নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Island in the Stream

লোনার

When men cease to believe in God, they do not thereafter believe in nothing, they then become capable of believing anything. - G.K. Chesterton

লোনার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবারো "সেয়ানা পাগল" নিকের ব্লগারের মন্তব্যের জবাবে পোস্ট

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

আমার শেষ পোস্ট: "শ্রদ্ধেয় ব্লগার খায়রুল আহসান ভাইয়ের একটা মন্তব্য প্রসঙ্গে...."। এই পোস্টে ব্লগার "সেয়ানা পাগল" বলেছেন: "ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই এক কথা ! ভুত বলে কিছু নাই, এটা অন্ধবিশ্বাস কিন্তু জীন আছে এটা absolute truth কারন একজন ১৫০০ বছর আগে বলে গিয়েছেন !" তার জবাবটা পোস্ট আকারেই দিলাম, হয়তো অন্যদেরও উপকারে আসবে ইনশা'আল্লাহ্ এই আশায়!

আপনার মন্তব্য থেকে আমাকে ধরে নিতে হচ্ছে যে, আপনি একজন বিধর্মী বা অধর্মী। তাই ইসলামের কিছু মৌলিক বিষয় আপনাকে বলার চেষ্টা করবো:

১) কুর'আনে আল্লাহ্ মানুষকে খুব সাধারণ কিছু যুক্তি দিয়ে ইসলামের দিকে, তাঁর দিকে ডাকেন। যে কেউ যদি একটু অবকাশ নিয়ে সেগুলো নিয়ে ভাবেন/ভাবতেন তাহলে তিনি আল্লাহর কাছে, তার আহবানের কাছে আত্মসমর্পণ করতেন/করবেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই যে, যার নসীবে হিদায়াত বা দিক-নির্দেশনা লাভ করার বিষয় নেই - তিনি সৃষ্টিতত্ত্ব বা উদ্দেশ্যবাদ নিয়ে ভাবতে কোন চেষ্টা করেন না বা সেজন্য জীবনের কোন সময়ও বরাদ্দ করেন না। কিন্তু যারা সেটা করার চেষ্টা করেন, তারা আল্লাহর দয়ায় দ্বীন ইসলামে প্রবেশ করেন। এরকম একজনের একটা বইয়ের লিংক দিচ্ছি আপনাকে। কেন পৃথিবীতে আসলেন, এখানে কি করলেন, এরপর কি রয়েছে - এসব নিয়ে ভাববার অবকাশ যদি হয়, তবে বইটা পড়ার চেষ্টা করবেন। বইটার লেখক অস্ট্রীয়-জার্মান জাতীয়তার সাদাচামড়া যুক্তিবাদী ইহুদী সংবাদিক ছিলেন। যুক্তি দিয়ে চিন্তা করে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এই বইটা পড়ে পৃথিবীর অনেক অধর্মী বা বিধর্মী মুসলিম হবার অনুপ্রেরণা লাভ করে মুসলিম হয়েছিলেন- একজনের নাম আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি: অস্ট্রেলিয়ান লেখিকা Amatullah Armstrong।
view this link

২)একবার যখন আপনি আপনার যুক্তি দিয়ে বুঝবেন যে, কুর'আন সত্যিই মহাবিশ্বের স্রষ্টার কাছ থেকে এসেছে, তখন না বোঝা বিষয়গুলো আপনি আল্লাহ্ বলেছেন বলেই মেনে নিবেন বা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করবেন। উদ্হরণস্বরূপ, ঈমানের বা বিশ্বাসের যে ৬টা বিষয় রয়েছে আমাদের - আল্লাহ্, তাঁর ফেরেশতাকুল, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ, শেষ বিচারের দিন এবং ভালো মন্দের নির্ধারণ - এগুলো সবই না দেখে বিশ্বাস করার বিষয় - এগুলোর কোন সরাসরি প্রমাণ নেই। এই ৬টা বিষয়ের ২ নম্বরটা হচ্ছে তাঁর ফেরেশতাকুল - যার নেতৃত্বে ছিল ইবলিশ (শয়তান)। ইবলিশ যেহেতু জ্বীন প্রজাতির - সেহেতু জ্বীনে বিশ্বাস ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আল্লাহ্ বলেছেন বলেই আমরা জ্বীনে বিশ্বাস করি - রাসূল (সা.) আল্লাহর কথা আমাদের কেবল convey করে গেছেন।

পাঁড় নাস্তিকরা কি দেখে ইসলামে আসেন, বোঝার জন্য এই ভিডিোটা দেখতে পারেন ইনশা'আল্লাহ্:


বিশ্বাস-অবিশ্বাসের আরো তথ্যের জন্য দেখুন:
view this link

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

মানিজার বলেছেন: পরী বলে কিছু আছে ?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১১

লোনার বলেছেন: আমি কোন Classical Islamic Literature-এ পরীর concept দেখিনি। ছেলেবেলায় রূপকথার গপ্পে পরীর কথা শুনেছি। জ্বীন যেহেতু আক্বীদার একটা বিষয়, সেহেতু প্রতিটি মুসলিমের এই ব্যাপারে সঠিক বিশ্বাস থাকাটা অত্যন্ত জরুরী! আমি একটু বলে দিচ্ছি: জ্বীনরা হচ্ছে আমাদের মত individuals - জীবন, মরণ, সংসার, ইবাদত, স্ত্রী ও পুং-লিঙ্গ সবই আছে; most importantly মানুষ ছাড়া তারা হচ্ছে একমাত্র সৃষ্টি, যাদের বিচার তথা জান্নাত/জাহান্নাম আছে। স্কলাররা বলেন, তাদের সাথে আমাদের অস্তিত্ব tangential অর্থাৎ, স্পর্শক যেমন বৃত্তকে কেবল স্পর্শ করে কিন্তু intersect করে না, তেমন। আর কখনো intersect করলেও তা খুব rare। খুব সম্ভব তারা আমাদের চেয়ে বেশী dimension-এর - তাই আমরা তাদের দেখি না। বিস্তারিত জানতে চাইলে দেখুন/পড়ুন: The World of the Jinn and Devils - Dr. Umar Sulaiman al-Ashqar
view this link

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জীনের কথা আল্লাহ কুরআনের একটি স্বতন্ত্র আয়াত নাযিলের মাধ্যমে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং এটা অবিশ্বাস করলে কুরআনের আয়াতকে অবিশ্বাস করা হবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

লোনার বলেছেন: ধন্যবাদ....। শুধু আয়াত নয়, "সূরাহ্ জ্বীন" নামে একটা গোটা সূরাহ্ রয়েছে কুর'আনে!

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

আমার আব্বা বলেছেন: যা আছে ভান্ডে তা দেখি ব্রম্মান্ডে

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

লোনার বলেছেন: আপনার বিজ্ঞ বাক্য আমি বুঝিনি - কখনো শুনেছি বলেও মনে হয় না। তবে মুসলিম হিসাবে "ব্রহ্মান্ড" বা "ব্রহ্মার অন্ড(কোষ)"-এই কনসেপ্টে নিশ্চিতই বিশ্বাস করি না!

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সরি, আমি আসলে সুরাই লিখতে চেয়েছিলাম, মিসটাইপিংয়ে আয়াত লেখা হয়ে গেছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

লোনার বলেছেন: না ঠিক আছে, আমারও মনে হয়েছে আপনি হয়তো সুরাহই বলতে চেয়েছেন!

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ লোনার : মনে হচ্ছে উলু বনে মুক্ত ছড়াচ্ছেন ! কিছু মানুষ কিছুতেই বুঝবে না | অন্যধর্মের কেউ হতে পারে এটা আবার নাম মাত্র মুসলিম কেউ হতে পারে | আপনার কিছু করার নেই | এদের প্রসঙ্গেতো বলাই আছে কুরান শরীফে যে এরা অন্ধ, বধির, এরা শুনবে না |

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

লোনার বলেছেন: দেখুন রাসূল(সা.)-কেই আল্লাহ্ বলেছেন - তার দায়িত্ব শুধু বাণী/সংবাদ পৌঁছে দেয়া; সেখানে তো আমার মত নগন্য ব্যক্তির বেশী কিছু করণীয় নেই। আমি প্রাসঙ্গিকতাকে মুসলিম ভাই-বোনদের কিছু শোনানোর একটা উপলক্ষ হিসাবে নিয়েছি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.