![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেসাস ও কোরবাণীর মধ্য পার্থক্য কি? কেউ কি বুঝিয়ে দেবেন ? সৌদি ব্রাদাররা কেনো এই প্রথা অনুসরন করে? এর পিছনে কি ব্যখ্যা আছে ?
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০০
obakami বলেছেন: ১৫। খুনের বিচার কেসাস বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় ঃ
হত্যার দায়ে হত্যাকারীকেও হত্যা করা এর নাম হচ্ছে কেসাস। নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীগণ সকলেই যদি হত্যার বিনিময় হত্যার বিচার দাবী করে তবে ইসলামী আদালত হত্যাকারীকে কতলের আদেশ দিবেন। জল্লাদ তার শিরোচ্ছেদ করবে। এ বিচারকে কেসাস বলা হয়। সূরা বাকারাহ ১৭৮ আয়াতে আল্লাহ বলেন- তোমাদের উপর হত্যার বিচার ফরয করা হয়েছে। কিন্তুু খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত না থাকার কারণে এ বিচার থেকে সমাজ বঞ্চিত।
১৬। হত্যার বিনিময় হত্যার পরিবর্তে রক্তের মূল্য পরিশোধ করার বিধান কার্যকরী করা যাচ্ছেনা ঃ
অথচ এটা একটি বিরাট কল্যাণকর ব্যবস্থাপনা যার মাধ্যমে হত্যাকারীও প্রাণে বেঁচে যায় আবার নিহত ব্যক্তির ওয়ারিশগণও লাভবান হয়। নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীগণ সর্ব সম্মতিক্রমে অথবা আংশিক ভাবে হত্যার বিনিময় হত্যা এই বিচারের পরিবর্তে যদি রক্তের মূল্য দাবী করে তবে হত্যাকারীকে ইসলামী আদালতের কাজী কতলের নির্দেশ দিবেন না। কারণ ওয়ারিশদের মধ্য হতে একজনেও যদি হত্যার পরিবর্তে রক্তের মূল্য দাবী করে তবে হত্যাকারীর উপর থেকে হত্যার আদেশ রহিত হবে। তার পরিবর্তে তার উপর রক্তের মুল্য পরিশোধ করার আদেশজারী করা হবে। আর রক্তের মুল্য হচ্ছে একশত উট, অথবা একশত গরু অথবা দুই হাজার বক্রী। যেখানে যেটা পাওয়া যায় সেখানে সেটার মাধ্যমে রক্তের মুল্য পরিশোধের আদেশ দেয়া হবে। আমাদের দেশে রক্তের মূল্য ধার্য্য হবে একশত গরু, মাঝারি ধরণের গরু, উৎকৃষ্টও নয় নিকৃষ্টও নয়। চল্লিশটি দুধের গরু, আর ষাটটা হালের গরু। আর উটের ব্যাপারে রাসুল (স.) বলেছেন দু’বছর বয়সের উটনী ২০টি।
দু বছর বয়সের উট - ২০টা।
তিন বছর বয়সের উটনী - ২০টা।
চার বছর বয়সের উট - ২০ টা।
দু বছর বয়সের উট -২০টা।
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত না থাকার কারণে পৃথিবীর মাজলুম মানুষেরা এই সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সারকথা ইবাদাতের মধ্যে ফরয পর্যায়ের কাজগুলিকে রোকন বলা হয় আর উল্লেখিত বিষয়গুলি যে ফরয পর্যায়ের ইবাদাত তাতে কোন সন্দেহ নেই, এছাড়া আরও ইবাদাত আছে যা খেলাফাত প্রতিষ্ঠিত না থাকার জন্য কারো পক্ষে আদায় করা সম্ভব নয়। এজন্যই আল্লাহ তায়ালা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পূর্বেই খিলাফাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: আপনি কোন ধর্মের লোক, যে কেসাস ও কোরবাণীর মধ্য পার্থক্য কি, সেটা জানেন না।
নাকি ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ থেকে এমন প্রশ্ন করেছেন ?
আপনি কি মানুষ আর পশুকে এক কাতারে আনতে চান ?
কেসাস হলো কোন অপরাধীকে (যেমন - অন্যায় ভাবে খুন করা বা অন্যকে শারিরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা ) ক্ষতিগ্রস্থের সম-পরিমাণ শাস্তি দেওয়া।
কেসাস - এর উদ্দেশ্য সুবিচার করা।
একজন খুনি যদি আপনার ভাইকে অন্যায় ভাবে খুন করে, এরপর বিচারে তার জেল হল।
এক সময় সে জেল থেকে বের হয়ে আপনার সামনে ঘুরাঘুরি করতে লাগল, তখন আপনার কেমন লাগবে ?
এই জন্যই কেসাসের মধ্যমে অপরাধীকে ক্ষতিগ্রস্থের সম-পরিমাণ শাস্তি দেওয়া।
হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। (Al-Baqara: 178)
হে বুদ্ধিমানগণ! কেসাসের মধ্যে তোমাদের জন্যে জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার। (Al-Baqara: 179)
কোরবানী হলো আল্লাহর সন্তষটির জন্য কোন নিদৃষ্ট দিনে কোরবানী যোগ্য কোন পশুকে জবাই করা । আল্লাহ সমস্ত নবীকে কোরবানীর নির্দেষ দিয়েছেন, তাই পৃথিবীর সব ধর্মের মানুষ পশু কোরবানী করে।
কোরবানী মানুষের ইচ্ছাতে হয়না বরং এই ব্যাপারে আল্লাহই মানুষকে হুকুম দিয়েছেন।
কোরবানীর উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করা।
আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও; (Al-Hajj: 34)
কোরবানীর সাথে কেসাসের কোন সম্পর্ক নেই।
আপনি এটা ভাববেন না যে পশু অপরাধ করেছে তাই মারা হলো।
একজন মানুষ আর একজন মানুষের সম্পদ নয় কিন্তু পশু মানুষের সম্পদ।
আর আল্লাহ দেখতে চান কে তার সন্তষ্টির জন্য নিজ সম্পদ ব্যয় করে।
কোন মানুষের কথায় সেটার নড়চড় হবে না, কারণ আল্লাহই সব কিছুর স্রষ্টা এবং মালিক।
পশু কোরবানী অর্থাৎ জবাই যদি আপনার কাছে খারাপ লাগে, তবে আপনার জীবনে কখনো মাছ, মাংস, পাখি ইত্যাদি না খাওয়াই উচিত। কারণ ওগুলো থেতে হলেত মারতে হবে।
আপনি সবজিও খেতে পারবেন না, কারণ তাদেরও জীবন আছে।