নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে

এলোমেলো ভাবনা সারাক্ষণ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা

I love my country

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাসরীন আক্তার এর পতিতা হওয়ার কাহিনী

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪৫



আমি থাইল্যান্ড হতে বাংলাদেশে এসে প্রথম অফিসে পা রাখতে দেখলাম, অফিসের এদিক সেদিক বিভিন্ন বয়সী নারী। অবাক হই নাই, কারণ হর হামেশাই বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ এখানে হয়ে থাকে। এগিয়ে আসে একটি মেয়ে। হাতে গরম চা, বিস্কুট, আপেল। আফা আপনার কথা খালি স্যারেরা কয়। আপনি নাকি খ্রিস্টানদের দেশে গেছিলেন'? আমি মুচকি হেসে বললাম, আপনার নাম কি? বলল, নাসরীন আক্তার। আমরা গোয়ালন্দের পতিতা পল্লী হতে আপনাদের এখানে প্রেরশিক্ষন নিবার আইছি। আফা একটা বিস্কুট খান? আমি ওর বিস্কুটের একটু অংশ ভেংগে মুখে দিলাম। এসময়ে প্রশিক্ষক মোজাম্মেল হক নিয়োগী ভাই বললেন, লায়লা ভাল আছেন? ঘার নেড়ে বললাম হ্যা ভাল, আপনি? তিনি বললেন ভাল আছি, কিন্তু প্রশিক্ষণ চালাতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বললেন হিউম্যান রাইটস এর উপর ১৫ দিনের একটি টি ও টি। ওরা প্রশিক্ষণ নিয়ে অন্য মেয়েদের দিবে। নাসরীন ততক্ষণে অস্থির হয়ে আছে আমার সাথে কথা বলবার জন্য, আপা আপনি নাকি বিদাস থিকা লজেন্স নিয়া আইছেন। আমি বললাম আজ নিয়ে আসি নাই, আগামী কাল বাসা হতে নিয়ে আসবো, তখন তোমাকে দিব। পরের দিন সকাল ৮ ঘটিকার সময় অফিসে গিয়েছি। আমার কথার শব্দ শুনে নাসরীন আক্তারের আগমন। আপা লজেন্স? আমি ওর হাতে দুটি লজেন্স গুজে দিয়ে বললাম কেমন আছেন নাসরীন আপা। বললেন এখানে ভাল লাগতেছে না, বন্দী বন্দী লাগতেছে, নিয়োগী ভাই বাইরে যাইবার দিতেছে না। আপনেদের ম্যানেজারও কইছে, বাইরে যাওন যাইব না। আফা একটু বসি আপনের কাছে। আপনারে আমার খুব মনে ধরছে। বললাম বসেন। ওর চোখে চোখ রেখে বললাম নাসরীন আপা আপনাকে একটা ব্যক্তিগত কথা জিজ্ঞাসা করবো। নাসরিন বলল, বলেন। আমি অভয়বানী পেয়ে বললাম,আপনি কেন এই পথে এলেন? আপা আপনি আমারে নাসরীন কইবেন আর তুমি ডাকবেন। আমি খুব খুশী হমু। চঞ্চল এই মেয়েটি শুরু করলো তার কাহিনী



তখন আমার বয়স ১৪ বছর। আফা বিশ্বাস করবেন না, কাঁশবাগানের ধার দিয়ে হাটতে কি যে ভাল লাগতো। একবার কাঁশবনের ধার দিয়া দৌড়াতে দৌড়াতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলাম. উইঠ্যা দেখি আমার সামনে ‘ও’ দাঁড়ায়ে আছে। বললাম, ও টা কে? মুচকি হেসে বলল, আমি ওকে ভালবাসতাম। ওর নাম কাশেম । আমাদের পাশের গ্রামে বাড়ি। আফা হুনেন, কত যে ভালবাসতাম ওকে। কাশেমও আমাকে খুব ভালবাসত। বললাম, বল হুমড়ি খেয়ে যে পড়ে গেলে তার পর কি হল। আফা যে কি কন? আমার জন্য লিপিস্টিক, চুরি, মালা, চুলের ব্যান্ড আমার হাতে তুইল্যা দিল। আমি কি যে খুশী। ঐদিন সারা বিকাল আমরা কাঁশ বাগানের ধারে বইস্যা কত কথা যে কইছি। ও কইছিল সামনের মাসে আমাগো বাড়িতে বিয়ার পয়গাম পাঠাইব। এক বুক নিঃস্বাস ছেড়ে বলল হায় রে পয়গাম। মনের আশা মনেই রইল।



আমাগো বাড়ি কুমিল্লা। বললাম কোন উপজেলা, কোন গ্রামে তোমার বাড়ি। বলল আফা আমারে এইড্যা জিজ্ঞাস করবেন না । আমি কমু না। ঘাড় নেড়ে বললাম, ঠিক আছে তুমি বলে যাও। আমরা খুব গরীব। ৫ বোন, ১ভাই। ভাইটি সবার ছোট। বড় ৩ বোনের বিয়া হইয়া গ্যাছে। কিন্তু ২ বোন স্বামীর অত্যাচারে এখন আমাগো বাড়ী আইয়া রইছে। বাবা পরের বাড়ী কামলা দেয়। মা আর বড় দুই বোন বাড়ি বাড়ি কাম করে। কোন রকমে সংসার চলে। একবার পাশের গ্রামের রহিম চাচা বাবারে আইস্যা কইল, তোমার নাসরিনরে গার্মেন্সের কামে দিবা। বেতন ভাল। আমাগো গ্রামের ফুলকিও গার্মেন্সে গ্যাছে। ও কামে গ্যালে ওর লগে এক সাথে থাকতে পারবো। কথাডা শুইন্যাই আমার বুকের মধ্যে ধক্ ধক্ করতে লাগলো। আমি কাশেমরে রাইখ্যা কোন জায়গায় যামু না। আমি মারে কইলাম, আমি না খাইয়্যা থাকুম , তাও আমি যামু না। কিন্তু আমার দুই বোন, মা, বাবা সবাই আমারে বুঝাইতে লাগলো। রহিম চাচা রোজ আমাগো বাড়ি আসে আর বাবা মার সাথে ফুসুর ফুসুর করে। রহিম চাচা মারে কইল, পরশুদিন নাসরিনরে রেডি কইর‌্যা রাখবেন, আমি ঢাকায় নিয়া যামু। কোন চিন্তা নাই, আপনার নাসরিন খুব ভাল থাকবো।



আমার হাতে আর মাত্র ১ দিন। আমার কথার কে দাম দিব। ঐদিন কাশেমরে যাইয়া কইলাম। কাশেম আমারে আদর কইর‌্যা কইল। নাসরিন তোরে ছাইড়্যা থাকতে আমারও কষ্ট অইব। আমিও ট্রাক এর হেলপার । এখন তুই যদি ঢাকা যাস, আমিও ঢাকায় যাইয়া ট্রাকের হেলপারের চাকরী নিমু। তুই ঢাকায় যা, দুইমাসের মধ্যেই তো আমি তোরে আমার বউ কইর‌্যা ঘরে আনুম। হায়রে আফা , ঘর আর করা হইল না। ও আমারে কাঁশবাগান হতে দুইড্যা কাঁশ ফুল ছিড়্যা একটা আমার চুলের খোপায় পড়ায়ে দিল, আর একটা দিয়া আমার গলায় মালার মত কইর‌্যা জড়াইয়া দিল। নাসরিন চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারছিল না। অনেকক্ষণ ডুকরে ডুকরে কাঁদলো। আমি নাসরিনকে বাধা দিলাম না। কারণ এই কাঁদার ভিতরও একধরণের সুখ আছে। প্রিয়জনকে মনে করার সুখ। একটু পরে একজন পার্টিসিপেন্ট এসে বলল নাসরিন ক্লাসের সময় হয়ে গিয়েছে। নাসরিন চোখ মুছে বলল আফা আমার ক্লাস শেষ হলে আবার আপনেরে সব কমু। আমি ওকে আচ্ছা বলে কম্পিউটার চালু করলাম।



বিকাল পাঁচটার সময় নাসরিন যথারীতি আমার কাছে এল। ছটফটে দুষ্ট প্রকৃতির মেয়ে। বলল, আফা আফনেরে আমার খুব ভাল লাগতেছে। আমি হেসে বললাম, যারা খুব ভাল তারা সবাইকে ভালবাসে। নাসরিন তারপর তোমার কি হল, আমি সব কথা শুনবো। নাসরিন বলে চলল। আফা বাড়িতে মা আমার জন্য ক্ষীর, পিঠা বানাইল, বাবা একটা বড় দেইখ্যা ইলিশ মাছ আনলো। সবাই মিল্যা খাইতে বসলাম। কতদিন পরে যে এত ভাল খাওয়ন খাইলাম আফা। অভাবের সংসার, একবেলা খাইতো, আরএক বেলা না খাইয়্যা থাকি। আমার বাবা আমার জন্য না জানি ধার কইর‌্যা ইলিশ মাছ আনছে কে জানে। মনে মনে কইলাম , আমি তোমাগো ঠিক গোসত দিয়া ভাত খাওয়ামু। তোমাগো সব ধার শোধ করুম। আমার ছোড বোন বলল, তুই আমার জন্য একটা বাসনা সাবান আর একটা লাল জামা ঢাকা হইতে আনবি। আমি আমার বোইনের মাথায় হাত রাইখ্যা কইছিলাম, তোর জন্য আমি লাল জামা আনুম। সবার ছোট ভাইট্যা কইল, তুই আমার জন্য একটা বল আনবি। লালু বল খেলে, আমি খেলতে চাইলে আমারে লালু খেলতে নেয়না। আমি কইলাম ঠিক আছে সব আনুম। বেলা মাথার উপর হতে গড়াইয়া গেছে। রহিম মিয়া বাড়িতে আইস্যা বাবাকে ডাক দিল। আমার বুকের মধ্যে কেমন যে লাগতেছিল গো আফা, তা আপনেরে কি কইর‌্যা কই। মা একটা টুপল্যা আইন্যা আমার হাতে দিল। কইল এডার মইধ্যে মুড়ি, গুর আর নাইর‌্যালের নাড়– আছে। তোর দুইড্যা জামা এর মধ্যে আছে। আমি তোর জন্য একট্যা নাল দেইখ্যা গামছা কিন্যা এর মইধ্যে ভইর‌্যা দিছি। মার সেই লাল গামছাটা আফা এখনো আমার কাছে আছে। ওই গামছাটার মধ্যে এখনো আমি মার গদ্ধ পাই। বেলা পশ্চিমে হেইল্যা গেলে বাড়ি হইতে ঢাকার দিকে রওয়ানা হইলাম। আমার বাবা, মা, বোন অনেক দূর পর্যন্ত আগাইয়্যা দিল। একটু দূরে খেঁজুর গাছের তলায় কাশেম দাড়াইয়া আছে। আমার কাছে আইলো। আমার হাতে একট্যা বড় প্যাকেট ধরাইয়্যা দিল। আমি নিলাম। বুকে জড়াইয়া ধরলাম। কইলাম আমার জন্য দোয়া কইরো। রহিম মিয়া তখন একটু দূরে আগাইয়্যা গেছে। হাঁক দিয়া কইল, নাসরীন তারা তারি আয়। একটু পরেই সন্ধা নাইম্যা যাইব। হাটতেছি আর ওর দিকে তাকাইয়্যা তাকাইয়্যা দেখতেছি।



আফা ফার্মগেটের একটা টিনের বাসায় উঠলাম। ছোড একটা ঘর, তার মধ্যে ফুলকি, পরি আর লতা থাকে। ওরা সবাই আমার সাথে খুব ভাল ব্যবহার করলো। ডাল ভর্তা দিয়া রাতে ভাত খাইলাম। রাতে ওগো সাথে ঘুম আসলাম। সকালে কাশেমের প্যাকেটডা খুইল্যা দেখলাম, ওইড্যার মধ্যে একডা সাবান, লিপস্টিক, তেল, আর একটা মেরঝেন্ট্যা রংয়ের শাড়ি, বিলাউজ আর পেডিকোড। আমার কান্না আইল। দুইদিন এভাবে থাকলাম। পরের দিন ঘরে একড্যা খারাপ ব্যাডা আইল। পরীর সাথে কি সব বাজে বাজে কথা কইল। আমার দিকে আড়ে আড়ে তাকায়, আর খারাপ খারাপ কথা কয়। পরীর শরীরে হাত দেয়। আমি ঘর হতে বাইরে আইলাম। লতা কইল আমি গোয়ালন্দ আমাগো বাড়িতে যাইতেছি। তিনদিন দিন পরে আসুম। লতা চইল্যা গেল। ফুলকি আর পরীও আজ রাতে ঘরে আইল না। আমার ডর করতে লাগলো। রহিম মিয়া আইল। কইল কিরে নাসরিন তোর ডর লাগতেছে। ডর করিস না। তোর চাকরির জন্য যোগাযোগ করতেছি। সাতদিনের মধ্যে তোর চাকরিটা পাকা হইয়্যা যাইব। তখন তোর সাথে আর লাগে কিডা। রহিম মিয়া কইল আজ এখানে থাকুম। আমি কইলাম এখানে থাকবেন? রুম তো মাত্র একটা। সে কইল আরে ওইধারে একটু শুইয়া থাকুম। রাতে শুইয়া আছি, রহিম মিয়া আমারে জড়াইয়া ধরল। আমি চিৎকার দিয়া উঠলাম। আমার মুখটা সে চাইপ্যা ধরলো। কইল তুই এমন করলে তোরে চাকরিও দিমু না আর খুন কইর‌্যা ফ্যালামু। আফা শরীরটা আমার ব্যাথা হইয়া গেল। শেষ রাতে একটা লোক আইল, রহিম মিয়ার হাতে এক বান্ডিল টাকা দিল। লোভী দৃষ্টিতে আমার দিকে চাইল। হাসলো, বললো তোমার চাকরী হইয়্যা গেছে। রহিম মিয়া অনেক দিন পর একটা খাসা মাল আনছো। গায়ের রং ফর্সা, চেহারা শ্রীদেবীর মতো দেখতে। আমার আর তর সইতেছে না। আরো যে কত কথা কইল আফা। কিন্তু আমার শরীর স্পর্স করলো না। সকালে ফুলকি আগে ঘরে আইল। রহিম মিয়া কইল, ফুলকি সাতদিন পর নাসরিন চাকরীতে যোগ দিব। ওরে দেইখ্যা রাখবি। এই ব্যইল্যা রহিম মিয়া চইল্যা গেল।



লতা তিনদিন পর বাসায় ফির‌্যা আইলো। কইল, নাসরীন আমার মার খুব অসুখ। তাই কাইল আবারও যাইতে হইবো। কিছু টাকা র‌্যাইখ্যা গেছিলাম। তাই নিবার আইছি। তুই যাবি আমাগো বাড়ি? আমি দুইতিন দিন পরই চইল্যা আসুম। আমি রহিম মিঞা আর ঔ ব্যাটার কথা মনে করলাম। ভাবলাম লতার সাথে গেলেই আমার ভাল হইবো। আমি ওর সাথে চইল্যা গেলাম। উঠলাম একটা বাড়িতে। একজন মহিলাকে দেখলাম বিছানায় শুইয়া আছে। লতা আমারে খুব যত্ন কইর‌্যা খাইয়াইলো। লতা আমার ছবি তুললো। একসাথে বিছানায় শুইলাম। মাঝ রাতে ঘুম হতে জাইগ্যা দেখি লতা বিছানায় নাই। একজন লোক আমার পাশে, আমারে জড়াইয়া শুইয়া আছে। আমি ধরফরাইয়্যা উঠলাম। আমারে জোড় কইরা জড়াইয়্যা ধরলো, আমি কিছুতেই ছাড়াইতে পারলাম না। আমার মুখটারে জামা দিয়া বাইন্ধা দিছিলো। তারপর আমারে জোর কইর‌্যা কিসব করল। আমি কানতে লাগলাম। একটু পর লতা আইল। আমার সাথে ঠাট্টা কইর‌্যা কইল, কিরে ঘরে কি নাগড় আইছিল? আমি কি করুম বুঝতে পারতেছিলাম না। ব্যাডা নাসরিনের হাতে দুইট্যা ১০০ টাকার নোট গুইজ্যা দিয়া চইল্যা গেল। আমি লতারে কইলাম আমি সকালে ঢাকা চইল্যা যামু। লতা কইল তুমি যাইবা বইল্যা তো তোমারে এখানে আনি নাই। তোমার আর যাওয়া হইবো না। ফার্মগেটে যে লোকটা আইছিল পরের রাতে সেইলোকটা আইল, আমার সাথে রাতে থাকলো, যাওয়ার সময় কইল বেশি তেরিবেড়ি করবি না। তেরিবেড়ি করলে মাইর‌্যা ফালামু। এভাবে ১০ দিন থাকলাম। বিশ্বাস করেন আপা আমার শরীরে এতটুকু শক্তি অবশিষ্ট আছিল না । তারা আমারে ডাক্তারের কাছে নিয়া গেল। ঔষধ খাইলাম, ভাল হইলাম। তারপর গোয়ালন্দের পতিতা পল্লীতে আমারে নিয়া আইলো...এরপর থিক্যা এখানে আছি।



লতা আমারে নাচ, আর সিনেমার কয়েকটা গান শিখাইয়া দিল। আফা এখন আর খারাপ লাগে না। আজ ৮ বছর ধইর‌্যা আমি এখানে আছি। আপাগো আমি এখন নিজেই একটা ঘর ভাড়া নিছি। নিজের স্বাধীনমতো থাকি । আপা কোন কোন দিন ১৪/২০ জন লোক আমার সাথে থাকে। আমারে নাকি তাগো ভালো লাগে। কেউ ৫০০ টাকা, কেউবা ১০০ টাকা,৫০টাকা আবার কেউ ১০ টাকা দেয়। আফা ছাত্ররাও আমার কাছে আসে। এই দেখেন মোবাইলে তার ছবি আছে। আমি ইচ্ছে করেই ছবিটা দেখলামনা। নাসরিন বলে চলল, ফরিদপুরের একটা কলেজে পড়ে। আফা ওরে আমি বিশ্বাস করি। ওর কাছে আমি ৫ ভরি স্বর্ণ, ৪০ হাজার টাকা দিছি। ওর কাছে জমাইতেছি। ও কইছে, আমারে বিয়া করবো। আমি নাসরিনকে বললাম, তুমি সর্বনাস করেছো। ওই ছেলেটার কাছ থেকে ছলে বলে কৌশলে এসব তুমি নিয়ে নাও। নাসরিন তোমাকে ছেলেটা কোন দিন বিয়ে করবে না। শুধু এসব নিয়ে একদিন ভাগবে, তুমি টেরও পাবে না। তুমি একবার ঠকেছ। আর নিজেকে ঠকিও না। অবাক হয়ে বলল, কি কন আফা! ও আমার সাথে রোজ ৩ / ৪ বার করে মোবাইলে কথা কয়। আমি নাসরিনকে আবারও বুঝালাম। নাসরীন শুধু আমার দিকে তাকায়ে কি যেন ভাবল।



নাসরিনকে বললাম তোমার কাশেম এর কথা মনে হয় না। মনে হয় না আবার আফা , খুব মনে হয়। ওর শাড়িটা এখনো যত্ন কইর‌্যা রাইখ্যা দিছি। সবার কথা মনে হয়। মাঝে মাঝে কান্দি। কি করুম আফা এসবই আমার কপালে ছিল। আফা আফনের কথাও খুব মনে থাকবো। আমি আবারও বললাম, নাসরিন তুমি তোমার সম্পদ ওই ছেলেটার নিকট হতে তোমার কাছে নিয়ে নিবে। তুমি টাকাগুলো ব্যাংকে রাখ। ওর মাথায় স্বস্নেহে হাত দিয়ে বললাম, এপথ হতে ফেরা যায় না! নাসরীন তখন দূরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে চোখের পানিতে ওর সুন্দর গাল দুটো ভিজিয়ে দিল। আমি পরম মমতায় ওর চোখের পানি মুছে দিলাম। কিন্তু কোন কথাই আর বলতে পারছিলাম না।

১০

প্রশিক্ষণের শেষ দিনে নিষিদ্ধ পল্লীতে ফিরে যাওয়ার সময় নাসরীন আমার কাছে এল, বলল আফা আমি এই খারাপ পথ হইতে ফিরা আসুম। সবাই যেমন থাকে আমিও থাকুম। গার্মেন্সে চাকরী নিমু। আর নিজেকে ঠকামু না। আর ওই ছেলেটার কাছ হতে সব জিনিস ফিরাইয়্যা আনুম। এই বলে আমার পা ছুয়ে ছালাম করলো। আমি ওকে বললাম কি করছো নাসরীন। পা ছঁয়ে ছালাম করতে হবে না। তুমি ভাল থাক এটা আমি চাই। তবে নিজেকে কখনোই খারাপ ভাববে না। তুমি একটা মিষ্টি , সুন্দর আর খুব ভাল একটা মেয়ে। তোমার ভবিষ্যৎ সামনে পড়ে আছে। নাসরিন সামনের দিকে পা বাড়ালো। নাসরীনের চলার পথে চেয়ে শুধুই ভাবতে লাগলাম, হায়রে সমাজ! মেয়েরা পতিতাবৃত্তি করলে সমাজ তাদের ডাকে পতিতা.....ছেলেরা এসব কাজ করলে কেন সমাজ তাদের পতিত বলে ডাকে না??? বুকের ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে ব্যাথা করে উঠলো। আমি মিটিংএ যেয়ে বসলাম। কিন্তু কিছুতেই মিটিংএ মন বসাতে পারলাম না। মনের ভেতর শুধু হাজারও প্রশ্ন দাপাদাপি করতে লাগলো।



মন্তব্য ১৫৭ টি রেটিং +৫৪/-১

মন্তব্য (১৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫৭

জটিল বলেছেন: হুম , এরকমই অবস্থা , খারাপ লাগে আসলেও

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হুম...আমাদের শুধুই খারাপ লাগা ছাড়া কিছুই করার নেই, আমরা করতে পারলেও কিছুই করি না তাদের জন্য....ধন্যবাদ পড়ার জন্য

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেই গতানুগতিক করুণ কাহিনী........

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আসলেও তাই। আমরা গতানুগতিক বলি,,,,এদেরজন্য করার কি কিছুই নেই???
হাসান ভাই এই পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:০৬

রিয়াজ উল বলেছেন: পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ.......

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য রিয়াজ ভাই আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভাল থাকবেন

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:০৯

বিপুল গমেজ বলেছেন: নিরবতা পালন ছাড়া কিছুই করার নাই।
++++++++++++++++++++++++++

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বিপুলদা আসুন আমরা সকলে মিলে একসাথে এই নিররতাকে ভেঙ্গে ফেলি। জীবনতো মাত্র একটা...আসুন কিছু করি..আর এর জন্য দরকার সম্মিলিত উদ্যোগ।
পড়ার জন্য অন্তরের গহীন থেকে ধন্যবাদ

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১০

বিন্দু উদ্ভিদ বলেছেন: নাসরিনের জন্য দুফোঁটা জল রেখে গেলাম আপনার কাছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কখনো যদি নাসরীনের সাথে আমার দেখা হয় তবে আমি আপনার শুভকামনা তাকে পৌছে দিব। তবে আমি বলতে চাই, আমি নিজে তাকে আর পতিতা পল্লীতে তাকে দেখতে চাই না।
অনেক ধন্যবাদ

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১৩

না বলা কথা বলেছেন: সেই গতানুগতিক করুণ কাহিনী........

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হু...ম । সেই গতানুগতিক। কেন এই গতানুগতিক ...আসুন আমরা সবাই মিলে এই গতানুগতিকের দেয়াল ভেঙ্গে এইসব নাসরীনদের উদ্ধার করি।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১৫

মারুফের রহমান বলেছেন: অথচ আমাদের ভাগ্য বিধাতারা(নেতা-নেত্রীরা)মহা সুখে দিন যাপন করছেন।
তাদের গালে থুথু।

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি শিশু নিয়ে কাজ করে দেখেছি...তারা ইচ্ছে করলে অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু করে না। এই যে নেতা -নেত্রীরা তারা শুধু সময় ক্ষেপন করে আর একদল আর এক দলের দোষ দেয়। মনে হয় এটাই নিয়ম। যাদের জন্য কাজ করা, তারা তাদের জন্য কাজ খুব কমই করে।
ভাল থাকবেন চিরকাল।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১৭

মুকুট বলেছেন: হুম, বুকের মাঝে মোচড় দিয়ে উঠলো, কতটা অসহায় এই দরিদ্র জনগোষ্ঠী। আর এমন রহিমরাই এদেরকে শিকার বানাচ্ছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হুম! এই রহিমদের ধরে ধরে ঠ্যাং ভেঙ্গে দিতে হবে--আইন মেনে।
ধন্যবাদ

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২১

রিয়াজ উল বলেছেন: খারাপ লাগে...এসব পতিতাদের নিয়েই যখন কিছু সুবিধাবাদী এনজিও ব্যবসা করে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার মতামতের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমি একটি ইন্টার ন্যাশনাল এনজিওতে কাজ করি। আমরা যে সকল এনজিওদের টাকা দেই যে উদ্দেশ্য নিয়ে,আমি নিবিরভাবে মনিটরিং করে দেখেছি, তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করতো তাহলে যাদের জন্য আমরা কাজ করছি তাদের অনেক উন্নয়ন করা যেত। আসলে সকলেই পকেট ভরতে ব্যস্ত থাকে।
যদি কিছু সুবিধাবাদী এনজিও এদের নিয়ে ব্যবসা করে তাহলে তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার গঠণমূলক মতামতের জন্য।

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২২

বিডি আইডল বলেছেন: গল্পটা বোধকরি অনেকেরই এক....

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এধরণের ঘটনাগুলো অনেকের সাথেই মিলে যেতে পারে। এই যে নাসরীনকে নিয়ে লিখেছি...তারপর বিবেকের কাছে অনেকবার হার মেনেছি...অনেক দ্বিধা দ্বন্বের পরই লিখেছি.....কতটুকু আর করতে পারছি ওদের জন্য

ধন্যবাদ পড়ার জন্য

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২৮

অলস ছেলে বলেছেন: হুমমম। দু:খজনক, কিন্তু আমরা সবাই অভ্যস্ত, তাই ব্যাপার না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হুমমমম! সত্যি দু:খজনক। কিন্তু আমরা কেন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি??? কেন আমরা নাসরিনদেরকে রক্ষা করতে পারছি না।

তবে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৩

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: দুঃখজনক হলেও এটাই অনেক নাসরিনের জন্য বাস্তব।

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৩

আশীষ কুমার বলেছেন: বাস্তব

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:৪৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হুমমম...........বাস্তবই বটে।


অসংখ্য ধন্যবাদ

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: একই কাহিনী বার বার আমাদের দেখতে হয়-শুনতে হয়! জানিনা এর শেষ কোথায়!

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:৫২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কোন মেয়ে ইচ্ছে করে পতিতা হয় না। তার পেছনে থাকে কারণ অথরা কারণের কারণ। যারা মেয়েদের পতিতা করে সমাজ ইচ্ছে করলে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে পারে। কিন্তু করে কি?????
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৬

সাধারণমানুষ বলেছেন: এটাই বাস্তব..... যদিও তা কঠিন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:০১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমরা কি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে যাব। কিছুই কি করার নেই???একটা প্রবাদ আছে...ডাইবেটিকস হওয়ার আগে দৌড়াতে হবে..আমরা কিন্তু তার উল্টোটা করি। যেভাবেই সমাজে পতিতা তৈরি হক না কেন...একসময় এরা ভাসমান হয়ে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তাই আর কেন দেরি??? যে যার এলাকা থেকে কাজ করি না কেন।
আমরা ক্ষুদে সাংবাদিক, নেতা তৈরি করেছি। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তারা কখনো সামনে থেকে কাজ করে না। বড়দেরকে তারা শুধু ইনফরমেশন দেয়। পুলিশযে ইচ্ছে করলে পারে...আমরা তার প্রমান। শিশুরা গোপনে পুলিশকে তথ্য দেয়...নাম, পরিচয় গোপন রেখে। যদিও আমরা একাধিকবার পুলিশের সাথে মিটিং করেছি...মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে...যাদের সাথে সমাজের উচ্চশ্রেণীণী শিশুদেরকে জড়িত করে.....

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ...পোস্টটি পড়ার জন্য।

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৫২

মন যাযাবর বলেছেন: আমাদের অনুভুতি ভোতা হয়ে গেছে। এটাও একটা রোগ। পুরো পৃথিবী আজ এই রোগে রোগি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:০৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমাদের অনুভূতি ভোতা হয়ে গিয়েছে বলেইতো ..ঘুমিয়ে থাকা অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। যারা পটিয়ে নাসরীনদের নিয়ে পতিতা বানায়...তাদেরকে ধরতে হবে.....দুইএকজনের হাত পা ভেঙ্গে আইনের কাছে তুলে দিলে এটা কমবে.......। কিন্ত্ সমাজ কথিত পতিতা হয়ে গেলে তাদেরকে ফেরানো কঠিণ

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৪

আহমদ আবদুল হালিম বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা আমাদের মেনে নেয়া ছাড়া কোন পথ অবশিষ্ট নেই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:১১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এখনো আছে ভাই...যেখানে পথ শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে..সেখান হতেই আমরা শুরু করি। আর দেরি নয়.....
অংসখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৮

মুহিব বলেছেন: কঠিন বাস্তব।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:১২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মুহিব ভাই আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এটা কঠিন বাস্তবই বটে!!!!!!

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৫

আমি আমার বলেছেন: কঠিন বাস্তবএর থেকে বের হওয়ার উপায় কি???

"মন যাযাবর বলেছেন: আমাদের অনুভুতি ভোতা হয়ে গেছে। এটাও একটা রোগ। পুরো পৃথিবী আজ এই রোগে রোগি। "সহমত কিন্তু মনে রাখতে হবে এখানেই শেষ নয়

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:১৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর গঠণমূলক মতামতের জন্য। সমাজের জনগণ ইচ্ছা করলে পারে..এর জন্য দরকার শুধু একটা উদ্যোগ। আমাদের সংগঠণের শিশুরা সমাজের ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে সমাজের বড় বড় কর্মকর্তাদের সাথে ডায়ালগ করে। তারা যে প্রতিশুতি দেন সেই কাজগুলো না হলে আবারও করে। তা না হলে শিশু সাংবাদিকগণ তাদের শিশু কন্ঠে তা প্রচার করে। আমরা আমাদের দিক থেকে একজন দালালকেও যদি চিহ্নিত করতে পারি এটাও মন্দ কি????
সামজ তো আমাদের কাছে কিছু চায়......

২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৮

যীশূ বলেছেন: পড়লাম।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:১৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৩২

মহানাম বলেছেন: আসুন, তাদের চিহ্নিত করে সমাজে অপাংক্তেয় ঘোষণা করি যারা রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ পল্লীতে যায় আর দিনের আলোতে লম্বা লম্বা বুলি আওড়ায়। আর ওদের জ্যান্ত কবর দেবার জন্য এগিয়ে আসুন যারা অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নিজেদেরই মা-বোন স্বরূপ মেয়েদেরকে এমন পাপ পংকিল পথে ঠেলে দেয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:২১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সাথে আমি ১০০ ভাগ একমত। আমিও আছি আপনার সাথে বা আপনার আশে আশে........এগিয়ে যান ..জয় হবেই।

আন্তরিক শুভকামনা রইল।

২২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: ব্লগে এত বড় লিখা সাধারণত পড়া হয়না। লিখার স্টাইল ভাল ছিল তাই পুরাটাই পড়লাম। আপনি বা আপনারা যে যাই বলুন না কেন, মেয়েদের পতিতাবৃত্তির জন্য মেয়েরাই ৯০% দায়ী। বাকীটা সমাজ ও সরকার। তারা ইচ্ছা করলে অন্য পেশায় যেতে পারত যেমন অন্য লাখ লাখ মেয়েরা গেছে। আপনি হয়ত জানেননা যারা মিটিং এর পর মিটিং করে তাদের মধ্যেই ওদের খদ্দের লুকায়িত। ওদেররকে পুনর্বাসনের শর্তে পতিতা পল্লী বন্ধ করার প্রশ্ন আসলে খদ্দেরদের নেপথ্য সহযোগীতা নিয়ে মেয়েরাই আন্দোলন করে পতিতালয় চালু রাখার। সুতরাং ছেলেদের দোষদিয়ে লাভ কি?

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৩৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি ভাল লাগার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
ছেলে-মেয়ে উভয়েই প্রথমত মানুষ, দ্বিতীয়ত সে পুরুষ বা নারী। সমাজের কিছু স্বার্থন্বেষী লোক যখন অভাবের সুযোগ নিয়ে চাকরী দেওয়ার নাম করে পতিতা পল্লীতে মেয়েদের বিক্রি করে...এরা কারা??? ইহ্ছা করে কেউ পতিতা হয় নারে ভাই।
একবার যখন কোন না কোন ভাবে এই মেয়েরা পতিতা হয়..সমাজ তাদেরকে অপাংতেয় ঘোষনা করে...তাদের নিকট হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়...তাদের জায়গা কোথায় আপনি বলেন।
আগে রোগ চিহ্নিত করে ...সঠিক রোগের মেডিসিন খেতে হবে তাই না। আমি জানি যারা মিটিংএর পর মিটিং করে....তারাই এই সকল নাসরীনদের নিকট যায়। এতে নাসরীনদের দোষ কোথায়??? এজন্য দরকার তাদেরকে সঠিক মোটিভেষনের ব্যবস্থা করা। তারপর পুনর্বাসন।
এই সকল নাসরীদের মেয়েরা যাতে আর পতিতা না হয় বা না হতে পারে তার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।
আমি কখনোই ছেলেরা দোষ দিচ্ছি না। কারণ যুগে যুগে ছেলেরাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে...এখনও দিচ্ছে। তাই যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন, ছালাম ও শুভকামনা জানাচ্ছি।

২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪১

রাজর্ষী বলেছেন: মেয়েরা পতিতাবৃত্তি করলে সমাজ তাদের ডাকে পতিতা.....ছেলেরা এসব কাজ করলে কেন সমাজ তাদের পতিত বলে ডাকে না???

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৩৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হুমমমমম....। এটাই সমাজের নিয়ম রে ভাই।
পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৩

স্বপ্নরাজ বলেছেন: প্রত্যেক নারীই নির্যাতিত হয়ে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই পেশায় জড়িত হয়ে যায়... এই পথ বন্ধ করার কথা কেউ বলে না... এই পেশা বন্ধ করে দেয়া অবশ্যই জরুরী.. তার আগে এইসব নারীদের কাজ দিয়ে পূনর্বাসন করতে হবে...

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সাথে আমি শতভাগ একমত।
এই সব পতিতাদের মেয়েরা যাতে করে আর পতিতা না হয়, তারা যাতে করে সমাজের অন্য দশটা শিশুদের মত বড় হতে পারে লেখাপড়া করতে পারে....সেই উদ্যোগতো সরকারকেই নিতে হবে।

আন্তরিক শুভকামনা থাকলো...ভাল থাকবেন।

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:১২

আজম মাহমুদ বলেছেন: অনেকের একই গল্প, কিন্তু জীবন একটা নয়। কত জীবনকে এই গল্পের মতো ক্ষয়ে যেতে দেখবে মানব সভ্যতা বলতে পারেন কেউ।

ধন্যবাদ আপনাকে ...

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৪৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা শুধু বলি একই ঘটনার পুণ:রাবৃতি!!!! কিত্নু কেন??? আমরা আমাদের নিজের বোনের প্রটেকশন দেই। আর অন্যজনের দেই না। তারা যে আমাদেরই আপনজন তা আমরা ভেবে দেখি না। আর এই মনমানষিকতাই সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ভাল থাকবেন।

২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:১৪

বিপ্লব কান্তি বলেছেন: সমাজের সেই আদি পেশা। কোন কোন দেশে পুরুষ পতিতা আছে। মেয়ে পতিতা তো সব দেশেই আছে। অনেকেরই পেট চলে এই কাজ করে। কিন্তু এটাকে একটি কাজ হিসেবে মূল্যায়ন করা উচিত। বা কাজই বলা উচিত।

দেহ বিক্রি করা বাড়তেই থাকবে, সমাজ ও সময় যত সামনের দিকে এগোবে। যেমন নাচনেওয়ালীরা রাজা বাদশাহদের হেরেমে থাকত আগে, এখন হিন্দি সিনেমায় নায়িকা হিসেবে থাকে। বিঞ্গাপনে ও কি দেখি ?

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৫২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পুঁজিবাদ এই পেশাকে টিকিয়ে রেখেছে তারই স্বার্থে। আগে সোভেয়েত ইউনিয়নে এই পেশা ছিল না। সকলের ঘরেই সোভা পেত বই আর বই। এখন আর বই দেখা যায় না। পুজিঁবাদ তাদেরকে টেনে বের করে নিয়ে এসেছে, তারা এখন ছড়িয়ে গিয়েছে নানা জায়গায়, নানা দেশে।
আমাদের দেশে, আমাদের সংস্কৃতিতে মেয়েরা ইচ্ছে করেই পতিতা হয় না। এর পেছনে থাকে কারণ। আর ছেলেদেরকেও পতিতা/পতিত বলে ডাকে না।

আপনার গঠণমূলক সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাল থাকবেন।

২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪

ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেলো অনেক।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৫৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মন খারাপ করলে চলবে না রে ভাই। আসুন আমরা কাজ করি তাদের জন্য অথবা তাদের সন্তানদের জন্য। একবার যে পতিতার খাতায় নাম লেখায় তার সমাজের সাভাবিক জীবনে ফেরা সত্যিই কঠিণ।

পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৬

নাজমুল আহমেদ বলেছেন:



কিচ্ছু বলার নাই /:)

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ধন্যবাদ নাজমুল ভাই। শুভকামনা থাকলো। ভাল থাকবেন।

২৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬

নেক্সাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিপুলদা আসুন আমরা সকলে মিলে একসাথে এই নিররতাকে ভেঙ্গে ফেলি। জীবনতো মাত্র একটা...আসুন কিছু করি..আর এর জন্য দরকার সম্মিলিত উদ্যোগ।





...........................

একমত।নিরব থাকার সময় নয় এটা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৫৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। নিরব থাকার আর সময় নেই।

আন্তরিক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।

৩০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩

শ্বেত সওদাগর বলেছেন: মেয়েরা পতিতাবৃত্তি করলে সমাজ তাদের ডাকে পতিতা.....ছেলেরা এসব কাজ করলে কেন সমাজ তাদের পতিত বলে ডাকে না।
কারণ সমাজ নিয়ন্ত্রণ করে ছেলেরা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হুমমমমম...আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।

আন্তরিক শুভকামনা থাকলো। ভাল থাকবেন।

৩১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার স্বচ্ছ সুন্দর সাবলীল লেখাটা পড়ে ভাল লাগল। আমি ওই এলাকারই ছেলে। গোয়ালন্দী একসেন্টগুলো ভালই লিখেছেন।
ভাল থাকবেন- আর যদি সময় হয় ওদের নিয়ে আমার 'নটী' লেখাটা পড়বেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আমি আপনার নটী লেখাটা অবশ্যই পড়বো।
ভাল থাকবেন।

৩২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২৪

ফিরোজ-২ বলেছেন: পনার স্বচ্ছ সুন্দর সাবলীল লেখাটা পড়ে ভাল লাগল।

পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ.....+++

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪১

সোনালীডানা বলেছেন: হুমম...

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ.....হুমমম

৩৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

**অনিন্দিতা রায়** বলেছেন: পড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল, এবং আরো খারাপ লাগল যখন দেখলাম অনেকে মন্তব্যে বলেছেন "এসবের জন্য মেয়েরাই দায়ী" বা "আমাদের এসব মেনে নিতে হবে" ... মানুষের মনোভাব দেখে দুঃখ পেলাম।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সমাজটাই এরকম রে ভাই। সকলের মনমানষিকতা একরকম হয়না। তাই যাদের মনমানষিকতা একরকম নয় তাদেরকে মোটিভেট করার দায়িত্ব আমাদের উপরই বর্তায়।

দিদি আপনাকে আমার হৃদয় নিংরানো অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো।
ভাল থাকবেন।

৩৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১৩

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: একই কাহিনী শুধু চরিত্র বদল। কেন কেন এরা পতিতা এদের যারা পতিতা করলো তাদের কেন পতিত বলে সমাজ চূত্য করি না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:১৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: একই কাহিনী বার বার আসে এবং ভবিষ্যতে আসতেই থাকবে...যদি না আমরা আমাদের দায়িত্বগুলো পালন না করি.........যারা মেয়েদেরকে পতিতা বানায় তাদেরকে চিহ্নিত করে অবশ্যই সমাজ থেকে বের করে দিতে হবে...ওদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে...তাহলে এর ধারাবাহিকতা ধীরে ধীরে কমে আসবে।
আপা আপনি অবাক হবেন, আমাদের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্লাস এইট থেকে ছেলেদের যাত্রা শুরু হয়...পতিতালয়ে, অন্যান্যরাতো আছেনই। কেন তারা পতিতালয়ে যায়??? পরিবারএর সদস্য হিসেবে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। একজন শিশু কাদের সাথে মিশে এর খোঁজ আমাদেরকে নিতে হবে।

পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

৩৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৫৮

মারূফ মনিরুজ্জামান বলেছেন: :(

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:১৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০৭

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আপু আমার কাজ এদের এবং এদের ডানে বায়ে যারা থাকে তাদের নিয়ে।ঙ্গাজ প্রায় ১৭ বছর হতে চলল। অবাক হবার ক্ষমতা অনেক আগে হারিয়েছি বলি কিন্তু এখনও প্রতিদিন নতুন নতুন ঘটনা শুনি আর বারে বারে নতুন করে অবাক হই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনাকে স্বশ্রদ্ধেয় ছালাম। আমাদের যেন অবাক হওয়া ছাড়া কোন কিছু করার নেই। আমি স্কুল /কলেজে পড়ার সময় ওদের কথা কেউ আমার সামনে বললে..তাকে ঘৃনা করতাম...বেশী ঘৃনা করতাম ঐ পতিতা মেয়েদের। কারণ পরিবার থেকেই ওদের বিষয়ে আলোচনা করা নিষিদ্ধ ছিল। এখন ভাবি কেন এরা আসলো...কোন শয়তান এদেরকে এপথে আনলো???সমাজের ভদ্রবেশী কিছু লোক এদেরকে ভোগ করে....আবার বড় বড় কথা বলে বেড়ায়। মনে বড় কষ্টরে বোন ..বড় কষ্ট।
ভাল থাকবেন......অন্তর থেকে বলছি।

৩৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২৫

নাজনীন১ বলেছেন: যতদিন মানুষ সচেতন হতে না পারবে, কিছু শিক্ষা আর দারিদ্র্য বিমোচন না হবে, এটা কিছুতেই বন্ধ করা যাবে না। লক্ষ্য করে দেখুন নাসরীনকে তার বাবা-মা একা রহিমের সাথে ঢাকাইয় আসতে দিয়েছে, তারা ঘুণাক্ষরেও কোন বিপদের কথা চিন্তা করেনি। অথচ এটা বাবা-মাদের ভাবার দরকার ছিল, কেউ একজন সাথে করে আসার দরকার ছিল যে মেয়েটিকে কোথায় চাকরী দেয়া হচ্ছে, কেমন চাকরী......

২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এই দরিদ্র জনগোষ্টিকে সচেতন করার দায়িত্ব আমদেরই। সেদিন একটি পেরেন্টস মিটিং দেখতে দেখতে গিয়েছিলাম। আমি তাদেরকে বললাম, 'আপনার ছেলে,মেয়ে কখন আসে, কখন যায়, কোথায় যায়, কাদের সাথে মিশে? টাকা বেশি খরচ করে কিনা,কখন ঘুম হতে উঠে ইত্যাদি আপনারা কি দেখেন বা লক্ষ্য করেন???? অনেকে বলে আসলেই করি না। এখন হতে করবো'।
আমাদের কাছে প্রমান আছে অনেক ছেলে এডোলেসসেন্ট মেয়েদের সাথে প্রেমের কথা বলে/বিয়ে করে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। যে কারণে আমরা প্রটেকটিভ বিহেভিয়র প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। আমরা মনিটরিং করে দেখেছি যারা এই প্রশিক্ষণ পেয়েছে তারা প্রতারিত হয় নাই।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৩৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪২

স্পর্শহীন কিছুদিন বলেছেন: +++++++++++++

২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ....পোস্টটি পড়ার জন্য
শুভকামনা থাকলো।

৪০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৭

নতুন বলেছেন: জীবন গল্পের চেয়েও জটিল হয়.....


এই সব নি`মম কাহিনি হতে এদের বাচাতে হলে.... সবাই কে এগিয়ে আসতে হবে.... সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে...

আর আমি মনে করি... পতিতা বৃত্তিকে কখনোই বন্ধ করা যাবেনা... কারন এর বিরাট একটা চাহিদা রয়েছে....

তাই আমি একে সমাজে বৈধতা দেবার ব্যপারে একমত....

তাতে যে শ্রম দিচ্ছে তার নিরাপত্তা...নুন্যতম মানবাধিকার...নিচ্ছিত হবে... কারন বত`মান পতিতারা সমাজে মানুষ নয়... ক্ষতিকর ছায়ার মতন জীবনযাপন করে....

২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সাথে ১০০ ভাগ একমত।
একঃ সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা। যাতে কোন বোন পতিতা হতে না পারে
দুইঃ পতিতা হলে তাদেরকে ঘৃনা না করা। তারা অন্য দশটা মানুষের মত যাতে বাঁচতে পারে তার ব্যবস্থা করা।

অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আর এত সুন্দর মতামত উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। ভাল থাকবেন।

৪১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৮

বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: :(
টিপিক্যাল কাহিনী । কিন্তু সত্য ,এবং নির্মম :(

২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কত মেয়ে এভাবে পতিতা হয়েছে তার হিসাব আমরা রাখি না। ভাবতে ভীষণ খারাপ লাগে!!!!যদি একজন নাসরীনকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি বা এখন হতে আমাদের বাসার আশে পাশের মানুষ, আত্মীয়-স্বজন, বা বন্ধুদের যদি বোঝাতে পারি যে কিভাবে নাসরিনরা পতিতা হয়....এডোলেসসেন্টরা কিভাবে সমাজের খারাপ মানুষ দ্বারা প্রভাবিত হয়...তাহলে নিজেকে অন্তত: সান্তনা দেওয়া যাবে যে আমি কিছু করেছি। কারণ...বিন্দু বিন্দু পানি মিলেই তো সাগর।

অনেক ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।

৪২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০০

ত্রেয়া বলেছেন: অনেকের জন্যেই হয়ত গল্পটা এক রকম।
কিন্তু বাস্তবতাও কি নির্মম!!

২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
নাসরীন যখন আমার কাছে ওর জীবনের কিছু দিক তুলে ধরছিল,তখন ও কখনো কাঁদছিল,কখনো হাসছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে,,,,এ যেন হাসি নয়।

পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৪৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫২

ওয়ে অফ লিবার্টি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ

৪৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১৪

টিনটিন` বলেছেন: হৃদয়র্স্পশী।

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হৃদয়স্পর্শীই বটে...ধন্যবাদ, ভাল থাববেন।

৪৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: তাঁদের যাপিত জীবনের একটি গল্প আপনি বলেছেন। এ রকম আরও অনেক গল্প আছে। প্রতিটিই মর্মান্তিক। এবং তথাকথিত সভ্য সমাজের সৃষ্ট।
.......................................................................................
কী খবর আপনার?

০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: তথাকথিত সভ্য সমাজের সৃষ্ট.......আমি একথার সাথে পুরোটাই একমত।

শামীম আমি প্রতি মূহূর্তে নিরন্তর ভাল থাকার চেষ্টা করি মাত্র!

৪৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১০

জূয়ারি বলেছেন: এই গল্প আমাদের বিবেককে অপরাধি করে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। এই গল্প শুধু নাসরীনের নয় এমন হাজারও নাসরীন প্রতিদিন পতিতা হচ্ছে তার খবর আমরা রাখি না।

ধন্যবাদ

৪৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৫

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: সত্যি অনেক মন খারাপ করা নিষ্ঠুর বাস্তবতা। একটা মেয়েও শখ করে এই পেশায় আসে না। কোন না কোন ভাবে তারা বাধ্য হয়। আমাদের চোখে তারা কত নিচ। অথচ তাদের কাস্টোমারেরা সমাজে ঠিকই মাথা উচু করে চলছে। এটা রীতিমত অবিচার। আপনি খুব চমৎকারভাবে অমানবিকতার বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনাকে তাই অনেক সাধুবাদ জানাই।

০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য । আসলে কেউ ইচ্ছা করে এই পেশায় আসে না ---আসতে বাধ্য হয়।

ভাল থাকুন। আপনাকেও সাধুবাদ জানাচ্ছি।

৪৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৬

রাজীব বলেছেন: দুঃখ আমাদের দেশের প্রধান ২ নেত্রী নারী হয়েও কখনো এর বিরুদ্ধে কোন কিছু করেনি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি। ভাই রাজীব পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৪৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৮

সিউল রায়হান বলেছেন: আপু আপনার এই লিখাটা "সেরা বাংলা ব্লগ" হিসেবে নির্বাচনের জন্যে ভোটিং সেকশন @ http://www.thebobs.com লিংকে যেয়ে জমা দিন

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৪৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সিউল ভাই প্রথমত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
আমি ভোটিং সেকশনে গিয়েছিলাম কিন্তু লিখাগুলো এত ছোট যে ফরম পূরণ করা গেল না। আপনার আরো সহযোগিতা কামনা করছি।

ভাল থাকবেন সারা জীবন

৫০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৪

তুষার লাল শাহা বলেছেন: ভালো লাগলো + দিলাম

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

৫১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ব্যাথা পাথর চাপা দেয় এই বুকে আবার একটা ব্যাথা নাড়া দিয়ে উঠলো আপনার এই লেখাটা পড়ে। মাঝে মাঝে নিজের অসহায়ত্ব ঝেড়ে ফেলে লাথ্থি দিয়ে সবকিছু চুরমার করে দিতে ইচ্ছা করে......

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কোন হতাশা নয় ভাই-----সামনের দিকে এগিয়ে যান। ভাল থাকেন সারা জীবন ---এই কামনা রইল

৫২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ইসমাইল মাহমুদ বলেছেন: অাপসোস নাসরিনদের জন্য। লেখাটি ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

৫৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

ইসমাইল মাহমুদ বলেছেন: অাপনাকে এ+ দিতেই হলো সুন্দর এ লেখাটির জণ্য।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনাদের উৎসাহ আমাকে আরো লেখার শক্তিকে বাড়িয়ে দিল। ভালো থাকেন

৫৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩১

রাজু ইসলাম বলেছেন: সুন্ধর লেখনি শক্তি আপনার।।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো

৫৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫০

মাইক্রোস্টেপ বলেছেন: কাঁদার থেকে বেশী কি আর করার আছে!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: একা একা বড় কোন কাজই করা যায় না,,,নিজে থেকে নিজের মত করে একটু শুরু করা যায় মাত্র।
ধন্যবাদ

৫৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩

মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: সকল নাসরিন বোনদের কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমরা তাদের রক্ষা করতে পারি নাই,,,,এটা আমাদেরই ব্যার্থতা। তাই তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কিইবা করার আছে।

৫৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪২

অন্তীম বলেছেন: দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি

১১ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি ---- কিন্তু মানতে ভীষণ কষ্ট হয়। কেন হবে এই পরিণতি। কেন আমরা তাদের রক্ষা করতে পারি না।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

৫৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪৯

মিঠুন বিশ্বাস বলেছেন: ভাল লেগেছে

১১ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ

৫৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:১৮

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আমরা সাধু সমাজের মানূষ গুলো ।গরীভ অসহায় মেয়েদের জীবন এমন করে শেষ করে দিতে পারি । আজ যারা পতিতা তারা এই সাধু সমাজের অংশ তাই এই সমাজে বাস করার অধিকার তাদের আছে যারা ওদেরকে পতিতা হতে বাধ্য করেছে তাদেরকে গৃণা্ করা উছিত ।

১১ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হ্য ভাই,,,,যারা নাসরিনদের মতো মেয়েদেরকে পতিতা হতে বাধ্য করেছে, তাদেরকে ঘৃনা করা উচিত। ধন্যবাদ

৬০| ২৭ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:২৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: সব কাহিনীর পেছনে একটাই অভিশাপ। অভাব। খুব নোংরা একটা জিনিস। পুরো লেখাটা পড়ছি। টিপিক্যাল, আর দশটা কাহিনীর মতোই। তবু কেন যে চোখ ভিজে আসে...

১১ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। নাসরিনদের কাহিনীগুলো সব একই ধরণের। কিন্তু এর গভীরতা অনেক বেশী। তাই তো চোখ ভরা পানি নিজের অজান্তেই গড়িয়ে যায়।
ভাল থাকবেন

৬১| ২৭ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৫২

চারু-চিত্ত বলেছেন:
ব্যর্থ আমরা ।
কিছুই দিতে পারলাম না দেশটাকে ।

১১ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হয়তো আমরা কিছু দিয়েছি......বেশিটা নিচ্ছি,,,,,,,,,,আরো দেব দেশটা দুহাত ভরে,,,,,,
ভাল থাকবেন

৬২| ২৭ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:০৮

কঠিনলজিক বলেছেন: .....ছেলেরা এসব কাজ করলে কেন সমাজ তাদের পতিত বলে ডাকে না???
অন্ততঃ ন্যনুতম বিবেক থাকলেও ছেলেটাকে নিজের কাছে পতিত মনে হবারই কথা।
পর শরিরের স্পর্শ তো স্পর্শই, এক জন টাকা দিল আরেক জন নিল ,একজন পুরুষ আরেক জন মহিলা এই তো পার্থক্য ।
স্পর্শ আর কর্মের বিচারে কি কোনো পার্থক্য আছে?

নিজেকে অসহায় লাগে,চোখের সামনের মানুষের জিবন বিক্রী হয়, আমরা জড় পদার্থের মত ব্যাবহার করি।
ধন্যবাদ একটা সুন্দর পোস্টের জন্য।

১১ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এত সুন্দর করে, এত সহজ করে কঠিণ কথাগুলো বলেছেন,,,,,ভীষণ ভালো লাগলো।
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য

৬৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:০৩

মুসাফির রকস বলেছেন:

পড়লাম এবং জানলাম। তবে স্বাভাবিক জীবনের জন্য এদর নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। পূর্নবাসন নয় সমাজে ফিরিয়ে আনা উচিত। পূর্নবাসন শব্দটা মনে করিয়ে দেয় তাদের অতীত। তেমনি হিজরাদের নিয়েও আলাদা কোন প্রকল্প করা যেতে পারে। আর এনিজ্ওদের টাকা লুটপাট নতুন কিছু নয়। সরকারী একশ্রেনীর কর্মকর্তারাই এর উদ্ধোধক।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সহমত।
সব স্থানেই অসাধু শ্রেণীর লোক থাক। তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া উচিত।
ভাল থাকবেন নিরন্তর

৬৪| ০৯ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০১

হারানোপ্রেম বলেছেন: খুবই কষ্ট লাগল মেয়েটির জন্য। কিন্তু কিছুই করতে পারব না এদের জন্য সমাজ এভাবেই চলবে।

ধন্যবাদ একটা সুন্দর পোস্টের জন্য।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: প্রথমত আন্তরিক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য ।
তারপরও সমাজের কেউ কেউ এগিয়ে আসছে,,,তাদেরকে সচেতন করছে, তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

৬৫| ২০ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:২৯

সুইট টর্চার বলেছেন: মেয়েটি পরিস্হিতীর স্বীকার।তবে সে ইচ্ছে করলে কোন না কোন ভাবে রহিমদের মুখ সমাজে উন্মুচীত করে অন্য আর কোন মেয়ের যেন এমন না হয় সে ব্যাপারে সহয়তা করতে পারত। আর এ বুদ্ধীটা আপনারই দেওয়া উচিত ছিল।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হ্যা মেয়েটি পরিস্থিতির শিকার। আর পরিস্থিতির শিকার হয়েই তারা এই অন্ধকার জগতের বাসিন্দা হয়ে যায়।

রহিমরা সমাজের আনাচে কোনাচে লুকিয়ে আছে, তাদের চিন্হিত করা খুবই কঠিণ কাজ।

৬৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৫

খালিদ হাবিব বলেছেন: মাঝে মধ্যে খেয়ে-পরে ভাল আছি বলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। যদি সমাজে এত অর্থনৈতিক বৈষম্য না থাকত, যদি আমি একটু গরিব হতাম আর নাসরিনের দারিদ্রতা একটু কম হত; তাহলে ওর জীবনটা শুরু না হতেই নষ্ট হয়ে যেতনা।

মোহাম্মদ লোমান সাহেবের যুক্তিটি বুঝতে আমি সম্পূর্ণ অক্ষম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হাবিব ভাই আপনার সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আপনাকে স্যালুট জানাই।
সবার মনমানসিকতা এক রকম হয় না হাবিব ভাই। আর হয় না বলেই কিছু মানুষ সমাজকে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে চায়। আর এখানেই আমাদের কাজ করতে হবে।

ভাল থাকবেন।

৬৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৬

শাহেদ খান বলেছেন: আপু, সেই যেদিন পুরোনো পোস্টগুলো পড়ছিলাম, সেদিনই দেখেছি এটাও।

আমি কী বলব কিছু বুঝতে পারি নি।

হয়তো ধিক্কার দিয়ে কিছু বলতে পারব - কিন্তু ওইটুকুই। কি করব বুঝে উঠতে পারি না। এমন অসহায় লাগে।

জানি না...

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আসলেও আপনি ঠিক বলেছেন,,, এমন এক অবস্থার মধ্যে আছি আমরা যে ইচ্ছা থাকলেও করার কিছু থাকে না ,,,,,,,,, তবু যদি বিন্দুসম তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা যায় ,,,,,,,তাওতো কম কিছু নয়।
ওদের জীবনটা খুবই বিষ আর জ্বালাময়।

ভাল থাকেন নিরন্তর

৬৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

Nahid Parvez বলেছেন: অনেক কষ্ট লাগল। ইচ্ছে করে এই রহিমদের .......
আসলে আমার কোন ক্ষমতা নেই কিছু করার।
আছে শুধু দুই ফোটা চোখের জল........
আর নাসরীনরা ভালো পথে আসার কামনা......।

০৯ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৪৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এই রকম অহরহ হচ্ছে,,,,,,,,,,,আপনি ঠিকই বলেছেন,,,,,,,,,,,,, বুক ফাটা কষ্ট শুধুই ডুকরে ডুকরে ফেরে,,,,,,,,,,,,,,

ভাল থাকবেন

৬৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মন্তব্যের ভাষা জানা নেই।
খুব মন খারাপ হলো।
এ রকম তো অহরহ ই হচ্ছে, পত্রিকায় দেখি।

০৯ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৪২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন দূর্জয় ভাই,,,,,,,,, এরকম অহরহ হচ্ছে। কত মেয়েদের যে ফুসলিয়ে, চাকরী দেওয়ার নাম করে বিক্রি করছে তার খবর কে রাখে???????????

ভাল থাকবেন

৭০| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩৯

দুই দুয়ারী বলেছেন: এইরকমন যে আরও কত কাহিনী আছে... /:)

০৯ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৪৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ঐরকম আরো অনেক কহিনী আছে,,,,,,,, যা চাপা পড়ে আছে।

ভাল থাকবেন

৭১| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০

ডেভিড বলেছেন: নাসরিনদের জন্য সহানুভুতি প্রদর্শন অন্যায়...বরং তার ভাগ্য বিড়ম্বনার জন্য আমরাই কেউ কেউ না দায়ী ভেবে লজ্জা হওয়া উচিত। পোস্টে ++

১৭ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:০৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন

৭২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩৫

মরুভূমি থেকে বলছি বলেছেন: অনেক কষ্ট লাগল
আমার ইচ্ছা তাদের জন্য কিছু করা জানিনা আল্লাহ সেই সুযোগ দিব কিনা।

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে লজ্জিত,,,,,,,,,,,আসলে প্রফেসনাল ব্যস্ততার কারণে ব্লগে অনিয়ত,,,,,,,আসলে বর্তমান পোস্টগুলো হতে ফিরে যাই,,,,,,,,,,,,,

যাই হোক আল্লাহ আপনাকে তাদের জন্য কিছু করার তৌফিক দান করুক,,,,,,,,,,তারা যে মানুষ,,,,,,,,সমাজ তা মানতেই চায় না,,,,,,,,,,,খুবই কঠিণ,,,,,,,,,,

৭৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১৬

১১স্টার বলেছেন: ম্যাডাম আমি সত্যিই দুঃখিত। আপনাকে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি... যদি মন চায় আমার কমেন্ট মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি কি সিডিপিতে (চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রগ্রাম এ কাজ করতেন? আমার একজন আপু ছিলো (আরজু আপু) কেন যেন মনে হলো আপনি ই সেই।

আমি একসময় নারী ও শিশুপাচার প্রতিরোধে কাজ করতাম সেই সূত্রে আপনার কেইচ স্টাডির সাথে আমার অনেক অভিজ্ঞতার মিল আছে।

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে লজ্জিত,,,,,,,,,,,আসলে প্রফেসনাল ব্যস্ততার কারণে ব্লগে অনিয়ত,,,,,,,আসলে বর্তমান পোস্টগুলো হতে ফিরে যাই,,,,,,,,,,,

এ সমস্ত ঘটনা পড়লে বা শুনলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়,,,,,,,আর আমি কখনো সিডিপিতে কাজ করি নাই,,,,কাজ করলে ভালই হতো,,,আপনার সাথে হয়তো দেখা হয়ে যেত,,,,,,,,,,,,,আপনি খুব ভাল একটা প্রজেক্টএ কাজ করতেন,,,,,,,,,,,, এর মাধ্যমে মানুষের জন্য কিছু কাজ করা যায়

শুভকামনা

৭৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৩৭

অবাক মানুষ বলেছেন: অন্যজনের মন্তব্যের সূত্র ধরে লেখাটা পড়লাম। আজ ঘুম থেকে উঠে প্রথম লেখা পড়া। মনটাই খারাপ হয়ে গেল।

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে লজ্জিত,,,,,,,,,,,আসলে প্রফেসনাল ব্যস্ততার কারণে ব্লগে অনিয়ত,,,,,,,ব্লগে আসলেও বর্তমান পোস্টগুলো হতে ফিরে যাই,,,,,,,,,,,,,

মন খারাপতো হওয়ারই কথা,,,,, আর যেন কোন নারী, বোন এভাবে পতিতালয়ে বিক্রি না হয়,,,,,,,,,,,আমাদের সচেতন হতে হবে,,,,,,,,

শুভকামনা

৭৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৮

অপূরণ বলেছেন:

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে লজ্জিত,,,,,,,,,,,আসলে প্রফেসনাল ব্যস্ততার কারণে ব্লগে অনিয়ত,,,,,,,আসলে বর্তমান পোস্টগুলো হতে ফিরে যাই,,,,,,,,,,,,,


আপনি সামগ্রিক দিকসমূহ তুলে ধরেছেন,,,,,,,,,তাদের জীবন যে কতটা কষ্টের তা তাদের সাথে কথা না বললে বোঝা যাবে না,,,,,,,,,,,ভীষণ কষ্ট,,,,,,ভীষণ কষ্ট তাদের জীবন,,,,,,,,,,,,,

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা

৭৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১২

নতুন বলেছেন: সমাজে সব দোষ মেয়ের... মেয়ে পতিতা... যেন নিজে ইচ্ছা করে এই কাজ করে আর পুরুষকে প্রলোভন দেখায়...

পুরুষের কোন দোষ সমাজ দেয়না... কারন সমাজের মাথা পুরুষ...

ঐ পতিতার মনে যে ক্ষোভ আছে পুরুষের প্রতি তার কথা মনে হলে

মাঝে মাঝে লজ্জা লাগে নিজের কাছে...

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সমাজ মনে করে পুরুষ যত অন্যায় করুক না কেন,,,,,,,সেতো পুরুষ,,,,পুরুষ মানুষের কোন অন্যায় গায়ে লাগে না,,,,,,তার কিছু করলেও তা পানির মত শরীর হতে ঝরে যায়,,,,,,,,,,,,
আর নারী !!! যত দোষ ,,, সব নন্দ ঘোষ,,,,,,,,,,,,সব দোষ নারীর,,,,,,,,,,হায়রে নারী,,,,,,,,,,,,সমাজ মনে করে তোমরা লেখা পড়া করলেই কি আর না করলেই কি,,,,,,,,,তোমরা হলে মহিলা,,,,,,,,,,,,,,,,

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

৭৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩০

তুষার আহাসান বলেছেন: পোস্টে ৫৩ তম ভাল লাগা।

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা সব সময়,,,,,,,,,,,,,,,,,,

৭৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

আনোয়ার ভাই বলেছেন: মেয়েদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয় যারা তারা অমানুষ। আমাদের উচিত সমাজের বানানো ওই অসহায় মেয়েদের পাশে থাকা।

৭৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪

বাংলা মায়ের ছেলে বলেছেন: X( X( X(

৮০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৩

shorifulbonoful বলেছেন: আমি লেখা পড়া ভালো জানি না। তবুও আমার স্বাধ্য মতো চেষ্টা করবো,বলুন আমাকে কি করতে হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.