নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয়তমাসু

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৩

আমি এক হতভাগ্য মৌন কবি

কবির অশ্রুতে আজ ভেসে যায় কাব্যের পাতা

কবিতা লিখতে ইচ্ছা হয় না আর।

প্রতিমূহুর্তে খসে পড়তে চায় আমার

দুর্জয় দুর্নিবার লেখনী দু’আঙুলের ফাঁকে।

তোমাকে ভেবেছি কতদিন

কত স্বপ্নগভীর তন্দ্রার ঘোরে।

দুরবীন থাকলে আজও দেখতাম

তোমার হাসিমাখা মুখখানি।

সকরুন অশ্রুপাতের ছবি এঁকে

আজ আর নতুন করে ঘরে বাঁধতে চাইনা।

তুমি যেথা নেই সেথা ভালবাসার গ্লাসে

চুমুক দিয়ে লাভ?

তাই অখ্যাত প্রেমিক কবির জীবনে

তোমার অকৃত্রিম ভালবাসা আজও

অতীতকে ফিরে পাবার স্বপ্নে বিভোর।

সুপ্রিয়া! বহুদিন দেখিনি তোমায়।

জানি না আজও পরণে তোমার

নীল বেনারসী শাড়ি আছে কি নেই?

স্নানের ঘাটে সিক্ত বসনে কলস কাঁখে

আজও পদ্মদীঘিতে দাঁড়িয়ে থাকো কিনা

জানি নে তাও। তোমাকে ওরা জোর করে

ছুঁড়ে দিয়েছে শহরের ঘৃন্য পরিবেশে।

বিদ্যুতের ফ্যাকাশে আলো যেখানে

মিট মিট করে জ্বলে।জানি তোমার বড় কষ্ট হয়,

জানি, বিদ্যুতের ঝিলিক তোমার কাছে অসহ্য।

সবুজ পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে

কেটে যায় সারাটা রাত।

রাত কেটে ভোর হয়, আমার চোখে ঘুম নেই।

তবুও লিখছি তোমাকে আজ,

যদি কোন দিন আবার ফিরে আসো

গাঁয়ের মাটিতে। প্রাণ শীতল করা

এ গাঁয়ের সবুজ ছায়ায়। তবে একবার,

শুধু একবার দেখা দিও প্রিয়া।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.