![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কখনোই কারো প্রিয় হতে পারিনি -- না ঘরে, না বাইরে ; না বাইরে, না ভিতরে ; না ভিতরে, না ইতরে ! আমি কখনোই কারো প্রিয় হতে পারিনি -- না নরের, না নারীর ; না আত্মীয়ের, না আততায়ীর; না আস্তিকের, না নাস্তিকের; না কবির, না নবির । আমার গলা নারীর বন্দনাগীতগায়নি , জিভ থেকে পুরুষের স্তবক বেরোয়নি , আমার হাত কারো পা ছোঁয়নি, চোখ কারো ভণ্ডামো এড়ায়নি, ঠোঁট ঢুকে পড়েনি অপঠোঁটে, এক নায়িকার খামখেয়ালে আমার শরীর করেনি ওঠবস , আমার মগজ কাউকে দেয়নি পূর্ণ বা খণ্ডকালীন দাসখত ! আমার আত্মঘাতে ঘা খেয়ে উঠেছে পেশিবহুল পুরুষও , আমার বিষবাক্যে চিত্কার করে উঠেছে পূজাপ্রত্যাশী নারীও ! ধুতি-টুপিতে টান পড়ায় চিত্কার করে উঠেছে ধর্মজীবী ধার্মিকও , অজ্ঞাতনামা রোগে রাগান্বিত হয়ে উঠেছে নার্সিসাস নাস্তিকও ! অবশেষে, আমি কখনোই কারো প্রিয় হতে পারিনি ! তোষামুদে-জন প্রিয় হয় সবার, এই হলো পরিহাস ; তোষামোদ করিনি কখনোই আমি, এই হলো ইতিহাস ! facebook.com/lazyfahim
বর্তমানে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার জন্য যে সব টুলকিট ব্যাবহার করা হয় তা তাৎক্ষনিক ফলাফল দেয়। কিন্তু একশ শতকের চেয়েও কিছুটা কম সময় আগে মহিলাদের ব্যাঙের উপর নির্ভর করতে হত।
আফ্রিকান ব্যাঙ যেটা তখনকার সময়ে সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করা হত শুধু মাত্র মহিলাদের প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার জন্য। তো কিভাবে করা হত এই পরীক্ষা? প্রথমে ডাক্তার রোগিণীর মূত্র সংগ্রহ করে টেস্টটিউবে রাখতেন । তারপর সে মুত্রভর্তি টেস্টটিউব ব্যাঙ ল্যাবরেটরিতে নিয়ে গিয়ে আফ্রিকান মহিলা ব্যাঙের পেছনের পায়ে মহিলার মূত্রের কয়েক ফোঁটা ইনজেকশান দিয়ে পুশ করে দিতেন। তারপর রোগিণীর জন্য নির্ধারিত একটি পাত্রে ব্যাঙটিকে রাখা হত। সারারাত অপেক্ষা করার পড় ব্যাঙের পাত্রটি নিয়ে একজন টেকনিশিয়ান চেক করতেন ব্যাঙ পানিতে কোন ডিম ছেড়েছে কিনা!! যদি ব্যাঙ ডিম ছেড়ে থাকে তাহলে টেকনিশিয়ান বুঝে নিতেন যে মহিলার মূত্র ব্যাঙ্গটিকে পুশ করা হয়েছিল তিনি তখন প্র্যাগন্যান্ট। যখন কোন মহিলা প্র্যাগন্যান্ট হন তার মূত্র দিয়ে তখন প্র্যাগন্যান্সির জন্য দায়ী যে হরমোন বের হয় সেই একই হরমোনের প্রভাবে আফ্রিকান ব্যাঙের প্রজাতিটা ডিম পাড়ে। রিসার্চাররা এই টেস্টের নাম দিয়েছেন হগবেন টেস্ট।
এই কাজের জন্য ১৯৩০ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার ব্যাঙ বিভিন্ন দেশে আমদানি করা হয় আফ্রিকা থেকে।
একসময় হাসপাতালে এর চেয়ে সহজ পদ্ধতিতে প্র্যাগন্যান্সি টেস্ট করা শুরু হয়। ফলে ব্যাঙ গুলো স্থানীয় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এই কারণে আফ্রিকান এই ব্যাঙ এখন বিশ্বজনীন বাসিন্দা।
২০০৬ সালে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন এই ব্যাঙ বিষাক্ত chytrid ছত্রাক এর বাহক। এই ব্যাঙের বিষাক্ত ছত্রাক থেকে অন্তত ২০০ টী এমপিবিয়ান প্রজাতি এখন বিলুপ্তির মুখে। হয়তো এটা ২০ বছর ধরে তাদের নির্যাতন করার প্রতিশোধ।
এই পোস্টটি আগে আমার ছোট্ট বিজ্ঞান ব্লগ সায়েন্সথার্স্ট এ প্রকাশিত
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২
সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: Xenopus laevis
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
প্রামানিক বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬
সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: ধন্যবাদ গ্রহণ করলাম । ভালবাসা জানবেন।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
ৈতয়ব খান বলেছেন: নতুন বিষয় জানলাম। পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: ধন্যবাদ মনযোগের সাথে পড়ার জন্য। :p
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট, নতুন জিনিস জানলাম।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই ।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: একটা অদ্ভুত বিষয়ে জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্যাপারটা জানা ছিল, তবে এদের ক্ষতিকর ফ্যাংগাস সম্পর্কে জানা ছিল না! ধন্যবাদ রইল।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিজ্ঞান আসলেই বিচিত্র...
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: :o :o :o
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
একটি পেন্সিল বলেছেন: নতুন একটা বিষয় জানলাম। ব্যাঙ টার নামটা যেন কি? প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে যে হরমন উৎপন্ন হয় তার নাম, human chorionic gonadotrophin বা সংক্্ষেপে hCG