![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ম্যালেরিয়া পরজীবী কেমন করে রক্তের লোহিত কণিকাকে আক্রান্ত করে এবং কিভাবে সেই আক্রান্ত কোষ মাথা এবং অন্যসব জরুরি অঙ্গে রক্ত প্রবাহ আটকে দেয় তা বোঝা সম্ভব হয়েছে, সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী এমন দাবি করেছেন।
অত্যাধুনিক কম্পিউটার মডেলিং এবং গবেষণাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে ব্রাওন ইউনিভারসিটি এবং এমআইটির এক দল গবেষক এমন তথ্য প্রকাশ করেন।
গবেষণার এই ফলাফল প্রোসিডিং অব দ্যা ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স জার্নালের অন লাইন এডিশনে প্রকাশ হয়েছে। এতেকরে এখন হতে ডাক্তাররা ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য আরও অনেক রোগে, শরীরের আক্রান্ত কোষ গুলোকে সময় মতো সারিয়ে তুলতে সত্যিকারের চিকিৎসা দিতে পারবেন, গবেষণার ফলাফলে এমন দাবি করা হয়েছে। এতদিন শরীরে ম্যালেরিয়া পরজীবীর যাতায়াতের সঠিক জ্ঞানের অভাবে ডাক্তাররা এমনসব রোগের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারতেন না।
গবেষণা পত্রের লেখক ব্রাওন ইউনিভারসিটির প্রায়োগিক গণিতের অধ্যাপক জর্জ কারনিয়াডেকিস বলেন “এর ফলে আবহাওয়ার মত করে রোগের যাবতীয় পরিবর্তন সম্বন্ধেও আগাম সতর্কতা জানানো সম্ভব হবে”
বর্তমান এই গবেষণায় গবেষকেরা ম্যালেরিয়া জীবাণু প্লাজমোডিয়াম ফেলসিপেরাম (Plasmodium falciparum) প্রজাতিটির ওপর কাজ করেন, ম্যালেরিয়ার এই জীবাণুটি মাথার কৌশিক রক্ত জালে পৌঁছে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার জন্ম দেয়। শিশুদের এই রোগটি বেশী দেখা যায়। এই রোগের বিস্তৃতি বিশ্বব্যাপী হলেও আফ্রিকা মহাদেশে এর প্রকোপ বেশী।
আক্রান্ত মশার কামড়ে এই জীবাণু মানুষের শরীরে ও এক পর্যায়ে লোহিত রক্ত কণিকায় প্রবেশ করে। সাধারণত স্বাস্থ্যবান ও স্বাভাবিক লোহিত রক্ত কণিকার কোষ গুলো খুবই নমনীয় হয়, লম্বায় ৮ মাইক্রন ও পাশ বরাবর ২ মাইক্রনের এই কোষ গুলো খুব সহজেই ৩ মাইক্রনের কৌশিক নালির ভেতর দিয়ে চলাচল করতে পারে। আর এই কৌশিক নালি গুলোর মধ্যদিয়ে লোহিত রক্ত কণিকা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে অক্সিজেন সহ আরও সব পুষ্টি উপাদান বয়ে নিয়ে যায়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কম্পিউটেশনাল সায়েন্স এর বিশ্বের দ্রুততর সুপার কম্পিউটারটির সহায়তায় মডেল তৈরির মাধ্যমে কারনিয়াডেকিস এবং তার সহকর্মীরা ম্যালেরিয়া আক্রান্ত এই কোষের আটকে যাবার বিষয়টি দেখতে পান। এর পরিমাণ স্বাভাবিক রক্ত কোষের থেকে পঞ্চাশ ভাগ বেশী। আক্রান্ত লোহিত রক্ত কোষের নমনীয়তা হারানোই এর জন্য দায়ী আর নমনীয়তা হারানোর কারণেই কৌশিক নালির ভেতর দিয়ে স্বাভাবিকভাবে এরা যাতায়াত করতে পারেনা ফলে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হয়।
অধ্যাপক কারনিয়াডেকিস আরও বলেন “ লোহিত রক্ত কণিকার আকার বদলের কারণেই মস্তিষ্কে পুষ্টি এবং অক্সিজেনের অভাব দেখাদেয় ও এমন জটিলতার সৃষ্টি হয়। রক্তের সান্দ্রতা বাড়ার সাথে সাথে রক্ত কোষের আটকে যাবার প্রবণতাও বাড়তে থাকে। ফলে সমান হারে রক্ত প্রবাহ পাবার জন্য হৃদপিণ্ড দ্বিগুণ হারে রক্ত পাম্প করতে থাকে।
এই গবেষণায় আরও জানাযায় আক্রান্ত রক্ত কণা রক্তের কৌশিক নলের দেয়ালে থিতিয়ে লেগে থাকে। তবে কেনও এমন ঘটনা ঘটে এর কারণ পুরোপুরি এখনো জানা যায়নি।
খবর: সাইন্স ডেইলি
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৫
সোহরাব সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে !
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৩
সৈয়দা আমিনা ফারহিন বলেছেন: রক্ত কণা রক্তের কৌশিক নলের দেয়ালে থিতিয়ে লেগে থাকে কেন? আর রক্তের সান্দ্রতা বাড়া মানে কি স্যার?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৮
সোহরাব সুমন বলেছেন: এর পুরোটা এখনো গবেষকেরা নিশ্চিত হতে পারেনি। যতদূর জানাগেছে লোহিত রক্ত কণিকার দেয়ালের নমনিয়তার পরিবর্তনই এর মূল কারন। সান্দ্রতাকে ইংরেজিতে বলা হয় ভিসকোসিটি। সোজা ভাষায় বল্লে কোন তরলের কঠিন কোন তলে লেগে থাকার প্রবনতাই হলো সান্দ্রতা। এটি বিভিন্ন তরলের বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
মৌ রি ল তা বলেছেন: +