নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখি তাতেই আশ্চার্যনিত হই!!

লাল চাঁন

[email protected]

লাল চাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্র্যান্ডিং ও আমাদের দেশীয় পণ্য (৫)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

গত পর্বের পর ব্র্যান্ডিং ও আমাদের দেশীয় পণ্য (৪)

চতুর্থ ধাপ : ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতামত নিয়ে এবার বাজেট তৈরী করে ফেলুন । বাজেট পূর্বে একটা ফোরক্যাস্ট তৈরী করুন মানে মাসিক/বাৎসরিক কত সেলস্ করবেন, গত বছর কত সেলস্ ছিল এবং এ বছর কত পার্সেন্ট সেলস্ বেশি করবেন ইত্যাদি এবং প্রতি প্রোডাক্টে কত বিজ্ঞাপন খরচ করবেন। মনে রাখবেন আপনার বিজ্ঞাপন খরচ ছাড়াও প্রোডাকশন খরচ, বেতন, ট্র্যান্সপোর্ট সহ যাবতীয় খরচ প্রোডাক্টে অর্ন্তভূক্ত থাকে। আপনার বাজেটটি তৈরী করতে সেলস্ এর হেড থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। প্রোডাক্ট ভেদে ১০ পয়সা থেকে হাজার টাকাও প্রতি প্রোডাক্টে বাজেট থাকতে পারে। আপনার দূরদর্শিতাই একটি ভালো মানের বাজেট তৈরী হতে পারে। অনেক প্রতিষ্ঠান মাসিক বাজেটও চাইতে পারে, সেটা বেশ কঠিন কাজ তবে মাথা ঠান্ডা রেখে উপস্থাপন করতে হবে ( আমিও একটি কোম্পানীতে থাকাকালীন মাসিক বাজেট দিতে হয়েছিল) বাজেট তৈরীর সময় এটিএল, বিটিএল, টিটিএল,মোটিভিশন এবং ক্রিয়েটিভ বাজেটে লক্ষ্য রাখুন

পঞ্চম ধাপ : আপনার প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী বাজেট খরচের স্টেপ নিন। ধরুন আপনি সেলস্ হেড এর অধীনে আছেন সেক্ষেত্রে ওনার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী/ রিকুইজিশন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার চিন্তা ধারার সাথে মিলবে না তবে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আবার আপনি যদি ডিরেক্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করেন তাহলে বাজেট ফলো করে কাজ করে যেতে পারবেন মানে স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। দুটি ক্ষেত্রেই সুবিধা অসুবিধা আছে। ধরুন হেড অব সেলস্ এর অধীনে কাজ করে কোন আইডিয়া ফ্লপ হলো সেক্ষেত্রে আপনার লাইবেলিটি কম। আপনার অধিনে ফ্লপ হলে চাকুরী যাওয়ার সম্ভবনা ১০০ ভাগ। দেশের একটি বড় প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে ব্র্যান্ড বাজেট কোন ব্যাপারই না তবে ফ্লপ হলো পুরো সেলস্ এবং ব্র্যান্ড টিমের চাকুরী নাই বা অন্য প্রোডাক্টে ট্রান্সফার।ধরণ অনুযায়ী এগিয়ে যান এবং তৈরী করুন প্রোপার বাজেট। নোট আকারে উপস্থাপন করুন এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে দিয়ে পাশ করিয়ে নিন।

ষষ্ঠ ধাপ : বাজেট অনুযায়ী এবং সেলস্ এর পিক ও অফ পিক সিজন অনুযায়ী খরচ করুন। অফ পিক সিজনে বিজ্ঞাপন খরচ বেশি করা দরকার কারন ঐ সময় প্রোডক্ট কম চলে তাই ক্রেতা ভেড়াতে মনযোগ আকর্ষন দরকার। অনেক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আবার অন্য ধারণা পোষন করেন তারা মনে করেন পিক সিজনে সেলস্ বেশী হয় তাই তখন বিজ্ঞাপন দিলে ক্রেতা ক্রয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সর্বোপরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনাকে আগাতে হবে। আমাদের বেশিরভাগ দেশীয় কোম্পানিগুলো তাদের ব্র্যান্ড বাজেট খরচ করতে পারে না নানা প্রতিকূলতার জন্য। আপনাকে ধৈয্য ধরতে হবে এবং একের পর এক আইডিয়া শেয়ার করে যাবেন। মনে রাখবেন ব্র্যান্ডিং যত হবে আপনার সুনামও চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং জব স্কোপও তৈরী হবে।
চলবে......
বিঃদ্রঃ টিটিএল নিয়ে বিস্তারিত লিখবো, উপরের লিংকে এটিএল, বিটিএল, মোটিভিশন, ট্রেড প্রোমোশন ও ক্রিয়েটিভ এর বর্ণনা দেয়া আছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

বিজন রয় বলেছেন: আপনার খবর কি?

নতুন পোস্ট দিন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

লাল চাঁন বলেছেন: আমি ভালো আছি, আমার পোষ্টে কেউ উপকৃত হচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না! তাছাড়া এ বিষয়ে আমার অতি সাধারন জ্ঞান , লেখা ঠিক হচ্ছে কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.