![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কি তা আমি নিজেই জানি না ! হয়তো ঘাস কিংবা কাঁচপোকা কিংবা কিছু অন্য গল্পের অন্য রাজ্য
কাকে ফোন করলে ঠিক এই সময়ে একটু হাসির ফোয়ারা পাওয়া যাবে, ভেবে ঠিক করতেই পারছেনা শিমু , ফোনবুক তাই খামাকা ঘেঁটেই চলছে !
আচমকা থেমে গেল একটি কন্টাক্ট নম্বরে ওখানে লেখা আছে “লাবিব কাটুশ” লাবিব এর সাথে শিমুর পরিচয় ফেসবুকে, লাবিবটা শিমুর থেকে পাক্কা ১০ বছর ৩ মাস ১৭ দিনের ছোট !
লাবিবকে শিমু আপুর ভালো লাগে লাবিবের স্ট্যাটাস গুলো দেখে ! লাবিবের স্ট্যাটাস পড়ে আর শিমু ভাবে-- কিরকম ফাজিল একটা ছেলে
লাবিবের সাথে যখন প্রথম ফোনে কথা হয় শিমুর, তখন শিমুই বলেছিল
– কি রে ট্যাঁটন কি করিস !
লাবিব উত্তর দেয় কি আর করবো – ট্যাঁটনা আপার সাথে কথা বলি, ট্যাঁটন এর আপা তো ট্যাঁটনাই হবে তাই না ??
---- কে ট্যাঁটনা আমি ? হুঁশ আছে? নাকি বেইচা খাইসো বাবু ? আমি তোমার বড় আপা না ?
---- জি আপা , এমনি একটু ফাইজলামি করলাম !
---- বাহ ফাইজলামির কি ছিরি !
---- জি আপা, জানেন ই তো আমি সিরিয়াস টাইপের ফাজিল !
আজকে এই সময়ে ফোন করলে ঐ ট্যাঁটন টা কোথায় থাকবে সেটাও চিন্তার বিষয় আর ৭-৫ না ভেবেই ফোন করে শিমু
---ঐ ট্যাঁটন কি করিস রে তুই ?
--- কে শিমু আপু না ? আপনার নম্বর পাল্টালেন কবে ?? আর আপনার কি হয়েছে ? বলেন তো !
--- কই কিছু না এমনি ফোন করলাম
--- উঁহু আপা গুল মাইরেন না, কি হইসে আপনার বলেন তো !
--- কয়েকদিন ধরে মাইগ্রেনের ব্যাথায় অস্থির আমি, এখন ছাদে একা একা দাঁড়িয়ে আছি ! খুব মন খারাপ আমার, জানিস? ডাক্তার বলল-- মাইগ্রেনের ট্রিটমেন্ট হল ফ্রেশ বাতাস, আমি এইকথা শুনে নবাবজাদা কে বললাম আজকে একটু কাজটা কম করলে হয় না ? বিকেলের দিকে আমরা দুজন একটু বেড়ীবাঁধের দিকে ঘুরতে যাবো !
--- কোন বেড়ীবাঁধ মোহাম্মদপুরের টা না মিরপুর ?
--- মিরপুর বেড়ীবাঁধ !
--- তো ভাইয়া কি বলল ?
--- কি আবার বলবে , উনি তো করবেন উনার কাজ, সারাদিন কাজের উপর থাকবে । বিকালে প্রিন্সে গেছিলাম বাজার করতে । ফিরে এসে দেখি ল্যাপটপ নিয়া ফ্লিকারে উনার তোলা ছবি পোস্ট করছেন , উনি তো আবার নবাবজাদা । শখের ফটোগ্রাফার !
--- হুম ভালোই, বুঝলাম সব । তো আপু আপনি এখন ছাদে ক্যান ?
--- নবাবজাদার সাথে ঝগড়া করসি তাই ছাদে দাঁড়িয়ে আছি একলা একলা !
ধুর আগে জানলে এমনটা করতাম না আমি । জানিসই তো আমাদের বিয়ে প্রেম করে আমার বাসায় এখনো মেনে নেয়নি ! তাহলে ক্যান ঐ শয়তানটা আমাকে এরকম কষ্ট দিবে বল ?
--- হুম বুঝলাম আপু, তো ছাদে দাঁড়িয়ে থাকলেই কি সব সমাধান হবে ?
--- জানি তো হবে না, আমি ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছি ! নবাব যদি খুব তেড়িবেড়ি করে তাহলে সোজা সেজ খালার বাসায় চলে যাবো !
--- তাই না ? আপনি আবার সেই টিপিক্যাল বাংলার বধু হয়ে গেলেন আপা ?
--- শয়তান ট্যাঁটন, ছেলে মানুষের সাপোর্ট নিচ্ছো তাই না , ফাজিল ? টিপিক্যাল ই হবো বহুত ভালো ছিলাম আর পারবো না । নবাবরে টাইট এর ওপর রাখবো । আর তুই ভুল করে যদি সাপোর্ট নিয়েছিস তাহলে তোরে থাপ্রায়া তোর দাঁত ফালায়া দিব !
--- সাপোর্ট নিই নাই ! আপনি তো ভাইয়াকে ফেলে যেতে পারবেন না ! এই যে কথায় কথায় নবাবজাদা বলছেন এর মধ্যেও তো প্রকাশ পাচ্ছে আপনি কতটা ভালোবাসেন ভাইয়াকে !
--- হইসে ট্যাঁটন , তোমারে আর পাকনামি করা লাগবে না , আমি খালি চিন্তা করছি এতক্ষন হয়ে গেল আমাকে তাও নিতে আসলো না ক্যান ? দিন দিন নবাবজাদাটা এক্কেবারে গাধা হয়ে যাচ্ছে !
--- আমি বলি কি আপু ভাইয়া আপনাকে আজকে একটা বিশাল সারপ্রাইজ দিবে !
--- ধুর সারপ্রাইজ না কচু ! বিয়ের আগে ওর রোমান্স টুপ টুপ কইরা উতলাইতো আর এখন??
এই কথা শেষ করেই দ্রুত ফোন রাখার জন্য তাড়া দেখায় শিমু ঐ ট্যাঁটন রাখি রে কে যেন আসছে ছাদে বাই ভালো থাকিস !
ফোন রাখার সঙ্গে সঙ্গে শিমুকে ডাকে তার নবাবজাদা
----শিমু তুমি ছাদে আসলা কখন ? পাগল তোমাকে কতক্ষন ধরে খুঁজতেসি জানো ? আর তুমি কিনা ছাদে ?
এত পরিমান রাগ করলে হয়, বাবুটা ! সাগর খুব আদর করে শিমুকে বাবু বলে !
--- হুহ রাগ করবো না ? তো কি করবো ? একটু ঘুরতেই তো চেয়েছিলাম আমি তাই না ? তুমি এইরকম খাড়ুসগিরি করলা ক্যান ?
--- হুম সরি বাবু, একটু পরে আমরা কোথায় যাবো জানো ? তুমি আর আমি যেখানে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতাম ! টিএসসির পেছন দিকে, মনে আছে ? দুপুরে বাইকটা ঠিক করতে দিয়েছিলাম , এতক্ষনে মনেহয় ঠিক হয়ে গেছে ! আমি বাইরে যাবো আর আসবো , তুমি রেডি হও তাড়াতাড়ি ! প্লিজ বাবু রাগ করে না প্লিজ !
এই কথা বলেই বাইক আনার জন্য বাইরে বেরিয়ে যায় সাগর , শিমুর নবাবজাদা সাগর ! শিমু রেডি হয়েই আবার ট্যাঁটন কে ফোন দেয়,
-- তোর কথাই ঠিক রে ট্যাঁটন তোর ভাইয়া আজকে মারাত্মক সারপ্রাইজ দিয়েছে !
--- বাহ দারুন , তাহলে এইবার বলেন রাগ করে সেজো খালার বাসায় গেলেই ভালো হতো তাই না আপা ?
--- আবার রাগাচ্ছিস তাই না ফাজিল ? ভাগ ! বাই, ঘুরতে যাবো । ভালো থাকিস ভাইয়া ……..
©somewhere in net ltd.