নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রযুক্তি চোর

গুপ্ত চোর

লিংকন_ফেণী

প্রযুক্তি লিখক

লিংকন_ফেণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগো ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার জাগো

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

বাংলাদেশে দাবি আদায়ের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে রোডে গাড়ি ভাঙ্গা। আমার মনে হয়,, ঈদের আগের দিন/ পরের দিন সড়ক অবরোধ, গাড়ি বাংচুর করলেই একমাত্র সরকারের টনক নড়বে!

না হলে সরকারের মেয়াদ ২৪ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে গেলে- সরকার আমাদেরকে আবারো আশ্বাস দিবে, পূণরায় সরকার গঠন করতে পারলে, ডিপ্লোমার মান মর্যাদা উন্নায়ন করবে।

সরকার চাচ্ছে, ৯/৬ করে দিন কাটাতে কারন ডিপ্লোমাদের খুশি করা মানে BSC দের তেলে বেগুনে জ্বলে উঠা। তাই সরকার চাচ্ছে IDEB ও IEB উভয় নৌকায় পা দিয়ে কোনরকম নদী পার হতে। মনে রাখবেন আমরা দেশের সংখ্যাগরিষ্ট ইন্জিনিয়ার + আমাদের ভোট বেশি। সুতরাং যা করার নির্বাচনের আগে করতে হবে, না হলে আন্দোলনের আগুণ নিভে যাবে-তার চেয়ে আরো বেশি আগুন জ্বলবে যদি আমরা ৫দিন ধর্মঘট করি।



সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি/বেসরকারি/জরুরী সার্ভিস তথা- বিদুৎ , গ্যাস, পানি, পরিবহন , EPZ, সহ সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ৩লক্ষা ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার এক সাথে ৫দিনের জন্য কর্ম বিরতি তে যাই! তখন সরকার বুঝবে ঠেলা কাকে বলে? তাই সংগ্রামি ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার ও ছাত্র- ছাত্রীদের কে ফেণী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট+ বাকাছাপ+IDEB এর পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি যে- ঈদের ছুটির পর আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিবেন না!!!!!!!!!! এবারের সংগ্রাম,চূড়ান্ত সংগ্রাম।



কারিগরি শিক্ষার সেকাল - একাল মোঃ আহসান হাবীব সেতু ( ঢা. প. ই ) দেড়শতাধিক বছর আগে শুরু হয়েছিলো পলিটেকনিক শিক্ষাব্যাবস্থা। দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্য মূলত এ শিক্ষাব্যাবস্থা র পথচলা। ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা হিসেবে পরিচিত করা হয় এই শিক্ষাব্যাবস্থা কে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা যাতে উ শিক্ষা অর্জন করতে পারে সেই লক্ষে দেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পড়ার সুযোগ করে দেয় তৎকালীন শিক্ষাপরিষদ। ডিপ্লোমাদেরকে সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দশটি কোটা দে।



ভালই চলতে শুরুকরে ডিপ্লোমা ও অন্যান্য প্রকৌশল শিক্ষাব্যাবস্থা। দেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক বছরের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখাযায় প্রতিটি বিভাগে যে দশ জন করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নেওয় এক থেকে দশম স্থান অর্জন করেছে। শুরু হয়ে গেল সাধারন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ( এটা প্রথম শুরু হয় রুয়েটে )। তারা দাবিকরে কোন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তাদের সাথে পড়তে পারবে না। তাদের লাগাতার কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ডিপ্লোমাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। প্রায় এক লক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য চালু করা হয় একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েট। যার আসন সংখ্যা মাত্র বারশত। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা তা বীণা যাত্রা ও কঠিন পথে। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ কমে যাওয়ায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা কর্ম সংস্থানে যোগ দিতে শুরু করে। সেখানে তারা তাদের সৃজনশীল প্রতিভার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান নিয়ে যায় উচ্চ শিক্ষিত বি.এস.সি প্রকৌশলীদের সমপর্যায়ে। শুরু হয়েগেল আবার দন্দ।



বি.এস.সিরা মানতে চাইলনা ডিপ্ এ পদন্নতি। শুরু হয়েগেল আন্দোলন, বৈষম্য ও শত্রুতা। এমন একটা কথা আছে, 'যে দিন থেকে কেউ ডিপ্লোমাতে ভর্তি হল, সেইদিন থেকেই সে বি.এস.সিদের শত্রু হয়ে গেল '। বি.এস.সিরা লাগাতার আবেদন জানাতে থাকল যে, ' ডিপ্লোমারা আমাদেরচেয়ে কম শিক্ষিত, তারা কোন কাজে প্রতিভা দেখাতে পারেনা, আমরা তাদের পদন্নতি মানি না '।



আবার নীল - নকশায় হারিয়ে গেল ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। ২০০৮ সালে কেড়ে নেওয়া হল তাদের পদবী। তারা আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী থাকলনা, হয়েগেল "সুপারভাইজার"। "জাগো ডিপ্লোমারা জাগো। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। যদি তোমরা আজ না জাগো, আর কোনদিনও জাগতে পারবেনা। সারাটা জীবন তোমাদের জেগেও ঘুমিয়ে থাকতে হবে।"



(লিংকন_ফেণী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট/০১৮২৬১০৬২৫৫)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.