নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তির ঘুম শ্মশানঘাটে

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

শান্তির ঘুম শ্মশানঘাটে
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শ্মশানে আছে শান্তি রে মন
কাঁদিস নারে মন,
যাবি যেদিন শ্মশান ঘাটে
কাঁদবে আপনজন।

কপালে চন্দনের ফোঁটা আর
নয়নে দেবে তুলসীপাতা,
আত্মীয় স্বজন কাঁদবে সেদিন
কাঁদবে রে তোর মাতা।

যে ঘুম আসে না পাখার হাওয়ায়
নরম বিছানায় শুয়ে,
আসে নাকো ঘুম রাতের বেলায়
ঘুমের ওষুধ খেয়ে।

শান্তির ঘুম ঘুমোবে যেদিন
সে ঘুম তো ভাঙবে না।
বৃক্ষ খচিত পালঙ্ক তোমার
মৃত্যুর পরে থাকবে না।

শ্মশানে হবে শেষ বিছানা
সে ঘুম কভু ভাঙবে না।
লক্ষ্মণ বলে শোন রে মানুষ
শ্মশান শেষের ঠিকানা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

নজসু বলেছেন:




কবিদাদা, আসলেই শান্তির মা মারা গেছে। :(
কবর বা শ্মশান ছাড়া শান্তি আর নাই।

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ কবিবর।
মৃত্যু কাউকে ক্ষমা করে না।
মানুষের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী জেনেও মানুষ মরতে ভয় পায়।
সেটা এক প্রকার মায়া। মায়া ত্যাগ করতে পারলেই মোক্ষলাভ হয়।
সাথে থাকবেন কবিবর। জয়গুরু!

২| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
জীবনের শেষ পরিণতি মৃত্যু। মৃত্যু নিয়তির মতো ক্ষমাহীন।
মৃত্যু ভয়াল, ভয়ংকর, আর কান্না দিয়ে এর প্রায়শ্চিত্ত। মৃত্যু কাউকে ক্ষমা করে না।
জীবনের শেষের দিন না আসা পর্যন্ত আসুন আমরা কিছু অসমাপ্ত কাজ করে যাই।
সাথেই থাকবেন। প্রত্যাশা রইল। জয়গুরু।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: শ্মশান'ই শেষ ঠিকানা।

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে বিমুগ্ধ হলাম কবিপ্রতীম।
সুন্দর জীবনের শেষ পরিণাম মৃত্যু জেনেও আমরা সর্বদাই সাজসজ্জায় মেতে থাকি।
শেষের দিনে কেউ সাথী হবে না। অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু সবাইকে গ্রাস করবেই।
তার করাল গ্রাস থেকে কারো মুক্তি নেই।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

৪| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব ভীতিকর কথার কি দরকার? জীবন অবসান যার হ্য়, তিনি জানেন না যে, তিনি আর নেই!

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: শ্মশানে হবে শেষ বিছানা
সে ঘুম কভু ভাঙবে না।
লক্ষ্মণ বলে শোন রে মানুষ
শ্মশান শেষের ঠিকানা।


ভয় পাবেন না স্যার! মৃত্যুর পদধ্বনি কেউ শুনতে পায় না।
সবার অজান্তে তার করালগ্রাসে সকলকেই একদিন যেতে হবে।
দুদিন আগে অথবা দুবছর আগে।

মৃত্যু কাউকে ক্ষমা করে না।
মানুষের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী জেনেও মানুষ মরতে ভয় পায়।
সেটা এক প্রকার মায়া। মায়া ত্যাগ করতে পারলেই মোক্ষলাভ হয়।
সাথে থাকবেন জয়গুরু!

৫| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৭

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর ও সত্য লিখেছেন। +।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: মন্তব্যে মুগ্ধ ও অভিভূত হলাম।
প্রীতি আর শুভেচ্ছা রইলো।
জয়গুরু!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.