![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তখন ক্লাস থ্রী পড়ি। আমাদের বাড়ির পাশে হিন্দু বাড়ি ছিল নাম শংকর সরকার। উনার দুই ছেলে এক মেয়ে । বড় ছেলে সুমন, তার ছোট রাজন এবং সব থেকে ছোট মেয়ের নাম অপেক্ষা। অনেক চেষ্টার এবং প্রতিক্ষার পর মেয়ে হয়েছে তাই নাম রাখছে অপেক্ষা। সুমন পড়ে ক্লাস ফাইভ, রাজন ফোর। উনাদের বাড়িতে এক গৃহ শিক্ষক ছিল। একদিন সন্ধ্যায় মা আমাকে বলল চল আজ থেকে তোকে নতুন শিক্ষক আর কাছে পড়তে দিয়ে আসি। মনটা একটু খারাপই লাগছিল কারণ তখন মনে হত নতুন শিক্ষক মানে আরও পড়া দিবে আরো পড়তে হবে তাহলে খেলার সময় কমিয়ে আসবে। তারপরো গেলাম মায়ের সাথে। মা আমাকে সোজা শংকর বাবুর বাসার দিকে নিয়ে গেল। যখন উনার বাসার দরজায় গিয়ে বেল দিল তখন আমার মনে ভয়ের জোয়ার এসে গেছে কারণ সপ্তাহ দুয়েক আগে আমি খেলার মাঠে সুমন যখন তার টি শার্ট খুলেছিল তার পিঠে একটা লম্বা লাল দাগ দেখে ছিলাম। আমি জিজ্ঞাসা করতেই রাজন বলে উঠ ছিল স্যার দিছে। এই কথা মনে হবার পর আমার মনে কেন জানি আরও ভয় কাজ করা শুরু হল। দরজা খোলার পর সোজা আমাকে সুমন, রাজনের পড়ার ঘরে নিয়ে মা পাশের ঘরে সুমনের মায়ের সাথে গল্প করার জন্য চলে গেলেন। তখনো স্যার আসে নি । সুমন, রাজনের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকার কারনে আমাকে স্যার এর সম্পর্কে আমাকে বিস্তারিত বলা শুরু করতেই স্যার চলে আসলেন। স্যার আসতেই সুমন রাজন যেন অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন এমন ভান ধরলো। স্যার আমার নাম জিজ্ঞাসা করলেন আমি ভয়ে ভয়ে আমার নাম বললাম। তারপর রোল নং জিজ্ঞসা করলেন আমি যখন বললাম ৩ উনি বললেন সামনে ক্লাসএ রোল ১ হতে হবে শুনেই মনে হচ্ছিল আমার উপরও হবে। সেদিন কিছু পড়া দিয়ে পরের দিন সন্ধ্যায় আমি একাই পড়তে গেলাম। খুব ভালই লাগছে মাঠে এক সাথে স্কুল যাই একসাথে আবার প্রাইভিট ও এক সাথে পড়ছি। স্যার আসলেন স্যার এসে প্রথমে সুমন কে জিজ্ঞসা করলেন পড়া হয়েছে কি? সুমন বলল হুম। স্যার মুখে পারে নি বলে কি শাস্তি দিল। এমন ভাবে মারছিল যেন কোন বড় অপরাধী। দেখেই আমার কান্না পেয়েছিল কিন্তু মুখে কোন শব্দ হচ্ছিল না শুধু চোখ দিয়ে পানি পরছিল। এখন ভাবলেই আমার হাসি পায় কত ভীতু ছিলাম আর এখন কত সাহসী . . .....................
(চলবে)
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০
আবু হাসান লাবলু বলেছেন: সেটাতো আপনার মত গুণীজন বিচার করবে আমি বড় হয়েছি নাকি ক্লাস থ্রী তেই আছি, তবে আপনার তুলনায় আমি এখনো নিহাত শিশু। আপনার শরীর কেমন এখন?
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমার শরীরের খবর জানতে চেয়ে তো আমাকে ভালোই বিপদে ফেললেন! আমি ভালো আছি, আপনাকে ধন্যবাদ!
"আমি তখন ক্লাশ থ্রী পড়ি", এ বাক্যটা সুগঠিত হয়নি; আমি আক্রমণ করেছিলাম, কারণ আপনার পোষ্টের ১ম বাক্যটি সুগঠিত হয়নি, এবং সাথে সাথে আপনার চোখে না পড়ায়।
যাক, পোষ্ট প্রকাশ করার আগে ও পরে, পড়বেন, যেসব ভুল চোখে পড়ে, সেগুলোকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করবেন। আপনার ১ম বাক্যটা কমপক্ষে হতে পারে, "আমি তখন ক্লাশ থ্রী'তে পড়ি"। মন খারাপ করবেন না, নিজের পোষ্টের প্রটি খেয়াল রাখেন।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: চালিয়ে যান।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
কানিজ রিনা বলেছেন: আমি কোনও দিন কোনও স্যার কিংবা
ম্যাডামের হাতে মার খাইনি তবে একজন
স্যারের পড়া করলেও তা বলতাম না।
স্যার ক্লাসে এসে বলতেন যারা পড়া করে
আসোনাই তারা দাড়িয়ে পড়া কর। আমিও
দাড়িয়ে থাকতাম নাপড়াদের দলে। শেষে
স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হলাম মাঝে মাঝে
দেখতাম স্যার আমার স্কুলে যাওয়ার পথে
কদমতলায় বসে থাকতেন। পরবর্তী পর্ব
লিখুন।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের ক্লাস টিচার, হোম টিচার... সবাই পেটানোতে ওস্তাদ ছিলেন। বেত খাওয়ার ভয়ে বুঝে না বুঝে পৃষ্ঠা পৃষ্ঠা মুখস্ত করে ফেলতাম। অনেকেও পাটিগণিতের অংকও মুখস্ত করে ফেলতো৷
চলুক...
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পরের পর্ব লিখুন।
৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পরের পর্ব কই? লিখুন সাথেই আছি
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি এখনো ক্লাশ থ্রি'তেই আছেন?