![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
গত দুই বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের একটি ব্যাপক প্রচারণা চলে আসছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে, এবং ভারতীয় সমর্থনপুষ্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারিয়েছে। এই দুই ঘটনার সম্মিলিত প্রভাব এবারের ঈদ বাজারে লক্ষণীয়। ক্রেতারা আগের মতো ভারতীয় পোশাকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন না। বরং দেশীয় সুতি পোশাক এবং পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের পোশাকের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
এবারের ঈদ বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা আগের মতো নেই। ক্রেতাদের মধ্যে দেশীয় পোশাকের প্রতি আগ্রহ স্পষ্টভাবে বেড়েছে, যা দেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন।ক্রেতাদের মনোযোগ এখন দেশীয় পোশাকের দিকে। বিশেষ করে সুতি পোশাকের চাহিদা বেশি, কারণ ঈদের সময় গরমের তীব্রতা থাকতে পারে। স্বস্তিদায়ক পোশাক পরার তাগিদ থেকেই অনেকেই দেশীয় ব্র্যান্ডের পোশাক বেছে নিচ্ছেন।
পল্টন, নিউমার্কেট এবং পলওয়েল সুপার মার্কেটে ঢুঁ মারলেই বোঝা যায়, ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা এখন ভারতীয় পোশাকের পরিবর্তে নতুন বিকল্প খুঁজছেন। আগের মতো ভারতীয় থ্রি-পিস, শাড়ি বা অন্যান্য পোশাকের প্রতি আগ্রহ নেই বললেই চলে। বরং পাকিস্তানি ব্র্যান্ড যেমন গুলজি, মীর্জা, আগানূর, মাহাজাল, বিনহামিদ ইত্যাদি এবং দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আড়ং, রঙ, কে-ক্রাফট, ইনফিনিটি, টুয়েলভ, সেইলর ইত্যাদির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। পোশাকের গুণগত মান এবং দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর নতুন ডিজাইন ও সমসাময়িক ফ্যাশন সচেতনতার কারণে ক্রেতারা বিদেশি পণ্যের বদলে দেশীয় পণ্যকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
তবে ক্রেতারা এবার পোশাকের দামের বিষয়ে কিছুটা চিন্তিত। আগের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় অনেকেই তাদের কেনাকাটার পরিকল্পনা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা। তারপরও ভালো মানের পোশাকের সন্ধানে তারা দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন।
শুধু পোশাকই নয়, ঈদ বাজারে ব্যাগ ও জুতার প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহও বেশ চোখে পড়ার মতো। অনেকেই জামার সঙ্গে মানানসই ব্যাগ ও জুতা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। কেডস ও চামড়ার জুতার চাহিদা বেশি, যা মূলত চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় পণ্য কম ব্যবহারের কারণে কিছু বিকল্পের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে, তবে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর জুতা ও ব্যাগের মান উন্নয়ন হলে এই নির্ভরতা কমে আসবে।
একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন বলে মনে করি। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পণ্যের প্রতি আমাদের নির্ভরতা থাকলেও এখন আমরা দেশীয় পোশাক শিল্পের প্রতি আগ্রহী হচ্ছি। এটি শুধু আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে না, বরং আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তাদেরও উৎসাহিত করবে। দেশীয় গার্মেন্টস শিল্পের মানোন্নয়ন হলে আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হবে।
আমাদের উচিত দেশীয় শিল্পের প্রসারে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া। যদি আমরা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াই, তাহলে আমাদের পোশাক শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে এবং আমদানিনির্ভরতা কমবে। ভারতীয় পণ্য বর্জন শুধু একটি ট্রেন্ড নয়, এটি আমাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশীয় পণ্যের প্রতি আস্থা রেখে আমরা নিজেদের শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে পারি।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নতুন বলেছেন: দেশী ব্রেন্ডগুলি উচিত নিজেদের অপারেসন খরচ একটু কমিয়ে পন্যের দাম একটু কমাতে হবে তবে বিদেশী মান এবং স্টাইলের দেশী পন্য মানুষ বেশি কিনবে।
দেশী অনেক ব্রান্ডের জামাকাপড়ের দাম দুবাইতে মাঝারী মানের ব্রান্ডের দামের কাছাকাছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: পাক-ভারত_তুর্কি মুর্কি করে শুধু নিজেদের নীচে নামানো হচ্ছে। যদি ভাল লাগে সেটা ভিন্ন বিষয়, যেখানে ব্যতিক্রমী পণ্যের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তবে শুধু বিদেশী নামে নামে ক্রয় করা মানে অযথা পয়সা তাদের হাতে তুলে দেয়া।
শুধু ভারতীয় নয় কোন বিদেশী পণ্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। সেই সাথে মান অনুযায়ী দামটা দেশীয় বিবেচনায় করা হয়। আপনি দেশে বিদেশী মানে বানাচ্ছেন আর দাম ধরবেন বিদেশি দামে! তাহলে আপনার থেকে না নিয়ে বিদেশীটাই নিবে। তাছাড়া আমাদের পণ্যের ব্র্যান্ডিং করতে হবে অনেক। পাকি-ভারতীয়-তুর্কি সহ বিদেশীরা যেন তাদের দেশের ডলার খরচ করে আমাদের product আমদানি করতে চায়। তারা যেন এই দেশে খরচ করে ও করতে পারে সেই পরিস্থিতি তৈরী হয়।