![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মাধ্যমে আমি নতুন ভাবনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীল প্রকাশ খুঁজে পাই। আমার লেখার লক্ষ্য পাঠকদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি অর্থবহ আলোচনা তৈরি করা।
(একটি কাল্পনিক চিত্র)
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেন হঠাৎ করেই অদ্ভুত এক নাটকীয়তার আবির্ভাব ঘটেছে। একটার পর একটা ঘটনা এমনভাবে ঘটে চলেছে, যেন সবকিছু আগে থেকেই কেউ লিখে রেখেছে, আমরা কেবল চোখ মেলে তা দেখে যাচ্ছি। মানুষের জীবনের অসহায়তা আর ক্ষমতার চাতুরী যেন একই ফ্রেমে বাঁধা পড়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালতের রায়ে নির্বাচিত হওয়া। কিন্তু আইনের স্বীকৃতি পেলেও তিনি এখনো শপথ নিতে পারেননি। কারণ সরকার নানান টেকনিক্যাল এবং প্রশাসনিক বাঁধা তৈরি করে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখছে। এই অবস্থায় ইশরাক প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন, তার সমর্থকরাও রাজপথ অবরোধ করে রাখলেন। দুদিন ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়ল রাজধানী ঢাকা। নাগরিক ভোগান্তি চরমে পৌঁছাল, আর তাতেই যেন দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ ছড়াল।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রকাশ্যে তার বিরক্তি প্রকাশ করলেন। অনেকেই বলছেন, তিনি পদত্যাগের কথাও ভাবছেন। কিন্তু তার এই ভাবনার পেছনে যে শুধু ব্যক্তিগত ক্ষোভ নয়, বরং রাজনৈতিক বার্তা লুকিয়ে আছে, সেটাও এখন স্পষ্ট। বরাবরের মতোই সরাসরি কিছু না বললেও, ড. ইউনূস যেন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বেশ কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে চাইলেন। সেই আলো আসলেই কার গায়ে পড়বে, তা এখনো অনিশ্চিত।
তার চেয়েও বেশি বিস্ময় জাগানো ঘটনা ঘটল গতকাল সন্ধ্যায়। ড. ইউনূস বিএনপি, জামায়াত ও এসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। আর সেখানে তার পাশে বসে ছিলেন সেই আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, যাকে বিএনপি নিজেই উপদেষ্টা পদ থেকে অপসারণের দাবি তুলেছিল। এটি নিছক কাকতালীয় নয়—এটি একটি প্রতীকী অবস্থান, একটি সুস্পষ্ট বার্তা। বিএনপি যাকে দূরে ঠেলতে চায়, ড. ইউনূস তাকেই পাশে রেখে বুঝিয়ে দিলেন, কার সঙ্গে তার সখ্যতা রয়েছে আর কার দিকে তার অনীহা। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটি ছিল বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তার একরকম ‘ঠান্ডা প্রতিক্রিয়া’—তোমরা চাও না তো, আমি ঠিক তাকে নিয়েই চলব।
এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী প্রধানের বক্তব্যও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সেনা অফিসারদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই হওয়া উচিত। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির হাতে না দেওয়া এবং রাখাইন অঞ্চলের করিডোরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারেরই কাজ। সেনাবাহিনী এই সিদ্ধান্ত নেবে না, তবে তারা চাইছেন বিষয়গুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য হোক। তার এই বক্তব্য যেন এক ধরনের বার্তা—যে ভবিষ্যতের নির্বাচন ও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেনাবাহিনী কোন অবস্থানে আছে, সেটিও স্পষ্ট।
সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে জটিল মোড় দেখা দিয়েছে বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে সম্পর্ক ঘিরে। দুই দল পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে, তিনজন করে উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে একে অপরের কাছ থেকে। এই দাবিদাওয়া, এই টানাপোড়েনের মাঝেই সরকার জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। যেন কেউ কাউকে সামনে রেখে, আবার কাউকে পেছনে রেখে খেলাটি চালিয়ে যাচ্ছে।
পুরো চিত্রটা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আর অদৃশ্য সমঝোতায় ব্যস্ত। সাধারণ মানুষ যে প্রশ্ন করে—কে আসলে দেশ চালাচ্ছে? তাদের কথা কে শোনে? তাদের ভোট বা মতামতের কি কোনো দাম আছে? এসব প্রশ্নের জবাব এই ঘটনাপ্রবাহের কোথাও নেই। আছে শুধু সংঘাত, সন্দেহ, আর কৌশলের খেলা।
রাজনীতি এখন আর মতাদর্শের জায়গা নয়—এটা এখন একেকটা ব্যাকরুম বৈঠক, একেকটা চেয়ারের পাশে বসানো লোক, একেকটা টুইস্টেড বার্তার মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। কে কার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, কার হাত ধরে সভায় বসবে, আর কার পেছনে ছুরি চালাবে—এই অস্পষ্ট হিসেব-নিকেশেই দেশ চলছে।
২০২৫ সাল বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এক নির্ধারণী সময় হয়ে উঠছে। সামনে নির্বাচন। কিন্তু এই নির্বাচনের পথে যতটা না গণতন্ত্র, তার চেয়েও বেশি রাজনীতির রাহাজানি। আর সেই পথে হেঁটে সাধারণ মানুষ হয়তো দিন দিন রাজনীতি থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে। হয়তো এটাই কারো চাওয়া। কিংবা, এটাই আমাদের নিয়তি।
২৬ শে মে, ২০২৫ ভোর ৬:১৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার কথায় একধরনের সতর্ক সুর আছে, যেটা উপেক্ষা করার নয়। সত্যিই, রাজনীতি যখন নাটকে পরিণত হয়, তখন গণতন্ত্রের মঞ্চে পর্দার পেছনের গল্পগুলোই ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আশা করি সবাই মিলে এই সংকটের দিকগুলো সচেতনভাবে বুঝে, ভবিষ্যতের পথে আলোর রেখা খুঁজে নিতে পারবে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে আগ্রহী থাকবো, আপনি কী মনে করেন—এই নাটকের পরের দৃশ্য কী হতে পারে
২| ২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৩১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সংকট পূর্বে ছিলো না। । বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় কারণ সেনাবাহিনী বলে দিয়েছে তারা ডিসেম্বরের পর ব্যারাকে ফিরে যাবে। তখন দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। আম্লিক হয়তো ভয়ে এখন তেমন নামছে না। তখন রাস্তায় আন্দোলন করে দেশকে অস্থিতিশীল করলে আর কোনো প্রকার নির্বাচন সহসা হবে না। ড. ইউনূস বলেন তিনি নাকি স্মরণ কালের সেরা সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন। আপনার কি মনে হয় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর ৫০ শতাংশ ভোট পড়বে বাক্সে ? একটা বিগ কুয়েশ্চন এটা ! আমার আত্নীয় স্বজনের যারা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রে সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছিলো ২০১৪/২০১৮/২০২৪ সালে তাদের মুখে এবং কিছুটা নিজ চোখে দেখেছি আম্লিক শত চেষ্টা করে ভোটার আনতে পারেনি কেন্দ্রে। ওখন মাঠে বড়ো দল কেবল বিএনপি ! এই অবস্থায় নির্বাচন দিলে বহিঃবিশ্ব মেনে নিবে ? ডিসেম্বরে নির্বাচনের বড়ো সমস্যা হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় যে হিসাবে বয়স ধরেছে সেখানে নতুন অনেক ভোটারের জানুয়ারি মাসে ১৮ বছর হবে। ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন না হয় রোজার আগে দেশ পুরোপুরি অনিশ্চয়তার দিকে হাটবে।
২৬ শে মে, ২০২৫ ভোর ৬:১৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্য নিঃসন্দেহে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করেছে, যা বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতার জটিলতা বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক। সেনাবাহিনীর ‘ডিসেম্বরের পরে ব্যারাকে ফেরত যাওয়ার’ বক্তব্য, নির্বাচনকালীন সময়ের ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি, এবং ভোটার উপস্থিতির বাস্তবতা—এসবই একটি গভীর রাজনৈতিক অঙ্কের অংশ। আপনি যেভাবে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে কি ৫০% ভোট পড়বে?’—এই প্রশ্নটা শুধু একটি দল নয়, গোটা ব্যবস্থার উপরই এক প্রতিফলন ফেলে।
ড. ইউনূসের ‘স্মরণ কালের সেরা নির্বাচন’-এর প্রতিশ্রুতি, বিএনপি-জামাত-এসিপি সংলাপ, বা সরকারের নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ—সব মিলিয়ে দেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। প্রশ্ন উঠছে, ডিসেম্বরে যদি তড়িঘড়ি করে নির্বাচন হয়, তবে সেটা কি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে? কিংবা নির্বাচন যদি পিছিয়ে যায়, তবে রাজনৈতিক শূন্যতা কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে?
আপনার মতামত নিঃসন্দেহে আলোচনার পরিসরকে সমৃদ্ধ করেছে। আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৩| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: @কুতুব,উন্নত বিশ্বে ২৫%,৩০% বেশি ভোট পরে না।আমি দুটি জাতিয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছি।কেউ আমার কাছে ভোট চাইতে আসে নাই।কোন দিন রাস্তায় দেখি নাই দলবেধে কেউ ভোট চাইছে।
জিয়ার হা না ভোটের সময় আমার বাসার খুব কাছে ছিলো ভোট কেন্দ্র।সারাদিন কাউকে দেখলাম না ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে।সন্ধার খবরে দেখলাম ৯৮% ভোট পড়েছে।এই হলো বাংলা দেশের ভোট।
২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:৩২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে আমাদের ভোট সংস্কৃতি নিয়ে এক গভীর বাস্তবতা তুলে ধরেছে—যেটা পরিসংখ্যান দিয়ে নয়, চোখে দেখা বাস্তবতা দিয়ে মূল্যায়ন করা যায়। উন্নত বিশ্বে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও, সেখানে 'ভোট চাওয়া' আর 'ভোট দেওয়ার' মধ্যকার বিশ্বাসের সম্পর্কটা অনেক বেশি টেকসই। আর আমাদের এখানে কখনো সেই বিশ্বাসের জায়গাটা নির্মাণই হয়নি—বরং বহু সময়ই দেখা গেছে, ‘ভোট’ যেন এক আনুষ্ঠানিকতা মাত্র, যার ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত।
আপনার এমন স্পষ্ট ও বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের এই আলোচনা আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
৪| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:১৭
ফেনিক্স বলেছেন:
এখন মাঠে আছে বিএনপি, জামাত, রগকাটা শিবির, জল্লাদ শিবির ( এনসিপি ); আপনি যতদুর রাজনীতি বুঝেন, এই ৩ দলে মিলে এমপি পদের জন্য যোগ্য কোন ব্যক্তি আছে কিনা?
২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: প্রশ্নটা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ, তবে একেবারে একমুখী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পুরো রাজনীতির মানচিত্র বিচার করলে হয়তো অনেক সম্ভাবনার আলো চোখে পড়ে না। রাজনীতিতে ‘যে মাঠে আছে’ তারাই সব নয়—অনেক যোগ্য, চিন্তাশীল মানুষ আছেন, যারা হয়তো কাঠামোগত দুর্বলতা, দলীয় সংকোচন কিংবা রাজনীতির দূষিত পরিবেশের কারণে সামনে আসতে পারেন না।
বিএনপি, জামাত, কিংবা এনসিপি—তাদের সমালোচনা করার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ আছে, কিন্তু যোগ্যতার প্রশ্নটা তখনই যৌক্তিক হয় যখন আমরা 'অযোগ্য'দের জিতিয়ে তালি দেই, আর 'যোগ্য'দের প্রশ্ন করি তারা কোথায়! বাস্তবে দেখা গেছে, সব দলে কিছু মানুষ আছেন, যারা নীতিনিষ্ঠ, বিদ্বান ও নেতৃত্বদানে সক্ষম—সমস্যা হলো, তাদের জায়গা করে দেওয়ার রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।
আপনার প্রশ্নটা আমাদের সেই সংস্কৃতি গড়ার প্রয়োজনীয়তার দিকেই ইঙ্গিত করে। সুতরাং, দল নয়—ব্যক্তি ও তার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই মূল্যায়ন শুরু করাটাই হয়তো আজ সময়ের দাবি।
৫| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০২
ফেনিক্স বলেছেন:
ছাত্র জীবনে, আপনি পরীক্ষা দেয়ার সময় প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিতেন, নাকি আপনি অনুমানে কাছাকাছি ১টা উত্তর দিতেন?
আপনার প্রশ্ন, এই দলগুলোতে আপনার জাাম মতে এমপি হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন কোন মানুষ আছে কিনা? দেখেন এবার প্রশ্নটা আপনি বুঝেন কিনা? বুঝতে পারলে উত্তর দেন!
২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: এমপি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা বিএনপি তে অনেক আছে। এখন কথা হচ্ছে নির্বাচিত হওয়ার পর জনগণের জন্য সঠিকভাবে কাজ করবে কিনা এটাই প্রশ্ন
৬| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: যে যত ভালো অভিনয় করতে পারবে, সে তত ভালো রাজনীতি করতে পারবে। সমস্যা হলো আমাদের দেশের লোকজন মিথ্যা বলায় দক্ষ, অভিনয়ে দক্ষ নয়।
২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সঠিকভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে জনগণ কল্যাণ পাবে
৭| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কামাল১৮@আমার কাছে সন্দেহ আছে !
২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দুই দল বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় দল। একই সাথে তাদের রয়েছে বৃহৎ জনসমর্থন। এদের মধ্যে থেকে কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে সেই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হবে
৮| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার পোস্ট না হয় চ্যাট জিপিটি দিয়ে লিখায়ে নেন কিন্তু বলেন না, তাই বলে প্রতিমন্তব্যও চ্যাট জিপিটি দিয়ে লিখাবেন!!!!!!!! বাংগালী কোনদিন চিন্তাশীল মানুষ হবে না যেখানে সে নতুন কোন চিন্তা-ভাবনা তৈরী করবে..। সব জায়গায় ই শুধু নকল।
২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমি কি বলতে চেয়েছি তা আপনি বুঝতে পারলেই আমার জন্য অনেক বড় বিষয়। কলম দিয়ে নাকি কিবোর্ড দিয়ে, না এআই দিয়ে লিখলাম এটা মূখ্য বিষয় না।
আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৯| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৫
ফেনিক্স বলেছেন:
৫ নং মন্তব্যে টাইপো:
ছাত্র জীবনে, আপনি পরীক্ষা দেয়ার সময় প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিতেন, নাকি আপনি অনুমান করে কাছাকাছি ১টা উত্তর দিতেন?
*আমার প্রশ্ন, এই দলগুলোতে আপনার জানা মতে এমপি হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন কোন মানুষ আছে কিনা? দেখেন, এবার প্রশ্নটা আপনি বুঝেন কিনা? বুঝতে পারলে উত্তর দেন!
২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আশাকরি ভালো আছেন?
ঠিক আছে। সমস্যা নেই। আমি আপনার প্রশ্ন বুঝতে পেরেছি। আপনার আগের আইডি কি হলো ? "যামিনী সূধা" ?
১০| ২৬ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
ফেনিক্স বলেছেন:
আপনার রাজনৈতিক জ্ঞানের মান গড় আধুনিক নাগরিকের রাজনৈতিক জ্ঞানের চেয়ে কম: শুধু বিএনপি নয়, আমাদের পুরো দেশে এমপি হওয়ার মত জ্ঞানী, দক্ষ ও সৎ ১ জন মানুষও নেই।
২৬ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে, আপনার মতামত আমি সম্মান করি। সবার সব বিষয়ে সমান দক্ষতা থাকা সম্ভব নয়—আমারও রাজনৈতিক জ্ঞানে ঘাটতি থাকতে পারে। তবে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি যে পরিমাণ বুঝি, সেটুকু প্রকাশ করা নিশ্চয়ই অন্যায় নয়।
এমপি মানে “মেম্বার অফ দ্য পার্লামেন্ট”—বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য। একজন বাংলাদেশি নাগরিককে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য সংবিধানে নির্ধারিত কিছু যোগ্যতা রয়েছে, যা উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানের [অনুচ্ছেদ ৬৬ (Article 66)]–এ।
সংসদ সদস্য হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা (Clause 1):
১. প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২. বয়স হতে হবে অন্তত ২৫ বছর।
৩. সংবিধান বা আইন অনুযায়ী তিনি যদি অযোগ্য না হন, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
অযোগ্যতার শর্ত (Clause 2):
নিম্নোক্ত যে কোনো অবস্থায় কেউ সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন যদি—
তিনি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে দোষী সাব্যস্ত হন।
অর্থনৈতিক অপরাধ, দুর্নীতি, জালিয়াতি বা নৈতিক স্খলনের কারণে ২ বছর বা তার বেশি মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হন।
দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং তা থেকে মুক্ত না হন।
কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিক হন বা তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হিসেবে আদালত কর্তৃক ঘোষণা পাওয়া থাকে।
বর্তমানে কোনো সাজা ভোগ করছেন।
ভোটার তালিকা থেকে বৈধভাবে নাম কাটা পড়ে থাকে।
বিঃদ্রঃ
যদি কোনো দণ্ডিত ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আপিল করে থাকেন এবং সে আপিল বিচারাধীন থাকে, তাহলে তাকে চূড়ান্তভাবে অযোগ্য ধরা হয় না—যতক্ষণ না উচ্চ আদালত দণ্ড বহাল রাখে।
আপনার যদি মনে হয় এই যোগ্যতার বাইরে কিছু প্রয়োজন, তাহলে আমি আগ্রহের সঙ্গে শুনতে প্রস্তুত। যুক্তিসম্মত আলোচনা রাজনীতিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
১১| ২৬ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫
অক্পটে বলেছেন: ভারত, আমাদের ওয়াকার, বিএনপি চাইছে আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন। ১৬ বছর রাস্তায় দাড়াতে দেয়নি বিএনপিকে ঘরের বাহিরে জীবন কেটেছে সেই বিএনপি এখন কেমন চোটপাট দেখাচ্ছে। এরা 'র এর দেখানো পথে হাটছে। এরা চায়না দেশ ভালো চলুক। বিএনপি ভারতের দালালী করছে সোজা কথা। পাচঁ বছরেই আমলীগ আবার ফেরত আসবে লিখে রাখুন।
২৬ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বর্তমানে বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত ট্রেন্ড চলছে—যেই কেউ নির্বাচনের প্রশ্ন তোলে, সে হয়ে যায় ভারতের দালাল। কেউ যদি করিডোর বা বন্দর ইস্যুতে ভিন্নমত দেয়, তাকেও একই ট্যাগ দেওয়া হয়।
তবে ইতিহাস আমাদের অনেক কিছু শেখায়। ২০০৭ সালে যখন ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে, তখন সাধারণ মানুষ একপ্রকার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। মিডিয়াতেও প্রচুর মানুষ বলেছিল—এই সরকার ভালো করছে, চাইলে সারা জীবন থাকুক, নির্বাচন দরকার নেই। কিন্তু বাস্তবতা কী হয়েছিল? মাত্র দুই বছরের মধ্যে সেই জনগণই তাদের প্রতি বিরক্ত হয়ে নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল।
বাস্তবতা হলো—অনির্বাচিত সরকার, যতই ভালো কাজ করুক না কেন, দীর্ঘমেয়াদে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
অন্যদিকে, নির্বাচিত সরকার—even if flawed—তারা অন্তত জনগণের কাছে কিছুটা হলেও দায়বদ্ধ থাকে।
আরেকটি বিষয় বলি—ড. ইউনূস এখন দেশ পরিচালনা করছেন, তার অতীত রেকর্ডও আমাদের মনে রাখা উচিত। ২০১১ সালে যখন তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসরের উপযুক্ত বয়সে পৌঁছান, তখনও তিনি থাকতে চেয়েছিলেন এবং সে জন্য আইনি লড়াই করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
এই অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, তিনি সরকারপ্রধান হিসেবে সহজে ক্ষমতা ছাড়বেন না। আর যেদিন ছাড়বেন, হয়তো ততদিনে তার ব্যক্তিগত সুনাম ও সম্মানের জন্য একটা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
১২| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: পুনরায় আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:০৩
সামিয়া বলেছেন: একটা বিপদজ্জনক পরিস্থিতি পার করছি