নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ন্যাড়া বেল তলায় একবারই যায়

লোডশেডিং

আমার ব্লগ পড়ুন। মন্তব্য দিন। আলোচনা-সমালোচনা করুন।

লোডশেডিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই তো গেলি তবে কেনো লোক হাসালি

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

বিএনপি'র নেত্রী খালেদা জিয়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর এই প্রবাদের কথা মনে পড়ল। এর আগে খালেদা জিয়া ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জীর সাথে সাক্ষাত করতে যাননি। এখন তিনি ভারতের যেকোনো কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে উদগ্রীব। খালেদার মনে এই পরিবর্তন দেখে বলতে হয় সেই তো গেলি তবে কেনো লোক হাসালি। ভেবেছিলাম আজ খালেদা জিয়া সুষমা স্বরাজের কাছে গিয়ে ফেলানির কথা বলবেন, তিস্তার কথা বলবেন, বিএসএফের বাংলাদেশি ধরে নিয়ে যাবার ও তাদের গরু বাছুর নিয়ে যাবার নালিশ জানাবেন। সারা বছর প্রেস ক্লাবে ও বিভিন্ন সেমিনারে বিএনপি'র নেতা মন্ত্রীদের এসব বলতেই শুনি। তাই এমন ধারণা। কিন্তু কই সুষমা স্বরাজের কাছে এসব কিছুই বলেননি খালেদা ও তার চামচারা।



ময়দানে ভারত বিরোধি রাজনীতি আর সাক্ষাতে অন্যসুর। এই রাজনীতির মানে কি? বিএনপি'র তেনা মন্ত্রীরাও গিয়েছিলেন সুষমার সাথে দেখা করতে। কই তারাও কিছু বললেন না। এদিকে শেখ হাসিনার সাথে সুষমার সাক্ষাতে ভেবেছিলাম শেখ হাসিনা মদিনা সনদের কথা বলবে, গুজরাটে মুসলিম নিধনের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে কসাই যে আর বলা হবে না সেটা স্মরণ করিয়ে দিবেন। কই গুজরাটের মুসলমানদের জন্য শেখ হাসিনা কিছুই বললেন না। শেখ হাসিনা বহু চেষ্টা করেছিলেন সুষমা যেনো খালেদার সাথে সাক্ষাত না করেন। কিন্তু ভারতীয়রা এতো বোকা মনে হয় না। সুষমা ঠিকই খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করলেন। কংগ্রেসের মত একচেটিয়া সমর্থন যে হাম্বালীগ পাচ্ছে না। এটা এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার। একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতি নিয়ে ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়। সুষমা স্বরাজের এই সফরে বিএনপি চাইছে এই সরকারের পতন ঠেকাতে ভারত যেন সাহায্য না করে। যেটা বিগত কংগ্রেস সরকার করেছে। বিজেপি সেই বার্তা বিএনপিকে দিলো কিনা। কে জানে। সময় বলে দিবে আগামীতের ভারতের নতুন সরকার আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে কিনা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:০৯

পোয়েট ট্রি বলেছেন: দলকানা, একদেশদর্শীতাপূর্ন পোস্ট। রাষ্ট্র ও সরকারে মধ্যে কোনও পার্থক্য যেহেতু বাংলাদেশের শিক্ষিত নাগরিকগণ করতে জানেন না, সে কারণেই এমন আলোচনার জন্ম হয়ে থাকে। প্রথমে রাষ্ট্র ও সরকার এবং তার পর পরই সরকার ও রাজনৈতিক দলের পার্থক্যটা মনে রাখা আমাদের কর্তব্য। প্রণব আর মোদি দুজনের কেউই ভারত নয়। এরা ভারত প্রজাতন্ত্রের ভিন্ন ভিন্ন দুটি সরকারের কর্তা ব্যক্তি। এদের রাজনৈতিক পরিচয়ও ভিন্ন। এটা বিস্মৃত হবার মধ্যে সামান্যই কৃতিত্ব থাকে।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:৫০

কানা দাজ্জাল বলেছেন: ভাই পার্থক্য হচ্ছে কংগ্রেসতো আপনাদের ভাতারের বাড়ি ছিল। ওইখানে চোষা দিয়ে মাল ঝড়াতেন। এখন এই মোদি সরকার যত বড় শয়তান-ই হোক আপনাদের ভাতার না। চোষা দিয়ে মাল পানি যেকোনটাই ঝড়ানো খুব-ই কষ্টের হবে। মুখ চোখা করে যতই চোষন দেবেন ততই আপনাদের কোমড় বাকা হবে। বিএনপির কোন লাভ নাই মাগার চোষাদের যে কষ্টটা বাড়ল, মজাটা এখানেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.