![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
প্রতিকী ছবি
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এই দুই নেতার প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়, তারা একই ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। হাসনাতের বক্তব্য যেখানে কিছুটা আবেগপ্রবণ এবং তাড়াহুড়ো করে উপস্থাপিত, সেখানে সারজিসের বক্তব্য অনেক বেশি সংযত, বাস্তববাদী এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার পোস্টে সেনাপ্রধানের সঙ্গে হওয়া আলোচনা সম্পর্কে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা স্পষ্টতই একধরনের ‘এক্সপোজার’ তৈরি করেছে। তিনি সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে চাপ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং মনে করিয়েছেন যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের বিষয়ে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। তার এই উন্মুক্ত প্রকাশনাই সারজিস আলমের আপত্তির মূল কারণ বলে মনে হয়। কারণ, সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলের মধ্যকার সংলাপ স্বভাবতই স্পর্শকাতর এবং কৌশলগত বিষয়, যা সরাসরি জনসমক্ষে প্রকাশ করা সব সময় বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
অন্যদিকে, সারজিস আলম অনেক বেশি কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে ‘চাপ’ হিসেবে নয়, বরং ‘অভিমত’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কৌশল, যা বোঝায় যে তিনি সামগ্রিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার পোস্টে রাজনৈতিক পরিপক্কতা স্পষ্ট, কারণ তিনি শুধু নিজের অবস্থানই ব্যাখ্যা করেননি, বরং জাতীয় নাগরিক পার্টির ভাবমূর্তিও রক্ষা করেছেন।
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, হাসনাত আব্দুল্লাহ আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সরাসরি এবং কিছুটা একপেশেভাবে মতামত দিয়েছেন, যা তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ঘাটতি নির্দেশ করে। অপরদিকে, সারজিস আলম সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে শুধু ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা দেননি, বরং কীভাবে রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তন হতে পারে তা নিয়েও পর্যালোচনা করেছেন। তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সম্পর্ককে স্পষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন, এবং সেটি যথাযথ পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থাপন করাই শ্রেয়।
রাজনীতিতে আবেগ এবং বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতারা কখনোই কোনো সংবেদনশীল তথ্য অতি দ্রুত প্রকাশ করেন না। তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং কৌশলী সিদ্ধান্ত নেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ যেখানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, সেখানে সারজিস আলম পুরো ঘটনাকে দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সমীকরণের অংশ হিসেবে বিশ্লেষণ করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে, নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব অপরিসীম।
এই বিতর্ক থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হলো, রাজনীতিতে ধৈর্য এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাময়িক উত্তেজনার বশে গুরুত্বপূর্ণ আলাপচারিতা জনসমক্ষে তুলে ধরলে তা রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি এবং ভবিষ্যত কৌশলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সারজিস আলমের অবস্থান এটিই প্রমাণ করে যে, অভিজ্ঞতা এবং পরিপক্কতা কেবল একজন নেতার ব্যক্তিগত গুণ নয়, এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও অপরিহার্য।
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আন্দোলন করা আর রাজনীতি করা এক বিষয় নয়। রাজনীতি অনেক কূটকৌশলের খেলা। হাসনাত আব্দুল্লাহ এর মধ্যে এটার অভাব রয়েছে। সে লাঠিয়াল বাহিনীর সরদার এর ভূমিকা থেকে বরং হতে পারছেনা এখনো
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: *বের হতে পারছেনা। হবে। বানান ভুল এর জন্য দুঃখিত
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
রাসেল বলেছেন: বাংলাদেশ একটি প্রভাবশালী দেশে পরিণত হতে পারত, কিন্তু আমরা এখন পতিতা। এজন্যই মুরব্বিরা বলে, মেয়েদের বেশি সন্দুরী হওয়া ঠিক না। যা ঘটতেছে, তা শুধু 1757 এর পুনরাবৃত্তির বিলম্বিত হওয়া।
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: তাদের অভিজ্ঞতার অভাব আছে।
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: জ্বি অবশ্যই। রাজনীতি এতো সহজ বিষয় নয়। বর্তমানে যারা পলিটিক্স করছেন তারা বহু বছর ধরে বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌছেছেন। কিন্তু এরা কারা ? এদের অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র একটি অভ্যুথ্যানের নেতৃত্ব দেয়া। জাতীয় পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা এদের নেই।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আলোচনা হতেই পারে। তবে সব আলোচনা প্রকাশ্যে আনতে হয়না। হাসনাত আবদুল্লাহ যা করেছে তা পিনাকী চক্রান্ত.... যা জাতির জন্য অত্যন্ত খারাপ একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: জ্বি সঠিক বলেছেন। আপনার সাথে সহমত পোষন করছি।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
নিমো বলেছেন: ন্যাশনাল সার্কাস পার্টি থেকে আরও বহু বিনোদন পাওয়া বাকি। হা!-হা!
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:৩০
আদিত্য ০১ বলেছেন: আমিই হাসনাত। আপনি আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিছেন। আপনাকে ব্লগ থেকে নিষিদ্ধ করবো। এই তোরা রাজু তে আয়। আপনাকে ব্লগে থাকতে হলে আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে থাকতে হবে। আপনার চ্যাপ্টার ক্লোজড। আপনাকে ব্লগ কেন? আপনাকে খাইতে ঘুমাইতে কিছুই করতে দেওয়া হবে না। আপনি ডরাইছেন না! বুঝেন আমি কি মাল
২৪ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:১২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সেহেরী খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে আপনার মন্তব্য দেখলাম, এখন টেনশনে আছি খাবার গলা দিয়ে নামবে কিনা ?
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৫
রানার ব্লগ বলেছেন: ষাঁড় দিয়ে গুতানো গুতানো খেলা যায় হাল চাষ করা যায় না ।
২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন। হটাৎ করে নেতা হয়ে গেলে এই অবস্থা তৈরি হয়। কোথায় কি বলতে হয় সে বিষয়ে কোনো ধারনা থাকে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হাসনাত-সারজিস আমরা সমবয়সী ! আমার শুরু থেকেই সমন্বয়ক দের উপদেষ্টা হওয়া নিয়ে আপত্তি ছিলো। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি ও আমলাদের কু-বুদ্ধিতে এদের খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। হয়েছেও তাই।