তিতুমীর কলেজ: স্মৃতিচারণ ও একটি দাবীর সাথে একাত্বতা

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

আমার তিতুমী

আজ যখন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন চলছে, তখন আমার মনে পড়ে আমার নিজের কলেজ জীবনের। তিতুমীর কলেজ ছিল আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এই ক্যাম্পাসে কাটিয়েছি আমার জীবনের সেরা কিছু মুহূর্ত। প্রতিটি ভবন, প্রতিটি গাছ, প্রতিটি রাস্তা আমার কাছে স্মৃতি বিজড়িত।

আমরা যখন পড়তাম, তখনও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখত। সেই স্বপ্ন আজও বাস্তবায়িত হয়নি। আজকের তরুণ প্রজন্মও সেই একই স্বপ্ন দেখছে। তাদের এই দাবীর সাথে আমি পুরোপুরি একাত্মতা প্রকাশ করছি।

একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় কেন?

তিতুমীর কলেজের সকল সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে এটি একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার যোগ্য। একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় হলে,

নিজস্ব পরিচয়: কলেজটি নিজস্ব একাডেমিক ক্যালেন্ডার, পাঠ্যক্রম এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

উন্নয়ন: কলেজটি আরও বেশি অর্থায়ন এবং সরকারি সহযোগিতা পাবে, যা অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে সাহায্য করবে।

ছাত্রদের স্বার্থ: শিক্ষার্থীরা নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে এবং তাদের কর্মজীবন গঠনে আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি করবে।

আজকের প্রজন্মের দায়িত্ব

আজকের তরুণ প্রজন্মকে এই আন্দোলনকে সফল করতে হবে। তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। আমরা সবাই তাদের পাশে আছি।

আমার আহ্বান

আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তিতুমীর কলেজকে একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। এটি শুধুমাত্র তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং সমগ্র দেশের জন্যই একটি ইতিবাচক উদাহরণ হবে।

সকলকে ধন্যবাদ

আমি এই ব্লগ পোস্টটি লেখার মাধ্যমে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার সমর্থন জানাতে চাই। আমি আশা করি, এই আন্দোলন সফল হবে এবং তিতুমীর কলেজ শীঘ্রই একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

৪ টি +০/-০