নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে যাই মনে করুক, আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আমি যাই মনে করি, কারো কিচ্ছু আসে যায় না।
কিছুদিন আগে দেশের একজন প্রথম শ্রেণীর নাগরীক চলন্ত ট্রেনে পাথরের আঘাতে মারা গেলেন। এমন একটা ঘটনা আমারও আছে সেটাই শেয়ার করচ্ছি।
তখন সন্ধ্যা। পরের দিন হরতাল। আমি আর শরিফ ভাই কমলাপুর স্টেষন থেকে গাজীপুরগামী সর্বশেষ ট্রেন মিস করে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বাস নাই বল্লেই চলে। একটা সিএনজি নিয়ে চলে এলাম বিমানবন্দর স্টেশন।
ঘন্টাখানেক অপেক্ষার পর ট্রেন আসল। ট্রেনে পা রাখারও যায়গা নাই। সীট পাওয়া তখন মূক্ষ্য নয়, কোন রকম দাড়ানো গেলেই খুশি। শেষমেশ দরজায় পেপার বিছিয়ে বসলাম। গতিময় বাতাসে যার্নিটা সীটে বসার থেকে কোন অংশে খারাপ ছিল না।
টঙ্গী পার হওয়ার পর দেখলাম অন্ধকারে ২টা ছেলে দাঁড়ানো। বস্তির ছেলে পেলে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। এরকম আরো কয়েক জায়গায় দেখেছি, অস্বাভাবিক লাগেনি। শুধু মোবাইল সাবধান।
কাছে আসতেও একটা ছেলে আস্ত একটা ইট ছুড়ে মারলো আমার বাম পা লক্ষ করে। আমার পেছনে মানুষ, সামনে খোলা মাঠ। কিচ্ছু করার নাই। আল্লাহর রহমতে ইট টা আমার পায়ে না লেগে পাশেই দরজার গায়ে লাগলো। প্রচন্ড শব্দে আমি হতভম্ব।
আশে পাশের লোকগুলো আমার অবস্তা কি জানতে আগ্রহী হয়ে উঠল। ঠিক আছি বলে জানালাম তাদের। জানালার পাশের যাত্রী কর্তৃক অনেক গালীর আওয়াজ শুনতে পেলাম ছেলেগুলোর উদ্দেশ্যে।
আল্লাহর রহমতে সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ্
একই সাথে আমার ব্লগ http://ittihadul.com মুসলিম বাংলা ব্লগ ও ফেসবুকে প্রকাশিত
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন: রক্ষক যখন ভক্ষক হয়ে দাড়ায়, তখন কিচ্ছু করার থাকে না।
সামনে নিরাপত্তা আরো কমে যাবে বলে মনে হয়। সরকারের মেয়াদও প্রায় শেষ।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৯
াজ বলেছেন: ভাই আমার www.only71.com এই সাইটে যান। আপনাদের ভালো লাগবে আশা করি।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন: ঐখানে কি আছে?
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের তথাকথিত পুলিশ কি শুধু ঘুষ খাওয়ার জন্যই আছে? এসব ক্রিমিনালদের গুলি করতে পারেনা? ফাঁকা গুলি করলেই সব হাওয়া হয়ে যেত। আসলে প্রশিক্ষন বলতে এদের কিছুই নেই।
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন: আহ, পুলিশ! ফাঁকা গুলি!
ভাই যা বল্লেন আর কি
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২২
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এ ধরণের ঘটনা প্রায় সময়ই ঘটে। আমি নিজেও এ ধরণের একটি ঘটনার সাক্ষী। বেশিরভাগ সময় বস্তির অশিক্ষিত, বখাটে আর নিয়ন্ত্রনহীনভাবে বেড়ে উঠা উঠতি ছেলেগুলোই এগুলো করে। ট্রেনের যাত্রীদের আতঙ্কিত করে, আহত করে এরা বিকৃত আনন্দ উপভোগ করে। এবং দুঃখের বিষয় এগুলো করে এরা দিব্যি পার পেয়ে যায়। কোন শাস্তি হয় না। এজন্য এদের সাহস দিন দিন বাড়ছে। এখন এরা পৈশাচিক আনন্দে রেল লাইনের পাথর ছুড়ে মানুষ হত্যা করছে। এদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে জীবনের মায়া ত্যাগ করে, অন্তিম দলিল লিখে, আর বাসায় ফিরতে নাও পারি এই চিন্তা করে ট্রেনে উঠতে হবে।
এটা দুঃখজনক যে, যত দিন যাচ্ছে বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশী নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।