:২৮
লিংকন১১৫ বলেছেন: এক নিশ্বাসে পরে ফেল্লাম
পোস্ট টি পরে বুকের ভেতোর কেমন জানি করে উঠল
( ভাই আপনার লেখনি অনেক সুন্দর )
১৮০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫৫
অনির্বাণ রায়। বলেছেন:
১৮১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৪
নির্দোষ বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম...... পড়ার সময় চুখের পানি গড়িয়ে পড়ছিল পড়া থামেনি পুরুটাই শেষ করে
অনেক্ষন নির্বাক বসে ছিলাম...... এত্ত খারাপ এর আগে কখনই লাগেনি
স্বপ্নহত্যার কোন ক্ষমা নেই। তবুও সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত আর তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বোধহয় আমাদের আর কিছুই করার নেই। +++
১৮২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:১৭
দাইমারু বলেছেন: আমি নিশ্চিত মায়ের আদরলাগা ছোয়ার স্থান নরকের যন্ত্রনা কোনদিন স্পর্শ করবে না।
১৮৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৩
মারুফ মেহেদী বলেছেন: দূর আমি কাদতেছি না । আমাকে গত ১০ বছরে কেউ কাদতেও দেখেনাই । তবে এখন হয়ত চোখে কিছু একটা পড়ছে । না হয় চোখ দিয়ে অযথা পানি পড়বে কেন ?
১৮৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৫
ৈসকত ইসলাম বলেছেন: আজ পর্যন্ত কোন লেখা পড়ে আমার চোখে পানি আসি নাই ,,,, কিন্তু আপনার লেখাটি পড়তে আমাকে কমপক্ষে ১০বারের বেশি চেষ্টা করতে হয়েছে ,,, নিজেকে সম্রাটে খুব কাছের কেউ মনে হচ্ছিল ,,,,, মনে হচ্ছিল যে প্রতিটি ঘটনা যেন আমর চোখের সামনে ঘটছে ,,,, আমাদের একটু সচেতনতায় পারে সম্রাটদের বাচাতে ,,,
১৮৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: ইটস রিয়েলি হার্ট টাসিং
স্বপ্নহত্যার কোন ক্ষমা নেই। তবুও সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত আর তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বোধহয় আমাদের আর কিছুই করার নেই।
১৮৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৪
সমাজপতির দরবার বলেছেন: লেটস গো for stop the death of ourselves
১৮৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৫
তামীল০০৯৬ বলেছেন: সত্যি খুবই দুঃখজনক।
গত বছর এইদিনে আমার বন্ধু বিপদ ভঞ্জন দাসকে হারিয়েছি সড়ক দুর্ঘটনায়। বিপদ ভঞ্জন দাস ছিল চট্টগ্রামের কাজেম আলী উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক।
আসুন সবাই সচেতন হই। এবং অন্যকে সচেতন করি।
১৮৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৩
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: দুঃখিত ভাই, লেখাটি ৩ ঘণ্টা সময় নিয়ে পড়তে হয়েছে।
একটানা ৩ মিনিট ও পড়তে পারিনাই। শুধুই চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরছে.....
১৮৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মনের অজান্তে ই আমার চোখ থেকে পানি চলে এসেছে । আসুন সবাই সচেতন হই। এবং অন্যকে সচেতন করি।
১৯০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
পীর বাবা বল িছ বলেছেন: কোনো ভাবেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। খুব কস্ট হচ্ছে লেখাটি পড়ার পর থেকে।
১৯১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৮
চুপচাপ শুনি বলেছেন: খুব কান্না পাছে...
১৯২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪০
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: আমি সহজে কান্না করি না, কিন্তু . . . . .
১৯৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
স্বাধীনচেতা মানবী বলেছেন:
১৯৪| ১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
নিরব পাঠকং বলেছেন: পুরোটা পড়লাম, আর কিছু বলতে পাড়ছি না
১৯৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অভিনব শ্রদ্ধপ্রদর্শন। মন ছুঁয়ে গেলো লেখনিতে....
এমন যেন আর না হয়....
১৯৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
সাইনাস বলেছেন: বাস্তবতাকে কল্পনা শক্তি দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন। হয়তো তাই ঘটেছে যা আমরা জীবিত মানুষরা দেখতে বা বুঝতে পারিনি। লেখার জন্য অবশ্যই +++
আল্লাহর দুনিয়ায় আমরা মানুষ কতটা অসহায় তা গভীরভাবে ভাবলেই টের পাওয়া যায়। গতিশীল শহর জীবন দেখতে দেখতে হয়তো আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি কিন্তু রাস্তায় সাঁই সাঁই করে ছুটে চলা গাড়িগুলোকে দেখে একটু অন্যভাবে ভাবলেই সত্যিই ভয় লাগে!
বিদেহী আত্মার জন্য কেবল মাগফিরাত কামনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই আসলে...
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: শিউরে উঠলাম।এত আবেগ দিয়ে লিখেছেন যে দু ফোটা অশ্রুও গড়িয়ে পড়ল চোখ দিয়ে।পুরোটা পড়তে পারিনি।
সম্রাটের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।