![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গতকাল ভবন ধসের পর মেয়ের সাথে কথা বলেছি। ও বলেছে “বাবা আমি জীবিত। কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। আমরা সাত বান্ধবী চারতলায় একটি পিলারের নিচে আটকে আছি।
একজনের বুকের উপর দেয়ালের একটি খণ্ড পড়ে ও খুব অসুস্থ। মারা যেতে পারে। একটু আগেও মেয়ের সাথে কথা বলেছি। ও বলেছে, “বাবা, আমরা মরে যাচ্ছি। আমাদের বাঁচাও।” কথাগুলো বলছিলেন রংপুর থেকে ছুটে আসা রানা প্লাজার গার্মেন্টসকর্মী ফাতেমার বাবা মোজাম্মেল হোসেন।
মোজাম্মেল বলেন, “আমার মেয়ে ফাতেমা, তিন বোনের মেয়ে, দুই ভাইয়ের মেয়ে ও পাশের বাড়ির এক মেয়েসহ সাত বান্ধবী এক সাথে একই রুমে কাজ করে। ভবন ধসের পরপরই মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে শুধু বলেছে, বাবা সব শেষ। আমি মনে হয় আর বাঁচবো না। কোথায় আছি কিছুই বলতে পারবো না। চারদিকে শুধু অন্ধকার। আমাদের নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমি রংপুর থেকে এখানে এসে পৌঁছানো পর্যন্ত কথা বলেছি। ধসে যাওয়া ভবনের পাশে এসে ঢুকতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাকে মারধর করে। আমি মার খেয়েও চার তলায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে যাবো। একটু আগে থেকে মেয়েকে আর মোবাইলে পাচ্ছি না। মনে হয় মারা গেছে।”— এটুকু বলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি।
জ্ঞান ফিরে পেয়ে আবার বলেন, “সাত বান্ধবী এক সাথে আছে। আমাকে তারা বলেছে, দেখা করা ছাড়া মরবে না। যদি সাত বান্ধবী বেঁচে না থাকে আমি তাহলে কী নিয়ে বাঁচবো। সাত জনই ঢাকায় আসলে আমাকে ‘বাবা বাবা’ বলে ডাকে।”
কয়েকজন উদ্ধার কর্মী জানায়, “চারতলা থেকে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সিঁড়ির গোড়া থেকে কয়েকজনকে পা ও হাত কেটে বের করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
এভাবে শত শত অভিভাবক বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ভবনের সামনে ভিড় জম্মাচ্ছেন। হাতে ছবি, মোবাইল নাম্বার বা পরিচয়পত্র নিয়ে তাদের অপেক্ষা, আর শুধু একটাই কথা— পঙ্গু হোক বা মৃত হোক শুধু প্রিয়জনকে চাই। একজন উদ্ধার হলে হাজার হাজার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দেখার জন্য।
উদ্ধারকারী দমকল ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছে, আট তলা ভবনের প্রায় ছয়টি ফ্লোরই মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ভারী যন্ত্র ব্যবহার করলে যারা জীবিত আছে তাদেরও উদ্ধার করা যাবে না। তাই আস্তে ধীরে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
দ্বিতীয় দিনেও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করেছে। সবার মুখে যেন একটাই শুধু চাওয়া— জীবিত বা মৃত মানুষটাকে আবার দেখতে চাই।
সুত্র :রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: আমিও বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছি এত লাশ দেখে
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
নিয়েল হিমু বলেছেন: সবাই বেচে থাকুক । কামনা এটাই ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: আমীন
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন:
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: আমীন
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
রেজোওয়ানা বলেছেন: আল্লাহ সহায় হোন...
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: আমীন
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
হেডস্যার বলেছেন:
চোখের সামনে মানুষগুলো মারা যাচ্ছে....আমাদের কিছুই করার নেই আল্লাহ কে স্মরণ করা ছাড়া
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১২
এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: আল্লাহকে স্মরণ করুন
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
গোয়েবলস বলেছেন: বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে আপনার লেখাগুলো পড়ে।