![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“দিবা” কাব্যের প্রহসনে পদদলিত মন্থরিত স্মৃতির দেয়াল। অনুসূচনার যৌবনিক আড়ষ্টতায় অধরা লগ্নের জলছবি, নষ্ট জীবনের বিপন্ন বৃত্তে আজো আঁকি কার ছবি। সে কি তুমি ? হয়তবা!
[
আমি জানি আমার লেখা গুলো পরে তুমি খুব বিরক্ত হও। তবুও লিখি-আমার শূন্যতা যতটুকু তা সব তোমাকে ঘিরেই বুঝি না কেন ? তবে কি তোমাকেই বেশী ভালবাসি ? আজ নিয়তির প্রখর দাবানলে তাও যেন ভস্মীভূত। সবই আছে স্মৃতির অলিখিত দলিল, তোমার অগোছালো কথা, হাঁসি, অকপট চপলতা কিছুতেই যেন মন থেকে আর সরতে চাইছে না। প্রতিক্ষণ তোমার শূন্যতা আবর্ত করে রাখে আমাকে। প্রতিটি মহুর্ত তোমার অবয়বকে ঘিরে শুধু কল্পনার জাল বুনে চলি। কোন কাজে মন বসাতে পারিনা কাজটাকে কাজের মতো করতে পারিনা। সারাটা ক্ষণ একটা মোহের আবর্তে তোমার স্মৃতিগুলো শুধু ঘুরপাক খায়। আর তার সাথে তোমার নিয়ত ভ্রুক্ষেপ-হীন সদালাপ বেরিয়ে যাওয়া তূণের মত বুকের ভেতরটা ছেদ করে নিয়ে যায়। আমি যে আর পারি না কেবলই নিজের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি জানি না কেন ? অধরা তোমার ভালবাসাটাকে পাবার জন্য, না ভালবাসা না পাওয়ার যন্ত্রণায় নিজের অক্ষমতাকে ঢাকার জন্য। আর স্তিমিত সূর্যের মতই নিষ্প্রভ হয়ে আমার জাগতিক সকল কিছুই ভুলে শুধু তোমারি দ্বারে কড়া নেড়ে যাচ্ছি, জানি সে দোর খুলবে না তোমার অবরুদ্ধ জানালার দ্বারে পরবে না আবীরের চিহ্ন কখনো। বলেছিলে যেদিন সত্যিকারের প্রয়োজন হবে আমি ডাকলেই আসবে সেই প্রয়োজন নিত্যকারে তোমাকে বুঝিয়েছি। তুমি বুঝলেই না, আমার সেই প্রয়োজনটা কতখানি, বুঝতেও চাইলে না। আর এগুবার প্রয়োজন বোধ করি তোমার খর্ব হয়েছে। তবুও তোমার মন মন্দিরে আরতির শিখা জ্বালাতে বড়ই স্বাদ জাগে। জানি এ চাওয়া অবান্তর, পক্ষান্তরে নিজের চাওয়ার আস্ফালনকে প্রাধান্য দেওয়ার মূর্খতা, তবুও এ তৃষ্ণার্ত হৃদয় তোমারি দ্বারস্থ হতে চায় বারংবার মন অগোচরে। শূন্যতার মাঝে একটু পূর্ণতার এ আনন্দের জয় শুধু নিজেকে মিছে সান্ত্বনায় প্রলোভিত করছে, জানি এই মিথ্যে অথচ চরম সত্য আনন্দের বেদনা অপার। সন্তর্পণে গভীর ভালবাসার তৃপ্তার ঈর্ষায় নিজেকে সম্মোহিত করে তোমাকে কাছে পাওয়ার যে দুর্দমনীয় মনোবাসনায় নিজেকে হারিয়েছি তা বোধ করি কখনোই প্রস্ফুটিত হবে না, অলিতে মৌয়াক্ষী হয়ে আর কাছে আসবে না। প্রাণ তরঙ্গের সমীরণ হয়ে ক্লান্তি ঘুচাবে না। খুব লোভ ছিল! জানি ভাগ্যের লিখন ছিলে বলেই হয়ত তোমাকে আমার পাওয়া হল না, দিব্য বলে কেউ আর কখনো আমায় ডাকবেও না। খুউব ভাল লাগত ঐ ছোট্ট নামটা এত মিষ্টি করে তুমি ছাড়া কেউ ডাকেনি কখনো? হয়ত বা আমার অন্তর্ধানে পড়ন্ত বিকেলে কোন এক ভালোলাগা মহুর্তকে স্মরণ করে মনে মনে ডাকবে আমায়। চরম পুলকে শিহরিত হব ভাবব কাছে নেই তো আছি তোমার ছায়া হয়ে, কি হয়েছে তাতে ? আমি তো আছি তোমার স্মরণে ভালোলাগা সময়গুলোতে। আচ্ছা পরজন্ম কি আছে? জানিনা সান্ত্বনা তো নিতে হবে এই আর কি? চোখ ভিজে যায়, জান! তুষি বলেছিল আপু তুই কাঁদছিস কেন? তুষি অনেক ছোট তাই কান্নার এই অভিলাষটা বুঝাতে চাইলাম না। কই কাঁদছি নাতো চোখে শোকের আধিক্যে জল এসেছেরে। সে বুঝেনি হয়ত ভেবেছিল অনেক সুখে বুঝি মানুষ কাঁদে। আমার এই অশ্রু সংবরে-নের পথও বোধ করি কোনদিন শেষ হবে না, নোনা জলের এই প্রস্রুত প্রস্রবণ কারো চোখে পড়বে না। তবে কোন অপরিণামদর্শী অভিযোগে এই সরল অসহ্য প্রতিঘাত ভেবে পাইনা। জীবনে পয়মন্ত করে তোমাকে চাওয়াটাই কাল হবে আমার জীবনে ভাবিনি। এই ভাবনা যে নিজের মূর্খতা, বোকামি, কেবলই তা কানের কাছে বিষাদ বিধুরে বাজে তা বুঝতে পারি। পরিহাস্য আমার এ আকুতি নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে যে তোমার হৃদয় আঙ্গিনার একটুও দাগ ফেলবে না তাও জানি। তবুও তোমারি দ্বারে কেন আমার এ মিনতি জানিনা, জানতে ইচ্ছেও জাগে না। কেবলই অনন্ত ভালবাসা আর ভালোলাগার শামীয়ানা দিয়ে এ বুকের মধ্যে ডেকে রাখতে ইচ্ছে করে। প্রত্যুষের আবির্ভাব থেকে প্রদোষের অবসানের সমস্ত দিনয় তোমাকে ঘিরে মনে মনে কত যে আর্তি তার ইয়ত্তা পরিসীমা নেই। তা যে শুধু তোমাকেই পাশে পাওয়ার তা কোনদিন জানতে ও চাওনই। তোমার স্থিরতা আমাকে শুধু ভাবায়-নি কাঁদিয়েছে বিস্তর। তাই তুমি না চাইলেও তোমাকে ভালবাসার অধিকারটুকু আমার। ভালবাসি, ভালবাসি, ঘৃণা মিশ্রিত অবজ্ঞা আছে যত তোমার, দিয়ে দিয়ো প্রসন্ন বিকেল ভালবাসার অমৃত সুখ ভেবে বয়ে বেড়াব আমি। তবুও শুধু ভালবাসব তোমায়, ক্ষণিক বসন্তে বিদেহী আত্মা হয়ে পাশে রব তোমার।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন আবেগ!!!
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: লিখন ০৩,
ভালোবাসা বোধহয় এমনি করেই জলে-স্থলে বাঁশি বাজিয়ে যায়! যে সুর শোনা যায়, ধরা যায়না!
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৭
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: ভীষণ আবেগ মাখানো কথা। বেশ ভাল হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মাঝে মধ্যে আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কি বিপুল বিষন্নতাই না অনুভব করি,জানলার ওপার থেকে একজন ডাকে আমায় একদিন যার সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবেছি।