![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কম্পিউটার ব্যবহারকারী সে যে মানেরই হোক না কেন, হ্যাকিং এর কবলে পড়বেন না এমন কথা হয়ত কেউ জোর গলায় বলতে পারবে না। তাই সময় থাকতে সতর্ক হতে হবে। আর সতর্ক হওয়া ও অন্যকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য দরকার হচ্ছে হ্যাকিং এর বিভিন্ন উপায় ও তা থেকে বাঁচার উপায় জানা। এরপরও যদি কেউ হ্যাকারের কবলে পড়েই যান তাহলে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন। এক জরিপে জানা গেছে যে রুশ হ্যাকাররা গত এক মাসে ৪ লক্ষ ২০ হাজার ওয়েবসাইট হ্যাক করে। যার মধ্যে ছোট কোম্পানি থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। হ্যাকারদের মূল লক্ষ্য হল ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের ফেসবুক, মেইল সহ বিভিন্ন এ্যাকাউন্ট সম্বলিত তথ্য, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের গোপন নাম্বার ইত্যাদি। হ্যাকিং-এ বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ব র্যা্ঙ্কিং এ বেশ উপরের স্থানে আছে। যদিও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ব্যাপক হারে এই ধরণের চুরি শুরু হয়নি। কিন্তু আন্তর্জাতিক হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচার জন্য হলেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাই ইন্টারনেট যেহেতু যোগাযোগের বিশ্বজনীন মাধ্যম তাই হ্যাক থেকে এবং হ্যাক হবার পরে বাঁচতে কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখুন।
হ্যাক হয়ে গেলে করণীয়ঃ
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি হয়ে গেলে তার পরিপ্রেক্ষিতে অতি প্রয়োজনীয় কিছু করণীয় কাজ রয়েছে। ক্রেডিট কার্ড হ্যাক হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হচ্ছে ব্যাংক ব্যালান্সের ওপর নজর রাখা। হ্যাকাররা অনেকসময়ই কার্ডের যথেষ্ট তহবিল আছে কি না তা নিশ্চিত হতে অনেক ক্ষুদ্র পরিমাণের ছোট ছোট লেনদেন করে পরীক্ষা করে দেখে। তাই ব্যাংক স্টেটমেন্টে খুব ক্ষুদ্র কোনো লেনদেন থাকলে ধরে নিতে হবে কার্ডের গোপন তথ্য চুরি গেছে বা ক্রেডিট কার্ডটি হ্যাক হয়েছে। কার্ড চুরি হয়ে গেছে, বা হ্যাক হয়ে গেছে নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করুন ব্যাংক এবং ক্রেডিট কার্ড প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সাধারণত প্রতারণামূলক লেনদেন ঠেকাতে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি এবং ব্যাংক উভয়েরই নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে। তবে কোম্পানি বা ব্যাংকের অপেক্ষা না করে নিজে থেকেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আবার পিসি হ্যাকিং এর মাধ্যমে আপনার অজান্তেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে। আপনার ইমেইল,পাসওয়ার্ড ইত্যাদি সব হ্যাকার পেয়ে যেতে পারে পিসি হ্যাকিং এর মাধ্যমে। এমনকি পিসি হ্যাকিং এর মাধ্যমে পিসিতে রাখা মূল্যবান তথ্য থেকে শুরু করে সব কিছু ডিলিটও করাও সম্ভব। পিসি হ্যাকিং এর জন্য হ্যাকাররা প্রধানত কিলগার এবং র্যাযট নামক দুইটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। হ্যাকাররা টারগেটেড পিসিতে কিলগার ইন্সটল করে ফেলতে পারলে পিসির ব্যাবহারকারী কিবোর্ডে যা যা টাইপ করবে তা সব হ্যাকার পেয়ে যাবে আর র্যাুট ইন্সটল করতে পারলে পুরো পিসিটির কন্ট্রোল হ্যাকার নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারবে। কিলগার, র্যা ট, ভাইরাস এগুলা থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভাল উপায় হল একটি আপডেটেড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা। আর পিসিতে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল সিস্টেম চালু থাকলে এবং পিসিতে র্যাইট বা কিলগার থাকলে তা ফায়ারওয়াল জানিয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে বাঁচার সবচেয়ে উত্তম উপায় হল নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেওয়া।
হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচতে করণীয়ঃ
হ্যাকারের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নিম্নক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ
১। সর্বদা আপনার পরিচিত ওয়েবসাইট, ব্লগ গুলোতে ভিজিট করুন। কোন নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিট করার আগে সেটি সম্পর্কে অন্যদের কাছে জিজ্ঞেস করে এমনকি প্রয়োজনে গুগল করে যতটা সম্ভব জেনে নিন। অপরিচিত কোন লিঙ্ক বা ব্যানারে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
২। কোন জিপ ফাইল বা মেইল অ্যাটাচমেন্ট ডাউনলোড করার পর অবশ্যই স্ক্যান করে ওপেন করবেন। এতে করে ফাইলে কোন সমস্যা থাকলে তা ধরা যাবে।
৩। না বুঝে ভুলেও কোথাও আপনার পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। পাসওয়ার্ড সবসময় অক্ষর এবং সংখ্যার মিশ্রণে তৈরি করবেন।
৪। কোথাও পাসওয়ার্ড দ্বারা লগিন করার প্রয়োজন পড়লে আগে লিঙ্কটিতে এইচটিটিপি এর পরে একটি এস আছে কিনা অর্থাৎ এইচটিটিপিএস আছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নিন।
৫। আপনার ব্রাউজারের ক্যাশ মেমরি, কুকিজ, হিস্টোরি ইত্যাদি অবশ্যই পরিষ্কার করে রাখুন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে ব্রাউজার পরিষ্কার করবেন। এসব সহজে পরিস্কার করার জন্য আপনি সি-ক্লিনার জাতীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: