১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

দেখি শুনি বলি বলেছেন: ভাই ছবিটা বিডিআর হত্যাকান্ডের সময় তোলা। কেন ভূয়া ছবি দিলেন এই পোষ্টের সাথে?

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: সত্যি কথা তিতা হয়, তারপরও বলি ৩০ জনকে উদ্ধার করা এক পোলা বলছে সেনা ও সিভিল ডিফেন্সের লোক যদি প্রথমেই সাহস করে জীবন বাজি রেখে ভিতরে ঢুকত তাহলে আরও অনেককেই বাঁচানো সম্ভব হত

জিওসি বলেছিলেন, সকল ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম তাদের আছে অথচ আমরা দেখলাম উদ্ধারকারী সিভিলিয়ানরা কাগজে লিখে দেখাচ্ছে রড কাটার, স্ল্যাব কাটার/ড্রিল মেশিন লাগবে

এই যদি হয় অবস্হা তাহলে জনসাধারনের সাধুবাদ কিভাবে আশা করে

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: সত্যি কথা তিতা হয়, তারপরও বলি ৩০ জনকে উদ্ধার করা এক পোলা বলছে সেনা ও সিভিল ডিফেন্সের লোক যদি প্রথমেই সাহস করে জীবন বাজি রেখে ভিতরে ঢুকত তাহলে আরও অনেককেই বাঁচানো সম্ভব হত

জিওসি বলেছিলেন, সকল ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম তাদের আছে অথচ আমরা দেখলাম উদ্ধারকারী সিভিলিয়ানরা কাগজে লিখে দেখাচ্ছে রড কাটার, স্ল্যাব কাটার/ড্রিল মেশিন লাগবে

এই যদি হয় অবস্হা তাহলে জনসাধারনের সাধুবাদ কিভাবে আশা কর

আপনি পোস্টটি আরেকবার পড়ুন। আর সাধুবাদের দরকার নাই। বরং অহেতুক এবং মিথ্যা অপবাদ দেওয়া বন্ধ হোক। তাতেই খুশী।

আর সবার শেষে মনে করিয়ে দিতে চাই, " To carry out rescue operation from a collapsed building does no fall under charter of duties. It's just call of duty." আশা করি কল অব ডিউটি আর চার্টার অব ডিউটিজ এর মধ্যে পার্থক্য বুঝবেন। রণকৌশলগত প্রয়োজনে একটি বিল্ডিংকে চোখের পলকে গুড়িয়ে দেওয়া সেনাবাহিনীর কাজের মধ্যে পড়ে। কিন্তু ভেংগে পড়া দালান থেকে মানুষকে বাচানো সেনাবাহিনীর কাজ নয়।

আর বাংগালীর বাকস্বাধীনতার মর্মার্থ হলো না বুঝেই কমেন্ট করে ফেলা। আপনারা যেভাবে অতি তাড়াতাড়ি উদ্ধার অভিযান চাচ্ছেন তাতে আমি তো সন্দেহে পড়েছি যে আপনারা কি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হোক তা চাচ্ছেন না কি তাড়াহুড়ো করে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে কোন কিছু ঢাকতে চাইছেন। তাড়াহুড়ো করে ভারী যন্ত্র ব্যাবহার করা হলে যে এই দুর্বল ভবনের বিভিন্ন অংশ ভেংগে পড়ে আটকে পড়া অনেক জীবিত মানুষও মারা যাবে তা বোঝা কি আপনার বোধের বাইরে?

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

বাউন্ডুলের গল্প বলেছেন: আপনি ঘটনা স্থলে থেকে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবার বদলে ব্লগিং করতেছেন! এতেই বোঝা যায়.... ধন্যবাদ। সাধারণ মানুষ, ফায়ার ব্রিগেড যা করতেছে আপনারা তা করতেছেন না। আপনারা জীবন বাজি রাকতে শিখেন নাই। আমি দুঃখের সাথেই এটি বলতে বাধ্য হলাম। আমিও ছিলাম সেখানে, সেখানে থাকা অবস্থায় তো ব্লগ লিখবার কথা মাথায় আসেনি। আমরা পরে টেলিভিশনেও লাইভ দেখেছি উদ্ধার কাজ। কই কোনো সেনা সদস্যকে তো ধ্বংসস্তুপের নীচে ঢুকতে দেখিনি? সাধারণ মানুষ, স্বেচ্ছাসেবক ও অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর তরুণ ছাড়া তো আপনাদের কাওকে ভিতরে ঢুকতে দেখলাম না। নিজেদের স্বামর্থ নিয়ে এতো মিছে কথা আর বলবেন না। আমরা এমনিতেই মখারে নিয়া বিরক্ত। আর একটা কথা, ওইখানে আপনারা বন্দুক নিয়া কি করেন? কি আজব আপনাদের স্বভাব! রাস্তায় গোন্ডগোল হলে তো গা বাচিয়ে চলে যান পাশ কাটিয়ে। জাতির ট্যাক্স এর টাকা খেয়ে আর কত সুখে শুয়ে বসে কাটাবেন? আত্ম সমালোচনা করুন। আমার কথা? আমি তো ভাই গর্ব করছি না নিজেকে নিয়ে। আমি লজ্জিত, স্তম্ভিত। আমার শারিরিক স্বামর্থে কুলালে আরও কিছু করতাম নিশ্চয়। ওখানে থেকে আর ভিড় না বাড়িয়ে বাসায় এসে চোখের জল ফেলছি। আপনার মতন মিথ্যা কথা বলছি না। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: @ইসপাত কঠিন, কল অব ডিউটি আর চার্টার অব ডিউটিজ এর মধ্যে পার্থক্য? সত্যি বলতে ভাই এব্যাপারে আমার ধারনা নাই.

আমরা আবেগের বশে ভুলধারনা বশত অনেক কিছুই বলে বসি যা বলা ঠিক নয়, তবে আপনার সাথে একমত নই "ভেংগে পড়া দালান থেকে মানুষকে বাচানো সেনাবাহিনীর কাজ নয়"

উনারা দেশের মহান সেবক, আমজনতা যে কোন প্রাকৃতিক/ এ ধরনের বড় রকমের ধ্বসের ঘটনার মত বিপদে উনাদের সাহায্য আশা করে

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

আহমেদ রিজভী বলেছেন: সেনাবাহিনী কি আর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আছে এরা এখন জাতিসংঘের ভাড়াটে মার্সিনারী বাহিনী । দেশের চেয়ে জাতির চেয়ে এদের কাছে এখন টাকা বড় বিদেশে মিশন বড় ।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: সবার কাছে অনুরধ এখন যুক্তির সময় নাহ, আসুন সব ভুলে কাধে কাধ মিলিয়ে সবাইকে সাহায্য করি ... যুক্তির সময় এখনও অনেক বাকি আছে ...ধৈয ধরুন

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

অনিক০০৭ বলেছেন: কিছু কিছু গর্দভ এর কাজই হলো কিছু হইলেই সেনাবাহিনীর পিছে লাগা, এতোগুলা সেনাবাহিনীর লোক এইভাবে দিনরাত খাটতেছে তাতেও পোষাচ্ছে না, আর উনারা ওখানে আর ভীড় না বাড়াইয়া ঘরে বইস্যা বইস্যা ব্লগিং করতাছে। আমিও তাই করতাছি, কিন্তু সেনাবাহিনীর বিষোদগার করার মতো অকৃতজ্ঞতা দেখাইতেছি না।

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আহমেদ রিজভী বলেছেন: সেনাবাহিনী কি আর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আছে এরা এখন জাতিসংঘের ভাড়াটে মার্সিনারী বাহিনী । দেশের চেয়ে জাতির চেয়ে এদের কাছে এখন টাকা বড় বিদেশে মিশন বড়

সাভারের কোন ঘটনার সাথে বিদেশ মিশনের সম্পর্ক পেয়েছেন? একটু বুঝায় বললে খুশী হতাম। বাকীরাও জানতে পারতো।

১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫১

ইসপাত কঠিন বলেছেন: হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: @ইসপাত কঠিন, কল অব ডিউটি আর চার্টার অব ডিউটিজ এর মধ্যে পার্থক্য? সত্যি বলতে ভাই এব্যাপারে আমার ধারনা নাই.

আমরা আবেগের বশে ভুলধারনা বশত অনেক কিছুই বলে বসি যা বলা ঠিক নয়, তবে আপনার সাথে একমত নই "ভেংগে পড়া দালান থেকে মানুষকে বাচানো সেনাবাহিনীর কাজ নয়"

উনারা দেশের মহান সেবক, আমজনতা যে কোন প্রাকৃতিক/ এ ধরনের বড় রকমের ধ্বসের ঘটনার মত বিপদে উনাদের সাহায্য আশা কর

চার্টার অব ডিউটিজ প্রেসক্রাইবড। আর কল অব ডিউটি সেটাই যে কর্তব্যের ডাক মানুষ নিজে অনুভব করে।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

ইসপাত কঠিন বলেছেন: বাউন্ডুলের গল্প বলেছেন: আপনি ঘটনা স্থলে থেকে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবার বদলে ব্লগিং করতেছেন! এতেই বোঝা যায়.... ধন্যবাদ। সাধারণ মানুষ, ফায়ার ব্রিগেড যা করতেছে আপনারা তা করতেছেন না। আপনারা জীবন বাজি রাকতে শিখেন নাই। আমি দুঃখের সাথেই এটি বলতে বাধ্য হলাম। আমিও ছিলাম সেখানে, সেখানে থাকা অবস্থায় তো ব্লগ লিখবার কথা মাথায় আসেনি। আমরা পরে টেলিভিশনেও লাইভ দেখেছি উদ্ধার কাজ। কই কোনো সেনা সদস্যকে তো ধ্বংসস্তুপের নীচে ঢুকতে দেখিনি? সাধারণ মানুষ, স্বেচ্ছাসেবক ও অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর তরুণ ছাড়া তো আপনাদের কাওকে ভিতরে ঢুকতে দেখলাম না। নিজেদের স্বামর্থ নিয়ে এতো মিছে কথা আর বলবেন না। আমরা এমনিতেই মখারে নিয়া বিরক্ত। আর একটা কথা, ওইখানে আপনারা বন্দুক নিয়া কি করেন? কি আজব আপনাদের স্বভাব! রাস্তায় গোন্ডগোল হলে তো গা বাচিয়ে চলে যান পাশ কাটিয়ে। জাতির ট্যাক্স এর টাকা খেয়ে আর কত সুখে শুয়ে বসে কাটাবেন? আত্ম সমালোচনা করুন। আমার কথা? আমি তো ভাই গর্ব করছি না নিজেকে নিয়ে। আমি লজ্জিত, স্তম্ভিত। আমার শারিরিক স্বামর্থে কুলালে আরও কিছু করতাম নিশ্চয়। ওখানে থেকে আর ভিড় না বাড়িয়ে বাসায় এসে চোখের জল ফেলছি। আপনার মতন মিথ্যা কথা বলছি না। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন

জনাব, আমি সুদুর চট্টগ্রামে। আর এখানে যখন ফ্লাইওভার ধ্বসে পড়েছিলো, তখন আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে যাওয়ার আদেশ না দেওয়া সত্ত্বেও গিয়েছিলাম এবং উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। আর আজ সারাদিন টিভিতে কি দেখাচ্ছে? রিপোর্টাররা ভিতরে ঢুকে এসে কি বলছে শুনেছেন? দেখেছেন? আর আমি মিথ্যা কথা কি বলেছি বলুন। বলুন একবার। কোন কথাটা মিথ্যা ছিলো বলুন। অন্যকে মিথ্যাবাদী বলার আগে নিজের চেহারা টা আয়নায় দেখে আসুন।

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০০

ইসপাত কঠিন বলেছেন: বাউন্ডুলের গল্প @ আপনার জন্য একজনের কমেন্ট কপি পেস্ট করে দিলাম।

Link

এম ই জাভেদ বলেছেন: এই মাত্র রানা প্লাজার দুর্ঘটনা স্থল থেকে ফিরলাম। যে সব মদন সেনা বাহিনীর কুৎসা রটিয়ে আত্ম তৃপ্তিতে ভুগে তাদেরকে বলি- সেনা বাহিনী কি করছে তা নিজ চর্ম চক্ষে গিয়ে দেখে আসুন। কেউ কেউ হাস্যকর ভাবে জাহাজ কাটার সাথে বিল্ডিং ভেঙে মানুষ উদ্ধারের তুলনা করছেন !!!!!!!!! হায়রে! আবাল কাহাকে বলে ?

আপনি তো আবার সত্যবাদী। আমরা হলাম গিয়ে মিথ্যাবাদী। শুধু একবার আমার বলা মিথ্যাটা দেখায় দিয়েন।

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৯

শিপু ভাই বলেছেন:
কিন্তু আমরা যখন কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়ে কয়েকজন আর্মিকে জিজ্ঞেস করি যে এগুলো কাকে দিব??? তারা জবাব দেয়- জানি না!!!

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: শিপু ভাই বলেছেন:
কিন্তু আমরা যখন কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়ে কয়েকজন আর্মিকে জিজ্ঞেস করি যে এগুলো কাকে দিব??? তারা জবাব দেয়- জানি না!!

ভাই, ঘটনার পর খুব দ্রুত রেসপন্স করা হয়েছে। এর জন্য সমন্নয়হীনতা কিছুটা হতেই পারে। আপনি কন্ট্রোল সেলে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে এমনটা হতো না। আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এদেরকে ঠিকমত ব্রিফ করার সময় পাওয়া যায়নি। আশা করি ব্যাপারটা বুঝবেন এবং এই ভুলটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এ ব্যাপারে আরেকটা বিষয় মাথায় কাজ করে। বহাদ্দারহাটে আমরা যখন কাজ করছিলাম তখন মেয়র সাহেব উদ্ধারকর্মীদের জন্য নাস্তা পাঠালেন। উনার প্রতিনিধি আমার কাছে আসলো এবং জিজ্ঞেস করলো কোথায় দিবে। আমি বললাম জানি না। আসলে কিছু কিছু মানুষের মুখে মিথ্যা অপবাদ শুনতে শুনতে এখন কারো কিছু নিতে বা দেখাতে ভয় হয় কেননা পরে পাওয়া না গেলে আবার ২/৪টা কথা শুণাতে উনারা ছাড়বেন না।

১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪২

শিপু ভাই বলেছেন:
আমি আপনাদের অসম্মান বা ছোট করে বলছি না। আপনারাতো আমাদেরই ভাই।
আমি মূলত ঐ সমন্বয়হীনতার কথাই বলছি। এটা গতকাল রাতের কথা। তারা কন্ট্রোল সেল কোথায় তা ই বলতে পারে নি।

যাইহোক আপনারা যে পরিস্থিতিতে কাজ করছেন তা আমরা বাইরে থেকে আসলেই সঠিকভাবে বুঝতে পারছি না। আমি পাশের তিনতলায় উঠেছিলাম দমকল কর্মিদের কিছু জিনিস দিতে। সেখানে দেখলাম সেনা বাহিনী, দমকল কর্মী আর কিছু সিভিল তরুন কাজ করছে। সেখানে আমি ৫ মিনিট দাড়াতে পারি নাই প্রচন্ড গরম আর দূর্গন্ধে।


আপনারা জীবন বাজী রেখে কাজ করছেন মানবতার জন্য, দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য।

আপনাদের জন্য শ্রদ্ধা ও শুভকামনা!!!

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

ইসপাত কঠিন বলেছেন: ধন্যবাদ শিপু ভাই। যদিও আমি ওখানে নাই।

এরকম পরিস্থিতিতে আসলে কিছুটা সমন্বয়হীনতা হওয়াটা কাম্য নয় কিন্তু স্বাভাবিক। এর জন্য তো কোন রকমের প্রস্তুতি ছিলো না, তাই এমনটা হয়েছে।

সবচেয়ে দুঃখ লাগে যখন কিছু মানুষ নির্লজ্জের মত মিথ্যা বলে। এদের খোঁজ নিলে কি দেখা যাবে তা বলে পরিবেশ দুষিত করবো না। একটু আগে অর্থাৎ রাত সাড়ে ৩ টায় এটিএন নি্উজে দেখলাম সুড়ংগ করার চেষ্টা চলছে আর সেই চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস আর কয়েকজন অসামরিক ব্যাক্তি মিলিয়ে কাধে কাধ রেখে। সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন আর ২ জন সৈনিককে দেখলাম ঐ ছোট্ট সুড়ংগের ভেতরে নেমে কাজ করতে। আর বাউন্ডুলের গল্প, আহমেদ রিজভীর মত কিছু ব্লগার তাদের নিজের সম্পর্কে কি পরিচয় দিয়ে গেলেন। একজন তো আবার আমাকে মিথ্যা কথা বলের দায়ে অভিযুক্ত করলেন। এই নোংরা মানসিকতার ব্লগারটা আর ফিরে আসেনি প্রমান দিতে। প্রমান পাবে কোথায়? এরা বাজে মন্তব্য করে পালিয়ে যায়। এমনি নির্লজ্জ এরা।

অনেক কথা বলে ফেললাম। আসলে সেনারাও মানুষ। তাদের ও ক্ষোভ, কষ্ট থাকতে পারে।

১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১১

নিয়েল হিমু বলেছেন: সেনাবাহিনীর উপর আমার আস্থা আছে ।

১৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪২

বাউন্ডুলের গল্প বলেছেন: শুনেন ভাই, আপনার কথা বলবার ধরন দেখেই আমার নিজের চেহারা আয়নার দেখবার প্রয়োজন বোধ করছি না আর। রাত এগারোটার দিকে পোষ্ট দেখলাম যে জেনারেটর এর তেল শেষ হতে চলেছে, যেভাবে পারেন তেল নিয়ে আসুন, যে পারেন নিয়ে আসুন। ভাই সাভার সেনানিবাসে তেল নাই? হ্যা, সেনা বাহিনির অবদান অস্বিকার করবার তো বলছি না। আপনি মুল আবেদন টা বোঝেন নাই। আমাদের মূল আবদারটা থাকেই আপনাদের কাছে। তো আর কার কাছে থাকবে? আপনারাই তো বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। আমাদের তো আর ঐ রকম প্রশিক্ষন নেই। আর উদ্ধার স্থলের স্বেচ্ছা সেবকরা যা বলছে টেলিভিশনে তাতে তো অভিমান হতেই পারে। তাই না। স্বয়ং অর্থমন্ত্রী গিয়ে সেখানে সরকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতায়, এবং সেই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। এই স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষ আছে। ঠিক যেমন চিটাগাং এ একজন সেনা সদস্য হিসাবে গিয়েছিলেন নাকি নিজের বিবেকের তারণায় একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে গিয়েছিলেন জানি না। তবে আপনার গায়ে সেসময় পোশাক থাকলেও একজন মানুষ হিসাবেই গিয়েছিলেন বলেই আমার ধারনা। কারণ সেনা সদস্য হিসাবে আপনার উপর কোনো নির্দেশ ছিলো না। ভাই যা ক্ষতি হবার হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। সারা বিশ্বে আমাদের দেশে তৈরি পোশাক সম্পর্কে বেদনাবিধূর ধারনা হয়ে গিয়েছে। কি আশ্চর্য্য দেখেন তারা আমাদেরকে দোষ দিচ্ছে না, দোষ দিচ্ছে নিজেদেরকে। এখানেই আমরা পিছিয়ে থাকলাম। যকিগা ভাই কিছু মনে করবেন না। আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন। আমার উদ্দেশ্য আপনার মনে কষ্ট দেয়া ছিল না। আমার অভিমানটা হলো আপনারা থাকতে কেন সাধারন এইসব যুবক কেন জীবনের ঝুকি নেবে? ওদের তো তেমন প্রশিক্ষন নেই। ওরা নিজেরাই বিপদে পড়ে ডেতে পারে। আমরা কেউই চাই না উদ্ধারকারীদেরও ক্ষতি হোক। আর অন্য অনেক মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্যে বলছি, কোন লেখার মর্মার্থ সবসময় বক্তব্যের উপরে ভেসে থাকে না। শব্দগুলোর ভেতরে অনেক আবেগ লুকিয়ে থাকে। আর কাউকে কোনো দেশের দিকে ঠিলে দেবেন না। আপনাদের এই স্বভাবের কারণে সাধারন লেখকদের দুর্নাম হয়। আমি আপনার বিরোধী দলেরও দালার নই আবার আপনার পক্ষের দলেরও দালাল নই। আমি সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের দালাল। হ্যা, আমি এই হতদরিদ্র মানুষগুলোর দালাল হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। আশা করছি আমার মন্তব্যে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজগুনে এই অধমকে ক্ষমা করবেন। নিজের ভুলের ক্ষমা চাইবার মতন সৎসাহস আমার আছে কারণ আমি সমাজের সুবিধাভোগীদের দালাল নই, আমি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দালাল। প্রতিমন্তব্য করবার আগে আমরা নিশ্চই মন্তব্যকারীর ব্লগ পড়ে তার সম্পর্কে ধারনা নিয়ে নেই।

১৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

বাউন্ডুলের গল্প বলেছেন: আর অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভাই প্রতিমন্তব্য করবার মতন সময় পায়নি। কারণ আমি আর আমার এক বড়ভাই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম আবার। হ্যা আপনাদের সেনা সদস্যরাও কাধ মিলিয়ে কাজ করছে। আশা করি তাঁরা আরও অনেককে জীবিত উদ্ধার করবে। আমার আর শারিরিক স্বামর্থ নেই ভাই, ওদের জন্য আরও কিছু করব। তাই জীবনের সকল সঞ্চয় স্ত্রীকে না জানিয়ে সেখানে দিয়ে এসেছি। এনাম মেডিকেলে। ওদের কাছে আমরা জাতি হিসাবে কৃতজ্ঞ। ওরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমি আমার সামান্য অবদানের অর্থের অংকটা জানাচ্ছি না। এবং সেটা জানানোও উচিৎ নয়। শুধু এটুকু বলে রাখি সেটা আমার আজীবনের সঞ্চয়। আমার চাইতে এখন এনাম মেডিকেলের ওদেরই এই অর্থের প্রয়োজন বেশী। অনেক ঔষধ কিনতে হবে এখন। ঔষধ কম্পনির প্রতিনিধিরা অনেক ঔষধ দিচ্ছেন। ওদের সবাইকে ধন্যবাদ। আসুন ভাই ভেদাভেদ ভুলে সবাই কিছু না কিছু করি। ঠিক সবাই মিলে যেমন রক্ত দিয়েছি এই আহত মানুষগুলোর জন্য। রক্তের রং ভাই সবা্রই এক। লাল। আবারও আমি অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করে কৃতজ্ঞাতাপাশে আবদ্ধ করবেন। আসুন আমরা সকলে এই হতভাগ্য মানুষগুলোর জন্য কিছু করি। যে যা পারেন তাই করবেন এবং নিজ উদ্যোগে করবেন আশা করি।

২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০৬

বাউন্ডুলের গল্প বলেছেন: আর একটি বিষয়! ভাই আমি জনাব জুয়েলের পোষ্ট এ মন্তব্য করলাম! লৌহ মানব ভাই বলেছেন যে তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছি! ভাই একই ব্যক্তির দুই এ্যাকাউন্ট নাকি?!!! ব্যাপার না। ভাই লৌহ মানব, আপনিও ক্ষমা করে দিয়েন আমাকে। ভাই পারলে একটা বুদ্ধি দেন এখন সহধর্মিনীর হাত থেকে বাচি কেমনে? নিজের নগদ যা সম্পদ সব ভাই দিয়ে এসেছি। আল্লাহ ভরসা।

২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

বাউন্ডুলের গল্প বলেছেন: আজ থেকে আমি সামুতে কোনো মন্তব্য করবো না আর। শুধু সময় পেলে পোস্ট দেব হয়তো। আগে তাই করতাম শুধু। নিজের আবেগ ও অনুভুতির কথাগুলো নিজের ডোমেইন এবং হোষ্টিং এ ব্লগ হিসাবে লিখব। পাঠকের দরকার নেই ভাই। নিজের জন্যই লিখব। কেউ যদি হঠাৎ করে সেই সাইট এ ভিজিট করে তাহলে পড়বে হয়তো। ইচ্ছে হলে সেখানে সে রেজিষ্টার করে লেখক হিসাবে আমার সাথে যোগ দেবে। সেটি আমার নিজের ব্লগ সাইট। সেখানে যারা লিখবে তারা খুবই সহনশীল ও সাদামাটা মানুষ হবে। সাইট এর ঠিকানাটা প্রকাশ করছি না। তবে সেটি এখনও বিদ্যমান। ধন্যবাদ। হঠাৎ একদিন পেয়ে গেলে পড়বেন আমার লেখাগুলি। কৃতজ্ঞ থাকবো।