নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাঁ আমার মা, মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (প্রথম পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমাদের ছোট গাঁয়ে রাঙা মাটি পথে,
রাঙাপথে লোক চলে সেই ভোর হতে।
সকালে সোনার রবি উঠে লাল হয়ে,
গাঁয়ের অজয় নদী শুধু চলে বয়ে
আমাদের ছোট গাঁয়ে পাখি গীত গায়,
ফুল ফুটে বনে বনে সেথা অলি ধায়।
কলসী কাঁখে কুলবৌ আসে জল নিতে,
সরু অলি গলি পথে গাঁয়ের দিঘিতে।
ছোট গাঁয়ে আমাদের ছোট ঘর আছে,
কোকিল সদাই ডাকে বসি আমগাছে।
আঙিনায় কালো এক কাক উঠে ডেকে,
রাখাল বাজায় বাঁশি দূরে কোথা থেকে।
আমাদের ছোট গাঁয়ে সবাই আপন,
গাঁয়ের কবিতা লিখে শ্রীমান লক্ষ্মণ।
গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার গাঁয়ে পথের বাঁয়ে
আছে দিঘি কালো জল,
দিঘির জলে সাঁতার কাটে
হাঁসগুলি অবিরল।
আমার গাঁয়ে শীতল ছায়ে
আছে ছোট ছোট ঘর,
গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
দুই ধারে বালি চর।
পথের ধারে আম বাগানে
কোকিলের কুহুতান,
একতারায় মধুর সুরে
বাউলেরা গাহে গান।
নদীর ধারে বটের গাছে
পাখিরা বাসায় থাকে,
শাল, পিয়াল, পলাশ বন
অজয় নদীর বাঁকে।
গাঁ যে আমার, মাটি আমার
আমি মাকে ভালবাসি,
এই গাঁয়েতে আবার যেন
বারে বারে ফিরে আসি।
গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (তৃতীয় পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁ যে আমার মা......এই মাটি আমার মা....
গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার তার নাইকো তুলনা।
মাটিতে ফলে সোনার ফসল,
দিঘিতে ফুটে সোনার কমল,
এমন স্নিগ্ধ অজয়ের জল কোথাও পাবে না।
গাঁ যে আমার মা......এই মাটি আমার মা....
গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার তার নাইকো তুলনা।
আঁকা বাঁকা সরু গলির পথে,
মুরগীরা ডাকে সকাল হতে।
লোক চলেছে রাঙা মাটি পথে শুরু আনাগোনা।
গাঁ যে আমার মা......এই মাটি আমার মা....
গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার তার নাইকো তুলনা।
গাঁয়ের পাশে অজয়নদীর ঘাটে,
উত্তরে ওই চাঁপা ডাঙার মাঠে,
মাঠে মাঠে সারাটা দিন কাটে, বোঝা যায় না।
গাঁ যে আমার মা......এই মাটি আমার মা....
গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার তার নাইকো তুলনা।
অস্তাচল রবি পশ্চিমের পানে,
সাঁঝ হলো দিবসের অবসানে,
চাঁদ উঠে ওই বাঁশের বাগানে, ঘুম তো আসে না।
গাঁ যে আমার মা......এই মাটি আমার মা....
গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার তার নাইকো তুলনা।
গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (চতুর্থ পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ে আছে ছোট ঘর সবুজের মাঠ,
রাঙাপথ গেছে চলে সোজ নদীঘাট।
রাঙাপথে আম জাম কাঁঠালের বন,
কোকিলের কুহুতানে হরষিত মন।
গাঁয়ে আছে পদ্মদিঘি কালো তার জল,
হাঁসগুলি সারাদিন করে কোলাহল।
পদ্মদিঘি দুই পাড়ে আছে তালগাছ,
দিঘিজলে জেলে সব রোজ ধরে মাছ।
গাঁয়ে আছে ছোট নদী নামটি অজয়,
দিবানিশি কুলু কুলু অবিরাম বয়।
নদীঘাটে সন্ধ্যা নামে আঁধার ঘনায়,
পাখি সব আসে ফিরে আপন বাসায়।
গাঁয়ের সবাই ভাই, আমার আপন,
গাঁয়ের কবিতা লিখে শ্রীমান লক্ষ্মণ।
২| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: অজয় নদীর পাড়ের মানূষ আপনি। কবি নজরুল অজয় নদীতে গোছল করেছেন। তা কি জানেন?
ইদানিং আপনাকে ব্লগে দেখি না কেন?
৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসামান্য ভাবনা
৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: কবিতাগুলো ভাল লাগল। আমার মুগ্ধতা রইল।
৫| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুন্দর ভাবনায় অসাধারণ গ্রাম প্র্রীতি
ভালো লাগলো দাদা। এত লম্বা
বিরতী কেন। গতমাসে ১ম তারিখের
পরে আজ। আরো সচল হোক
আপনার লেখা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৫
বিজন রয় বলেছেন: দাদা ভাল আছেন?
আমফানে কেমন ছিলেন?