নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবার আসিব ফিরে...

লাবণ্য

বকবে না কিন্তু

লাবণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশ হত্যা কি ধামা-চাপা পরে যাচ্ছে?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮

শুক্রবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে তাকে খবর দেওয়ার পর পাগলের মতো শিশু সন্তানকে নিয়ে ছুটে আসেন রুমা। তার সঙ্গে তার ভাশুর সগির হোসেন আসেন ছোট ভাইয়ের লাশ নেওয়ার জন্য।



সগির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে সাড়ে ৪টায় ছোট ভাই বাদল মিয়ার সঙ্গে বাসার সামনে দেখা হয় তার। তখন তিনি বাদলকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কখন ডিউটি? জবাবে বাদল বলেছিলেন, রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরে।



তিনি আরো জানান, সবুজবাগ থানার মাদারটেক দক্ষিণগাঁও বাজারে আবুল হোসেনের দোতলা বাসার এক তলায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাদল মিয়া ও দ্বিতীয় তলায় তিনি নিজে থাকেন। তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে বাদল ছিলেন পঞ্চম। গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। ছয় বছর আগে বাদল মিয়ার পুলিশে চাকরি হয়। যোগদানের পর থেকে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এসএফের (স্পেশাল ফোর্স) হেড কোয়ার্টার্স কোম্পানীতে দায়িত্ব পালন করছিলেন।



বড় ভাই সগির হোসেন দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে দুস্কৃতিকারীরা তার ভাইকে শাহবাগ থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে মতিঝিল টিএন্ডটি বটতলায় লাশ ফেলে রেখে যায়।



মতিঝিল থানার এসআই আব্দুল লতিফ জানান, রাত আড়াইটায় বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে মতিঝিল এজিবি কলোনি সংলগ্ন টিঅ্যান্ডটি কলোনির পুর্ব পাশে বটতলার দেয়ালের পাশ থেকে বাদল মিয়াকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে রাত তিনটায় কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় বাদল মিয়ার চোখের নিচে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিলো।



তিনি আরো জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত আনুমানিক সোয়া দুইটায় একটি হলুদ ট্যাক্সি ক্যাব এসে চলন্ত অবস্থায় একজনকে ফেলে দ্রæত চলে যায়।



শুক্রবার বাদল মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের পর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স মসজিদে জানাজা শেষে লাশ তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিয়ে যান তার স্বজনেরা।



ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর) আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত কনস্টেবল বাদল মিয়ার বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরে অস্থায়ী কন্ট্রেল রুমে সিসি টিভি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব ছিলো। রাতে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি রাতের খাবারও খেয়েছেন। সেখান থেকে কেন তিনি বাইরে গেছেন? কেউ ডেকে নিয়ে গেছে কি না?- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



এদিকে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যার ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মতিঝিল থানার এসআই আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.