নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরতের আগমনী ........ সোনাঝরা রোদ নীল আকাশের আঙিনায় আমার কবিতা এসেছে শরৎ (দ্বিতীয় পর্ব)

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

শরতের আগমনী ........ সোনাঝরা রোদ
নীল আকাশের আঙিনায় আমার কবিতা
এসেছে শরৎ (দ্বিতীয় পর্ব)




শরৎকালে ঝকঝকে নীল আকাশ। মৃদু বাতাস দোলা দিচ্ছে তাদের নরম পাপড়িতে। এই তো চিরচেনা শরত। কাশফুল শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের বিছানায় রাশি রাশি শিউলি ফুল। যেন খসে পড়েছে রাতের ঝলমলে তারা। মাটিতে মিশে গেছে তার গন্ধ।

ছোট ছেলেমেয়েরা দল বেঁধে নামে শিউলি ফুল কুড়োতে। আর পাল্লা দিয়ে চলে মালা গাঁথার প্রতিযোগিতা, কিন্তু এখনকার সময়ে সবই স্মৃতি।

শরতের আগমন সম্পর্কে কবি বলেছেন,
‘আজি শরৎ তপনে প্রভাত স্বপনে কী জানি পরান কী যে চায়
ওই শেফালির শাখে কী বলিয়া ডাকে বিহগ বিহগী কী যে গায় গো
আজি মধুর বাতাসে হৃদয় উদাসে, রহে না আবাসে মন হায়
কোন কুসুমের আশে কোন ফুলবাসে সুনীল আকাশে মন ধায় গো।’

শরতের আকাশ, শরতের নদী, শরতের ফুল এই সবকিছুই কেমন যেন শান্ত-মায়াময়। শরতের এই শুভ্র রূপ পবিত্রতার প্রতীক। বিলের শাপলা, নদীতীরের কাশফুল, আঙিনার শিউলি—সবই কোমল এবং পবিত্র। যখন শিশিরের শব্দের মতো টুপটাপ শিউলি ঝরে তখন আসে অনুভবের শরৎ। কাশবনে দল বেঁধে আসে চড়ুই পাখিরা। শান্ত নদীতে দু’কূল ছাপানো ঢেউয়ের বদলে দৃশ্যমান হয় কাশবনের ছোট ছোট রুপালি ঢেউ।

শরতের স্নিগ্ধতাকে আরও মোহময় করে এ মৌসুমের বিচিত্র ফুলেরা। নদী কিংবা জলার ধারে ফোটে কাশ-কুশ, ঘরের আঙিনায় ফোটে শিউলি বা শেফালি, খাল-বিল-পুকুর-ডোবায় থাকে অসংখ্য জলজ ফুল।

শরৎ মানেই শিউলির মধুগন্ধ ভেসে বেড়ানোর দিন। শিউলির আরেক নাম শেফালি। শিউলি বা শেফালি যাই বলি না কেন চমৎকার এ ফুল নিয়ে দুটি গ্রিক ও ভারতীয় উপকথা আছে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যক উপন্যাসে শিউলির বিশাল বন ও তার তীব্র ঘ্রাণের কথা বলা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ এরা সকলেই বারবার শিউলির প্রশংসা করেছেন। ফুলকলিরা মুখ তোলে সন্ধ্যায়। সূর্যের সঙ্গে এদের আড়ি, নিশিভোরেই ঝরে পড়ে মাটিতে। বোঁটার হলুদ রং টিকে থাকে বহুদিন। কাশ শরতের অনন্য ফুল।

বাংলা কবিতার আসরের সকল শ্রদ্ধেয় কবিগণকে জানাই শারদ-শুভেচ্ছা। বাংলা কবিতা-আসরের জয় হোক, বাংলা কবিতার জয় হোক, কবিদের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!


নীল আকাশের আঙিনায় আমার কবিতা
এসেছে শরৎ (দ্বিতীয় পর্ব)

কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী



শরৎ এলো রে ঝরে ধরা পরে
শিউলির ফুলগুলি,
তরুর শাখায় পাখি গীত গায়
সুমধুর সুর তুলি।

পূর্বের গগনে সূর্যের কিরণে
শিশিরের বিন্দু হাসে,
নিশির শিশির পড়ে ঝিরঝির
আঙিনার কচি ঘাসে।

মরাল মরালী করে জলকেলি
দিঘিভরা কালো জলে,
গাঁয়ের বধূরা রাঙা শাড়ী পরা
জল নিয়ে ঘরে চলে।

অজয়ের পারে নদীর কিনারে
কাশফুল ধারে ধারে,
শালিকের দল করে কোলাহল
বক বসে সারে সারে।

খেয়াঘাটে মাঝি হাল ধরে আজি
গান গেয়ে বৈঠা বায়,
শরৎ আকাশে সাদা মেঘ ভাসে
নীল আকাশের গায়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার প্রতিটা ছড়া কবিতায় অজয় নদীর কথা থাকবেই।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

রামিসা রোজা বলেছেন:
আজকের পর্বটিও অসাধারণ হয়েছে। নীলআকাশের সাথে
আসলেই শরতের একটি সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে।

আপনি কি মন্তব্যের উত্তর দেন না ?

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৭

সিদ্ধাচার্য লুইপা বলেছেন: শিশির কি ঝিরঝির শব্দে পড়ে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.