নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Island in the Stream

লোনার

When men cease to believe in God, they do not thereafter believe in nothing, they then become capable of believing anything. - G.K. Chesterton

লোনার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামকে বিনির্মাণ করার প্রচেষ্টা

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১১

[ ব্লগের সকল বিশ্বাসী মুসলিম ভাই-বোনদের উদ্দেশ্য নিবেদিত....]

মূল লেখায় যাবার আগে একটা ছোট্ট গল্প বলবো - সত্য ঘটনা:

স্বাধীনতার পরপরের সময়টার গল্প। একজন স্বনামধন্য কবি (যিনি এখনো বেঁচে আছেন) গিয়েছেন ধানমন্ডি এলাকার এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রোগী হিসেবে। ডাক্তার তার পূর্ব পরিচিত। তাকে দেখে ডাক্তার বললেন: "কবিবর, কেমন আছেন?" কবি তাকে স্বাভাবিক উত্তর দেয়ার পরে ডাক্তার বল্লেন: "কবি সাহেব, 'মাঠের ভিতর ব্যাঙ, করে গ্যাঙর গ্যাঙ' - এমন কবিতা না লিখে বরং একবার গ্রাম বাংলা ঘুরে আসুন; দেখে আসুন মাঠ দেখতে কেমন, আর ব্যাঙই বা দেখতে কেমন। আপনার মনে হয় বহুদিন গ্রামে যাওয়া হয় নি।"

আমাদের ভিতর অনেকেরও তেমন, নিজ কম্পিউটারের সাথে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে ব্রাউজ করতে করতে জ্ঞান আহরণ করে আর থিওরি কপচাতে কপচাতে মনে হয় পৃথিবীর সবকিছু আমাদের জানা হয়ে গেছে! কখনো বা যে বসন্তের দেশে (view this link) গোলামী করতে যাওয়া, সেই দেশের ধর্ম-বিদ্বেষী বা ইসলাম বিদ্বেষীদের গিলিয়ে দেয়া কথা/জ্ঞান, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ও শান্তিকামী মানুষদের মাঝে উগরে সবজান্তা মহা-আঁতেল সাজেন তারা। এরকমই একটা লেখা পড়তে পড়তে মনে হলো, লেখকের কি ভাগ্য যে তিনি, ৮৭% মুসলিমের দেশে, বাংলাভাষার তথাকথিত সর্ববৃহৎ ব্লগে মুসলিমদের একমাত্র Deity আল্লাহকে ও তাঁর রাসূলকে (সা.) গালিগালাজ করে চলে গেলেন। এডমিনের মানুষজনও চেয়ে দেখলেন না এখানে কি হয়ে গেলো - বরং একজন তাকেই তার ধৈর্যের জন্য বাহবা দিলেন। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথাই ভাবুন: কারো ফ্রিজে গরুর গোশত আছে, কেবল এই গুজবের উপর ভিত্তি করেই কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। কি অসীম ধৈর্য আমাদের গণ-মানুষ-মুসলিমদের। পৃথিবীর সবার চেয়ে এবং সবকিছুর চেয়ে তাদের কাছে যে দু'টো entity প্রিয়, তাঁদেরকে গালি গালাজ করে চলে গেলেন বিদেশে থাকা এক মুরতাদ - অথচ, এদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হজ্জ্ব করা, নামায পড়া মুসলিম! আইসিটি আইন কি কেবল মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রয়োগের জন্য? আল্লাহকে যারা গালি-গালাজ করে তাদের বেলায় প্রযোজ্য নয়???? ইসলাম নিয়ে যারা সামান্য পড়াশোনা করেছেন, তারা জেনে থাকবেন যে, একটা মুসলিম দেশে কেউ যদি blasphemy করে, গণ-সাধারণ-মুসলিমদের Deityকে গালি-গালাজ করে - তবে তার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্রযন্ত্রের বা রাষ্ট্রপ্রধানদের! এখানে কি হচ্ছে তারা কি জানেন? তাদের পর্যন্ত কি এসব সংবাদ পৌঁছায়....??

কেউ কি ভেবেছেন স্বীয় ধর্মত্যাগ করা ঐ "প্রাক্তন মুসলিম" ব্লগারের উদ্দেশ্য কি ছিল? উদ্দেশ্য ছিল দুর্বল ঈমানের কিছু পাঠকের ঈমানকে লন্ড ভন্ড করে দেয়া - তাদের ঈমানের ভিত কাঁপিয়ে দেয়া। এমনিতেই বাংলাদেশের মুসলিমরা এখন একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন - বাংলা ভাই ও তামীমদের মত "self proclaimed" ত্রাণকর্তাদের কল্যাণে/বদৌলতে, নিজ বাসভূমে তারা যেন আজ apartheid: আসামী by default ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক - বিশেষত যারা নামাজ-রোজা করেন, practicing। এমতাবস্থায় তাদেরকে "soft target" হিসেবে বেছে নেয় ইসলামকে বিনির্মাণ করতে চাওয়া পৃথিবীর তাবৎ কাফির-মুশরিকরা, তাদের চরেরা ও ইসলাম ত্যাগী আত্মস্বীকৃত মুরতাদরা। এটা নতুন কিছু নয় - এসব প্রচেষ্টার বয়স ইসলামের সমানই হবে। ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চেয়ে, দান্তে সহ বহু প্রথম শ্রেণীর পশ্চিমা কাফির কবি/সাহিত্যিক/ধর্ম-যাজকরা যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে গেছেন, তার ফিরিস্তি দিতে গিয়ে Karen Armstrong তার Muhammad - A biography of the Prophet বইয়ে Muhammad the Enemy শিরোনামে ২২ পৃষ্ঠার একটা apologetic অধ্যায় সংযোজন করেছেন। জগতজুড়ে রাসূল (সা.)-কে vilify করতে যে প্রচারণা চালানো হয়েছে, তারই ফলশ্রুতিতে অনেক খৃষ্টান বিশ্বাস করেন যে, রাসূল(সা.) আদতে একজন বিদ্রোহী কার্ডিনাল (পোপ কর্তৃক নির্ধারিত চার্চ প্রধান) ছিলেন - একসময় বিদ্রোহ করে নিজেই একটা নতুন দ্বীনের জন্ম দিয়েছেন। তেমনি আমার অধীনে বিদেশী কোম্পানীতে কাজ করা ভারতের হরিয়ানার একজন প্রকৌশলী বলেছিলেন যে, তিনি তাদের পন্ডিতদের কাছে শুনেছেন যে, মুহাম্মাদ নাকি একজন হিন্দু ধর্মগুরু ছিলেন - তাঁকে রথে করে একটা "মিশনে" পাঠানো হয়েছিল; ঐ যাত্রায় তিনি নিজ ধর্ম (অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম) ত্যাগ করে, আরব দেশে নিজেই একটা নতুন ধর্মের সূচনা করেছিলেন। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ঐ তড়িৎ প্রকৌশলীকে আমি বলেছিলাম: "এর চেয়ে তুমি যদি বলতে যে, মুহাম্মদ তোমার 'খালাতো ভাই' ছিলেন, সেটা বরং অনেক ভালো শোনাতো"। এভাবেই রাসূল(সা.)কে, তাঁর মহামানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কত চেষ্টা - কত পাতানো গবেষণা। এভাবেই গবেষণা গ্রন্থ হিসবে বইও প্রকাশ করা হয়েছে। আপনারা কেউ কেউ হয়তো জেনে থাকবেন যে, ইসলামকে "হেগারিজম" (বিবি হাজেরা থেকে উৎপত্তি লাভ করা ধর্ম) আখ্যায়িত করে, এযাবতকালের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ স্থান, কাল, পাত্র, ঘটনা সব পাল্টে দিয়ে Hagarism নামক বই প্রকাশ করা হয়েছে - বলা হয়েছে তাতে নাকি প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা লব্ধ "facts"-এর আলোকে সবকিছুকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যদিও Patricia Crone ও Michael Cook-এর লেখা ঐ "গপ্পো" হালে পানি পায় নি, কোন নামকরা পশ্চিমা "ইসলাম বিশেষজ্ঞ" বা ওরিয়েন্টালিস্ট সেটাকে আমলে নেন নি - তবু ইসলামকে বিনির্মাণ বা Deconstruct করার চেষ্টা থেমে থাকে নি।

এই পর্যায়ে আসুন Deconstruction অভিব্যক্তিটির সংজ্ঞা বা অর্থ একটু জেনে নিই। ইংরেজী অভিধানে অনেক ক'টা সংজ্ঞা পাওয়া যাবে, যার সবক'টাই কেমন যেন বায়বীয়। আমরা তার ৩টা তুলে দিচ্ছি:

Deconstruction: an analytic method, esp. of literary criticism, originated in France in the mid-20th cent. and based on a theory that, by the very nature of language and usage, no text can have a fixed, coherent meaning.
Deconstruction:a technique of literary analysis that regards meaning as resulting from the differences between words rather than their reference to the things they stand for. Different meanings are discovered by taking apart the structure of the language used and exposing the assumption that words have a fixed reference point beyond themselves
Deconstruction: the analytic examination of something (such as a theory) often in order to reveal its inadequacy.

উপরের সংজ্ঞাগুলোসহ আরো যে সব সংজ্ঞা বা অর্থ পাওয়া যায়, সেগুলোর সমন্বয়ে একটা সহজ বাংলা অর্থ দাঁড় করাতে চাইলে (বিশেষ করে এই পোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট যে অর্থটা আমরা হাইলাইট করতে চাচ্ছি সেই অনুযায়ী), Deconstruction অর্থ হচ্ছে: পরস্পর বিরোধী, অপ্রাসঙ্গিক যুক্তি-তর্কের অবতারণা করে এবং কেবল আক্ষরিক অর্থ ধরে নিয়ে কোন বিষয়ের সমালোচনা করা এবং সেই বিষয়কে অর্থহীন বা হেয় প্রতিপন্ন করা।

এই পদ্ধতিতে তর্ক জুড়ে, আপনি অতি সহজেই খুব গুরুত্বপূর্ণ solid কোন বিষয়কেও, একদম বায়বীয় করে তুলতে পারেন। একটা উদাহরণ দিচ্ছি প্রয়াত মুসলিম দাঈ আহমাদ দিদাতের বর্ণনা থেকে: দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিমদের মাঝে কাজ করা খৃষ্টান মিশনারীরা, ঐ সব সরলপ্রাণ মুসলিমদের জিজ্ঞেস করতো যে, তারা ঈসা (আ.)-এর কাছে প্রেরিত ইঞ্জিলে বিশ্বাস করেন কিনা? স্বাভাবিকভাবেই যে কোন মুসলিমই এই প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব দেবেন কারণ - ঈমানের ৩য় স্তম্ভ হচ্ছে সকল আসমানী কিতাবসমূহে বিশ্বাস করা। সুতরাং তারাও বলতেন যে, তারা ইঞ্জিল নামক আসমানী কিতাবে বিশ্বাসী। তখন ঐসব মুসলিমকে হাজারো ভার্সনের কোন এক ভার্সনের একখানা বাইবেল দেখিয়ে বলা হতো: এই হচ্ছে সেই ইঞ্জিল যাতে লেখা আছে, যীশু আল্লাহর পুত্র (বা আরো যত শত খৃস্টান doctrine) - তারা কি বলবেন যে, আল্লাহ্ মিথ্যা বলেছেন বা ভুল বলেছেন? এই পরিস্থিতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বল্প শিক্ষিত কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিমরা থতমত খেয়ে যেতেন - কি করে উত্তর দিতে হবে বুঝতেন না। অথচ, এর উত্তর হতে পারতো: আমরা ইঞ্জিলে অবশ্যই বিশ্বাস করি, কিন্তু আপনি যে বই দেখাচ্ছেন, সেটা ইঞ্জিল নয় - বরং ইঞ্জিলের "অহী"র সাথে মিশ্রিত বহু মানুষের সাহিত্যকর্ম!

পশ্চিমা ফিরিঙিদের মাঝে থাকা সেখানকার "scum of the society", নব্য নাস্তিক, আমাদের ঐ "মাইট্যা ফিরিঙি" ব্লগারও একইভাবে সামু ব্লগের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছেন - কারণ এখানে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত পন্ডিতরা বিচরণ করেন না। ইসলামকে বিনির্মাণ করার জন্য মোক্ষম ক্ষেত্র হিসাবে, "soft target" হিসাবে, তিনি তাই এই ব্লগকে বেছে নিয়েছেন। একটা শিয়াল ডাকলে, বাকীরা নাকি চুপ করে থাকতে পারে না - তাদের উরু-সন্ধিতে কোথায় নাকি ব্যাথা করতে থাকে, যতক্ষণ না তারা "হুক্কা-হুয়া" বলে চিৎকার করতে পারে। ঐ দিন দেখলাম লেখাটা প্রকাশিত হবার পরে, ব্লগে যতসব নাস্তিকেরা শিয়ালের মত সমস্বরে তাদের ইসলামবিদ্বেষ ঝেড়ে দিল। বিশ্বাসী মুসলিম "সনেট কবি", একাই বহু ফ্রন্টে যুদ্ধ করে ক্লান্ত হলেন - আরো দুই একজন তাদের সাধ্যমত প্রতিবাদ করলেন - কি নিদারুণ সময়ক্ষেপন! প্রতিটি ইসলামবিদ্বেষীকে আমাদের refute করতে হবে, বা প্রতিটি ঘেউ ঘেউ করা সারমেয়র চিৎকারে আমাদের কান দিতে হবে - এটা কোন methodology হতে পারে না। এসব ক্ষেত্রে আমি মনে প্রাণে: "The opposite of love is not hate, it's indifference" - এই তত্ত্বে বিশ্বাস করি। আমাদের উচিত এদের ignore করে, আমাদের সাধ্যমত ইসলামের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া - সারা পৃথিবীর সকল সত্তা একত্রিত হয়ে ইসলামকে ধ্বংস করতে চাইলেও তা করতে পারবে না - কারণ আল্লাহ্ সেটার নিশ্চয়তা দিয়েছেন:

يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ


তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। (কুর'আন, ৬১:৮)

একইভাবে রাসূল (সা.)-কে তারা যতই vilify করতে চেষ্টা করুক না কেন - আল্লাহ্ তাঁকে সম্মানিত ও প্রশংসিত করেছেন, যেভাবে এই জগৎ সংসারের আর কোন মানুষকে কখনো সম্মানিত করা হয় নি। পৃথিবীর বিভিন্ন Time Zone-এ প্রতি মুহূর্তে আযানের মাঝে ধ্বনিত হচ্ছে أشهد أن محمداً رسول الله অর্থাৎ "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল!" আর এভাবেই আল্লাহ্ তাঁর নবীকে সম্মানিত করে চলেছেন - وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ - যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।

আমার এই লেখাটা, ব্লগার উদাসী স্বপ্নের: "একেশ্বরবাদের নান্নামুন্না ঈশ্বর: আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা ফটিকচাঁন ঈশ্বর নিজের নামটাই ঠিক করতে পারে না!" শিরোনামের পোস্টকে refute করার চেষ্টা নয় বরং বিশ্বাসী মুসলিম ভাই-বোনদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা। যে পশ্চিমা সমাজের "মাইট্যা ফিরিঙি" scum, আপনার ধর্মকে বিনির্মাণ করার চেষ্টা করেছে, সেই পশ্চিমা সমাজেরই eliteরা কিভাবে ইসলামে প্রবেশ করে ধন্য বোধ করছেন দেখুন:



মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালো লিখেছেন। অবিশ্বাসীরা কত কিছুই তো করবে। তাদের জন্য করুণা ছাড়া আর কী করার আছে...

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

লোনার বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এদের তো কোন "ইলাহ্" নেই যে, তারা বুঝবে যে, আমাদের আল্লাহ্ বা তাঁর রাসূল(সা.)-কে গালমন্দ করলে আমাদের কেমন লাগে। আর বিধর্মী যারা আমাদের আল্লাহ্ বা রাসূলকে গালি দেয়, তাদের ব্যাপারেও আমরা গালি দিয়ে retaliate করতে পারি না - কারণ আমাদের রবই আমাদের তা করতে নিষেধ করেছেন:

وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ كَذَلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِمْ مَرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

Revile not ye those whom they call upon besides Allah, lest they out of spite revile Allah in their ignorance. Thus have We made alluring to each people its own doings. In the end will they return to their Lord, and We shall then tell them the truth of all that they did. (Qur'an, 6:108)


২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৮

রসায়ন বলেছেন: আপনি কি আল্লাহর উপরে খবরদারি করতে চান নাকি ? ইসলাম বিনির্মান মানে কি ? সূরা আল মায়েদার ৩ নাম্বার আয়াতে তো আল্লাহ বলেই দিয়েছেন যে ইসলাম পূর্ন করে দিয়েছেন আল্লাহ । শিরোনাম আর মূল লেখারও কোন মিল নেই ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৫

লোনার বলেছেন: আপনি ভুল বুঝেছেন - আমি বলতে চেয়েছি যে, ঐ শ্রেনীর নাস্তিকরা ইসলামকে deconstruct বা dismantle করতে চায় - সাধারণ মুসলিমদের ঈমান বিনষ্ট করতে চায়। সাধারণ মুসলিমদের মনে সন্দেহের বীজ বুনে, ইবলিশের মতই, তাদের জাহান্নামী করতে চায়।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকান রিটায়ার্ড মেজর ইসলাম গ্রহন করা কি ১৭০ কোটী বিশ্বাসী মুসলমানের চেয়ে কোনভাবে উল্লেখযোগ্য?
আমার মতে এটা বিখ্যাত, কারণ উনি যথাসম্ভব সিআইএ বা ঐ ধরণের কোন সংস্হার সাথে কাজ করছেন।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকান রিটায়ার্ড মেজরের ইসলাম গ্রহন করা কি, কোনভাবে ১৭০ কোটী বিশ্বাসী মুসলমানের চেয়ে কোনভাবে উল্লেখযোগ্য?
আমার মতে এটা বিখ্যাত, কারণ উনি যথাসম্ভব সিআইএ বা ঐ ধরণের কোন সংস্হার সাথে কাজ করছেন।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

লোনার বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বিদ্বেষীমাত্রেরই বিচার-বিবেচনা নিম্নশ্রেণীর। এরা বেয়াদব প্রকৃতির, না বুঝে পোস্ট দেয়, না পড়ে মন্তব্য করে। দুঃখের বিষয়, এই পোস্টেও উপরে একজন না পড়েই মন্তব্য করলেন। বিদ্বেষীমাত্রেই পরিত্যাজ্য সকল সমাজে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

লোনার বলেছেন: এরা এরকমই হয় – এদের দৃষ্টিশক্তি myopic। দেখুন নীচে একজনের মন্তব্য: আমার লেখাটাকে তার সাম্প্রদায়িক বা provocative মনে হচ্ছে – কিন্তু মূল লেখা (view this link[link||view this link]) যেটা নিয়ে এত কথা, সেটাকে তার কিছুই মনে হচ্ছে না!

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৫

ঢাকার লোক বলেছেন: ভালো লিখেছেন ! আমাদের মনে রাখতে হবে, "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে ...!
এ প্রসঙ্গে সুযোগ পেলে ফরাসি ডা: মরিস বুখাইল এর 'বাইবেল কোরান এবং বিজ্ঞান' নামে যে বইটা আছে তাও সবাইকে পড়তে অনুরোধ করছি ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

লোনার বলেছেন: আমাদের মনে রাখতে হবে, "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে ...! - সহমত!!

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর জীবন। ইসলামী জীবন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

লোনার বলেছেন: আপনাকে বিশ্বাসী বলেই জানি, তাই ধরে নিচ্ছি আপনার মন্তব্য equivocal হলেও ridicule নয়। পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০০

বিপরীত বাক বলেছেন:
অস্থির এই সময়ে আরও একটি উস্কানিমুলক সাম্প্রদায়িক লেখা। .......রিপোর্ট.........ডিজলাইক.........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.