নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে

এলোমেলো ভাবনা সারাক্ষণ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা

I love my country

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কষ্ট মিশে শূন্যে- (পর্ব-২)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

কুয়াশা একটু একটু করে ধোয়াসা হতে শুরু করেছে। গাছপালা ঘন কুয়াশা ঝেরে সূর্যের আদুরে তাপ মাখতে ব্যস্ত সময় পার করছে। যুবক মীরপুর এক নম্বরে একটি বাসায় একজন ছাত্র পড়ায়ে আড়ংএর সামনে এসে দাঁড়ায়। সে লাইটার দিয়ে একটি সিগারেট ধরায়। বাম হাতটা জ্যাকেটের পকেটে ঢুকিয়ে আয়েসী ভঙ্গিমায় সিগারেটে টান দেয়। কুন্ডলী পাকানো ধোয়া ছুড়ে দেয় শূন্যে-। হাত ঘড়ির দিকে তাকায়। নীলা আসবে—নীলা আপা আসবে। নীলা আপার কথা ভাবতেই মনটার ভেতর হাজার তারা ঝিলিমিলি করে। মনের আকাশ জুড়ে রঙ ধুনু উঠে-শিরায় শিরায় রক্তের নাচন তোলে--। মনে হয় নীলা আপার চোখের দিকে তাকিয়ে অনেক কথা বলবো-কিন্তু নীলা আপা কাছে আসলেই সব এলোমেলো হয়ে যায়—কিছুই বলা হয় না-কথা জড়িয়ে যায়, গলা শুকায়ে যায়, পিঠের শিরদাড়াটায় শিরশিরানী শুরু হয়ে যায়, বুকের ভেতর ধ্বপাস ধ্বপাস করতে থাকে—কেন এমন হয়রে মন !
:
নীলা আপাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী। বাবার চাকুরী সুত্রে ছোট বেলা হতেই মীরপুর বাংলা কলেজের অপজিটে সরকারী কোয়ারটারে থাকতো। এখন কল্যানপুরে একটা ফ্ল্যাট কিনেছে, সেখানেই নীলা আপাদের পরিবার থাকে। নীলার বাবা দুই বছর আগে চাকুরী হতে অবসরে গিয়েছেন। নীলা তার চেয়ে চার বছরের বড়। বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী সরকারী কলেজে ইংরেজী বিভাগের লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা করছে। যুবক ভাবতে থাকে-বয়স কোন ফ্যাকটর নয়। মনে মনে মিল থাকলে সব সম্ভব। ভাল লাগার দুই বছরে শুধু দৃষ্টিই বিনিময় হয়েছে। সেই দৃষ্টিতে মনে হয়েছে কত জনম জনমের আপন—শুধু দুজন দজনার। মুখ ফুটে ভালবাসি কথাটা বলতে পারে নাই যুবক কিংবা নীলা।
:
যুবক আরো একটা সিগারেট ধরায়। পায়চারী করতে থাকে। ওহ্! এখনো কেন আসছে না নীলা আপা। মনে পড়ে এই আড়ংয়ের সামনেই নীলা আপার ব্যাগ ধরে টান দিয়েছিল এক ছিনতাইকারী। আমি আর বন্ধু মাসুদ বিড়ি ফুকতিছিলাম। নীলা আপা ব্যাগ টেনে ধরায় ছিনতাইকারী ছুরি চালিয়েছিল নীলা আপার হাতে। আমি দ্রুত দৌড়ে যেয়ে ছিনতাইকারীর হাত হতে ব্যাগ ধরতে গেলেই ছিনতাকারী আমার বাম পায়ে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। আমি ছিনতাইকারীর পেছনে একটা লাত্থি মারি।ছিনতাইকারী দ্রুত গতিতে চলে যায়। আমি তাকিয়ে দেখি নীলা আপার হাত হতে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। নীলা আপা মাটিতে বসে কান্না করছে। মাসুদ আমাদের দুইজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল হতে ফিরার পথে নীলা আপার হাতে ব্যাগ তুলে দেই। আহা ঐ দিনের ঘটনা না ঘটলে নীলা আপাকে পেতাম কোথায়রে মন ! যুবক আরো একটি সিগারেট ধরায়। পায়চারী করতে থাকে। তার কাছে এত অপেক্ষা ভাল লাগে না।
:
যুবক সামনের দিকে তাকাতেই খেয়াল করে নীলা অলস ভঙ্গিতে হেটে আসছে তারই দিকে--। যুবকের হাত পা যেন ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, বুকের ভেতরটা ১০০ মাইল বেগে ধ্বপাস ধ্বাপাস করছে। সে সাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মন যেন তার কথা শুনছে না। মনটা ইদানিং ভীষণ বাগড়া দিয়ে চলে। আবার নীলার দিকে তাকায়। সে তারাতারি হাতের সিগারেট জুতার নীচে ফেলে ঘষতে থাকে। যুবক খেয়াল করে নীলা আজ নীল শাড়ি পরেছে। নীল শাড়ীর সাথে ম্যাচিং করে চাদর, ব্যাগ, স্যান্ডেল পরেছে। শাড়ীর চেয়ে একটু হালকা কালারের হিজাব দিয়ে আর্টিস্টিক ভঙ্গিতে মাথাকে মুড়িয়েছে। রাহাতের মনে হচ্ছে যেন উজ্জল শ্যামলা রঙের কোন নীল পরী মাটিতে নেমে এসেছে। নীল পরীর হাতে ধরা বড় একটি শপিং ব্যাগ।
:
যুবক হালকা তোতলাতে তোতলাতে বলে, নী-লা আ-পা! আসসালামু আলাইকুম
নীলা শান্তভাবে বলে “ওয়া আলাইকুমুস সালাম”। রাহাত কেমন আছ? সরি একটু দেরী হয়ে গেল।
না-না নীলা আপা। এ আর কে-ম-ন দে-রী । মনে মনে বলে ওহে নীল পরী ! আমি তোমার জন্য অনন্ত কাল অপেক্ষা করবো।
রাহাত চল আড়ংএ যাব।
নীলা রাহাতের জন্য ধবধবে সাদা একটি পাঞ্জাবী পছন্দ করে।
রাহাতের ভীষণ লজ্জা করে। নীলা আপা! আপনি আমার জন্য এত খরচ কেন করছেন।
নীলা মুচকি হাসে। রাহাতের কাছে মনে হয় এই হাসি জগতের আর কেউ দিতে পারবে না। এ হাসি শুধু তার নীলাই দিতে পারে।
নীলা বলে চল রাহাত এবার Xinxian রেস্টুরেন্টে যাব।
রাহাতের চেয়ে বাধ্য ছেলে যেন আর একটাও নেই। নীলার সব কথাতেই আজ সায় দিচ্ছে রাহাত।
নীলা একটা সিএসজি ডাকে। সিএনজিতে উঠে বসে দুজন। সিএনজি রাস্তা ভেদ করে ছুটে চলছে নিদিষ্ট গন্তব্যে। হিম শীতল বাতাস রসিকতা করে ঠান্ডার পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। আকাশটাকে আজ বড় উদার মনে হচ্ছে। এখন তার সবকিছু বড়ই মধুময় লাগছে। ভাললাগাগুলো আজ যেন শিরায় শিরায় প্রবাহিত হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব ভাল লাগার সম্রাট যেন রাহাত খান। তার মনে হচ্ছে এই পথ চলা যদি আর কোন দিন শেষ না হতো তাহলে কতই না ভাল হতো।
সিএনজি ড্রাইভার এবার ঝাকুনি দিয়ে Xinxian রেস্টুরেন্টের গেটে থামে। নীলা জোর করেই সিএনজির ভাড়া দিয়ে দেয়।
:
নীলা পছন্দমত খাবারের অর্ডার দেয়। নীলা আর রাহাত মুখোমুখি বসেছে।
রাহাত আমি অস্ট্রেলিয়ায় একটা স্কলারশীপের চেষ্টা করছি। হয়তো অল্প কয়েক মাসের মধ্যে হয়ে যেতে পারে।
রাহাত মুখে বলে, এতো আনন্দের কথা নীলা আপা। আমি খু-উ-বই খুশি হয়েছি। কিন্তু ভিতরে ভিতরে এক রাশ শূন্যতা গ্রাস করে। মনে হয় নীলা আপাকে ছাড়া সব কিছুই যেন শূন্য। রাহাতের একটা সিগারেট খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। একটু গাঁজা হলে আরো ভালো হতো। মুখের ভিতরটা তেতো লাগছে--। রাহাত জোড় করে হাসার চেষ্টা করে।
নীলা ডাগর চোখে রাহাতের চোখের দিকে তাকায়। রাহাতের মনের ভেতরটা ভালোলাগার আলোড়ন চলে। নীলা আপা আমার দিকে ওমন মায়াময় শান্তভাবে তাকালেই মনে হয় আমার ভেতরের সব অলিগলি দেখে ফেলে, সব না বলা কথাগুলো বুঝে ফেলে।
নীলা বলে, রাহাত তোমার মনে আছে, এই দিনেই আড়ংএর সামনে হতে অনেক বড় বিপদের হাত হতে আল্লাহর রহমতে তুমি আমাকে রক্ষা করেছিলে। এই দিনটি আমি ভুলি নাই। আর ভুলতে চাইয়ো না।
জী নীলা আপা। আমার মনে আছে। খুউব মনে আছে।
শোন তোমাকে কয়েকটি কথা বলবো।
জী বলেন আপা।
তুমি গাজা আর সিগারেট স্মোক করা এখন হতে কমিয়ে দিবে। রোজ কমাতে কমাতে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসবে। পারবে তো !
খুবই সুবত ছেলের মত মাথাকে ডান দিকে হেলিয়ে বলে জী, চেষ্টা করবো নীলা আপা।
খুবই শান্ত এবং কঠিনভাবে নীলা বলে, চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। রাতের অন্ধকার ভেধ করেই কিন্তু দিনের আলো ফুটে ওঠে । জীবন ছোট-কিন্তু খুবই সুন্দর। তুমি যদি অসুন্দরের মাঝে ডুব দিতে চেষ্টা কর তবে তুমি সেদিকেই যাবে। আর সুন্দরের দিকে যেতে চাইলে আল্লাহ তোমাকে সেদিকেই নিয়ে যাবে। আর সুন্দরের দিকে আসতে চাইলে কঠিণ মনের জোর আর একইসাথে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। যার বলে তুমি সুন্দরের মাঝে ডুব দিতে পারবে। আমি তোমাকে জোড় করবো না। তুমি বুদ্ধিমান সুপুরুষ।
রাহাত ঘাড় নেড়ে বলে, জী নীলা আপা ! আমি চেষ্টা করবো। মনে মনে বলে, আমার পরাণ পাখি ! তোমার জন্য আমি পাহাড় হতে লাফিয়ে নীচে পরবো, সমুদ্রে ঝাপ দিব-তোমার জন্য আমি জানটাই দিয়ে দিব।
:
নীলা এবার বড় শপিং ব্যাগ এবং আড়ং হতে কেনা পাঞ্চাবীর ব্যাগটা রাহাতের দিকে এগিয়ে দেয়। বলে, রাহাত তোমার জন্য আমার পক্ষ হতে উপহার। বিসিএস পাশ করলাম, চাকরী করছি, অথচ তোমাকে আমি কোন দিনই একটা গিফটও দেই নাই।
:
ইতোস্তত হয়ে রাহাত ব্যাগ দুটি ধরে।
রাহাত বলে, নীলা আপা, এটার দরকার ছিল না।
নীলা বলে, তুমি দেখ কি আছে ব্যাগের ভিতর।
রাহাত ব্যাগ খুলে। তাতে একটি জ্যাকেট, একটি সুন্দর হাত ঘড়ি, একটি iPhone 15 Pro Max, দুটো টি শার্ট আর দুটো ফুল হাতা শার্ট, একটি অর্থসহ কোরআন শরীফ। আর আড়ং হতে ক্রয় করা সাদা পাঞ্জাবী।
নীলা আপা ! না-না এটা কি করেছেন। এ যে অনেক দামী সব জিনিসপত্র। আ-প-নি ---। না-না নীলা আপা, আমি এসব নিতে পারবো না। আমি থাকি মেসে। এসব দামী জিনিস আমি রাখবো কোথায় !
নীলা এবার রাহাতের চোখের দিকে শান্ত ভঙ্গিতে তাকায়। বলে, আমার বড় আপা অস্ট্রেলিয়া থাকে। আপা আমাকে আইফোন পাঠিয়েছে। আমার এত দামী মোবাইলের দরকার হয় না। তাই ভাবলাম তোমাকেই দেই। আর বাকী জিনিসগুলো তোমার জন্য খুবই পছন্দ করে কিনেছি।
রাহাত ভাবে এত সুন্দর করে কিভাবে কথা বলে নীলা আপা। প্রতিটি কথাতেই কঠিন যুক্তি থাকে। রাহাত নীলার দিকে তাকায়। নীলার চোখে রাহাতের চোখ যেন ডুবে যায়। সেখানে হাজারো ভালোলাগার ঢেউ তীব্র গতিতে ছুটে আসে বালুকাবেলায় —
:
নীলা বলে, আমার একটা অনুরোধ থাকবে, সেটা হলো সময় পেলেই এই অর্থসহ কোরআন শরীফ তুমি পড়িও। এমবিএ পরীক্ষা দেয়ার পর বিসিএস দেয়ার জন্য প্রাণপণ পড়। সাথে অন্য চাকরীর চেষ্টা করিও। মানুষতো স্বপ্ন দেখে, আর স্বপ্নটা বাস্তবে পরিণত করার জন্য লাড়াইও করে।
:
রাহাত ছোট্ট শিশুর মত মাথা নাড়ে। রাহাত ভাবে এবার আমি সত্যিই ভালো হয়ে যাব। বন্ধুদের গাজার আসরে আর যাব না। রাহাতের মোবাইল ফোনটা বেজে ওঠে। গলা নীচু করে বলে, কী বল মাসুদ। তোকে ফোন ক-রে---। মাসুদ আমি একটু ব্যস্ত আছি—তোর সাথে একটু পরে কথা বলবো।
খাবার খাওয়া শেষ হলে নীলা বলে আমি আগামীকাল রাজশাহী চলে যাচ্ছি। আবার রাহাতের ফোনটা বেজে ওঠে—রাহাত এবার একটু দৃঢ় ও কঠিন স্বরে বলে মাসুদ তোকে বলেছি যে আমি একটু পরে তোর সাথে কথা বলছি--- রাহাত লাইনটা কেটে দেয় ---
নীলা বলে, কোন সমস্যা রাহাত।
না-না নীলা আপা। সব ঠিক আছে। মনে মনে বলে ঐ ব্যাটা মাসুদ, তোর কি কোন কান্ড জ্ঞান নেই মূর্খ কোথাকার। আমার মধুময় সময়েকে বিষ ঢেলে দিতে কল করেছিস!
রাহাত বলে, নীলা আপা ! আপনার সাথে আবার কবে দেখা হবে।
নীলা মিষ্টি হেসে বলে তোমার কমার্স কলেজের অধ্যায় শেষ কর— তিন মাসের মধ্যে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ-
নীলা একটা রিক্সায় উঠে। হাত নেড়ে বলে- আসি।
রাহাত কোন কথা বলতে পারে না। রাহাতের কান্না পাচ্ছে। মনে হচ্ছে, দৌড়ে রিক্সায় নীলার পাশে যেয়ে বসি-আনমনে একটা সিগারেট ধরায়। সিগারেটে দুটো টান দেয়। এবার আবার মোবাইলটা বেজে ওঠে—রাহাত মোবাইলটা ধরে।
মাসুদ বলে, ওই শালা ! তুই কি করিস ! তুই শালা পিরিত করতিছিস? তোর কাছে থাকলে তোর পাছায় এতক্ষণ জোরসে একখান লাত্থি মারতাম, শা-লা। ওদিকে তোর বোনকে এখন ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য এ্যাম্বুলেন্স প্রায় ১ ঘন্টা আগে সাটুরিয়া হতে ছেড়েছে ।তোরে মোবাইলে না পাইয়া তোর ছোট ভাই আমারে ফোন দিছিলো। তোর পিরিত এখন শেষ হইছে ?
এবার রাহাতের মাথাটা ঝিমঝিম করতে থাকে। দুইহাত দিয়ে মাথার চুলগুলো টেনে ধরে। বুলেটের কথা মনে হয়---রাহাতের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়, চোখ দুটি লাল হয়ে যায়, হাতের জলন্ত সিগারেট পায়ের নীচে ফেলে দুটি ঘষা দেয়। বাবাকে ফোন দেয় রাহাত। ও প্রান্ত হতে কান্নার আওয়াজ—ঢাকা মেডিকেলে আর আর প্রায় ১ ঘন্টার মধ্যেই এম্বুলেন্স পৌছে যাবে –রাহাত জোরে চিৎকার করে একটা সিএনজি ডাকে-এক লাফে সিএনজিতে ওঠে—বলে চিরিয়াখানা রোডে যাও। বাসার দরজা খুলে ব্যাগগুলো রাখে। ড্রয়ার খুলে কিছু টাকা নিয়ে দরজা বন্ধ করে। সিএনজিতে উঠে বলে ঢাকা মেডেক্যালে যান, জোরসে চালান, অতি জোরে—। এবার একটা সিগারেট ধরায়-সিগারেটে জোরে জোরে টান দিতে থাকে, ধোয়ায় ভরিয়ে দেয় সিএনজির ফাঁকা স্থান ---
:
-- চলবে--
:
নোট: আপনাদের ইতিবাচক পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।
:
আগের পর্ব-
কষ্ট মিশে শূন্যে- (পর্ব-১)
:
লায়লা
২৫ জানুয়ারী,২০২৪

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

মায়াস্পর্শ বলেছেন: লিখে যান

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: উৎসাহ দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম পর্বটা পড়া হয়নি আপা। পড়ে এসে মন্তব্য করব ...

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সময় হলে পড়বেন। আপনার গঠণমূলক ফিডব্যাক পেলে লিখতে সুবিধা হবে। শুভকামনা রইলো।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

জীবন তো এমনই।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: জন্ম হতে মৃত্যু অবধি সময়ে মানুষকে কত ঘাত -প্রতিঘাত, আনন্দ-বেদনা, নানা ধরণের চ্যালেন্জের মধ্যে দিয়ে পার করতে হয়। জীবনের সময় কত অল্প-- হায়রে জীবন।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

এম ডি মুসা বলেছেন: যারা গল্প লেখে বলতে হবে ওদের ধৈর্য্য আছে! আমার ধৈর্য্য কম! গল্প লেখার ইচ্ছা হলেও পারি না
নিজের ধৈর্য না থাকলে কি হবে, ধৈর্য্যশালী মানুষের আমি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা ভালো লাগা... সব সময় কাজ করে

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মুসা ভাই ! আপনি কিন্তু চমৎকার কবিতা লিখেন। চাকুরীর ব্যস্ততার কারণে তেমন একটা সময় পাই না। তারপরও একটু আধটু চেষ্টা চালিয়ে যাই।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো সব সময়ের জন্য ------

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।
বাস্তব গল্প।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভাই ! গল্পের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মানুষ বাস্তবতার নিরিখে গল্প লেখে, আমি তাই লিখতে চেষ্টা করছি-কিন্তু এটা বাস্তব নয়----
শুভকামনা রইলো।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: লিখতে থাকুন। কিছু বানান ভুল আছে, একটু ঠিক করে নিবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ঠিক আছে, বানানের প্রতি যত্মশীল হবো। গল্পের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভাকামনা রইলো।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: চমৎকার হচ্ছে। লিখতে থাকুন নিয়মিত। শুভ কামনা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দাদা ! উৎসাহিত হলাম। আপনার কথায় একটু সাহসও বেড়েছে।
গল্পের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধারা বর্ণনাতে যদিও কোথাও কোথাও একটু গতি দিয়েছেন। তবে সেটিং আর মোড় গল্পটিকে আরো ভাল করেছে। গল্পের সাথে আছি। ভালো থাকবেন শুভ কামনা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুজন ভাই ! গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য এবং একই সাথে গল্পের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। সব সময়ের জন্য শুভকামনা রইলো।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবগুলো পর্ব না পড়ে তো কোন পরামর্শ দেয়া যাবে না। আর কতোগুলো পর্ব হবে?

নোট: আপনাদের ইতিবাচক পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে। দুই/একটা পরামর্শ যদি কিঞ্চিৎ নেতিবাচক হয় তাহলে কি চেপে যাবো? :P

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: গল্পের চরিত্রের প্রয়োজনে আরো পথ যেতে হবে ভাই। তবে আরো কত পর্ব লিখবো তা এখনো বলতে পারছি না।
অনেকে খুবই কঠিণভাবে কথা বলে ফিডব্যাক দেয়--অনেক সময় সেটা গ্রহণ করতে ইচ্ছা হয় না। কিন্তু যদি নেতিবাচক কথাটা একটু ঘুরিয়ে পজিটিভ করে দেয়া যায় তবে তা সহজেই গ্রহণ করতে ভাল লাগে। যে কারণেই আমি ” ইতিবাচক” শব্দটা লিখেছি। অবশ্যই আপনার নিকট হতে ফিডব্যাক আশা করছি।
শুভকামনা রইলো নিরন্তর।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২

বিজন রয় বলেছেন: ভালো লাগছে আপা, এটা কি অনেক বড়?
কত পর্বের হবে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: প্রথমত দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত দাদা। গল্পের পর্বের সংখ্যা বেশ কয়েকটা হবে। তবে এখনো বলতে পারছি না দাদ। পরিস্থিতিই বলে দিবে --গল্পটা কোন দিকে মোড় নিবে। তবে গল্পটা বেশ বড় হবে।
শুভকামনা রইলো দাদা।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

কালো যাদুকর বলেছেন: খুজছিলাম আজ একসাথে ৩টি পর্ব পেলাম। বেশ ক্লাইমেক্স হয়েছে। দেখি এর পরে কি হয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভাই ! আপনি লেখাটি পড়েছেন জেনে ভীষণ আনন্দিত হলাম। পাশে থাকিয়েন--- । শুভকামনা রইলো নিরন্তর।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা বেশ ভালো লাগলো। শেষটা দারুণ টানটান উত্তেজনায় শেষ হলো।+

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দাদা ! উৎসাহিত হলাম। শুভকামনা রইলো প্রিয় দাদা।

১৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ানেক ভালো লাগলো আপু

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপু ! আপনাকে অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা পাঠিয়ে দিলাম।

১৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৮

ফাওয়াজ বাংলা বলেছেন: সুন্দর

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভাই ! লেখাটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.