নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনসার ভাসান গান

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৬



মনসার ভাসান গান
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি)

মনসার ভাসান গান শুনি বসে আটচালার ঘরে,
করুণ সুরে বাঁশি বাজে, চোখ আসে জলে ভরে।
বিশ্বকর্মা করেছিল নির্মাণ লোহার বাসর ঘর,
লোহার বাসরে ঘুমায়ে থাকে বেহুলা লখীন্দর।

লোহার বাসর ঘরেতে এক সূচের ছিদ্র ছিল।
সেই ছিদ্র পথ দিয়ে কালীনাগ প্রবেশ করিল।
মা মনসার বিবাদ ছিল চাঁদ সওদাগরের সাথে,
লোহার বাসরঘরে ঢুকে কালীনাগ গভীর রাতে।

লোহার বাসরে কালীনাগ প্রবেশ করিল যবে,
ভাবয়ে লখীন্দরে কেমনে সে দংশন করিবে।
ঊর্দ্ধফণা শিরে ধরে কালীনাগ বাসরেতে যায়,
লখীন্দরের চরণ লাগে কালী নাগের মাথায়।

মনসার ভাসান শুনি বসে রাত ভোর হয়ে যায়,
গানের সুরে ভুবন কাঁদে বাঁশির সুরের মূর্ছনায়।




মা মনসার ভাসান
কবিতার মূল ভাবার্থ।

শিবভক্ত চাঁদ সওদাগর তুচ্ছ নারীকে পূজা দিতে রাজি হন না। উল্টো মনসাকে লাঠি নিয়ে তাড়া করেন। যে কারণে মনসার রোষে চাঁদের চম্পকনগরে সাপের উপদ্রব শুরু হয়। একে একে চাঁদের ছয় সন্তান মারা যায়। বাণিজ্যের নৌকা ডুবে গেলে চাঁদ সব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়। তার পরও মনসার পূজায় রাজি হয় না সে। অন্যদিকে চাঁদের বৌ সনকা মনসার ভক্ত। মনসার বরে সে এক পুত্র জন্ম দেয়। নাম লখিন্দর। যদি চাঁদ মনসার পূজা না দেয় তবে লখিন্দর বাসরঘরে সাপের কামড়ে মারা যাবে। এসব জেনেও চাঁদ মনসা পূজা না দিয়ে লখিন্দরের সঙ্গে উজানীনগরের বেহুলার বিয়ে ঠিক করেন। চাঁদ সওদাগর অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে এমন বাসরঘর তৈরি করেন, যা সাপের পক্ষে ছিদ্র করা অসম্ভব।
কিন্তু সব সাবধানতা সত্ত্বেও মনসা তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমর্থ হয়। তার পাঠানো একটি সাপ লখিন্দরকে হত্যা করে। প্রচলিত প্রথা অনুসারে যারা সাপের দংশনে নিহত হতো, তাদের সত্কার প্রচলিত পদ্ধতিতে না করে তাদের মরদেহ ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হতো এ আশায় যে, ব্যক্তিটি হয়তো কোনো অলৌকিক পদ্ধতিতে ফিরে আসবে। বেহুলা সবার বাধা অগ্রাহ্য করে তার মৃত স্বামীর সঙ্গে ভেলায় চড়ে যাত্রা করে এবং গ্রামের পর গ্রাম পাড়ি দিতে থাকে। ভাসতে ভাসতে ভেলা এসে পৌঁছে এক ঘাটে, যেখানে প্রতিদিন স্বর্গের ধোপানি কাপড় ধোয়। বেহুলা সেখানে এক অবাক কাণ্ড দেখল। ধোপানি কাপড় ধুতে এসেছে একটি ছোট শিশুকে নিয়ে। শিশুটি দুরন্ত, সারাক্ষণ দুষ্টুমি করছে। ধোপানি একসময় শিশুটিকে আঘাত করে মেরে ফেলল। পরে যখন কাপড় কাচা হয়ে গেল, তখন আবার তাকে বাঁচিয়ে তুলে নিয়ে চলে গেল। বেহুলা বুঝতে পারল, এ মানুষ বাঁচাতে জানে। পরদিন বেহুলা গিয়ে তার পদতলে পড়ল। তার স্বামীকে বাঁচিয়ে দিতে অনুরোধ করল। ওই ধোপানির নাম নেতাই। সে বলল, একে আমি বাঁচাতে পারব না, একে মেরেছে মনসা। তুমি স্বর্গে যাও, দেবতাদের সামনে উপস্থিত হও। দেবতারা ভালোবাসে নাচ দেখতে। তুমি যদি তোমার নাচ দেখিয়ে তাদের মুগ্ধ করতে পার, তাহলে তারা তোমার স্বামীকে বাঁচিয়ে দেবে।
আশা জ্বলে উঠল বেহুলার চোখে, মনে, সারা চেতনায়। সে স্বর্গে গেল। দেবতারা বসে আছে; তাদের সামনে নাচ ধরল বেহুলা। বেজে উঠল পায়ের নূপুর। বেহুলার নাচে চঞ্চল হয়ে উঠল চারদিক। তার নূপুরের ধ্বনিতে ভরে গেল স্বর্গলোক। বেহুলার নৃত্যে এক অসাধারণ ছন্দ। মুগ্ধ হলো দেবতারা। তারা বেহুলাকে বর প্রার্থনা করতে বললেন। সে তার স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইল। মহাদেব রাজি হলেন তাতে।
এনসাকে ডাকা হলো। মনসা এসে বলল, ‘আমি লখিন্দরকে ফিরিয়ে দিতে পারি, যদি চাঁদ আমার পুজো করে।’ বেহুলা তাতে রাজি হলো এবং বলল, তাহলে তোমাকে ফিরিয়ে দিতে হবে আমার শ্বশুরের সবকিছু। ফিরিয়ে দিতে হবে তাঁর পুত্র, তাঁর সব বাণিজ্যতরী। রাজি হলো মনসা।
মনসা সব ফিরিয়ে দিল, বেঁচে উঠল লখিন্দর, ভেসে উঠল চৌদ্দ ডিঙ্গা। চাঁদ পাগলের মতো ছুটে এল বেহুলার কাছে। কিন্তু এসে যেই শুনল যে, তাকে মনসার পুজো করতে হবে, তখন তার সব আনন্দ নিভে গেল। সে দৌড়ে সরে গেল সবকিছু থেকে। বেহুলা গিয়ে কেঁদে পড়ল চাঁদের পায়ে। যে চাঁদ মনসাকে চিরদিন অপমান করেছে, যে কোনোদিন পরাজিত হতে চায়নি। সে চাঁদ বেহুলার অশ্রুর কাছে পরাজিত হলো। বেহুলা বলল, ‘আপনি শুধু বাম হাতে একটি ফুল দিয়ে দিন, তাহলেই খুশি হবে মনসা।’ চাঁদ বললেন, ‘আমি অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বাম হাতে ফুল দেব।’ তাই হলো। মুখ ফিরিয়ে বাম হাতে একটি ফুল হেলাভরে ছুড়ে দিলেন চাঁদ। মনসা তার পরও খুশি। আর পৃথিবীতে প্রচারিত হলো মনসার পুজো।
মনসা মঙ্গলের লোকনাট্যের নানা আঙ্গিকের পরিবেশনায় দেখা যায়, বর্তমানকালে এসে বহুলা-লখিন্দরের কাহিনী প্রাধান্য লাভ করেছে। এর মধ্যে দেবীর কথা আছে, দেবী বন্দনা আছে। মানুষের বেঁচে থাকা, টিকে থাকার সংগ্রাম এ কাহিনীর আসল কথা।


















মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৯

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: মনসামঙ্গলের কাহিনী

মনসামঙ্গলের কাহিনী মূলত, দুই নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠার কাহিনী। মনসা আর বেহুলা। যেখানে বাংলার নারীদের সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, তারা আজন্ম নিগৃহীত। গ্রামীণ সংস্কৃতিতে প্রায় হাজার বছরের ঐতিহ্য নিয়ে টিকে আছে মনসার কাহিনী। যা নিখাদ নারীর অনিশ্চিয়তা থেকে নিশ্চিত গন্তব্যের কথা বলে। আগেই বলা হয়েছে, বাংলার নারীদের ভেতর নানা ব্রত কথা প্রচলিত আছে। সেই ব্রত-কথাতে মনসা ছিল। মনসা-মঙ্গলের কাহিনী নানা আঙ্গিকে নানা রীতিতে পরিবেশন করা হয়। কোন কোন রীতিতে বিধবা নারীরাই এটি পরিবেশন করেন। কিন্তু মনসামঙ্গলের প্রাচীন যুগ থেকে সমকালের চর্চায় পুরুষরাই নেতৃত্ব দিয়েছে।

পিতা শিবের মত মনসায় কোন ধরনের আর্য ছাপ নাই। সে অনার্য সর্প দেবী। উনকোটি নাগের মা। লোভ হিংসার বশীভূত। মনসার জন্ম কোন নারীর গর্ভে না। শিবের বীর্য পদ্ম পাতায় রাখলে, সেখান থেকে তা পদ্ম নাল বেয়ে পাতালে নেমে যায়; সেখান থেকেই মনসার জন্ম। তাহলে মনসার জন্ম পার্বতী থেকে হয় নাই কথার মানে, মনসার জন্ম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না। সেকারণে তার চাই সন্তানের দাবি প্রতিষ্ঠা। এই দাবিতে সে অনড়। একই সাথে চাই মানব সমাজে দেবীরূপে নিজের অধিষ্ঠান। আবার দেখা যাচ্ছে মনসার জন্ম যেহেতু পার্বতী থেকে হয় নাই ফলে এখানে তর্ক হল বাপের সাথে মেয়ের। সন্তান হিশাবে স্বীকৃতির দাবি, আবার পূজা চাওয়া এক অর্থে পিতা-কন্যার দ্বন্দ্ব। আসলে মনসার চাওয়ার ভেতর দিয়েই নারীর চাওয়া স্পষ্ট। নারী অধিকার চায়। সে অর্থে মনসার চাওয়াটা হল নারীর কর্তাসত্তাকে সমাজ চেতনায় স্পষ্ট করে তোলা।

অপরদিকে মানুষ বেহুলা তার বাসর রাত থেকে শুরু করে স্বামীর সেবাসঙ্গী হয়। স্বামী আরামে ঘুমিয়ে পড়ে। বেহুলা পাহারা দেয়। আবার মৃত স্বামীকে নিয়া দেবপুরীতে যায়। দেবতাদের নাচ দেখায়। নাচ এখানে প্রতীকি বিষয়। যেটা একটা প্রক্রিয়া বা তৎপরতা। সেটা মানবজীবনের মূর্ত বয়ান। সংগ্রাম, ত্যাগ আর পরিশ্রমের। যার মধ্য দিয়ে সে নিজের জীবন সঙ্গী স্বামীকে উদ্ধার করে। তাকে আবার বাঁচিয়ে তোলে। এর ভেতর দিয়ে জীবনের ছাপ, কর্মের ছাপ পরিস্কার। নারীই সাজিয়ে দিচ্ছে জীবনকে। নারী তার নারীত্বের প্রকৃতি, দাবি ও কর্তাসত্তার স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠা করে।

আগেই বলা হয়েছে মনসার জন্ম কোন নারীর গর্ভে না। সন্তানের দাবি প্রতিষ্ঠার যে লড়াই তার বাইরে এই জন্মের আলাদা তাৎপর্য আছে। একে চিন্তার দিক হতে নানানভাবে হাজির করা যায়। সন্তানের মধ্যে মা-বাপ দুইয়ের অংশ থাকে। আর মনসায় পুরাটাই বাপ। তার মানে কি। মনসার ভেতর বাইরে শিব ছাড়া অন্য কথা নাই। এখানে শিব নারী হয়ে উঠল। শিব একই সাথে প্রকৃতি আবার পুরুষও বটে। সেই অর্থে মনসার জন্মের ভেতর দিয়া মানব জন্মেও পুরাটাই উপলব্ধ হয়। তাই মনসার লড়াই এই অর্থে শিবের নিজেরও লড়াই বটে। এখানে বাংলার ভাবে নারী-পুরুষের অখণ্ডতার ধারণা অসাধারণভাবে হাজির। নারী-পুরুষের আলাদা ধারণার ভেতর দিয়েও কি চমৎকার তারা আবার এক হয়ে আছে। আবার একই সাথে মনসাকে পূজা দেয়া মানে শিবকে পূজা দেয়া।

মানুষের কথা

মনসা-মঙ্গলে হিন্দু ধর্মীয় উপাদান যুক্ত আছে। এগুলো আর্য প্রভাবে যোগ হয়েছে। একে কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের আচার বলা যায় না। এটি এখানকার মানুষের আপনার সম্পদ। একই সাথে কৃত্য, সাধনা, দর্শন ও ভয়ের দুনিয়াকে জয় করার হাতিয়ার। তাই স্বর্গ আর দুনিয়ার ফারাক করার চেয়ে মানুষের অস্তিত্বকে নানান আয়োজনে জারি রাখাই এখানকার আসল কথা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মনসার গানে উল্লখযোগ্য পরিবেশনকারী দল মুসলমান সম্প্রদায় হতে আসা। এগুলো তাদের পারিবারিক কৃত্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এর সাথে যুক্ত। অসাম্প্রদায়িকতা বলে বাইরের যে সংস্কৃতি এখানে চাপিয়ে দেয়া হয়, সেখানে দেখা যায় বাংলার ঐতিহ্যিক এবং সহজাত ঘরানায় এর চেয়ে ভালো চর্চার উদাহরণ আছে। মানুষের মিলেমিশে থাকার ইতিহাস চেতনা অনেক পুরানা। অন্ত্যজ মানুষের একই ইতিহাস। তাদের শ্রেণী অভিরুচি একই। কিন্তু পাশাপাশি তাদের সমাজ জীবনের নানা ধরনের সংকটও স্পষ্ট। নানা সংস্কৃতির নিপীড়ন, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক হয়ে ওঠা, নিজেকে জাহির করা, এবং সেখানে নারীর বাসনা স্পষ্ট টের পাওয়া যায়।

মনসা-মঙ্গলের লোকনাটকের নানান আঙ্গিকের পরিবেশনায় দেখা যায়, বর্তমানকালে এসে বেহুলা-লখিন্দরের কাহিনী প্রাধান্য লাভ করেছে। এরমধ্যে দেবীর কথা আছে, দেবী বন্দনা আছে। কিন্তু সেই কাহিনী শেষ পর্যন্ত মর্ত্যরে মানুষের সুখ-দুঃখ আর বৈরীতার কাহিনী। এমনকি শিব-মনসার চরিত্রে মানুষের কথাই আসে। পিতা আর কন্যার লড়াই আসলে মানুষেরই লড়াই। দেবতা উপলক্ষ্য মাত্র কিংবা ইতিহাসেরই প্রতীকি তাৎপর্যময়তা। মানুষের বেঁচে থাকা, টিকে থাকার সংগ্রাম এই কাহিনীর আসল কথা।

জ্যান্তে-মরা

মনসার কাহিনীর টানটান একটি অংশ হল লখিন্দরকে ভেলায় ভাসিয়ে দেয়া। অনিশ্চিত যাত্রা। যেখান থেকে এসেছে ভাসান। ভাসান আসলে কি? এই ভাসানের যাত্রী কে? লখিন্দর রূপী মানুষ। সে না জীবিত, না মরা। ভাসান মানে ভাসমান থাকা। যা ডোবেও না আবার ঘাটেও উঠে না। ভেসে থাকে। এই হল ভাসান। এখান থেকেই এর আসল মানে দাঁড়াল--জ্যান্তে মরা। বাঁচাও না মরাও না। জীবন মৃত্যুর মধ্যিখান। কিন্তু শেষমেশ এর মানে হল, কোনো মৃত্যু নাই। কারণ এরমানে বুঝা যাবে সেই কাহিনীতে। যাতে তার সাথে সহযাত্রী ছিল বেহুলা। লখিন্দর যে অর্থে মৃত, বেহুলা সে অর্থে জ্যান্ত। লখিন্দরের দুনিয়াবী চৈতন্য নাই, বেহুলার আছে। এরমধ্যে সে দেবলোকে পৌঁছে। স্বর্গের দেবতাদের নাচ দেখিয়ে মুগ্ধ করলেন। স্বর্গ হল পরলোক। সেখানে জীবিত মানুষ যেতে পারে না। যে যেতে পারে সে আর ফিরতে পারে না। তাহলে, বেহুলা কেমনে সেই দুই দুনিয়া হাসিল করল। এখানেই জীবন-মৃত্যু সংক্রান্ত বাংলার ভাব। বাংলার ভাবদর্শনের দিকে তাকালে আমরা জানতে পারি তা সম্ভব। বাংলার ভাব সাধনায় জ্যান্তে মরার কথা বার বার এসেছে। এখানকার নাথ, তান্ত্রিক সহ নানা সহজিয়া ঘরানায় এই ধারণা পরিচিত। যে জ্যান্তে মরে সে দুনিয়াটারে স্বরুপে চেনে। এটা আত্মকে সচেতন করে। তার সাথে দুনিয়াবী রাজনৈতিক, সমাজদর্শন আর ভাব জগতের মিল ঘটে। যে জ্যান্তে-মরা সে বুঝে দুনিয়ার আসল ভাব। পরিচয়।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লক্ষন দাদা, মনসামঙ্গলের কাহিনী সাথে আপনার কবিতাটি খুবই ভাল লেগেছে । এ বিষয়ে মাত্র দিন কয়েক পুর্বে সামুর পাতায় আমার দুটি পোষ্ট ছিল , ইচ্ছে হলে নীচের লিংক থেকে দেখে নিতে পারেন । ইচ্ছে ছিল ২০ টি পর্বে গুটা কাব্যটি পাঠক সমাজে উপস্খাপন করার , দর্শক সারার নমুনা দেখে আপাতত উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি ।
সপ্তদশ শতকের কবি ‘’কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ’’ বিরচিত মনসা মঙ্গল কাব্য – ১ম পর্ব

সপ্তদশ শতকের কবি ‘’কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ’’ বিরচিত মনসা মঙ্গল কাব্য – ২য় পর্ব - চাঁদ সদাগরের নৌকা ডুবি

শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.