নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রিয় শহর দুর্গাপুর

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

আমার প্রিয় শহর দুর্গাপুর
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুর্গাপুর, ১৯৫০ সালে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধানচন্দ্র রায় কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। এটি দামোদর নদীর তীরে ও বৃহত্তম কয়লা খনি অঞ্চল রাণীগঞ্জ-ধানবাদ অঞ্চলের নিকটে অবস্থিত। এটি ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশের এক অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক অঞ্চল হিসাবেও বিখ্যাত। এর নিকটবর্তী প্রধান শহর হল কলকাতা, যা দুর্গাপুর থেকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দুর্গাপুর, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় অবস্থিত। এটি ২৩.৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৭.২০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ৬৮.৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
মানচিত্রে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।



দুর্গাপুর শিল্পসমূহ
দুর্গাপুর, পশ্চিমবঙ্গের দ্রুত উন্নতিশীল শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। এমনকি, এটি পূর্ব-ভারতের মেগা শহর হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করবে বলে মনে করা হচ্ছে! প্রাথমিক ইস্পাত কারখানা – মিশ্র ইস্পাত কারখানা (এ.এস.পি) ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (DSP) -র উপস্থিতির কারণে দুর্গাপুরকে ইস্পাত নগরী নামেও অভিহিত করা হয়। এছাড়াও মহেশ্বরী ইস্পাত প্রসেসরও এখানে এক বিশিষ্ট কারখানা রূপে গড়ে উঠেছে। প্রচুর বৃহৎ ধরনের শিল্পের উন্নতির কেন্দ্রস্থল হিসাবে এটি গড়ে উঠেছে এবং এটি দ্রুত এক বহুমুখী শহর হিসাবে গড়ে উঠতে চলেছে যা ভারতের কাছে একটি গর্ব। এখানকার শিল্পগুলি পরিদর্শনের জন্য মানচিত্রের সাহায্য নিতে পারেন।

দুর্গাপুর শহর
শহরটি, সড়ক মাধ্যম দ্বারা বেশ কিছু অন্যান্য প্রধান শহর ও নগরগুলির সাথে সু-সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়াও এখানে একটি রেলওয়ে স্টেশনও রয়েছে যা অন্যান্য বেশ কিছু প্রধান স্থান যেমন-কলকাতা, পাটনা, শান্তিনিকেতন ও অন্যান্য আরোও বেশ কিছু ছোট ছোট শহরগুলির সাথে সু-সংযুক্ত রয়েছে।
বিভিন্ন বাগান ও চিত্তবিনোদনমূলক উদ্যানের সমন্বয়ে গঠিত এই অভিপ্রেত ও সু-পরিকল্পিত শহরটি এক প্রাকৌশলিক দক্ষতার এক উদ্বিষ্ট উদাহরণ। মানুষজন এখানকার উদ্যানগুলিতে পরিভ্রমণ করতে পারেন; যেমন – ২-নং জাতীয় সড়কের নিকটে ডিয়ার পার্ক এবং নেহরু স্টেডিয়ামের নিকটে কুমার মঙ্গলম পার্ক। আপনি যদি এই উদ্যানগুলি পরিদর্শন করতে চান, তবে এই মানচিত্রে এই সমস্ত স্থানগুলির সঠিক অবস্থান প্রদান করা হয়েছে।

দুর্গাপুর পর্যন্ত দূরত্ব
• দিল্লী থেকে – ১২৪৭ কিলোমিটার
• কলকাতা থেকে – ১৮২ কিলোমিটার
• শিলিগুড়ি থেকে – ৫৪৫ কিলোমিটার
• জামশেদপুর থেকে – ২৩১ কিলোমিটার
• রাঁচি থেকে – ২৬৬ কিলোমিটার

যোগাযোগ ও পরিবহন
দুর্গাপুর হল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান; সুতরাং এখানে যানবাহনের সমস্ত উপায় রয়েছে; যেমন – রেলপথ, সড়কপথ ও বিমানপথ। ২-নং জাতীয় সড়কের দীর্ঘ প্রসারণের দ্বারা এই শহরটি সু-সংযক্ত রয়েছে, যা দিল্লী-কলকাতা সড়ক নামেও পরিচিত এবং এটি খুবই ব্যস্ত সড়ক। এটি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে দিয়েও অতিক্রান্ত হয়েছে; যেমন – ঝাড়খন্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং এমনকি হরিয়ানা ও দিল্লীর মধ্যে দিয়েও। এটি দিল্লী থেকে কলকাতা পর্যন্ত প্রায় ১৪৬৫ কিলোমিটার পথ বিস্তৃত। এই পথ দুর্গাপুরের মাধ্যমে অতিক্রান্ত হয়েছে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে ঔরঙ্গাবাদ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কলকাতায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।



দুর্গাপুরের রেললাইনটি, শহরের কেন্দ্র থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি হাওড়া-দিল্লী রুটের উপর অবস্থিত। দুর্গাপুরের মাধ্যমে প্রচুর রেল অতিক্রম করে; যেমন – হাওড়া – পাটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, গঙ্গা-সাগর এক্সপ্রেস, জম্মু তাওয়াই – শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ – নিউ দিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেস, পূর্বা এক্সপ্রেস এই স্টেশনে আসে। নিকটতম প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশন হল আসানসোল জংশন রেলওয়ে স্টেশন।
নিকটতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দমদমে অবস্থিত, যদিও এই শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অন্ডালে একটি নতুন বিমানবন্দর গড়ে উঠছে। সুতরাং এই স্থানে ভ্রমণের সময়, সর্বদাই এই প্রদত্ত মানচিত্রটি দেখে নিন, তাহলে আপনি দিকভ্রান্ত হবেন না।

শিক্ষা ও হাসপাতাল
এছাড়াও দুর্গাপুর তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্যও বিখ্যাত; যেমন
1. বেঙ্গল কলেজ অফ ইঞ্জিনীয়ারিং,
2. সেন্ট মাইকেল’স বিদ্যালয়,
3. কার্মেল কনভেন্ট বিদ্যালয়,
4. হেমশিলা মডেল বিদ্যালয়,
5. বিধান চন্দ্র ইনস্টিটিউট
এছাড়াও দুর্গাপুরে এন.আই.আই.টি রয়েছে, যা একটি মযর্দাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।

দুর্গাপুরের মানুষের চিকিৎসার চাহিদা পূরণের জন্য বহু বড় হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে, যেমন –
1. বিধান নগর উপ-বিভাগীয় হাসপাতাল,
2. দ্য মিশন্ হাসপাতাল
3. দুর্গাপুর হাসপাতাল

পুজো প্যাণ্ডেল দুর্গাপুর
দুর্গাপুর, বেনাচিতি, ভিড়িঙ্গি মোড়ে দুর্গাপূজায় সুদৃশ্য আলোকসজ্জা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।পূজো প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেল বহু ভিড় হয়। যাত্রা, বাউলগান, সার্কাস, পুতুলনাচ সহ সাংস্কৃতিক মেলা বসে। শুধু দুর্গাপূজা নয় ভিড়িঙ্গি মোড়ে কালীপূজাতেও খুবই ধূমধাম হয়। শারদীয়া উত্সবে দুর্গাপুরবাসী সকলেই মেতে ওঠে। ঢাক ও কাঁসি বাজে, সন্ধ্যায় ধূপ, দীপ ও ধুনুচি নাচের তালে তালে সন্ধ্যায় আরতি হয়।


-----------------------------------------
তথ্যসুত্র: দুর্গাপুর উইকিপিডিয়া থেকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

রাকু হাসান বলেছেন: কিছু দর্শনীয় স্থানের ছবি তে থাকলে ভালো হত ।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের নেত্রকোনায় সুসং দুর্গাপুর নামে এক জাগায় আছে। সেখানে হাতিও আছে। খুব সুন্দর জায়গা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.