নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মাতৃভাষার নাম বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি । পৃথিবীর মাত্র তিন লক্ষ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে । ভাষাটিকে ইউনেস্কো এনডেঞ্জার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে ঘোষনা করেছে ।

কুঙ্গ থাঙ

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবী করছি...

কুঙ্গ থাঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদিবাসী শিশুর কি অধিকার নেই নিজ মাতৃভাষায় পড়ার?

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫০

বিজু পার্বত্য জনপদের প্রধান উৎসব। বিজু উৎসবেও শিশুদের স্কুলে যেতে হয়েছে, ওদের বাবা-মাকে অফিস করতে হয়েছে। পরীক্ষার মতো ভয়কাতুরে বিষয়েও ছাড় পায়নি অনেক পাহাড়ি শিশু। রাষ্ট্রের সব উৎসবে সবাই ছুটি পায়, তবে কেন নিজেদের প্রধান উৎসবে ছুটি পাবে না পাহাড়ি শিশুরা? ঈদ বা পূজার দিন কি কোনো বাঙালি শিশু স্কুলে যায়? শুধু প্রধান উৎসবের ছুটিই নয়, পাহাড়ি শিশুরা আরও একটি ব্যাপারে চরম বৈষম্যের শিকার; তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।



পাহাড়ি আদিবাসী শিশুরা ঘরে যে ভাষায় কথা বলে স্কুলে গিয়ে সে ভাষার দেখা পায় না। স্কুলকে ভিনদেশি ভুবন মনে হয়। পাঠ্যসুচিকে মনে হয় ‘দুরের শোনা গল্প’। তাদের হাতে তুলে দেওয়া বইতে নিজের চারপাশের পরিচিত কোনো কিছুর দেখা তারা পায় না। বইগুলো তাদের কাছে হয়ে ওঠে অচেনা সংস্কৃতির আধার; নিজের ভাষার কথাবার্তা নেই সেখানে, নেই সহপাঠী বন্ধুদের চেহারা।



বাংলাদেশে কমবেশি ৪৫টি আদিবাসী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বাস। এর মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে চাকমা, মারমা ত্রিপুরাসহ ১১টি আদিবাসী পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। রাষ্ট্রীয়ভাবে পার্বত্য অঞ্চলটি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) ‘উপজাতি’ বা আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তিতেও (খন্ড ক, ধারা-১) এর উল্লেখ রয়েছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ি শিশুদের মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে (পার্বত্য চুক্তি, খন্ড: খ, ধারা: ৩৩-খ-২)। পার্বত্য শান্তিচুক্তির এক যুগ পূর্তি হতে যাচ্ছে। ১৯৯৭ সালে যে শিশুর জন্ন হয়েছে, এখন তার বয়স ১২ বছর। নীতিনির্ধারকদের অবহেলায় ১২ বছরেও কেন পার্বত্য অঞ্চলের শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা নিশ্চিত করা গেল না, এ প্রশ্নের কী জবাব দেবে ক্ষমতার কেন্দ্রে বসে থাকা বাঙালি শাসক দল? নিজের মাতৃভাষা রক্ষার জন্য যে বাঙালি লড়াই করেছে, তারাই কেন আবার নিজের দেশের অন্য ভাষাভাষীর মর্যাদা দিতে অনাগ্রহী? অনাদর আর অবহেলায় বাংলাদেশে অনেক ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের মাতৃভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে।



শিক্ষার যাত্রাপথকে মসৃণ করতে হবে। শিশুশিক্ষার প্রধান বাহন হচ্ছে মাতৃভাষা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরুতেই মাতৃভাষা ব্যবহারের অন্যতম লক্ষ্য, শিশুকে নিজের ভাষায় বলতে ও বুঝতে সক্ষম করে তোলা। মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ পেলে একজন শিশুকে নতুন ভাষা শেখার চাপ সইতে হয় না। সে সহজেই সবকিছু রপ্ত করতে পারে। মাতৃভাষায় যেটা সম্ভব, নতুন কোনো ভাষায় তা সম্ভব নয়। ‘নানান দেশের নানান ভাষা/বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা’? মধ্যযুগের কবি রামনিধি গুপ্তের এই কথার আবেদন ও উপযোগিতা এখনো কি প্রাসঙ্গিক নয়?



একবারও কি আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা ভাবতে পারি, আমার শিশুটিকে ভিনদেশি অচেনা কোনো ভাষায় (ধরা যাক জাপানি, চীনা, জার্মান বা রুশ ভাষায়) ফুল পাখির নাম কিংবা ছড়া পড়তে হচ্ছে? নিশ্চয় নয়। নিজের সন্তানের জন্য যা সত্য, অন্যের জন্য তা কেন আমরা মানতে চাইব না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কথা তো বহুল উচ্চারিত ‘আগে চাই মাতৃভাষার গাঁথুনি, তারপর...’।



বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু উপলক্ষে স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা ও বাংলায় চমৎকার সব গান পরিবেশন করলেন মৌসুমী ত্রিপুরা। তিনি কমলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য ভাষায় যোগাযোগ যে একজন শিশুর জন্য কতটা পীড়াদায়ক হতে পারে, তা তা জানা গেল মৌসুমী ত্রিপুরার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার একটি গল্প থেকে। “ক্লাসে আমি একটা ছড়া পড়াচ্ছিলাম। এক পাহাড়ি শিশু কাছে এসে বলল, ‘আমি প্রচেষ্টা করিবো’। চেষ্টা করবে তো ভালো কথা, করো। ছেলেটি আবার বলল, ‘প্রচেষ্টা করিবো’। বুঝলাম কোথাও সমস্যা হচ্ছে। বললাম, তোমার নিজের ভাষায় বলো। ছেলেটি ত্রিপুরা। ত্রিপুরাদের মাতৃভাষা অর্থাৎ ককবরক ভাষায় বলার পরে বুঝলাম ‘প্রচেষ্টা’ নয়, ছেলেটি আসলে ‘প্রস্রাব’ করতে চায়।”



স্কুলে এসব ছোটখাটো সমস্যার কথাও একজন পাহাড়ি শিশু ঠিকভাবে বলতে পারে না, কারণ সে তো বাড়িতে বাংলায় কথা বলে না, ফলে সে তখন স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কিছুদিন পরে সে স্কুল থেকে ঝরে পড়ে।



এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভাষাগত সমস্যার কারণে আদিবাসী শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ে প্রায় ৬০ শতাংশ, যেখানে জাতীয়ভাবে ঝরে পড়ার হার ৩০ শতাংশ। শিক্ষার প্রধানতম মাধ্যম ভাষা। শিক্ষাজীবনের শুরুতে কোমলমতি শিশুদের দুর্বোধ্য ও অচেনা ভাষায় পড়াশোনা করতে হলে তা সহজে তাদের বোধগম্য হয় না। এতে করে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। তার মধ্যে স্কুলের প্রতি এক ধরনের অনীহা তৈরি হয়।



পার্বত্য জনপদের মানুষ নানাভাবে বৈষ্যমের শিকার। বৈষম্য আর পশ্চাৎপদতার দেয়াল ভাঙতে পারে কেবল শিক্ষা। কিন্তু সেই শিক্ষার শুরুটা যদি হয় অন্য ভাষায়, তাহলে তাতে আনন্দ থাকে না, থাকে না সঠিক মনোযোগ।





একই বিষয়ে আরেকটি পোস্টঃ আদিবাসীদের মাতৃভাষাকে টিকিয়ে রাখতে সরকারসহ সকলের আন্তরিকতা প্রয়োজন



_____________________________________________

ফিরোজ জামান চৌধুরীর পাহাড়ে শিশুশিক্ষা: আগে চাই মাতৃভাষার গাঁথুনি লেখা থেকে সংক্ষেপিত।

মন্তব্য ১৩৭ টি রেটিং +৫৮/-১৪

মন্তব্য (১৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫৩

পতত্রী বলেছেন: শিক্ষার শুরুটা যদি হয় অন্য ভাষায়, তাহলে তাতে আনন্দ থাকে না, থাকে না সঠিক মনোযোগ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: ... সাধারণভাবে শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা হত-দরিদ্র প্রধান আদিবাসী গোষ্ঠির অনেকেরই নিজস্ব ভাষা ও বর্ণলিপি আছে। আদিবাসী শিশুদের নিজ মাতৃভাষায় অক্ষরজ্ঞান না থাকায় তাদের ভাষার সাথে সংস্কৃতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তবে বাস্তবতার নিরিখে পুরোনো বর্ণমালা শুধু সংরক্ষনের ব্যবস্থা রেখে বাংলা বর্ণমালা দিয়ে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের সুযোগ করে দেয়া উচিৎ।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:০৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সবার অধিকার আছে তার মাতৃভাষায় শিক্ষার। চমৎকার একটি লেখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৪৮

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি আমার নিজস্ব নয়। গুরুত্বপুর্ণ তাই শেয়ার করলাম।

___________________________________________

সামহোয়ারইন কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বিষয়টি সবার নজরে নিয়ে আসার জন্য এবং আলোচনার সুযোগ প্রদানের জন্য।
____________________________________________

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:০৮

নাজনীন১ বলেছেন: এই ব্যাপারটা বিভিন্ন সময় আমিও ভেবেছি। আচ্ছা, আপনাদের এলাকার সাংসদ বা জেলা প্রশাসক কিংবা শিক্ষা কর্মকর্তাকেই তো মনে হয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। এটা নিয়ে মনে হয় তাদের সাথে কথা বলতে হবে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৫৮

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: সরকারিপর্যায়ে যোগাযোগ করেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়না। সরকারি পাঠ্যবই যেখানে ভুলে ভরা সেখানে আর কি আশা করা যায়? রাঙামাটিসহ কয়েকটি অঞ্চলে বৌদ্ধ মন্দিরে (কিয়াং) বৌদ্ধ পুরহিতরাই (ভান্তে) নিজ উদ্যোগে প্রধাণত চাকমা ও মারমা বর্ণমালা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে, উত্তরবঙ্গে এবং সিলেটে আদিবাসীরা কয়েক বছর আগে কয়েকটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার উদ্যোগে নিজেরাই খুলেছেন মাতৃভাষা শিক্ষার স্কুল। কোনোরকম সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই এসব স্কুল/ প্রি-স্কুলগুলোতে মাতৃভাষায় পাঠদান করানো হয় সর্বোচ্চ ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত, তবে তা সরকারীভাবে স্বীকৃত নয়।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১০

নিশা সিনহা বলেছেন: মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার চাই।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১১

সুফিয়ান ডট কম বলেছেন: মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা, বিশেষ করে আমাদের রাষ্ট্র্বের জন্য, নৈতিক দ্বায়িত্ব। কিন্তু আদিবাসীদের সঙ্গে আমাদের আচরন ঠিক ঐ পূর্ব পাকিস্তানের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের আচরনের মতই হচ্ছে...

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৫০

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

পেজ লম্বা হয়ে যাওয়ায় নিজের করা সৌজন্যমুলক কমেন্টগুলো মুছে ফেলতে হলো।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: এই সংক্রান্ত আলোচনা শেষ পর্যন্ত কি তৈরি করে জানি না। কিন্তু এই দাবির মানবিকতা কিংবা প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধিতে সম হওয়া যায় না। উদ্দেশ্য এবং বোধের ফারাক বিষয়গুলেঅকে কখনোই আলোচনার বাইরে নিয়ে আসে না। কার্যকর কিছু গড়ে ওঠে না। তারপরও মানবের আকাঙ্ক্ষাই তার বেচে থাকার কারণ এবং উপায় হয়ে দাঁড়ায়।



ভালো থাকুন, সবসময়।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২৩

অরণ্য আনাম বলেছেন: মাতৃভাষায় অধ্যায়নের অধিকার সবার। আর রাষ্ট্রভাষায় পড়ালেখাটা নিয়মের।

আর যেহেতু, চুক্তি অনুযায়ি নিজস্ব মাতৃভাষায় পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে, তাতে প্রশাসনের উচিৎ তা মানা। এটা শুধু নিজেদের দেশের নাগরিকের জন্যও নয়, আইনের প্রতি সম্মান দেখানোরও বটে। আর আইনের প্রতি অসম্মান দেখানোর অধিকার কারো নেই।

আর বৈষম্য বস্তুটি প্রচন্ড মন্দ একটি জিনিষ। এটি সবার বর্জন করা উচিৎ, করতে হবে।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২৭

লাল দরজা বলেছেন: এই কষ্টের ক্ষানিকটা হয়ত আমি বুঝি। আমারা একটা ফরাসি ভাষী প্রদেশে থাকার কারনে আমাদের বাচ্চা দুটো ফরাসি মিডিয়ামে পড়ে। ছোট মেয়েটা প্রায় ই স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে বলত, আই উইশ্ আমার বাবা মা দু'জনে ফ্রেঞ্চ হইত! আমি বাচ্চাটাকে স্কুলের একটা পড়াতেও কোন সাহায্য করতে পারিনি কখনো, কেবল মাত্র ভাষা না জানার কারনে। তবুও আমি মনকে বলতে পারতাম অন্যের দেশে থাকি চাইলেই কি আর সব ইচ্ছা পুরন হবে! কিন্তু এই পোষ্টে উল্লেখিত বাচ্চাদের ত কষ্টের কোন সীমা নাই, ওরা নিজের দেশে থেকে ও নিজের ভাষায় পড়তে লিখতে পারছে না!

এই পড়া পড়ির উপায় ও পথ নিয়ে বিস্তর কথা হয়ত চলতে পারে সেটা অন্য ভাবনা। কিন্তু এই পোষ্টটি পড়তে যেয়ে এ মুহুর্তে আমার ছোট মেয়েটির কথা মনে পড়ে মনটা ভীষন খারাপ হল। শুভেচ্ছা সকলের তরে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৭

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: আপনার কমেন্টটি আবার পড়লাম এবং আবার অভিভুত হলাম।

নিজের আরেকটা কস্টের ঘটনার কথা বলি। আমি যখন হাইস্কুলে উঠি আমার ছোটবোন তখন সবেমাত্র স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। ৫/৬ দিন স্কুলে যাবার পর দেখি সে আর স্কুলে যেতে চাচ্ছেনা। স্কুলে যে টেলিভিশনের ভাষায় কথা বলতে হয়, পড়তে হয়, লিখতে হয় সেটা দেখে সে চরম বিরক্ত। সেখানে বাড়ীতে ডাঙ্গ(দাদী)র কাছে শুনা গল্প বা ছড়া পড়তে দেয়া হয়না। সেখানে নিজেদের ফুল ফলের নাম বলতে দেয়া হয়না। সুতরাং সে অন্য স্কুলে ভর্তি করার আব্দার করলো। তাকে কিছুতেই বুঝানো যাচ্ছিল না যে এরকম স্কুল কোথাও নেই যেখানে ২টি ফুলের নাম জানতে চাইলে বলা যাবে - সেনারেই ও লেহাউ এর নাম!!

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৩৯

অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: চমৎকার একটি লেখার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৪২

রাতুল২০০৮ বলেছেন: এখানে আদীবাসীদের নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আদিবাসী এলাকার সবাই কি একই ভাষায় কথা বলে? যদি বলে তাহলে যেমন একদিনে/বছরেও নানা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক এর ব্যবস্তা করা সহজ হবে না তেমনি অনেক ছোট ছোট আদী ঊপশাখার ভাষা বাদ দেয়া ছাড়া ঊপায় থাকবে না।

কিভাবে ভাষাকে শেখানো যায় সেটা নিয়ে লেখা দিন,সেটা নিয়ে গবেষণা করুন, সচেতনতার আন্দোলন গড়ে তুলুন।
কথা দিতে পারি, লাখো লাখো বাংগালীকে সাথে পাবেন ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: ... প্রযুক্তির কল্যানে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজটি আগের চেয়ে মনে হয় অনেক সহজ ও কম ব্যয়বহুল হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক বই ছাপতে এব ঝামেলা হবার কথা নয়।

মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৪৪

কালিদাস পন্ডিত বলেছেন: বিনা স্বদেশী ভাষা পুরে কি আশা?
কত নদী সরোবর কিবা ফল চাতকীর?
ধারা-জল বিনে কভু ঘুচে কি তৃষা?

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

খলিল মাহমুদ বলেছেন: লেখায় বর্ণিত চিত্রের সাথে বাস্তবের অনেক ফারাক। পার্বত্য অঞ্চলে সরাসরি সরকারী উদ্যোগ ছাড়াও উন্নয়ন বোর্ড, দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থা, স্থানীয় সেনাক্যাম্প, ইত্যাদির সহায়তায় প্রচুর প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, যেখানে কেবল স্থানীয় ভাষারই চর্চা হয়। সরকার থেকে দেয়া জাতীয় সিলেবাসের বই থাকলেও তার প্রতি বিন্দু মাত্র তোয়াক্কা করা হয় না। আর বিজু উৎসবে ছুটি না দেয়ার কথাটা ১০০ ভাগ ভ্রান্ত। শুধু ছুটিই না, বিজু উৎসব পালনের জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতাও করা হয় সরকার থেকে।

এরপর মাতৃভাষায় পাঠদানের বিষয়টাতে আসি। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হতে হলে কোন্‌টা বেশি দরকার, স্থানীয়, নাকি জাতীয় ভাষা? পার্বত্য চট্টগ্রামে ১১ টা না, ১৩টা উপজাতি আছে। একেকটা উপজাতি আবার ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলেন। ১৩ উপজাতির জন্য যদি নিদেন পক্ষে ১৩টা ভাষা শিক্ষার উদ্যোগও নেয়া হয়, তা কি সম্ভব বা ফলপ্রসূ হবে?

বলার অনেক কিছু ছিল। আমি কারো কাছ থেকে শোনা কথা লিখছি না, সরেজমিন অভিজ্ঞতার কথাই বললাম।

ধন্যবাদ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:২৭

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।


কিছু বিষয়ে বিনয়ের সাথে দ্বিমত পোষন করছি।


১. আশির দশকে সরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ১৫/১৬ টি স্কুলের মধ্যে ৫/৬ টি কেবল নামেই টিকে আছে। আপনি কি সংশ্লিষ্ট কোন স্কুলের নাম বলতে পারবেন যেটি সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্টিত এবং এখনো সাঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

২.আপনি মনে হয় পহেলা বৈশাখের সরকালী ছুটির কথা বলেছেন। চৈত্র মাসের শেষ দুদিনই হলো বিজু/সাংগ্রাই উৎসবের মুলপর্ব্ব। ঐদিনগুলোতে কোন ছুটি থাকেনা, এবারেও ছিলনা।

৩. জাতীয়/ আন্তর্জাতিক কোন ভাষা দরকার বা দরকার নেই তার বিচার করে কারো মাতৃভাষার গুরুত্বকে অবজ্ঞা করা যায় না।

৪. ১৩টির বেশীই আছে। প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা রয়েছে। প্রতিবেশীর ভাষা জানাটা আশা করি অপরাধ হবেনা। কথা হলো আন্তর্জাতিক সনদ অনুযায়ী প্রতিটি জাতি এবং ভাষাগোষ্ঠীরই নিজের মাতৃভাষায় পড়ার অধিকার সংরক্ষন করেন। এখন কিভাবে কি উপায়ে সে ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়েই ভাবতে হবে।

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:০০

মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেছেন: শিক্ষামন্ত্রী তো ঘোষনা দিয়েছেন আধিবাসীদের মাতৃভাষায় পড়ার । আর রাঙামাটিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে । আমরা সেদিনের অপেক্ষায় আছি ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৩৭

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: আপাততঃ মাতৃভাষাকে প্রাথমিক পর্যায়ে নিদেনপক্ষে ২য়/৩য় শ্রেনীতে চালু করতে পারলেই আদিবাসীরা চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:২২

শয়তান বলেছেন: নুন্যতম প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাদান চালু করা উচিৎ । তা সে যতই সমস্যা হউক না কেন । বেইজ গড়তে না দিলে ভবিষ্যতে নানান সমস্যা হবে ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৫১

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: সেটাই।

এটা খুব অসম্ভব বলেও মনে হয় না। ভারতে খাসি, মৈতৈ, লুসাই, আচিক, সান্তালী প্রভৃতি ভাষায় প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্তও পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলা অবশ্যই শিখবে কিন্তু তা প্রাথমিক স্তর থেকেই হওয়া উচিৎ বলে মনে করিনা।


শুরুতেই অন্য ভাষায় পড়াটা ভিন্ন ভাষী একটা শিশুর কাছে কী মনস্তাত্ত্বিক চাপ নয়?


নিজের মায়ের ভাষার মধ্য দিয়ে শিশুটি যখন তার নিজস্ব সংস্কৃতির আলো-বাতাসে জ্ঞানার্জন করতে সমর্থ হবে তখন তার শিক্ষার ভিত্তিটা কী শেকড় আকড়ানো হবে না?

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৩৪

অনার্য তাপস বলেছেন: ধন্যবাদ।
শোনেন, আমরা বারবার ভুলে যাই কেন আমরা লড়াই করি। এটা আমাদের বৈশিষ্ট্য। করার কিছু নাই। ভাষা নিয়া আন্দোলন হইছিল, এইটা নিয়া বাঙ্গালীদের অহংকারের শেষ নাই। এদের অনেকেই জানে না যে তাদের পূর্বেও অনেকে ভাষার জন্য প্রাণ দিছে। কিন্তু, তারাই (আমিও এর অংশ অতি অবশ্যই) সেটা ভুলে বসে আছে। এই জাতিকে দিয়া কিছু আশা করেন কি আপনি???

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৩৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: সবার অধিকার আছে তার মাতৃভাষায় শিক্ষার। আর খলিল মাহমুদের কথাটা উদ্ভটই লাগলো,শুধু আন্তর্জাতিক গুরুত্বের কথা ভেবে যদি ভাষা শেখা লাগে তাহলে তো বাংলাদেশ থেকে বাংলা ভাষায় শিক্ষা উঠিয়ে দিয়ে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা চালু করা দরকার,ম্যালা ফায়দা হবে। আদিবাসী শিশুরা নিজের ভাষায় অন্তত প্রাথমিক শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষা নিয়ে (সাথে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে বাংলা থাকতে পারে,ভবিষ্যতের শিক্ষার সুবিধার জন্য) এরপর তাদের নিজেদের পথ বেছে নিতে পারে যেন,অন্তত এইটকু ব্যবস্থা থাকা অত্যাবশ্যক।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: সহমত। প্রাথমিক পর্যায়ে নিজের মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহন করে পরবর্তীতে বাংলাং সাধারন শিক্ষা গ্রহন করতে কোন অসুবিধা দেখিনা।

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৬

অনার্য তাপস বলেছেন: খলিল মাহমুদ বলেছেন: লেখায় বর্ণিত চিত্রের সাথে বাস্তবের অনেক ফারাক। পার্বত্য অঞ্চলে সরাসরি সরকারী উদ্যোগ ছাড়াও উন্নয়ন বোর্ড, দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থা, স্থানীয় সেনাক্যাম্প, ইত্যাদির সহায়তায় প্রচুর প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, যেখানে কেবল স্থানীয় ভাষারই চর্চা হয়। সরকার থেকে দেয়া জাতীয় সিলেবাসের বই থাকলেও তার প্রতি বিন্দু মাত্র তোয়াক্কা করা হয় না। আর বিজু উৎসবে ছুটি না দেয়ার কথাটা ১০০ ভাগ ভ্রান্ত। শুধু ছুটিই না, বিজু উৎসব পালনের জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতাও করা হয় সরকার থেকে।

এরপর মাতৃভাষায় পাঠদানের বিষয়টাতে আসি। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হতে হলে কোন্‌টা বেশি দরকার, স্থানীয়, নাকি জাতীয় ভাষা? পার্বত্য চট্টগ্রামে ১১ টা না, ১৩টা উপজাতি আছে। একেকটা উপজাতি আবার ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলেন। ১৩ উপজাতির জন্য যদি নিদেন পক্ষে ১৩টা ভাষা শিক্ষার উদ্যোগও নেয়া হয়, তা কি সম্ভব বা ফলপ্রসূ হবে?

প্রশ্ন হচ্ছে: আপনি কি এনজিও কর্মী? এদেশে এনজিওরা যা বলেছে করেছে তার অনেক কম। এর যত প্রমাণ আপনি চান তারচেও বেশি হাজির করতে পারে যে কেউ। সেনা ক্যাম্প কেন? তারা কী উন্নয়ন করেছে সেখানকার? বিজু উৎসব কি সরকারী পাহারায় হতে হবে? ঈদ কি সরকারী পাহারায় হয়? যদি একটি ভূখণ্ডের সবাই কর দেয়, তাহলে একেক জনের জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম হবে কেন?

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৩

_তানজীর_ বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয়। ধন্যবাদ তুলে ধরার জন্য।
একটা প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক সনদের ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না। কোন আন্তর্জাতিক সনদে সবার মার্তৃভাষা চর্চার অধিকার দেয়া হয়েছে? আর সেই সনদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি? আমার মা যদি চাঁদপুরের আন্চলিকতায় কথা বলে, আমি কি সেই ভাবে পড়তে, লিখতে পারব? ইংরেজীর যেরকম নানা রকম বিভাগ আছে- ইউকে ইংরেজী, ইউ এস এ ইংরেজী,অসি ইংরেজী- এবং সবাই নিজের মার্তৃভাষা মানে ইংরেজীর ঐ নির্দিষ্ট স্টাইলে লিখে। - আমরা তো সেভাবে লিখতে পারিনা। আমাদের মূল ভাগ হল কলকাতার বাংলা আর বাংলাদেশের বাংলা।
শেষ পর্যন্ত রবি ঠাকুরকে ইংরেজীতে তার বই অনুবাদ করতে হয়েছিল নোবেল পুরস্কার-এর যোগ্য হওয়ার জন্য। আমাদের এই অ-ইংরেজী দেশগুলোতে কত প্রতিভাই কোনো স্বীকৃতি পায়নি। এই বৈষম্য মানব সভ্যতার অংশ। চিন্তা করে দেখেন, এই লেখাটি বাংলায় না লিখলে কর্তৃপক্ষও এই লেখাকে স্টিকি করতনা। হয়ত কেউ পড়তওনা, পড়লেও বুঝতনা।
আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত ছিল উপজাতীয় শিশুরা যারা অন্য ভাষার মধ্যে বড় হচ্ছে, তাদের শিক্ষার জন্য কিভাবে ভাষার ব্যবধান দূর করে তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া যায়। জনসংখ্যার অনুপাতে সরকারের কাছে এই প্রয়োজন এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ মনে না হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রে নিজেদের এগিয়ে আসা উচিত। যেসব উপজাতীয় ভাই-বোনরা শিক্ষিত হতে পেরেছেন, তাদের উচিত এগিয়ে আসা- সমস্যাগুলোকে ভালভাবে উপস্থাপন করা; যাতে সবাই মিলে তা সমাধান করতে পারি। এই দেশ আমার, আপনার, সবার। সবাই মিলে কিছু করতে চাইলে যে কোনো সমস্যাই কোন সমস্যা না। সত্যি কথা বলতে, সরকারের খেতা পুড়ি। কোনো সরকারই কোনোদিন মানুষের কথা ভেবে কিছু করবেনা। নিজেদের পথ নিজেদেরকেই দেখতে হবে। আপনারা যদি আমাদেরকে আপনাদের ভাষার উপরে আরো গবেষণাধর্মী লেখা লিখেন, তাহলে আমরা আপনাদের ভাষা সম্পর্কে জানতে পারব; এভাবে একসাথে কাজ করলে একটা সমাধান নিশ্চয়ই বের হবে।
আবারো ধন্যবাদ। তবে উপজাতীয় ভাষাগুলোর উপরে গবেষণাধর্মী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২১

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: মুল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।


চাঁদপুরের আঞ্চলিক ভাষা, কলকাতার বাংলা বা বাংলাদেশের বাংলা.... আপনি বাংলা ভাষার বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার কথা বলেছেন। মুল ভাষাটি কিন্তু বাংলাই। আপনি যদি এই সমস্ত আঞ্চলিক ভাষা কে বাংলা থেকে স্বতন্ত্র কোন ভাষা হিসেবে বুঝে থাকেন তাহলে সেটা বোধহয় ঠিক নয়। ভাষাতাত্ত্বিকেরা এগুলোকে বাংলা ভাষারই বিভিন্ন উপভাষা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

এখানে বাংলা ভিন্ন অপরাপর ভাষাসমূহের কথা বলা হচ্ছে।


বাকী অংশের সাথে অবশ্যই সহমত।

১৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:২৭

ধীবর বলেছেন: তানজিরের সাথে সম্পুর্ন একমত। আরেকটা বিষয়ে বলতে চাই, যে আদিবাদের ইতিহাস ঘাটলে, বাঙ্গালিরাই বাংলাদেশের আদিবাসি। সেক্ষেত্রে আদিবাসি না বলে উপজাতীয় বা পার্বত্য অধিবাসি বলাই সঙ্গত। দয়া করে এটা মনে করবেন না, যে লেখকের এই দাবির প্রতি আমার সমর্থন নেই। তবে বাংলা ভাষার যে সমৃদ্ধতা, সেটা এমনকি প্রাচীন তামিল ভাষার চেয়েও বেশি। তামিল বর্ণে ১, ২, ৩ এসব নেই। ওরা মুখে তামিল ভাষায় ১-২-৩ বললেও, লেখে কিন্ত ইংরেজিতে। একই কথা খাটে স্প্যানিশ ভাষায়। বাংলায় সে রকম কোন সীমাবদ্ধতা নেই। এই কারণে বাংলা ভাষা নিয়ে হীনমন্যতা নয়, বরং গর্ব করা উচিত।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৫৯

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: নিজের মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে আরেকটি ভাষাকে গ্রহন করাটাইতো বড় হীনমন্যতা। সমৃদ্ধতা বা ভাষার গুণাগুণ বিচার করতে গেলে তাহলে তো মাতৃভাষা বাদ দিয়ে আমাদের সবার ইংরেজীতে পড়াশুনা করা উচিৎ হবে। বাংলা ভাষায় শিক্ষাগ্রহন নিয়ে বর্হিবিশ্বে তেমন কোনকাজে আসেনা জেনেও বাঙালীরা বাংলায় পড়ে, কারণ বাংলা তাদের মায়ের ভাষা।

আমাদেরকে নিজেদের মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্যের মাতৃভাষাকে সম্মান করতে শিখা উচিৎ। আর সমৃদ্ধতার কথা বললে মণিপুরী ভাষার কথা বলাবো যার অত্যন্ত সমৃদ্ধ সাহিত্য রয়েছে এবং এর প্রাছীন সাহিত্য প্রাচীনতার দিক কৃষ্ণ-যজুর্বেদের সাথে তুলনীয়।

২০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৪০

নাজিম উদদীন বলেছেন: মাতৃভাষায় প্রাথমিক এবং নীচের ক্লাশের শিক্ষা পাওয়াটা খুবই জরুরী। পাহাড়ী আদিবাসীদের এত এত ভাষা সেখানে স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখাটা সমস্যা হবে, আর বাংলা ইংরেজিতে যেহেতু দেশের বাকি সবাই কথা বলে তাই তাদের এ দুটো ভাষাও শিখতে হবে, ভারতে যেমন শিক্ষিতরা তিনটে ভাষা জানে।

২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:১৯

সততার আলো বলেছেন: বাংলাদেশের বিভিন্ন অন্চলের মানুষ বিভিন্ন রকম আন্চলিক ভাষায় কথা বলে। তবে তার প্রত্যেকটিই বাংলা। কিন্তু বহু বছর আগে ভিন্ন স্থান হতে এ ভূমিতে আসা উপজাতীয়দের ভাষার সাথে আমাদের ভাষার কোন মিলই নেই। আর এ ধরনের উপজাতীয়দের সংখ্যা প্রায় ৫৫টি।

সুশিক্ষা হতে পারে শুধু মাতৃভাষাতেই। তাই শিক্ষা যাই হোক তা অবশ্যই মাতৃভাষার মাধ্যমেই সহজে আত্নস্থ করা সম্ভব। তারপর তা অন্য ভাষায় চর্চা করার জন্য শুধু সামান্য ভাষাজ্ঞান থাকাই প্রয়োজন। তবে উপজাতীয়দের যদি নিজস্ব বর্ণমালা থাকে তবে তাদের বিদ্যালয়গুলোতে তার চর্চার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। তবে সে বর্ণমালা যদি হায়ারোগ্লিফিক বা গুহাচিত্র টাইপের কিছু হয় তবে তার চেয়ে বাংলা বা ইংরেজি ব্যবহার উত্তম। গুহাচিত্রও তো কারো না কারো মাতৃভাষা ছিল, তারা তো নিজেদের ভাষাকে উন্নত করেই ব্যবহার করছে। আর ইংরেজরাওতো রোমানদের বর্ণমালা ব্যবহার করে পৃথিবীর মাথায় অবস্থান করছে।

বি: দ্র: শান্তিচুক্তি হয়েছে একদল সন্ত্রাসীর সাথে। তারা তাদের সন্ত্রাস দিয়ে সন্ত্রস্ত করে সরকার হতে বিশেষ বিশেষ সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। তবে অন্য সম্প্রদায় গুলো ঠিক আগের অবস্থাতেই আছে। সে যাই হোক। সবার উচিত সবার সুযোগ সুবিধা নিয়ে চিন্তা করা।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২৬

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করতে বড় কোন সমস্যা দেখিনা। বেসরকারি এবং নিজস্ব উদ্যোগে যেসব প্রিস্কুল চালু আছে ওগুলোকে বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার হয়, বইগুলোও বাংলায় ছাপা।

২২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:০০

রিফাত হোসেন বলেছেন: প্লাস দিতে চেয়েছিলাম থাঙ সাহেব কিন্তু শুধু পোষ্ট নয় বরং আমি নিচের মন্তব্য গুলিও পড়েছি ।
তা পড়ে আমার ধারণাকে

মাইনাসে পরিণত করেছে ।

মাতৃভাষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে । তবে একটি দেশের শিক্ষার মান জাতীয় নির্দিষ্ট ভাষায় চলে । আন্তর্জাতিকভাবেও তাই ।

আর ভাষাগত কারণে স্কুল থেকে ঝড়ে পরা ব্যাপারটি এক্কেবারেই মানতে পারব না !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


কারণ আমার পিতা তখন ২য় মহাযুদ্ধের আগে জন্মগ্রহণ করেন, আশ্রমে এক হিন্দু পন্ডিত এর কাছে ইংরেজী এবং বাংলা সংস্কৃতি শিক্ষা গ্রহণ করেন । পরে তিনি কলকতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজীতে পড়াশুনা করে মাষ্টারস সমমানের পরীক্ষা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার হন । জামার্ন যান জামার্ন ভাষায় ইঞ্জিনিয়ার বিষয়ে ডিপলোমা করেন ।

আর আবার দাদা গরীব কৃষক ছিলেন তিনি শুদ্ধ বাংলা কিংবা সংস্কৃতি কিংবা ইংরেজী কিংবা জার্মান পড়তে কিংবা বলতে কিংবা লিখতে পারতেন না ।

আর আমার পিতার স্কুল অনেক দূরে ছিলে ২ মাইল হাটতে হত আর মাঝে নৌকে দিয়ে ১ কি ২ কিমি নদী পার হতে হত । বর্ষকালে আরও কষ্ট হত । কিন্তু আমার চাচা কৃষক হয়ে জন্মেছে কৃষক হয়েই এখনও দিনাতিপাত করছে !
চাচারা স্কুলে যাবার নাম করে ঘুড়ে বেড়িয়েছে । মজা করেছে তারা শিক্ষার আলোটা বুঝতে পারে নাই । তাই একজন ভাল শিক্ষকই পারে আলো ছড়াতে !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!



কিন্ত আব্বা নিজের তাগিদে খুবই খুবই অল্প বয়সে আশ্রম গুরুর জ্ঞানে দিক্ষীত হয়ে বর্তমান আলোর জীবনে আসতে পারেন ।

আর এখন আদিবাসী বাচ্চাদের কেন বাঙ্গালী বাচ্চাদেরও এইরকম কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে ??

বিনামূল্যের বই পেন্সিল খাতা কলম পাই নাই আমার আব্বা

আর আদিবাসীদেরকে কেন বাঙ্গালী ছাত্র ছাত্রীদেরকেও আজ বিনামূল্যে বই খাতা পেন্সিল সর্বরাহ করা হয় ।


সুতরাং আপনার যুক্তি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ।

মাতৃভাষা লিখতে পড়তে শিখবে এটা যৌক্তিক কিন্তু মূল শিক্ষা কার্যক্রম চলবে রাষ্ট্র ভাষা কিংবা আন্তজার্তিক ভাষায় ।
আর আপনি ভাল শিক্ষক হবার চেষ্টা করুন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!, যাতে ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশুনা করতে আগ্রহী হয়, পালিয়ে না গিয়ে ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:১০

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: শিশুদের মানসিক বিকাশ কেবল মাতৃভাষায় মাধ্যমে হতে পারে তাই প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলার পাশাপশি মাতৃভাষায় শিক্ষায় সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, মূল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার কথা বলা হয়নি।

২৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:১১

খলিল মাহমুদ বলেছেন: আমি কোনো এনজিও কর্মী নই, যারা প্রশ্ন করেছেন তাঁদের বলছি। আর যে বিষয়ে জানাশোনা নেই সেই বিষয়ে কিছু শুনলে উদ্ভটই লাগে। বিজু কী জিনিস সেটা আমি জেনেবুঝেই বলছি।
এ দেশের উপজাতীয়রা এদেশের আদিবাসী নয়। এদের এদেশে আগমন ২০০-৩০০ বছর আগে। আর যে বাঙালিরা হাজার হাজার বছর ধরে এদেশের মাটিতে আছে, তাঁদের টপকে ৩০০ বছর আগে এদেশে আগমনকারীরা কিভাবে আদিবাসী হলেন?
একটা পোস্ট দেখলেই তার সাথে সহমত আর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়ার কিছু দেখি না, বাস্তব জ্ঞানের নিরিখে কথা বলুন।

এসব ঢাকা শহরে বসে জানা যাবে না। জানতে হলে আপনাকে অন্তত কালাপাহাড় রেঞ্জের কাছাকাছি বার্মাছড়ি, লক্ষীছড়ি ইত্যাদি জায়গায় গিয়ে সঠিক হালচাল দেখে আসতে হবে। তখনই দেখবেন সরকার তথাকথিত আদিবাসীর জন্য কী করছে, আর সমতলবাসীদের জন্য তার চার আনাও করছে কিনা।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:০৫

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: আদিবাসী শব্দটি রাষ্ট্র এবং সংখ্যাগুরু গোষ্ঠির আরোপ করা শব্দ। আদিবাসী/উপজাতি বলে যারা পরিচিত তারা নিজেরা এই শব্দ তৈরী করেনি বা নিজেদেরকে কখনো আদিবাসী/উপজাতি বলে না।

আমার জানামতে বর্তমানে আদিবাসী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোন সাধারণ সংজ্ঞা নেই। আদিবাসী বলতে সবক্ষেত্রে আদিবাসিন্দা বুঝায় না। সাধারণত আদিবাসী মানে বহিঃ জাতির বসতি শুরু করার আগে, বংশপরম্পরায় একটি দেশ অথবা অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে থাকা মানুষরা। বাংলাদেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা যারা রাষ্ট্রের কাছে 'উপজাতি' হিসাবে পরিচিত এবং যারা বাইরের মানুষের অনুপ্রবেশ এবং ভিন্ন সংস্কৃতির আত্মীকরণের মধ্য দিয়ে যাদের অস্তিত্ব প্রায় বিপন্ন হওয়ার পথে আদিবাসী বলতে তাদেরকে বুঝানো হয়ে থাকে।

২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:১৭

তনুজা বলেছেন: শতভাগ --সমর্থন । বিশ্বাস করি- পাশে আছি

প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইলো সমর্থনের জন্যে।

২৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:২৮

রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: একটি দেশে ২০ টি ভাষা চালু থাকলে সব কটি ভাষাতে শিক্ষা দেওয়া একটি দেশের জন্যে এত সহজ নয় এবং তা বাস্তবতা বিবর্জিত।

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৫৯

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: কঠিন, কিন্তু অসাধ্য কি?

২৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:৩৫

ভন্ডপির বলেছেন: বাংলাদেশ হল ইজরাইল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ফিলিস্তিন। সোজা হিসাব। বাংলা পড়লে সরকার আছে, না পড়লে নাই। দেশের বৃহত্তর জন গোষ্ঠীর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যদি কিছু ন্যাংটো মানুষের জমিটুকু যায় তবে ক্ষতি কি? প্রতিবাদ করলে রাষ্ট্রের পোষা কুকুর সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেয়া হবে। একটাই পার্থক্য -- অমুসলিম হওয়ায় ৭২ হুরপরীর লোভে চট্টগ্রামে গিয়ে আত্নঘাতী বোমা হামলা করে না।

২৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:৩৬

খলিল মাহমুদ বলেছেন: আর উপজাতীয় ভাষাগুলোকে মাতৃভাষা বলা হচ্ছে কোন্‌ যুক্তিতে? চাকমা বা ত্রিপুরা ভাষা তো একটু হলেও ধরতে পারি, সিলেটি বা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার একটা অক্ষরও বুঝতে পারি না। এখন কি এরাও দাবি তুলতে পারে না আঞ্চলিক ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করে দেবার জন্য।
মুলত উপজাতীয় ভাষাগুলো কোনো মাতৃভাষা নয়, বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষার মতোই এটা একটা আঞ্চলিক ভাষা। ৬৪টি জেলায় ১০ গুনেরও বেশি আঞ্চলিক ভাষা আছে। সরকার কি সবাইকে আঞ্চলিক ভাষা শেখানোর জন্য সব কাজকাম বন্ধ করে দিয়ে লেগে যাবে? খুব উদ্ভট লাগে।

কাজের কথায় আসুন। পার্বত্য অঞ্চলে গত ৩ দশক ধরে যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে, শিক্ষাটাকে তারা সবাই সেই হারে নেয় নি। তাদেরকে ভালো বুদ্ধি দিলেও ঝুম চাষের পেছনে দিনরাত পড়ে থাকে, পাহাড় পুড়িয়ে উজাড় করতে থাকে। তাদের মধ্যে চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে কিভাবে সত্যিকার শিক্ষার হার বাড়ানো যায়, সবাই সেই পরামর্শ দিন দয়া করে।

ধন্যবাদ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: "উপজাতীয় ভাষাগুলো কোনো মাতৃভাষা নয়, বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষার মতোই এটা একটা আঞ্চলিক ভাষা ..."

আপনার এই তথ্যটি শতভাগ ভুল কারণ প্রতিটি ভাষার উৎস ও বিবর্তনের ইতিহাস আলাদা। সেগুলো সন্ধন্ধে কোন্ ধারনা না থাকলে দয়া করে এধরনের উক্তি করবেন না। একই ভাষার জনগোষ্ঠি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বাস করেন। উদাহরন হিসাবে মণিপুরীভাষী জনগোষ্ঠির মানুষ বাংলাদেশে সিলেটে, ভারতের মণিপুর, ত্রিপুরা ও আসামে এবং বার্মায় বাস করেন।

২৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:০৬

তনুজা বলেছেন: খলিল মাহমুদ বলেছেন: তাদেরকে ভালো বুদ্ধি দিলেও ঝুম চাষের পেছনে দিনরাত পড়ে থাকে, পাহাড় পুড়িয়ে উজাড় করতে থাকে

হতাশাজনক !

২৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:১৭

ভন্ডপির বলেছেন: "পার্বত্য অঞ্চলে গত ৩ দশক ধরে যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে, শিক্ষাটাকে তারা সবাই সেই হারে নেয় নি।" -- খলিল মাহমুদ।

হা হা কে দি।

৩০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৪৩

টুশকি বলেছেন: একমত
আসলে মাতৃভাষা যে কি, সেটা বিদেশে এসে বুঝেছি, বাংলায় কথা বলতে না পেরে প্রথম প্রথম রীতিমত হাঁসফাঁস লাগত। এখন ঈদ, পূজার ছুটি পাইনা, থ্যাংসগিভিং এর ছুটি পাই। একই অবস্থা মনেহয় পাহাড়ী শিশুদের ক্ষেত্রেও ঘটছে। শিক্ষা ব্যবস্থা কোন ভাষায় হবে সেটা বড়মাপের প্রশ্ন, কিন্তু পাহাড়ীদের প্রধান উৎসবগুলোতে অবশ্যই ছুটি দেওয়া উচিত।

৩১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৫৮

আকাশ_পাগলা বলেছেন: এখানে মাইনাস পড়ছে ৪ টা। আজব পাবলিক।

৩২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:১৬

ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:

+
সবার অধিকার আছে তার মাতৃভাষায় শিক্ষার। আদিবাসী শিশুদের তাদের নিজ মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হউক।

দারুন পোষ্ট।

৩৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৩৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ভালো এবং প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গ।
মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ প্রত্যেকেরই জন্মগত অধিকার।
এ নিয়ে আরো আলোচনা হওয়া দরকার।

৩৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪১

মাঝে মাঝে বলেছেন: চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৩৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৫০

জলপাই দেশি বলেছেন: চমৎকার লেখা। লন্ডন থেকে অভিনন্দন। আমি একটা লেখায় এ ব্যাপারে দাবি জানিয়েছি। মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের অধিকার সবার থাকতে হবে। আসুন আমরা বিশ্বের সবাই এ দাবির ব্যাপারে সোচ্চার হই।

৩৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:০১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আপনারা উপজাতি এবং কোনমতেই আদিবাসী নন। আমরা বাঙালীরাই প্রকৃত আদিবাসী। তবে আমাদের ও আপনাদের কমন পরিচয় হল আমরা বাংলাদেশী।

আশা করি সরকার আপনাদের ভাষা সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।

৩৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:১৯

আলমগীর কুমকুম বলেছেন: পোস্ট এবং আলোচনা দুইটাই উপভোগ্য হৈসে, তবে খলিল মাহমুদের পশ্চাৎদেশ জ্বালাপোড়ার কারণ উৎঘাটন করা গেল না।

৩৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:২৬

বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: লেখকের সাথে পুরোপুরি সহমত।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি।

৩৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:২৭

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: এটাই ন্যাশনালিজমের সবচেয়ে বড় সমস্যা !

তবে বিভাজন তৈরি করবেন না দয়া করে। আর কত খুদ্র জাতি গোষ্ঠী চাই বলতে পারেন ? এটা মানবতার জন্য মারাত্নক হুমকি নয় কি ?

কোন কনফিউশন হলে এইটা পড়েনঃ

Click This Link

৪০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪২

বাইত যামু বলেছেন: শিক্ষার শুরুটা যদি হয় অন্য ভাষায়, তাহলে তাতে আনন্দ থাকে না, থাকে না সঠিক মনোযোগ।

৪১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩

দস্যু বনহুর বলেছেন: রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যালঘু জাতিগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমের আগে প্রয়োজন সংখ্যালঘু জাতিসত্তগুলোর সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া। তারা এ দেশে বাস করলেও সংবিধানে কিন্তু তাদের বা তাদের ভাষার কোন স্বীকৃতি নাই। এটি করা গেলে তাদের, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য, অধিকার সব রক্ষা পাবে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:২৬

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত।

৪২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভ করা প্রতিটি মানুষেরই অধিকার। যা পার্বত্য এলাকার অধিবাসীদেরও থাকা বাঞ্চনীয়।

আপনার "আদি বাসী" কথাটার সাথে একমত নই। বাংলাদেশে কোন আদি বাসী নেই। যারা নিজেদের কায়েমী স্বার্থের জন্য আদি বাসী বলে প্রচার করছে-তারা মুলত উপজাতি। তথাকথিত "আদি বাসীদের" অধিকার আছে বাংলাদেশের যেকোন স্থানে জমি কিনে ঘর গাড়ি তৈরী করে সাধীন ভাবে জীবন যাপন করা-কিন্ত পার্বত্য জেলার বাইরের কোন বাংগালীর পার্বত্য চট্টগ্রামের কোথাও গিয়ে জমি কেনার অধিকারটুকু নেই! ১৫ কোটি বাংলাদেশীদের মধ্য দেশের মোট আয়তনের এক দশমাংশ ছেড়ে দিতে হবে মোট জনসংখ্যার একশতাংশ উপজাতীয়দের তথা কথিত "আদি বাসী"দের জন্য! তারপর ময়মনসিং, দিনাজপুর, সিলেট সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উপজাতিরা দাবী করবে আমাদেরকেও "মগের মুল্লুক" করে দাও!

৪৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:১২

mehedi বলেছেন: কী জানি ভারতে তো ওরা ২৫২(ইফ আই অ্যাম নট রং ) টা ভাষা নিয়া চলে
ওরা তো সবকয়টা ভাষা শিক্ষা করে না
কয়টা করে তা অবশ্য বলতে পারবো না

হিন্দী, তামিল, বাংলা, আসম আর তো জানি না

তবে আলটিমেটলী কিন্তু হিন্দীতেই......।:|

৪৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০

mehedi বলেছেন: আরো পড়লাম কমেন্টগুলো

চিটাগাং এর ভাই বোনরা কিছু মনে নিয়েন না
তাইলে তো আপনাগোলাইগাও আলাদা শিক্ষাব্যবস্হা চালু করন লাগে
;)

৪৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৩

লালন অনিক বলেছেন: বাংলার পাশাপাশি নিজেদের ভাষার চর্চা হতে পারে

বাংলা অগ্রাহ্যের চেষ্টা নিজেদেরকেই পিছিয়ে দেবে

তবু বেশ কিছু প্রশ্নঃ-
১. ছোট্ট এ দেশে বহুভাষার চর্চা(পাঠ্যপুস্তকে) কতোটুকু উপকার দেবে?
২.চট্টগ্রামের ভাষাটি বাংলার আঞ্চলিকরূপ বলা হলেও এটির নিজস্বতা অনেক বেশি চোখে পড়ার মতো ( চাকমাদের ভাষাটির সাথে এর যথেষ্টমিল) এটিরও কী পাঠভুক্তির প্রয়োজন নেই?

সত্যি বলতে কী বাংলার শুদ্ধরূপটি আমাদের কাছেও দূরের ভাষা, ভালোমতো বলতেও পারিনা, উচ্চারণে এত ভ্রান্তি। আমরাতো দাবি জানাতে পারি অঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনা হউক!




২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৪৯

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: বাংলাকে অগ্রাহ্যের প্রশ্ন আসে না। বাংলা শেখার অবশ্যই প্রয়োজন আছে তবে সেটা প্রাথমিক স্তর থেকেই হওয়া উচিৎ বলে মনে করি না।

ভিন্নভাষী একটা শিশুর কাছে শুরুতেই বাংলা চাপিয়ে দেয়াটা একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ। প্রাথমিক স্তরে নিজ মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে শিশুর মনোস্তাত্ত্বিক বিকাশ আরো ভাল হবে।

৪৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: একমত। তবে আমি মনে করি আপনাদের মাতৃভাষা প্রাথমিক পর্যায় পর্যন্ত থাকলেই ভালো হয়। মেট্রিক বা ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়তে চাইলে আপনাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি।
শুভকামনা রইল।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৫৮

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত কথা ভাবা আকাশকুসুম কল্পনা হবে। আপাতত শিশুদেরকে প্রাথমিক স্তরে নিজ মাতৃভাষায় সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা দরকার।

ভারতের উত্তর পুর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে এরকম ২০/২৫টি ভাষায় প্রাথমিক স্কুল চালু আছে। সেখানে মাধ্যমিক বা উচ্চ পর্যায়ে এসে শিশুর ইচ্ছানুসারে বাংলা/হিন্দী বা আন্তর্জাতিক কোন ভাষায় সাধারন শিক্ষা গ্রহন করতে সমস্যা হচ্ছেনা।

৪৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:০২

পথিক!!!!!!! বলেছেন: ওদের কেই বেশী বেশী করে জানাতে হবে..না হলে কে করে দেবে?

৪৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:০৪

চেরাগ আলী বলেছেন: আপনার সুন্দর এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। মাতৃভাষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব কিন্তু বাঙ্গালীদের উপরেই বর্তায়। প্রত্যেক মাতৃভাষার প্রতি আমার সেটুকু শ্রদ্ধা আছে ঠিক যতখানি আছে আমার নিজের মায়ের ভাষার প্রতি।

আমি মনে করি এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের যথাযথ কতৃপক্ষের সাথে সিরিয়াসলি আলোচনা করা উচিত।

৪৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:০৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: নাহ,খলিল মাহমুদ বা রিফাত হোসেনের মত লোকগুলার লাইগা মাঝে মাঝে নিজেরে বাঙ্গালি পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে,এই চিড়িয়াগুলা চিড়িয়াখানা ছাইড়া এইখানে কি করে সেইটাই মাঝে মাঝে ভাবি। দূর,মেজাজটাই খারাপ হয়া গেল,এইগুলার সাথে তর্ক কইরাও লাভ নাই,ফ্যানাটিক।

৫০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

নিউটন বলেছেন: ভাল লাগলো, পোষ্ট পড়ে।

৫১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:২৩

েপচাইললা বলেছেন: অফিসে আছি। একটু কাজের চাপও আছে। তাই পুরো লেখাটি পড়লাম না। তবে শুধুমাত্র হেডলাইন দেখেই বলছি, শুধুমাত্র লেখাপড়ার ক্ষেত্রে নয় প্রতিটি সাংস্কৃতিক েক্ষেত্রেই তাদের স্বকীয়তা বজায় রাখার অধিকার দিতে হবে।

লেখার জন্য প্লাস এবং অবশ্যই শ্রদ্ধাসহ ধন্যবাদ।

৫২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: খলিল মাহমুদকে বলছি-

.আদিবাসীর কোন সংজ্ঞা আপনার কি জানা আছে। আপনি যে বললেন নিবাসের স্থায়ীত্বের ভিত্তিতে এদেশে বাঙালীরাই আদিবাসী-এই পরিসংখ্যানটা কোথায় পেলেন। যেখানে বাংলাদেশের জন্ম-১৯৭১ সালে এবং সর্বপ্রাচীন ভাষার নিদর্শন চর্যাপদের সময়কাল ধরা হয়-দশম শতক। এরপর এসেছে পাল-সেন-মুঘল-সুলতান-ইংরেজ। এখন বলুন কোন সমাজটাকে আপনি বাঙালী বলছেন।

. আপনার মন্তব্যটি এ জন্যেই হতাশাজনক যে আপনি কবিতা লেখেন-সাহিত্য চর্চা করেন। যে জাতির কবিতা নেই , সাহিত্য নেই সে কখনোই জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারে না। এখন আপনিই বলুন, যে শিশুটি নিজের মায়ের-পিতৃপুরুষের ভাষা জানলো না সে কিভাবে কবিতা লিখবে। নাকি আপনি সবাইকে বাঙালী করে তুলতে চান। কেন? তার ব্যাখ্যাটাতো দিবেন। সবাই যেন আপনার কবিতা পড়তে পারে সে জন্যেই কি।

.আঞ্চলিক মানে কি-সীমানায় বাধা অঞ্চল, নাকি কোন অঞ্চলের জনগোষ্ঠি। এবং সেই জনগোষ্ঠীর ভাষাকে জাতীয় ভাষা না বলে চিহ্নিত করা আধিপত্যকেই উর্ধ্বে তুলে ধরে। জাতি মনেই কি শুদ্ধ ভাষার বাঙালী নাকি। অবশ্যই সব এলাকার স্কুলগুলোতে শিশুদের আঞ্চলিক ভাষাজ্ঞানে সমৃদ্ধ করা উচিত। কে উদ্ধার বা রক্ষা করবে সেই সমস্ত আঞ্চলিক ভাষা। কেবল শুদ্ধ ভাষার কবিতা বোঝর জন্যেই কি সমস্ত মানুষের জন্ম নাকি।

আপনি বলছেন-পার্বত্য অঞ্চলে গত ৩ দশক ধরে যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে, শিক্ষাটাকে তারা সবাই সেই হারে নেয় নি। তাদেরকে ভালো বুদ্ধি দিলেও ঝুম চাষের পেছনে দিনরাত পড়ে থাকে, পাহাড় পুড়িয়ে উজাড় করতে থাকে। তাদের মধ্যে চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে কিভাবে সত্যিকার শিক্ষার হার বাড়ানো যায়, সবাই সেই পরামর্শ দিন দয়া করে।

. একজন কবির কাছ থেকে এমন ভাষ্য কষ্টকর। উন্নয়নকে কিভাবে দেখেন আপনি। আপনার কবিতা যে পড়তে পারবে না সে কখনোই উন্নত হবে না। যে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে পারে না সে উন্নত নয়। যে জীবনেও টিভি দেখেনি সে উন্নত নয়। যে অর্ধ ন্যাংটো সে উন্নত নয়। বলিহারি উন্নয়ন আপনাদের। রাষ্ট্রের গুন্ডামি না মানলে-বাণিজ্যের পোষাক গায়ে না থাকলে মানুষই হতে পারে না কেউ। ইউরোপ কত মানব গোষ্ঠিকে নিঃশ্বেস করে দিয়েছে উন্নত করতে গিয়ে। গিয়ে দেখে আসুন পাহাড় কাদের দখলে, কারা কি ধ্বংস করছে।

আর আদিবাসী সংক্রান্ত কোন সংজ্ঞা আজো খুঁজে পাইনি। নিজের ভাবনা থেকেই বলছি-খেয়াল করে দেখুন ওদরে জীবন যাত্রায় মানুষের আদিমতাটা আছে-প্রকৃতি সংলগ্নতা আছে। পাহাড়বৃক্ষআকাশ সম্ভূত তাদের জীবন। কখনো শুনেছেন আদিবাসীদের নিজেদের মধ্যকার সংঘর্ষে নিহত হয়েছে কেউ। কখনো দেখেছেন-কোন আদিবাসী অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খুন ছুটিয়ে বেড়াচ্ছে। ওরাই আজকের পৃথিবীতে অনেক বেশি মানুষ। সে জন্যেই তারা আদিবাসী। ইট সিমেন্টের ঘরে থাকলে জাতে ওঠা যায় এটা তাদের ধাতে নেই। ওরাই সভ্য।

আরো আলোচনায় রাজি আছি।

৫৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র ভাই, স্যালুট।

৫৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:২৭

তনুজা বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র ভাই, স্যালুট

৫৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:২৯

প্রশান্ত শিমুল বলেছেন: সহমত শতভাগ...

৫৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এই সত্য কথাটা সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য আমার অন্তর থেকে আপনাকে শতভাগ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমরা শুধু আমাদের কথাই ভাবতে শিখেছি, অন্যদের কথা নয়। কিন্তু কেন নয়???
আমি জনাব খলিল মাহমুদ এর কথার সাথে একেবারেই ভিন্নমত পোষন করছি। তিনি বলেছেন,'পার্বত্য অঞ্চলে গত ৩ দশক ধরে যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে, শিক্ষাটাকে তারা সবাই সেই হারে নেয় নি। তাদেরকে ভালো বুদ্ধি দিলেও ঝুম চাষের পেছনে দিনরাত পড়ে থাকে, পাহাড় পুড়িয়ে উজাড় করতে থাকে। তাদের মধ্যে চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে কিভাবে সত্যিকার শিক্ষার হার বাড়ানো যায়'।
শিক্ষাটাকে তারা সবাই সে হারে নেয়নি ... না .. আমরা সেই পরিবেশ তাদেরকে তৈরি করে দিতে পারি নাই। এই ব্যার্থতার দায়ভার আমি বলবো সম্পূর্ণরূপে আমাদের উপর।
আমাদের মত তারাও প্রকৃতিরই সন্তান। তারা জানে কিভাবে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হয়? আমার দেখামতে যারা পাহার কেটে/ ধ্বংস করে কল কারখানা বানাচ্ছে, নিজেদের আখের গোছাচ্ছে.... তাদের কি বলা যায়????
নিজের ভাষায় যতটা বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করা যায় ...অন্য ভাষায় তা আসলে যায় কি????...বিশেষত ছোট সোনামনিদের ক্ষেত্রে?? এটা কি চাপিয়ে দেয়া নয়???..
তাদের ভাষায় তারা পড়া শিখবে .... পাশাপাশি বাংলা এবং ইংরেজী শেখানোর ব্যবস্থা করা.....

আবারও লেখককে ধন্যবাদ.... আমি অনুরোধ করবো আপনি আপনার এলাকার বিষয়গুলি নিয়ে দুহাত ভরে লিখুন...বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার পাতায় দিন...ব্লগে নিয়মিত......
দীর্ঘজীবি হোন....

৫৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৮

রহমানপন্ডিত বলেছেন: আপনি জেনে হউক আর না জেনে হোক এই বিষয়ে বিতর্ক এর সৃষ্টি করেছেন। আমি হলফ করে বরতে পারি যে, আমাদের যে সকল ব্লগার বন্ধুগণ আপনাকে সমর্থন করেছেন এবং সহমত প্রদর্শন করেছেন তারা যদি শশরীরে আপনাদের পার্বত্যে অঞ্চল ঘুরে আসেন তবে আপনাকে সমর্থনতো করবেনই না বরং বিরক্তি প্রকাশ করবেন।

আপনাকে কিছু বলার পূর্বে কিছু তথ্য প্রথমেই তুলে ধরতে চাই।

৫০৯৩ বর্গমাইলের পার্বত্যে অঞ্চলে তিনটি জেলা রয়েছে। ১. রাঙ্গমাটি পার্বত্যে জেলা, ২. খাগড়াছড়ি পার্বত্যে জেলা ও ৩. বান্দরবান পার্বত্যে জেলা। এখানে রয়েছে ১১টি উপজাতি নামধারী জনগোষ্ঠি এরা সবাই মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভুত। তারা হলোঃ চাকমা -- ২,৩৯,৪১৭ জন, তষঙ্গ্যাঁ -- ২২,০৪১ জন, ত্রিপুরা -- ৬১,১২৯ জন, মারমা --- ১,৪২,৩৩৪ জন, ম্রো --- ২২, ১৬৭ জন -যার অনেকে মুরং নামেও তালিকাভুক্ত, চাক -- ২০০০ জন, লুসেই -- ৬৬২ জন যারা লুসাই নামে তালিকাভুক্ত, পাংখুয়া -- ৩,২২৭ জন, বম -- ৬,৯৭৮ জন, খ্যাং -- ১,৯৫৪ জন ও খুমি -- ১,২৪১ জন। এদর শিক্ষার সুবিধার্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিশেষভাবে যত্নবান। ১৯৯৮ সালের হিসেব মতে এখানে রয়েছে ৬টি কলেজ, ৩০টি হাইস্কুল, জুরিয়র হাই স্কুল ৪৭টি, প্রাইমারী স্কূল ৮৬৪ টি, পালিটোলের সংখ্যা ১৮ টি, মাদ্রাসার সংখ্যা ৩১ টি এবং নৈশ বিদ্যালয় ৩০টি। বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারই আপনাদের এলাকায় শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ দৃষ্টি প্রদান করে সকল সুবিধা নিশ্চিত করেছেন হোক সে বিএনপি আর হোক আওয়ামী লিগ। অসংখ্য প্রাইমারী স্কুলে মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও শিক্ষকের যথেষ্ট অভাব রয়েগেছে। আবার সমতল অঞ্চল থেকে শিক্ষক প্রেরণ করা হরে তার সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে এবং হয়।
যেহেতু পাহাড়ঘেরা এই অঞ্চলটি মায়ানমারের সাথে আমাদের সীমানা বেষ্টিত সেইহেতু এই অঞ্চলের রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। এবং তারা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজেও সমান অংশীদারি হয়ে থাকে। অথচ আপনাদের অঞ্চলের জনগোষ্ঠী কখনও বাংলাদেশকে নিজের দেশ ও সংবিধানকে সম্মান করে চলেনি বরং সমষ্ঠীগত ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাডে লিপ্ত হয়ে কয়েকজন চিন্হিতের আড়ালে থেকেছেন।
বলতে পারেন শুধু মাত্র বগালেক এলাকায় কতজন উপজাতি আছেন আর ভোটার আইডি কার্ডের সময় কতজন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এবং স্থানীয় প্রশাসন কতভাবে আপনাদের সহায়তা চেয়েও আপনাদের সহযোগীতা পায়নি।
আপনার মূলকথা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের প্রস্তাবটি নিয়ে অনেকেই কাজ করেছেন এবং আমরাও চেয়েছি আপনাদের মাতৃভাষাটি সংকলিত ও পঠিত হোক এখনও চাই। কিন্তু ২/১ জনকে দিয়ে এতবড় কর্ময্ঞ্জ চালানো সম্ভব নয় বলেই তা চলছে তবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে।

আপনার লিখার উত্তর দিতে গেলে আমাকে একটি আর্টিক্যাল লিখতে হবে যার জন্য আমার হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই। আপনি আপনার বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য-উপাত্ত হাজির করুর আর আমার প্রদান করা তথ্যগুলো আপনি পরিসংখান ব্যুরো, শিক্ষ মন্তনালয়, ব্যানবেইস এসব স্থানে মিলিয়ে নিন।

অনুগ্রহ করে মনে রাখতে হবে যে শুধুমাত্র সমবেদনা ও সহমর্মিতা দিয়ে এতবড় কর্ম সম্পাদন করা যায়না। সর্বোপরি প্রয়োজন দেশপ্রেম যা উপজাতিয়দের মাঝে আছেকি?

আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পাররাম না।

৫৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:২৩

তনুজা বলেছেন: রহমানপন্ডিত বলেছেন: আপনি জেনে হউক আর না জেনে হোক এই বিষয়ে বিতর্ক এর সৃষ্টি করেছেন। আমি হলফ করে বরতে পারি যে, আমাদের যে সকল ব্লগার বন্ধুগণ আপনাকে সমর্থন করেছেন এবং সহমত প্রদর্শন করেছেন তারা যদি শশরীরে আপনাদের পার্বত্যে অঞ্চল ঘুরে আসেন তবে আপনাকে সমর্থনতো করবেনই না বরং বিরক্তি প্রকাশ করবেন।



সশরীরে ঘুরে এসেছি, তার বেশি কিছু জেনেছি ------এবং তারপর আরো বেশি করে সহমত এই পোস্টের সাথে

৫৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:২৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: @ যারা বুঝেন না,
@ লেখক

আপনি বলেছেন শিক্ষার শুরুটা মাতৃভাষা হলেই ভাল হত । অবাক হলাম, আপনার বলা উচিত ছিল রাষ্ট্র ভাষার সাথে যেন মাতৃভাষাও চালু হক । কারণ রাষ্ট্র ভাষা হল ভিন্ন ভাষা ।
আমি যখন আমার বাবা কাছে ইংরেজী এবং জামার্ন অধ্যায়ন করেছি আমাকে তিনি ছোট থেকেই শিখিয়েছেন । সেই সাথে মাতৃভাষায় বাংলায় শুধু কি লিখতে কি পড়তে শিখিয়েছেন । আর আমি ছোট বেলা থেকেই ভিন্ন ভাষায় উপন্যাস পড়ার অনুমতি পাই ।
যেহেত মাতৃভাষায় কথা বলি সুতরাং এই ভাষা নিয়ে ঘাটাঘাটির প্রয়োজন পরে না । তাই নই কি ।

আর আপনি বলছেন ভিন্ন ভাষার কারণে তারা ঝড়ে পড়ছে ! মাতৃভাষাও থাকবে রাষ্ট্র ভাষা নামক ভিন্ন ভাষাও থাকবে । মাতৃভাষা হবে শুধু মায়ের ভাষা লিখতে পড়তে বুঝার জন্য আর রাষ্ট্র ভাষা থাকবে সর্বক্ষেত্রে ।

আর আমরা যতই বাংলা বাংলা করি না কেন, সন্তানদের ঠিকই ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করি, কেন করি?
জানেন?

সেখানে তো বাংলাতো নামকেওয়াস্তে পড়ানো হয় ।
আর শৈশবের শুরুতে শিশুকে যা পড়াবেন তাই ভাল করে মনে থাকবে । সুতরাং শুধু মাতৃভাষা পড়ালে রাষ্ট্রা ভাষা আরেকটু বড় হয়ে বুঝতে কষ্ট হবে যেহেতু এই ভাষা মাতৃভাষা না !!!!

আর সোজা হিসেব যে আদিবাসী মানে যে আগে থেকে বাস করে । এক টি অঞ্চলের আদি বাসী । সেই হিসেবে উপজাতিরা উপজাতিই ।
তারা আদি বাসী কিভাবে হল বোধগম্য নয় ।

@সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র সাহেব আর বাঙ্গালী তারাই যারা বাংলা সংস্কৃতিকে গ্রহন করেছে এবং এই ভাষায় কথা বলে । সুতরাং এখানে সমাজের কেন প্রশ্ন আছ? এখন কি কবিতা লিখে সমাজের উন্নতি করতে হবে? উপন্যাস লেখে ভাষা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে?

যত্ত সব আজাইরা বুদ্ধি !

আর উপজাতিরা সন্ত্রাসী না থাকলে শান্তি চু্ক্তি কাদের মধ্যে হল? বাঙ্গালিদের মধ্যে?
পুরা ভুয়া কথা !

আর আপনি কি চিন্তা করেন বুঝতে পারলাম না! !!!
মাতৃভাষা তো অবশ্যই শিখবে কিন্তু রাষ্ট্র ভাষা হবে মূল মাধ্যম কিন্তু্ এই বলে কি বাঙ্গালি হয়ে যাবে নাকি ? যেহেত মাতৃভাষা আরেকটি সুতরাং হাজার বললেও সে ঐ জাতিরই থাকবে ।

যেমন আমি যতই ভাল জার্মান বলি না কেন, আমি একজন বাঙ্গালি কারন আমার মাতৃভাষা এবং শারিরীক গঠন !!!!!!


বুঝেছেন সালাহ সাহেব । চিন্তা করেন আমিও বাস্তব আলোচনায় রাজী । ঐসব উদ্ভট কল্প আলোচনায় রাজী না । যেরকম: মাতৃভাষায় কবিতা না লিখলে জীবন অন্ধকার ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:১০

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: রাস্ট্রভাষা বাদ দেবার কথা কোথাও বলা হয়নি। আপনারা আদিবাসী বা উপজাতি বৃত্তে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছেন কেন বুঝলাম না। এইসব শব্দবন্ধ ভাই তো আপনারাই সৃষ্টি করেছেন।

যখন ইচ্ছা যেমন জাতির আগে 'আদি', 'অন্ত', 'উপ' জুড়ে দেবার অধিকার তো আপনাদের হাতেই রয়েছে।

আপনি ইচ্ছা করলে ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের অনাদিবাসী বা আপনার পছন্দমত যে কোন বিশেষন ব্যবহার করতে পারেন, তাতে কিন্তু ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মাতৃভাষা রক্ষা ও মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকারের দাবীর গুরুত্ত মোটেও কমে যায়না।

৬০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৩

রহমানপন্ডিত বলেছেন: তনুজা' কে সর্বচ্চো সন্মান প্রদর্শন পূর্বকঃ আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেটা সম্পূর্ন আপনার ব্যক্তিগত অনুভুতি। আমার বক্তব্যর মূল হচ্ছে --- প্রকৃত তথ্য আমাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদানে সহায়ক।

৬১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: রিফাত হোসেন..একটা সমাজের সবাই কবিতা লিখেনা-সম্ভব না। কেউ কেউ লিখে বাকিরা পড়ে-বোঝে সমাজ কোথায় আছে-তার কর্তব্য কি। এখন ধরুন একটা গোটা প্রজন্ম এমন করেই ভাবে যে সমাজের উন্নতিতো আর কবিতায় বাধা পড়ে নাই-তবে আর কবিতা পড়ে লাভ কি। ফলে সেই সমাজ আলোয়-রঙে-নানা ঢঙে উন্নত হয়ে উঠলো। আমি বলছি পৃথিবীর ইতিহাসে এমন সমাজ বা জাতি পাবেন না। সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি নোবেল যুক্তরাষ্ট্রের এবং এরপর ইউরোপের।

আপনি কাদের বাঙালী বলতে চান-যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে তারা-ই। আর যারা বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী বলতে পারে না তারাতো অনুন্নত বাঙালী, তাই না। বাংলা যার মাতৃভাষা সে অবশ্যই বাঙালী-আর যে ইংরেজী শেখে সে যদি নিজের সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যায়, সে মোটেও বাঙালী নয়।

উর্দু যদি রাষ্ট্রভাষা হতো তাইলে কি আমরা বাঙালী থাকতাম না। বা রাষ্ট্রভাষা ইংরেজী হলেওতো আমাদের ইউরোপ যাওয়া সহজ হয়ে যাবে না। বিষয়টা হচ্ছে মাতৃভাষা-বাংলা মাতৃভাষা বলেই রাষ্ট্রভাষা।
আপনি কখনোই জার্মান নন কারণ আপনার ভাষা-সংস্কৃতি-সাহিত্য আপনার কবিতা, আপনার উপন্যাস।

শান্তিচুক্তিতে কি আছে। মানবিক অধিকারের কথা। মুক্তিযোদ্ধারাওতো সন্ত্রাসীই ছিল। সূর্যসেনরাতো ইতিহাসে আজো সেই হিসেবেই বিবেচিত।

যে মানুষ কবিতা পড়েনি সে অবশ্যই অন্ধ-যে জাতির কবিতা নেই তারা অব্শ্যই অন্ধ।

৬২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০২

তনুজা বলেছেন: রহমানপন্ডিত বলেছেন: তনুজা' কে সর্বচ্চো সন্মান প্রদর্শন পূর্বকঃ আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেটা সম্পূর্ন আপনার ব্যক্তিগত অনুভুতি। আমার বক্তব্যর মূল হচ্ছে --- প্রকৃত তথ্য আমাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদানে সহায়ক।


ব্যক্তিগত অনুভুতি হতে পারে , তথ্যের প্রয়োজন বিষয়ে একমত

৬৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রিসাত বলেছেন: অবশ্যই আছে,,, চমৎকার পোস্ট,,, স্টিকি করার জন্যে ধন্যবাদ,,, না হলে হয়তো মিস করতাম,,,

আমার মনে হয় প্রাথমিক শিক্ষাটা অথবা পারলে পুরো মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখা পড়াটা ওদের নিজের ভাষায় হলে ভালো হতো,,,

৬৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২

রেজওয়ান শুভ বলেছেন: কি আর বলবো ... এটলিস্ট এই পোস্ট বিরোধীতা করার মতো ছাগল ও সামুতে আছে দেখে কষ্ট লাগলো ... আসলে দুই কলম লিখতে পড়তে জানলে ডিগ্রি পাওয়া যায় কিন্তু তারে শিক্ষিত বলে না এই কথাটা কয়জন ছাগল ব্লগার আবার প্রুফ করলো ....

পোস্টে হাজারটা +++++++++

৬৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালি এইসব ভাষায় ও তো তাইলে শিক্ষা চালু করা লাগে...................................

৬৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

রিসাত বলেছেন: @ রিয়াজুল ইসলাম

আপনার যুক্তিটা গ্রহণযোগ্য নয় এই সেন্সে যে ঐভাষা গুলা বাংলার প্রায় কাছাকাছি গোত্রীয়,,,,, প্লাস ঐখান থেকে দাবী তো আসতে হবে,,,

আমি চট্টগ্রামের মানুষ,,, এবং আমি দেখেছি কোন সমস্যা হয় না,,,,,,,,,,,,

৬৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:২৮

রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: @রিসাত: ভাই আপনি বললে তো হবে না। আমি চট্টগ্রামের ভাষা বুঝি না।

চট্টগ্রামের একটি শিশু যদি তার শিশুকালের ভাষাতে পড়তে পারে অবশ্যই আরামবোধ হবে।

প্রয়োজনে চট্টগ্রামের শিশুদের উপর জরিপ করুন।

চট্টগ্রামের মত উপজাতীয়দের ওখানে স্যাটেলাইট টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকা, মোবাইল বা অন্যান্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা দেন, ওদের জন্যেও তেমন সমস্যা হবে না।

৬৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩১

আইরিন সুলতানা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ।

আদিবাসী বা উপজাতিতের সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণের জন্য এবং একটি ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের ভাষাকেও সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করা উচিৎ এবং আদিবাসী নতুন প্রজন্ম যাতে নিজ ভাষাকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে পারে সেজন্য মূল পাঠদানের সাথে নিজস্ব ভাষা চর্চামূলক কোন পাঠ্যসূচী অন্তর্ভূক্ত করা দরকার মনে হয়।

ছুটি বিষয়ক তথ্যটিও আমার মনে হয় সরকারের ভেবে দেখা উচিৎ। বিদেশে কিন্তু কিছু কিছু ছুটি অঞ্চলভেদে দেখা যায় অর্থ্যাৎ সব ছুটিই পুরো দেশের জন্য সব সময় প্রযোজ্য হয়না।

সেক্ষেত্রে আমাদের দেশেও সরাসরি আঞ্চলিক না করে কিছু বিশেষ গোত্রের কথা বিবেচনা করে ছুটির ঘোষনা দেয়া যেতে পারে। এতে কিন্তু একটি বিশেষ ঐতিহ্য পরিচর্চাকে বেশ উৎসাহিতই করা হবে।

সচেতনতামূলক পোস্টের ধন্যবাদ কুঙ্গ থাঙ।

৬৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩৬

আইরিন সুলতানা বলেছেন: বিশ্বে বিভিন্ন দেশে দেখা যায় বিভিন্ন ভাষার উপরে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা নিয়ে থাকে। আদিবাসী ভাষার উপরে আমাদের দেশে কোন গবেষণামূলক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ আছে কিনা জানিনা । না থাকলে সেরকম একটি দাবি আসতে পারে। এতে অন্তত কিছু মান সম্মত বই হাতে পাওয়া যাবে উপজাতিদের ভাষা সম্পর্কিত।

৭০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৪৩

শুভ৭৭ বলেছেন: @রিসাত,

আমি চট্টগ্রামের মানুষ।
আমি দেখেছি সমস্যা হয়।

@লেখক,

আমি চট্টগ্রামের মানুষ।

লেখক 'কুঙ্গ থাঙ'কে সবিণয়ে জিজ্ঞেস করি, আমার মার্তৃভাষা কোনটি - শুদ্ধ বাংলা নাকি চট্টগ্রামের খাঁটি আঞ্চলিক ভাষা? এর উত্তর পেলে নিচের প্রশ্নগুলোর সহজ উত্তর মিলবে।

১। চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, সিলেট ইত্যাদি অঞ্চলের শিশুদের কোন ভাষায় পড়ালেখা করা উচিত?
২।আর উপজাতি শিশুদের কোন ভাষায় পড়ালেখা করা উচিত?

এ বিষয়ে আমার ব্লগ পড়ুনঃ
Click This Link

৭১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:১০

শুভ৭৭ বলেছেন: পোষ্টে +।

৭২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২০

কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:
@শুভ৭৭, কমেন্ট মডারেসন করছেন, ভাল। কিন্তু কঠিন কথা সহ্য হয় না, তাই না?

৭৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২০

খলিল মাহমুদ বলেছেন: জন্মগ্রহণের পর থেকেই যে ভাষায় আমরা কথা বলি সেটা আমাদের মাতৃভাষা। যিনি অশিক্ষিত তিনিও মাতৃভাষায়ই কথা বলেন। এই মাতৃভাষা আর রাষ্ট্রভাষার রূপটা ঠিক একরকম না। বাংলাদেশের কু্ষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকার কিছু অঞ্চলের লোকের মুখের ভাষা বাংলার শুদ্ধ রূপের অনুরূপ। সিলেট, চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, বরিশাল, পটুয়াখালি ইত্যাদি অঞ্চলের লোকের মুখের ভাষার সাথে শুদ্ধ (লিখিত বা কথ্য) ভাষার একচুল মিল নেই। অথচ এ অঞ্চলের মানুষের মাতৃভাষার উন্নয়নের জন্য কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল অঞ্চলে যে উপজাতীয়রা আছে, তাঁরা একেক গোত্র অন্য গোত্রের ভাষা বোঝেন না। আমার ব্যক্তিগত হিসেব মতে এ দু জেলার লোকেরা কমপক্ষে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলেন। পার্বত্যবাসীর মতো এঁরাও কি মাতৃভাষা শিক্ষরা দাবি তুলতে পারেন না?
দিঘিনালার পিযুষ চাকমা, সপ্তমী চাকমা আর দীপঙ্কর চাকমার মাতৃভাষা, লক্ষীছড়ির দশরথ তালুকদার চাকমা, দেবুরাণী চাকমা, সুনীতি কুমার চাকমা, রীনা দেওয়ান চাকমা; মানিকছড়ির জাপানবাবু, রাজ পরিবারের সদস্যদের মাতৃভাষা কোনোদিনই একরকম না। এদের সবার মাতৃভাষা পাড়া থেকে পাড়ায় ভিন্নতর। যাঁদের নাম বলা হলো, এঁরা সবাই নিজ নিজ এলাকায় অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের কর্ণধার, অন্যের কাছ থেকে শোনা কথা নয়, এঁদের সবার সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সখ্যতা থেকেই বলছি, জনাব কুঙ্গ থাঙ, আপনার বক্তব্যের সাথে এই অভিজাত শ্রেণীর প্রত্যাশার কোনো মিল নেই। এঁদের প্রত্যেকের দাবি ন্যাশনাল স্টান্ডার্ডের স্কুলকলেজ প্রতিষ্ঠা করার। এঁরা বাস্তবতা বোঝেন। জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যতো তাড়াতাড়ি ন্যাশনাল কারিকুলামে অভ্যস্ত হতে পারে শিক্ষার্থীদের ততই উপকার ও লাভ। পাড়ায় পাড়ায় ভিন্ন ভিন্ন মাতৃভাষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন মাতৃভাষা শিক্ষাকেন্দ্র ওপেন করার প্রয়োজনীয়তা তারা কোনোদিনই অনুভব করেন নি। তবে এরূপ মাতৃভাষা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনীয়তা যদি খুব জরুরি হয়, তাহলে এখন সরকার বাহাদুরকে সবকিছু বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামে অন্তত ৬৮ হাজারটি মাতৃভাষা শিক্ষাকেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করতে হবে। মাতৃভাষা শিক্ষা মৌলিক অধিকার বটে, শুধু পার্বত্যবাসীদের জন্য তা প্রযোজ্য হতে পারে না।
আপনারা অনেকেই এখানে ক্লাস এইট-নাইনের ছাত্রছাত্রী আছেন, যাদের কথা শুনে মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক যে আপনার আবেগতাড়িত হয়ে কথা বলছেন। বিষয়টা বাস্তবতার নিরিখে দেখতে হবে। ধরে নিই সরকার থেকে মাতৃভাষা শিক্ষার উদ্যোগ নেয়া হলো, কয়টি ভাষার জন্য তা সম্ভব? পার্বত্যবাসীর জন্য তো কোনো 'প্রমীত মাতৃভাষা' নেই, তা কোনোদিন সম্ভবই না। তাহলে সর্বপ্রথম একটা প্রমীত আঞ্চলিক ভাষা তৈরি করতে হবে, সেটা কতোদিনে করা সম্ভব? একটা ভাষা প্রমীত করা মুখের কথা না, যুগের পর যুগ পার হয়ে যাবে। আর যদি রীনা দেওয়ানের মাতৃভাষায় শিক্ষাদান শুরু করেন তবে তা জাপান বাবু আর সপ্তমী চাকমার জন্য হবে গ্রীক এন্ড লেটিন, তাঁরা কি তা শিখবেন? শিখলে তো তাঁরা অন্যদের মাতৃভাষা শিখলেন।
আবেগতাড়িত না হয়ে সবাইকে বাস্তবে নেমে আসতে অনুরোধ করছি। মাত্র দশ হাজার টাকা হলে একটা স্কুল ঘর উঠানো সম্ভব। আপনি যদি মাত্র দশ হাজার টাকা সম্প্রদান করতে পারেন, করুন, অন্তত একটা স্কুল ঘর হলো। দেখবেন স্কুলপড়ুয়া সেভেন-এইটের অনেক ছাত্রছাত্রী আছে, যারা এটুকু ঘর পেলে ধন্য হয়ে যাবে, পাড়ার সবাইকে নিয়ে বসে পড়ছে পাঠদানের জন্য। এরপর ওরা যা চাইবে তা হলো একটা 'আমার বই', একটা 'ধারাপাত', একটা এবিসিডি শেখার বাচ্চাদের বই। পারলে তাও দিন।
অনেকে অনেক দূর থেকে, লন্ডন-আমেরিকা থেকে এ লেখার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। পারলে একবার এসে আমাদের খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ঘুরে যান, আমরা কী চাই তা দেখে যান। আঞ্চলিক মাতৃভাষা শিক্ষার অজুহাতে পাহাড়বাসীকে আরও পশ্চাদপদ করার কোনো মানে হয় না।

আর যাদের লেখাপড়ার প্রতি তীব্র অনীহা, তাঁদেরকে মটিভেশন করতে হবে লেখাপড়ার প্রতি। সেপ্টেম্বর-নভেম্বরের দিকে হেলিকপ্টারে পানছড়ি থেকে রুমা ভ্রমণ করুন, দেখবেন পাহাড়ের মাথায় আগুন আর আগুন। পাহাড় ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে। ঝুমচাষের বদলে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত শষ্যের জন্য মটিভেশন করা হচ্ছে। অনেকে বোঝেন, কেউ কেউ বোঝেন না। বোঝাতে হবে। আর পাহাড় কেটে যদি কলকারখানা হয়, এ্যাট দ্য লং রান পাহাড়বাসীরই জন্য সেটা লাভজনক।

যারা মনে মনে এখনই পাহাড়বাসীর জন্য একটা স্কুল খুলবেন বলে ভাবছেন, কিন্তু রাস্তা পাচ্ছেন না, যেসব ব্যক্তিবর্গের কথা বললাম, দয়া করে তাঁদের সাথে যোগাযোগ করুন। আর নিজের ঢোলও এ প্রসঙ্গে পিটিয়ে যাই, এ অধমের নিজের উদ্যোগে যে স্কুলগুলো করা হয়েছে, দয়া করে সেগুলোর হালচালও একটু দেখে আসুন। দেশপ্রেম শুধু মুখে হাম্বিতাম্ভি করা না, দেশের জন্য প্রকৃতই কিছু করার নাম হলো দেশপ্রেম।

এ পোস্টে আর আসবো না। লেখকের প্রতি অনুরোধ থাকলো, যেসব ব্লগার অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন সেগুলো ভদ্রতার খাতিরেই দয়া করে মুছে ফেলুন।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৭৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২৩

অচেনা সৈকত বলেছেন: পুরোপুরি সহমত। আদিবাসীদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে অবশ্যই বাংলার পাশাপাশি আদিবাসী ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা উচিত।

৭৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫৪

রিসাত বলেছেন: @ শুভ৭৭ আপনি কি দাবী করছেন যে আপনাদেরও চাটগায়া ভাষায় প্রথমিক শিক্ষা চালু করতে হবে??

কই কাউকে কখনো করতে দেখি না,,, এমন কি কাউকে কখনো লিখতে শুনিনি এইসব আঞ্চলিক ভাষায়,,,,,,,,,,,,,,

আমাদের কালচার এবং ধর্ম মূল বাংলা কালচার থেকে কতোটুকু ভিন্ন,,,,,,,,,,,,,,, আপনি দাবী করছেন না,,,,,,,,,,,, অন্যরা দাবী করলে আপনার প্রবলেম হচ্ছে কেন??? দেশ কি শুধু আপনার একার,,,,,,,,,,,,, আলী জিন্নার মতো আপনিও এক দেশ এক ভাষা নাকি বলেন????

হৌক না সমস্যা কী? যারা যা চান তাদের তাই দেয়া হওক,,,,,,,,সব এলাকায় আঞ্চলিক ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা হওক.,,,,, এতে অন্তত শিশুরা ছেলে বেলায়ই ঝরে পড়বে না,,,,,,, আমদের শিক্ষার হার মাত্র ৪১% ,,,, এবং এই সব ইলিটারেট পিতা মাতারা সন্তান কে কখনো জাতীয় মাতৃভাষা প্রমিত বাংলা শেখান না,,,,,,,,,,,,

আর একটা কথা,,,,,,,, ঝরে পড়ে শিশুরা জীবণের ওয়ান ওয়ে ট্রাফিকে একবারেই ঝরে পড়ে,,,,,,,,,,,,,,,


There is no turning back,,,,,,,,,,,

৭৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:১২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: সহমত

৭৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২৮

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন:
___________________________________________
শুভ৭৭ বলেছেন: @রিসাত,

আমি চট্টগ্রামের মানুষ।
আমি দেখেছি সমস্যা হয়।

@লেখক,

আমি চট্টগ্রামের মানুষ।

লেখক 'কুঙ্গ থাঙ'কে সবিণয়ে জিজ্ঞেস করি, আমার মার্তৃভাষা কোনটি - শুদ্ধ বাংলা নাকি চট্টগ্রামের খাঁটি আঞ্চলিক ভাষা? এর উত্তর পেলে নিচের প্রশ্নগুলোর সহজ উত্তর মিলবে।

১। চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, সিলেট ইত্যাদি অঞ্চলের শিশুদের কোন ভাষায় পড়ালেখা করা উচিত?
২।আর উপজাতি শিশুদের কোন ভাষায় পড়ালেখা করা উচিত?
___________________________________________


ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি যখন বলবেন আপনার মাতৃভাষা চট্টগ্রামের খাঁটি আঞ্চলিক ভাষা, তখন আপনাকে এটাও স্বীকার করে নিতে হবে যে আপনার মাতৃভাষাটি আর্যভারতীয় ভাষাশ্রেনীর অন্তর্গত একটি ভাষা, যেটিকে ড. জি. গ্রীয়ার্সন, ড.সুনীতিকুমার চ্যাটার্জ্জি, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ ভাষাতাত্ত্বিকরা বাংলা ভাষার উপভাষা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

নোয়াখালি, চাঁদপুর বা সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মুল ভাষাটি কিন্তু বাংলাই। আপনি যদি এই সমস্ত আঞ্চলিক ভাষা কে বাংলা থেকে স্বতন্ত্র কোন ভাষা হিসেবে বুঝে থাকেন তাহলে সেটা বোধহয় ঠিক নয়। ভাষাতত্ত্বে এগুলো বাংলা ভাষারই বিভিন্ন রূপ বা উপভাষা হিসেবে চিহ্নিত ।

অন্যদিকে ক্ষদ্রজাতিসত্ত্বাদের ভাষা যেগুলোকে আপনারা আদিবাসী/উপজাতিয় ভাষা বলছেন, সেগুলোর কিন্ত সব একই ভাষা ভাষাশ্রেনীর বা সাবফেমিলির অন্তর্গত নয়। উদাহরন হিসাবে ত্রিপুরাদের ভাষা ককবরক ও মান্দিদের ভাষা আচিক টিবেটান চাইনিজ ফেমিলির, চাকমা ও সাওতালদের ভাষা ভারতীয় আর্যভাষাশ্রেনীর ভুক্ত, মণিপুরী মৈতৈ ভাষা কুকি-চিন সাবফেমিলিভুক্ত, আবার মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়াদের ভাষা ইন্দো-মঙ্গলয়েড ভাষাশ্রেনীর। এসব ভাষা অঞ্চলগতভাবে কোন মুলধারার ভাষা থেকে সৃস্ট হয়নি, এদের অরিজিন ও ডেভেলপমেন্টের ইতিহাসও ভিন্ন, কোনটি হয়তো সৃস্টি হয়েছে আরকানে, কোনটি বার্মায় আবারে কোন কোনটি সৃস্টি হয়েছে উত্তরপুর্ব ভারতে। এদের মধ্যে কিছু কিছু ভাষার প্রাচীন এবং আধুনিক লিখিত সাহিত্যও রয়েছে।

এখন উপভাষা এবং মুল ভাষার বিষয়ে কিছু বলি। আমার নিজের মাতৃভাষার নাম হলো বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী । এ ভাষাটি ভারতের মণিপুর রাজ্যে সৃস্ট এর দু'টি উপভাষা রয়েছে - মণিপুরের খাঙোবোক-হেইরোক অঞ্চলের আঞ্চলিক রূপটি হলো মাদইগাঙ আর নিংথৌখঙ বিষ্ণুপুরের আঞ্চলিক রূপটি হলো রাজারগাঙ। এর বাইরে এইভাষার একটি লিখিত/প্রমিত রূপ আছে যেটি এ ভাষার সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়। ভারত সরকার যখন আসাম ও ত্রিপুরার স্কুলগুলোতে এ ভাষা চালু করে তখন রাজরগাঙ বা মাদইগাঙ কোনটি অগ্রাধিকার পাবে তানিয়ে বিতর্ক হয়নি, কারণ এ ভাষার একটি লিখিত রূপ আছে। ঠিক সেইরকম চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, চাঁদপুর বা সিলেটের আঞ্চলিক ভাষাগুলো বাংলার উপভাষা হওয়ায় এই ক্ষেত্রেও সমান যুক্তি প্রযোজ্য।

আর উপভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় লেখাপড়ার বিষয়টিও ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করি। আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশুনায় সমস্যার কিছু দেখি না। এতে শিশুদেরই লাভ হবে বেশী।

এর বেশী ব্যাখ্যা আপাতত আমার কাছে নেই। বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য ভাষাতত্ত্বের বইপত্র দেখতে পারেন, বিশেষ করে স্যার জি. এ গ্রীয়ার্সনের লিংগুইস্টিক সার্ভি অফ ইন্ডিয়ার খন্ডগুলো ।

৭৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৪

মনজুরুল হক বলেছেন:

মাতৃভাষার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। অন্য হাজারটা ভাষা শেখা যেতে পারে, তাই বলে মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে নয়। সেই ভাষার অঞ্চলভেদে গ্রহণযোগ্যতার তারতম্য হতে পারে, তাই বলে মাতৃভাষাকে(তা সে যতই সংখ্যালঘু হোক) বাদ দেওয়ার অধিকার কারো নেই।

দুর্দান্ত পোস্ট। সহমত।

তবে বাংলাদেশে "আদিবাসী" শব্দটা যে অর্থে ব্যবহার হয়, তা নিন্দনীয়।কার্যক্ষেত্রে আদিবাসীদের ভাবা হয় "উপবাসী" বা "খন্ডবাসী"! বাঙালি আর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ কোন অর্থেই আদিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণ করে না। কাগজে কলমে যদিও ফলাও করে অনেক কিছু বলা হয়!

জাপানীরা, চীনারা ভিয়েতনামিজরা কোনভাবেই তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাষাস্বত্তাকে ভুলে যায়নি। জাপানিরা খুব ভাল ইংরেজি জানা স্বত্তেও তা ব্যবহার করেনা।

আমি মনে করি, যদি মাত্র শ'খানেক মানুষও তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলতে, পড়াশুনা করতে চায় তো তার সেই অধিকার অবশ্যই সমর্থনযোগ্য ।

৭৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০০

কথেবিডি বলেছেন: হে হে হে, আগে একটু হাইসা লোই।

কোথাকার তেল কোথায় গড়িয়া পড়িল।

প্রথম আলো'র একটা লেখা নিয়ে এখানে পূনঃপঠন।

কিন্তু, ব্লগীয় পন্ডিতকুল 'আদিবাসী'
'উপজাতি'
'মাতৃভাষা'
'আঞ্চলিক ভাষা'
নিয়ে যার যার মনোবাসনা মতো ব্যাখ্যা করিতেছেন। ভালো, ভালো, খুব ভালো। কেউ কেউ সুযোগ পাইয়া, ইচ্ছেমতন আদিবাসী গো থুক্কু উপজাতিগো গালি দিল। দেন, কেউ আপনারে কিচ্ছু কইতোনা। ওরাতো এখনও মানুষ হই নাই। ওদের আবার ভাষা! তাও আবার লেকাপড়া করতে চাই ওই ভাষাই। যার যার ইচ্চেমতন গালি, ঘুসি দিলেও কেউতো আপনারে উল্টা থাপ্পর মারবে না। সুতরাং দেন, আরে এদেশে দয়া করে থাকতে দিছে, হালা এগুলোইতো তাদের জন্য .....। তা আবার নিজেগো ভাষায় পড়তে চাই। লাত্থি দিয়ে.....।
না, আগুনে ঘি ঢেলে দিলাম নাকি। খাইছে, আমার আবার কি বিপদ হই! এখনতো দেশপ্রেমিক সাজার মৌসুম চলতেছে,

রহমান পন্ডিততো বইলেই ফেল্লো, তাগো কোন দেশপ্রেম নাইক্কা

(অনুগ্রহ করে মনে রাখতে হবে যে শুধুমাত্র সমবেদনা ও সহমর্মিতা দিয়ে এতবড় কর্ম সম্পাদন করা যায়না। সর্বোপরি প্রয়োজন দেশপ্রেম যা উপজাতিয়দের মাঝে আছেকি? ),

সুতরাং বাবু কুঙ্গ থাঙ (সাহেব), এবার এইসব ক্ষান্ত দিয়ে তাগো (আদিবাসী থুক্কু উপজাতী গো) একটু দেশপ্রেম শিখাইয়েন। এইসব ভাষা টাষা দিয়ে কিচ্ছু হবে না.....।

এবার একটু কাজের কথায় আছি, আমাদের এই বাংলাদেশ (প্রিয় দেশ ) শুধু বাংলাভাষীদের জন্য, আর বাকিদের সবাইকে ভেনিস কইরা ফালাইলেতো (না . না, মানুষ না ভাষা গুলার কথা কইতাছি ) সমাধা হইয়া যাই। ১৫ কোটি মানুষ যদি একসাথে পেচ্ছাবও করি তো ঐসব লেক, খাল বিল সব ভইরা যাবে। তখন কেউ চিল্লাইতো না, আমাগো ভাষা রক্ষা করো, আমাগো ভাষাই পড়তে দিতে হইবো, আমাগো সংস্কৃতি বাচাইতে হইবো। এক দেশ এক ভাষা এক জাতি আমরা সবাই.....। জয় হোক বাংলাদেশের।

লেকাটা প্লাস দিতে চাইছিলাম,তোয়

৮০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৫৬

কথেবিডি বলেছেন: এবার, আবেগ নয়, যুক্তির কথাতে আছি।

১. আদিবাসী কি উপজাতি এ বিতর্কে যাব না। এ দায় আমার নই। কুঙ্গ থাঙ তো বলেই ফেলেছেন, এই পদ বাচ্য (টার্ম ), শব্দ গুলো নিজেদের দেয়া নই। সুতরাং এ টুকু প্রথমেই স্বীকার করি, উনারাও মানুষ। মানুষ যেহেতু হয়েছে একটা নাম দিতে হবে। এবং আমরা জানি, যে ব্যাক্তি জন্ম নেই তার নাম সে নিজে দিতে পারে না, বাবা মা, নানা নানি, খালা খালু অর্থাৎ অভিভাবকরাইতো নাম দিবে। সুতারাং এ দায় আমাদের রাষ্ট্রের কিংবা সমাজের অভিভাবকদের। তারপর, মানুষটি যখন বড় হবে, লেখাপড়া শিখে যখন মানুষ হবে তখন তার ইচ্ছেমতন একটা সুন্দর নাম বেছে নিবে। যেমন, রইস উদ্দিন থেকে ব্রাত্য রাইসু, প্রসন্ন কুমার দাস থেকে পি কে দাস। আগে উনাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি। এদেশের একজন হিসেবে বড় করি।


২. মাতৃভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষা। এখানে সমস্যা কেন রে ভাই! সমস্যা কিন্তু অন্যজায়গায়। হিন্দি, সংস্কৃত, আরবি, ইংরেজি, জার্মান, ঊর্দু এবং বাংলা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। আমরা সবাই জানি, এগুলো আলাদা আলাদা ভাষা। বাংলা যেমন হিন্দির আঞ্চলিক ভাষা নই, জার্মান যেমন ইংরেজির আঞ্চলিক ভাষা নই তেমনি ঊর্দু কখনই আরবির আঞ্চলিক ভাষা নই। ঠিক তেমনি মারমা, ককবরক(ত্রিপুরি ), মান্দি (গারো), সাওতাঁলি, উরাঁও কিংবা কুরুখ কখনোই বাংলার আঞ্চলিক ভাষা নই। এই ভাষা গুলো আমাদের প্রতিবেশী ভারতেও প্রচলিত, নিজস্ব শিল্প -সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চিত হচ্ছে এ সব ভাষাতে। সমস্যা আমাদের জ্ঞানের, তথ্যের, অভিজ্ঞতার অভাব। তাই আঞ্চলিক এবং মাতৃভাষার মধ্যে গুলিয়ে ফেলি। ( অফটপিকঃ মিষ্টার খলিল মাহমুদ নিজে স্কুল না খুইলা আরেকটু স্কুলে গিয়ে লিকাপরা কইরলে এই বিভ্রম টা হইতো না) সুতরাং এখানে লেখক দ্বয় ( পি আলো'র লেখক এবং ব্লগের লেখক )মাতৃভাষা বলতে কখনোই একটি আঞ্চলিক ভাষা কে বুঝাচ্ছে না, স্বতন্ত্র একটি ভাষাকে বুঝাতে চেয়েছেন।

৩. মাতৃভাষা এবং রাষ্ট্রভাষা। না এখানেও ঝগড়া করার কোন কারণ দেখি না। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা এখানে কারও দ্বিমত নেই। থাকারও কথা নই। কিন্তু বাংলাদেশে সবার মাতৃভাষা বাংলা নই। এখানেও দ্বিমত থাকার কথা নই। আর যদি দ্বিমত করেন, তাইলে আমার কিছু করার নেই। আপনার বুঝনের মধ্যে গলদ আছে, ঐ গলদ শুধরানোর দায় কুঙ্গ থাঙ কিংবা আমার আপনার কাজ নই।

৪.
আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করণের সুযোগ প্রদান

অথবা

আদিবাসীদের মুখের ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দান শুরু করা

কিংবা
প্রাথমিক শিক্ষায় আদিবাসীদের ভাষাকেও অন্তর্ভুক্তকরণ করা


বিষয়গুলোকে আরও পরিস্কার করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে আমার মত হলো, ইচ্ছে করলেই সবকিছু করা যাবে এটা ঠিক। কিন্তু তার জন্য আমাদের আকাংখা, সম্পদ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, সর্বোপরি যাদের জন্য কাজটা করবো তারা কি চাই এ সম্পর্কে ষ্পষ্টটাতো চাই।

পোষ্ট দাতার জবাব এবং পাঠকদের মন্তব্য পড়ে আরও এগোনোর ইচ্ছে আছে.....

ধন্যবাদ, কুঙ্গ থাঙ কে বিষয়টাকে সবার নজরে আনার জন্য।

৮১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৫১

রিফাত হোসেন বলেছেন: হুমমমমমমমমমম

আসেন কালকেই সিলটি ভাষায় বাংলায় পড়ালেখা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নিয়ে যাই !!!!!!!!

কারণ সিলেটি ভাষা বাংলা ভাষা থেকে ভিন্ন একটি ভাষা । যার সৃষ্টি বাংলা ভাষা যেখান থেকে হয়েছে তার পাশ থেকে । সিলেটি ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে, কৃষ্টি আছে এই বলে কি তারা এখন এই ভাষা নিয়ে তুল কালাম কান্ড করবে ? অবশ্যই করে । তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে আপনি কোন দেশ থেকে এসেছেন । আমি সিলটি !!!!!!!!!!!
বাংলাদেশী বলবে না !

৮২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০২

রিফাত হোসেন বলেছেন: @লেখক , আমি কখনোই প্রাথমিক শিক্ষায় মাতৃভাষার বিপক্ষে যাই নাই, কিন্তু আপনার পোষ্টের কথামালা ঠিক এরকম যে, প্রাথমিক শিক্ষা শুধু মাতৃভাষাতেই !!!
যা অবাক করা একটা ব্যাপার । আপনি ঠিক এভাবে বলতে পারতেন যে, প্রাথমিক শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় ভাষার পাশাপাশি মাতৃভাষা চর্চা করার কথা । এটা মৌলিক দাবী মাতৃভাষা হিসেবে । যদি প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষাতেই হয় তাহলে রাষ্ট্র ভাষা শিখতে তো আরো কঠিন এবং আরো সময় ব্যয় হবে, কারণ তাকে তখন নতুন একটি ভাষায় মাধ্যমিক উচ্চা মাধ্যমিক পড়তে হবে । একটি বুদ্ধি খরচ করে লেখেন, আবেগের সাথে কিছু হয় না, বুঝেছেন ????

তাহলে আমার কেন সবার বোধগম্য হত । আশা করি আমার সঠিক উক্তি দেখাতে পেরেছি ।

৮৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:২৬

রাশেদ বলেছেন: সহমত।

৮৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৫৭

পারভেজ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ও আলোচনা।
আমার মতে, এ ব্যাপারে আদিবাসীরাই সবচেয়ে বেশী অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারে বা রাখতে হবে। যেহেতু গোষ্ঠীর সদস্যসংখ্যা সীমিত; তাদের ভেতর থেকেই শিক্ষকতা পেশায় এগিয়ে আসতে হবে। যতটুকু রিফর্ম বা পরিশুদ্ধ করার প্রয়োজন আছে সেটা তাদের মতামতের ভিত্তিতেই হতে হবে। সরকার মুলত প্রকল্প চালু করে, অর্থ সংস্থান এর মাধ্যমে পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে। তবে কষ্টকর হচ্ছে, কিছু কিছু ভাষা কালের আবর্তনে হারিয়ে যায় ও যাবে; এটা ঠেকানো যায়না। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই এই পরিবর্তন হয়ে আসছে হাজার হাজার বছর ধরে।

৮৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৫৯

আতিকুল হক বলেছেন: ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাগুলোর ভাষা সংরক্ষনের সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্হা হলো তাকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিয়ে আসা। সে হিসেবে এটা চমৎকার একটা উদ্যোগ হবে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, পরবর্তীতে যেহেতু বাংলাতেই পড়তে হবে, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্হায় বাংলাকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। আমার মনে হয় একটা উপায় হতে পারে প্রচলিত পড়ার পাশাপাশি একটা অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে মাতৃভাষার একটা কোর্স পড়া। বুয়েটের মিডিয়াম অব এডুকেশন কিন্তু ইংরেজি। কিন্তু আমাদের সাথে যেসব নেপালি ছাত্র পড়তো তাদের বাধ্য হয়েই বাংলা শিখতে হয়েছিল ক্লাস ফলো করার জন্য। এটাও কিন্তু বাস্তবতা। ঘোষনা আর কাজের অনেক ব্যবধান।

৮৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:০৮

ল্যাটিচুড বলেছেন: সবার অধিকার আছে তার মাতৃভাষায় শিক্ষার। আদিবাসিরা আমাদের বৃহত্তর জনগনেরই অংশ তাই তাদের অধিকার নিশ্চিত করা অবশ্যই প্রয়োজন।

তবে দেশের বৃহত্তর জনগন যেখানে পানি, বিদুত আর তাপের দহনে দগ্ধ তখন আদিবাসিদের ভাষা সংক্রান্ত ষ্টিকি পোষ্ট কিছুটা দৃষ্টি কটু মনে হচ্ছে।
এর চেয়ে পানি, বিদুত সংক্রান্ত কোন পোষ্ট ষ্টিকি থাকলে তা বৃহত্তর জনগনের প্রতিনিধিত্ব করতো।

৮৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৪৮

কামালআবু বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন আপনার আনুভুতি। সমাজের ও দেশের প্রয়োজনটা দেখতে হবে। কতগুলো ইন্জিনি্যার, ডাক্তার and other field specialist আপনার পরিবার/সমাজ থেকে বের হচ্ছে। এদের আকার আপনার সমাজটাকে সামনে নি্যে যাবে। এমন কোনো অনুভুতি /Emotion that you expressed, যেনো আপনাদেরকে পিছনে না নি্যে যাই, খেয়াল রাখতে হবে। এটাকে আবেগ দি্যে বিচার না করে, প্রয়োজনের নিরীখে বিচার করুন।
State owned school গুলো দেশের নিয়মে চলবে, এটাই স্বাভাবিক। Community development এর জন্য আপনার সমাজপতিরা পরিকল্পনা করবেন through internal system management।

৮৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:২০

সকলের প্রতি ঋষির উপদেশ বলেছেন: লেখাটাকে ভিন্নখাতে নেবার জন্য কিছু জামাতী ও খলিল মাহমুদের উপর লানত পড়ুক। কে আদিবাসী, কে বিদেশী এইটা কোন তর্কের বিষয় নয়। এখানে মুখ্যবিষয় হল শিশুদের অধিকার সংরক্ষন করে এক একটি ভাষাকে জাগিয়ে তোলা, তাদের সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তোলা, সংখ্যায় কম হলেও তাদেরকেও শিক্ষিত মানুষ হিসেবে তুলে ধরা। আমরা সবাই বাংলাদেশী, কিন্তু বাংগালী নই, এতে রাগের কিছু নাই। সবাই বাংলায় কথা বলবে, বাংলায় পড়বে ----এই মানুষিকতা হল পাক হানাদারদের! বাংলাদেশী হিসেবে প্রতিটা শিশুকে তার সংস্কৃতির পরিচয় ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তা একমাত্র সম্ভব তাদের মাতৃভাষার মাধ্যমেই। সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে হলে বাংলাদেশের সকল জনগনকে আগে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

যারা এই মত মানে না, তাদেরকে ধইরা পাকিস্থানে পাঠাইয়া দেওয়া হোক। আমরা বাংলাদেশীদের মধ্য অনেক ভাষা থাকলেও বিভেদকে মানতে পারি না!

৮৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:২৫

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: জৈব বৈচিত্রের এই প্রথিবীতে প্রতিটি জীব'ই টিকে থাকার জন্য লড়ছে। স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের কারনে কেউ এগিয়ে গেছে আর কেউ পিছিয়ে আছে আর কেউ বিলুপ্ত হয়ে গেছে "যোগ্যতমের জয় চিরন্তন" এই সত্যকে মেনে নিয়ে। মানুষ জীব জগতেরই একটি প্রজাতি যার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা(এডাপটেশন পাওয়ার) সবচেয়ে বেশী যার কারনেই পৃথিবীতে আজ তারই রাজত্ব।
এই মানব জাতির মধ্যেও আবার প্রতিযোগিতা হচ্ছে যাকে ভদ্রভাবে বললে আত্মপ্রকাশের প্রতিযোগিতা অন্যভাবে মোড়লী করার প্রবনতা। এই পথ ধরে কেউ চায় অন্যকে দাবিয়ে রাখতে আর অন্যরা চাই মাথা উচু করে থাকতে। এই বাস্তবতাই আমারা যারা বাংলা ভাষাভাসী তারা পিছিয়ে আছি অনেক। ল্যাটিন, ইংলিশ, ফরাসী এদেরকেই অনুসরন করতে হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, উচ্চ শিক্ষা, ব্যবসা-বানিজ্য সর্বক্ষেত্রেই তারা আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। তাদের সাথে পাল্লা দিতে, বর্তমান বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আজ আমরা ইংলিশ, ফরাসী ইত্যাদি শিখছি, গড়ে উঠছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে মাত্রিভাষায়(বাংলা) পড়া ছেলে-মেয়ের চাইতে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া ছেলে-মেয়েরা যে একটু হলেও এগিয়ে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিবর্তীত পরিস্থিতি বা পরিবেশের সাথে যত তাড়াতাড়ি খাপ খাইয়ে নেওয়া যায় ততই মঙ্গল।

য়ারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায় তাদের কথা ভিন্ন অন্যদেরকে অনেক চড়ায় উতরায় পার হয়ে তবেই প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। এই বাস্তবতা উপজাতি বা আদিবাসী বা সংখ্যালঘু যায় বলি না কেন তাদেরকে মেনে নিতে হবে।খুবই অল্প কিছু মানুষের মধ্যে প্রচলিত একটি ভাষায় অভ্যাস্ত হয়ে মূলত বিশাল এই পৃথিবিতে বিচ্ছিন্ন জাতি হিসাবেই থাকতে হবে।

মাতৃভাষা আসলে মাতৃদুগ্ধের মতই প্রয়োজন একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত তারপর শক্ত খাবারের মত জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক ভাষায় অভ্যাস্ত হতে হয়। তবে কেউ যদি পরিকল্পনা করে থাকে যে, আজ থেকে এক হাজার বছর পরে হলেও নিজস্ব পরিচয়ে আমরাই শ্রেষ্ঠেত্বের আসনে থাকব তাহলে বলার কিছু নাই।

পাহাড়ীভাষা তারপর রাষ্ট্রভাষা তারপর আন্তর্জাতিক ভাষা এভাবে না এগিয়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক ভাষাই শুরু করলেই ভাল। যেমন আমাদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোতে হচ্ছে।

৯০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: @কথেবিডি, আপনার কথাগুলো খুব চমৎকার লাগলো। মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দান চালু করা না গেলে কমপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষায় মাতৃভাষাকেও অন্তর্ভুক্তকরণ করার প্রস্তাবটিও ভেবে দেখা যায়।

এমন নয় যে মাতৃভাষায় লেখাপড়া করতে না পারলে শিশুর শিক্ষা হবে না। বাস্তবক্ষেত্রে কিন্তু শিশুর উপর আমরা যে ভাষা চাপিয়ে দেই তাই গ্রহন করে। কিন্তু এখানে শিশুর মনস্তাত্তিক বিকাশ ও শিশুর অধিকারের প্রশ্ন চলে আসে। যে ভাষায় তারা অভ্যস্ত সেটি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরুতেই ব্যবহার করে হলে তার বৃদ্ধিবৃত্তি ও মানসিক বিকাশ দ্রততর হয়। মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ পেলে একজন শিশুকে নতুন ভাষা শেখার চাপ সইতে হয় না। সে সহজেই সবকিছু রপ্ত করতে পারে। মাতৃভাষায় যেটা সম্ভব, নতুন কোনো ভাষায় তা সম্ভব নয়।

আমাদের এলাকায় (মৌলবীবাজার জেলার কমলগঞ্জে) সিল ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কয়েকটি প্রি-স্কুল চালু হয়েছে, ১ম শ্রেনীতে যারা এখনো ভর্তি হয়নি বা ১ম শ্রেণীতে যারা পড়ছে এমন শিশুদের নিয়ে মাতৃভাষার স্কুল। এখানে নিজের ভাষায় বাচ্চাদের আগ্রহ এবং সৃজনশীলতার বিকাশ দেখলে অবাক হতে হয়। এদের একজনকে গরু নিয়ে কিছু লিখতে বলা হলে সে যা লিখেছে তার বাংলা অনুবাদ এরকম -

" আমাদের বাড়ীতে একটা গরু আছে। গরুটি খুব সুন্দর। আমি গরুটির সাথে খেলি। বাবা গরুটিকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে তাই আমার খুব দূঃখ লাগে। পশুকে বেঁধে রাখা ভাল নয়। "

৪/৫ বছরের একটি বাচ্চার এরূপ কল্পনাশক্তির বিকাশ আমাকে অবাক করে। কারণ আমাদের সময়ে এটা কল্পনার বাইরে ছিল, না বুঝে গৎবাধা কিছু লাইন মুখস্ত না করলে ক্লাসে গিয়ে মার খেতে হতো। আমি মনে করি এটা সম্ভব হয়েছে কেবল মাতৃভাষার জন্য। অন্য ভাষায় শিশুটি কি এভাবে মন খুলে লিখতে পারতো?

৯১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৩০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সেভ দ্য চিলড্রেন আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করে বিভিন্ন এনজিওদের মাধ্যমে। এই সুবাদে আমার একটু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র পত্রপত্রিকা এবং জেদের বশবর্তী হয়ে বলছি যে আদিবাসী শিশুদের কোন রকম সমস্যা হয় না। কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি যে সমস্যা হয়। কারণ আমি বাস্তবিকই শিশুদের সাথে মিশে ওদের সাথে কথা বলে দেখেছি .... সোনামনিদের ভী...ষ..ন সমস্যা হয়।
নিড এসেস ছাড়া ... চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা কোন আউটকাম বয়ে নিয়ে আসতে পারে না। আমার কাছে মনে হয় ...এই যে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য এসেছে ...এটা পজিটিভ।
আমাদের ভাবতে হবে..সরকারকে ভাবতে হবে বিষয়টাকে নিয়ে। আমরা উন্নয়নের কথা বলি .... উন্নয়ন কি চাপিযে দেয়া কোন বিষয়??? কাদের জন্য উন্নয়ন?? কেন এই উন্নয়ন?? কিভাবে কোন কোন ক্ষেত্রে এই উন্নয়ন সম্ভব???
যারা এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক করেছেন...আসুন আমরা বিষয়টাকে নিয়ে ভাবি এবং সত্যিকার অর্থেই তাদের জন্য কিছু করি...যারা আমাদেরই ভাই..বোন।
আমি লেখকের সাথে শতভাগ একমত পোষন করছি এবং আবারও তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাছি........

৯২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:১৮

সমুদ্রের তীরে বলেছেন: @ লেখক বলেছেন-
আপনি যখন বলবেন আপনার মাতৃভাষা চট্টগ্রামের খাঁটি আঞ্চলিক ভাষা, তখন আপনাকে এটাও স্বীকার করে নিতে হবে যে আপনার মাতৃভাষাটি আর্যভারতীয় ভাষাশ্রেনীর অন্তর্গত একটি ভাষা, যেটিকে ড. জি. গ্রীয়ার্সন, ড.সুনীতিকুমার চ্যাটার্জ্জি, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ ভাষাতাত্ত্বিকরা বাংলা ভাষার উপভাষা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতো আরাকান ভাষার বিবর্তিত রুপ। ইতিহাসতো তাই বলে।

সবারই নিজের ভাষায় শিক্ষার অধিকার আছে।

অন্তত মাধ্যমিক পর্যন্ত শিশুদের নিজের ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকা উচিত। পাশাপাশি আস্তে আস্তে অন্য ভাষাগুলো শিক্ষা দিতে হবে।

আমাদেরকে ক্লাস ফোরে (৪র্থ শ্রেণী) প্রথম ইংরেজী বর্ণমালা শেখানো হয়। আর এখনতো .........................।


৯৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪১

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: পতত্রী, লেখাজোকা শামীম, নাজনীন১, নিশা সিনহা, সুফিয়ান ডট কম, সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র, অরণ্য আনাম, লাল দরজা, অমাবশ্যার চাঁদ, রাতুল২০০৮, কালিদাস পন্ডিত, মাহমুদুল হাসান রুবেল, শয়তান, অনার্য তাপস, ফারহান দাউদ, _তানজীর_, নাজিম উদদীন, সততার আলো, তনুজা, রিয়াজুল ইসলাম, ভন্ডপির, টুশকি, আকাশ_পাগলা, ভাস্কর চৌধুরী, তায়েফ আহমাদ, মাঝে মাঝে, জলপাই দেশি, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, আলমগীর কুমকুম, বুলবুল আহমেদ পান্না, পরিবর্তনবাংলা, প্রতারিত পুরুষ, বাইত যামু, দস্যু বনহুর, জুল ভার্ন, লালন অনিক, হাসান মাহবুব, পথিক!!!!!!!, চেরাগ আলী, ফারহান দাউদ, নিউটন, েপচাইললা, হাসান মাহবুব, প্রশান্ত শিমুল, লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, রিসাত, রেজওয়ান শুভ, আইরিন সুলতানা, শুভ৭৭, কাকশালিখচড়াইগাঙচিল, অচেনা সৈকত, নির্ঝর নৈঃশব্দ্য, মনজুরুল হক, কথেবিডি, রাশেদ, পারভেজ, আতিকুল হক, ল্যাটিচুড, কামালআবু, সকলের প্রতি ঋষির উপদেশ, বাবু>বাবুয়া>বাবুই, সমুদ্রের তীরে'সহ অন্যান্য যেসকল ব্লগার এবং নাম নাজানা যেসকল ভিজিটর পোস্টটি পড়লেন এবং আলোচনায় অংশ নিলেন তাদের সবার প্রতি রইলো আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। মুল লেখাটির লেখক ফিরোজ জামান চৌধুরীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জাতিগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।

পোস্টের দৈর্ঘ্যর কথা চিন্তা করে সবাইকে আলাদাভাবে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাতে পারলাম না। আর সামহোয়ারইন কর্তৃপক্ষকে আবারো ধন্যবাদ সবার নজরে আনার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

সবাই ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সবার জন্য।

৯৪| ০১ লা মে, ২০০৯ রাত ১২:৪৬

সংসপ্তক আকাশ বলেছেন: আমি যতদুর জানি আদিবাসীর ইংরেজী হল Indigenous people. আর এর definition যেটা United Nations দিয়েছে তা হলো:

The working definition reads as follows:
“Indigenous communities, peoples and nations are those which, having a historical continuity with pre-invasion and pre-colonial societies that developed on their territories, consider themselves distinct from other sectors of the societies now prevailing on those territories, or parts of them. They form at present non-dominant sectors of society and are determined to preserve, develop and transmit to future generations their ancestral territories, and their ethnic identity, as the basis of their continued existence as peoples, in accordance with their own cultural patterns, social institutions and legal system.
“This historical continuity may consist of the continuation, for an extended period reaching into the present of one or more of the following factors:
a) Occupation of ancestral lands, or at least of part of them;
b) Common ancestry with the original occupants of these lands;
c) Culture in general, or in specific manifestations (such as religion, living under a tribal system, membership of an indigenous community, dress, means of livelihood, lifestyle, etc.);
d) Language (whether used as the only language, as mother-tongue, as the habitual means of communication at home or in the family, or as the main, preferred, habitual, general or normal language);
e) Residence on certain parts of the country, or in certain regions of the world;
f) Other relevant factors.
“On an individual basis, an indigenous person is one who belongs to these indigenous populations through self-identification as indigenous (group consciousness) and is recognized and accepted by these populations as one of its members (acceptance by the group).
“This preserves for these communities the sovereign right and power to decide who belongs to them, without external interference”.

সূত্র: UN Doc. E/CN.4/Sub.2/1986/7 and Add. 1-4. The conclusions and recommendations of the study, in Addendum 4, are also available as a United Nations sales publication (U.N. Sales No. E.86.XIV.3). The study was launched in 1972 and was completed in 1986, thus making it the most voluminous study of its kind, based on 37 monographs. Paragraphs 379-382.

৯৫| ০১ লা মে, ২০০৯ রাত ১:০৫

কথেবিডি বলেছেন: তা ঠিক, মাতৃভাষার চর্চা আমাদের শিশু শিক্ষার জন্য অবশ্যই অধিকতর ফলদায়ক। আমারও সহমত।
তার আগে আমাদের বিষয়টা নিয়ে আরও ভাবার অবকাশ আছে। হয়তো সব আদিবাসীদের ভাষাকে না হলেও কিছু কিছু যে শুরু হয়ে গেছে এটাই বা কম কিছে।

তার জন্য কতৃপক্ষের ( শিক্ষা মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বিষয়টার সাথে সংস্লিষ্ট সকল) সহিত আমাদের বোঝাপড়াতা জরুরী। আমজনতা তো সাথে থাকোন লাগবোই।

সকল আদিবাসীদের ভাষার সার্ভে- জরীপ, কেটালগিং, ডাটা, শ্রেণীকরণ, রিসোর্স পার্সন ডেভলপ করা, শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ-প্রশিক্ষণ, পাঠ্যবই-পাঠ্যক্রম-পাঠ্যসূচি সংক্রান্ত কাজ, এডমিনিষ্ট্রেশন এবং মণিটরিং মেকানিজম, তারপর ফান্ডিং ..... আরও অনেক অনেক টেকনিকেল বিষয় আশয় আছে যা করণের ইচ্ছে, আগ্রহ, সম্পদ, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা প্রসঙ্গ চলে আছে।


তারপর, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কায়-কারবার সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকলে বুঝবেন, তাগো (পাহাড়ি-আদিবাসী-উপজাতি ) বিষয়ে ঊনাগো ( কতৃপক্ষ ) কিরকম খাইলত!


বল্লে অনেক কিছু চইলা আছে, তবে আরেকটা কথাও বইলা যাই, তাগো মইধ্যে যারা একটা উইঠ্যা গেছে তেনারা যদি যারা আরো নিচে পইড়া রইছে তাগো যদি একটু উঠনে সাহায্য সহযোগীতা করে তোয় সবাই একটা তাড়াতাড়ি উঠন যাইবো। ধইরেন, সি এইচ টি'র চাকমা-মারমারা যদি বোম-ম্রো দের, সিলটের মনিপুরিরা যদি খাসী-টিপড়া, ময়মনসিংহ -নেত্রকোনার গারো/মান্দি'রা যদি কোচ-হাজংগো আর উত্তর বঙ্গের সাওতাঁলরা যদি উঁরাও- মাহালি এইরকম আরকি।

আর হ্যা, সিল সম্পর্কে আমার ধারণা আছে, তোয় তাগো বেশী লাই দিয়েন না। সোজা আইসা পড়ে ক্রস কইরা ফেলে।

---------------------------আশা করি বুইজবার পারসোইন।

৯৬| ০১ লা মে, ২০০৯ রাত ২:০৮

নাজনীন খলিল বলেছেন: এমন নয় যে মাতৃভাষায় লেখাপড়া করতে না পারলে শিশুর শিক্ষা হবে না। বাস্তবক্ষেত্রে কিন্তু শিশুর উপর আমরা যে ভাষা চাপিয়ে দেই তাই গ্রহন করে। কিন্তু এখানে শিশুর মনস্তাত্তিক বিকাশ ও শিশুর অধিকারের প্রশ্ন চলে আসে। যে ভাষায় তারা অভ্যস্ত সেটি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরুতেই ব্যবহার করে হলে তার বৃদ্ধিবৃত্তি ও মানসিক বিকাশ দ্রততর হয়। মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ পেলে একজন শিশুকে নতুন ভাষা শেখার চাপ সইতে হয় না। সে সহজেই সবকিছু রপ্ত করতে পারে। মাতৃভাষায় যেটা সম্ভব, নতুন কোনো ভাষায় তা সম্ভব নয়।


এই বক্তব্যের সাথে ১০০% সহমত।শিশুর শিক্ষার শুরুটা তার মাতৃভাষায় হওয়াই উচিত।+++++++++++++++++++

০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩০

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্যে। শুভেচ্ছা থাকলো।

৯৭| ০১ লা মে, ২০০৯ রাত ২:৪৭

সোজা কথা বলেছেন: আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক।
=
Click This Link

৯৮| ০১ লা মে, ২০০৯ সকাল ৮:০৩

মামুন_চট্টগ্রাম বলেছেন: সকলেরই মাতৃভাষায় লেখাপড়া করার অধিকার রয়েছে। তাছাড়া যে দেশের মানুষ মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছে সে দেশে এ বিষয়ে দ্বিমত থাকা উচিত নয়। তবে সরকারি ছুটির ব্যাপারটি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। কারণ, পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলো প্রধান ধর্মের বাইরে অন্যান্য ধর্মের অনুষ্ঠানে ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেকটা উদার। তবুও সরকারের উচিত বিষষটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা।

০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩০

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: ধন্যবাদ, ছুটির ব্যপারটা সমর্থন করার জন্য।

৯৯| ০১ লা মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৭

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: মে-দিবস নিয়ে লেখা মনজুরুল হকের এই পোস্টটি স্টিকি করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। Click This Link

১০০| ০১ লা মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৮

হ।স।ন বলেছেন: আজকে মাতৃভাষা দিবেন আর কালকে দিবেন দেশ।
এদেরকে চাপের মুখে রাখতে হবে সব সময়।

০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: আইয়ুব ইয়াহিয়ার ভুত দেশে এখনো বিচরন করছে জেনে ভাল লাগল।

১০১| ০১ লা মে, ২০০৯ রাত ৯:৩৩

আলতাফ হোসেন বলেছেন: ‌‌'আদিবাসীদের' তথা সকল ধর্মের সকল জাতির সকল শ্রেণীর সব অধিকার যত দ্রুত সম্ভব প্রতিষ্ঠিত হোক।

০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০২| ০২ রা মে, ২০০৯ ভোর ৬:৪৯

ক্রিটিক মিয়া বলেছেন: হ।স।ন বলেছেন: আজকে মাতৃভাষা দিবেন আর কালকে দিবেন দেশ।
এদেরকে চাপের মুখে রাখতে হবে সব সময়। '----number one chagu...
***
পাকস্তান তাইলে ঠিকই করছিলো ১৯৫২ আর ১৯৭১ এ... তাই না?

০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: কি আর বলবো বলেন...

১০৩| ০২ রা মে, ২০০৯ সকাল ১০:৫২

জেনন বলেছেন: Click This Link

০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: লিংকের জন্য অনেক ধন্যবাদ। পোস্টে যোগ করে দিলাম।

১০৪| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:১৩

জ্যাবারঅয়াক বলেছেন: লক্ষ্য করবেন প্রাথমিক স্কুল গুলোত বেশি থাকেন নারী। মাত্র মায়ের কোল থেকে যাত্র শুরু করে কিছুটা হলেও মাকে পেয়ে তারা অনেক আস্বস্ত থাকে। আর প্রকৃত শিক্ষা ঘরে মায়ের ভাষাতেই শুরু হয়।
আমরাও ইংরাজি শিখেছি মাতৃভাষার মাধ্যমে।
তবে তা মৌখিক মাধ্যম হিসেবেই এবং অতি অবশ্যই তা আঈন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করার কথা চিন্তিত করা যায়। না হলে ঐ লেখা (জানিনা লেখ্য রূপ আছে কিনা) মুছে আবার বাংলা শেখানোটা ক িঠন হবার সম্ভাবনা থাকবে।
আসলে এ পর্যায়ে জাতীয় ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষাটা একটি মইয়ের কাজ করবে।আমেরিকা ও ক্যানাডায় তেমনটা আছে। বোধ করি নিউজিল্যান্ডেও।

১০৫| ১৪ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ময়ুরবাহন বলেছেন: অবশ্যই আছে ৷ তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হল বাঙালী ও আদিবাসী সবাইকেই ইংরাজী মাধ্যমে পড়াশোনা করা উচিৎ ৷ তবে নিজের ভাষাটাও শেখা দরকার নিজের সংস্কৃতি জানার জন্য ৷

১০৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

বিপ্লব রহমান বলেছেন: সকল মাতৃভাষার জয় হোক! আদিবাসী মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম সফল হোক!!
---
এই চমৎকার লেখাটি ফেসবুক গ্রুপ পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHT Voice - এ শেয়ার করা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.