নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“দিবা” কাব্যের প্রহসনে পদদলিত মন্থরিত স্মৃতির দেয়াল। অনুসূচনার যৌবনিক আড়ষ্টতায় অধরা লগ্নের জলছবি, নষ্ট জীবনের বিপন্ন বৃত্তে আজো আঁকি কার ছবি। সে কি তুমি ? হয়তবা!

লিখন ০৩

“দিবা” কাব্যের প্রহসনে পদদলিত মন্থরিত স্মৃতির দেয়াল। অনুসূচনার যৌবনিক আড়ষ্টতায় অধরা লগ্নের জলছবি, নষ্ট জীবনের বিপন্ন বৃত্তে আজো আঁকি কার ছবি। সে কি তুমি ? হয়তবা!

লিখন ০৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্জলা প্রহর

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১২




নির্জলা স্বপ্ন ভাঙ্গবো কেন বল ?
অনন্ত অসীম ছুতে জানিনা তাই বলে থামব কেন?
কবিতার করিডোর বেয়ে চলতে শিখিনী,
হৃদয়ের মর্ম মূল থেকে বলেছ বলেই তো হাঁটছি
নিজের আগুনে পুড়তে জানি না পুড়াতে শিখেছি।
অনিদ্র জোনাকি হয়ে পাহারা দেবার সাধ্য কোথায় বল ?
তোমার হৃদয় তন্ত্রী ছেড়ে চলে যাব তা তো ভাবিনি
অস্পৃশ্যতার আড়ালে যাব ক্ষণিকের জন্য।
তোমার ললাট চারণ ভূমিতে না হয় থাকব হয়ে ভাগ্য লিখন!
স্বপ্ন দেখা ছাড়াতও আর কিছুই শিখিনী
ঝড়ের রাতে তাও নদী ও নৌকার মত খেই হারিয়ে ফেলে।
কি প্রয়োজন ছিল? এই জানাটার।
পাশে ছিলে বলেই তো নক্ষত্র খচিত নীলিমা থেকে নিয়ে এসেছি
সিক্ত নীলাভ রেখেছি বুকের বা পাশে।
যখন মগ্ন থাকি আবেশ জড়ানো মুহূর্তে
তখন বুঝতে পারি অনুভূতিতে।
নীল বেদনা আর নীল থাকে না
ভস্মীভূত হতে চায় সমস্ত স্মৃতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে
তাই ইচ্ছে করে মেঘের মত উড়ে যেতে
নীল বিষের দংশনে পুড়ে যেতে।
উড়ে উড়ে পুড়ে পুড়ে অবশেষে তোমারি দুয়ারে ভিড়তে
অন্ন-পূর্ণা, ধবলগিরি, কাঞ্চনজংঙ্গ, মরিশাস, আন্দামান
ধরিত্রী থেকে অচিন পুরের সমস্ত সৌন্দর্য নিয়ে
অবশেষে তোমারি ভিড়ে।
বাইজীর নূপুরের নিক্বন পায়েল এর নৃত্যে
রূপের আগুনে পুড়ে নিথর দেহ হয়ে যাবে সোনা
কাক ডাকা ভোরে বিদায়ের স্মরণে ডেকে তুলে বলও
তুমি আর এসো না কখনো এ-সোনা
আমারি ভিড়ে বিদায় বন্ধু নির্জলা প্রহরে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার কবিতা, উপমা এবং শব্দের খেলা ভালো লেগেছে। +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.