নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য রজনী

কি লিখি !

আরব্য রজনী

আরব্য রজনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানি কোন লাভ নেই। তবুও..................

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

# ফেসবুক বা ব্লগ, বা পত্রিকার comment অংশে লিখে কি কোন লাভ হয়?
বা টকশো গুলতে কথা বলে?
-নাহ... লাভ হয় না।
# তবুও কেন লিখি?
- লেখার একটা কারন হল মনের ক্ষোভ গুলো প্রকাশ করা। আমাদের ভালোবাসার দেশটাকে যারা কেড়ে ছিরে খেয়ে ফেলতেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাধারন মানুষ রীতিমত অসহায়। আমরা দল করি না। কিন্তু আমাদের কোন না কোন রাজনৈতিক বিশ্বাস আছে। তবে, তারচেও বড় কথা, আমরা দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই। দেশের মানুষের মুখে হাসি দেখতে চাই। তাদেরকে নিপীড়িত হতে দেখতে চাই না।
অথচ, বাস্তবতা ঠিক বিপরীত। আমাদের চারিদিকে শুধু অন্যায়, অনাচার, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস। দানবেরা রাস্ট্র ক্ষমতায় অধিস্টিত। এদিকে প্রাক্তন দানবেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া। এই দুইয়ের কচলানিতে আমাদের প্রান নিয়ে বাঁচাই দায়।
দেশে সতিকার অর্থে কোন leadership নেই। আমাদের কোন vision ও নেই। টেলিভিশয় গুলোও সরকার নামক দানবের কবলে পরে নিরপেক্ষতা, বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। প্রতিদিনিই যেন আমরা অন্ধকার থেকে আর নিকষ-কালো অন্ধকারের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি।
আশংকা, আতংক আজ আমাদের সুস্বপ্নের মত তাড়া করে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে সিরিয়া, লেবানন বা কোন জুদ্ধ-বিদ্ধস্ত আফ্রিকান দেশ। মনে হয়, আমরাও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এক বিভক্ত জাতি রক্তক্ষয়ী ভবিষ্যতের আশংকায় দিন গুনছে।
কোন আশার আলো নেই। কোন সমাধানের পথ নেই।
চারিদিকে শুধু মিথ্যে আর মিথ্যে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জ ভাবে মিথ্যে কথা বলে। তার পর আবার খিক-খিক করে হাসে। অবিশ্বাস্য লাগে। নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। বিমূর হয়ে যাই।
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। খালেদা জিয়া তার নেতা। তারেক সে দলের কাণ্ডারি। কিন্তু কোথায় যেন তারা খেই হারিয়ে ফেলেছে। তারা যতই বলুক পেট্রল-বোমা তারা মারে না, সেটা বিশ্বাস করা যায় না। ক্ষমতায় থেকে এই দলের প্রধান নেতারা শুধু টাকাই বানিয়েছে। দলের ভেতরে তৈরি করেছে এক ভীষণ অনৈক্য। শোনা যায়, তারেকের সাথে দলের বেশিভাগ সিনিয়র নেতাদের বিরোধ ছিল চরমে। তারেক নাকি অনেকের সাথেই ভীষণ দুরব্যাবহার করত। হঠকারী সিধান্ত নিত। হাওয়া ভবনের দুর্নীতির গল্প আকাশে বাতাসে ভাসতে থাকে। প্রবল বিএনপি ভক্ত হয়ত বলবেন, সব আওয়ামী প্রোপাগান্ডা। কিন্তু, যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে। তারেকের বাবা জিয়া। আমরা বলি শহীদ জিয়া। কই, তার বিরুদ্ধে তো কেউ দুর্নীতির অভিযোগ তোলে না। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যাবহার করে প্রশাসনে তারেক ও তার সঙ্গী সাথীরা যথেষ্ট অপকর্ম করেছে। তারেক শুধু দলকে দুর্বল করেছে। তাকে দেখে সব সময় over-confident মনে হত। কিন্তু সে ভুলে গেছে, বিপদে পরলে, হাসিনাকে হয়ত ইন্ডিয়া ব্যাকিং দেবে, কিন্তু তাকে ব্যাকিং দেয়ার মত কেউ নেই। সে ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রবল সম্ভাবনাময়য় ছিল তারেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। সেটা কিভাবে ধ্বংস হয়ে গেল। বিএনপিতে কি পরিমানে ক্ষোভ থাকতে পারে একটু ভেবে দেখুন। যেদিন বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ল, সে দিনই সে দলের অনেক গুলো এম্পি দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল। বিএনপির ভাঙনের আনুষ্ঠানিক শুরু সেটাই। যদিও আগেই বি. চৌধুরী, তার ছেলে এবং আরও কয়েকজন নেতা দল থেকে বেরিয়ে জানান দিয়েছিল, বিএনপিতে পচন শুরু হয়ে গেছে।
আমরা সাধারন মানুষ কি করব! কোথায় গিয়ে করব প্রতিবাদ ? আমাদেরতো কোন জায়গা নেই কথা বলার। কাজেই মনের সমস্ত ক্ষোভ ঢেলে দিই এই Computer Keyboard দিয়ে।
জানি কোন লাভ নেই। তবুও..................

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১২

রাকীব হাসান বলেছেন: হমমমমমম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.