![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা সময় ছিল যখন দেখতাম দেশের দুই প্রধান ফুটবল শক্তি আবাহনী ও মোহামেডানকে কেন্দ্র করে বাড়ি ছাদে উড়ছে দু দলের পতাকা। এখন সেই চিত্র আর দেখা যায় না। হাল আমলে এসব ছাপিয়ে এখন প্রতি চার বছর পর পর দেখা যায় ভিন দেশের জাতীয় পতাকা। দেশ এখন আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকে বিভক্ত। এই দুই দলের বাইরেও বহু সমর্থক রয়েছে। তবে এরা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। নিজ দেশের ফুটবল বিশ্বকাপে যেতে পারবে না। এটাকে সত্য ধরেই বাংলাদেশের মানুষ দুধের সাধ ঘোলে মিটানোর মত ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সমর্থক। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা। এবার বিশ্বকাপ যেহেতু ব্রাজিলে তাই শিরোপার দৌড়ে সবার চাইতে এগিয়ে রয়েছে ব্রাজিল। জার্মানি, ইটালি, স্পেন, নেদারল্যান্ড এসব দেশ প্রতিবারই হট ফেভারিট। প্রতিটি বিশ্বকাপে ঘুরে ফিরে দেখা যায় এই কয়টি দেশই শিরোপা জয় করেছে বা ফাইনালে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বকাপ ফুটবলে যেসব দেশ এবার অংশ গ্রহণ করছে তারা বাছাই পর্বে সেরা প্রদর্শন দেখিয়ে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। তবে এই বাছাই পর্ব নিয়ে আমার দ্বিমত রয়েছে। বর্তমানে ফুটবল খেলার ধরণ অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের বহু দেশ এখন ফুটবলে নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়েছে। কিন্তু ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেটা বিবেচনায় না এনে মহাদেশীয় কোঠা বলবত রেখেছে। যার ফলে ইউরোপ থেকে বেশ কয়েকটি পচা দল নিম্নমানের ফুটবল খেলা প্রদর্শন করে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে দেখা যায়। অন্যদিকে এশিয়ার মত দেশ গুলো যারা ভালো ফুটবল খেলে থাকে। তারা চূড়ান্ত পর্বে অংশ গ্রহণ করতে পারে না। ওই কোঠা নিয়ম থাকায়। মহাদেশীয় প্রথা উঠিয়ে দিয়ে সবার সাথে সবার খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। যার যোগ্যতা থাকবে সে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। এবার আসি ফিফার রেফারি নিয়ে। নিম্ন মানের রেফারি অনেক সময় বিশ্বকাপের আমেজ নষ্ট করে। জনপ্রিয় টিম অনেক সময় নিম্নমানের রেফারি এর শিকার হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। ফিফা এদিকটার ওপর কখনই নজর দেয় না। অফ সাইড বিতর্ক ও বলের গোল লাইন অতিক্রম বিতর্ক থেকে ফিফা কোনো শিক্ষা নেয় না। প্রতিবারই এসব দেখা যায়। এবারও হয়ত দেখা যাবে ফিফা রেফারি দিয়ে কোনো দলকে বিদায় দিচ্ছে আবার কোনো দলকে সুযোগ করে দিচ্ছেন। প্রযুক্তি সাহায্য নিয়ে ফুটবল খেলা আরও সুন্দর ও স্বচ্ছ হবে। প্রকৃত চ্যাম্পিয়নই চ্যাম্পিয়ন হবে।
©somewhere in net ltd.