![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কি তা আমি নিজেই জানি না ! হয়তো ঘাস কিংবা কাঁচপোকা কিংবা কিছু অন্য গল্পের অন্য রাজ্য
মন খারাপ থাকলে ফুলগাছ একদম বিরক্ত লাগে শোভনের , অথচ ছাদের ফুলগাছগুলো সবই তার লাগানো । ছাদে উঠেই একটা টবে খুব জোরে একটা লাথি বসালো সে !
হঠাৎ মন খুব খারাপ হয়ে গেছে তাই সে ছাদে এসেছে চাঁদের বুড়ি কে নালিশ করতে
কারনটাও খুব অদ্ভুত ফোনবুকে একটা নম্বর বের করতে যেয়ে আচমকা মায়ার ফোন নম্বরটা চোখে পড়ায় এই বিপত্তি !
মায়াটা কি আসলেই খুব অদ্ভুত রকমের একটা মেয়ে, সেটাই ভাবছে শোভন ।
ঠিক বুঝতে পারছে না শোভন !
আসলেই কি খুব অদ্ভুত মায়া ? নাকি শোভন মায়াকে কোনোদিন বুঝতেই পারেনি অথবা বোঝাতেই পারেনি তার অসীম ভালবাসা ।
মায়াটা হয়তো জানেই না, কতো অশ্রু জমা আছে- মায়ার জন্য শোভনের ।
অথবা কতো হাসিই না ভাবনায় বন্দী আছে !
মনে মনে মায়ার জন্য আঁকা কতো ছবিই না আছে ।
মনে মনে আঁকা বলেই ছবিটাকে শুধরে নেয়া যায় !
কতবার যে ভাবনায় আঁকা মায়ার ছবিতে ইরেজার ঘুরিয়েছে শোভন তারও হিসেব নেই !
মায়া তো তার কথার ফুলঝুরি, মায়াই তার ছবির হাট কিংবা আষাঢ়ে গল্পের মতো অদ্ভুত ভাবনা !
মায়া তাহলে আসলেই মায়াবিনী ।
চাঁদের বুড়ির সাথে বিড়বিড় করে বকে যাচ্ছে শোভন !
চাঁদের বুড়িকে সবাই নালিশ দেয় , সে কারনেই মায়া ও মাঝে মাঝে চাঁদ দ্যাখে!
শোভনের কথাও চলে আসে ভাবনা ভেলায় তখন, শোভন পাগলটা জোছনা হলেই মায়াকে এস.এম.এস. করতো
মাঝে মাঝে মায়া নিজেকে খুব স্বার্থপর ভাবে,
শোভন কোনোদিন মুখফুটে না বললেও মায়া হাড়ে হাড়ে জানতো শোভনটা ওকে অনেক বেশী ভালোবাসে ।
মায়া তাদের ঘনিষ্ঠতার আগে যেসব কথা ভাবেনি, খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর তার সেসব ভাবনা ভর করে ।
ভাবনাগুলোও খুব অদ্ভুত
সেম ইয়ারের ছেলেদের সাথে নাকি প্রেম করা যায় না, বাসায় সমস্যা হয় ।
যদি বাসায় মেনেও নেয়, তবে নাকি বিবাহিত জীবনে শুধু ঝগড়া হয়
এটা ওটা নিয়ে সবসময় টুকটাক লেগেই থাকে ।
মাঝে মাঝে মায়ার একটা কথা খুব মনে হয় , সে একদিন শোভন কে বলেছিল “শোভন নাকি খুব আবেগি, শোভন বাস্তবতার কিছুই চেনে না”
শোভন সে কথা শুনে চুপ করে ভেবেছিল, মায়া দিন দিন খুব বাস্তববাদী হয়ে যাচ্ছে ।
আসলেই আবেগ আর বাস্তবতার মালার দু প্রান্তের দুটি ফুল শোভন আর মায়া । যে মালায় এখনো কোন গিঁট দেয়া হয়নি, পড়ে থাকা মালার মতো অন্তহীন স্থবির জীবন দুজনার
আগের মতো আর দেখাও হয়না, কথাও হয়না তাদের
মায়া আর শোভন
অদ্ভুত দুটি ফুল
আর তাদের নালিশ দেয়ার জায়গাটাও অদ্ভুত !
চাঁদের বুড়ি বরাবর নালিশ !
©somewhere in net ltd.