![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জন্ম হয়েছিল বিবর্ণ হতে হতে মরে যাওয়ার জন্য। যেমন ইটের নিচে দুর্বাঘাস; ক্রমশ ফ্যাকাশে, হলুদ হতে হতে ম্রিয়মাণ হয়ে যায়। তেমন করে আমারও ফ্যাকাশে হতে হতে মরে যাওয়ার কথা ছিলো। অথচ প্রতিটি নতুন বছরে আমি জ্বলে উঠতে চেয়েছি। ইস্পাতের ফলার মতো আরও ঝকঝকে, আরও ধারালো হয়ে উঠতে চেয়েছি। একেকটি শীত কাটিয়েছি বসন্তের কথা মনে করে। সেই বসন্তে দূরদূরান্ত হতে নাবিকেরা আসবে। জাহাজ ভিড়বে। আর আমাদের উচ্ছ্বল তরুণীরা সেই সব নাবিকদের অর্বাচীন স্বভাবের জন্য বহুভঙ্গে ভেঙে পড়বে হাসিতে। আমি তাদের সেই হাসি দেখতে দেখতে পূর্ণপ্রাণ হয়ে উঠতে চেয়েছি। ছোটোবেলায় মা আমায় রূপকথার গল্প শোনাতেন। ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে গেয়ে রাত ভোর করে দিতেন। মাঝে মাঝে আমার গালে মায়ের কান্নার তপ্ত জলের ফোঁটা ঝরে পড়ত। আমার ঘুম ভেঙে যেতো। তবু মাকে বুঝতে দেইনি। প্রতিদিন আমার রগচটা বাবা তাকে মারতেন। কিন্তু মা কখনও গল্প বলা থামাননি। পরে বুঝেছি, মা আমার বানিয়ে বানিয়ে জীবনকথা বলে যেতেন। যেন আমি শুনে শুনে তা মনে রাখতে পারি। যেন প্রজন্ম প্রজন্ম ধরে আমাদের বংশের সব নারীরা সে গল্প মুখস্ত রাখে এবং পরম্পরায় বলে যায়। মায়ের গল্প গুলো মনে রাখিনি আমি। আমি নতুন করে নতুন গল্প বলেছি আমার কন্যাদের কাছে। চেয়েছি, তারা যখন তাদের কন্যাদের গল্প শোনাবে তখন যেন একফোঁটা অশ্রুও গড়িয়ে না পড়ে । কেননা আমার কন্যারা ইস্পাতের মতো ঝকঝকে ও কঠিন।
পৌর সংসারেও নয়, সৌর সংসারেও নয়
সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি। সেই কেউ কেউ কবিদের মধ্যে সাবদার সিদ্দিকী (১৯৫০-১৯৯৪)একজন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অনেকাংশে বদলে যাওয়া আপন বৈশিষ্ট্যে অনুপম। চটের আলখাল্লা, গোল চশমা, খালি পা, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, ব্যাগের ভেতরে মাটির পাত্র, আর মগজের ভেতর কবিতার পঙক্তি। হুট করে আড্ডা থেকে ওঠে যেতেন। সমস্তের ভেতরে একাকীত্ব দখল করেছিল তাঁকে। ১৮৩১ সালের তরুণ ফ্রান্সদের মতো প্রথা বিরোধী সামাজিক শাসন বিরোধী মুক্ত মানুষ সাবদার। চুয়াল্লিশ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনকে উড়িয়ে দিয়েছেন একটা রঙিন বেলুনের মতো। শুধু রয়ে গেছে জীবাশ্ম শিল্পিত ফলক----একগুচ্ছ কবিতা ও ক্যালিগ্রাফি, যা তার জীবনের সারাৎসার। সৃষ্টিছাড়া, প্রকৃত বোহেমিয়ান এ কবির কবিতা ক্যালিগ্রাফগুচ্ছের ভেতরে প্রজ্জ্বলিত তাঁর অন্তরের হিরন্ময় দ্যূতি। আশির দশকের গোড়ার দিকে সাবদার সিদ্দিকি ছিলেন আড্ডায় উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত পদচারণায় শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন অনেকের কাছেই। হেথা নয় হোথা নয় , অন্য কোথাও অন্য কিছুর সন্ধানে ছুটে বেড়িয়েছেন। হিয়েনসাঙ এর মতো ভ্রমন আর বোহেমিয়ান স্রোতে ভেসে যাওয়ার মধ্যে কবিতার ভাবনা তাকে দাহন করত।
শৈল্পিক সৃষ্টি এমনই মানসিক প্রক্রিয়া যা অস্পষ্টভাবে ইন্দ্রিয় গোচর অনুভূতি এমন স্পষ্ট করে তোলে যা অন্য মানুষের মনের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া সকলের মধ্যেই বিদ্যমান। কিন্তু কেউ কেউ আছেন যারা হয়তো হঠাৎ করেই এমন কিছু উপলব্ধি করেন যা অশ্রুতপূর্ব বলেই মনে হয়। এই নতুন বিষয়টি তাকে আলোড়িত করে এবং তিনি তা অপরকে জানাতে ব্যাকুল হন। শিল্পী তার নিজের সৃষ্টির মধ্যে যেসব বিষয় প্রকাশ করেন তা তার মনোসিজ বিষয় নয়। তা তার চারপাশে বিরাজমান জীবন-সমাজ- ও ঘটনা প্রবাহ যা তার চৈতন্য, তার বৃদ্ধিবৃত্তি ও সংবেদকে, তার স্নায়ু ও মস্কিষ্ককে নানাভাবে আলোড়িত করে। বার্থ বলেছেন, একজন লেখক তার সমাজ সভ্যতার মাঝে অবস্থানকারী ভাব ব্যবস্থা থেকে উপকরণ নিয়ে কোনো বিষয়কে উপস্থাপন করেন মাত্র। আমরা দেখতে পাই আমাদের চারপাশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপেক্ষিত বিষয় সাবদার সিদ্দীকির কবিতার বিষয়বস্তু।
ম্যাচবাক্সহীন শহরের ক্রুদ্ধযুবক
দড়ির আগুনে জ্বেলে নেয় সর্বশেষ সিগারেট।'
সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডকে অতিক্রম করে সাবদার সিদ্দিকী হয়ে ওঠেন একজন কবি, কম্পাসহীন কলম্বাস।
‘অথচ আমার ঘরে কোনো ক্যালেন্ডার নেই
কোনো ঘড়ি কাঁটা কম্পাস নেই
তালা নেই, চাবি নেই
শুধু আছি আমি আর আমার ছায়া কায়া’
রেস্তোরায় নিঃসঙ্গ চেয়ারের চেয়েও একাকী মানুষ বলে মনে করতেন নিজেকে। আর তাই বোধহয় তার পে স্বচ্ছন্দ নদীর অধিক সহজ কবিতালেখা সম্ভব হয়েছে,
স্বর্গ ত্যাগের সময় কি কি ছিল মনে আছে?
ধর্ম-অর্থ-মোক্ষ-কাম
ছিল না কিছুই
কেবল নিঠুর ঈশ্বব-মাটি-তুমি-আমি'
(স্বর্গ ত্যাগের পর)
প্রত্যেকেই দুরত্ব চায়
একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষ
অন্ততঃ একমানুষ দুরত্ব চায়
(এক মানুষ দুরত)¡
কবি সাবদার সিদ্দিকি এমনই একজন মানুষ যিনি সমাজের নানা সুদৃঢ় প্রতিরোধের ব্যূহ ভেদ করে এই সংগ্রামী ও প্রতিবাদী আত্মপ্রকাশ করেন। যিনি সজ্ঞান ও সংবেদে তাঁর প্রেয়োতাড়না' ও শ্রেয়োবোধ'কে উপস্থাপন করেছেন তাঁর শিল্পকর্মে---উপহার দিয়েছেন তার কাব্যে। উপমার বেলায় সাবদার প্রচলিত ধারাকে উপেক্ষা করেছেন সচেতনে। তার উপমাগুলো সব আধুনিক। চাঁদ-ফুল-নদীর বদলে এসেছে ইস্পাত, শঙ্খনীল জিনস, তারার আকুপাংচার।
কলকাতা আমি এক তরুণ মহাপুরুষ
কৃষ্ণের বাঁশির মতো আমার হাতে কৃষ্ণ পাইপগান, পকেটে পেটো
........................................................
বিবেকানন্দের গৈরিক নাগরিক কলকাতা
আজকাল কেমন আছ?
.......................................
হাওড়া ব্রীজ যেন লোহার ব্রেসিয়ার তোমার
কলকাতা, যন্ত্রের সমান বয়সী তুমি
কলকাতা , তোমার ইতিহাস
বাইবেলের পিছনে গাদা বন্দুক
বাংলা গদ্যের সমান বয়সী
আমার কিশোর কলকাতা
সন্ন্যাসীর লিঙ্গের মতো নিস্পৃহ তুমি আজ
প্রচণ্ড দ্রোহে অভিমানী কিশোরের মতো এ উচ্চারণ কবিতাটিতে বড়ো বেশি উদ্বেলিত। চিন্তা চেতনায় আধুনিক বিজ্ঞানমনষ্ক তার পুরোপুরি বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি তার কবিতায়। আত্মঅভিমানী এ যুবক স্ব উচ্চারণে বার বার জানিয়েছেন তিনি একজন কবি।
সাবদার সিদ্দিকি এন্টি এস্টাবলিশমেন্টর কবি। মধ্যবিত্ত খোলস ভেঙে বুকে আগুন নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন, যে আগুন পোড়ায় নি কাউকেই কেবল তাকেই বিনাশ করেছে। আজ তিনি কেবলই স্মৃতি। তবে তাকে বিস্মৃতির হাত থেকে রক্ষা করেছে ঘাস ফুল নদী । প্রকাশ করেছে সাবদার সিদ্দিকি কবিতা সংগ্রহ। এটি তার ১ম কাব্য গ্রন্থ। এর আগে তাঁর লেখাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এখানে সেখানে।
১৯৯৭ এর ফেব্রুয়ারীতে বইটির আত্মপ্রকাশ।
সাবদার জানান..
অক্ষরগণ শব্দ হবে
শব্দগণ কাব্য
ব্যাকরণ ধ্বনি আর ধ্বনি হবে প্রতিধ্বনি।
সাবদার সিদ্দিকীর মতো আমরাও জানবো..
যেখানেই পা রাখি
ভিনগ্রহে কিংবা ভিন গায়ে দেখি
পায়ের নীচে টুকরো দুই জমি
হয়ে যায় আপন মাতৃভূমি।
........................................................................................................লেখাটি ১৯৯৭ সালে ফ্রেব্রুয়ারীতে বাংলাবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত।
শ্রদ্ধেয় কবিবর গেওর্গে আব্বাস এর বাড়ি পরিভ্রমনে যেয়ে আবার তিনি উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন। শ্রদ্ধেয় কবিবর তার ভাষায় সাবদার সিদ্দিকি সম্পর্কে আমাদের জানাবেন এ প্রত্যাশা করছি। আমি নিশ্চিত তিনি আমাকে বিমুখ করবেন না।
যেহেতু এটি সংবাদ পত্রের জন্য লেখা হয়েছিল তাই এতে অনেক তথ্যগত ঘাটতি রয়ে গেছে। সময় এবং স্থান অভাবে। আমি আশা করবো যারা সাবদার সিদ্দিকি সম্পর্কে জানেন কিংবা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন তারা আমার লেখার সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।
সংযুক্তি:
সাবদার সিদ্দিকির জন্ম ১৯৫০ কোলকাতায়। বাবার নাম গোলাম মাওলা সিদ্দিকি। পেশায় আইন ব্যাবসায়ী। চার বোন এক ভাই। গোলাম মাওলা সিদ্দিকির পাঁচ সন্তানের মধ্যে সাবদার ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান এবং একমাত্র পুত্র সন্তান। ১৯৬৪ তে কোলকাতায় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে তার পুরো পরিবার চলে আসে সাতক্ষীরায়। ১৯৭১ সালে আবার পুরো পরিবার কলকাতায় চলে যায়। কিন্তু সাবদার রয়ে যান। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে আট নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। পরে কোলকাতায় চলে যান।
সাবদার সিদ্দিকির মৃত্যুর পর তার অনুজ প্রতিম পুলক হাসান এর বর্ণনায় সাবদার সম্পর্কে কিছুটা জানা যায়।
তরুণ ভাস্কর রাশার সাথে সাবদার সিদ্দিকির সম্পর্ক ছিল অভ্যাসগত। আর আর মরহুম ওস্তাদ ফজলুল হকের সাথে গুণীর সম্পর্ক। ওস্তাদ ফজলুর হক বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে শিক আর রাশা তখন একাডেমীর পশ্চিম পাশের একটি কে নিয়মিত কাঠের বাটালি ছেলে ভাস্কর্য তৈরি করেন। আর প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত নটা দশটা পর্যন্ত একঝাঁক তরুণের উপস্থিতিতে আড্ডা জমাতেন। এ আড্ডায় শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে খোলামেলা আলাপ আলোচনা থেকে রাজনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় হতো। ...আমার সাথে কবি সাবদার সিদ্দিকির পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় আশির দশকের গোড়ায় হলেও তা বিস্তৃত হয় ঐ একাডেমীর আড্ডাতেই।
.......................................................................................................
কোনো স্থায়ী জীবিকা গ্রহণ করেননি তিনি। দু একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করেছেন। দৈনিক আজাদে ছিলেন কিছু দিন তারপর আবার স্বাধীন জীবনযাপন। ১৯৯১ এর কয়েকমাস পিজির ভেতরে আমগাছের নীচে ছিল তার বাস। ১৯৯৪ সালে ঘুরতে ঘুরতে চলে গিয়েছিলেন দিল্লিতে । সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতা নিয়েই কোলকাতা আসেন। বাংলাদেশে আসার জন্য ব্যাকুল হন। অথচ কোলকাতেই থেকে যেতে পারতেন। সাতক্ষিরার সীমানে এসে অসুস্থতা চূড়ান্তে পৌঁছায়। সীমান্ত পার হতে পারেননি। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অজ্ঞাত নির্জন এক পল্লীতে মৃত্যুবরণ করেন। কবি সেখানেই সমাহিত।
শুধু রেখে যান কিছু অক্ষর.............................
সাবদার সিদ্দিকির কবিতা
এক
কবি ও নির্দিষ্ট ভূখণ্ড
কেননা একজন কবি কোন রাষ্ট্র নন।
নির্দিষ্ট সুনির্দিষ্ট কোন ভূখণ্ড নেই একজন কবির
সৌর সংসারেও নয়
পৌর সংসারেও নয়।
একজন কবি, কম্পাসহীন কলম্বাস।
যে রকম ধর্মের নিজস্ব নির্দিষ্ট কোন ভূখণ্ড নেই
সে রকম ধর্মের কবিতার নেই কবির নেই
সৌর সংসারেও নেই
পৌর সংসারেও নেই
কবি ও কবিতার তাই নিজস্ব ভূখণ্ড নেই
ধর্মেরও তাই নিজস্ব ভূখণ্ড নেই
একজন কবি তাই চতুর্থ বিশ্বের নিঃসঙ্গ নাগরিক।
দুই
কবির শোকসভায় ভাষণ
প্রথম বক্তাঃ
বড়ই ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত ছিলেন তিনি
সাত সমুদ্র তেরো নদী তৃষ্ণা ছিল তাঁর
অথচ কোমরে ছিল তাঁর
নদীর মতো বাঁকা উজ্জ্বল তীক্ষ্ণ তলোয়ার।
ঝুলন্ত -পকেটে তাঁর
স্বদেশী বিদেশী মুদ্রার ছিল না ঝনৎকার
কেবলই চোখে ছিল চোখ
লক্ষ লক্ষ মানবিক পারমাণবিক চোখ।
দ্বিতীয় বক্তাঃ
তিনি ছিলেন কবিতার যুবরাজ
আগুনের আত্মার
সাথে আত্মীয়তা ছিল তাঁর।
নারী একটি প্রাচীন মাংশখণ্ডের নাম
]এইতো সেদিন আমরা জানলাম।
তিনি বললেন, বলে গেলেন
আমরা শুনলাম।
তৃতীয় বক্তাঃ
আসলে তিনি আমার বন্ধু ছিলেন
অতঃপর আমরা পরষ্পর
রুটির এপিঠ-ওপিঠ ছিলাম
আমরা পরষ্পর বন্ধু ছিলাম।
রাজপথের ক্ষতচিহ্নে হাত রেখে
তিনি বললেন একবার
নাম তার চিৎকার।
তিন
কয়েকটা শব্দ
কয়েকটা বাক্য
১. একজন পুলিশ একটি রাষ্ট্র।
২. কাক ও সাম্রাজ্যবাদ মূলত জ্ঞাতিভাই।
৩. গৌতমবুদ্ধ কয়েক কোটি লোককে /গৃহহারা করেছেন এটা সুমহান সত্য।
৪. মিসেস ইসাবেলা পেরন একজন মহিলা ফ্যাসিস্ট।
৫. গোলাপ মূলত চরিত্রহীন ফুল/গোলাপের শ্রেণী চরিত্র বিশ্লেষণ করা যাক।
৬. শন্তির পিকাসো পারাবত/ এযাবত কোন ডিম্ব প্রসব/ করেননি, একথা জেনে/ দুঃখ পাওয়া ভাল
৭. জাতিসংঘের বদলে-একটি কম্পিউটার যথেষ্ট
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৪
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: কি খবর নস্যরাজ? নতুন বছরের শুভেচ্ছা। পরীক্ষা শেষ হয়েছে?
এটা ঠিকই। তাই কবিদের হাতে কম্পাস না থাকাই ভাল।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
নস্যরাজ বলেছেন: হু..
নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুভ হউক। ইদানিং কবিতা বেশি লিখছেন বলে ভাল লাগছে। আমি অপেক্ষা করছি আপনার গল্প নিয়ে বড়সড় একটা সিরিজ দেখার-যাতে অনেকদিন মজে থাকা যাবে
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫২
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: হুমমমমমমমমম গল্প লেখার জন্য যে নিরবচ্ছিন্ন একাকীত্ম প্রয়োজন তা এই মুহূর্তে আমার নেই। ........সবকিছু কেমন দ্রুত চলছে। আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ে হিমশিম খাচ্ছি..........।
ভাল থাকুন।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৩
বৃত্তবন্দী বলেছেন: দি, শুরুতে ভাবছিলাম গল্পকার বুঝি গল্প দিলো
এখন দেখি প্রবন্ধ
তারপরও প্রবন্ধ পড়ার সময় প্রবন্ধ মনে হয় নাই, এখানেই বুঝি গল্পকারের স্বার্থকতা...
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪২
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: বৃত্ত ধন্যবাদ পড়ার জন্য..........ভাল থেকো
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৪
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:
চমৎকার সব লাইন। আমারে আস্তা কবিতা দাও না কয়টা সাবদারের।
(নিজেই ত বহুত ভালা লিখছ, এই সালিশিটা না হলেও চলে। কী দরকার, তোমার কথাও ত একই।
বার্থ বলেছেন, একজন লেখক তার সমাজ সভ্যতার মাঝে অবস্থানকারী ভাব ব্যবস্থা থেকে উপকরণ নিয়ে কোনো বিষয়কে উপস্থাপন করেন মাত্র।)
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৪
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: আরে তখন তো ছোট ছিলাম । কাব রিপোর্টারের লেখা তাই একটু ভাব নিতে হইছে। ভাল থেকো
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬
দুরের পাখি বলেছেন: যেহেতু এটি সংবাদ পত্রের জন্য লেখা হয়েছিল তাই এতে অনেক তথ্যগত ঘাটতি রয়ে গেছে।
এটা কি ধরণের কথা । সংবাদপত্রের জন্য লেখলে বুঝি সিরিয়াসলি লেখতে নাই ?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৫
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: কাব রিপোর্টারের জন্য জায়গা সীমিত ছিল তাই.........
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫৯
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: দাদা তোমাকেও ধন্যবাদ। তোমার লেখা পড়ে এসেছি। কিন্তু মন্তব্য করতে পারি নাই। আবার যাব। ভাল থেকো
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
মুক্ত মানব বলেছেন: সাবদারকে দেখতাম ক্যাম্পাস এলাকায় রাতে-বিরেতে হাঁটতে। কাধে কাপড়ের সেই আধ ময়লা ঝোলা ব্যাগ, যা দেশী কবিদের জাতীয় অনুষংগ।
আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবে তেমন অন্তরংগতার সুযোগ হয়ে ওঠেনি, তবে আমার কিছু 'কবি বন্ধু'র সাথে ছিলো।ওদের কাছ থেকে, প্রত্যক্ষদর্শীর জবানীতে শোনা একটা মজার 'গল্প' শেয়ার করছি:
একদিন গোধুলীবেলায় কবি মধুর ক্যান্টিনের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছেন, ওখানে তখন বেশকিছু তথাকথিত 'ক্যাডার' পোলাপান কোলে অস্ত্রনিয়ে বসে প্রতিপক্ষের ওপরে চৌকিদারী করছে, যেমনটা এরশাদ আমলে প্রায়ই হতো।ঐ ক্যাডার নামক ছাগলদের কি মনে হলো, নিরিহ সাবদারকে নিয়ে পড়লো, মজাক-কে লিয়ে! এ ব্যাগের ভিতরে কি আছে জোর করে দেখতে চায়, ও বেশভুষা নিয়ে টিটকিরি মারে ইত্যাদি..। শত উস্কানীতেও যখন তথাকথিত "ক্যাডার" নামের "কলন্কগুলো" কবির সহজাত অভিব্যক্তিতে কোন ভয় সন্চার করতে পারলো না, শেষ চেষ্টা হিসেবে ঝাড়ি মেরে জানতে চাইলো : "এই ব্যাটা তোর দ্যাশ কই?"
"চাদপুর।"
"ও আচ্ছা ।"
গমনোদ্যত কবি দু'পা এগিয়ে ঘার ফিরিয়ে নিরিহ মুখে বল্লেন:
"এই চাদপুর না বাবারা।আমার দ্যাশ ও-ঐ চাদপুর।" কবির তর্জনী আকাশের দিকে নির্দেশ করছিলো।
ক্যাডার-রা কবিকে আর ঘাটায়নি সে রাতে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:০৫
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে শুভেচ্ছা আমার বাড়িতে আসার জন্য। আপনার শেয়ার করা কথা ভাল লাগল।
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২
অপহন্তা বলেছেন: হুম লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫১
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৩
অদৃশ্য বলেছেন: প্রভা আপু................অনেক ধন্যবাদ লিখাটি শেয়ার করবার জন্য..........আর কবি ''সাবদার সিদ্দিকি''-কে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। যতটুকু পড়লাম তা ভালো লাগলো।
যারা সৃষ্টি করেন তাদের আসলেই কম্পাসের কোন দরকার নেই।
অনেক ভালো থাকুন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫২
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য। ভাল থাকুন।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:২১
সোমদেব বলেছেন: সংগ্রহযোগ্য প্রবন্ধ। বিশেষ করে আমার খুব কাজে লাগবে। অনেক ধন্যবাদ!
আমার ব্লগে ঘুরে আসার সুযোগ পাচ্ছেন না মনে হচ্ছে!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫৬
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: ধন্যবাদ। সোমদেব। ঘুরে এসেছি। আমি বেশির ভাগ লেখা অফ লাইনে পড়ি। ভাল থাকুন।
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:২৭
সৈয়দ নাসের বলেছেন: এই চমৎকার লেখাটি শেয়ার করার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ । কবি সাবদার সিদ্দিকী সম্পের্ক অনেক অজানা কথা জানলাম তোমার এই প্রচেষ্টায় । ভালো থেকো ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:০০
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: ধন্যবাদ তোমাকে। ভাল থেকো।
১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৫২
গেওর্গে আব্বাস বলেছেন: হাওড়া ব্রীজ যেন লোহার ব্রেসিয়ার
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সুন্দর রচনাটি সংযোজন করায় প্রথাসিদ্ধ নিয়মে ধন্যবাদ দিতে চাই না:
বরং আপনার গৃহেই রেখে যাব সাবদার সিদ্দিকি'র কিছু অগ্রন্হিত শব্দাবলী।
প্রিয় কবিতা
আগুন জ্বালাও
জ্বালাও দেখও যেন ধোঁয়া না হয়।
আগুন জ্বালাও
দেখি ধোঁয়া নয়।
দেখও
যেনও ধোঁয়া না হয়।
কবিওয়ালা
গড়মানুষের ভিড়ে নিজেকে দিই ছুঁড়ে গণমানুষের ছড়াই
গড়পড়তা হাত পা মাথার সাদা কালো নানান রঙিন ভিড়ে
উচ্চত ছমিটার প্রায়
ওজন আনুমানিক ৫০ কিলোগ্রাম
কপালে কাটাচিহ্ন ছাতি বত্রিশ
পৃথিবীর সাথে প্রায় ৩২ বছর কয়েকমাস কয়েকদিন
যুদ্ধ মাত্র পথে পথে
এই পরিচয় পরিণয়
চোখের রং কালও চুল তাও কালও
বাংলায় কথা বলি চলি
পরনে ফুলপ্যান্ট পাঞ্জাবী চশমা কালও
স্যান্ডেল টায়ারের কালও
দুহাতে মুক্ত হস্তে ওড়াই কাগজের পাখি নৌকা ইত্যাদি
অথচ আমি আজ হারিয়ে গেছি
পথজুড়ে সাদাকালো মাথার মাথাপিছু মানুষের
গড়পড়তা ভিড়ে।
সন্ধানপ্রার্থী সাবদার সিদ্দিকী প্রায় হারাই
আজও আমি হারিয়ে গেছি...
আজ সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত আবহাওয়ার খবরে বলা হয়েছে যে সারা
দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। দিনে তাপামাত্রা সামান্য
বৃদ্ধি পাবে। গতকাল সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে
২৩ দশমিক ছয় ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এবং ২৩ দশমিক ইত্যাদি ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।
বাতাসের আর্দ্রতা সকাল নয়টায় শতকরা ৭৯ ভাগ সন্ধ্যা ছটায় বাহাত্তর ভাগ।
আজ সূর্যাস্ত ৫টা ৪১ মিনিটে আগামীকাল সূর্যোদয় পাঁচটা
একান্ন মিনিটে এমতাবস্থায়............
গলি থেকে গলি নানা কানাগলি উপগলি পেরিয়ে পথে বন
রাজপথে চলি কবিওয়ালা চোখে চোখে আর মনে মনে বলি
নিম্নলিখিত কথাগুলি
আপনার মনে আপনে গান করে চলি গোপনে
শিশু ও পশুর যুদ্ধ চাই
যে যুদ্ধের শেষ নাই
সেই যে যুদ্ধে চলে যায়
সেই যুদ্ধের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ আজ লড়াই
মানবযান চল যাই হারাই ছড়াই
সামনে ভিড় বাড়ীর
গাড়ীর সচল পার্শ্বদৃশ্য বাড়ী গাড়ী শাড়ি ভুঁড়ি চুড়ি কড়ি ভেড়ী
কবিওয়ালা
ঘাতক খাতক
সাঁই কসাই দেখি সবাই আর
ডাক্তার উকিল মোক্তার প্যাসেঞ্জার জোতদার পেশকার চৌকিদার
ঠিকাদার বেকার দোকানী চোরাচালানী জ্ঞানী ধনী ঋণী খুনী
খঞ্জও আসক্ত তিক্ত রিক্ত বিরক্ত ভক্ত মোটা বেঁটে কালো
সাদা শক্ত নোংরা শ্যামলা মাঝারী হাল্কা পাতলা মাঝারী
কামার কুমার পুতার ছুতার চামার বেশ্যা বাউল দালাল
মাতাল লাল আমদানী রপ্তানীকারক অধ্যাপক সম্পাদক
চিত্রগ্রাহক প্রতিবেদক প্রতারক পর্যটক বাস ট্রাক ট্যাক্সি টেম্পো
চালক পৌরজন মানুষ। মানুষ। আর
মেয়ে মানুষ! ছেলে মানুষ
কালও মানুষ! ভালও মানুষ!
লম্বা মানুষ! বেঁটে মানুষ!
বনের মানুষ! মনের মানুষ!
বাঁকা মানুষ! সিধে মানুষ!
বোকা মানুষ! একা মানুষ!
একমাত্র সংবাদপত্রই যেন ধর্মগ্রন্থ আধুনিক এছাড়া আর কোনও
বন্ধু নাই সবাই প্রবাসে প্রায় আর যারা ইতিমধ্যে প্রায় বাসা
বদল করে চলে গেছে সব ভিন্ন ভিন্ন ভাড়াটে বাসায় ভুলে
গেছি বাড়ী গাড়ী বন্ধুদের চুল চোখ নখ ও স্ত্রীর রং
এই সে শহর ক্রমবদ্ধমান যে আমার লক্ষ লক্ষ
গ্রামকে গ্রাম করেছে গুম খুন
পাটক্ষেতে অবৈধ ভাসমান ভ্রুণ নিরাপদ দূরত্বে থাকুন
আগুনের সাথে সহযোগিতা করুন
আমি জ্বলব আগুন পরমাণু পুরান রুটি ও বোমার রাষ্ট্রয়াত্ব
দোকান বিভ্রান্ত বিজ্ঞান নভোযান........
ওষধি বনে জ্বেলেছে সে মাংস পোড়া আগুন এইতো সংবাদ
দেখুন এতে শুধু এই এলাকার নয় গোটা দেশের নারী হত্যা ও
নির্যাতনের খন্ডচিত্র পাওয়া যেতে পারে কেবলমাত্র দিনাজপুরে
৮২র জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেবলমাত্র দিনাজপুর
জেলাতেই গৃহবধু খুন ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ২৩টি।
এরমধ্যে আত্মহত্যা ৮টি পার্বতীপুরের ৬৫ বছর বয়স্কা এক
বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছে গলায় দড়ি দিয়ে অন্যরা বিষ পানে
পারিবারিক কলহ এইসব আত্মহত্যার মূল কারণ। শুধু একজন
যুবতী আত্মহত্যা করেছে প্রেমঘটিত কারণে। অন্যরা দিনাজ
পুর বাদে উত্তরাঞ্চলের অন্যত্র উল্লেখিত সময়ে ৩৯জন গৃহবধু
খুন হয়েছে কিংবা আত্মহত্যা করেছে এইসব ঘটণার কারণ হলও
(১) স্বামীর অত্যাচার (২) পিতার বাড়ী থেকে টাকা আনতে
না পারার কারণে মারপিট (৩) সতীনের সাথে কলহ বিবাদ
(৪) সম্পত্তি নিয়ে গোলমাল (৫) অবৈধভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে
যাওয়া ইত্যাদি পঞ্চগড়ের যুবতী চাকরানী জরিকা খাতুন খুন
হয়েছে সে অন্তঃসত্বা। শিবগঞ্জের ফানুসী বেগমকে তার আপন
ভাই গলা কেটে হত্যা করেছে। একই এলাকার যুবতী রাজিয়া
বেগমকে হত্যা করা হয়েছে কারণ অজ্ঞাত। ঠাকুরগাঁয় ভাতার
মারীতে ডাঙ্গি ছুরি দিয়ে গলাকাটা অবসস্থায় দুটি লাশ উদ্ধার
করা হয়। এমতাবস্থায় একমাত্র শিশুরাই প্রকৃত প্রস্তাবে একান্ত
বন্ধুরা আমার।
এরাই বীজ ছায়া চারা কলম কীটনাশক সেচ ও সার রবিকরোজ্জ্বল
ঢেউ ঢেউ খামার
শিক্ষা পুষ্টি ও দৃষ্টিহীন শিশুদের হাতে হাতে পৌঁছে
দিতে চাই স্বাস্থ্য ও তার স্তনের অধিকার ভেষজের ছায়া
দেশজ জীবন ভীষণ
এই যে স্বাধীনতা
ঐ পাতার পতাকা
কবিতা অপূর্ব বারতা
চল যাই
চাঁদে যাই
রাজনৈতিক আশ্রয়ের মনস্কামনা জানাই
নইলে চাঁদর সাথে চলবে তুমুল লড়াই
আজীবন মুক্তিযুদ্ধরত আমি ক্ষতক্লান্ত এক রক্তের সমুদ্রে
সাহসী নাবিক এক সশস্র সৈনিক ধারিনা কিছুর ধার
পদক স্মারক প্রমাণপত্র উপহার ভাতার কিংবা শহীদ মিনার
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সংসদ সদস্য আজীবন
মাটির মুকুট এ আমার মাটির সিংহাসন
কল্যাণ প্রশাসন ঐ
চাই ঐ চাঁদের সিংহাসন।
চলবে
ভালবাসা হারায় ওরা
কুড়ায় আবার
ছড়ায়।
ভালবাসা হারায় প্রায়
কথায় কথায়
ছড়ায় ওড়ায়।
আবার ভালও বাসায় হারায় প্রায়.............................
------------------------------------------------------------------------------
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: আপনি এলেন অবশেষে
শুধু আপনার জন্যই প্রতীক্ষা ছিল আজ।
শ্রদ্ধাবনত হই কবিবর
আশীর্বাদ করুন আমি যেন আরো বিনীত শব্দ পাই
আরো স্থিত হই
আপনাকে বিনম্র শ্রদ্ধা
ভাল থাকুন কবিবর
মঙ্গলে থাকুন........
১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩৬
গেওর্গে আব্বাস বলেছেন: সাবদার সিদ্দিকি যদি আত্নবিধ্বংসী ধারার প্রাগর্থী কবি হন, তৎপরবর্তী কবিদের মধ্যে যাদের নাম শ্রদ্ধা সঙ্গে উচ্চারিত হওয়ার দাবী রাখে তারা হলেন--কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ার, শোয়েব শাদাব, বিষ্ণু বিশ্বাস, শামীম কবীর প্রমুখ। শূন্য দশকের সফি সরকারকেও ঐ তালিকার বাইরে রখা অযৌক্তিক হবে বলে মনে করি।
আপনার গৃহে রেখে যাচ্ছি বিষ্ণু বিশ্বাস-এর কবিতা
ভোরের মন্দির
১.
তখনো অনেক বাকি ভোর
অন্ধকার এবং অমেয় জলের বাষ্পে
টুকরো পাতার তরবারি বেজে চলে
ঝনুঝনু।
অতর্কিতের গুনে গুনে প্রহর
ঘুমিয়ে গিয়েছে কর্ণ
তার উন্মীলিত চোখে হলদে জ্যোতির্লোক
হয়ত তখনই জেনেছিল নিদ্রাচ্যুতি মৃত্যু
ভোরের চিলের ডানায় উড়ে যাবে শব
শূন্যে, সমুদ্রে
নিরঙ্কুশ কাকের আধিপত্যে সৌন্দর্যের মড়ক
শহর, পালাবে আদিভূমে
যেখানে সূচনা চেতনার।
আদি পিতা, তোমার আদ্যাধ্বনি কল্লোল
অবিনশ্বর শব্দের আজ চাঁদের হাট, দ্যাখো
স্বর্গত্যাগী ফুল ঝরেছে বকুলের বনে
ধূসর মেহগনি ফাটিয়েছে সমস্ত ফল
আমরা মাটি খুঁড়ি, তুলি বালি, তুলি জল
মাটির গভীর থেকে সমলয় নৃত্যে, আসে
বালির আড়ালে ধ্বনি
মুক্তি, সাধনা, শক্তি।
২.
উড্ডীন, বঙ্গোপসাগর
ঢেউয়ের সংঘর্ষে ঢেউয়ের স্ফূর্তি
নোনতা বালির স্ফুরণ স্ফটিকী
গভীর সমুদ্র ঘূর্ণি ঘুরে ঘুরে
উড়ন্ত চাকতির মতো নামে ধীরে ধীরে
সংকটাবর্তে;
জলজ গম্ভীর শব্দে, ঝংকৃত
মিশ্রিত, শব্দের আকাশ এবং আলো
গাজনের ঢোলের রুদ্র নৃত্য
লৌকিক প্রতিবিম্বের যেন বজ্রকণ্ঠ:
উঠে পড়ো,
বেঁধে নাও দড়াদড়ি
স্বর্গ মর্ত্যরে দেবী ও দেবতা
থাকো জাগ্রত
সময় বুঝে নেবে দুঃসময় দুর্মুক্তি
প্রথা নির্দিষ্ট
আমাদের ছেলেরা সাগর সন্তান
মেয়েরা সমুদ্রে চলে নদীর মতন।
৩.
জাহাজ থেকে লাফিয়ে পড়ে তারা ওইখানে
নোনা ও মিষ্টি জলের মিথষ্ক্রিয়ায়
সংকীর্ণ খাঁড়ি পথে জল নৃত্যের ফুল বহু দূর।
তারপর, খাড়া পাহাড়ের সারি, অরণ্যের শুরু
সেখানে মানুষ এসেছে বহুবার, বহু স্বপ্নের শেষে এবং প্রারম্ভিক স্বপ্নে।
সীমন্তিত পথ, শাদা
ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়া ক্রমলু্িপ্তর দিকে
যেন লুপ্তি শেষে নেচে যায় আলো নাচে জ্যোতিশ্রী আঁধারে তাই জিগীষা
তাই জাগরণে সংশয়ে এবং সংকল্পে সংঘর্ষ।
৪.
তার বিচিত্র রেখার শরীর গর্তময়
ডান হাত পরিত্যক্ত কবরে। ভারি হাওয়ায়
কুয়াশায় আরো হাওয়ার কুয়াশায়
দেখা যায়, অমৃতের অসম বিভাগ
স্বৈরবৃত্তের সুর অমৃত সংসারী
শাদা হাঁসের ডানা বাতাসে ওড়ে।
আর সমুদ্রতীরে সে, তার অন্ধদৃষ্টি
ঝুলন্ত ডান পা ছোঁড়ে সমুদ্র জলে।
অন্ধকার। বধির
নাবিকের মতো গল্প কখন ঢেউয়ের সাথে
ক্রমান্বয়ে দূরে গভীরে আরো দূরে ঢেউ নীলকান্তি
নৌগীতির মতো ছড়ায় শব্দ সুর বালির আকরে
যেন অসীমের আশাহীন সূর্যগীতি,
মৃত কুমারীর, নিষ্পলক পাখির।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------সর্বমঙ্গলা থাকুন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৬
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: আপনিও মঙ্গলে থাকুন কবিবর। আনন্দের ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না......
১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৫
লালন অনিক বলেছেন: গোওর্গে আব্বাস, লাবণ্য প্রভা আপনাদের ধন্যবাদ....
এমন কবিতার দেখা আগে পাওয়া হল না বলে-দূর্ভাগা মনে হচ্ছে নিজেকে....
আহা কবি ধ্যানি পুরুষ...!!! অকালেই গেলেন নিঃসঙ্গতার অনন্ত দেশে
ভালোথাকা হউক
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:০১
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: ধন্যবাদ লালন অনিক।
আপনিও ভাল থাকুন।
১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৩
আসমা বানু বলেছেন: আপা আপনাকে ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:০২
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: আপনাকে আমার বাড়িতে অভিনন্দন। ভাল থাকুন। মঙ্গলে থাকুন্
১৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৩০
সৈয়দ নাসির আহমেদ বলেছেন: কবি সাবদার সিদ্দিকির লেখা পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,
০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৬
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ নাসির আহমেদ
মঙ্গলে থাকুন।
১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪৯
মিলটনরহমান বলেছেন: এ জীবনে কবি হবো-হবো কবিস্বর্গের বসত। এ বুঝি আমার নয়, কেননা আমি হতে পারিনি কবি সাবদার সিদ্দিকি। আজন্ম এ পাপ আমায় পুতে রাখবে ভশ্মের তলায়।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৮
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: আপনি কবি মিলটন রহমান....
ধন্যবাদ আপনাকে
মঙ্গলে থাকুন
১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:০১
তনুশ্রীপাল বলেছেন: অনেক অনেক ভাললাগা ...
মঙ্গলে থাকুন...
০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৫
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: আপনাকে আমার বাড়িতে অভিনন্দন কবি।
আপনিও মঙ্গলে থাকুন.....
১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৬
আজহার ফরহাদ বলেছেন: আপনাকে এই প্রথম দেখলাম ব্লগে। ভাল পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
ভাল থাকুন
২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩
হামোম প্রমোদ বলেছেন: না, একদম মন্দ হয়নি। এসেছিলাম ''কবি'' কে জানতে, সাথে পেলাম আরও আরও অনেক বোনাস।
ধন্যবাদ যে কাকে দেব.................
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
লেখাটি আপনার দৃষ্টিগোচর হওয়ার জন্য
ভাল থাকুন
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৬
নস্যরাজ বলেছেন: কলম্বাসের হাতে কম্পাস থাকলেও লাভ নেই। ভুল সে করবেই। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে বলবে ভিয়েতনাম