নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি জামায়াত শিবির মুক্ত ব্লগ। আমার ব্লগে জামায়াত শিবির সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ছবি - সংগৃহীত।
ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা ব্লগে লিখি তারা ব্লগার। রাফসানও কিন্তু ব্লগার। তবে তিনি ফুড ব্লগার। সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যম গুলো যারা ব্যবহার করেন তারা রাফসানকে চিনেননা এমনটি হতেই পারেনা। রাফসান মুলত একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ফুড রিভিউ এর মাধ্যমে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু রাফসানের। এখন ২০২৪। মাত্র ৭ বছরে মা-বাবাকে ২ কোটি টাকার অডি গিফট করা যেমন তেমন কথা নয়। অডি খুবই এক্সপেন্সিভ। প্রতি বছর গড়ে ৬০-৭০ টির বেশি অডি দেশে ইমপোর্ট হয়না। অনেক মিলিয়নারও অডি ইউজ করতে পারেননা। সেক্ষেত্রে রাফসানের সফলতা সত্যি এপ্রিসিয়েট করার মতো।
সকল সভ্য শিক্ষিত মানুষ রাফসানের প্রশংসা করলেও মৌলবাদীরা এর মধ্যে টেনে এনেছে ধর্ম। আচ্চা মৌলবাদীদের আসলে কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হয়না? একটি ছেলে কোটিপতি হয়ে তার মা-বাবাকে গাড়ি গিফট করলেও মৌলবাদীদের জ্বলবে কেন? উপরের স্ক্রিনশট দেখুন। এক মৌলবাদীর বিকৃত মানসিকতা ফুটে উঠেছে স্ক্রিনশটে। রাফসান এর মা-বাবাকে অডি গিফট করা ভাইরাল হলে এক মোল্লা স্ট্যাটাস দিয়েছে - " মা বাবাকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা অনেক উত্তম। দ্বীন যদি না থাকে এই সফলতা মূল্যহীন "। দেখুন কান্ড! এখানে দ্বীন আসল কোত্থেকে! রাফসান এর মা হিজাব করেন নি বলে তাকে বেপর্দা বলে এই মোল্লা কি অন্যায় করেন নি?
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১৯
লেখার খাতা বলেছেন: মন্তব্য এবং বাজে মন্তব্যের মধ্যে প্রার্থক্য আছে।
২| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আবু বকর মাক্কী সাহেব ব্লগে নেই তো ' কিসের জন্য দিলেন পোস্টটা। রাফসান ফ্যামিলিকে মৌলবাদ এট্যাক করলে ওরা দেশ ছেড়ে চলে যাবে,সমস্যা নেই।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২১
লেখার খাতা বলেছেন: আবু বকর মাক্কী সাহেবের সাপোর্টাররা তো আছেন। উপরে একজন অলরেডি মন্তব্য করেছেন।
৩| ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: দ্বীনের প্রচার এবং প্রসার ছাড়া বাকি সব কিছুতে তাদের সমস্যা।অষ্ট প্রহর তারা হুরের চিন্তায় বিভোর থাকে।
১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪
লেখার খাতা বলেছেন: দুনিয়াতে আমার অন্তত হারাম ভাবে সুন্দরী মেয়েদের সাথে রাত্রি যাপন করা পান্তা ভাত খাওয়ার চেয়েও সহজ।কিন্তু আল্লাহর ভয়ে নিজ স্ত্রী ছাড়া কোন নারীর কাছে যাইনা। তাই জান্নাত বলে যা আছে তা যদি সত্যি হয় আমি তো হুর ডিজার্ভ করি। কিন্তু আমাদের অধিকাংশ কথিত হুজুররা কোরানের বর্ণনা অনুসারে জান্নাতে না যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৪| ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:১৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: পাঁচটা পোষ্ট করেছেন ৪টাতেই মৌল, এটা একটা রোগ, ডাক্তার দেখান, সবকিছুতে মৌলবাদ খুঁজে পাচ্ছেন, দুইদিন পর হয়তো জৌনবাদ পাবেন
১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
লেখার খাতা বলেছেন: দেখুন বাকপ্রবাস,
আপনি কিন্তু আমি কি নিয়ে লিখব তা নির্ধারণ করে দিতে চাচ্ছেন। যা মত প্রকাশে বাঁধা ও বাক স্বাধীনতার হরণ।
৫| ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৬
ধুলো মেঘ বলেছেন: গোফরান সাহেবের মাল্টি নাকি এটা? বেপর্দা নারী দেখে আকজন আলেমের সুড়সুড়ি অনুভূতি হয়েছে - তাই তিনি তাঁর নিজস্ব পেইজে নিজস্ব মতামত দিয়েছেন। কিন্তু এটা দেখে আপনার সুড়সুড়ি লাগার কারণ কি? আমরা তো সবাইই জানি রাফসান যেরকম ছেলে - তার মা কি রকম হতে পারে!
১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
লেখার খাতা বলেছেন: কার মাল্টি এটা নিয়ে না ভেবে কি লিখছি সেটা নিয়ে ভাবুন। মাকে গিফট করলেও যারা পর্দা হিজাব টানে তাদের বিরুদ্ধে না লিখলে আমরা সমাজের ও দেশের উন্নতি করব কি রূপে?
৬| ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩১
আহলান বলেছেন: হিজাব কিনে দেয়াটা রাফসানের দায়িত্বের মধ্যে পড়ার আগে তার বাবার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে বর্তমানে আমরা মডারেট মুসলিম। কে কিভাবে ইসলামকে ধারণ করবে, ব্যপারটা এখন প্রায় পুরোটাই ব্যাক্তিগত। সুতরাং এভাবে কথা না বলাই সমিচীন। উপদেশ তাকেই দেয়া উচিৎ, যে উপদেশ গ্রহণে আগ্রহী ... এসব পরচর্চা থেকে সবারই দূরে থাকা উচিৎ।
১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৯
লেখার খাতা বলেছেন: সঠিক। ধন্যবাদ।
৭| ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
এস.এম.সাগর বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেখুন বাকপ্রবাস,
আপনি কিন্তু আমি কি নিয়ে লিখব তা নির্ধারণ করে দিতে চাচ্ছেন। যা মত প্রকাশে বাঁধা ও বাক স্বাধীনতার হরণ।
আপনারটা বাক স্বাধীনতা আর অন্যেরটা মৌলবাদ! পুরাটাই ভন্ডামী।
১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭
লেখার খাতা বলেছেন: সাগর সাহেব,
দেখুন মৌলবাদ একটি জাতীয় সমস্যা। ধর্মীয় গোঁড়ামি কখনোই একটি জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনা। মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখা প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্লগারের কর্তব্য। কারণ তারা আমাদের প্রিয় দ্বীনকে হাস্যকর শুধু করছেনা অগ্রহণযোগ্যও করছে।
৮| ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: হিজাব ইসলাম ধর্মের অংশ না।
ধর্ম ব্যাবসায়ীরা ইসলামের নামে দেশ দখল ও দখল অব্যাহত রাখতে রসুলে মৃত্যুর হাজার বছর পরে এই হিজাব পরে চালু করেছে।
পর্দা প্রথার মূল ভিত্তি হিসেবে সুরা আহাজাব ও সুরা নুরকে বিবেচনা করা হয়।
এই সুরায় (নুর) বিশেষভাবে লজ্জাস্থান (প্রাইভেট পার্টস) ঢাকার আদেশ আছে। এখানেও বাড়তি আরেকটি কাপড় ইউজ করতে বলা হয় নি, স্পষ্ট ভাবে লেখা 'পরিধেয় বস্ত্রটির কিয়দংশ' দিয়ে যতটুকু জড়ানো যায় ততটুকুই, কোন বাড়াবাড়ি নেই। কোরান ও হাজার হাজার হাদিস খুজে যা পাওয়া গেছে পরিধান করা কাপড় টি ভালভাবে আবৃত করার কথা বলা যাতে সুন্দরভাবে আবৃত থাকে।(সুরা আহাজাব)
পরিধেয় বস্ত্র বাদে বাড়তি আরেকটি কাপড় ব্যাবহার করার কথা কোথাও নেই। (সেই আমলে কাপড় এত সস্তা ছিলনা) বিভৎস কালো রঙ এর কাপড়ের কথা তো নেই ই নেই।
১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
লেখার খাতা বলেছেন: এটি নি:সন্দেহে একটি চমৎকার মন্তব্য।
৯| ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চুল বা মাথা ঢাকার আদেশ কোরান বা হাদিসে কোথাও নেই
চুল বা মাথা কাপড় দিয়ে আবৃত করার আদেশ কোরান বা হাদিসে কোথাও নেই। এমনকি জ্বাল হাদিস সহ ইসলামি পুস্তঙ্গুলো তন্ন তন্ন করে কোথাও খুজে পাবেন না।
এইসব আদেশ অনেক পরে যুক্ত করেছে ধর্ম ব্যাবসায়ী মোল্লারা।
১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১০
লেখার খাতা বলেছেন: সঠিক। অনেক ধন্যবাদ।
১০| ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮
এস.এম.সাগর বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: হিজাব ইসলাম ধর্মের অংশ না।
ধর্ম ব্যাবসায়ীরা ইসলামের নামে দেশ দখল ও দখল অব্যাহত রাখতে রসুলে মৃত্যুর হাজার বছর পরে এই হিজাব পরে চালু করেছে।[/sb
পর্দার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা ও মু’মিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের জিলবাবের একাংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা আহযাব: ৫৯)
তোমরা তোমাদের গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করো, প্রাচীন জাহেলী যুগের নারীদের ন্যায় নিজেদেরকে প্রর্দশন করো না। (সূরা আহযাব: ৩৩)
আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্য কারো কাছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন তাদের গোপন সাজ্জসজ্জা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফল হতে পার। (সূরা নূর: ৩১)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) লা’নত (অভিশাপ) দিয়েছেন সেসব নারীদেরকে যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে। অর্থাৎ পর্দাহীনভাবে চলাফেরা করে। (আবু দাউদ: ৪০৯৭)
১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
লেখার খাতা বলেছেন: @আমি ধর্মীয় বিষয়ে একেবারে অজ্ঞ। তাই তর্কে যাচ্ছিনা। কারণ এই বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই। বাট আই লাভ ইসলাম।
১১| ১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: শিরোনাম পড়ে আপনাকে বকা দিবো ভাবছিলাম। পরে পড়ে দেখি ঘটনা অন্য! যাই হোক তাহাদের মুখ আটকাইবেন কেমনে?
১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১২
লেখার খাতা বলেছেন: বকার হাত থেকে বেঁচে গেলাম।
১২| ১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০
নাহল তরকারি বলেছেন: আমার নানী যদি বেচে থাকতেন, আর তিনি যদি ফেসবুক চালাতেন তাহলেও তিনি এই একই কথা বলতেন। যদিও আমার নানী ছিলো আগের দিনের ইন্টারপাশ। সরকারি চাকরি করেছেন। ধর্মপ্রচারকগণ তারা তাদের মত্যব প্রকাশ করতেই পারেন। তবে এই হুজুরের পোস্ট টি আমার কাছে “খোচা” জাতীয় পোস্ট মনে হয়েছে।
১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
লেখার খাতা বলেছেন: অধিকাংশ হুজুর অন্যের সুখ দেখতে পারেনা।
১৩| ১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪
রানার ব্লগ বলেছেন: এস.এম.সাগর বলেছেন: আপনি যদি জনসম্মুখে আপনার নিজের খবর পোষ্ট করেন তাহলে যে কেউ মন্তব্য করতে পারে, আর একজন আলেম যদি মন্তব্য করে তাহলে সেতো এরকমই মন্তব্য করবে, এটাই সাভাবিক।
জোব্বা পরলেই আলেম হয় না কি ? তাইলে তো আরব অঞ্চলে আলেম গিজগিজ করে। ধান্দাবাজি বন্ধকরেন । ধর্ম বেঁচে আর কতো?
যে ব্যাডায় কইছে রাফসানের মা কে হিজাব পরাতে সেই ব্যাডারে কোন তার দৃষ্টির সুরক্ষা করতে।
১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০০
লেখার খাতা বলেছেন: বিরোধী মতের প্রতি সাগর সাহেবের মন্তব্য সবসময় এট্যাকিং।
১৪| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হিজাবের পাশাপাশি ওই হুজুরকে একটি বোরকাও পাঠিয়ে দিতে বলেন।
হুজুর শ্রেনী এবং গ্রাম্য টাইপ লোকজনের একটি কমন ট্রেন্ড হচ্ছে- অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে নিয়ে খুঁচাখুচি করা- কে কি পোষাক পরলো, কি খাবার খেলো, কি দেখলো, কি শুনলো, কিভাবে হাঁটলো, কখন ঘুম থেকে উঠলো, চুল কাটার স্ট্যাইল ঠিক হলো কি না, ইত্যাদি বিষয়ে এই জংলি শ্রেণীগুলোর প্রচুর আগ্রহ।
বাই দ্যা ওয়ে- ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে ওই হুজুর কিন্তু ঠিক কথাই বলেছেন, আপনি যদি একজন মুসলিম হন তাহলে তার স্ট্যাটাসের বিরোধীতা করার কোন রাইট আপনার নেই।
ধর্ম এভাবেই কাজ করে- অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে গবেষণা করতে শিখায়, অন্যকে হেয় করতে শিখায়, নিজের চেয়ে ভিন্ন অন্য কাউকে ঘৃণা করতে শেখায়।
১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৮
লেখার খাতা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৫| ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানো একটি উৎকৃষ্ট-মানের ছাগলীয় আচরণ। ধর্ম নিয়ে অপব্যাখ্যা দেয়াও একটি ছাগীয় আচরণ।
১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৯
লেখার খাতা বলেছেন: ১০০% একমত।
১৬| ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যারা একটু ভাইরাল হতেই এমন মন্তব্য করেন।
১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৯
লেখার খাতা বলেছেন: হতে পারে।
১৭| ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:১০
এস.এম.সাগর বলেছেন: একটু অনুসন্ধান করে একটা আনএক্সপেক্টেড জিনিস জানতে পেলাম। ইউটিউবার রাফসান দ্যা ছোটভাই সেদিন দেখলাম তার বাবা-মাকে সারপ্রাইজ দিতে ২ কোটিরও বেশি দামের Audi Car গিফট করলো। সেটা নিয়ে হুলস্থূল বেঁধে গেলো। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা। যাইহোক, আমার অবস্থানটা ক্লিয়ার করে রাখি শুরুতেই। রাফসান ২ কোটি কেন, সে যদি কোন দুর্নীতি না করে ২০০ কোটি দিয়েও কাউকে কোনকিছু গিফট করে, তাতে আমার কোনই সমস্যা নাই। সে তার নিজের মত করে এগিয়ে যাক, নিজের ড্রিমগুলো পূরণ করতে থাক, এটা দেখতে বরং ভালো লাগবে।
আমার এই লেখার টার্গেট ভিন্ন এঙ্গেল থেকে।
ধরেন, আপনার পরিবার এই মুহূর্তে একটা ব্যাংক থেকে সোয়া তিন কোটি টাকার ঋণখেলাপি। সেই টাকা আপনার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ করছেনা। ব্যাংকের লোন পেমেন্ট না করে ঝুলায়ে রেখে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে টাকা উড়ায়ে বেড়াচ্ছেন আপনি এবং সবাইকে দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন সেগুলো— কেমন লাগবে সেটা দেখতে?
Jack & Spencer Accessories Limited এর নামে একটি গার্মেন্টস এক্সেসরিস কোম্পানি ট্রাস্ট ব্যাংকের মিলেনিয়াম কর্পোরেট শাখা থেকে ২.৫ কোটি টাকা লোন নিয়েছিল ২০১৬ সালে। সেই কোম্পানির শতভাগ মালিক রাফসানের বাবা এবং মা। তার বাবা মো: জাকারিয়া ওই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর(এমডি) এবং তার মা কাজী নুরুন্নেছা সেহেলি ওই কোম্পানির ডিরেক্টর।
এখন পযর্ন্ত ব্যাংকের একটা টাকাও লোন পরিশোধ করে নাই তারা। সেই লোন আজ অবধি ইন্টারেস্টসহ বেড়ে হয়েছে সোয়া তিন কোটি। ট্রাস্ট ব্যাংক ওই কোম্পানি এবং সেটার মালিক রাফসানের বাবা-মা এর বিরুদ্ধে মামলা করে। কোর্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাদেরকে কোর্টে আত্মসমর্পণ করার নোটিফিকেশন জারি করেছিলো জাতীয় পত্রিকায়। পত্রিকার সেই নোটিফিকেশন এর ছবিও আমি দেখেছি। এরপর অভিযুক্তরা সমর্পণ করে কোর্ট থেকে জামিন নেন।
লোনের এগেইনেস্টে যেসব সম্পদ মর্টগেজ রাখা ছিলো ব্যাংকের কাছে, ব্যাংক ২০২২ সালে সেইগুলো নিলামে তুলে বিক্রি করারও প্রক্রিয়া গ্রহণ করে। সেই নিলাম বিজ্ঞপ্তিও জাতীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অনুসন্ধান করতে গিয়ে সেই কপিও দেখেছি আমি।
পরবর্তীতে রাফসানের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করে সেই নিলাম আটকানো হয়। এইজন্য ব্যাংক নিলাম থেকে সম্পদ বিক্রি করে টাকা উদ্ধার করতে পারেনাই।
ব্যাংককে বারবার করে তার বাবা-মা কমিটমেন্ট দিয়েছে লোন পরিশোধের, কিন্তু আজ অবধি কোন টাকা পরিশোধ করেনাই। বর্তমানে এই লোনের টাকা আদায় করতে ঢাকার অর্থঋণ আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে। ২০১৬ সালে যেই লোন ছিলো ২.৫ কোটি, বর্তমানে ইন্টারেস্টসহ সেই লোন দাঁড়িয়েছে ৩.১৫ কোটি। মানে আজ অবধি ৩.৫ কোটি টাকার ঋণখেলাপী হলো রাফসানের পরিবার।
কেউ আবার প্রশ্ন তুলতে পারেন, রাফসানের বাবা-মা ঋণখেলাপী, এটা তাদের দায়। তাহলে রাফসান এরকম লাক্সারিয়াস গাড়ি তার বাবা-মাকে গিফট করলে প্রবলেম কোথায়?
কাগজে কলমে না হলেও অবশ্যই প্রবলেম আছে। রাফসান যখন তার বাবা-মাকে Audi Car গিফট করছে যার দাম ২ কোটিরও বেশি, এর মানে হলো তাদের পরিবারের হাতে টাকা আছে। শুধু ওই গাড়ি গিফট করাটাই না, রাফসান দেখলাম পরবর্তীতে মা দিবসে একটা ভিডিও বানিয়েছে। মাকে নিয়ে একটা সোনার শোরুমে গিয়ে ৫ লক্ষ টাকার সোনার গহনা গিফট করলো সে। তার সাবস্ক্রাইবারদের বাইক, এসি, আইফোনের মত দামি দামি গিফট গিভঅ্যাওয়ে করে সে। তাছাড়া তার লাইফস্টাইল খেয়াল করতে দেখবেন যথেষ্ট ঠাঁটবাট নিয়েই চলাফেরা করে সে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে তাদের পরিবারের হাতে টাকা আছে। টাকা থাকা সত্ত্বেও তারা খেলাপীঋণ পরিশোধ করছেনা।
জাস্ট চিন্তা করেন রাফসান কিন্তু এভাবেও ভাবতে পারতো এই দুইকোটির সুপার লাক্সারিয়াস গাড়ি গিফট না করে চলাফেরার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ গাড়ি কিনে ওই দুইকোটি খানেক টাকা দিয়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা যায় কীভাবে।
অবশ্য সেখানে একটা সমস্যা ছিলো তার। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার ভিডিওটা হয়ত পাবলিক করতে পারতো না, যেভাবে অডি গাড়ি সারপ্রাইজের ভিডিওটা আপলোড করে মিলিয়ন ভিউ অর্জন করা যায়। এই ভিডিওটাও যতবেশি মানুষ দেখছে, সেখান থেকেও তার ইনকাম হচ্ছে।
রাফসান এর ইস্যুটা জাস্ট একটা উদাহরণ। ইনফ্যাক্ট দেশে বিশাল বড় বড় ঋণখেলাপী আছে যারা এভাবেই দেশের মানুষের টাকা মেরে দেয়। রাফসানের পরিবার ওই রাঘববোয়ালদের তুলনায় পোনামাছও না। কোটি কোটি টাকা খেলাপীঋণ নিয়েও দেশের ভেতর তারা লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করে বেড়ায়। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে তারা। এসব নিয়ে তাদের কোন রিমোর্সও থাকেনা। কারণ জানে যে তারা দিনশেষে ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। আর ব্যাংকের টাকা এভাবে মেরে দিয়ে তাদের হাতে প্রচুর টাকা থাকে। সেটা দিয়ে কয়েক জেনারেশনের বসে বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও তারা করে ফেলে।
আরেকটা ব্যাপার হলো, এই মানুষগুলো এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা কত সহজে মেরে দেয়, সেটা করেও বুক উঁচু করে ঘুরে বেড়ায়। অথচ একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে আপনি ব্যাংকে জাস্ট পাঁচ-দশ লাখ টাকার লোন আনতে যান, দেখেন দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাবে। আর এই অল্প কিছু টাকার লোন যদি ঠিক সময়ে পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে দেখবেন কী কিয়ামত ঘটে যায়!
আমার প্রত্যাশা থাকবে রাফসান যেহেতু বহু টাকা কামায় এবং সলভেন্ট পরিবার তারা, তারা যেন ব্যাংকের লোনটা পরিশোধ করে দেয় দ্রুতই।
এইযে লোনটা নিয়েছে, এই টাকাটা কিন্তু দেশের মানুষের টাকা। এভাবেই প্রতিবছর বিভিন্ন ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপীঋণ থাকে, যার ইমপ্যাক্ট পড়ে দেশের ওভারঅল অর্থনীতিতে। বৃহদার্থে এর দ্বারা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে দেশের সাধারণ মানুষের কপালে।
১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:১১
লেখার খাতা বলেছেন: হুম এই মন্তব্য টা লজিক্যাল।
১৮| ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:১৩
এস.এম.সাগর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিরোধী মতের প্রতি সাগর সাহেবের মন্তব্য সবসময় এট্যাকিং।[/sb
ভাই এখানে বিরোধীমত কোথায় এবং এট্যাক করলাম কোন বিরোধী মতকে?
১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:১২
লেখার খাতা বলেছেন: ভন্ডামি শব্দটা এট্যাকিং।
১৯| ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫০
এস.এম.সাগর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভন্ডামি শব্দটা এট্যাকিং।[/sb
আমি আন্তরিক ভাবে দুক্ষিত।
১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৫
লেখার খাতা বলেছেন: ইটস ওকে। মমনুষ্যত্ব সভ্যতা নৈতিকতা ও ভদ্রতার জয় হোক।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১২
এস.এম.সাগর বলেছেন: আপনি যদি জনসম্মুখে আপনার নিজের খবর পোষ্ট করেন তাহলে যে কেউ মন্তব্য করতে পারে, আর একজন আলেম যদি মন্তব্য করে তাহলে সেতো এরকমই মন্তব্য করবে, এটাই সাভাবিক।