![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কি তা আমি নিজেই জানি না ! হয়তো ঘাস কিংবা কাঁচপোকা কিংবা কিছু অন্য গল্পের অন্য রাজ্য
১
গুমরে কাঁদা কথার ভেতর, হেঁটে এসেছিলাম আমি প্রখর দিনে আর অচেনা আঁধারে। তারপর জেনেছিলাম তুমি ছাড়া একটা দিন হয়ে যায় একটা পুঁথির পাতা। রাত হয় চোখ বুঁজে স্বপ্নের বাজার ঘুরে আসা পরাজিত মঙ্গল সৈনিক, যারা কেবল ঝড়ে হারায় বিছানা বালিশ। গন্ধ বণিকের নৌকায় তাই তুলে আসি অতীত , তারা সুবাস নিয়ে আসুক বর্তমানে। হাতের রেখায় ফেলে আসি আমার অসুখ, ঠোঁট ফুলিয়ে অভিমানে !
২
এইসব জঞ্জালের রাত ,ঠেলে পার করি খড়-কুটোর দেশে। সেখানে শুধু বাবুই পাখি থাকে এবং তারা বুনে সারাবেলা আধোঘুমের প্রাসাদ মায়াবী আবেশে। এইসব তারার পেছনে দৌড়ে আসে কল্পনার একটা নাটাই, ঘুরে আসে কপালের দেশ আর ভাবনার সিঁথি থেকে হাত পা পর্যন্ত নিয়ে কিছু ভয় তাই রাতের অন্ধকারেই চাষ করি
ভুলের জোনাকি। যে পথ চেনায় আর দিয়ে আসে অভয় !
৩
রাত বাড়লেই সব জমে যায়, বালিশের তলার স্বপ্ন চলে যায় বরফের দেশে। কল্পনার সিপাই ছুটে আসে বাস্তবতার মাঠে, হারিয়ে আসে সুখ তেপান্তরে। ভুলের মিছিলে যোগ হয় নতুন ভুল। যারা কেবল চিনে আসে বিরহের বুক, কপালের বাক্সে জমে থাকা ব্যালট পেপার আর হাতের রেখার অচেনা অসুখ। চোখ্ বুজলেই দেখা যায় একটা তরী জল টলমল, তীরে ভিড়ে আছে মখমলের দেশে!
৪
একটানা বৃষ্টি হলেই ঘুরে আসি কিছু অন্ধকার গলি, মাথার ওপর আকাশ থাকে হাত বাড়িয়ে। অতীতের তোষকে শুয়ে থাকি বাস্তবতার বালিশ মাথায় দিয়ে, একদিকে বৃষ্টি হয় আর আরেক দিকে বেড়ে যায় ঘাম, এই অসুখটার নাম কেউ দিতে পারেনি। ঘাসফুলের দিকে তাকাই নাম খুঁজে নিতে, সেই ঘাসফুল লাজে ডুবে থাকে নতুন পানিতে ! বুক ঠুকরে দেয়ার পাখিটা ভিজে একাকার তাই সে আগে নিজে শরীর শুকিয়ে আসুক, তারপর নাহয় নাম দেবে অজানা অসুখের
৫
হঠাৎ করে গজিয়ে যাওয়া সব ইচ্ছে -এপিটাফ হয়ে কথা বলে মেঘলা দুপুরে । ছায়ার বদলে যেখানে ফেরি হয় হাড় কুড়ানির কুড়িয়ে নেয়া সুখ । আমি সেখানেই দেখি, ভিজে জবুথবু বসে আছে কথার মিছিল । জোড়া শালিকের দেশ থেকে বার্তা আসেনি, আসেনি আয়েশ করে স্বপ্ন দেখার দিন । ভেতর দহন হয় থেমে থেমে, দপদপ করে জ্বলে থাকা মাছের চোখের ইশারায় । এখন সময় কাটে অপেক্ষার জানালায় তাকিয়ে, আদর অনাদর কিছুই না মেনে !
৬
স্বপ্ন দেখার জন্য এখন চোখ তৈরী করলেই চলে না এই সময়। এখন স্বপ্ন দেখার আগেই ভেট প্রস্তুত রাখতে হয়, সেই সাথে বেচে আসতে হয় নিজের ইজম ঠিক বাসি ফুলের মতোই। আমাদের স্বপ্নেরা পায়ে তাই অদৃশ্য বেড়ী পরে থাকে। আমরা আশা নিয়ে বুক বেঁধে বসে থাকি বেনিয়ার বানের জলে তলিয়ে যাবার জন্য। এখানে গোটা শহর জেগে থাকে স্বপ্নের মৃত্যু দেখে ঘুমাতে যাবে বলে !
৭
ঐ কপালে লেখা আছে- শান্তি শুন্য কিলোমিটার। ঠিক তার নীচে যে চোখ সেখানে জেগে থাকে ভরা দীঘি। সকাল দুপুর আর সাঁঝে। সে ভরে থাকে সম্মোহনের বার্তা জ্বালিয়ে। আমি ডুবে যাই, লাজে হেসে আসে খরায় পুড়ে কাঠ হয়ে যাওয়া গাল। ছুটে যাই ডুবে যাবো বলে। এখানে আঙ্গুলে জড়িয়ে থাকে বাতাসে জন্ম নেয়া হাত। ঐ হাত পথ করে দেয়, চিনিয়ে আসে ডুবুরির অক্সিজেন !
৮
ঈশ্বর ভদ্র পল্লীতে থাকেন, নাম শূদ্রের সেখানে স্থান নেই ! তারপর ফাকফোঁকর খুঁজে শূদ্রের দল মিছিলে নামে জিভ প্রতীক নিয়ে। হাতে রাখে সরিষার তেল আর কপালে বেঁধে রাখে পাজামার ফিতা। যাতনায় তারা ভুলে যায় শূদ্রের গন্ধও। চাটিলেই সুখ বলে শ্লোগান দিতে থাকে তারা। মিছিলের শেষে হিজড়া হয়ে ঘরে ফেরে সবাই। দেখে মিটিমিটি হাসেন ঈশ্বর ! আহা তারা পানি ফুটিয়েই খেতে চায় দুধের সর
৯
হায় তারা নিম গাছে
খুঁজে ফের আঙ্গুরের থোকা,
পানি ফুটিয়ে খেতে চায়
দুধের সর !
তারা নতুন মিছিলে
বেচে আসে শেষ ইজ্জতটুকু,
বগলে রসুন গুজে
কপালে হাত দিয়ে বলে
ওমা কি তাপ ! কি জ্বর !
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩০
সুমন কর বলেছেন: ভাল লাগল।